Tag: tmc

tmc

  • Nandigram: সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে, মাথা ফাটল ভোটারের

    Nandigram: সমবায় সমিতির নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার নন্দীগ্রামে, মাথা ফাটল ভোটারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)। এবার অশান্তির কারণ সমবায় সমিতির নির্বাচন। শুক্রবার তৃণমূল (TMC) বিজেপি (BJP) সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি এলাকা। সংঘর্ষে মাথা ফেটেছে এক ভোটারের। বিজেপির দাবি, সংঘর্ষে জখম হয়েছেন তাঁদের এক কর্মীও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    সমবায় সমিতির নির্বাচন…

    এদিন ছিল নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের ভেতুরিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচন। সকাল থেকেই এলাকায় ছিল টানটান উত্তেজনা। অশান্তি হতে পারে আঁচ করে সকাল থেকেই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। তৃণমূল ও বিজেপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দেওয়াল তৈরি করে জেলা পুলিশের কমব্যাট ফোর্স। তার পরেও এড়ানো যায়নি সংঘর্ষ। দু পক্ষের সংঘর্ষে মাথা ফাটে এক ভোটারের। ঝরঝর করে রক্ত পড়তে থাকে। পদ্ম শিবিরের দাবি, সংঘর্ষে জখম হয়েছেন তাঁদেরও এক কর্মী। অশান্তির এই আবহেই শুরু হয় ভোট গ্রহণ।

    আরও পড়ুন: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

     নন্দীগ্রামের (Nandigram) এই সমবায় সমিতির আসন সংখ্যা ১২। তবে ভোট হচ্ছে ১১টি আসনে। প্রথমে ১২টি আসনেই প্রার্থী দেয় তৃণমূল ও বিজেপি। বামেরা প্রার্থী দেয় ৬টি আসনে। সবকটি আসনে বিজেপি প্রার্থী দিলেও, পরে সংখ্যালঘু এক মহিলা প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। প্রত্যাশিতভাবেই ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। সেই কারণে এদিন ভোট নেওয়া হয় ১১টি আসনে।

    এদিন সকাল থেকেই এলাকায় ছিল টানটান উত্তেজনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই চড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছে তৃণমূল। যদিও রাজ্যের শাসক দলের অভিযোগ, এই সমবায় সমিতি নির্বাচনে জোর করে জিততে চাইছে বিজেপি। নির্বাচনে গোলমাল পাকানোর কারণে নিয়ে আসছে বহিরাগতদের। প্রার্থীদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এর পরেই যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। হয় রক্তারক্তি কাণ্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Howrah: অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ! বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার ডোমজুড়ে

    Howrah: অভিযোগ, পাল্টা-অভিযোগ! বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার ডোমজুড়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিতর্কিত পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার ডোমজুড়ে। হাওড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি কল্যাণ ঘোষকে ‘চোর’ ও ‘তোলাবাজ’ বলে উল্লেখ করে তাঁরই নির্বাচনী কেন্দ্র ডোমজুড়ের বিভিন্ন জায়াগায় পোস্টার,ফেস্টুন টাঙিয়ে দেওয়া হয়। নীল রংয়ের এই ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, কল্যাণ ঘোষ সবসে বড়া চিটিংবাজ, ধান্দাবাজ, তোলাবাজ আর চোর হ্যায়।’ এরপরেই লেখা রয়েছে, ‘হাওড়ার মানুষ ডাক দিচ্ছে কল্যাণ ঘোষ নিপাত যাক।’ ব্যানারের একেবারে নিচে লেখা রয়েছে, তৃণমূল কর্মীবৃন্দের তরফে এই ব্যানার প্রচার করা হচ্ছে। ফেস্টুন-পোস্টারের নীচে ‘তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ লেখা থাকায় চাপানউতোর শুরু হয় শাসকদলের অন্দরেও।

    বিজেপি-তৃণমূল তরজা

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই পোস্টার ঘিরে সরগরম হাওড়ার রাজনীতি। বিজেপির পক্ষে উমেশ রাই বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে ব্যাপক দূর্নীতি আছে। তাই এইধরনের পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। গোটা ঘটনার পেছনে স্বার্থান্বেষীদের একটি অংশ কাজ করছে বলে ডোমজুড় কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তাপস মাইতি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০২১ সালে যারা তৃণমূল থেকে বিজেপির দিকে চলে গিয়েছিল সেই লোকেরাই তৃণমূল কর্মীদের নাম করে এই ধরনের পোস্টার সাঁটাচ্ছে। তাঁর কথায়, এই লোকেদের ‘ধান্দাবাজি’ বন্ধ হয়ে যাওয়াতেই দল এবং দলের নামে বদনামের চেষ্টা করছে। 

    আরও পড়ুন: আসানসোলের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ শুভেন্দুর, আহত-নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার বার্তা

    এই ধরনের পোস্টার-ফেস্টুন ডোমজুড়ে নতুন নয়। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকার তৎকালীন তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে এ সব প্রায়ই হতো। কিন্তু রাজীব বর্তমানে তৃণমূলে। তার পরেও এই ঘটনা ফের ঘটায় এলাকার রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায়। তৃণমূলের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বিজেপি। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সকালে নজরে আসার পরই পোস্টার ও ফেস্টুনগুলি ছিঁড়ে ফেলা হয়। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: ২০২৪-লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য থেকে অনেক বেশি আসন চান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। শুক্রবার রাতে শহরে এসে মুরলী ধর সেন লেনে দলের রাজ্য় সদর দফতরে পা দিয়েই বাংলায় দলের নেতাদের এই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেন তিনি।

    শাহী পরামর্শ

    শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah)। সেখান থেকে রওনা দেয় অমিত শাহের কনভয়। গাড়ির সামনের সিটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ঠিক তাঁর পিছনের সিটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান বিজেপির রাজ্য দফতরে। সেখানে দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল, মঙ্গল পাণ্ডে, সুনীল বনসল, অমিত মালব্য, আশা লাকড়া, খগেন মুর্মু, সুভাষ সরকার, স্বপন দাশগুপ্ত, নিশীথ প্রামাণিক, জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, দীপক বর্মন, লকেট চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ চক্রবর্তী ও সতীশ ধন্দ। 

    আরও পড়ুন: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে কি?

    বিজেপি সূত্রে খবর, এ দিন আধ ঘণ্টার বৈঠকে অমিত শাহ (Amit Shah) স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, ২০১৯-এর থেকেও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে বেশি আসনে বিজেপি-র জয় চান তিনি। আর সেই লক্ষ্য়মাত্রা পূরণ করতে বুথ স্তর থেকে সংগঠন মজবুত করার জন্য় দলের রাজ্য় নেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, সেই ভোটের রণকৌশল নিয়েও এদিন কথা বলেন অমিত। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্য় নেতাদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন, ‘বাংলায় আগের থেকে বিজেপির শক্তি বেড়েছে। সেই শক্তি আরও বাড়াতে হবে। সেই জন্য় বুথস্তর থেকে সংগঠন মজবুত করতে হবে। আমার আশা গত লোকসভা ভোটে যত আসন পেয়েছিলাম, এবার তার থেকে বেশি আসন পাবো। সেই লক্ষ্য়ে কাজ করতে হবে।’স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তৃণমূলের দুর্নীতি এবং রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন রাজ্য় নেতারা। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সংগঠন শক্তিশালী করার উপরেই বেশি জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। সংগঠন মজবুত করতে সবাইকে একজোট হয়ে কাজ করারও নির্দেশ দেন তিনি। বাকি বিষয় কেন্দ্র দেখবে বলে রাজ্য় নেতাদের আশ্বাস দেন অমিত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: শুধু বিএসএফ নয়! সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু বিএসএফ নয়, সীমান্ত নিরাপত্তায় রাজ্যেরও দায়িত্ব রয়েছে। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, বিহাররে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাবদ এবং ওড়িশার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে আন্তর্দেশীয় সীমান্ত ছাড়াও আন্তর্রাজ্য সীমান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    কী বললেন অমিত

    বিশেষ সূত্রে খবর, এদিন অমিত শাহ বৈঠকে বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্ব যতটা বিএসএফের, ঠিক ততটা রাজ্যেরও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে। আগের সরকারের খামতি ছিল। আমরা তা অনেকটা পূরণ করেছি। আরও উন্নয়নের জন্য এগোচ্ছি।” পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতের চার রাজ্য বিহার, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড এই কাউন্সিলের সদস্য। মূলত প্রতিবেশী রাজ্যগুলির মধ্যে আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ আলোচনা ও সমাধানের পথ খুঁজতেই সদস্য রাজ্যগুলিতে ঘুরে ঘুরে এই কাউন্সিলের বৈঠক বসে প্রতি বছর। 

    আরও পড়ুন: নবান্নে বৈঠকে মমতা-শাহ, কারণ কি জানেন?

    সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে সীমান্ত নিরপত্তায় পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অর্থ দাবির পাশাপাশি ১০০ দিনের কাজে রাজ্যের পাওনা টাকার কথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার নামে বিএসএফের অতিসক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল তিনটে পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানরা এই বৈঠকে ছিলেন। সদস্য রাজ্যগুলির সচিব পর্যায়ের প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছিলেন। নবান্নে শনিবার ইস্টার্ন জোনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর শহরে আরও কয়েকটি কাজ সেরে বিকেলেই দিল্লি উড়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nirmala Sitharaman: নিজের রাজ্যে খুঁজুন পাপ্পুকে দেখতে পাবেন! মহুয়াকে কড়া জবাব নির্মলার

    Nirmala Sitharaman: নিজের রাজ্যে খুঁজুন পাপ্পুকে দেখতে পাবেন! মহুয়াকে কড়া জবাব নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের রাজ্যে খোঁজ করুন, ‘পাপ্পুর’দেখা পেতে পারেন।  তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে কড়া জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। ‘পাপ্পু’ প্রসঙ্গ তুলে আগে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছিলেন মহুয়া। দেশের অর্থনীতি পরিচালনা নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদ। এর জবাবে নির্মলা বলেন, তৃণমূল নেত্রী পশ্চিমবঙ্গে নিজের আঙিনায় যদি খোঁজ করেন সেখানে ‘পাপ্পুর’দেখা পেতে পারেন।

    মহুয়ার কথা

     প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লোকসভায় মহুয়া বলেন দেশের আর্থিক উন্নতি নিয়ে মিথ্যা কথা বলছে কেন্দ্রীয় সরকার। গতকাল তিনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘প্রত্যেক ফেব্রুয়ারি মাসে সরকার সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে দেশের অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে, সকলে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিষেবা যেমন গ্যাস সিলিন্ডার, বাড়ি ও বিদ্যুৎ পরিষেবা পাচ্ছেন। এগুলো সবই মিথ্যা।’ তিনি আরও বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি সরকার দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি নিয়ে মিথ্যাচার করছে। দেশের অর্থনীতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে অনুরোধ করছি দেশের অর্থনীতি সামলান।’ এসবের পাশাপাশি তিনি ‘পাপ্পু’ বলে কেন্দ্রীয় সরকারকে কটাক্ষও করেন। তিনি বলেন, ‘সরকার ও শাসক দল এই পাপ্পু শব্দটি তৈরি করেছে। চরম অক্ষমতা বোঝাতে এবং তার নিন্দা করতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে আসল পাপ্পু কে।’ এবার মহুয়া মৈত্রের এই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। সংসদে দাঁড়িয়ে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা প্রসঙ্গে তৃণমূলকে তুলোধোনা করলেন তিনি। 

    নির্মলা যা বললেন

    এর আগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেছিলেন যে পাগলের হাতে ম্য়াচিস কে দিল? সরকারের দিকে আয়না ধরুন। দেখে নিন আসল পাপ্পু কে? তারই জবাবে নির্মলা জানিয়েছেন, দেশলাই কার হাতে রয়েছে। এটা উদ্বেগের ব্যাপার। কাদের হাতে দেশলাই দিলেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ মানুষ দিয়েছেন। জনতা দিয়েছেন। এটা আমরা ছোট করে দেখতে পারি না। কিন্তু কাদের হাতে দেশলাই কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি গুজরাটে বিজেপির বড় জয় হয়েছে। ভোট পরবর্তী সময়ে কী হয়েছে সেখানে? শান্তির বাতাবরণ। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে একবার তুলনা করে দেখুন। সেখানে ভোট পরবর্তী হিংসায় কী হয়েছিল। নির্মলা বলেন, দেশলাই কাদের হাতে কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে দেখুন। এটাই প্রশ্ন। আমাদের হাতে যখন দেশলাই ছিল তখন আমরা উজ্জ্বলা দিয়েছি, পিএম কিষান দিয়েছি স্বচ্ছ ভারত দিয়েছি। আর আপনাদের হাতে যখন দেশলাই এল তখন কী করলেন, ধর্ষণ হল, নির্যাতন হল, হিংসা হল, আমাদের কার্যকর্তাদের ঘর জ্বালিয়ে দিলেন। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমএস মুরলিধরনের উপর এমন হামলা হল যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও নিরাপদে থাকলেন না। জেপি নাড্ডার গাড়িও ভাঙা হল। এটাই ভোট পরবর্তী বাংলা।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

  • TET Scam: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    TET Scam: অষ্টম শ্রেণি পাশেই প্রাথমিকের শিক্ষক! ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) ফের নাম জড়াল এক তৃণমূল নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন ও তিনি নিজেও অষ্টম শ্রেণি পাশ করা শিক্ষক। আর এরপরেই তাঁকে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই নেতা হলেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসেবে বেতন পেলেও পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও প্রতি মাসে আলাদা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। এইসব অভিযোগের পরেই তাঁকে ১৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার দুপুর ১টার মধ্যে সশরীরে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেবজ্যোতি ঘোষের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ?

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (TET Scam) নাম জড়িয়েছে দেবজ্যোতি ঘোষের। তিনি ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যানের পাশাপাশি একজন প্রাথমিক শিক্ষকও। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাড হক কমিটির সদস্যও তিনি। অভিযোগ উঠেছে, নিজের ক্ষমতা বলে তিনি টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন ও এই অভিযোগে মামলাও দায়ের হয় হাইকোর্টে। কোয়েনা দে নামে এক চাকরিপ্রার্থীর করা মামলায় ১৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার তৃণমূলের এই নেতাকে হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: মৃত লালনের দেহ নিয়ে সিবিআইয়ের ক্যাম্পে বিক্ষোভ, ফাঁসে মৃত্যু, বলছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট

    কোয়েনা দে দাবি করেছেন, দেবজ্যোতি ঘোষের পাসপোর্টে লেখা, তিনি নাকি অষ্টম শ্রেণি পাশ। ফলে কীভাবে তিনি প্রাথমিকে চাকরি পেলেন সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ মামলার (TET Scam) শুনানি চলাকালীন দেবজ্যোতির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে আসে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দেবজ্যোতি ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। আর এরপরেই সিবিআইয়ের আইনজীবী দাবি করেছেন, তিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ানো তাপস মণ্ডলেরও ঘনিষ্ঠ।

    ফলে এইসব অভিযোগ শোনার পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন এই হাজিরা নিশ্চিত করার জন্য। একইসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি, যদি তিনি  হাজিরা এড়িয়ে যান তাহলে আদালত পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।

  • Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Abhijit Ganguly: নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে এবার ইডিও, নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম দশমের ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করার মামলায় এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে (ED) পার্টি করার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। বুধবার ওই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এদিনই ইডিকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নবম দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এতদিন তদন্ত করছিল সিবিআই। এবার তার সঙ্গে তদন্ত করবে আরও এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আদালতের সন্দেহ, এই মামলায়ও আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেই এমন নির্দেশ বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। আদালতের এই নির্দেশের জেরে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তবে এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

    নবম দশম…

    এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly) জানান, ইডিকে তদন্তের দৈনিক রিপোর্ট দিতে হবে। অভিযোগ ছিল, নবম দশম শ্রেণিতে ওএমআর শিট বিকৃত করে ১৮৩ জনকে চাকরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। আদালত স্কুল সার্ভিস কমিশন ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে জানতে চেয়েছিল, এদের মধ্যে কতজন চাকরি করছে? এসএসসি জানায়, ৮১ জন চাকরি করছেন। মধ্য শিক্ষা পর্ষদ জানায়, সুপারিশপত্র পেলেও সবাই চাকরি করছেন না। এদিন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২১ তারিখের মধ্যে কাউন্সেলিং করাতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে ২৯ তারিখের মধ্যে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ, বিকৃত ওএমআর শিট অবিলম্বে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েব সাইটে আপলোড করতে হবে।

    আরও পড়ুন: লালন শেখের রহস্যমৃত্যু, রাজ্যের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সরব শুভেন্দু

    আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, আমরা হাইকোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। কারণ এটার প্রয়োজন ছিল। টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই আর্থিক লেনদেনের পরিমাণটা বিশাল। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা এর ফলে লাভবান হয়েছেন। টাকা কার কাছ থেকে কোথায় গিয়েছে, এটা খুঁজে বের করা খুবই প্রয়োজন। তার জন্য ইডি-ই সব থেকে উপযুক্ত সংস্থা ভারতবর্ষে। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যও বলেন, আদালত সঙ্গত কারণেই বলেছে। কারণ এখানেও প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে।

     

  • Suvendu Adhikari: পুড়ল বাইক, বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ তৃণমূলের, শুভেন্দুর সভা ভন্ডুলের অভিযোগ

    Suvendu Adhikari: পুড়ল বাইক, বাস ভাঙচুর, পথ অবরোধ তৃণমূলের, শুভেন্দুর সভা ভন্ডুলের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভা বানচালের চেষ্টা তৃণমূলের (TMC)! শনিবার শুভেন্দুর সভার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ করে তৃণমূল। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে অবরোধ করা হয় রাস্তা। যদিও বিজেপির অভিযোগ, গেরুয়া কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যোগ দিতে না পারেন, তাই সভা ভন্ডুলের চেষ্টা রাজ্যের শাসক দলের।   

    তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন…

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে সভা করতে না দেওয়ার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। আদালতের নির্দেশের পরেও তাঁর সভা বানচালের চেষ্টার অভিযোগে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন শুভেন্দু। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, সভা করবেনই। ট্যুইটারে অভিষেককে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু। লিখেছেন, পারলে ঠেকাও।

    এদিন সকালে মথুরাপুরের লালপুরে প্রথমে রাস্তা অবরোধ করে তৃণমূল। এর পর শুরু হয় কুলপির শ্যামবসুর চক এবং হটুগঞ্জে। টায়ার পুড়িয়ে জায়গায় জায়গায় চলে বিক্ষোভ প্রদর্শন। লালপুরে অবরোধ চলে ঘণ্টাখানেক। অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। হয় তীব্র যানজট।

    কেবল পথ অবরোধেই থেমে থাকেননি অবরোধকারীরা। একটি বাসে করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলের দিকে আসছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আচমকাই সেই বাস লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট। ভাঙচুর চালানো হয় যাত্রিবাহী ওই বাসে। ইটের ঘায়ে ভেঙে যায় বাসের কাচ। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই একাজ করেছে।

    আরও পড়ুন: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    এদিন সব চেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটে হটুগঞ্জ এলাকায়। এখানে সকালে পথ অবরোধ করে তৃণমূল। প্রতিবাদ করে বিজেপি। এনিয়ে দু পক্ষে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। আচমকাই বদলে যায় পরিস্থিতি। শুরু হয় দোকানপাট ভাঙচুর। ভাঙচুর চালানো হয় দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকটি গাড়িতেও। আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাইক। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তৃণমূল পার্টি অফিসেও। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভাস্থলে যাচ্ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। বাধা দেওয়া হয় তাঁকেও। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনিও। বিজেপির অভিযোগ, দলীয় কর্মী-সমর্থকরা যাতে শুভেন্দুর সভায় যেতে না পারেন, তাই একাজ করেছে তৃণমূল।

    ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলকে একহাত নিয়েছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, যেখানে তৃণমূল একটু দুর্বল, সেখানে পুলিশ দিয়ে আমাদের কর্মীদের আটকানো হচ্ছে। অন্যত্র ওই কাজ করছে দুষ্কৃতীরা। শুভেন্দু বলেন, ভয় না পেলে এসব করবে কেন। আধ ঘণ্টার তো সভা করব। তিনি বলেন, চিরদিন কাহারো সমান নাহি যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • G 20 Summit: জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র, যোগ দেবেন মমতা?

    G 20 Summit: জি-২০ সম্মেলন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র, যোগ দেবেন মমতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছর ভারতে (India) হবে জি-২০ সম্মেলন (G 20 Summit)। এবার আয়োজক দেশ ভারত। এই সম্মেলন কীভাবে সফল করা যায়, তা নিয়ে সোমবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকল কেন্দ্র। আগামী বছর সেপ্টেম্বরে ওই সম্মেলন হওয়ার কথা। তার আগে সোমবার যে সর্বদলীয় বৈঠক (All Party Meet) হচ্ছে, তাতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ দেশের প্রায় চল্লিশটি রাজনৈতিক দলের সভাপতিদের। সর্ব দলীয় এই বৈঠক ডেকেছেন সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। বৈঠক হবে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করেরও।

    জি ২০…

    চলতি বছরের নভেম্বরের ১৫ তারিখে জি ২০ সম্মেলনের আসর বসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। ওই সম্মেলনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই সম্মেলনেই আগামী বছর জি ২০ সম্মেলনের আয়োজনের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ভারতের হাতে। সেই মতো ডিসেম্বরের এক তারিখেই ভারত অফিসিয়ালি ওই দায়িত্ব নিয়েছে। গোটা দেশে বছরভর দুশোরও বেশি বৈঠক করবে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে হায়দ্রাবাদও। চলতি বছর ডিসেম্বরেই শুরু হবে বৈঠক। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নয়াদিল্লিতে বসবে জি ২০ সম্মেলনের আসর। দু দিনের ওই সম্মেলন শুরু হবে ৯ তারিখে। দেশের বিভিন্ন অংশেই বৈঠক হবে জি ২০-র।

    আরও পড়ুন: ‘সারের কমতি মানে আগামী দিনে খাদ্যের ভাঁড়ারে টান’, জি ২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    সোমবার দিল্লিতে যে সর্বদলীয় বৈঠক হতে চলেছে, তাতে যোগ দেবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনই তাঁর দিল্লি পৌঁছানোর কথা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দিল্লির ওই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছি তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন হিসেবে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়।

    প্রসঙ্গত, জি ২০-র (G 20 Summit) সদস্য দেশগুলি হল, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, রিপাবলিক অফ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাতে আয়োজক দেশের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়, তখন একে প্রতিটি ভারতীয়ের গর্বের মুহূর্ত বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Jhalda: প্রশাসক নিয়োগের নির্দেশিকা অগ্রাহ্য কংগ্রেসের, ঝালদায় দু’ জন পুরপ্রধান!

    Jhalda: প্রশাসক নিয়োগের নির্দেশিকা অগ্রাহ্য কংগ্রেসের, ঝালদায় দু’ জন পুরপ্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য সরকারের প্রশাসক নিয়োগকে অগ্রাহ্য করে ঝালদায় (Jhalda) পুরবোর্ড গঠন করল কংগ্রেস (Congress)। শনিবার নির্ধারিত সময়ে ঝালদা পুরসভায় পৌঁছে পুরবোর্ড গঠন করেন কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলররা। তার আগে তাঁরা সবাই মিছিল করে যান শহরের কংগ্রেস পার্টি অফিসে (Congress Party Office)।

    অনাস্থা ভোটে…

    ২১ নভেম্বর অনাস্থা ভোটে অপসারিত হন পুর প্রধান তৃণমূলের (Tmc) সুরেশ আগরওয়াল। শনিবার ছিল নয়া বোর্ড গঠনের দিন। তার ঠিক আগে শুক্রবার রাজ্যের পুর দফতর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জবা মাছোয়াড়কে ভারপ্রাপ্ত পুর প্রধান নিয়োগ করে। কিন্তু পুর দফতরের সিদ্ধান্ত বেআইনি দাবি করে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শনিবার ঝালদার ৫ কংগ্রেস ও ২ নির্দল কাউন্সিলর নয়া পুর প্রধান বেছে নেন। তাঁরা শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুর প্রধান নির্বাচন করেন। এদিন তার আগে নির্দল কাউন্সিলর শীলা এবং সোমনাথ কর্মকার জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা জানান। তার পরেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে শীলাকে পুর প্রধান নির্বাচন করা হয়। শীলা বলেন, ঝালদা পুরসভা এলাকার মানুষকে পরিষেবা দেওয়াই হবে আমার প্রথম কাজ।

    এদিকে, এদিনের পর ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় পুর প্রধান হলেন দুজন। স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হল প্রশাসনিক জটিলতা। এ প্রসঙ্গে জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাত বলেন, পুর দফতর যে ১৭ এ আইনে ভারপ্রাপ্ত পুর প্রধান মনোনীত করেছেন, তাঁর কাজ নতুন পুর প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করা। তিনি বলেন, এক মাসের মধ্যে পুর প্রধানকে বেছে নিতে হবে। কিন্তু তার আগেই আমাদের তিনজন কাউন্সিলর ৩ ডিসেম্বর নয়া পুর প্রধান নির্বাচনী সভা ডেকেছিলেন। তাই পুর দফতরের সিদ্ধান্ত সঠিক নয়।  

    আরও পড়ুন: ‘বোমা বাঁধছিলেন তৃণমূল নেতা’, ভূপতিনগরের ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি শুভেন্দুর

    নিহত কাউন্সিলর কংগ্রেসের তপন কান্দুর স্ত্রী তথা কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা বলেন, দল শীলা চট্টোপাধ্যায়কে পুর প্রধান ঠিক করেছে। আমরা সকলে তাঁকে সহযোগিতা করব। ঝালদা পুরসভার মানুষ যাতে পরিষেবা পান, তার ব্যবস্থা করব। তিনি বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট আমার স্বামীকে কারা মেরেছে। যে কোনও উপায়ে ঝালদা পুরসভা দখল করতে চায় তৃণমূল। আমরা আদালতে যাব। তিনি বলেন, এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share