Tag: tmc

tmc

  • Lok Sabha Election 2024: অর্জুন গড়ে বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে পেটালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    Lok Sabha Election 2024: অর্জুন গড়ে বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে পেটালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর লোকসভায় অর্জুন সিংকে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল ছেড়়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। আর কয়েকদিন পরই ভোট (Lok Sabha Election 2024)। এই আবহের মধ্যে এবার অর্জুনের খাসতালুক ভাটপাড়ায় এক বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আর হামলার ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আর তা নিয়েই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে ভাটপাড়ায়। ক্ষোভে ফুঁসছেন বিজেপির কর্মীরা। ভাটপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মার (Lok Sabha Election 2024)

    অভিযুক্তের নাম লালন চৌধুরী। তিনি ভাটপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে কিল, চড়়-ঘুষির পাশাপাশি পেটে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে  তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি কর্মীকে তৃণমূল কাউন্সিলর কিল, চড়, ঘুষি মারছেন। তারপর ওই যুবক মাটিতে পড়ে গেলে, তাঁর পেটে লাথিও মারা হয় বলে অভিযোগ। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্ত ভাটপাড়া পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর লালন চৌধুরী বলেন, ওই যুবক মদ্যপ ছিল। তাঁকে বারবার ওই এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হচ্ছিল। কিন্তু তিনি না সরায়, তাঁকে মারধর করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপি রাজনীতির রং লাগিয়ে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ওই যুবক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির কোন মহিলাদের অত্যাচার করা হয়েছে দলীয় সভায় বললেন শুভেন্দু

    অর্জুন সিং কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেছেন, “এই লোকসভায় তৃণমূলের যোগদান লেগেই রয়েছে। বিজেপির অবস্থা ভালো বুঝতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তৃণমূল। তাই, দলীয় কর্মীদের ওপর এভাবে হামলা চালিয়ে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল। আর ভিডিয়োতেই স্পষ্ট ঠিক কী ঘটেছে, আমরা প্রশাসনের সব জায়গায় বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশ যদি ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা অন্য ব্যবস্থা নেব। কারণ, দলীয় কর্মীর ওপর হামলা আমরা মেনে নেব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির কোন মহিলাদের অত্যাচার করা হয়েছে দলীয় সভায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালির কোন মহিলাদের অত্যাচার করা হয়েছে দলীয় সভায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী  (Suvendu Adhikari) এই ভিডিওকে ফেক ভিডিও বলেছিলেন। এবার সন্দেশখালির কোন মহিলাদের বেছে বেছে অত্যাচার করা হয়েছে তা প্রকাশ্য সভা থেকে তিনি তা জানিয়ে দেন। পাশাপাশি তৃণমূলকে তুলোধনা করেন বিরোধী দলনেতা।

    বেছে বেছে প্রতিবাদী মহিলাদেরকে অত্যাচার করেছে (Suvendu Adhikari)

    হাওড়ার সভা থেকে সন্দেশখালি নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, যত বেশি অসভ্যতা করবে ততই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নারী বিদ্বেষী, নারী বিরোধী চরিত্র মানুষ দেখতে পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব গায়ে লেগেছে। ফেক ভিডিও ছাড়ার পরেও সন্দেশখালির মা বোনেরা প্রতিবাদ করেছেন। তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি জনশক্তি নেই। তাই পুলিশকে ক্যাডারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে। এরা বেছে বেছে প্রতিবাদী মহিলাদেরকে, বিশেষ করে  সিডিউল কাস্ট মহিলাদের ওপরে অত্যাচার করছে।

    আইনি লড়াই চলবে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বিজেপি সন্দেশখালির আন্দোলনরত মহিলাদের পাশে এখনও রয়েছে। আইনি লড়াই থেকে তারা পিছু হটবে না। কলকাতা হাইকোর্ট সন্দেশখালি মিথ্যা মামলার ওপরে হস্তক্ষেপ করেছে। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন, আইনি লড়াই চলবে। আমরা যেভাবে সন্দেশখালিতে প্রথম দিন থেকে মা বোনেদের সঙ্গে লড়েছি, নরেন্দ্র মোদি প্রত্যেকটা সভাতে সন্দেশখালির মা বোনেদের সমর্থন দিয়েছেন। বিজেপি পরিবার, মোদি পরিবার, সন্দেশখালির মা বোনেদের সঙ্গে রয়েছে।

    সন্দেশখালির ভিডিও ফেক!

    সন্দেশখালিতে যে প্রথম ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, সেই ভিডিওতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের মুখে শুভেন্দু অধিকারীর নাম শোনা যায়। গঙ্গাধরকে বলতে শোনা যায়, সেখানে নাকি মহিলাদের নিগ্রহ করা হয়নি। যদিও, শুভেন্দু বরাবার দাবি করে এসেছিলেন এই ভিডিও ফেক। এমনকী, গঙ্গাধরও বলেছিলেন, তৃণমূল হাই টোকনোলজি ব্যবহার করে এই ভিডিও বানিয়েছেন।  সেই প্রসঙ্গ আরও একবার তোলেন বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন”, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন”, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) নিয়ে রাজ্যের তৃণমূল সরকার বিরাট চাপের মুখে। এই মামলায় আপাতত সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এখনও চাকরি থাকলেও ১৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি রয়েছে। এরপরই প্রকৃত ভাগ্য নির্ধারণ হবে চাকরি প্রার্থীদের। ভোট প্রচারের আবহেই পথসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “টাকা দিয়ে পাওয়া চাকরি বেশি দিন বাঁচবে না।”

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত(Sukanta Majumdar)?

    সোমবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার কোতুলপুর নেতাজী মোড়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে একটি পথসভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “টাকা দিয়ে দুর্নীতি করে পাওয়া চাকরি বেশি দিন টিকবে না। এটাই সুযোগ, তাই তৃণমূল নেতাদের বাড়ি গিয়ে কলার ধরে টাকা আদায় করুন। একা না পারলে সঙ্গে বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে যান। বিজেপি ঝান্ডা এবং ডান্ডা নিয়ে গিয়ে সেই টাকা উদ্ধার করে দেবে।”

    আরও পড়ুনঃ দলীয় প্রার্থী প্রসূনকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের, ভোটের মুখে কোন্দল প্রকাশ্যে

    আর কী বললেন?

    টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার প্রতিবাদে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, “বেকার ছেলেদের অনেকে জমি বিক্রি করে চাকরির জন্য তৃণমূল নেতাদের টাকা দিতে হয়েছে। এখন চাকরি চলে গেলে তাঁরা কী করবেন? তাঁকে তো টাকাটা আদায় করতেই দিতে হবে। সে একা না পারলে আমরাও সঙ্গে যাব। উল্টো করে ঝুলিয়ে বমি করিয়ে টাকা বের করব।” পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, “এখন বিজেপির পক্ষে হাওয়া, এরপর সুনামি আসবে। তাই আগেভাগে ঘুরে যান। এবার ৩০ এর উপর আসন পেলে এক বছরের মধ্যে নবান্নে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বসবে। হামলা হলে ব্যবস্থা নিন। না হলে বিজেপি ব্যবস্থা নেবে।” পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি সুকান্ত সমাজে উস্কানি দিচ্ছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: দলীয় প্রার্থী প্রসূনকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের, ভোটের মুখে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Howrah: দলীয় প্রার্থী প্রসূনকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের, ভোটের মুখে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূলের কঙ্কালসার চেহারা আবার প্রকাশ্যে চলে এল। সোমবার নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কার্যত বিক্ষোভের মুখে পড়লেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। হুডখোলা জিপে প্রচার করার সময় পুরনো কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এতেই ধৈর্য হারান তিনি। আর ভোটের মুখে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার হাওড়া (Howrah) এলাকায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় হুডখোলা জিপে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে ছিল। প্রচার চলাকালীন সেই সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তৃণমূল প্রার্থীর দিকে এগিয়ে যান। জগৎ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “১৯৯৮ সাল থেকে আমরা দুলাল সেনের নেতৃত্বে পার্টিটা করি। আমরা এতদিন ধরে পার্টি করে আসছি। বিক্রম সরকারকে আমরা জিতিয়েছি। প্রসূনবাবুকেও তিনবার জিতিয়েছি। হঠাৎ এই পুরনো টিমটাকেই বাদ দিয়ে দিল। নতুন নতুন ছেলে মনোজ তিওয়ারির মতো লোকজন এসেছে। এরা আমাদের বাদ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও বুথ স্লিপ আসেনি। এটা বিরোধিতা নয়। আপনাদের অ্যাটেনশনের জন্য বলছি। এভাবে চলতে থাকলে কর্মীরা বসে যাবে। দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর উৎসাহ হারিয়ে যাবে।” অবিলম্বে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার তাঁরা আর্জি জানান। তবে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের ক্ষোভ একটুও কমেনি।

    আরও পড়ুন: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    বিজেপি প্রার্থী ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করেন

    হাওড়া (Howrah) সদরের বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তী এই ঘটনার তীব্র কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “যেভাবে শিবপুর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় তোলাবাজি সহ নানা ধরনের কাটমানির খেলা চলছে। তাতে মন্ত্রী এবং সাংসদ দুজনেই দায়ী। সাংসদ এবং মন্ত্রী দুজনেই দুর্নীতিতে যুক্ত। আজ মানুষ ক্ষোভ চেপে রাখতে না পেরে তারা বিক্ষোভ দেখান। ভোট যত এগিয়ে আসবে এই ঘটনা তত বাড়বে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শুভেন্দুর পোস্টারে আপত্তি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা তৃণমূলের, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    Sandeshkhali: শুভেন্দুর পোস্টারে আপত্তি! বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা তৃণমূলের, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাগদিপাড়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় সোমবার দুপুরে এলাকার কয়েকজন বিজেপি কর্মীরা রাজ্যের বিরোধীদল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর একটি পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। সেই সময় এলাকার বেশ কিছু তৃণমূলের কর্মী সেই পোস্টার লাগাতে বাধা দেয়। বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তাদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের হামলায় দুজন বিজেপি কর্মী জখম হন। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে সন্দেশখালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়।

     আবারও সন্দেশখালিতে সিবিআই প্রতিনিধি দল (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) খুলনা এলাকায় সঞ্জয় মণ্ডলের বাড়িতে সোমবার দুপুরে হানা দেয় সিবিআই এর চার সদ্যসের প্রতিনিধি দল। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও রয়েছেন। ২০১৯ সালে বিরোধীদল করার অপরাধে শেখ শাজাহানের বাহিনী এই সঞ্জয় মণ্ডলের বাড়িতে চড়াও হয়। বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সঞ্জয় মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে। এই অভিযোগ করে সিবিআই এর মেল এ অভিযোগ করেন সঞ্জয়বাবু। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সঞ্জয়ের বাড়িতে আসে সিবিআই। তাদের কাছ থেকে পুরো ঘটনাটি শোনেন সিবিআই আধিকারিকরা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

    কাঠপোল বাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মী -সমর্থকদের

    রবিবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটে। মিথ্যা ভিডিও তৈরি করে মেয়েদের বদনাম করা হচ্ছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। রাস্তায় ফেলে তৃণমূল নেতাদের পেটানো হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় চারজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে সন্দেশখালি থানার পুলিশ। ধৃত এই চারজন বিজেপি কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। তৃণমূল পরিকল্পনা করিয়ে পুলিশকে দিয়ে তাদের গ্রেফতার করিয়েছে। পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে এমনটাই দাবি জানিয়ে সোমবার সন্দেশখালির বেড়মজুরের কাঠপোল বাজারে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    Lok Sabha Election 2024: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের সামনেই বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন দুর্গাপুর ২৭৭ এসি ৮২ নম্বর বুথের সামনে থেকে তৃণমূলের বাহিনী বিজেপি বিধায়ককে তুমুল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ২৭৭ এসি ৮২ নম্বর বুথে বিজেপি পোলিং এজেন্ট রাহুল সাহানি’কে বুথে ঢুকতে বাঁধা দেয় তৃণমূল। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র ঘোরুই যান। তৃণমূল নেতা কর্মীরা ধাক্কা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন।  পুলিশের সামনে বিধায়কের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন তৃণমূলের লোকজন। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র ঘোরুই বলেন, পুলিশের সামনে তৃণমূলের লোকজন আমার গায়ে হাত দিয়েছে। এসব চলতে পারে না। আমরা সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানাব।

    বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ

    দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর  করার অভিযোগ ওঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কর্মীদের বক্তব্য, আমরা বুথের বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা ১৫০ জন তৃণমূল কর্মী আমাদের ওপর চড়াও হয়। দুটি বাইক ভাঙচুর করে। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী। ব্যাপক উত্তেজনা।

    বুথে তৃণমূল নেতার দাপাদাপি! (Lok Sabha Election 2024)

     এদিন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন আসানসোল জামুরিয়া এলাকায় বহু বুথে বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়ায় বলে বিজেপির অভিযোগ। আসানসোল পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুলটির লালবাজার এলাকায় ৫৮ / ৫৯ নম্বর বুথে উত্তেজনা। বিজেপির অভিযোগ, কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত দলবল নিয়ে বুথে ঢোকার চেষ্টা করে। ওই ওয়ার্ডের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও কী করে বিমান দলবল নিয়ে সেখানে আসে? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি প্রতিবাদ করলে দু পক্ষের তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে ।

    বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বাধা

    পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভারি বিলপাহাড়ি গ্রামে বিজেপির পোলিং এজেন্ট  শুভজিৎ দেওয়াসীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ সকাল থেকে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে তৃণমূল কর্মীরা। শুভজিৎ বলেন, আমাকে তৃণমূলের লোকজন বুথে বসতে দেয়নি। ওরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তিনি ওই এলাকার ভোটার নয় বলেই পুলিশ হরিপুরের গাইঘাটা মোড়ে তাঁর গাড়ি আটকে দেয। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তিন ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের চাপে আসানসোল ফিরে গেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, পুলিশ এবং প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। পাণ্ডবেশ্বর জুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। আমাদের এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না। আর পুলিশ প্রশাসন আমাকে বাধা দিচ্ছে।  ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফায় রাজ্যে লোকসভার ভোট গ্রহণ শুরু হতে দিকে দিকে অশান্তির খবর উঠে আসছে। লাগাতার বহরমপুর এবং বীরভূমে উত্তপ্ত হওয়ার খবর আসছে। এবার বর্ধমানের কাঞ্চনপুর এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মীদেরকে খুনের হুমকি দিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল পাঁচটার পরে বিজেপির লোকজনকে খুন করা হবে। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাস এবং তাঁর দলবল এই হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা তৃণমূলকে এই হুমকির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    আবার চতুর্থদফা নির্বাচনের দিনেই দুর্গাপুরের তুল্লাবাজার এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণে গাড়ির কাচ ভাঙল। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের। বুথে ঝামেলার কথা জানতে পেরে ছুটে যান তিনি। এরপর তাঁর গাড়িকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। আধলা ইট মেরে ভেঙে দেওয়া হয় সংবাদ মধ্যমের গাড়ি। একই ভাবে দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয় গো-ব্যাক স্লোগান।

    কী বললেন দিলীপ (BJP)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন সকালেই বেলেপুকুর প্রাইমারি স্কুলে আসেন দিলীপ ঘোষ। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আর সেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, “বর্ধমান দুর্গাপুরে এই খুনোখুনি হতে দেবো না। সেই কারণেই আমি এলাকা ঘুরছি। বিজেপি (BJP) কর্মীদের পাশে আমি সবসময় রয়েছি। এই খোকন দাস একজন ছিঁছকে মস্তান। কাউন্সিলরের মতো ব্যবহার করছেন। এলাকায় কাটমানি তোলে, এলাকায় মানুষকে ভয় দেখায়। খুনের হুমকি দিয়ে বেড়ায়।” তাঁকে ঘিরে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তিনি বলেন,“রাজ্যের দুষ্কৃতীরা ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে। বিজেপি কর্মীদের মেরে বার করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবটাই দেখছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগের রাতেই খুন তৃণমূল কর্মী! পরিবারের দাবি দলের গোষ্ঠীকোন্দল

    ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব

    একই ভাবে তৃণমূল নেতা খোকন দাসের হুমকির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার বিজেপি (BJP) নেতা অভিলাস দাস বলেন, “এখানে এসে এই তৃণমূল নেতা হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। ওঁর গুন্ডারা বলেছে বিজেপির ছেলেদের কেটে ফেলবে। সবাইকে মাটির নিচে পুঁতে দেবে। এলাকার মহিলাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওঁর ড্রাইভার বাজারে দাঁড়িয়ে মহিলাদের হুমকি দিয়েছে। ওঁদের এত বড় ক্ষমতা, কত বড় হনু হয়েছে আমরাও দেখব? একই ভাবে আমার বউকে হুমকি দিয়েছে। আমরাও ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব দেখি কী করে এই তৃণমূল নেতা।” চতুর্থ দফায় আজ এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    Birbhum: বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের শক্ত জমি আলগা হয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি বিরোধীদের। শাসক দলের নেতাদের একাংশ সেটা জানেন। আর তাই ভোটের আগের দিন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রামে টাকা, কাপড় বিলির অভিযোগ। আর তা ঘিরেই তুমুল হইচই বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের তাড়া খেয়ে চটি ফেলে মোটর সাইকেল নিয়ে কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচলেন মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ ঘোষ। তৃণমূল নেতার ছুটে পালানো দেখে এলাকার লোকজনও নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার বসন্তপুর এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে রয়েছে অধিকাংশ মানুষ। দলের পক্ষে ভোট করাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতা তথা পুরাতন গ্রামপঞ্চায়েতের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ। অভিযোগ, রবিবার বসন্তপুর গ্রামে ভোটারদের প্রলোভন দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করার কাজ করছিলেন তিনি। টাকা ও শাড়ি বিলি করছিলেন বলেও দাবি করে বিজেপি। এরপরই এলাকার লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। তিনি সেখান থেকে ছুটে পালান তৃণমূল নেতা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোমনাথ। তিনি বলেন, জমিতে ধান কাটার লোকজনের জন্য আমি গিয়েছিলাম। সেই সময় বিজেপির কিছু ছেলে দল বেঁধে এসে আমার ওপর আক্রমণ করে। অভিযোগ করে আমি টাকা বিলি আর কাপড় বিলি করছে। যদি কাপড় বা টাকা বিলি করার একটা প্রমাণও দেখাতে পারে যা অভিযোগ করবে মেনে নেব। কিন্তু এর কোনও প্রমাণ নেই। বিজেপির ছেলেরা আগে থেকেই টার্গেট করে রেখেছিল আমাকে হেনস্থা করার। তাই হেনস্থা করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    মহম্মদবাজারের (Birbhum) মণ্ডল-৩-এর বিজেপি নেতা নেতা উত্তম দাস বলেন,  “তৃণমূলের সোমনাথ ঘোষ তেঁতুলবেড়িয়া থেকে এসে কাপড়, টাকা বিলি করছিলেন। গ্রামবাসী আমাকে খবর দেয়। গ্রামের লোকেরা একেবারে ঘিরে নেন ওনাকে। এরপরই তিনি ছুটে একজনের  বাড়িতে ঢুকে পড়েন। পরে পুলিশ এসে বের করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Attack On BJP: ভোটের আগে উত্তপ্ত পূর্বস্থলী! বিজেপির ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Attack On BJP: ভোটের আগে উত্তপ্ত পূর্বস্থলী! বিজেপির ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের আগে উত্তপ্ত পূর্বস্থলী। আবারো বিজেপির ওপর হামলার (Attack On BJP) অভিযোগ। কাঠগড়ায় তৃণমূল। বিজেপির ব্যানার,ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ সহ বিজেপি কর্মীদেরও মারধর করা হয়েছে বলে দাবি।  যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। 

    ঠিক কি ঘটেছিল? (Attack On BJP)

    বিজেপি কর্মী নৃপেণ কাপাসিয়া জানান, “শনিবার শেষ লগ্নের প্রচার ছিল। টোটো করে তারা প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁদের টোটোতে লাগানো বিভিন্ন বিজেপির ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে (Attack On BJP) দেওয়া হয়েছে।” শুধু তাই নয়, সেখানে থাকা কর্মীদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পরেই শনিবার রাতে নাদন ঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। 

    অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের

    এ বিষয়ে পূর্বস্থলী ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন,“তৃণমূলের খেয়েদেয়ে কাজ নেই যে মারধর (Attack On BJP) করতে যাবে। গোষ্ঠী কোন্দলে জীর্ণ ওরা। নব বিজেপি, আদি বিজেপি, তৎকাল বিজেপি। প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ওদের মধ্যে কোন্দল দেখা দিয়েছিল। এ ওকে সহ্য করতে পারছে না। বিশ্বাস করতে পারছে না। বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। এটি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।”

    বহরমপুরে হামলা

    উল্লেখ্য,বিজেপির ওপর হামলার (Attack On BJP) ঘটনা এটাই প্রথম নয়। দুদিন আগেই বহরমপুরে রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ চলাকালীন বিজেপির ব্যানার ফেস্টুন ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, বহরমপুর পৌরসভার উনিশ এবং কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো হাসপাতালের পিছনে বিজেপি পার্টি অফিসের ২০০ মিটারের মধ্যে রাতের অন্ধকারে বিজেপির পোস্টার গুলি ছিঁড়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। 
    এ প্রসঙ্গে বিজেপির লাল্টু দাস বলেন, “পোস্টার ছিঁড়ে রাতের অন্ধকারে ভয় দেখিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবেনা।” তিনি আরো জানান গত রাত্রি থেকে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল নেতা কর্মীরা। সেই সঙ্গে উনিশ এবং কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডে রাস্তার দুপাশে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে পোস্টার লাগানো ছিল। সেই পোস্টটার ছেঁড়ারও অভিযোগ আনলেন বিজেপির লাল্টু দাস। এ বিষয়ে তৃণমূল এর পক্ষ থেকে জানানো হয় হিংসার রাজনীতি তৃণমূল করে না। বিজেপি নেতা কর্মীরাই নিজেরাই রাতের অন্ধকারে পোস্টটার ছিড়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: এক্স-রে প্লেটের আকাল! বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে বন্ধ হতে বসেছে পরিষেবা

     প্রসঙ্গত, আগামীকাল বহরমপুর লোকসভা ভোট। এই ভোট সুষ্ঠুভাবে সুসম্পূর্ণ করার জন্য নির্বাচনী কমিশনার বদ্ধপরিকর। কিন্তু এরই মধ্যে বিজেপির পোস্টটার ছেঁড়াকে (Attack On BJP) কেন্দ্র করে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়াচ্ছে একাধিক জায়গায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: থানায় বিক্ষোভ বিজেপির, ভুয়ো ভিডিও বানাতে এসে বিধায়কের সামনেই মার খেলেন তৃণমূল কর্মী

    Sandeshkhali: থানায় বিক্ষোভ বিজেপির, ভুয়ো ভিডিও বানাতে এসে বিধায়কের সামনেই মার খেলেন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাকে বাড়ি থেকে বার করে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা। ভুয়ো ভিডিও করতে এসে বিধায়কের সামনে তৃণমূল নেতাকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করলেন প্রতিবাদী মহিলারা। মূলত এলাকাবাসীর অভিযোগ হল, মিথ্যা মামলায় বিজেপির দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ! এমনই অভিযোগ তুলে রবিবার দুপুরে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মীসমর্থকরা। বিক্ষোভে এদিন নেতৃত্ব দেন বসিরহাটের এবারের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। ইতিমধ্যে জেলিয়াখালি এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Sandeshkhali)?

    চতুর্থ দফা নির্বাচনের আগের দিনেই ফের শিরোনামে নতুন করে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক এবং বিধায়ক সুকুমার মাহাতো সামনেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা তাতান গায়েনকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করলেন গ্রামের মহিলারা। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই ঘটল এমনই ঘটনা। স্থানীয় সূত্রে খবর সন্দেশখালিতে একটি বাড়িতে দিলীপ এবং সুকুমার ছিলেন সকাল থেকেই। খবর পেয়ে সেখানে চড়াও হন মহিলারা। এরপর তৃণমূল নেতাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে এনে পেটান মহিলারা। এদিন মহিলা কর্মীদের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে ভিডিও তৈরি করা হচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই পৌঁছে যায় পুলিশ।

    মহিলাদের বক্তব্য

    এদিন এলাকাবাসীর (Sandeshkhali) কয়েকজন মহিলা বলেন, “আমরা বিক্ষোভ করতে এসেছি কারণ আমাদের নামে ভিডিও ভাইরাল করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আমরা টাকা খেয়েছি। আমাদের নাকি টাকা দিয়ে পথে নামিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কে আমাদেরকে টাকা দিয়েছে তাকে আমাদের সামনে নিয়ে আসুক। মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে আমাদের নামে। পাশাপাশি মহিলারা আরো জানান, আমাদেরকে ঘরছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের লোকজন। তাই আমরা এদিন রীতিমতো আটক করে রাখি তৃণমূল নেতা এবং বিধায়কদের।”

    এদিন বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, “যা হয়েছে, তা কেউ ছড়িয়েছে, তবে কে প্ররোচনা দিয়েছে, তা আমরা জানি না। ঘটনায় কারও প্ররোচনা তো আছেই।”

    আরও পড়ুন: “১ নম্বর বোতাম টিপে ইভিএম মেশিন চেক করতে বলেছে তৃণমূল”, অভিযোগ সুভাষের

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলিয়াখালি এলাকার বিজেপির তরফ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে, মিথ্যা ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করে বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। রবিবার আবারো প্রকাশ্যে এসেছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) স্টিং ভিডিয়োর দ্বিতীয় পর্ব। এই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে। প্রথম ভিডিয়োতেই দেখা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছে গঙ্গাধর নিজে স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির আন্দোলন সাজানো। কিন্তু আজ এলাকার মানুষ দাবি করেন, টাকার বিনিময়ে সন্দেশখালির আন্দোলন হয়েছে। ফলে এই নিয়ে প্রতিদিনই ভুয়ো ভিডিয়ো বানাচ্ছে তৃণমূল। এলাকার মানুষের আরও বক্তব্য, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে টাকার বিনিময়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভিডিও বানিয়েছেন, যা কয়েকদিনের মধ্যেই আবার প্রকাশ্যে আসবে। এই এলাকার মহিলাদের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করতেই তৃণমূল ষড়যন্ত্র করছে বলেও এদিন দাবি করা হয়। সাধারণ মানুষের এই অভিযোগকে এদিন তুলে ধরে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ-সহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি তুলে থানার সামনে বসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share