Tag: tmc

tmc

  • Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    Post Poll Violence: বারুইপুরে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের জন্য খোলা হল ‘আশ্রয় শিবির’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি হয়েছিল, ঠিক তেমনই এইবারের লোকসভা নির্বাচনের পরও সন্ত্রাসের চিত্র অব্যাহত রয়েছে। গত মঙ্গলবার, ফল প্রকাশের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তী, বারুইপুর সহ একাধিক এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস চালিয়েছে। মানুষ অত্যাচারের শিকার হয়ে নিজেদের ঘরছাড়া হয়ে গিয়েছেন। বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্ব বার বার তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এবার আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা অফিসে খোলা হয়েছে ‘আশ্রয় কেন্দ্র’।

    আশ্রয় কেন্দ্রে দেওয়া হয়েছে আইনি সহযোগিতা (Post Poll Violence) 

    ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের টার্গেট করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বাসন্তীতে তৃণমূল রীতিমতো তাণ্ডব (Post Poll Violence) চালিয়েছে। কোথাও রড, কোথাও বাঁশ, আবার কোথাও আসবাবপত্র ফেলে মারধর করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। নিজের প্রাণকে হাতে নিয়ে কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে আছেন অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে। এই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আশ্রয় দিতে বারুইপুর জেলা বিজেপির কার্যালয়ের খোলা হয়েছে অফিস। এই আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়ে করা হচ্ছে কর্মীদের চিকিৎসা। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় খাবার। বাড়ি ছাড়াদের বাড়িতে ফেরাতে প্রশাসনের একাধিক স্তরে কথা বলা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে আইনি সহযোগিতা। জেলার বিজেপির নেতৃত্ব এবং রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৭০-৮০ জন বিজেপি কর্মীকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে এই জেলা কেন্দ্রে।

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছিল। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী এবং মা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন এই বিজেপি পরিবার। বিজেপি নেত্রী বলেছিলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।” আবার আজ বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আবার শুভেন্দু রাজ্যপালকে চিঠি লিখে হিংসায় নিপীড়িত মানুষের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    Post Poll Violence: “বিজেপি চুপ করে থাকবে না”, সন্ত্রাস নিয়ে হুঁশিয়ারি সুকান্তর, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অষ্টাদশ লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানালেন তিনি। অপর দিকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের উদ্দেশ্য করে মমতাকে বলেন, “বিজেপি চুপ করে থাকবে না, শুধরে যান।”

    কী লিখেছেন চিঠিতে শুভেন্দু (Post Poll Violence)?

    রাজ্যের তৃণমূল একক ভাবে আসন পেয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়ে জেলায় জেলায় সন্ত্রাস (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে। এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শুভেন্দু ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান রাজ্যপালকে। হিংসা কবলিত স্থান দ্রুত পরিদর্শন এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা লেখেন। তিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে চিঠি সম্পর্কে লিখেছেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের উপর তৃণমূলের গুন্ডাদের হামলা চালানো এখন পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন বিজেপি কর্মীদের প্রাণ হারাতে হয়েছিল, একই ভাবে লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরনোর পর বিজেপি কর্মীদের আক্রমণ করা হচ্ছে। যে গুন্ডারা বিজেপির কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ রয়েছে তাদের। এ নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছি।”

    ঠিক কী বলেছেন সুকান্ত?

    ফল প্রকাশের পর থেকে এই রাজ্যের জেলায় জেলায় হিংসা (Post Poll Violence) সৃষ্টি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। কোচবিহার থেকে ক্যানিং পর্যন্ত তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে। বালুরঘাটের সাংসদ বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূলকে নিশানা করে বলেন, “তৃণমূল গণতন্ত্র মানে না৷ তাই ওদের মুখে বড় বড় কথা মানায় না। বিজেপি কিন্তু চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে জবাব দেবে, তখন কিন্তু রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। মমতা আপনি নিজে ২৯টা আসন পেয়েছিলেন। আপনিও একদিন বিরোধী ছিলেন। আপনার কাছে মাত্র ১টি আসন ছিল। তবে বিজেপির কাছে ১২ জনকে সাংসদ রয়েছে। আপনি প্রশাসনকে ব্যবহার করে আমাদেরকে হারানোর অপচেষ্টা করেছেন। জেলাশাসককে চাপ দিয়েছেন আরেকবার গণনা করার জন্য। আপনি শুধরে যান। এখনও সময় আছে। আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে আপনার দেখা করা উচিত। কারণ তাঁরা বিজেপির ভোটার হলেও, আপনার রাজ্যের নাগরিক।”

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    সন্দেশখালিতে বাধা সুকান্তকে

    রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) বাদ গেল না উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখাঁর বামুনপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রাম। খবর শোনার পর আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে যান সুকান্ত। তাঁকে দেখে তাঁর গাড়ি আটকে দলীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে তৃণমূলের নেতাকর্মী সমর্থকরা। একই সঙ্গে জয় বাংলা ও গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকে। এরপর প্রশাসনের তৎপরতায় সঙ্গে সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের গাড়িগুলিকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বিজেপি কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা, বাড়ি-অফিস ভাংচুর, বোমাবাজিতে উল্লাস তৃণমূলের

    Post Poll Violence: বিজেপি কর্মীর ওপর প্রাণঘাতী হামলা, বাড়ি-অফিস ভাংচুর, বোমাবাজিতে উল্লাস তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণা হতেই হিংসা (Post Poll Violence) ছড়িয়ে পড়েছে জেলায় জেলায়। শাসক দলের ২৯টি আসনে জয় ঘোষণার পর থেকেই অশান্তির খবর উঠে আসতে শুরু করেছে সর্বত্র। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বারাকপুর, নৈহাটি, ভাটপাড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, সোনারপুর, বর্ধমান, বাঁকুড়া, আসানসোলের একাধিক জায়গায় ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়ি ভাঙচুর, সম্পত্তি লুট, ঘরছাড়া, বোমাবাজি করার মতো একাধিক ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে বিজেপি কর্মী-সমর্থক এবং ভোটাররা ব্যাপক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। পাল্টা তৃণমূল সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    আসানসোলে ভোটপরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)

    আসানসোলের বারাবনি বিধানসভার সরিষাতলী গ্রামে ভারতীয় জনতা পার্টির মন্ডল ১-এর যুব মোর্চার সভাপতি খোকন মহারাজ ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের শিকার (Post Poll Violence) হয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত ১৫-১৬ জন গুন্ডা, শিবেন ঘাঁটির নেতৃত্বে এই বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হন। এরপর তাঁর ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয়। এমনকী অত্যাচার থেকে বাদ যায়নি বাড়ির মহিলা এবং বাচ্চারাও। খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখা করে বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, যুব মোর্চার ট্রেজারার বাপি প্রধান এবং মাইনোরিটি মোর্চার জেলার ইনচার্জ আকবর হোসেন। অবশ্য বিজেপির দাবি, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর যেমন তৃণমূল আক্রমণ করেছিল, ঠিক একই কায়দায় আক্রমণ করা হচ্ছে। আবার দুর্গাপুরে বিরোধী দলের পোলিং এজেন্ট হওয়ায়, এজেন্টের বোনের কাপড়ের দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    পাত্রসায়রে বিজেপির কার্যালয় ভাঙচুর

    লোকসভার ফল ঘোষণার পর বিরোধী দলের দলীয় কার্যালয়গুলিতে ব্যাপক ভাঙচুর (Post Poll Violence) করেছে তৃণমূলের গুন্ডারা। বাঁকুড়ার পাত্রসায়র ব্লকের নারায়ণপুরে বিজেপির দলীয় কার্যালয়কে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে এখানকার প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তমালকান্তি গুইয়ের বাড়িতে ইট বৃষ্টি করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এনে আক্রমণের কথা স্পষ্ট করেছেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, “বার বার আমাকে ফোনে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।” আবার সোনামুখীর বিধায়ক বলেছেন, “সারা দেশে হিংসার ছবি নেই, কিন্তু এই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস লাগাতার হিংসা করছে।”

    কোতুলপুরে তৃণমূলের বোমাবাজি

    এক দিকে যেমন ভাঙচুর চলছে সেই সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখাতে প্রকাশ্যে বাড়ির সমানে বোমাবাজি (Post Poll Violence) করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষ্ণুপুর লোকসভার কোতুলপুরে বুধবার রাতে কোয়ালপাড়া বেড়ারপাড় এলাকায় একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির ছোট, বড়, বয়স্ক এবং মহিলাদেরকেও মারধর করা হয়। তৃণমূল জয়ী হওয়ার খুশিতে একাধিক বিজেপি কর্মীর মাথায় বোমা ফাটানো হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকেই।

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিষ্ণুপুর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দল কোনও রকম ভাবে এই সব অশান্তির (Post Poll Violence) মধ্যে নেই। আমাদের জয়কে ছোট করতে বিজেপি এই আচরণ করছে। সবটাই বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    Partha Chatterjee: নিয়োগ-দুর্নীতি তদন্তে নয়া মোড়! জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে নয়া মোড়। এবার জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) আরও সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি। ইডি সূত্রে খবর, এই সম্পত্তি মূলত রয়েছে বীরভূমে (Birbhum)। এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমেরই বোলপুরে একটি বাড়ির হদিশ পেয়েছিল ইডি। আর এবার ইডির সাম্প্রতিক তদন্তে জানা গিয়েছে, পার্থের আরও অন্তত ৫টি সম্পত্তি রয়েছে সেই বোলপুরেই। 

    ঠিক কী জানা গিয়েছে তদন্তে?

    সূত্রে খবর, বোলপুরের (Bolpur) বুকে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর যে সম্পত্তি রয়েছে তা মূলত জমি। বর্তমানে যার বাজারদর কয়েক কোটি টাকা। যদিও এই সম্পত্তি কিন্তু পার্থর নামে নেই। বরং সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ওই সম্পত্তিগুলির নথিতে এক পার্থ ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে। ঠিক যেমন এর আগে পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার নামে সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল ইডি। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ওই ঘনিষ্টের নামে জমিগুলি কেনা হলেও সংশ্লিষ্ট জমিগুলির মালিক আদতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) নিজেই। এমনকী তদন্তকারীরা এও জানতে পেরেছেন, সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতে মাঝেমধ্যেই আসতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ইডি সূত্রে খবর, গত কয়েক দিনে পার্থ-ঘনিষ্ঠ এক প্রোমোটার-সহ বেশ কয়েক জনকে জেরা করে এই তথ্য পেয়েছে তারা।

    কোন দিকে মোড় নেবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার জল? 

    উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাই মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সেই থেকে জেলের চার দেওয়ালের মধ্যে জীবন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। প্রায় দুবছর ধরে ওটাই তাঁর ঠিকানা। আর এরই মধ্যে আবারও জেলবন্দি পার্থর আরও সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি। বলাই বাহুল্য যে দীর্ঘদিন ধরে এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আর এরই মধ্যে ফের পার্থর সম্পত্তির খোঁজ মেলায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলার মোড় অন্যদিকে বাঁক নেয় কিনা এখন সেটাই দেখার। 

    আরও পড়ুন: ৩৫০ বছর আগে এই দিনেই ছত্রপতি হন শিবাজি! ফিরে দেখা সেই ইতিহাস

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠকে তলব ইডির (Partha Chatterjee)

    তবে এই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে বীরভূমে এই কোটি কোটি সম্পত্তির হদিশ এই প্রথম নয়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর পার্থ-অর্পিতার নামে যৌথ একাধিক সম্পত্তির হদিশ পেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রের খবর, তদন্তকারীদের মধ্যে একটি বিশেষ প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই বীরভূমের (Birbhum) জায়গায় জায়গায় অনুসন্ধানে নেমেছে। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওই ঘনিষ্ঠকে খুব শীঘ্রই তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    Post Poll Violence: বর্ধমান জেলা বিজেপির অফিসে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, একাধিক গাড়ি ভাঙচুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের পর জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) অব্যাহত। এবার বর্ধমান বিজেপির জেলা অফিসে হামলার অভিযোগ উঠলো শাসকদলের বিরুদ্ধে। একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাইকে করে এসে ইট, লাঠি নিয়ে হামলা করেছে। কিন্তু কার্যালয়ে অশান্তির খবর ছড়িয়ে পড়তেই পার্টি অফিসের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    বিজেপির অভিযোগ (Post Poll Violence)

    বর্ধমান জেলা বিজেপি নেতা সুমিত দত্ত বলেন, “ভোটের ফল প্রকাশের পর আজ বৃহস্পতিবার তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীরা আমাদের পার্টি অফিসের সামনে এসে হামলা (Post Poll Violence) চালায়। জেলা সভাপতির গাড়িতে ইট মারা হয়। নির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গার দলীয় কর্মীরা ঘর ছাড়া হয়ে পড়েছেন। আমাদের অনেক কর্মীরা পার্টি অফিসে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিন হামলার সময় আমাদের দলীয় কর্মীদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বাইরে থেকে দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। আমাদের কর্মীরা প্রতিরোধ করলে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা পালিয়ে যায়।” বিজেপির আর এক নেতা দেবজ্যোতি সিংহ রায় বলেন, “বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকায় আজ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বাইক মিছিল হয়। সেই মিছিল শেষে আমাদের পার্টি অফিসে হামলা করে।”

    পানীয় জলের লাইন কাটা হয়েছে!

    বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, “জেলার বিভিন্ন জায়গার বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা (Post Poll Violence) করা হচ্ছে। ভাতারে পানীয় জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তিনি বলেন প্রশাসনের উপর ভরসা আছে। পুলিশের কাছে আমাদের আবেদন দুস্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে।

    আরও পড়ুনঃ মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। বর্ধমানের তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, “জেলায় বিজেপি সাফ হয়ে গেছে। তাই ওদের তৃণমূল কেন আক্রমণ (Post Poll Violence) করবে? বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে গোলমাল হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    Post Poll Violence: মিনাখাঁয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুর, চলল টিভি-ফ্রিজ লুটপাট, আতঙ্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) জেরে মিনাখাঁর আটপুকুর অঞ্চলের কচুরহূলো এলাকার ১১৩ নম্বর বুথে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। আনুমানিক ১০ থেকে ১২টি ঘর ভাঙচুর করার পাশাপাশি ওই এলাকা থেকে দুটি মোটর বাইক, তিনটি সাইকেল সহ একাধিক বাড়ি থেকে টিভি, ফ্রিজ নানা জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে ওই এলাকার শতাধিক বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারা ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।

    বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য (Post Poll Violence)

    উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁর আটপুকুরের আক্রান্ত এক বিজেপি কর্মী বলেছেন, “লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে পুলিশের প্রত্যক্ষ মদতে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের পরিবারের উপর আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করছে। চলছে লুটপাট, বাড়ি ভাঙচুর। এমনকী আমাদের বাড়ির বাইকে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে নিপীড়িত মানুষের জীবন এবং সম্পত্তিকে রক্ষা করা। দেশের গণতান্ত্রিক উৎসবে অংশ গ্রহণের পর, নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়াটা কি এই রাজ্যে অন্যায়? তৃণমূল স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছে।”

    আরও পড়ুনঃ শিলিগুড়িতে ধরাশায়ী গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র! অধিকাংশ ওয়ার্ডে বাজিমাত করল বিজেপি

    তৃণমূলের বক্তব্য

    লোকসভার ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সন্ত্রাসের (Post Poll Violence) অভিযোগকে অস্বীকার করে মিনাখাঁ তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। বিরোধিতার নামে চক্রান্ত করেছে বিজেপি। তৃণমূল ব্যাপক জনমত নিয়ে এই ভোটে জয়ী হয়েছে। বিজেপি নিজেদের মধ্যে টাকার ভাগাভাগি নিয়ে গোলমাল বাঁধিয়েছে। পুরোটাই একটা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তৃণমূল এই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নয়।” অপর দিকে বারাসত, মধ্যমগ্রাম, বারাকপুর, নিউটাউন, ক্যানিং, কোচবিহার, নদিয়া, বীরভূমের একাধিক এলাকায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    Nadia: বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, নদিয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পরেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অব্যাহত। এবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার দোয়ের বাজার এলাকায়। মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম মোসলেম শেখ (৩০)।

    গুলি করে তৃণমূল কর্মীকে খুন, কোন্দল প্রকাশ্যে (Nadia)

    সদ্য লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছে। কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভা কেন্দ্রে পুনরায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। আর লোকসভা ভোটের ফলাফলের ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপড়া থানার হাটরা এলাকার বাসিন্দা মোসলেম শেখ দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় তৃণমূল রাজনীতি দলের সঙ্গে যুক্ত। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তিনি দলের হয়ে এলাকায় লড়াই করেছেন। পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী বাড়ি থেকে তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে, চাপড়া থানার দোয়ের বাজার ভগবানপুর এলাকায় রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে বলে পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চাপড়া থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ৮ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান, কারা কারা উপস্থিত থাকবেন জানেন?

    মৃতের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    এ বিষয়ে মৃত মোসলেম শেখের স্ত্রী রহিমা বিবি বলেন, ওই এলাকারই কিছু তৃণমূল দুষ্কৃতী আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারাই গুলি করে খুন করে স্বামীকে। এবছর তৃণমূলের হয়ে লোকসভা নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল আমার স্বামী। তারপরও  তাকে খুন করা হল। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    চাপড়া (Nadia) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি জেবের শেখ বলেন, আমাদের দলের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র জয়লাভ করার কারণে আমাদের একটি বিজয় মিছিল ছিল। আমি সেখানেই খবর পাই এই খুনের ঘটনার কথা। মৃত মোসলেম শেখ আমাদের দলেরই কর্মী ছিল। তবে, কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল এখন সেটা স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    Post Poll Violence: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, বাড়ি ভাঙচুর! দিকে দিকে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল (Post Poll Violence) ঘোষণা হয়েছে। তৃণমূল ২৯টি আসনে জয়ের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতার বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি ছাড়া করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুষ্কৃতীরা লাঠি, বন্দুক, বাঁশ নিয়ে বাসিন্দাদেরকে হুমকি দিচ্ছে অনবরত। আক্রান্ত বিজেপির কর্মীদের বক্তব্য, “তৃণমূল হুমকি দিয়ে বলে গিয়েছে, এলাকায় থাকতে গেলে বিজেপি করা যাবে না।” অপর দিকে ক্যানিংয়ে বিজেপি নেত্রীর মায়ের চোখ মেরে ফাটিয়ে দিল তৃণমূল। উল্লেখ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিরোধীরা, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল।

    ক্যানিংয়ে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা (Post Poll Violence)

    মঙ্গলবার রাতে ক্যানিং থানার দিঘিরপাড় পঞ্চায়েতের কাঠপোল এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে আক্রমণ (Post Poll Violence) করেছে। গুরুতর জখম হয়েছেন বিজেপি নেত্রীর স্বামী অসীম কুমার দাস ও মা অনিতা সিনহা। হামলার পর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী বলেন, “রাত নটার পর অস্ত্র হাতে হামলা চালায় ওরা। হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল। এর আগেও হামলা হয়েছে। আমি নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও রেখেছিলাম। আমি সে সময় বাড়িতে ছিলাম না, তখনই হামলা হয় আমার মা ও স্বামীর ওপর। ইতিমধ্যে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছি।”

    মধ্যমগ্রামে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রায় ১০-১২টি বাড়ি ভাঙচুর (Post Poll Violence) হয়েছে মধ্যমগ্রাম বিধানসভার নেতাজী পল্লী এলাকায়। গতকাল রাতে ডাক্তার কাকলি ঘোষ দস্তিদারের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর এই এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হাতে লোহার রড বাস বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালায়। বিজেপির কার্যালয়ের সাটারে লাগাতার লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে এবং সেই সঙ্গে ওই বাড়ি ভাঙচুর চালায় গুন্ডারা। কখনও মহিলাদের বন্দুকের নল ঠেকিয়ে দেওয়া হয় হুমকি। আবার কখনও বিজেপি করার অপরাধে লাগাতার কিল ঘুষি চড় মারে দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে। বাহিনী চলে যাবার পরে আবার দুষ্কৃতীরা এসে তাণ্ডব চালায়, এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

    আরও পড়ুনঃ গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    নিউটাউনে বাড়ি ভাঙচুর

    ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence) এবার নিউটানে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাংচুর হয়েছে। অভিযোগ মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে নিউটাউনের বিবেকানন্দ পল্লী এলাকায় এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে মদ্যপ অবস্থায় ১২ থেকে ১৪ জন পাথর, লাঠি ও মদের বোতল নিয়ে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় ২টি বাইক ভাঙচুর করা হয়। মদের বোতল মেরে বাড়ির জানলার কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় বিজেপির মূল অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Post Poll Violence: গণনার পর রাতভর চলল বারাকপুর-নৈহাটি-ভাটপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত (Post Poll Violence) ভাটপাড়া সহ গোটা বারাকপুর। ফলাফল ঘোষণার পর গভীর রাত পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর চলে অত্যাচার। যথেষ্টই আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ। এই ঘটনার পর এলাকায় মোতায়েন হয়েছে পুলিশ।

    নৈহাটিতে ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence)

    গতকাল মঙ্গলবার লোকসভার ভোটের ফলাফলে এক তরফা জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরপর বারাকপুরের বাবুনগরে সারারাত বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ (Post Poll Violence) চালায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মীদের বাড়ির দরজা, জানালা ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। কাচের জিনিস থেকে শুরু করে চেয়ার, টেবিল এবং দরকারি জিনিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। আবার নৈহাটিতে বিজেপির মহিলা কর্মী অনিন্দিতার বাড়িতে তৃণমূলের গুন্ডারা হামলা চালিয়েছে। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। বিজেপি কর্মী রাজু শ্রীবাস্তবের গাড়ি টিএমসির গুন্ডারা ভেঙে দিয়েছে। বিজেপি কর্মী শুভেন্দু চ্যাটার্জির বাবা এবং জেঠি মাকে তৃণমূলের আশ্রিত গুন্ডারা যেমন ছোটন দাস, আশিস শাউ এবং অন্যান্যরা পিটিয়েছে৷

    ভাটপাড়ায় হিংসা

    আবার ভাটপাড়ার তালা কলোনির এক সাধারণ ভোটারের বাড়িতে চারটি বোমা মারা (Post Poll Violence) হয়। বাড়ির মা বলেছেন, “বড় ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডারা। ভয়ে ছেলেকে মাসির বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ছোট ছেলে বাড়িতে রয়েছে কিন্তু তাঁকেও মারবে বলে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হুমকি দিয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে আমরা রয়েছি।”

    অর্জুনের বক্তব্য

    বিজেপি নেতা অর্জুন সিং সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছেন, “আমি নির্বাচন কমিশন এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহজিকে এই আক্রমণগুলি (Post Poll Violence) বন্ধ করতে এবং বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের জীবন, সম্পত্তি রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।”

    আরও পড়ুনঃ পুনর্গণনা ধোপে টিকল না, বালুরঘাটে জয়ী হলেন সুকান্ত

    হিংসার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন পার্থ

    ভোট-পরবর্তী (Post Poll Violence) হিংসা আবার শুরু হয়েছে বারাকপুর জুড়ে। বিজেপির দাবি, জাতীয় হিউম্যান রাইটস কমিশন-এর রিপোর্টে ২০২১ সালের ভোট-পরবর্তী হিংসার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তৃণমূল নেতা পার্থ ভৌমিক, তিনি আবার সক্রিয়। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর নির্দেশে আবার বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raju Bista: দার্জিলিংয়ে বিজয়রথ বিজেপির, প্রায় দুলক্ষ ভোটে জয়ী হলেন রাজু বিস্তা

    Raju Bista: দার্জিলিংয়ে বিজয়রথ বিজেপির, প্রায় দুলক্ষ ভোটে জয়ী হলেন রাজু বিস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং বিজেপিকে চায়। এবারের লোকসভা নির্বাচনের রেজাল্টে সেটাই প্রমাণ করল। পরপর চারবার দার্জিলিং আসনে জিতল বিজেপি। পরপর দু’বার জিতলেন রাজু বিস্তা (Raju Bista) । এবার রাজু বিস্তা ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৫২৫ ভোট জয়ী হয়েছেন। আর তার এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে আর একটি দিক উঠে এল, যে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুঙ্গ এখনও প্রাসঙ্গিক।

    উন্নয়নের জয় (Raju Bista)

    এই জয় দার্জিলিং কেন্দ্রের পাহাড় ও  সমতল মানুষের জয়,  উন্নয়নের জয় বলে জানিয়েছেন রাজু বিস্তা। তিনি বলেন, দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ উন্নয়ন চায়। সে কারণেই এখানে মানুষ বিজেপিকে জিতিয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো সামান্য ভাতার ওপর ভরসা করেনি। এখানকার মানুষ সচেতন বলেই তাঁরা এই সাহস দেখিয়েছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা করি। এতে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। গত লোকসভা নির্বাচনে চার লাখেরও বেশি ভোটেন ব্যবধানে জিতেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। এবার তার লড়াই কঠিন ছিল। ব্যবধান কমবে জানতেন রাজু বিস্তা (Raju Bista)। পাহাড়ের শাসকদল অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতন্ত্রের মোর্চার সঙ্গে জোট করে লড়েছিল তৃণমূল। অনিত থাপার কাঁধে ভর দিয়ে পাহাড়ের বিপুল ভোটে লিড পাওয়ার আশায় ছিল তৃণমূল। এর পাশাপাশি কংগ্রেস প্রার্থী মুণিশ তামাংকে পাহাড়ে অজয় এডওয়ার্ডের দল হামরো পার্টি সমর্থন করোছিল। তার থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কার্শিয়াং বিজেপির বিধায়ক বিষ্ণু প্রসাদ শর্মার নির্দল প্রার্থী হওয়া। এতে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে এবার পাহাড়ের ভোট ভাগাভাগি হবে। তাতে রাজু বিস্তার ব্যবধান কমবে। এতকিছুর পরেও রাজু বিস্তা পাহাড় থেকে প্রায় এক লক্ষ ভোটে লিড পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেসকে তারা চায় না। পাহাড়ের মানুষ উন্নয়নের জন্য বিজেপিকেই ভরসা করে। 

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রাম-সন্দেশখালিতে বিজেপির জয়, নত মস্তকে প্রণাম জানালেন শুভেন্দু

    অনিতের চাপ বাড়াল বিমল গুরুঙ্গ

    অনিত থাপা জিটিএর দায়িত্বে রয়েছেন। দার্জিলিং পুরসভাও তাঁর দখলে। পাহাড়ের পঞ্চায়েতও অনিত থাপার দলের দখলে। সব মিলিয়ে পাহাড়ে অনিত থাপাই শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। বিমল গুরুঙ্গ পাহাড়ের রাজনীতি থেকে হারিয়ে গিয়েছে, সেই প্রচারও ছিল। কিন্তু, এবারের লোকসভা ভোটে কালিম্পংয়ে রাজু (Raju Bista) ২৩৬৩২ ভোটে  লিড পেয়েছেন। দার্জিলিঙে ৩১৩৪৫, কার্শিয়াংয়ে ৩৮৫০৮ ভোটে লিড পেয়েছেন। এবার রাজু বিস্তাকে সমর্থন করেছিলেন বিমল গুরুঙ্গ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, পাহাড়ে অনিত থাপাকে পিছনে ফেলে রাজু বিস্তার লিড পাওয়ার ক্ষেত্রে বিমল গুরুংয়ের সমর্থন একটা ফ্যাক্টর। কার্যত বিমলের কাছে হেরে গেলেন অনিত থাপা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share