Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Slams Mamata: “বৃথা চেষ্টা, একটা বিগ জিরো…”, মমতার দিল্লি সফরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Election) ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিরোধীদের একজোট করার প্রচেষ্টায় বৈঠককে অপ্রাসঙ্গিক বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিরোধী দলনেতা, মুখ্য সচেতকসহ সাত বিজেপি বিধায়ককে সাসপন্ড করেছেন। সেই কারণে বিধানসভার বাইরে ধর্না দেন বিজেপি বিধায়করা। সেখানেই শুভেন্দু বলেন, “ওই বৈঠকের কোনও গুরুত্ব নেই। জগনমোহন রেড্ডি, কে চন্দ্রশেখর রাও এবং নবীন পট্টনায়েকের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতারা বৈঠকে যাচ্ছেন না।”

    রাজ্য থেকে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীই বেশি ভোট পাবেন বলে নিশ্চিত শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “গতবার বিজেপির ৩ বিধায়ক থাকলেও এই রাজ্য থেকে রামনাথ কোবিন্দ ১৩ জনের ভোট পেয়েছিলেন। এবার বিজেপির ৭০ জন বিধায়ক। গতবার ২ সাংসদ রাজ্য থেকে এনডিএ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন, এবার অন্তত ১৮ জনের ভোট ঝুলিতে আসবে। সংখ্যাটা ১৮-র বেশিও হতে পারে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের গণনার দিন সবাইকে লাড্ডু খাওয়াব।”

    আরও পড়ুন: ‘ছাপ্পাশ্রী’ পুরস্কার দেওয়া হোক, আচার্য বিল নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    তৃণমূলনেত্রীর প্রচেষ্টাকে ‘বিগ জিরো’ বলেও এদিন কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা।  বলেন,”উনি ১০ বছর ধরে দেশের নেত্রী হওয়ার বৃথা চেষ্টা করছেন।”  

    কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করা নিয়েও এদিন মমতাকে একহাত নেন শুভেন্দু। প্রশ্ন করেন “স্টিকার লাগানোর ব্যবসা কতদিন চালাবেন?”
    হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আগে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লিখতে হবে, তারপরেই কেন্দ্রীয় সাহায্য পাওয়া যাবে। আগে লিখতে হবে ‘জলজীবন মিশন’, তারপর পুলক রায় টাকা পাবেন। রাজ্যের দেওয়া নাম ‘জলস্বপ্ন’-এ টাকা দেওয়া হবে না।” 

    আরও পড়ুন: বিরোধীহীন অধিবেশন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    এছাড়া এদিন আর্থিক তছ্রুপের অভিযোগে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তোলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন,”রাজ্য সরকার তিন বছর ধরে কেন্দ্রের পাঠানো টাকার হিসেব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ বনদপ্তর একটা নারকেল গাছ কেনে ৪২ টাকা দিয়ে। আর কিষাণ কল্যাণী ফার্ম আড়াইশো টাকা করে ৩২ কোটি টাকার নারকেল গাছ সরবরাহ করেছে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে। পরে আর্থিক  তছরুপের তদন্ত হবে।”     

     

  • Cattle smuggling: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    Cattle smuggling: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। সিবিআইয়ের দাবি, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মিলেছে ওই কনস্টেবলের কাছ থেকে। মিলেছে সোনা এবং নগদ। পরিবারের এক নিকটাত্মীয় মারা যাওয়ার পর তাঁর স্থানে পুলিশের (Bengal Police) চাকরিতে ঢোকেন সায়গল। ক্রমেই কেষ্ট মণ্ডলের দেহরক্ষী, তারপর থেকে প্রভাব এবং প্রতিপত্তি দুই-ই বিপুল হয়েছে। অভিযুক্ত হয়েছেন গরু পাচার (Cattle smuggling) মামলায়। শেষ পর্যন্ত গ্রেফতার।

    কিন্তু কেন সিবিআই সায়গলকে ধরল?

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, ২০১৭-১৮ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার হওয়া বিএসএফের (BSF) কমান্ডান্ট জিবু ম্যাথু ধরা পড়ার পরই গরু পাচারের চক্রটি বেরিয়ে আসে। সিবিআইয়ের কোচি শাখা ওই মামলার তদন্ত করছে। তাতেই গ্রেফতার হয়েছিল গরু পাচারের অন্যতম মূল মাথা এনামুল শেখ (Enamul Sheikh)। আর এখান থেকেই যোগাযোগ মিলেছে সায়গলের। সায়গলের গুরু ঠাকুরদেরও খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে সিবিআই। শুধু কিছু সময়ের অপেক্ষা। 

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, জেলে যাওয়ার আগে এনামুলের সঙ্গে সায়গলের এক বছরে শতাধিক বার টেলিফোনে কথা হয়েছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, এনামুলের ওই ফোনটি নেওয়া ছিল তাঁর এক ভাইয়ের নামে। তিনি স্বীকার করে নেন, তাঁর নামে ফোনটি নেওয়া হলেও সেটা ব্যবহার করতেন এনামুলই। 

    আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকার লেনদেন! গেছে কার পকেটে? তদন্তে ইডি

    প্রশ্ন, এনামুল বারবার সায়গলের সঙ্গে কথা বলতেন কেন? তদন্তকারীরা মনে করছেন, বীরভূম ছিল গরু পাচারের অন্যতম করিডর। জেলায় পাঁচটি গরুর হাট থেকে নিয়মিত গরু বাংলাদেশে পাচার হয়। এছাড়া সায়গলের ‘বস’ অনুব্রত মণ্ডল সেই সময় রাজনৈতিকভাবেও মুর্শিদাবাদ যাতায়াত শুরু করেছিলেন। তদন্তে জেরার সময় অনেকেই সিবিআইকে জানিয়েছেন, সায়গলের কাছে আসা অধিকাংশ ফোনই আসলে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলার জন্যই আসত। 

    পাঁচ দফা জেরাপর্বে সে কথা সায়গল স্বীকার করতে চাইছিলেন না। উল্টে এমন কয়েকজনের নাম তদন্তকারীদের সামনে তিনি নিয়ে এসেছিলেন যাঁদের বিষয়ে সিবিআইয়ের কাছে বিশদ তথ্য ছিল না। ফলে গরু পাচারের চক্রটি আরও বড় করে দিয়েছিলেন সায়গল। সপ্তাহে দু-তিন বার কেন এনামুল তাঁর সঙ্গে কথা বলতেন, তা এবার হেফাজতে নিয়ে জানতে চাইবে সিবিআই। এপ্রিলের শেষে তাঁর গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ে। মারা যায় তাঁর ছোট্ট মেয়ে। তারপর থেকেই সায়গল কিছুটা তদন্তে সহযোগিতা শুরু করেন বলে খবর।

    এ তো গেল গরুপাচার নিয়ন্ত্রণে সায়গল এবং তাঁর মাথাদের যোগসূত্রের কথা। নামে-বেনামে সায়গলের সম্পত্তি দেখলে চোখ কপালে উঠবে সবার। সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা জেনেছেন, কয়েকশো কোটি টাকার মালিক তিনি। গত ১ এবং ২ জুন টানা তল্লাশি চালায় সিবিআই। কলকাতাতেই তাঁর তিনটি ফ্ল্যাট মিলেছে। এছাড়া ডোমকল ও বোলপুরে প্রাসাদের মতো বাড়ি। সবই হয়েছে গত পাঁচ ছয় বছরে। একটি বাড়ি থেকে মিলেছে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা। সবমিলিয়ে পাওয়া গিয়েছে প্রায় ২ কেজি সোনা। তার মধ্যে একটি ফ্ল্যাট থেকেই ৯০০ গ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: টানা চার ঘণ্টা জেরা, ধকল সইতে না পেরে হাসপাতালে অনুব্রত!

    তদন্তকারীদের দাবি, নামে-বেনামে পেট্রল পাম্প, রিসর্টেরও মালিক সায়গল। আরও বিস্ফোরক খবর হল, ডেউচা-পাচামির (Deucha Pachami) এক ক্রাশার মালিক সায়গলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন। সেই নথিও সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। অনুব্রতর দেহরক্ষীর আয়কর রিটার্নে কোথাও এসবের উল্লেখই নেই। কেন কোনও ব্যবসায়ী তাঁকে এত বিপুল পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছেন, তা এবার হেফাজতে থাকাকালীন জানাতে হবে সায়গলকে। তদন্তকারীরা জানতে চাইবেন, বেনামি সম্পত্তিগুলি আসলে কার? 

    সিবিআইয়ের এক তদন্তকারীর কথায়, যদি তৃণমূলের নেতা কেষ্ট মণ্ডলের দেহরক্ষীই এত বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হোন, তা হলে দলের আরও বড় মাথাদের কথা ভেবে দেখুন। গরুপাচার থেকে শুরু করে কয়লাপাচার (Coal Smuggling) ও এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) যোগে এঁদের সকলকেই এবার আইনি প্রক্রিয়ায় আসতে হবে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling) শুধু সায়গল নন, জড়িত রয়েছেন বীরভূমের (Birbhum) বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার, রাজনৈতিক নেতা। তাঁদেরও বিচারের প্রক্রিয়ায় দ্রুত আনার জন্য তদন্তের জাল বিস্তার হচ্ছে।

  • TMC 21 July: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    TMC 21 July: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটা বিষয়টা পুরোটাই রাজনৈতিক। কিন্তু শাসক দলের রাজনৈতিক সভা ঘিরে প্রশাসনিক স্তরে যে ব্যস্ততা, যে সাজ সাজ রব লেগেছে, তা তাজ্জব করার মতো। 

    বৃহস্পতিবার ঘটা করে একুশের সমাবেশ করছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ইতিমধ্যেই, রাজ্যজুড়ে তার তোড়জোড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে শাসক শিবির। তবে, রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দল যে মাতামাতি করবে, যাবতীয় আয়োজন করবে তা বলা বাহুল্য। কিন্তু, একুশের সভা ঘিরে প্রশাসনিক ব্যস্ততা— শাসক দলের ক্ষমতার অপব্যবহারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।

    এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল কলকাতা পুলিশের ‘ASL Meeting’-কে ঘিরে। কী এই ASL বৈঠক? পুরো অর্থ, অ্যাডভান্সড সিকিউরিটি লিয়াজোঁ। কোনও ভিভিআইপি, সাধারণত প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির সফরের আগে বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আগে গিয়ে সফরস্থলের ময়না করে, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখে এবং গোটা এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করে।

    কিন্তু, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে চলা দলীয় সুপ্রিমোর নিরাপত্তার জন্য সম্প্রতি হেয়ার স্ট্রিট থানায় বসেছিল এধরনের এএসএল বৈঠক। তৃণমূলের সাফাই, সাম্প্রতিককালে মমতার (Mamata) বাসভবনে ঢুকে পড়া অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি পাকড়াও হওয়ার পরই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু, প্রশ্ন হল, প্রকাশ্য জনসমাবেশের ক্ষেত্রে এধরনের বৈঠকের তাৎপর্য কী?

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    শুধু যে মমতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের রাতের ঘুম উড়েছে তা নয়। এখন শাসক দলের কর্মসূচিকে সফল করতে কোনও কসুর রাখছেন না কর্তাব্যক্তিরা। তার প্রমাণ মিলল রাজ্যের পূর্ত দফতরকে লেখা পুরসচিবের চিঠি। সেখানে অনুষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় আলো বসানোর জন্য বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কী কী করতে হবে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকাও দেওয়া হয়েছে। 

    আবার, শহরের যে এলাকায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে সভা করার অনুমতি দেয় না পুলিশ, সেখানেই তৃণমূলের সমাবেশের কথা মাথায় রেখে কলকাতা পুলিশের তরফে পুরসভার কাছে পাঠানো হয়েছে একগুচ্ছ প্রস্তাব ও আবেদন। তাতে বলা হয়েছে— 

    কোন কোন জায়গায় পানীয় জলের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। 

    কোন কোন জায়গায় গাছ কাটতে হবে।

    কোন কোন জায়গায় ডাস্টবিন রাখতে হবে।

    কোথায় ড্রেন পরিষ্কার করতে হবে।

    কোথায় খোলা তার রয়েছে, যাতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, ধর্মতলার সিইএসসি দফতর ও কেসি দাসের মধ্যবর্তী স্থলে রাস্তার মাঝে থাকা সব রেলিং তুলে দিতে হবে। মঞ্চে ড্রাই স্যানিটাইজেশন করতে হবে।

    আরও পড়ুন: মমতা আদিবাসী বিরোধী? পোস্টার সাঁটিয়ে প্রমাণ বঙ্গ বিজেপি-র 

    মঞ্চমুখী একাধিক রাস্তা স্যানিটাইজ করতে হবে। পাশাপাশি, সমর্থকরা যেখানে থাকবেন, তার প্রত্যেকটিতে যথাযথ আলোর ব্যবস্থা করতে হবে। 

    পাশাপাশি, শাসক দলের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের তরফে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্তও একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী, ২১ তারিখ শহরের একাধিক ব্যস্ত রাজপথ কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে শুরু করে বিধান সরণী, কলেজ স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিং স্ট্রিট, রবীন্দ্র সরণী প্রভৃতিতে ভোর চারটে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। আবার পুর ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকরা যাতে সঠিকমতো নিজেদের দায়িত্ব পালন করেন, তার জন্য পুরসচিবের তরফে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    বিরোধীদের বলছে, ক্ষমতায় থেকে সরকারি অর্থের অপচয় ও পরিকাঠামোর অপব্যবহারের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এর চেয়ে আর কি-ই বা হতে পারে! একুশের সমাবেশ ঘিরে শাসক দলের এই ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, “আমরাও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এনে এর চেয়েও বড় সভা করি, করবও। সমস্ত আয়োজন দলীয়ভাবেই করা হয়। ২১ জুলাই নিয়ে যেভাবে পুলিশ, প্রশাসন এবং তৃণমূল এক হয়ে গিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষের আর প্রশাসনের উপর কোনও আস্থ থাকবে না। শাসক দল এবং প্রশাসনের মধ্যে সমস্ত বিভাজন রেখা মুছে গিয়েছে। সরকারি অর্থে এবং প্রয়াসে তৃণমূলের সভা সফল করতে নেমেছে পুলিশ। এই কারণেই পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তন দরকার।”

  • Abhishek Banerjee: শর্ত সাপেক্ষে অভিষেককে দুবাই যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের 

    Abhishek Banerjee: শর্ত সাপেক্ষে অভিষেককে দুবাই যাওয়ার অনুমতি হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্ত সাপেক্ষে তৃণমূলের (tmc) সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) দুবাই যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high court)। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও তাঁর সঙ্গে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মানবিকতার প্রেক্ষিতেই তাঁদের বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত।  

    কয়লা পাচারকাণ্ডে নাম জড়ায় অভিষেক, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালিকার। অভিষেক ও রুজিরাকে আগে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অভিষেকের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে কেন্দ্রীয় ওই সংস্থা। চোখের চিকিৎসার জন্য দুবাই যাবেন বলে অনেক আগেই ইডিকে জানিয়েছিলেন অভিষেক। তার পরেও ইডির পক্ষ থেকে কোনও সাড়শব্দ মেলেনি বলে অভিযোগ। ৩ জুন, শুক্রবার দুবাই যাওয়ার কথা অভিষেকের। তার ঠিক আগের দিন তিনি দুবাই যেতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই আদালতের দ্বারস্থ হন অভিষেক।

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল সব ধরনের তদন্তে সহযোগিতা করবেন অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী। সেই মতো ইডির তদন্তে অভিষেক সব রকম সহযোগিতা করছেন বলে দাবি অভিষেক ঘনিষ্ঠদের। এদিনের শুনানিতে ইডির তরফে আশঙ্কা করা হয়, অভিষেক ব্যানার্জি বিদেশ পালিয়ে যেতে পারেন। আদালত ইডির এই যুক্তি খারিজ করে মন্তব্য করে, অভিষেক ব্যানার্জি একজন সাংসদ। কয়লাকাণ্ডে তদন্ত শুরু হওয়ার পরেও তিনি একাধিকবার বিদেশ যাত্রা করেছেন। তাই ইডির এই আশঙ্কা ভিত্তিহীন।

    আরও পড়ুন : গরু পাচারকাণ্ডে সিবিআই দফতরে অনুব্রত মণ্ডল, কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তবে আদালত অভিষেককে জানিয়েছে, মামলাকারীকে বিমানের টিকিট এবং দুবাইয়ের কোথায় তাঁরা থাকবেন, সেই ঠিকানা ইডির কাছে দিতে হবে। যে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন, সেই হাসপাতাল এবং থাকার জায়গার ফোন নম্বরও জানাতে হবে। এর সাহায্যেই ইডি যাতে তাঁদের ওপর নজর রাখতে পারে, তাই এই ব্যবস্থা। ১০ জুনের মধ্যে তাঁকে ফেরত আসতে হবে বলেও শর্ত দেয় আদালত।  

    আদালত জানিয়েছে, রাইট টু লাইফ মানে রাইট টু গেট প্রপার ট্রিটমেন্ট পাওয়া। তিনি নিজের পছন্দ মতো চিকিৎসকের কাছে যেতে পারেন। সেটা থেকে তাঁকে আটকানো যায় না। নোটিস পাঠানোর পর যদি তিনি যেতেন, তাহলে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার বিষয়টি আসত বলেও জানানো হয়েছে।

     

  • President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ১৮ জুলাই, প্রার্থী কারা? তুমুল জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনের (Rajya Sabha Polls) আবহেই ঘোষণা হয়ে গেল রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Prez Poll) নির্ঘণ্ট। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করে ভারতের নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। ভোট হবে ১৮ জুলাই। ফল ঘোষণা তার তিন দিন পরে। রাজ্যসভার ভোট ১০ জুন। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১৫ জুন। ১৯ জুনের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে প্রার্থীদের। নয়া রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন ২৫ জুলাই। প্রসঙ্গত, এর আগের বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয়েছিল ২০ জুলাই।

    আরও পড়ুন : শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    দেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (President Ram Nath Kovind) কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে ২৪ জুলাই। তার আগেই নির্বাচন করতে হবে নতুন রাষ্ট্রপতি। তাই এদিন ওই নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন।

    ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো নয়। আমেরিকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে সরাসরি অংশ নেন জনগণ। ভারতে প্রতিনিধিত্বমূলক গণতন্ত্র। এখানে জনগণ সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেন না। তাঁদের হয়ে এই নির্বাচনে অংশ নেন জনপ্রতিনিধিরা। এই নির্বাচনে সাংসদ ও বিধায়ক মিলিয়ে অংশ নেবেন ৪ হাজার ৮০৯ জন। তাঁদের ভোটেই নির্বাচিত হবেন নয়া রাষ্ট্রপতি।

    প্রত্যেক রাজ্যের ১৯৭১ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতে সেই রাজ্যের সাংসদ, বিধায়কদের ভোটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। এই সূত্র অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ভোটের মূল্য সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম সিকিমের। প্রত্যেক রাজ্যের বিধানসভা ভবন ও দিল্লিতে সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি ভোটের জন্য বুথ তৈরি করা হয়।

    আরও পড়ুন : রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হলেও, শাসক কিংবা বিরোধী কোনও পক্ষই বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে শাসক শিবিরে কয়েকটি নাম ভেসে আসছে। শোনা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) এবার একজন আদিবাসী মহিলাকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করার পক্ষপাতী। যদি তা হয়, তবে দুটি নাম শোনা যাচ্ছে। এঁদের একজন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ওড়িশার মানুষ। দীর্ঘদিন বিজেপির নেত্রী ছিলেন। দ্বিতীয়জন তেলঙ্গনার রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজন।

     

     

  • Howrah Hooch Tragedy: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    Howrah Hooch Tragedy: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ফের বিষমদের (spurious liquor) বলি। হাওড়ার (Howrah) ঘুসুড়ির (Ghusuri) মালিপাঁচঘড়ায় বিষমদ খেয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। মৃতদের পরিবারের দাবি, বিষমদের বলি হয়েছেন এই সকলে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকার একটি চোলাই ঠেকের (Hooch) বিষমদ খেয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Howrah Police)।

    হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানার ধর্মতলা এলাকায় রয়েছে অবৈধ চোলাইয়ের ঠেক। জানা গিয়েছে, ঠেকটি চালায় প্রতাপ কর্মকার নামে একজন। এই ঠেকেই নিত্য যাতায়াত করে মদ্যপায়ীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, মালিপাঁচঘড়া থানার পিছনেই রেললাইনের ধারে নিয়মিত বসে ওই চোলাইয়ের ঠেক। সেই ঠেকেই মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। মৃত্যু হয়েছে ৭ জনের। পুলিশকে না জানিয়েই দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলেও একটি সূত্রের খবর।  

    আরও পড়ুন : কয়লা-কাণ্ডে সিবিআইয়ের চার্জশিটে ৪১ জনের নাম! জানুন কে কে সেই তালিকায়

    ঘটনার পরে পরেই জনরোষের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দিয়েছে ঠেকের মালিক। পরে যদিও গ্রেফতার করা হয় তাকে। মৃ্ত্যুর খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুরো বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। উত্তেজিত জনতা ভাঙচুর করে চোলাইয়ের ঠেকটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই ঠেকে নিত্য তৈরি হয় চোলাই। প্রকাশ্যেই বিক্রিও হয়। প্রতিবাদ করলেই হুমকি দেওয়া হত বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জেরেই ঠেকমালিকের এই রমরমা কারবার। 

    আরও পড়ুন : উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    দিন কয়েক আগে বর্ধমানে বিষমদকাণ্ডে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ধামানের দুটি হোটেলে মদ্যপান ও খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। তাঁদের মধ্যে আটজনের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলায় মদ-লটারিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে মানুষ। তিনি বলেন, সরকারের সব থেকে বেশি আয় এই মদ থেকে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের হাতে যে টাকা দিচ্ছেন, তা চলে যাচ্ছে পরিবারের পুরুষদের হাতে। সেই টাকায় তারা মদ খাচ্ছে। তাই এভাবে মানুষ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

    বেশ কয়েক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়ও বিষমদের বলি হয়েছিল বেশ কয়েকজন। মৃতদের পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তৃণমূল সরকার। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তার পরেও ইতি পড়েনি বিষমদে বলিতে। বর্ধমানের পর যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হাওড়ার ঘুসুড়ি।

     

  • TMC 21 July: নামেই শহিদ দিবস! দিকে দিকে মোচ্ছব আর ক্ষমতার আস্ফালনের ছবি

    TMC 21 July: নামেই শহিদ দিবস! দিকে দিকে মোচ্ছব আর ক্ষমতার আস্ফালনের ছবি

    সুশান্ত দাস: নাম শহিদ দিবস (Shahid Diwas)। কিন্তু শহিদদের স্মরণ করা নয়, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) পরিচালিত এই সমাবেশ হয়ে উঠল মোচ্ছবের কর্মসূচি। বর্ণাঢ্য ট্যাবলো থেকে শুরু করে দেদার খানাপিনা— বাদ গেল না কিছুই। একটা দুঃখজনক, বেদনাদায়ক অধ্যায়কে স্মরণ করার মঞ্চ বদলে গেল শক্তি প্রদর্শনের স্থলে।

    কোভিড অতিমারির (Covid Pandemic) জেরে জারি হওয়া বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার জেরে গত ২ বছর ভার্চুয়ালি শহিদ দিবস পালন করতে হয়েছিল তৃণমূলকে। তাই করোনার ভয় কাটতেই এবছর যেন তেড়েফুঁড়ে উঠেছিল রাজ্যের শাসক দল। মাসখানেক আগে থেকেই রাজ্যের সব প্রান্তে চড়ে বেরিয়েছিল শাসক দলের নেতাকর্মীরা। লক্ষ্য, শহিদ দিবসে লোক ভরানো। পুলিশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দফতরে কর্মরত উচ্চপদস্থ কর্মী-আধিকারিকরা— সকলেই কার্যত উঠেপড়ে লেগেছিলেন অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য।

    বুধবার থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন আসতে শুরু করে দিয়েছিল। তাদের থাকার জন্য বিশাল আয়োজন করা হয়েছিল শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে। আর সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থাই ছিল। যেমন সেন্ট্রাল অ্যাভেনিউ জুড়ে ছিল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। সেখানে দেখা গেল একেবারে পিকনিকের আমেজ। ত্রিপল পেতে চলছে রান্না। মেনুতে রয়েছে ডিম-ভাত থেকে শুরু করে ভাত-আলু পোস্ত, মুরগির মাংস। যাতে একেবারে পেটপুরে মাংস খেয়ে শাসক দলের শহিদ-স্মরণে অংশ নিতে পারেন কর্মী, সমর্থকরা। প্রায় একই চিত্র ধরা পড়েছে মেয়ো রোডে। সেখানকার মেনুতে ছিল মাংস-ভাত, ডাল আর ছ্যাঁচড়ার তরকারি।

    আরও পড়ুন: উন্নয়নে ৮০% বরাদ্দ ছাঁটাই, রোজের খরচে কোপ ৫০%, নবান্নের হেঁসেল আর চলছে না

    এতো গেল খাওয়া-দাওয়ার পালা। এবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক আমেজে। শহিদ স্মরণ বলতেই মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবেই একটা দুঃখ ভরে আসে। কিন্তু, তৃণমূলের শহিদ দিবস ছিল ভিন্নরূপী। সেখানে যেমন ছিল ট্যাবলো তেমনই ছিল ধামসা-মাদল। সল্টলেকে বর্ণাঢ্য মিছিল বের করে শাসক দলের কর্মী-সমর্থকরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোশ পরে, শাঁখ বাজিয়ে, ঢাকের তালে মিছিল হয়। 

    একুশের সমাবেশে যোগ দিতে হাজরায় সুসজ্জিত ট্যাবলো নিয়ে বের হন কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। কেউ ঢোল করতাল বাজিয়ে তো কেউ আবার ধামসা, মাদল বাজাতে বাজাতে সমাবেশে হাজির হয়েছে। দেখে বোঝার উপায় নেই, এটা শহিদ স্মরণ না পুজোর শোভাযাত্রা! মনে হবে যেন কোনও বিজয়োৎসব পালন হচ্ছে।  

    একটি রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য ক্ষমতার আস্ফালনে সরকারি পরিকাঠামোর অপব্যবহার কীভাবে করতে হয়, তা মমতার সরকার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সরাসরি সম্প্রচারের জন্য শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। একদিন আগে থেকেই রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বাস। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পুলিশ থেকে শুরু করে পুরসভা, পূর্ত থেকে বিদ্যুৎ— এদিনের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য কাজে লাগানো হয় সরকারের প্রায় সব বিভাগকেই। 

    এরপরও কি বলা যাবে না যে, এটা শক্তি প্রদর্শন ছাড়া অন্য কিছুই নয়!

    আরও পড়ুন: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

  • Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    Hooch tragedy: দাম কম হলেও চোলাইয়ের ‘টেম্পারে’ ফেল ২৮ টাকার ‘বাংলা’, বিষমদে মৃত্যু সেই কারণে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বর্ধমানের পর ফের হাওড়া। চোলাই বা বিষমদ খেয়ে আবারও মৃত্যুর ঘটনা। এক মাসের মধ্যে অন্তত ১৪ জনের মারা যাওয়ার ঘটনায় ফের চর্চা শুরু হয়েছে। বছর খানেক আগে আবগারি দফতর ২৮ টাকার ‘বাংলা’ মদ চালু করেছিল। লক্ষ্য ছিল চোলাইয়ের দামে সরকারি মদ বিক্রি শুরু হলে দমানো যাবে বিষমদের কারবার। ২৮ টাকার বাংলায় মেশানো হয়েছিল মহুয়ার গন্ধও। বাজারও পেয়েছে সেই সস্তার সরকারি মদ। তারপরেও কেন এক মাসে বর্ধমান এবং হাওড়াতে বিষমদে লোকজন মারা যাচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বর্ধমানের পর এবার হাওড়া, ফের বিষমদের বলি ৭, চোলাইয়ের ঠেকে ভাঙচুর

    আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, ২৮ টাকার সরকারি মদ কার্যত চোলাইয়ের থেকেও সস্তা। ২৮ টাকায় মহুয়ার গন্ধ মিশিয়ে ৩০০ মিলিলিটার বাংলা বাজারে ছাড়া হয়েছে। চোলাই যেখানে ৬০-৬৫ টাকায় ৬০০ এমএল পাওয়া যায়। ৩০০ মিলিলিটার চোলাইয়ের দাম ৩৫ টাকা। দাম বেশি হওয়া সত্ত্বেও কেন তা হলে লোকে চোলাই ছাড়তে চাইছে না। আবগারি দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, সরকারের সঙ্গে দামে প্রতিযোগিতায় না পেরে চোলাইয়ে কারবারিরা নেশার ‘গুণে’ নেশাড়ুদের টেনে নিচ্ছে। সরকারি মদ ৭০ডিগ্রি আপে ভিত্তিতে তৈরি। অর্থাৎ স্পিরিটের শুদ্ধতা এমন করা হয়েছে যাতে কম দামে খুব বেশি নেশাও না হয়। সরকারের এই প্রবণতাকেই চোলাই কারবারিরা হাতিয়ার করেছে। ফলে তারা এখন চোলাইয়ের ‘’টেম্পার’ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই টেম্পারের কারণেই বার বার মদে বিষক্রিয়া হচ্ছে। মানুষ মারা যাচ্ছে। আবগারি কর্তারা জানাচ্ছেন, চোলাইয়ের কারবারিরা সরকারি বাংলা মদের চেয়েও অতিরিক্ত নেশার মদ তৈরি করতে নানা রাসায়নিক মেশাচ্ছে। ফলে এক বোতল মদে ৫-১০ টাকা বেশি দিয়েও অনেকে ২৮ টাকার বাংলা পান করছেন না, টেম্পার থাকা চোলাই বেশি পছন্দ করছে। ফলে সরকারি মদ সস্তা হওয়ার পরেও চোলাই তার বাজার ধরে রেখেছে। কর্তারা জানাচ্ছেন, হাতুড়ে পদ্ধতিতে টেম্পার বাড়াতে গিয়েই মদে বিষক্রিয়া হয়ে যাচ্ছে। প্রাণ যাচ্ছে লোকের। 

    আরও পড়ুন: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    আবগারি কর্তাদের একাংশের আরও দাবি, ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র ব্যাপকভাবে ছাড়া হয়নি। তা হলে সাধারণ বাংলা মদ আর বিক্রি হবে না। সেই কারণে যে সব এলাকায় চোলাইয়ের কারবার ব্যাপকভাবে চলত সেখানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রি করা হত। ফলও তাতে মিলেছে, চোলাইয়ের দাপট কমেছে। কিন্তু চোলাইওয়ালারা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র ব্যাবসা ছড়িয়ে দিয়েছে। আবগারি দফতরের দাবি, বর্ধমান এবং হাওড়া দুটি স্থানেই ২৮ টাকার বাংলা বিক্রির অনুমোদন ছিল না। ফলে সেখানে হাই টেম্পারের চোলাই বা বিষমদই ছিল সুপারহিট। এখন উপায়? এক মাসে ১৪ জন মারা যাওয়ার পর এবার ২৮ টাকার বাংলা রাজ্যের সর্বত্র বিক্রির ব্যবস্থা করা হতে পারে। সস্তা দামের সঙ্গে নেশার গুণমানও(টেম্পার) কি বাড়ানো হবে? নিরুত্তর আবগারি কর্তারা। 

     

  • TMC 21 July: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    TMC 21 July: ২১ জুলাই ‘নো শাটডাউন’, মোবাইল বার্তায় নির্দেশ বিদ্যুৎ দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এর আগে হাসপাতালে রক্ত মজুত রাখা হয়েছে, ধর্মতলায় রেলিং উপড়ে ফেলা, গাছ কাটা, আলো লাগানো, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, এলাকায় জীবাণু নাশক ছড়ানো সবই হয়েছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই মধ্য ও দক্ষিণ কলকাতার প্রায় সবই স্কুলই আগামীকাল ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে। 

    এর পর শেষ দফায় অন্য দফতরগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে থেমে থাকল না বিদ্যৎ দফতরও। ২১ জুলাই রাজ্যের কোথাও শাটডাউন নেওয়া যাবে না। বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির সমস্ত সার্কেল অফিস পর্যন্ত এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও লিখিত নির্দেশ নয়, বিদ্যুৎ ভবন থেকে কর্তারা ওয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে নীচ পর্যন্ত একথা জানিয়ে দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশ রাজনৈতিক না সরকারি অনুষ্ঠান? প্রশাসনিক ব্যস্ততা দেখে উঠছে প্রশ্ন

    বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্মীদের একাংশের মতে, কখনও কখনও লোড বণ্টন, রুটিন মেরামত, লাইনের ধারে গাছ কাটা, বিদ্যুৎ লাইনে গোলমাল ধরা পড়লে লোডশেডিং করতে হয়। গ্রামেগঞ্জে রোজই কোথাও না কোথাও আধ-এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়। সাধারণত মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ঈদের সময় ‘নো শাটডাউন’ অর্ডার করা হয়। এই প্রথম শাসক দলের রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের জন্য এমন আপৎকালীন নির্দেশ জারি করা হল।

    কর্তাদের কেউ কেউ মশকরা করে বলেছেন, আসলে ২১ জুলাইকে কেন্দ্র করে যা কিছু প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার অধিকাংশই কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম করেছেন। বাকি স্বাস্থ্য বা পুলিশ দফতরের মন্ত্রী তো মুখ্যমন্ত্রী নিজেই রয়েছেন। ফলে বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাসের কাজ দেখানো এবং নম্বর তোলার সুযোগ ছিল না। শেষ লগ্নে এসে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা তাই ওয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে রাজ্যে কোথাও শাটডাউন নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    যখন মমতার ভক্তকুল সকলেই প্রায় কলকাতামুখী সেখানে গ্রামে কোথায় লোডশেডিং হল তাতে কী এমন মহাভারত অশুদ্ধ হবে? এক কর্তার জবাব, এত প্রশ্ন করছেন কেন, স্বাস্থ্য দফতর সারা রাজ্যে সমস্ত হাসপাতালে রক্ত মজুত রাখার লিখিত নির্দেশ দিয়েছে, আর বিদ্যুৎ দফতর লোডশেডিংয়ে না করাতে ভুলটা কি করেছে?   

  • TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    TMC Shahid Dibas: হাসপাতালগুলিতে মজুত রাখতে হবে রক্ত! ২১ জুলাইয়ের আগে সরকারি নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পালন হবে শহিদ দিবস (shahid dibas)। অথচ হাসপাতালগুলিকে (Hospitals) পরিকাঠামো প্রস্তুত করে রাখতে বলা হয়েছে। বিরোধীদের প্রশ্ন, তৃণমূলের একুশে জুলাই শহিদ সমাবেশে কী এমন ঘটবে, যে সরকারি হাসপাতালের পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে হবে? ব্লাড ব্যাংকে (Blood Bank) মজুত রাখতে হবে রক্ত? 

    ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিল যুব কংগ্রেস (Yuba Congress)। অভিযান হয়েছিল তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata banerjee) নেতৃত্বে। তখন বাম আমল। অভিযান রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। খুন হন ১৩ জন। তাঁদের শহিদ আখ্যা দেয় কংগ্রেস। তার পর থেকে প্রতি বছর ওই দিনে শহিদ দিবস পালন করে কংগ্রেস। কংগ্রেস ভেঙে মমতা যখন তৃণমূল প্রতিষ্ঠা করেন, তখন থেকে ফি বছর ২১ জুলাই ঘটা করে দিনটি পালন করেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান পরিণত হয়েছে তৃণমূলের প্রচারের হাতিয়ারে। ইদানিং শহিদরা চলে গিয়েছেন পিছনের সারিতে। সামনে চলে এসেছেন তৃণমূলের তারকারা। প্রতিবার যাদের দেখিয়ে ভোট কুড়োয় ঘাসফুল শিবির। 

    আরও পড়ুন : দলীয় কোন্দলের জের, আরামবাগে যুবর মারে জখম তৃণমূল নেতা

    এবারও ২১ জুলাই পালিত হবে শহিদ দিবস। সেই উপলক্ষে সরকারের তরফে হাসপাতালগুলিকে দেওয়া হয়েছে চিঠি। তাতেই সভা চত্বরের বিভিন্ন রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। মজুত রাখতে বলা হয়েছে প্রচুর রক্ত। যা দেখে বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে কি এবারের শহিদ দিবসে রক্ত ঝরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী? রাজ্য প্রশাসনের জোড়া চিঠিকে হাতিয়ার করে শাসক দলের কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ২১ জুলাই দিনটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে “জেহাদি” দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। তাঁর প্রশ্ন, কেন শহিদ মিছিলের রাস্তায় থাকা হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? তাঁর আরও প্রশ্ন, এটা দলের কর্মকাণ্ড না সরকারের? তাঁর মতে, এভাবে ক্ষমতায় থেকে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোর চরম অপব্যবহার করছে তৃণমূল। 

    [tw]


    [/tw]

    গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে দলীয় কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে সব দলেরই। তবে সেই কর্মসূচিকে ঘিরে যেভাবে রক্ত ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আতঙ্কিত বিরোধীরা। 

LinkedIn
Share