Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: ‘‘১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন, দেখুন কী হয়’’, নিশানায় রাজ্য! কীসের ইঙ্গিত শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুদিন ধরেই ডিসেম্বর ডেড লাইনের কথা শোনা যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মধ্যে।  এরই মাঝে এবার ডিসেম্বরের তিনটি তারিখের উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বার্তা, ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজাম প্যালেসে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “১২, ১৪, ২১… খেয়াল রাখুন। দেখুন কী হয়। এই তিনটে দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েট এন্ড ওয়াচ।” যদিও এর থেকে বেশি কিছুই আর বলতে চাননি তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য ঘিরে নতুন করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা। 

    কী হতে পারে এই তিন দিন

    ১২ ডিসেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে করা আবেদনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার শুনানির কথা। ওই দিনই আবার হাজরায় সভা করবেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ১৪ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত (মণ্ডল) মামলার শুনানি আছে। ২১ ডিসেম্বর আবার কাথিঁতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করে যাওয়ার মাঠে সভা করার কথা শুভেন্দুর। ওই তিন দিন রাজ্য রাজনীতিতে কী ঘটনা ঘটে সেই দিকে তাকিয়ে রাজ্যবাসী।

    আরও পড়ুন: হাজরা ও কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট

    সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই নয়াদিল্লি যেতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার সম্ভাবনা তাঁর। সব ঠিক থাকলে ১৩ ডিসেম্বর নয়াদিল্লিতে অমিত শাহের মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন শুভেন্দু। এই সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, এদিনই কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে করা সব FIR-এর উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে আপাতত হাইকোর্টে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ। তবে CBI তদন্ত করবে কি না পরে সিদ্ধান্ত জানাবে হাইকোর্ট।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    Nisith Pramanik: “তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার”, বললেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিস্ফোরক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। তিনি দাবি করেছেন ৪০-৪৫ জন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে। রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন তিনি (Nisith Pramanik)।

    বিগত কয়েকমাস থেকেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে সুকান্ত মজুমদার, দিলীপ ঘোষ আরও অনেকেই তৃণমূল সরকারের পতনের কথা উল্লেখ করেছেন। বারবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, ডিসেম্বরেই ধামাকা হতে চলেছে। আর এবারে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) বক্তব্যেও একই কথা শোনা গেল।

    আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলা! হাইকোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের

    নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় আর কী বললেন নিশীথ?

    রবিবার নাটাবাড়িতে দলীয় সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি (Nisith Pramanik)। তিনি বলেন, “আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, সারা রাজ্যের যা অবস্থা, এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যা অবস্থা, তৃণমূল কংগ্রেসের বহু বিধায়ক, নেতা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাসের ঘরের মত তৃণমূল কংগ্রেস দাঁড়িয়ে রয়েছে। যে কোনও সময় ওই তাসের ঘরটা ভেঙে যাবে।”

    তিনি (Nisith Pramanik) আরও বলেছেন, “তৃণমূলের ৪০-৪৫ জন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদ এখন মিউজিকাল চেয়ার হয়ে গিয়েছে। কার কাছে থাকবে সেটা নিয়ে দলের কর্মীরাই চিন্তায় রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল চরমে উঠেছে। এই অবস্থায় যারা তৃণমূলের হয়ে টিকিট পাবেন না বলে বিজেপিতে চলে আসবে ভাবছেন, তারা পঞ্চায়েতে টিকিট পাবেন ভেবে থাকলে ভুল করছেন।”  ফলে নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) এই বিস্ফোরক দাবি ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

    আরও পড়ুন: এসএসসি-তে ২১ হাজার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯ হাজার ওএমআর শিটে বিকৃতি! আদালতে দাবি সিটের

    গতকালের সভায় নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) ছাড়াও এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রথীন্দ্রনাথ বোস, মাথাভাঙ্গার বিধায়ক সুশীল বর্মন, রাজ্য বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চা সভাপতি আলি হোসেন, তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক মালতি রাভা-রায় সহ বিজেপি নেতৃত্ব। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে’, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। শুক্রবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে (TMC) এই ভাষায়ই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড়ে দলীয় সভার আয়োজন করে বিজেপি। এই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সুকান্তই। শাসক দলের পাশাপাশি এদিন পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও।

    খেলা হবে…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধের ব্যাপক প্রয়োগ করে তৃণমূল। দলের তরফে এনিয়ে গানও শোনানো হয় বিভিন্ন জনসভায়। তারস্বরে বাজানো সেই গানের চোটে ঘুম উড়ে যায় রাজ্যবাসীর। তৃণমূলের সেই অস্ত্রকেই এবার হাতিয়ার করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। এদিনের সভায় তৃণমূলকে নিশানা করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আপনারা এক পক্ষকে মারছেন। ভাবছেন বিজেপি কর্মীদের হাত-পা নেই। ঝান্ডার গায়ে ডান্ডা নেই। এটা ভাবলে ভুল করছেন। এর পরেই তিনি বলেন, খেলা হলে এক পক্ষের হবে না। দু পক্ষেরই হবে। আর যখন খেলা হবে, তা ভয়ঙ্কর হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, আমরা তো ডাকছি, আপনারা দিল্লিতে আসুন। হাডুডু খেলি! কিন্তু কেউ যেতে চাইছে না। ভাইপো বলছে যাব না। পিসিও বলছে যাব না। সুকান্ত বলেন, কিন্তু কেন যাবে না, সেটাই তো বুঝতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: বিজেপি ক্ষমতায় এলে শিল্পের জোয়ার আসবে রাজ্যে! আশ্বাস মহাগুরুর

    এদিনের সভায় অনুব্রত অনুষঙ্গও টানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, এক সময় চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা খাওয়ানোর কথা বলত, সেই কেষ্টও দিল্লি যেতে চাইছে না। দিল্লিতে গেলে ভাল গুড় বাতাসা, লাড্ডু খাওয়াব। তা সত্ত্বেও দিল্লির লাড্ডু খেতে চাইছে না। এর পরেই সুকান্ত বলেন, তাই সাবধান করছি!গণতন্ত্রকে গণতন্ত্রের মতো চলতে দিন। বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তার মানে এই নয় যে বিজেপি দুর্বল। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেতাদের ঠান্ডা করতে জানে বিজেপি কর্মীরা। তার ওষুধও রয়েছে বিজেপির কাছে।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ডিসেম্বর মাস পড়ে গেছে। সরকার কাঁপছে। যত বড়ই চোর হোক, পার পাবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রয়েছেন, ততক্ষণ কোনও চোর চুরি করে পার পাবে না। সে যত বড় পদেই থাকুক না কেন। পুলিশের উদ্দেশে সুকান্ত বলেন, শাসক দলের তাঁবেদারি করা ছাড়ুন। আগামিদিনে লোকসভায় বিল আসবে। পুলিশের সংবিধান বিরোধী কাজ করা বন্ধ হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Dear Lottery: লটারি কাণ্ডে ১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম! জানেন কী বলছে ইডি?

    Dear Lottery: লটারি কাণ্ডে ১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম! জানেন কী বলছে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু অনুব্রত মণ্ডল নন, লটারি কাণ্ডে ১২ জন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম রয়েছে বলে জানতে পেরেছে ইডি। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে এমন অনেক প্রভাবশালীই (Influentials) গত কয়েক বছরে একটি বিশেষ কোম্পানির লটারি (lottery) জিতেছেন বারংবার। ইডি জানিয়েছে, অন্তত ১২ জন এমন ‘প্রভাবশালী’ লটারি বিজেতার খবর পাওয়া গেছে, যাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই বেআইনিভাবে গরু, কয়লা কিংবা বালি পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, এই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ব্যাঙ্কের নথি পরীক্ষার কাজ চলছে।

    কী জানতে পেরেছে ইডি

    গরুপাচার মামলার তদন্তে নেমে ইডির অফিসাররা জানতে পারেন, নির্দিষ্ট একটি লটারি কোম্পানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। অনুব্রত ও তাঁর কন্যার পাঁচবার লটারি জিতেছেন। গরু পাচার কাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত তিহার জেলে বন্দি এনামুল হকও লটারি জিতেছেন। এইসব ঘটনা থেকেই স্পষ্ট, নির্দিষ্ট লটারি কোম্পানিকে ব্যবহার করে কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। লটারির পুরষ্কার মূল্যের আসল প্রাপকের কাছ থেকে জোর করে টিকিট নিয়ে সেই নম্বর পঠিয়ে দেওয়া হতো ওই সংস্থার উচ্চ পদাধিকারীদের কাছে। এই বিষয়ে তথ্য পেতে নয়াদিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় ওই লটারি সংস্থার এক কর্মীকে। ইডি সূত্রে খবর, তিনি সমস্ত তথ্য দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    সূত্রের খবর, ইডির (ED) দাবি করা এই ১২ জন প্রভাবশালীর ক্ষেত্রে জেতা টাকার অঙ্ক ১ কোটির কম হওয়ায় তাঁদের নাম এবং ছবি দিয়ে কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়নি। সেই কারণেই তাঁদের লটারি জেতার কথা প্রকাশ পায়নি। একাধিক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর একটি বিশেষ কোম্পানির লটারি জেতা যে কাকতালীয় নয়, তা ক্রমশই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছিল তদন্তকারীদের কাছে। এই সমস্ত রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা শুধু বীরভূম নয়, ছড়িয়ে রয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁদের অনেকেই অন্যের জেতা টিকিট জোগাড় করে তা নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-বন্ধুদের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারপর তাঁদের মাধ্যমেই আসল প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ‘কালো’ টাকা। প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই একাধিকবার এভাবে লটারি পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জেতা টাকার অঙ্ক ৩০-৪০ হাজার হওয়ার কারণে কারও সন্দেহও যেমন হয়নি, তেমনই লটারি কোম্পানির বিজ্ঞাপনে বিজেতার ছবি ও নাম ছাপা হয়নি। ফলে পুরো বিষয়টি গোপন থেকেছে তো বটেই, একই সঙ্গে এই অভিনব পদ্ধতিতেই বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Saket Gokhale: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    Saket Gokhale: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ করতে নথি জাল, এই জন্যই গ্রেফতার তৃণমূলের সাকেত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) নামে ভুয়ো খবর ছড়িয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সেজন্য জাল করেছিলেন নথিও। অন্তত পুলিশের দাবি এমনই। তার জেরে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে (Saket Gokhale)। রাজস্থানের জয়পুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন নিজেই ট্যুইট করে সাকেতের গ্রেফতারির খবর জানান। তৃণমূলের অভিযোগ, প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে সাকেত গোখলেকে। ট্যুইটে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানান, গতকাল রাতে বিমানে নিউ দিল্লি থেকে জয়পুরে পৌঁছান সাকেত। জয়পুর বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল। বিমানবন্দরে নামা মাত্রই সাকেতকে গ্রেফতার করা হয়।

    প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো…

    সম্প্রতি গুজরাটের মরবি ব্রিজ দুর্ঘটনা নিয়ে সাকেত গোখলের করা একটি ট্যুইটকে ভুয়ো বলে দাবি করে পাল্টা ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেস ইনফর্মেশন ব্যুরো। ট্যুইটে সাকেত (Saket Gokhale) দাবি করেছিলেন, মরবি ব্রিজ দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘটনাস্থলে যাওয়ার খরচ হয়েছিল ৩০ কোটি টাকা। আরটিআই থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। অথচ এমন কোনও আরটিআই ফাইল হয়নি বলেই দাবি গুজরাট সমাচারের। সূত্রের খবর, আরটিআইয়ের পুরো বিষয়টিই সাকেত গোখলের বানানো। সূত্র আরও জানিয়েছে, আরটিআইয়ের উত্তর পেতে গেলে প্রায় দু মাস সময় লাগে।

    তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন ট্যুইটে আরও জানান, মরবি সেতু বিপর্যয় নিয়ে সাকেতের একটি ট্যুইটের জন্যই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে গুজরাট পুলিশের সাইবার সেল। হুঁশিয়ারির সুরে তিনি লেখেন, এ সব করে তৃণমূল ও বিরোধীদের মুখ বন্ধ করা যাবে না। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতিকে অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি।

    প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে আচমকাই ভেঙে পড়ে গুজরাটের মরবি সেতু। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ১৩০জনেরও বেশি মানুষের। নভেম্বরের ১ তারিখে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাক্ষাৎ করেন দুর্ঘটনায় যাঁরা জখম হয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গেও।

    আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পাল্টে ‘আবাস প্লাস’! ফের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধনা শুভেন্দুর

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Abhishek Banerjee: ‘শান্তিকুঞ্জে’র অদূরে অভিষেকের সভা, কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী

    Abhishek Banerjee: ‘শান্তিকুঞ্জে’র অদূরে অভিষেকের সভা, কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতির রণাঙ্গনে হাইভোল্টেজ শনিবার! এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করবেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এই কাঁথি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুক। আবার এদিনই অভিষেকের সাংসদ এলাকা ডায়মন্ড হারবারে জনসভা করবেন শুভেন্দু। এদিন কাঁথিতে অভিষেক যে সভা করবেন, সেই সভাস্থল থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’ একশো মিটার দূরে।

    কলকাতা হাইকোর্ট…

    অভিষেকের সভা ঘিরে শান্তিকুঞ্জে যাতে অশান্তির আঁচ না লাগে সে ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার কে. অমরনাথ জানান, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা চলাকালীন কাঁথির শান্তিকুঞ্জে জোরদার নিরাপত্তা বজায় থাকবে। অভিষেকের সভা হবে কাঁথির প্রভাত কুমার কলেজ মাঠে। সভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার ওই মাঠে আসেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, হাইকোর্টের গাইডলাইন অনুযায়ী সুরক্ষার পাশাপাশি শান্তিকুঞ্জের শব্দবিধির বিষয়টিও নজরে রাখা হবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যুব নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে অভিষেক কী বার্তা দেন, তা জানতেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার আগে কাঁথিতে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ, হত ৩

    শান্তিকুঞ্জের অদূরে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা নিয়ে দিন দুই আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য ছিল, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শান্তিকুঞ্জ থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে সভা করছে তৃণমূল। এই শান্তিকুঞ্জেই বাস করেন শুভেন্দুর অশীতিপর বাবা-মা। সভাস্থল থেকে মহিলারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শান্তিকুঞ্জে ঢুকে পড়তে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর পরেই আদালত নির্দেশ দেয়, শনিবার সভা চলাকালীন কেউ যেন শান্তিকুঞ্জে ঢুকে পড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। শিশির অধিকারীর অনুমতি ছাড়া বাইরের কেউ যেন বাড়িতে ঢুকে না পড়ে, তাও দেখতে বলা হয়েছে পুলিশকে। শব্দবিধি মেনে যাতে সভা হয়, সেই দিকটিও নজরে রাখতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সভামঞ্চে প্রবেশের ক্ষেত্রে থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বেষ্টনী। প্রথম স্তরে থাকবে রাজ্য পুলিশ। তার পর থাকবে ডিআইবি। শেষ স্তরে থাকবেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। এছাড়াও থাকছেন সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC vs BJP: অশোভনীয় রাজনীতি! বিজেপিকে ঝাঁটা পেটা করার কথা তৃণমূল বিধায়কের মুখে

    TMC vs BJP: অশোভনীয় রাজনীতি! বিজেপিকে ঝাঁটা পেটা করার কথা তৃণমূল বিধায়কের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য সভায় বিজেপিকে (BJP) হুঁশিয়ারি দিলেন বাগদার (Bagda) বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das)। বিরোধী দলকে মর্যাদা না দিয়ে কুকথায় ভরিয়ে দিলেন বিধায়ক। সৌহার্দ্য ভুলে বিজেপিকে ঝাঁটাপেটা করার কথা বললেন বিশ্বজিৎ।

    কী বলল তৃণমূল

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) যত এগিয়ে আসছে ততই বাড়ছে শাসক দলের হুমকি। বনগাঁ জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ বললেন,‘তৃণমূলকে চোর বললে বিজেপিকে ঝাঁটাপেটা করুন। রাজ্যে বিজেপিকে ঝাঁটাপেটা করা শুরু হবে বাগদা থেকেই। হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা করলে ঠ্যাং খুলে হাতে ধরিয়ে দেবেন’। গত ২৩ নভেম্বর বাগদা ব্লকের বেয়াড়া বাজারে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সভা করেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা। সেই সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বাগদা পশ্চিম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাহুল সিনহার পাল্টা সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েই বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস রাহুল সিনহাকে ‘অপদার্থ নেতা’ বলে কটাক্ষ করেন। 

    আরও পড়ুন: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    অন্যদিকে, বিজেপিকে সামাজিকভাবে বয়কটের ডাক দেন তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। ‘বিজেপি কাদার দল, অসামাজিক দল, দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেয়। সমাজকে বাঁচাতে হলে বিজেপিকেই বয়কট করতে হবে’, হুঙ্কার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। বিরোধীরা কু-মন্তব্য করলে জিভ ছিঁড়ে, স্ট্রেচারে করে বাড়ি পাঠানোর হুমকি দিলেন নিউ ব্যারাকপুরের বিলকান্দার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি সজল দাস। ভোটের মুখে দলীয় নেতার মন্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল।     

    বিজেপির পাল্টা

    এ বিষয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপির সহ সভাপতি অমৃতলাল বিশ্বাসের বক্তব্য, “আমরা চোরকে চোর বলেছি। শুধু আমরা নয়, বাংলার মানুষ চোর বলছেন। ভারতীয় জনতা পার্টি চোরকে চোর বলবে তাতে যার কিছু করার আছে করে নিক। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলার মানুষ ওদেরই ঝাঁটা নিয়ে বিদায় করবেন, তৈরি থাকুন। আমরা অশালীন কথা বলতে অভ্যস্ত নই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Bomb Factory: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?  

    Bomb Factory: ভাঙড়ে বোমা কারখানার হদিশ, তৃণমূল না আইএসএফ কারা বানাত?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে (TMC) এবার জোরাল চ্যালেঞ্জ জানাবে বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। তাই দু পক্ষই গোটাচ্ছে আস্তিন। এমতাবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধার হচ্ছে বোমা (Bomb)। কোথাও আবার বোমার মশলা, আগ্নেয়াস্ত্র। বিরোধীদের অভিযোগ, এসবই হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে।

    বারুদের স্তূপে…

    এই যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে বুধবার হদিশ মেলে প্রচুর সংখ্যক বোমা, আগ্নেয়াস্ত্রের। ভাঙড়েও মিলেছে বোমা তৈরির কারখানার (Bomb Factory) খোঁজ। পুলিশ  সূত্রে খবর, ভাঙড়ে উদ্ধার হওয়া বোমার মশলা থেকে তৈরি করা যেত অন্তত ৫০০টি বোমা।

    বুধবার, ফেসবুকে একটি স্টেটাস আপলোড করেন ভাঙড়ের বাসিন্দা শামসুদ্দিন রহমান। তাঁর স্টেটাসের সঙ্গে একটি আস্ত বোমার ছবিও দেওয়া হয়। টনক নড়ে পুলিশের। যুবকের সন্ধানে গিয়ে নাটাপুকুরের একটি বাড়িতে গিয়ে চোখে কপালে ওঠার জোগাড় সাদা পোশাকের পুলিশ কর্মীদের। ঘরের সর্বত্র ডাঁই করে রাখা বোমার মশলা, খোল। বাড়িটি থেকে উদ্ধার হয়েছে পাইপগান এবং ১১ কেজি বারুদ। এছাড়াও মিলেছে ৫ কেজি বিশেষ রংয়ের পাউডার। সাড়ে চার কেজি দড়ি সহ লোহার নাট-বল্টু ও অন্যান্য সামগ্রী। এলাকার বাসিন্দা নবিরুল মোল্লার বাড়িতেই মিলেছে এসব। মিলেছে সকেট বোমা তৈরির মশলা এবং সরঞ্জামও (Bomb Factory)। ১০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করেছে পুলিশ। নবিরুল ইলেকট্রিকের কাজ করে। তাঁর বাড়িতে বোমা তৈরির সরঞ্জাম এল কোথা থেকে? নবিরুলের এক ছেলে বলে, সম্প্রতি এলাকার আইএসএফের লোকজন বাবার ওপর চাপ সৃষ্টি করছিল। ওদের দাবি আইএসএফ করতে হবে। ওরা আমাদের বাড়িতে বিস্ফোরণের মশলা মজুত করত। ভয়ে আমরা পুলিশকে এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারিনি।

    আরও পড়ুন: “শীতবস্ত্র বিলির কথাই ছিল না সেদিন”, ‘প্রমাণ’ দিয়ে মমতাকে মিথ্যেবাদী বললেন শুভেন্দু

    স্থানীয় এক আইএসএফ কর্মী বলেন, ওরা টিএমসি করে। মাস ছয়েক আগে থেকেই ওরা আমাদের এখানে বোমা ফেলছে। পুলিশ ঠিক জায়গায় চলে এসেছে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ভাঙড়ে জয়ী হয় আইএসএফ। বিপুল ভোটে হেরে যান তৃণমূল প্রার্থী। তার পর থেকে মাঝে মধ্যেই অশান্ত হয়ে উঠেছে ভাঙড়। কখনও তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ কর্মীদের মারধরের অভিযোগ, কখনওবা উল্টোটা। তবে এর আগে আস্ত বোমা তৈরির কারখানার হদিশ মেলেনি।

    বীরভূমের পর এবার কি তবে ভাঙড়ও বারুদের স্তূপে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত, শুভেন্দু-গড়ে অভিষেকের সভাকে অনুমতি আদালতের

    Suvendu Adhikari: মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত, শুভেন্দু-গড়ে অভিষেকের সভাকে অনুমতি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সভা করতে পারবেন তবে মানতে হবে একগুচ্ছ শর্ত। কাঁথিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। কাঁথিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    কী বলল আদালত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যদের হেনস্থা করার উদ্দেশ্যেই আগামী শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বাড়ির ১০০ মিটারের মধ্যে কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজের মাঠে সভা করছে তৃণমূল। এ বিষয়ে স্থানীয় থানা এবং পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে আদালতে অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। কিন্তু অভিষেকের সভায় নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মান্থা। তিনি জানান, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সভা আটকানো যায় না। তবে সভা বা সমাবেশের নামে কারও ব্যক্তি স্বাধীনতা যাতে খর্ব না হয় তা-ও নজরে রাখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “আইন মেনে করতে হবে সভা। বাড়ির সামনে কোনও জটলা নয়। শব্দবিধি মেনে মাইকের ব্যবহার। সভায় যাওয়ার পথে কোনও অবাঞ্ছিত জমায়েত বাড়িতে ঢুকতে পারবে না। শুভেন্দু এবং তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর অনুমতি ছাড়া কেউ শান্তিকুঞ্জের বাড়িতে প্রবেশ করতে না পারেন তা সুনিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। নির্দেশ মানা হয়েছে কি না স্থানীয় থানা এবং জেলার পুলিশ সুপারকে আগামী মঙ্গলবার পরবর্তী শুনানি দিন আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।”

    আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮৩ ভুয়ো নিয়োগের তালিকা প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    এদিন আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবী সৌম্য মজুমদার জানান, তৃণমূলের মহিলা বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগের একটি কর্মসূচি নিয়েছে। তাঁরা বাড়িতে গিয়ে দেখা করতে পারেন।রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ। ফলে দলের কোনও কর্মসূচি নিয়ে কেউ কি বাড়িতে যেতে পারে না? জবাবে বিচারপতি জানান, সে ক্ষেত্রে শান্তিকুঞ্জে প্রবেশের জন্য শিশির অধিকারীর অনুমতি প্রয়োজন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    TMC: ‘সরকারি মদ খান’, নিদান দিয়ে বিতর্কে তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি যে মদ রয়েছে, সেই মদ তো খেতেই পারে, কিনে খেতেই পারে। এই কথাগুলি যিনি বললেন, তিনি কোনও সাধারণ মানুষ নন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। একজন বিধায়ক হয়ে কীভাবে রাজ্যবাসীকে মদ্যপানে উৎসাহিত করছেন, তা ভাবতেও পারছেন না এ রাজ্যের সিংহভাগ বিধায়ক (MLA)। স্থানীয় বাসিন্দারাও বুঝতে পারছেন না হুমায়ুন ঠিক কী বললেন!

    ‘চলো গ্রামে যাই’…

    রবিবার ছুটির দিনে নিজের বিধানসভা এলাকার হৈপথ গ্রামে সাইকেলে চড়ে ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক হুমায়ুন। পথে এক জায়গায় তাঁকে ঘিরে ধরেন স্থানীয় মহিলারা। বিধায়ককে হাতের নাগালে পেয়ে উগরে দেন ক্ষোভ। এলাকায় মদের রমরমা কারবার বলেও অভিযোগ জানান তাঁরা। মদ কারবারিদের বাড়বাড়ন্তের জেরে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তাঁরা, কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার অর্থনীতি, তাও জানান ওই মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ থেকে আবগারি দফতর কেউ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এর জেরেই মাস কয়েক আগে প্রাণ গিয়েছে বছর চৌত্রিশের এক যুবকের।

    আরও পড়ুন: ফের বেঁফাস অখিল গিরি, অশীতিপর শিশিরকে কী ভাষায় আক্রমণ করলেন জানেন?

    এর পরেই রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের (TMC) হুমায়ুন বলেন, প্রতিদিন মদ খাওয়ার ফলে এলাকায় বছর চৌত্রিশের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে খালি পেটে মদ খায় এবং সেই কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর তার জেরে অসুস্থ হয়ে অনেকেরই মৃত্যু হয়। এখানে বেআইনি মদের ঠেক বন্ধ করার জন্য আমি থানার বড়বাবুকে বলেছি। যাতে বেআইনি মদ বিক্রি এখানে বন্ধ করা হয়। তিনি বলেন, দেশি মদ যেটা বিক্রি হয়, সেটা দোকান থেকে এনে খাচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। বেআইনি মদ থাকলে ওটা আবগারি দফতরের গাফিলতি। সরকারি মদ যেটা আছে, ওটা কিনে এনে খেতেই পারে। ডেবরার বিধায়ক বলেন, এদের সচেতন হতে হবে। মদ খেলেও একটা পরিমাণ মতো খেতে হবে। তিনি বলেন, কেউ যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে মদ খায়, তাহলে তো লিভারের সমস্যা হবেই। সপ্তাহখানেক আগেই বিডিও, এসডিওর চেয়ারের গদি কেড়ে নেওয়ার দাবি করেছিলেন হুমায়ুন। এবার রাজ্যবাসীকে করলেন মদ খাওয়ায় উৎসাহিত। রাজ্যের একজন প্রাক্তন মন্ত্রী কীভাবে একথা বললেন, তা ভাবতে পারছেন না এ রাজ্যের শিক্ষিত সমাজও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share