Tag: tmc

tmc

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    Anubrata Mondal: অনুব্রতের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা! কটাক্ষ বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Bribhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা জেলবন্দি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বোলপুরের বাড়িতে উড়ছে ‘জয় শ্রীরাম’-এর পতাকা। অনুব্রত জেলবন্দি থাকলেও পুলিশের নিরাপত্তাতেই রয়েছে দাপুটে এই তৃণমূল নেতার বাড়ি। কিন্তু তার মধ্যেই শনিবার সকালে দেখা গেল অন্য ছবি। পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেও অনুব্রতর বাড়ির ছাদে উড়ল গেরুয়া পতাকা। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। 

    কে লাগাল পতাকা? (Anubrata Mondal)

    এক বছরের বেশির সময় বোলপুরের এই বাড়িতে নেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও তাঁর কন্যা সুকন্যা। তিহাড় জেলে বন্দি তারা। তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন বেশ কয়েক বছর আগে। তবে কে লাগাল পতাকা? আগে একটা সময় ওই বাড়ির নীচে লাইন পড়ত মানুষের। এখন ফাঁকা পড়ে বাড়ি। নিরাপত্তারক্ষীরাই পাহারা দেন। মাঝে মাঝে আত্মীয়স্বজনরা আসেন। এছাড়া বাড়ির কাজের লোকেরাও মাঝে মধ্যে এসে ঘর পরিষ্কার করেন। তা ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকার নেই ওই বাড়িতে। বেশিরভাগ সময়েই তালবন্ধই হয়ে পড়ে থাকে। তালে  ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পতাকা ছাদের মাথায় কে লাগিয়ে গেল তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। নিরপত্তারক্ষীরাও জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না।    
    সম্প্রতি বীরভূমে (Bribhum) ভোট প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেষ্ট (Anubrata Mondal) ও তার মেয়েকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যাতে সে তৃণমূল করতে না পারে…আমি আপনাদের বলছি, দেখে নেবেন ভোটের পর ওদের ছেড়ে দেবে।”

     বিরোধীদের দাবি

    এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমের মতো বিরোধীদের দাবি, বিজেপির সঙ্গে তলায় তলায় বোঝাপড়া রয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তারই প্রকাশ হল ছাদের পতাকায়। বীরভূম (Bribhum) সিপিএম এর জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “ওদের সম্মতিতে এটা ঘটেছে। আমার কাছে যা খবর আছে তাতে মনে হয় ওদের পরিবারের লোকেরা তলে তলে বিজেপি করছে। এখন তৃণমূলের যা অবস্থান তাতে রাম নবমীর পতাকা ওরাই ঝোলাবে। আগে থেকে সবাই বুঝতে পারছেন যে, বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখলেই বেরোনোর ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে। সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরাও যোগাযোগ রাখছেন। ফলে অনুব্রত (Anubrata Mondal) যদি বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বেরিয়ে আসেন, তা হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা জয়দেব মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “আগেই বোলপুর এসে অধীর চৌধুরী বলে গিয়েছিলেন যে, অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) জেল থেকে বের হতে গেলে হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে বেরোতে হবে। ফলে সে রকম কোনও ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।”

    আরও পড়ুন: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    যদিও  এপ্রসঙ্গে দলের মুখপাত্র জামশেদ আলি খান বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) একজন ধর্মপরায়ণ মানুষ। ফলে তাঁর বাড়িতে যদি জয় শ্রীরামের পতাকা ওড়ে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আর রাম তো কারও একার নয়, বাড়িতে রামের পতাকা ঝুলবে, এতে অবাক হওয়ার কী আছে?’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalyan Banerjee: কল্যাণের অস্থাবর সম্পত্তি ২৪ কোটির বেশি, রয়েছে দুটি গাড়ি, দিল্লি-কালীঘাটে ফ্ল্যাট

    Kalyan Banerjee: কল্যাণের অস্থাবর সম্পত্তি ২৪ কোটির বেশি, রয়েছে দুটি গাড়ি, দিল্লি-কালীঘাটে ফ্ল্যাট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের তিনবারের সংসদ এবং হেভি ওয়েট নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerje)। আগে একবার বিধায়কও ছিলেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। হুগলির শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের এই বারের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাঁরই মেয়ের প্রাক্তন জামাই কবীর শঙ্কর বোস। অপরে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের প্রার্থী দিপ্সীতা ধর। নিজের মনোনয়ন জমা করে এদিন কল্যাণ নিজের হলফ নামায় সম্পত্তির পরিমাণ জানিয়েছেন।

    সম্পত্তির পরিমাণ কত(Kalyan Banerje)?

    বছর সাতষট্টীর এই আইনজীবী তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ নিজের হলফ নামায় জানিয়েছেন ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ পর্যন্ত আয়ের হিসেব জানিয়েছেন। হলফনামায় তিনি জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৬৬ টাকা। তার আগের অর্থবর্ষ অর্থাৎ ২০২১-২২ এ তাঁর আয় ছিল ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪৪ টাকা। তিনি ৩ কোটি ৪৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ১২৩ টাকা আয় করেছিলেন ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ২ কোটি ১২ লক্ষ ১৬ হাজার ৩৬৯ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে তিনি ৩ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৮২০ টাকা আয় করেছিলেন।

    স্ত্রীর সম্পত্তির পরিমাণ কত?

    কল্যাণ নিজের হলফ নামায় স্ত্রী ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয়ের হিসাবে জানিয়েছেন ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর স্ত্রীর আয় ছিল ৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৬০০ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের আয় ছিল ২ লক্ষ  ৮৮ হাজার ৫৩০ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫০ টাকা আয় করেছিলেন ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগের অর্থবর্ষে ২০১৯-২০ তে তাঁর আয় ছিল ২ লক্ষ ৬০ হাজার ২৫৪ টাকা। আর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ১২০ টাকা আয় করেছিলেন ছবিদেবী। মনোনয়ন পেশ করার সময় কল্যাণের (Kalyan Banerje) হাতে নগদ ছিল ৫০ হাজার টাকা। একাধিক ব্যাঙ্কে সেভিংস অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একই ভাবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “পঁচাত্তরের পরেও প্রধানমন্ত্রী থাকবেন মোদিই”, জনসভায় দাবি শাহের

    রয়েছে দুটি গাড়ি

    হলফ নামায় কল্যাণ (Kaylan Banerje) জানিয়েছেন তাঁর দুটি গাড়ি রয়েছে। একটি গাড়ি ২০২১ সালে ২২ লক্ষ ৬৭ হাজার দিয়ে কিনেছেন। অপর আরেকটি গাড়ি ৪ লাখ ৮১ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছেন। তাঁর কাছে ১৫ লক্ষ টাকার সোনা রয়েছে। স্ত্রীর কাছে রয়েছে ২৪ লক্ষ টাকার সোনা। তাঁর বাড়িতে আইনজীবী পেশার কারণে ১ কোটি টাকার বই রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ২৪ কোটি ২০ লক্ষ ১৭ হাজার ৯৩৫ টাকা। স্ত্রীর কাছে মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ রয়েছে ২ কোটি ৭১ লক্ষ ৪১ হাজার ৫৩৬ টাকা। এছড়াও কালীঘাটে, দিল্লি এবং শ্রীরামপুরে ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। তিনি ১৯৭৫ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.কম পাশ করেছিলেন। এরপর ১৯৭৯ সালে রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি পাশ করেছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Satabdi Roy: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    Satabdi Roy: “সকলে টাকা পায়, আমি কেন পাই না?”, ভোটপ্রচারে নেমে ফের বিক্ষোভের মুখে শতাব্দী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিন দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। সামনেই রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। আর চতুর্থ দফার ভোটে অন্যান্য কেন্দ্রের সঙ্গে ভোট রয়েছে বীরভূমেও। তাই ভোটপ্রচারের শেষ দিনে ঝড় তুলেছিলেন বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। কিন্তু, থমকাতে হল মগদমনগরের রাস্তায়। বিদায়ী সাংসদ এবং লোকসভার প্রার্থী শতাব্দীকে সামনে পেয়ে একের পর এক দাবি শোনাতে থাকেন গ্রামের মহিলারা।

    শতাব্দীকে ঘিরে আবারও বিক্ষোভ (Satabdi Roy)

    বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল প্রার্থী তথা তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়। এবারের লোকসভা ভোটেও তৃণমূল তাঁকেই প্রার্থী করেছে। তবে এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ভোটের ময়দানে প্রচারে নেমে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বিদায়ী সাংসদকে (Satabdi Roy)। আর এবারও ঘটল সেই একই ঘটনা। প্রচারে নামতেই তাঁকে ছেঁকে ধরলেন গ্রামবাসীরা।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ 

    উল্লেখ্য চতুর্থ দফার ভোট (Lok Sabha Vote 2024) প্রচারের আগে শনিবার প্রচারে নামেন শতাব্দী। কিন্তু মহম্মদবাজার ব্লক এলাকার মগদমনগর গ্রামে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাকে (Satabdi Roy)। পানীয় জলের সমস্যা, এলাকায় উন্নয়নে খামতি, রাস্তাঘাট খারাপ-সহ একাধিক অভিযোগ শুনতে তাঁকে। যদিও সকলেরই অভিযোগ মোটামুটি এক—পানীয় জলের সমস্যা। সঙ্গে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা না পাওয়ার অভিযোগও উঠল। কেউ কেউ অভিযোগ করলেন, বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন না। 
    এ প্রসঙ্গে,স্থানীয় বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী পিয়া সর্দার বলেন, “সকলে টাকা পায়, আমি কেন টাকা পাই না? আমার স্কুলের সকলে টাকা পায়, অথচ আমি ক্লাস সিক্স থেকে টাকা পাই না। ওনাকে বললাম সেটাই। উনি তো কিছুই বললেন না।” অন্যদিকে এলাকার আরেক মহিলার অভিযোগ, “দিদি (Satabdi Roy)কিছু শোনেই না। কথাই বলতে পারলাম না। আমাদের কথা শুনবে না তো কার কথা শুনবে? কিছুই পাইনি আমরা।”
    যদিও এই বিক্ষোভের পরিস্থিতি এলাকার নেতারা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে বিক্ষোভের সময় গাড়ি থেকে নামেননি শতাব্দী (Satabdi Roy)। গাড়িতে সামনের সিটে বসে ছিলেন তিনি।  জানলা দিয়ে মুখ বার করে সবাইকে শান্ত হওয়ার আবেদন করেন তিনি। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও কথা বলেননি শতাব্দী। তার পর গাড়ির জানলা দিয়ে সবাইকে হাতজোড় করে নমস্কার জানিয়ে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যান। 

    আরও পড়ুন: রাস্তার কাজে দুর্নীতির অভিযোগ, ফের প্রচারে বেরিয়ে তোপের মুখে শতাব্দী

    রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ

    এর আগেও প্রচারে নেমে গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ শুনতে হয়েছিল শতাব্দী রায়কে (Satabdi Roy)। রাস্তা ও জল নিয়েই সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভাগুলির দিকে। যেখানেই গেছেন শতাব্দীকে সামনে পেয়ে রীতিমতো অভিযোগের ডালা সাজিয়ে ধরেছেন গ্রামবাসীরা। আবাসন প্রকল্পে ন্যায্য প্রাপকেরা বঞ্চিত হয়েছেন এই অভিযোগও এসেছে। দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যার কথা বললেও এই সমস্যার সুরাহা হয়নি এলাকায়। বহু গ্রামে ইটের রাস্তা রয়েছে, নেই কোনও পাকা রাস্তা,এমনও অভিযোগ রয়েছে।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panihati: ভোটের মুখে পানীয় জলের দাবিতে পানিহাটিতে অনশনে নামল পুরবাসী, চাপে তৃণমূল!

    Panihati: ভোটের মুখে পানীয় জলের দাবিতে পানিহাটিতে অনশনে নামল পুরবাসী, চাপে তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে প্রচারে বেরিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। পানীয় জলের দাবিতে পানিহাটি (Panihati) পুরসভার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। ভোটের আগে মুখ পুড়েছিল তৃণমূলের। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে আন্দোলনে নামলেন পুরসভার বাসিন্দারা। আর এই ঘটনায় জোর ধাক্কা খাবে তৃণমূল। এমনটাই মনে করছে বিজেপি।

    পানীয় জলের দাবিতে অনশনে বাসিন্দারা (Panihati)

    দরবার করেও মিলছে না পানীয় জল। নিরুপায় এলাকাবাসী জলের দাবিতে এবার আমরণ অনশন শুরু করলেন। ঘটনাস্থল পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সুনীত বন্দ্যোপাধ্যায় রোড। পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে শনিবার থেকে তারা লেপ কম্বল নিয়ে আমরণ অনশনে বসেছেন। লোকসভা ভোটের মুখে এহেন অনশন ঘিরে ফের প্রকাশ্যে এসেছে পানিহাটি পুরসভার বেআব্রু চিত্র। শাসক দলকে বেকায়দায় ফেলতে বিরোধীদের কটাক্ষ, যদি মানুষকে পরিষেবাই দিতে না পারে তাহলে পুরসভা রেখে লাভ কি? বরঞ্চ পুরসভাটাই তুলে দিক। গত মাসের ১৯ ও ২০ তারিখ পরপর দুদিন পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ঘোলা গার্লস হাইস্কুল সংলগ্ন সুনিত বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের বাসিন্দারা। পানিহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের শুধু ওই এলাকায় নয়, মহম্মদ কালাচাঁদ রোড, পূর্বাঞ্চল, দ্বারিক বন্দ্যোপাধ্যায় রোডের বাসিন্দারা গত কয়েক মাস ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন। সমস্যায় পড়েছেন বিস্তীর্ণ ওয়ার্ডের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এমন অবস্থা হয়েছে খাওয়ার জল থেকে স্নান, কাপড়া কাচার জলও কিনতে হচ্ছে। স্থানীয় পুরসভা থেকে দিদিকে বলো এমনকী ঘোলা থানাতে  বিষয়টি জানানো হলেও কোনও লাভ হয়নি। তাই এবার আমরণ অনশনের পথ বেছে নিলেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় ক্লাবের মঞ্চে তাবু খাটিয়ে তারা অনশন শুরু করেছেন। বাসিন্দাদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ওই ক্লাবের সদস্যরাও। যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রয়োজনীয় লিখিত আশ্বাস তারা পাচ্ছেন ততক্ষণ তারা অনশন চালিয়ে যাবেন। তাতে তাদের মৃত্যু হলে হবে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    চেয়ারম্যান-বিধায়ক একে অপরের দিকে দায় ঠেলতে ব্যস্ত

    মানুষ সমস্যায় পড়লেও সমস্যার সমাধান না করে পানিহাটির (Panihati) পুরপ্রধান মলয় রায় ও বিধায়ক নির্মল ঘোষ একে অপরের ঘাড়ে দায় ঠেলতে ব্যস্ত। বিধায়ক বলছেন, ‘পুরপ্রধানের অসুস্থতার কারণে সমস্যার দিকে তিনি নজর দিতে পারছেন না। এবার আমাকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে। আমি অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলবো’। আবার পুরপ্রধান বলছেন, ‘ বিধায়ক আমার অসুস্থতার কথা বলে আদতে পুরসভা এবং দলকে বিড়ম্বনায় ফেলছেন। কিন্তু ব্যর্থতা কোথায় তা খুঁজে বের করছেন না’। যা শুনে বাসিন্দারা বলছেন, ‘রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় উলুখাগড়ার প্রাণ যায়’। বিরোধীদের কটাক্ষ, আসলে সমস্যার মেটানোর নামে তৃণমূলেরই একপক্ষ অপর পক্ষকে দোষারোপ করে ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাইছে। যার ফল ভুগছে সাধারণ মানুষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ranaghat: “প্রতারক মুকুটমণিকে একটাও ভোট দেবেন না”, আর্জি তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রীর

    Ranaghat: “প্রতারক মুকুটমণিকে একটাও ভোট দেবেন না”, আর্জি তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রতারক মুকুটমণিকে একটাও ভোট দেবেন না।” শনিবার বিকালে রানাঘাটে (Ranaghat) মহাগুরুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে ভোটারদের কাছে এমনই আর্জি জানালেন তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। ভোটের আগেই মুকুটমণি অধিকারীর স্ত্রীর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল। তৃণমূল প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    মিঠুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান (Ranaghat)

    রানাঘাট (Ranaghat) লোকসভা কেন্দ্রের লোকসভা নির্বাচনের ২৪ ঘণ্টা আগে বড়সড় চমক দিল বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর স্ত্রী বিজেপিতে যোগদান করলেন। বলিউড সুপারস্টার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ধরে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। শনিবার শেষ মুহূর্তের প্রচারে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে ভোট প্রচারে আসেন বিজেপির তারকা ক্যাম্পেনার তথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন হেলিকপ্টারে আসার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তিনি সড়ক পথেই নদিয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তাহেরপুরের নেতাজি মাঠে আসেন। সেখানে জগন্নাথ সরকারের হয়ে ভোট প্রচার করেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেই মঞ্চ থেকেই রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের উপস্থিতিতে মিঠুন চক্রবর্তীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর স্ত্রী স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। যদিও কিছুদিন আগে মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের একটি কথা উঠে আসে এবং সূত্র মারফত জানা যায় সেই বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। এখনও পর্যন্ত খাতায়-কলমে তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীরই স্ত্রী হচ্ছেন স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। তাই ভোটের আগে তৃণমূল প্রার্থী স্ত্রীকে বিজেপিতে যোগদান করিয়ে এক বড়সড় চমক দিল বিজেপি।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের নাকি বাড়ি-গাড়ি নেই! সোনা-ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত জানেন?

    বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর স্ত্রী কী বললেন?

    এদিন মঞ্চ থেকেই স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী বলেন, আমি নিজের ইচ্ছেতেই বিজেপিতে যোগদান করেছি। মুকুটমণি লোভী। তাঁকে ভোট দিলে প্রতারিত হবেন। বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে ভোট দিন। এলাকার উন্নয়ন হবে। যদিও এদিনের এই সভা মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক সুযোগ-সুবিধা এবং প্রকল্পের কথাও জানান বিজেপি নেতা তথা তারকা ক্যাম্পেনার মিঠুন চক্রবর্তী। তবে, শেষ প্রচারের আগে নতুন চমক এনে ভোট বাক্সে অনেকটাই প্রভাব ফেলবে বিজেপি এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটের আগে খেজুরিতে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: ভোটের আগে খেজুরিতে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট যত এগিয়ে আসছে শুভেন্দুর গড় পূর্ব মেদিনীপুরে ক্রমশ জমি আলগা হচ্ছে তৃণমূলের। আর পাল্লা দিয়ে বিজেপির ভিত শক্ত হচ্ছে। এমনিতেই এই জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি উদয়শঙ্কর মাইতি। শুক্রবার সন্ধ্যায় খেজুরির হলুদবাড়িতে বিজেপির (BJP) এক সভায় তৃণমূল ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ভোটের আগে এই যোগদান বিজেপি কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)

    খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৫টি আসন। এরমধ্যে বিজেপির ৯টি, তৃণমূলের ৬টি। গত পঞ্চায়েত ভোটে উদয়শঙ্কর মাইতি বিজেপির (BJP) টিকিটে জয়ী হন। পরে তৃণমূলে যোগ দিয়ে খেজুরি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে বসেন তিনি। এছাড়া আরও একজন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে সহ সভাপতির পদ পান। লোকসভা ভোটের মুখে সেই উদয়ের ফের বিজেপিতে ফিরলেন। তবে, উদয়বাবুর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ফলে তৃণমূলের হাতে রইল ৭ জন। আর এই পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়ে হল ৮। ফলে, এই পঞ্চায়েত সমিতিতে এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ হল বিজেপি।

    আরও পড়ুন: ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের! তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ কমিশনের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সমুদ্ভব দাসের বলেন “শুনেছি উদয়বাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির সভায় তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন। আমরা বিষয়টি ঠিক জানি না। তব, উদয়বাবু কয়েকদিন এলাকায় ছিলেন না। মোবাইলেও যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এখন বিজেপিতে (BJP) গেলেও চলে যেতে পারেন। কারণ, বিজেপি তাঁর পুরানো দল। তাই, তিনি চলে গেলেও তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি তাপস দোলুই বলেন, “বিজেপি সর্বভারতীয় দল। এখানে কেউ যদি নিজের ভুল বুঝতে পেরে বিজেপিতে ফিরে আসেন স্বাগত। তাঁর মতো নেতা দলে ফিরে আসায় এলাকায় দলের সংগঠন আরও মজবুত হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বিজেপি ক্ষমতায় এলে মিথ্যা মামলা দেওয়া পুলিশ কর্মীদের ক্লোজ করা হবে”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। শুক্রবার দলীয় প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বীরভূমে প্রচারে ঝড় তোলেন তিনি। বিরোধী দলনেতার বক্তব্যে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

    তৃণমূল নেতাদের সতর্ক করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের পুরন্দরপুরে বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, এই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি নুরুল ইসলাম এবং তৃণমূল নেতা অশ্বীনি মণ্ডল কাউকে হুমকি দিলে আমাকে মেসেজ করবেন। ভোটের দিন যদি পাড়ায় আটকে রাখে তাহলে আমাকে বুথ নম্বর এবং পোলিং নম্বর দিয়ে মেসেজ করবেন। ১৫ মিনিটের মধ্যে সিআরপিএফ চলে যাবে কথা দিলাম। কীভাবে এদের কোমর ভাঙতে হয় জানি। আমরা দিনহাটায় উদয়ন গুহকে বাড়ি থেকে বের হতে দিইনি। ফলে, তৃণমূলের কোনও দাদাগিরি চলবে না।

     মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো পুলিশ কর্মীদের বিজেপি ক্ষমতায় আসলে ক্লোজ করা হবে

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আমি কেষ্টকেও সতর্ক করেছিলাম। এখন তিহাড়ে গড়াগড়ি খাচ্ছে।’ এরপর স্থানীয় শুভেন্দু- নুরুল ইসলাম, অশ্বিনী মণ্ডল, বলরাম বাগদী, রাজু মুখোপাধ্যায়ের নাম করে তাঁদের তিনি সতর্ক করেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর প্রসঙ্গ তোলেন শুভেন্দু  পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যে সমস্ত পুলিশ মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ক্লোজ করা হবে। আর অবসর নিলে অবসরকালীন সুবিধা বন্ধ করে দেবে।’ তিনি ঘোষণা করেন, মিথ্যা মামলায় যাঁদের জেল খাটতে হচ্ছে। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তাদের ৫০০০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। সেটা হল ‘সংগ্রামী ভাতা।’ এদিনও তিনি লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল বলছে লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে। আমি বলছি বিজেপি ক্ষমতায় এলে ৩ হাজার টাকা করে দেব লক্ষ্মীর ভান্ডার। রাজস্থানের মতো ৪৫০ টাকা করে গ্যাস করে দেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Humayun Kabir: ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের! তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ কমিশনের

    Humayun Kabir: ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জের! তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে শো-কজ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মীয় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জেরে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে (Humayun Kabir) শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন। হুমায়ুন জানিয়েছেন তিনি এখনও শো-কজের চিঠি হাতে পাননি। চিঠি পেলে তার জবাব দেবেন। কমিশন সূত্রে খবর, গত ২ মে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া কমিশনের কাছে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে বলে মনে করেই তাঁকে শো-কজের চিঠি ধরিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে।

    কী বলেছিলেন কবীর

    সম্প্রতি একটি বুথ সম্মেলনে হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) বলেন, ‘ভাগীরথীর জলে ভাসিয়ে দিতে না পারলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। যদি ভেবে থাকো, তোমরা ৭০ শতাংশ আর বাকি ৩০ শতাংশ মানুষ কিছু করবে না, তাহলে ভুল হবে। তোমরা কোথাও মসজিদ ভাঙলে ভেবো না যে আমাদের ছেলেরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে।’ তাঁর এই মন্তব্যে সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয় নির্বাচন কমিশনে। সেই অভিযোগের জেরে তাঁকে শোকজ করল কমিশন। যদিও হুমায়ুন দাবি করেছেন যে, সম্প্রতি জেলায় এসে বিজেপি নেতা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কিছু মন্তব্য করেছিলেন। সেই সূত্রেই তাঁর এমন মন্তব্য। এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছে হুমায়ুন কবীরকে। লোকসভা ভোটে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করায় তিনি প্রচারে না থাকার কথা জানিয়েছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক। তবে পরে অবশ্য তাঁকে প্রচারে দেখা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দেশে নির্বাচন পরিচালনায় পথিকৃৎ সুকুমার সেন, জানেন তাঁর কথা?

    হুমায়ুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    হুমায়ুনের (Humayun Kabir) এই আচরণের বিরুদ্ধে আগেই মুর্শিদাবাদের শক্তিনগর থানাতে অভিযোগ জানিয়েছিল বিজেপি। দলের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শক্তিপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গোকুলবিহারী ঘোষ। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছিলেন, গত ১ মে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ শক্তিপুর সবজি মার্কেটে এক সভায় হুমায়ুন কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। বিজেপির দাবি, অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক”, হুঁশিয়ারি দিলেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভোটের জন্য সিএএ করতে দিচ্ছেন না মমতা। বিরোধিতা করছেন। চ্যালেঞ্জ করছি কারও ক্ষমতা থাকলে সিএএ-তে হাত লাগিয়ে দেখুক।” শুক্রবার অমিত শাহ (Amit Shah) রানাঘাটের প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের হয়ে প্রচারে এই ভাষাতেই তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের প্রশ্ন, “সিএএ এই দেশে আসা উচিত কি না! বহু মানুষ আজ নাগরিকত্ব পাননি। অনুপ্রবেশকারীদের ঠাঁই দিচ্ছে মমতার সরকার। কিন্তু মতুয়াদের নাগরিকত্বের বিরোধিতা করছে।আমরা সকলকে নাগরিকত্ব দেব।”

    মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করতে বিজেপিকে ভোট দিন (Amit Shah)

    রানাঘাটের মাজদিয়া রেল বাজার হাই স্কুলের মাঠে সভা বিজেপি। সেখানে বক্তৃতা করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রানাঘাটে তৃণমূলের প্রার্থী বিজেপি ছেড়ে আসা মুকুটমণি অধিকারী। বক্তৃতায় তাঁকে বার বার কটাক্ষ করলেন সুকান্ত। জানালেন, এই ভোট হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীকে সামনে রেখে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। নদিয়াবাসীর পক্ষ থেকে অমিত শাহকে স্বাগত জানালেন দলীয় কর্মীরা। তার পরেই মঞ্চে উঠলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে বলুন, ‘ভারত মাতার জয়’। ‘জয় শ্রীরাম’।”এর পর একে একে মঞ্চে উপস্থিত বিজেপি নেতা, কর্মীদের নাম নেন শাহ (Amit Shah)। উপস্থিত সকলকে নমস্কার জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের উৎসাহের জন্য প্রণাম জানাই। এখানে এক ইঞ্চিও জায়গা রাখেননি। জগন্নাথজিকে জয়ী করানোর জন্য সকলে এসেছেন। জগন্নাথকে কমল চিহ্নে দেওয়া প্রতি ভোট নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করবে। জগন্নাথকে দেওয়া ভোট মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেবে।”

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    দুর্নীতিতে এক নম্বরে মমতার সরকার

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “রামমন্দির আগেই হওয়া উচিত ছিল কি না! এই কংগ্রেস, তৃণমূল, কমিউনিস্টেরা আটকে রেখেছিল এত বছর। দ্বিতীয় বার আপনারা প্রধানমন্ত্রী করেছেন। মামলা জিতে, ভূমিপুজো করে রামমন্দির করেছেন মোদি। আজ বলতে চাই, মোদিজি ১০ বছরে ৮০ কোটি গরিবের জন্য অনেক কাজ করেছেন। প্রতি মাসে যে ৫ কেজি চাল আসে, তা মোদি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। সন্দেশখালির প্রসঙ্গে শাহ বলেন, “মমতা একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর উপস্থিতিতে মহিলাদের শোষণ করা হয়েছে ধর্মের ভিত্তিতে। করেছেন ওঁর নেতারা। ওঁর লজ্জা করা উচিত। সিবিআই তদন্ত করছে। বাংলার মা, বোনদের চিন্তার দরকার নেই। আমরা সন্দেশখালি অপরাধীদের উল্টো ঝোলাব। শাহ জানান, দুর্নীতিতে ‘এক নম্বরে মমতার সরকার। শিক্ষক, পুরনিয়োগ থেকে রেশন, কয়লা সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি করেছে মমতার সরকার।

    কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, ভয় পাবেন না

    শাহ (Amit Shah) বলেন, “মমতার মন্ত্রীর ঘর থেকে ৫০ কোটি টাকা মিলেছে। এই সভায় কেউ এত টাকা দেখেছেন? এই টাকা কার? এই টাকা রানাঘাটের গরিব যুবকদের। এই মমতা এবং তৃণমূল এই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করছে। যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের ভয় পাবেন না।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে এই যে বিস্ফোরণ হচ্ছে, সকলকে ভয় দেখানোর জন্য করাচ্ছেন মমতা। রানাঘাটবাসীকে বলছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করেছি আমরা। ভয় পাবেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শশী পাঁজা একজন মহিলা এবং মন্ত্রী তিনি কেন সন্দেশখালি নিয়ে মূর্খের মতো কথা বলছেন বুঝতে পারছি না। অপেক্ষা করুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। শুক্রবার তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে রোড শো করতে আসেন।

    সুকান্তর রোড শোয়ে জনজোয়ার (Sukanta Majumdar)

    এদিন কৃষ্ণনগর লোকসভার ভীমপুর থানার আশাননগর উচ্চ বিদ্যালয় এর সামনে থেকে শুরু হয় রোড শো। প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে ভীমপুর বাজারে শেষ হয় এই রোড শো। এই রোড শোয়ে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তিনি আসতে পারেননি। এদিন সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) এই রোড শোয়ে বিজেপি কর্মীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রোড শোয়ে সাধারণ মানুষের ভিড়ে জনজোয়ারের আকার নেয়। আগামী ১৩ ই মে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। সেই কারণেই শেষ পর্যায়ের প্রচারে ব্যস্ত প্রতিটি রাজনৈতিক দল। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন বহু বিতর্কিত নেত্রী মহুয়া মৈত্র। তাঁর বিরুদ্ধে এবার বিজেপি কিছুটা চমক দিয়ে প্রার্থী করেছেন কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের সদস্যা তথা রাজবধূ অমৃতা রায়কে। এবারের কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন অনেকটাই হাড্ডাহাড্ডি হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: গরমে ২৪ দিন নির্জলা থাকবে শিলিগুড়ি! দুর্ভোগে পুরবাসী, তৃণমূলকে দায়ী করল বিজেপি

    সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে

    এদিন রোড শো শুরু করার আগে সাংবাদিকদের সন্দেশখালি নিয়ে প্রশ্নে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,  অপেক্ষা করুন সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। সন্দেশখালিতে কোথা থেকে টাকা আসছে সবাই তা জানে। সন্দেশখালির পাপ ঢাকার জন্য তৃণমূল অনেক কিছু করবে। পাশাপাশি শশী পাঁজা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি একজন মহিলা এবং রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে কীভাবে সন্দেশখালি নিয়ে মুর্খের মতো কথা বলতে পারেন। সেখানে রাজ্য পুলিশ ১৬৪ ধারায় মহিলাদের বয়ান নিয়েছে। সন্দেশখালির মহিলারা পুলিশের সামনেই আদালতে ধর্ষনের ঘটনা কথা অভিযোগ করেছিলেন। এখানে বিজেপির কোনো সম্পর্ক নেই। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে যে নোংরামি চলছে তা সময়ে এলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share