Tag: tmc

tmc

  • Bhangar: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    Bhangar: ভাঙড়ে শাসক-আইএসএফ সংঘর্ষ, ইটের ঘায়ে মাথা ফাটল তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতাকা টাঙানো নিয়ে তৃণমূল (TMC)-আইএসএফের (ISF) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। দু পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। তার জেরে জখম হয়েছেন দু পক্ষের কয়েকজন। ইটের ঘায়ে এক তৃণমূল কর্মীর মাথা ফেটেছে বলে অভিযোগ। সংঘর্ষ চলাকালীন আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের (Bhangar) হাতিশালা এলাকায়। আইএসএফের অভিযোগের নিশানায় সেই আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল। ওই ঘটনায় পুলিশ দু পক্ষের চারজনকে আটক করেছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। ঘটনাস্থলে গিয়েছে কাশীপুর থানার পুলিশ।

    লড়াইয়ের নেপথ্যে…

    এলাকার রাশ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফের লড়াই দীর্ঘদিনের। তৃণমূলের এই খাসতালুকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে থাবা বসায় আইএসএফ। তিনি ছিলেন কংগ্রেস-সিপিএম-আইএসএফের জোট প্রার্থী। তৃণমূলকে হারিয়ে আইএসএফ জয়ী হওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভাঙড়।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে আচমকাই সংঘর্ষ বাঁধে তৃণমূল এবং আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে। আইএসএফ নেতা (Bhangar) আবু হোসেন মোল্লার অভিযোগ, ২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে আমরা দলীয় পতাকা লাগাচ্ছিলাম। সেই সময় আরাবুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে হাকিমুল ইসলাম বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের মারধর করে। তিনি বলেন, পুলিশ এসে আমাদেরই দুজনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। ওরা লাঠি দিয়ে মেরেছে। আত্মরক্ষা করতে আমরা ওদের মেরেছি।

    আরও পড়ুুন: ভাটপাড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার থেকে ১৫০ কৌটো বোমা উদ্ধার হয়।

    ঘটনায় দায়ী আইএসএফ, বলছে তৃণমূল। হাকিমুল বলেন, আইএসএফের কয়েক জন নেতা দলীয় পতাকা টাঙাচ্ছিল। সেই সময় তারা আমাদের এক সমর্থকের বাড়িতে তাদের দলীয় পতাকা টাঙায়। তারা আরাবুল ইসলামের নামে গালাগালি দেয়। তার প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। ইটবৃষ্টি করে। আমাদের কর্মীদের বন্দুকের বাঁট, ইট, রড দিয়েও মারধর করে।

    বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান বলেন, ভাঙড়ে (Bhangar) সংঘর্ষের ঘটনায় দু পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় দু পক্ষের কয়েকজন সমর্থককে আটক করা হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ভাঙড়ের এই ঘটনায় চিন্তিত রাজনৈতিক মহল। তাদের আশঙ্কা, ভোট যত এগিয়ে আসবে, বিরোধীদের দমাতে ততই ‘ব্যবস্থা’ নেবে রাজ্যের শাসক দল। তার ফলে হবে সংঘর্ষ। ঘটবে রক্তপাতের মতো ঘটনাও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    JP Nadda: ‘‘দিদি এত রাগ করো না, স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়’’, মমতাকে কটাক্ষ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ তে ৫৭ শতাংশ মোবাইল ভারতে তৈরি হয়। অ্যাপল মোবাইলেও লেখা থাকে মেড ইন ইন্ডিয়া। ভারত আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি করছে। প্রতিরক্ষা দফতরে আগে প্রচুর দুর্নীতি হত। ডুবোজাহাজ কিনতে দুর্নীতি, হেলিকপ্টার কিনতে দুর্নীতি হত। এখন ভারত বিভিন্ন দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রফতানি করছে। এটাই পরিবর্তিত ভারত। নদিয়ার বেথুয়াডহরির সভায় এভাবেই মোদি সরকারের জয়গান গাইলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। একই সঙ্গে আবাস থেকে শুরু করে কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পে রাজ্য দুর্নীতি করছে বলে দাবি করেন তিনি। নাড্ডা বলেন, “কেন্দ্র কাজের জন্য টাকা পাঠাচ্ছে আর এখানে ঘোটালা হচ্ছে। গরু, বালি, কয়লা এমনকী শৌচাগার থেকেও টাকা খাচ্ছে তৃণমূল। ওরা সংবিধান পর্যন্ত মানেন না।” হুঁশিয়ারির শুরে বলেন, “সংবিধান না মানলে জনতা বিচার করবে।”

    দিদি রাগবেন না!

    নাড্ডার মতে, এখন সবকিছুতে দিদি রেগে যাচ্ছেন। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘‘আবাস নিয়ে তদন্ত হলে রেগে যান। আপনারা বলেন কাজ করতে দিচ্ছে না। মনরেগায় কৃষকদের টাকা খাওয়ার তদন্ত হলে তাতেও চিন্তায় পড়ে যান। এখানে সবথেকে বেশি মানব পাচার হয় কি না বলুন? সবথেকে বেশি মহিলাদের উপর অত্যাচার হয় কি না বলুন?’’ নাড্ডা বলেন, ‘‘একটা বৈঠকে দিদি আমার পাশে বসেছিলেন। আমি বললাম, দিদি এত রেগে যাবেন না। আপনি সংবিধান মেনে কাজ করুন, নিয়ম অনুযায়ী চলুন, দুর্নীতির সঙ্গ ছাড়ুন। আপনাকে ভগবান সুযোগ দিয়েছেন। আমি দিদিকে বলতে চাই, দিদি এত রাগ করো না। স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়।’’

    দুর্নীতির সরকার

    এদিনে সভায় রাজ্যের শাসক দলের দুর্নীতির কথা তোলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি। নাড্ডা বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা পাঠায়, এখানে দুর্নীতি হয়। আর তদন্ত হলেই মোদি সরকারের নামে বলতে থাকে। মোদি সরকার সততার সরকার, আপনার সরকার বেইমানের সরকার, এটা বুঝতে হবে।’’  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। বেথুয়াডহরি সভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘পয়সা পাঠাচ্ছেন মোদি আর তুমি এখানে দুর্নীতি করছ? আর যখনই তদন্ত হবে, বলবে সরকার শত্রুতা করছে। চুরিও করবে, গায়ের জোরও খাটাবে?’’

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

    নাড্ডার মতে, এসবের থেকে রাজ্যবাসীর মুক্তির একটাই পথ। তা হল, তৃণমূলকে সরিয়ে বিজেপিকে আনা। তিনি বললেন, ‘‘এসব থেকে মুক্তির একটাই রাস্তা, তা হল বিজেপি। তা পঞ্চায়েত ভোট হোক বা লোকসভা ভোট। বলুন, লোকসভা ভোটে এখানে পদ্ম ফুটবে কি না?’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরে সুর মিলিয়ে নাড্ডা বলেন, ‘‘পদ্মে ছাপ দাও, চোর ধরেও দেব, জেলে ভরেও দেব। পদ্মে ভোট দিন, বাকিটা দেখে নেব।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু!  তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    SSC Scam: এবার ইডির স্ক্যানারে কুন্তল ‘ঘনিষ্ঠ’ শান্তনু! তল্লাশি চলছে বলাগড়ের তৃণমূল নেতার বাড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক শাসকদলের নেতার নাম জড়িয়ে পড়ছে। তাপস মণ্ডলের সূত্র ধরে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নাম উঠে আসার পর আজ সকাল সকাল তাঁর জোড়া ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এর পর জানা গিয়েছে, তাপস ও কুন্তলের সূত্র ধরেই এই দুর্নীতি মামলায় বলাগড়ের যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও উঠে এসেছে। ফলে শুক্রবার সকালে মোট ৪টি গাড়ি করে ১২ জন ইডি অফিসার আসেন বলাগড়ে। তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। চলছে তল্লাশি। অভিযোগ, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের এই নেতাও।

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে উঠে আসছে নতুন নতুন নাম…

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডল প্রথমে কুন্তল ঘোষের নাম নেন। এর পর কুন্তল ঘোষকে জেরা করার পরেই শান্তনু ব্যানার্জির নামও উঠে আসে এই দুর্নীতি কাণ্ডে। তবে জানা গিয়েছে, শান্তনুর নামও তাপসই দিয়েছেন তদন্তকারীদের কাছে। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষক নিয়োগে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে জড়িয়ে বলাগড়ের ওই নেতাও।

    আরও পড়ুন: সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের পর এবারে তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তলের জোড়া ফ্ল্যাটে ইডির হানা!

    শান্তনুর বলাগড়ের বাড়িতে ইডির হানা

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ শুক্রবার সকাল থেকে একযোগে একাধিক জায়গাতে হানা দিলেন কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা। একদিকে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হুগলির যুবনেতা কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে। অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ এবং তৃণমূলের প্রাক্তন যুব জেলা সভাপতি শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও এদিন সকালে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। দুই জায়গাতেই চলছে তল্লাশি।

    মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস এবং কুন্তলকে জেরা করে শান্তনুর নাম পান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, জানা গিয়েছে, হুগলির যুবনেতা কুন্তলের খুবই ‘ঘনিষ্ঠ’ বলাগড়ের নেতা শান্তনু। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরেই আজ তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, আজ সকালে বাড়িতে শান্তনু বা তাঁর পরিবারের কেউ ছিলেন না বলেই তদন্তকারীদের জানান তৃণমূল নেতার দায়িত্বে থাকা দেহরক্ষীরা। তবে ইডির পরিচয় জানতেই বাড়ির সমস্ত চাবি তাঁদের হাতে নিরাপত্তারক্ষীরা তুলে দেন বলে জানা যাচ্ছে। ফলে তৃণমূল দুই নেতার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের পর কী কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা নিয়েই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) টাকায় জেলা সফর করে বেড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্তত এমনই অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এক আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে খরচ করা হচ্ছে অভিযোগ তুলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এবার তাঁর অভিযোগ, মিড-ডে মিলের জন্য কেন্দ্র যে টাকা বরাদ্দ করে, সেই টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের উপলক্ষে বারাকপুরে সাংগঠনিক জেলার অঞ্চল সম্মেলন করেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্মেলন শেষে তিনি বলেন, দু’বছর করোনা পর্বে সাড়ে ৯ কোটি কেজির চাল ও স্যানিটাইজার, মাস্ক কেনার ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মিড ডে মিলের অ্যাকাউন্টের টাকা ভারত সরকারের। এই টাকা পড়ে থাকলে সুদ হয়। সেই সুদের টাকায় দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি চালাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    ট্যুইট-বাণ…

    ফের একবার ট্যুইট-বাণে রাজ্য সরকারকে বিদ্ধ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, স্কুল পড়ুয়াদের খাবারের টাকা খরচ হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে। গত নভেম্বরে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মিড-ডে মিলের লক্ষ লক্ষ টাকা সেই সফরে খরচ করা হয়েছে। এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্টের টাকাও নষ্ট করা হয়েছে ওই সফরে।

    অন্য একটি ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। প্রশাসনিক ভিজিটের (যা আসলে রাজনৈতিক সফর) নামে যে টাকা খরচ করা হচ্ছে, তা মিড-ডে মিলের, এসসি, এসটি এবং ওবিসি ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশন, সিভিল ডিফেন্স মায় এমপি ল্যাডের।

    নন্দীগ্রামের বিধায়কের (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে যে রাজনৈতিক ইভেন্টগুলো হচ্ছে, তাতে সঙ্গত করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক বৈঠকে তাঁরা যে খয়রাতির দ্রব্য হাতে তুলে দিচ্ছেন, তা হচ্ছে মিড-ডে মিলের টাকায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মতে, এটা অর্থনৈতিক অপরাধ, তদন্তের প্রয়োজন।

    শুভেন্দুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর দু দিনের ওই সফরে খরচ হয়েছে ১.৩৫ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তার ওপরতলা থেকে বিডিও পর্যন্ত আধিকারিকরা অনৈতিকভাবে ফান্ড ডাইভার্ট করে চলেছেন। মিড-ডে মিলের টাকা চুরি কল্পনাও করা যাবে না। সেই কারণেই মিড-ডে মিলে মিলছে সাপ, টিকটিকি।

    মধ্য-এপ্রিলে হতে পারে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শুভেন্দুর এই ট্যুইট-বাণ তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলবে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। 

    আরও পড়ুুন: ড্রেস কোড না মেনে বোরখা পরে হিন্দু কলেজে! ঢুকতেই দিলেন না কর্তৃপক্ষ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    TET Scam: কার কাছে কত টাকা? যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে সিবিআই তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে নিজাম প্যালেসে তলব করল সিবিআই। বুধবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাপস মণ্ডলের প্রতিনিধিকেও। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুন্তল নিজাম প্যালেসে পৌঁছননি। 

    কুন্তলের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সম্প্রতি নিজাম প্যালেসে একাধিক বার তলব করা হয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে। তার মধ্যেই একবার নিজাম থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তাপস দাবি করেন, তিনি যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে ১৯ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। এখানেই শেষ নয়, গোটা ঘটনায় প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি তাপসের। এছাড়া, শুধু কুন্তলই নন, এর মধ্যে আরও ছোট বড় নেতা জড়িত রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তাপস। হুগলির যুব তৃণমূল নেতা তথা যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ অফলাইন রেজিস্ট্রেশন, পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য ও চাকরি পাইয়ে দিতে এই টাকা নিয়েছেন বলে দাবি করেন তাপস। সিবিআইয়েরও অনুমান কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা লেনদেন হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দৃশ্যে বদল! ‘পাঠান’ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল্লি হাইকোর্টের 

    অভিষেকের ঘনিষ্ঠ কুন্তল

    সূত্রের খবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল এর আগে ২ বার সিবিআইয়ের হাজিরা এড়িয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে একাধিক ছবিতে এবং কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষের সঙ্গেও দেখা গিয়েছে কুন্তলকে। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এবার কুন্তলকে নিজাম প্যালেসে জেরা করে নিয়োগ দুর্নীতির পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা একাধিক রহস্যের উন্মোচন করতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকেরা। ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড নিয়ে চাপে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। পার্থ চট্টোপাধ্যায় মানিক ভট্টাচার্য সহ একাধিক নেতা জেলে রয়েছেন। স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক প্রাক্তন আধিকারিক, এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেও গ্রেফতার করা হয়েছে এই ঘটনায়। এবার কুন্তল ঘোষের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Didir Doot: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা  

    Didir Doot: তৃণমূলের বিক্ষোভের মুখে দলবদলু ‘দিদির দূত’ জয়প্রকাশ, বিশ্বজিৎ, দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় বিক্ষোভের মুখে দিদির দূতরা (Didir Doot)! যত দিন যাচ্ছে, ততই দীর্ঘ হচ্ছে এই তালিকা। বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) তালডাংরা বিধানসভার সিমলাপালের মাচাতোড়ায় দিদির দূত হয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েন দলবদলু জয়প্রকাশ মজুমদার। তৃণমূলের (TMC) সহ সভাপতিকে হাতের কাছে পেয়ে দলেরই একটি গোষ্ঠী ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁদের দাবি, পুরানো তৃণমূল কর্মীরা দলে গুরুত্ব পাচ্ছেন না। পরিস্থিতি না বদলালে তৃণমূল ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা।

    ক্ষোভের আগুন…

    এদিনই উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের দত্তপুকুর জয়পুল এলাকায় দিদির দূত হিসেবে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা সহ নানা দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। কেবল এদিনই নয়, বস্তুত দিদির দূত কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে প্রথম থেকেই পদে পদে হোঁচট খেতে হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন সিং, রামপুরহাটের মাড়গ্রামে শতাব্দী রায়, বীরভূমের বালিজুড়ির কুখুটিয়া গ্রামে দেবাংশু ভট্টাচার্য, বাঁকুড়ায় সায়ন্তিকা ব্যানার্জি, মুর্শিদাবাদে সাংসদ আবু তাহের, ময়ূরেশ্বরে সাংসদ অসিত মাল ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়, গলসিতে বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, পটাশপুরে বিধায়ক জুন মাল্য। বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি বাতিল করেন কুণাল ঘোষ। নদিয়ায় গিয়ে জনরোষের মুখে পড়েন খোদ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    আরও পড়ুুন: নথি জাল করে বাবার স্কুলে চাকরি! ভূগোল শিক্ষকের কাণ্ডে সিআইডি ডাকল হাইকোর্ট

    কোচবিহারের দিনহাটায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং বুলুচিক বরাইক, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায় চৌধুরী, নানুরের তৃণমূল বিধায়ক বিধান মাঝি, ইলামবাজারে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, খড়িবাড়ি ব্লকের বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির চেয়ারম্যান অলোক চক্রবর্তী, সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বাসুনিয়া, খড়দহে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসও। তবে তাঁকে অপ্রস্তুত হতে হয় সম্পূর্ণ অন্য কারণে। অন্যদের কাছে যেমন নানা অভাব-অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের একাংশের সীমাহীন দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ জানাতে দেখা গিয়েছিল স্থানীয়দের, বাগদায় দলবদলু বিশ্বজিৎকে জিজ্ঞাসা করা হয়, দল বদল করলেন কেন? দৃশ্যতই অপ্রস্তুতে পড়ে যান বিশ্বজিৎ। প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিটে জিতে বাগদার বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। পরে দল বদলে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। এদিন তারই কৈফিয়ত চাইলেন বাগদাবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Mithun Chakraborty: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    Mithun Chakraborty: পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন, বেকায়দায় পড়া তৃণমূলকে জব্দ করতে আসরে মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির চোখে এখনও তিনি সুপার স্টার। সম্প্রতি প্রজাপতি সিনেমাও নানা কারণে মাইলেজ দিয়েছে তাঁকে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁর সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। তবে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর সহ অভিনেতা তথা শাসক দলের নেতা অভিনেতা দেব (Deb)। এহেন মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) জনপ্রিয়তাকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্যতম হাতিয়ার করতে চাইছে পদ্ম শিবির (BJP)। ইতিমধ্যেই গ্রাম বাংলায় একপ্রস্ত প্রচার করে ফেলেছেন মিঠুন। আজ, বুধবার থেকে দ্বিতীয় দফার প্রচারে নামবেন তিনি। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে জনসভা করবেন মহাগুরু। মিঠুনের সঙ্গে থাকবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। এদিন এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলেও অংশ নেবেন ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়ক। পরে যোগ দেবেন ওই জেলারই দলের সাংগঠনিক বৈঠকে। কারণ মিঠন দলের ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্যও বটে।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষের পরে পরেই হতে পারে এই নির্বাচন। নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে। তাই এখনই শক্তি বাড়িয়ে নেওয়ার সময়। রাজনৈতিক মহলের মতে, শাসক দল ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় অ্যাডভান্টেজ বিজেপি। এর সঙ্গে ‘মহাগুরু’র ((Mithun Chakraborty)) ইমেজ যোগ হলে বিজেপির জয় হবে অনায়াস। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে যা পদ্ম শিবিরকে বাড়তি মাইলেজ দেবে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুুন: ভোটের আশা না করেই মুসলিমদের সঙ্গেও যোগাযোগ বাড়ান! বিজেপি কর্মীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    এই লক্ষ্যেই গত নভেম্বর মাসের আগেও জনসংযোগের লক্ষ্যে মিঠুনকে প্রচারের কাজে লাগিয়েছে বিজেপি। গত ২৩ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুন দক্ষিণবঙ্গে একাধিক সভা করেছেন। বিজেপির সেই সভাগুলিতে ভিড় ছিল উপচে পড়ার মতো। বিজেপির সভায় ভিড় দেখে চোখ কপালে ওঠে তৃণমূলের। তার পরেই প্রজাপতি সিনেমা নিয়ে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল নেতৃত্ব। যার জবাব দিয়েছেন মিঠুনও। বিজেপি সূত্রের খবর, বুধবার বাসন্তীর পর জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের কাজেও লাগানো হবে মিঠুনকে। দিন দুয়েক আগে বঙ্গ বিজেপির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাংলায় বিজেপি নেতাকর্মীরা যেভাবে লড়ছেন, তাকে উৎসাহিত করেছেন তিনি। বলেছেন, লড়াই চলবে। সেই লড়াইয়ের লক্ষ্যেই কোমর কষে মাঠে নেমে পড়েছেন বিজেপির বঙ্গ বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

  • Didir Doot: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    Didir Doot: বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’, জনরোষের ভয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনরোষের ভয়ে দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচিতে গিয়ে গাড়ি থেকে নামলেনই না বীরভূমের মুরারই বিধানসভার বিধায়ক (MLA) মোসারফ হোসেন। তাই অভিযোগই জানাতে পারলেন না স্থানীয়রা। ঘটনার জেরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ মুরারইয়ের গোপালপুর গ্রামে।

    পুলিশের বাধায় দিদির দূত…

    এদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের হেড়োভাঙা এলাকায় দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির প্রচারে বেরিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন দিদির দূতেরা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার সকালে হেড়োভাঙা এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচির প্রচারে গিয়েছিলেন দিদির দূতেরা। অভিযোগ, সেখানে আগে থেকেই মোতায়েন করা হয়েছিল পুলিশের বিশাল বাহিনী। এলাকায় যাতে দিদির দূতেরা ঢুকতে না পারেন, তার জন্য হেড়োভাঙা বাজারে কয়েকজন তাঁদের বাধা দেন। যাঁরা বাধা দিচ্ছিলেন তাঁরা তৃণমূলেরই অন্য একটি গোষ্ঠীর লোকজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি উঁচিয়ে দিদির দূতেদের তাড়া করে পুলিশ। ঘটনার জেরে পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের একাংশ। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মদন নস্কর বলেন, দিদি-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে দায়িত্ব আমাদের ওপর দিয়েছে, সেগুলিতে বাধা দিচ্ছে প্রশাসনই। দিদিকে আমি অভিনন্দন জানাই, হাততালি দিই। তিনি বলেন, দিদি এই ভিডিও ওখানে বসে বসে দেখুন, কারা অত্যাচার করছে আমাদের প্রতি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের কুকুরের মতো তাড়া করছে, দিদি দেখুন।

    আরও পড়ুুন: ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সবই করবে ভারত’, চিনকে ফের হুঁশিয়ারি জয়শঙ্করের

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষাকবচ কর্মসূচি হাতে নেয় তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে এই কর্মসূচি রূপায়নে মাঠে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। নানা জায়গায় বিক্ষোভের মুখেও পড়ছেন তাঁরা। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন অর্জুন সিং। বীরভূমের রামপুরহাটের মাড়গ্রামে গিয়ে একই পরিস্থিতির শিকার হন শতাব্দী রায়। বীরভূমেরই বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুখুটিয়া গ্রামে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দেবাংশু ভট্টাচার্য।  বাঁকুড়ায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূলের তারকা নেত্রী সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের, ময়ূরেশ্বরের সাংসদ অসিত মাল ও বিধায়ক অভিজিৎ রায়ও পড়েন স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে। জন-ক্ষোভের সামনে পড়েছেন গলসিতে বিধায়ক নেপাল ঘোরুই, পটাশপুরে বিধায়ক অভিনেত্রী জুন মাল্য, নদিয়ায় বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কোচবিহারের দিনহাটায় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ও বুলুচিক বরাইক। বিক্ষোভের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মসূচি বাতিল করে দেন কুণাল ঘোষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন কংগ্রেসের, আদালতে তৃণমূল

    Jhalda: ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন কংগ্রেসের, আদালতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে ঝালদা পুরসভায় (Jhalda) বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। চেয়ারপার্সনের আসনে বসলেন শিলা চট্টোপাধ্যায়। সোমবার ৭–০ ভোটে জিতে ঝালদা পুরসভা দখল করে কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ভোটাভুটিতে কংগ্রেসের ঝুলিতে আসে ৭টি ভোট। তবে এতেই শেষ হয়ে যায়নি জটিলতা। আদালতের দ্বারস্থ তৃণমূল কংগ্রেস।     

    কীভাবে বোর্ড বঠন করল কংগ্রেস? 

    ‌আজ ঝালদা (Jhalda) পুরসভার ১২টি আসন। ৬ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং ১ জন নির্দল কাউন্সিলের ভোট আসে কংগ্রেসের ঝুলিতে। ৫ তৃণমূল কাউন্সিলর ভোটদান থেকে বিরত থাকেন।  শীলা চট্টোপাধ্যায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারপার্সন হিসেবে নির্বাচিত হন। এর আগে শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থন পেয়েই বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝালদা পুরসভা গেল কংগ্রেসের দখলে। পুরপ্রধান হওয়ার লোভে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছেন শীলা, এই দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। 

    এর আগে এই পুরসভায় (Jhalda) নির্বাচনে পাঁচটি আসন তৃণমূল কংগ্রেস এবং পাঁচটি আসন কংগ্রেস পায়। দুই নির্দল প্রার্থীর সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ডের দখল করেছিল। তারপর চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করলে সুরেশ আগরওয়াল চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। আস্থাভোটে জয়লাভ করে কংগ্রেস। কিন্তু বোর্ড গঠন করতে পারেনি। কারণ সরকারের পক্ষ থেকে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর জবা মাছুয়াকে প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।

    আরও পড়ুন: প্রজাতন্ত্র দিবসের পরে শাসক দলের নেতাকে খুনের ছক কষেছিল দিল্লিতে ধৃত জঙ্গিরা!  

    এই জবা মাছুয়া, অপসারিত চেয়ারম্যান সুরেশ আগরওয়ালের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে কংগ্রেস। তৃণমূলের প্রশাসক(Jhalda) বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে যায় কংগ্রেস। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা রাজ্য সরকারের প্রশাসকের নিয়োগের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। পুনরায় নির্বাচনের নির্দেশ দেন। আজ ১৬ জানুয়ারি ঝালদার পুরপ্রধান নির্বাচনের দিন ছিল। অবশেষে বোর্ড গঠন কংগ্রেসের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    Didir Doot: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গিয়ে জুটল তৃণমূল নেতার চড়, সঙ্গে হুমকিও  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘দিদির সুরক্ষা কবচে’ অভিযোগ জানাতে গেলে যে তৃণমূল নেতার চড় খেতে হবে, কশ্মিনকালেও তা ভাবেননি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের সাগর বিশ্বাস। মন্ত্রীর সামনে তৃণমূল নেতার হাতে সজোরে চড় খেয়ে অবশ্য সম্বিত ফিরল। বুঝতে পারলেন, দিদির সুরক্ষা কবচ দিতে যে দিদির দূতেরা (Didir Doot) আসছেন, তাঁরা আসলে ‘ভূত’। সাগরের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। তাতে অবশ্য ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি সাগরের। তবে সাগর যাতে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে না পারেন, তাই তৃণমূলের তরফে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন…

    দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগ বাড়াতে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়, এই কর্মসূচি রক্ষণাবেক্ষণে থাকবেন দিদির দূত। এও ঘোষণা করা হয়, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হবে বাংলার ১০ কোটি মানুষ ও দু কোটি বাড়ির সমস্যা, অভাব, অভিযোগের কথা দলের শীর্ষ স্তরে, এমনকি নেত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া। এই কর্মসূচিরই নাম দেওয়া হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবচ।

    দলীয় কর্মসূচি পালনের নির্দেশ পেয়ে পথে নেমে পড়েন দিদির দূতেরা (Didir Doot)। বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান জন প্রতিনিধিরা। এদিন ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় এই কর্মসূচিতে যোগ দেন রথীন। সেখানেই বেহাল রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে এসেছিলেন স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্য সাগর। তাঁকেই কষিয়ে থাপ্পড় মারা হয়। ধাক্কা মারতে মারতে সেখান থেকে সরিয়েও দেওয়া হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, এদিন ময়ূরেশ্বরের ষাটপলসা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘুরে দেখার সময় বোলপুরের সাংসদের সামনেই স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন দলীয় কর্মীরা। উচপুর গ্রামেও স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তৃণমূল সাংসদ অসিত মাল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কখনও সখনও এলাকায় বিধায়কের গাড়ি দেখা যায়। তবে তিনি জানালার কাচ তুলে চলে যান। এলাকার কোনও উন্নয়নে শামিল হন না।  এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, মানুষ দু্র্নীতির কথা জানলেও, ভয়ে বলত না। আমরা সাহস জোগানোয় মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে। হিসেব চাইছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share