Tag: tmc

tmc

  • Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    Lok Sabha Election 2024: “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে”, কাঁথিতে আক্রমণ সৌমেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক বচসা হয়। একাধিক বুথে গেলে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। সেই সঙ্গে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে বিক্ষোভ দেখায়। সৌমেন্দু অবশ্য পর্যাপ্ত বাহিনী না থাকার অভিযোগ করেন। অপর দিকে তমলুক, মেদিনীপুর, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীদের তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা একাধিক বার হামলা করার চেষ্টা করেছে বলে বিজেপি অভিযোগ তুলেছে। একাধিক বুথে বিজেপির এজেন্টদের ঢুকতে বাধা, বুথে বসতে না দেওয়া এবং বুথের বাইরে অবৈধ জমায়েত করার মতো ঘটনা ঘটেছে। অবশ্য অশান্তি মূলের তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি।

    কী বললেন সৌমেন্দু (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের দিন (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে অশান্তি করার অভিযোগ তুলে সৌমেন্দু বলেন, “বুথে বুথে তৃণমূলের হার্মাদরা দৌরাত্ম্য চালাচ্ছে। বাহিনী কী করবে কী করবে না তা কী ওরা ঠিক করবে? বুথের সামনে ব্যাপক অবৈধ জমায়েত করা হচ্ছে। সকলের ভোটার আইডি দেখা হোক। আমি এখানকার প্রার্থী, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে কিনা, তাই দেখতে এসেছি।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পাল্টা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন, “বুথে বাহিনী অতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। যারা ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিচ্ছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বাহিনীর লোকজন বিজেপি নেতাদের বাইকে করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছে না।”

    আরও পড়ুনঃমেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য

    নন্দীগ্রামে ভোট দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা সৌমেন্দুর দাদা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভোটাধিকার (Lok Sabha Election 2024) আমাদের অধিকার। আমি আমার ভোট বিকশিত ভারতের জন্য মোদি জি-কে ভোট দিলাম। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করেছেন। তিনি তৃণমূলের অনেক চোরকে জেলে পাঠিয়েছেন। এই এলাকায় আরও বৃহত্তর উন্নয়নের জন্য বিজেপিকে দরকার। এই এলাকায় তৃণমূল সাফ হয়ে গিয়েছে। ২০০ টির বেশি বুথে তৃণমূল এজেন্ট খুঁজে পায়নি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    Lok Sabha Election 2024: মেদিনীপুর কেন্দ্রে ভোটের দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে রণং দেহি মুডে অগ্নিমিত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চলছে ষষ্ঠ দফা নির্বাচন। মেদিনীপুর লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হলেন অগ্নিমিত্রা পল। এই লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বুথ কেন্দ্রে বিজেপির এজেন্টদের তুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একেবারে কেশিয়াড়িতে অগ্নিশর্মা মেজাজে দেখা গেল অগ্নিমিত্রা পলকে। বুথের মধ্যেই পুলিশ ঢুকে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এরপর নিজেই পুলিশকে বার করে দেন বুথের ভিতর থেকে। এরপর ওই বুথে বিজেপির এজেন্টকেও বসান। কিন্তু বুথ থেকে বেরোলে তাঁকে ঘিরে পাল্টা বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল। ওঠে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। আবার খড়্গপুর সেরসা স্টেডিয়ামে ২৬৩ নম্বর বুথে ভোট দিলেন বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পাল (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিনে তৃণমূল এবং পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে অগ্নিমিত্রা বলেন, “পুলিশ অত্যন্ত নির্লজ্জ। বুথের ভিতরে ঢুকে পুলিশ ভোট করাচ্ছে। আমাদের বুথ এজেন্টদের গতকাল রাত থেকেই পুলিশ তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে। আজ সকালে অনেককে কোর্টে চালান করে দিয়েছে। আমাদের বুথে নতুন করে এজেন্ট বসাতে হচ্ছে। মমতা সরকারের পুলিশ, তৃণমূলের হয়ে সরাসরি কাজ করাচ্ছে। দরজায় দাঁড়িয়ে তৃণমূলের হয়ে ভোট করাচ্ছে পুলিশ।“ একই ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আপনারা কী চোখে দেখতে পান না? পুলিশ কীভাবে বুথের বাইরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার সাহস পায়। আপনারা কর্তব্য ঠিক মতো পালন না করলে আমরা অভিযোগ জানাবো কমিশনে। হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম।” একই ভাবে বেলদা থানার সাবড়ায় ৫৫ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অগ্নিমিত্রা।

    আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    ঝাড়গ্রামে প্রণত টুডুর গাড়িতে আক্রমণ

    নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) দিনে ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। ২০০ নম্বর বুথে দেখা দিয়েছিল ব্যাপক উত্তেজনা। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে যান মহিলারা। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আবার গাড়িতে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    Lok Sabha Election 2024: নন্দীগ্রামের পর মহিষাদলে খুন আরও ১, ভোটের দিনেও উত্তেজনা রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট গ্রহণের দিনেও অশান্ত তমলুক লোকসভা (Lok Sabha Election 2024)। খুন আরও এক ব্যক্তি। ষষ্ঠ দফা লোকসভা নির্বাচনের মাত্র একদিন আগেই নন্দীগ্রামে খুন হয়েছিলেন বিজেপি মহিলা কর্মী। ক্ষোভের আগুনে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। ভোটের দিন মহিষাদলের বেতকুণ্ডুতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের দাবি মৃত ব্যক্তি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। লোকসভার ভোটে রক্তাক্ত হয়েছে তমলুক লোকসভা। গণতান্ত্রিক উৎসবে শাসক দলের বিরুদ্ধে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

    ভোটে কেন খুন (Lok Sabha Election 2024)?

    জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম শেখ মইবুল। তাঁকে গতকাল শুক্রবার কুপিয়ে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের তির বিজেপির দিকে। প্রথমে বচসা হয় এরপর দুই পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি হন। এরপর বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। অপরে ঘটনায় বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যের সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে তৃণমূল। এই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে পরিকল্পনা করে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষের মনে ভয় তৈরি করে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) পরিবেশকে ভয়ভীতিপূর্ণ পরিবেশ করা হচ্ছে। গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজনৈতিক খুনের ঘটনা রাজ্যে ব্যাপক ভাবে হয়েছে। সব ক্ষেত্রে আঙ্গুল ছিল তৃণমূলের দিকেই। 

    আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অভিজিৎ

    এই ষষ্ঠ দফা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে রাজনৈতিক হিংসার কথা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে মহিলা বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন এই মৃত মহিলার ছেলে। ভোটের আগে থেকে রাতভর সন্ত্রাস চালায় দুষ্কৃতীরা। এই বিজেপি প্রার্থী বলেন, “পুলিশ সন্ত্রাস করছে। পুলিশের গায়ে উর্দি আছে তাই সন্ত্রাস করার অনুমতি পেয়ে গিয়েছে। মমতা-অভিষেক পরিকল্পনা করে এই সব করাচ্ছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ না করার চক্রান্ত চলেছে রাজ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করা হল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    এই তমলুক কেন্দ্র প্রথম থেকেই সকলের নজরে রয়েছে। এক দিকে বিজেপির প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, যিনি এসএসসি সহ একাধিক দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিপক্ষে রায় দিয়েছিলেন। একাধিক তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক জেলে গিয়েছেন। আবার এই লোকসভা কেন্দ্রের একটি বিধানসভা নন্দীগ্রাম বিধানসভা। এই কেন্দ্রে বিজেপির হয়ে শুভেন্দুর কাছে ভোটে হেরেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভার ভোটের জয়-পরাজয়ের একটি বিশেষ কেন্দ্র হিসেবে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে এই লোকসভা কেন্দ্র।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    Anubrata Mondal: অনুব্রত অনুগামীদের পার্টি অফিস থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিল তৃণমূলই !

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের দখল নিয়ে তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) অনুগামীদের কার্যালয় থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী গোষ্ঠীর অনুগামীরা। দরজায় তালা লাগিয়ে দেন তাঁরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Anubrata Mondal)

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে মঙ্গলকোটে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বীরভূমের প্রভাবশালী নেতা অনুব্রত (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই মঙ্গলকোটে তাঁর অনুগামীরা দলের মধ্যে কোণঠাসা হতে শুরু করে। এবার ফের নতুনহাটে দলীয় কার্যালয়ের দখলকে ঘিরে প্রকাশ্যে দুই গোষ্ঠীর বিবাদ শুরু হয়। বিবাদমান দুই গোষ্ঠীর অন্যতম নেতা তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মঙ্গলকোট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান শান্ত সরকারের অভিযোগ, আমাদের নেতা অনুব্রত। দাদা এখন জেলে বলে আমরা ব্রাত্য। আমাদের অনুগামীদের চড়-থাপ্পড় মেরে পার্টি অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজ করেছে তৃণমূল বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরীর অনুগামী বর্তমান উপপ্রধার ছাহিম মল্লিকের দলবল। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকা উত্তপ্ত হতে থাকে। শান্ত সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের মঙ্গলকোটে জন্মলগ্ন থেকে দল করে আসছেন। একদা অনুব্রতর স্নেহধন্য ছিলেন। আর তাঁরাই এখন দলের কাছে ব্রাত্য হয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকেই অনুব্রত গোষ্ঠীর অনুগামীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ-সহ বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুই পক্ষকেই কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পুলিশের তরফেও তৃণমূলের ওই কার্যালয়ের দরজায় আরও একটি তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    পুলিশ তালা দিয়েছে পার্টি অফিসে

    মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বলেন, ‘অফিস কখনও কারও ব্যক্তিগত হয় না। তৃণমূলের অফিসে সমস্ত দলীয় কর্মীরা বসবেন। এলাকায় অশান্তি রুখতে পুলিশ ওই অফিসে তালা দিয়েছে। আবার সময় হলে অফিস খুলে দেবে। আমি দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের জানিয়েছি। নেতৃত্ব যা বলবে তাই হবে।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপির বোলপুর জেলা সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি মেঘনাথ দাস বলেন, তৃণমূলের জঘন্য রাজনীতিতে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। পঞ্চায়েত ভোটে ওরা ভোট লুট করেছে। এখন নিজেদের মধ্যে লড়াই করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: পুরুলিয়ায় লুঙ্গি খুলিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে প্যান্ট পরালেন জ্যোতির্ময়

    Lok Sabha Election 2024: পুরুলিয়ায় লুঙ্গি খুলিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে প্যান্ট পরালেন জ্যোতির্ময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) ষষ্ঠ দফা ভোট গ্রহণ চলছে। কিন্তু ভোটের দিনেই বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল তাঁর প্রাক্তন স্বামী বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে নজীরবিহীন আক্রমণ করলেন। বিজেপি প্রার্থীকে ‘পাগল-ছাগল’ বললেন তৃণমূল প্রার্থী। পাশাপাশি বাঁকুড়া কেন্দ্রের একাধিক বুথে শাসল দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে বিজেপি। পুরুলিয়া লোকসভা কেন্দ্রের জেলা সদরে একাধিক বিজেপির বুথ ক্যাম্প ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বাঘমুণ্ডিতে প্রিসাইডিং অফিসার নিজে লুঙ্গি পরে ভোট করাচ্ছিলেন, তাই প্রার্থী জ্যোতির্ময় লুঙ্গি খুলিয়ে প্যান্ট পরালেন তাঁকে।

    পুরুলিয়াতে লুঙ্গি পরে ভোট গ্রহণ

    পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি বিধানসভায় ঝালদা গার্লস হাইস্কুলে বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। প্রিসাইডিং অফিসার নিজে লুঙ্গি পরে ভোট করাচ্ছেন। ঠিক বুথে (Lok Sabha Election 2024) ঢুকে হাতে নাতে ধরলেন বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মুসলিমদের প্রভাবিত করতে এই কাজ করা হচ্ছিল।” এক মহিলা ভোটার কার্ড নিয়ে এলেও নাম বলেতে পারেননি। ফলে ব্যাপক তর্ক বাঁধে। এরপর শুরু হয় বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে গো ব্যাক শ্লোগান।

    কী বললেন সুজাতা মণ্ডল (Lok Sabha Election 2024)?

    ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন সকাল সকালেই তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বিজেপি প্রার্থীকে আক্রমণ করে বলেন, “সৌমিত্র পাগল-ছাগল, পরপর দুইবার সাংসদ হয়েও এলাকায় কোনও কাজ করেননি। আমি ওঁকে প্রতিপক্ষ বলে মনে করিনা। বিজেপির লোকেরাই ওঁকে ভোট দেবে না। বিজেপি ইচ্ছে করে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে।”

    বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের রিগিং-এর অভিযোগ

    বিষ্ণুপুরে সারেস্বর মন্দিরে তৃণমূলের রিগিং রুখতে শিবের কাছে পুজো দিলেন সৌমিত্র খাঁ। পুজো দিয়ে বলেন, “বাবার কাছে পুজো দিলাম। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন যে সকল জায়গায় রিগিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আমরা শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করব।”

    আরও পড়ুনঃ “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    তৃণমূলের অভিযোগ

    অপর দিকে ভোট গ্রহণ (Lok Sabha Election 2024) নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বাঁকুড়া তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। তিন বলেন, “ইভিএম-এর এক নম্বর বোতামকে ইচ্ছে করে কাত করে আড়াল করা হয়েছে। রঘুনাথপুরে ৫টি মেশিনে শুধু বিজেপির স্টিকার লাগিয়ে রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে এখনই অভিযোগ করব।” আবার বড়জোড়ার তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “বুথে থাকা বাহিনী রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করছেন। তাঁরা অতি সক্রিয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chaterjee: “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    Hiran Chaterjee: “ঘাটালে বহু বুথে বিজেপির এজেন্ট বসতে দিল না তৃণমূল”, তোপ হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘাটালে নিজের গড় বাঁচাতে রাত জাগলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chaterjee)। কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। শনিবার ভোর থেকে ফের এলাকায় এলাকায় চষে বেড়়ালেন তিনি। পুলিশি সন্ত্রাসের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

    কেশপুরে অর্ধেক বুথে এজেন্ট বসতে দেয়নি (Hiran Chaterjee)

    এদিন সকাল সকাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরণ (Hiran Chaterjee) বলেন, ‘সারারাত ধরে আনন্দপুর, কেশপুরে ঘুরেছি আমি। কোথাও আমি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখতে পাইনি। জওয়ানরা শুধুমাত্র স্কুলের ভিতরে বসে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। এবং এরপর রাতে তাঁরা ঘুমিয়েছেন। আর কেশপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় এবং আনন্দপুর থানার ওসি সানি, এরা দু’জনে মিলে তৃণমূলকে জেতানোর জন্যে দায়িত্ব নিয়ে সারারাত আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। গতকাল কেশপুর এবং আনন্দপুরে বোমের বৃষ্টি হচ্ছিল। আমাদের দলের পোলিং এজেন্টের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চমকেছে, ধমকেছে। আজ সকাল থেকে আর্ধেক জায়গায় আমাদের পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। তাঁদেরকে তৃণমূলের অফিসে বসিয়ে রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমালের জন্য বঙ্গে একাধিক ট্রেন বাতিলের ঘোষণা দক্ষিণ পূর্ব রেলের

    হিরণের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ!

    এদিন সকালে কেশপুর সহ একাধিক এলাকা চষে বেড়ানোর সময় বিজেপি প্রার্থীর (Hiran Chaterjee) গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়। লাঠি হাতে তৃণমূলের লোকজন বিক্ষোভ দেখান। যদিও তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেন। বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূলীরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

    ঘাটালের বিজেপি প্রার্থীর আরও অভিযোগ,কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখা মিলছে না। এটা ঠিক কী ধরনের গণতন্ত্র আমি জানি না। পঞ্চায়েত ভোটেও এমনটা হয়নি। নির্বাচন কমিশন কী করতে চাইছে, কেন করতে চাইছে, সেটা আমরা কেউ বুঝে উঠতে পারছি না। সারা রাত আমরা কর্মীদের মনে সাহস জুগিয়েছি। এছাড়া আমাদের কাছে কিছু করার নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপরে আস্থা রাখা তো দূরের কথা, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ডিআইজি শুক্রবার রাতে আমার সঙ্গে অসভ্য ভাষায় কথা বলেছেন। অত্যন্ত নোংরা ভাষায় তিনি কথা বলেন আমার সঙ্গে। তিনি আমাকে বলেন, তাঁর কোনও দায়িত্ব নেই এলাকা সামলানোর। কেন্দ্রীয় বাহিনী তো আর আমার না। আমি কোনও দলভিত্তিক কথা বলব না। যেটা সত্য, আমি সেটাই বলছি এখানে। আমাদের দল গোটা পরিস্থিতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানাচ্ছে। কেশপুর, সবং, পিংলায় কিউআরটি টিম খায় না মাথায় দেয়, সেটাই বুঝলাম না আমরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    Abhijit Ganguly: “ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া!” সরব অভিজিৎ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দুদিন আগে বিজেপি নেতার মাকে কুপিয়ে খুন হওয়ার ঘটনা থেকে অগ্নিগর্ভ নন্দীগ্রাম। সেই নন্দীগ্রামে ভোটের আগের রাতে পুলিশি সন্ত্রাস নিয়ে সরব হলেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। তৃণমূলের হয়ে পুলিশ প্রকাশ্যে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। আর শনিবার ষষ্ঠদফা ভোটের দিন ভোর থেকেই রীতিমতো নিজের একাধিক কেন্দ্র চষে বেড়ালেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

     ভোটের দিন পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মীরা ঘরছাড়া! (Abhijit Ganguly)

    এদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুতি হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। এবারই প্রথমবার নির্বাচনে লড়ছেন তিনি। আর এদিন সকাল থেকেই তাঁকে দেখা গেল একেবারে অ্যাকশন মোডে। সাত সকালেই ছুটলেন হলদিয়া। অভিযোগ তুললেন, পুলিশি সন্ত্রাসের। এদিন সকালে বেরিয়েই তিনি অভিযোগ তোলেন, নন্দীগ্রামে ব্যাপক সন্ত্রাস চালাচ্ছে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের ভয় দেখানো হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। অভিজিৎ বলেন, “গভীর রাতে ব্যাপক সন্ত্রাস চালিয়েছে পুলিশ। ৩-৪ হাজার পুলিশ গাড়ি নিয়ে ঢুকেছিল এলাকায়। অবজারভারের কাছে জানানোর অনেক পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পুলিশি সন্ত্রাসের জেরে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে মাঠে-ঘাটে লুকিয়েছিলেন। যেখানে জানানোর সেখানে আভযোগ জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: বাংলার শাহবাজের বলে বিদায় রাজস্থানের, আইপিএল ফাইনালে কলকাতার সামনে হায়দরাবাদ

    বিজেপি এজেন্টকে বসতে বাধা

    এদিন সকালে হলদিয়ার ২০৮ নম্বর বুথে গিয়ে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী (Abhijit Ganguly) বলেন, “এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না। তাই আমাকে আসতে হয়েছে। বিজেপির মহিলা এজেন্টকে বসতে দেওয়া হয়নি। আমি গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর বসতে দেওয়া হয় তাঁকে। কী করছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী এই প্রশ্ন শুনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় বাহিনী বাঁশি বাজাচ্ছিল, শ্যামের বাঁশি।” হলদিয়ার একটি বুথে তৃণমূলীরা বিজেপি প্রার্থীকে বিক্ষোভ দেখান। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে নকল মদ তৈরির কারখানার হদিশ মিলল তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে, শোরগোল

    Jalpaiguri: জলপাইগুড়িতে নকল মদ তৈরির কারখানার হদিশ মিলল তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবৈধ বালি পাথর পাচারের পরে এবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার ময়নাগুড়ির রামশাই এলাকায় উদ্ধার হল নকল মদ তৈরির কারখানা। এই কারখানার মালিক নিরঞ্জন রায়। তিনি ওই এলাকার যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সহ সভাপতি। বর্তমানে তিনি তৃণমূল কর্মী। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি নিজের বাড়িতে নকল মদ তৈরির কারখানা তৈরি করে কারবার করছিলেন। ঘটনার পর থেকে উধাও অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

    শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) আবগাড়ি দফতরের পক্ষ থেকে তার বাড়িতে হানা দেওয়া হয়। সেখানে গিয়ে তাদের চক্ষু চড়কগাছ হবার যোগার। গোটা বাড়ি ভর্তি মদ তৈরির সরঞ্জাম, সঙ্গে কার্টুন কে কার্টুন নকল মদ মিলেছে। এদিকে আবগারি দফতরের গাড়ি দেখেই নিরঞ্জন ও তাঁর বাড়ির লোকজন আগেই চম্পট দিয়েছে। সব চাইতে বড় কথা নিরঞ্জনের প্রতিবেশীরাও বিষয়টি ঘুনাক্ষরে টের পাননি। সেখানে যে এইভাবে মদ তৈরি হত, সেটা তাদের গোচরে আসেনি। পাশাপাশি এলাকার মানুষ জানান, নিরঞ্জন রায় এলাকায় একজন কুখ্যাত ব্যক্তি বলেও খানিকটা পরিচিত। তাই তিনি কি করত বা করছে সেই দিকে কেউ নজর দিতেন না। তবে তাঁর বাড়িতে যে বেআইনিভাবে মদ তৈরি হত এটা তাঁরা কল্পনাও করতে পারেন নি। গোটা ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মদের পরিমাণ এতটাই ছিল, যে আবগারি দফতরকে বেশ কয়েকটি গাড়ি ডাকতে হয়। দুটি ট্রাক ও ৫ টি পিক-আপ ভ্যানের প্রয়োজন হয় উদ্ধার হওয়া মদ গুলি নেওয়ার জন্য।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    আবগারি দফতরের আধিকারিক কী বললেন?

    আবগারি (Jalpaiguri) দফতরের এক আধিকারিক বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল যে এখানে নকল মদ তৈরি হয়। কিন্তু, এত পরিমাণ মদ তৈরি হওয়ার কথা তারাও ভাবতে পারেননি। বেশ কয়েক ব্যারেল মদ তৈরির সরঞ্জাম এবং প্রায় ৬০০ কার্টুন তৈরি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তের বাড়িটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে আবগারি দফতর সূত্রে জানা গেছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই  বিষয়ে রামশাই অঞ্চলের (Jalpaiguri) তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি জানান, নিরঞ্জন আগে যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি পদে নিযুক্ত ছিল। কিন্তু বর্তমানে তিনি দলের কোনও পদে নেই। তার চাল চলন দেখে দলের পক্ষ থেকে তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, আজকের এই রেড আবগারি দফতরের আধিকারিকরা শুধু মাত্র খবরের কাগজে নাম তোলার জন্য করেছেন। তাছাড়া তারা এই হানা দিয়ে বড্ড ভুল করেছেন। রাজ্যে তৃণমূল নেতা কর্মীরা বেআইনি কাজ করবে এটাই তো স্বাভাবিক।  এরাই তো বেআইনি ভাবে মদ তৈরী করবে এ আবার নতুন কি? সেই মদ খেয়ে মানুষ মারা যাবে তাদের মৃত্যু নিয়ে তৃণমূলই আবার রাজনীতি করবে। মুখ্যমন্ত্রী মৃত্যুর দাম বেঁধে দেবেন এটাই এই রাজ্যের নিয়ম। আর আজকের এই হানায় লাভের লাভ কিচ্ছু হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর সন্ন্যাসীদের অপমান করার কারণ ব্যাখ্যা করলেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: মুখ্যমন্ত্রীর সন্ন্যাসীদের অপমান করার কারণ ব্যাখ্যা করলেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৪ জুন লোকসভা নির্বাচনের গণনা। সেই গণনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মীদেরকে নিয়ে বৈঠক করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত গণনার প্রস্তুতি নিয়ে শুক্রবার এই বৈঠক করা হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা শাসক তথা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনী আধিকারিক বিজিন কৃষ্ণা এদিন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনের আত্রেয়ী মিটিং হলে এই বৈঠক হয়। বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার এই বৈঠকের যোগ দেওয়ার জন্য এদিন কলকাতা থেকে বালুরঘাটে আসেন।

    গতবারের তুলনায় এবার লিড আরও বাড়বে! (Sukanta Majumdar)

    কোর কমিটির বৈঠক নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মূলত গণনাকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রস্তুতি আগে থেকেই শুরু করেছি। একবার ঝালিয়ে নেওয়া সব ঠিকঠাক আছে কিনা। এবার লিডের পরিমাণটা যেন গতবারের থেকে বাড়ে। গতবার তো ৩৪ হাজার লিড পেয়েছিলাম, এবার যেন তার থেকে বেশি লিড পায়। সেই জন্য এই বৈঠক। পাশাপাশি এদিন জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করা হল। এদিন জেলাশাসক সব দলের প্রার্থীদেরকে নিয়ে বৈঠক করেন। আমি বৈঠকে যোগ দিয়ে গণনা কেন্দ্রের কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বললাম।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

    বাংলাদেশের সাংসদ খুনের তদন্ত করুক কেন্দ্রীয় এজেন্সি!

    কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে খুন বাংলাদেশের সাংসদ। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যের ইন্টারন্যাল সিকিউরিটি ভয়ঙ্কর জায়গায় আছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি চিন্তিত। বাংলাদেশের সাংসদের খুনের ঘটনায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়ার দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, রাজ্য গোয়েন্দার ব্যর্থতার কথা। বিদেশের অতিথিদের সুরক্ষা দিতে না পারা এবং রাজ্য গোয়েন্দারা কোনও খোঁজ খবর রাখে না, এই ঘটনায় সেটাই প্রমাণ করছে। বিদেশের নির্বাচিত প্রতিনিধি একজন সাংসদ তার সুরক্ষা দিতে ব্যার্থ পুলিশ। তাহলে রাজ্যের নাগরিকদের কি সুরক্ষা দেবে। দ্রুত খুনের কিনারা করতে না পারলে কলকাতা পুলিশের উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া।

    ষষ্ঠ দফার ভোট নিয়ে সরব

    রাত পোহালেই বাংলায় ষষ্ঠ দফার ভোট জঙ্গলমহল সহ উত্তপ্ত নন্দীগ্রামও। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, শান্তিপূর্ণ ভোট হবে কি না  সেতো ভোটের দিন দেখা যাবে। কিন্তু, বাস্তবিকতা এইটা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব স্বচ্ছভাবে নির্বাচন করানোর। যদি তারা না পারে তাহলে নির্বাচন কমিশন থাকা, না থাকা একই ব্যাপার হল। নির্বাচন কমিশনকে কড়া হাতে এই দুষ্টদের দমন করতে হবে। যতই গুন্ডামি করুক সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    মুখ্যমন্ত্রী সন্ন্যাসীদের অপমান করেছেন

    বঙ্গীয় সন্ন্যাসী সমাজের উদ্যোগে সাধু সন্তদের খালি পায়ে স্বাভীমান যাত্রা। সনাতনীদের অপমানের প্রতিবাদ। এখনও ক্ষমা চাইলেন না মমতা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু ধর্মের সন্ন্যাসীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন না। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, হিন্দুরা একত্রিত হয়ে ভোট দেয় না। এইটা যদি ইসলাম সমাজের কিছু হতো তাহলে তিনি ক্ষমা চেয়ে নিতেন, কারণ তিনি জানেন ইসলাম গুরুর কথায় মুসলিমরা একত্রিত হয়ে ভোট দেয়। তাই, মুখ্যমন্ত্রী সন্ন্যাসীদের অপমান করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত”, শাসকদলকে তোপ দাগলেন দিলীপ

    Dilip Ghosh: “তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত”, শাসকদলকে তোপ দাগলেন দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই তৃণমূল সরকারকে ফেলে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। শনিবার দুপুরে বিজেপির বর্ধমান জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। সেখানেই রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি।

    তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়া উচিত (Dilip Ghosh)

    এদিন ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি করলে যেমন চাকরি যায়, তেমনি ভুয়ো আইন করে যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের সরকার ফেলে দেওয়া উচিত। কারণ, নৈতিকভাবে তারা সংবিধানকে ধোকা দিয়ে জিতে এসেছে। যারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে, সেই সরকারের আদৌ ক্ষমতায় থাকা উচিত কিনা বিবেচনা করা দরকার। আমার মতে, তৃণমূল সরকার ফেলে দেওয়া উচিত।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে পুলিশের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, সরব বিজেপি

     মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দেশ ভাগের চক্রান্ত করছেন

     মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধৃষ্টতা দেখুন, তিনি (Dilip Ghosh) বলছেন, কোর্টের রায় মানবো না। প্যাঁচে পরে তিনি বারবার কোর্টে যাচ্ছেন। যখন সিঙ্গুরে জমির জন্য কোর্টে গিয়ে জিতে টাটাদের তাড়িয়েছিলেন, তখন কোর্ট ঠিক ছিল। আজকে যেহেতু তাঁর অপকর্মের বিরুদ্ধে কোর্ট রায় দিয়েছে তাই তিনি কোর্টকে মানবেন না। আমরা জানি তিনি সংবিধান মানেন না, লোকসভার সিদ্ধান্ত মানেন না, সুপ্রিম কোর্টকে মানেন না। সিএএ, জিএসটির বিরোধিতা করেছেন, তিন তালাকের বিরোধিতা করছেন। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা হটানো হয়েছে, তিনি তাঁর বিরোধিতা করছেন। এই যে মানসিকতা এটা বিচ্ছিন্নতাবাদী মানসিকতা। স্বাধীনতার আগে এরকম হয়েছিল বলে দেশ ভাগ হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার দেশ ভাগের চক্রান্ত করছেন। দেশ বিরোধিতা, রাষ্ট্র বিরোধিতা যারা করছেন তিনি তাদের সঙ্গে আছেন। তিনি তাদের সুরে কথা বলছেন। তিনি পাকিস্তান, বাংলাদেশের উগ্রপন্থীদের সুরে কথা বলছেন, এটা খুব ভয়ংকর।

    নন্দীগ্রামে হামলা নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ

    অন্যদিকে, নন্দীগ্রামের ভেটুরিয়ায়  শুক্রবার রাতে ৬ জন তৃণমূল কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ওখানে গিয়ে হেরেছেন, তাই সেখানে জেতার সম্ভাবনা  নেই। বড় আকারে লিড আমরা পাব। শুভেন্দু অধিকারী ওখানকার বিধায়ক তিনি লড়াই করছেন। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে, হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে সেরকম রক্ত ঝরেনি, খুন হয়নি। কিন্তু, শেষের দিকে আবার শুরু হয়ে গেল। যত ভোটের শেষের দিকে আসছে তত ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মারপিটের রাজনীতি করি না। যদি করতাম তাহলে উত্তরবঙ্গে দেখিয়ে দিতাম। এই যে আমার বিরুদ্ধে কেস করেছে আমি কি মারতে গেছি? আমরা এইসব রাজনীতি করিনা। কারণ, মানুষ বিজেপির পক্ষে রায় দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share