Tag: tmc

tmc

  • Dinhata: ভোটের বাজারে মাফিয়ারাজ! অভিযুক্ত উদয়ন অনুগামীরা

    Dinhata: ভোটের বাজারে মাফিয়ারাজ! অভিযুক্ত উদয়ন অনুগামীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনহাটায় (Dinhata) জমি জায়গার অবৈধ কারবারের অভিযোগ উঠল উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর (Udayan Guha) অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ শাসকদলের ছত্রছায়ায় একাধিক জায়গায় চলছে অবৈধভাবে জমি বেচা কেনার কারবার। অভিযোগ যে উড়িয়ে দেওয়ার মত নয় কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন উদয়ন গুহ। মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ লিখেছেন, “জমি সংক্রান্ত কোনও সমস্যায় আমার মাথা ব্যথা নেই। যারা আমার নাম ব্যবহার করে তারা নিজেদের স্বার্থে করে।”

    স্থানীয়দের অভিযোগ

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, “উদয়ন গুহর অনুগামীরা মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে জমির আসল মালিকদের ভয় দেখাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জমি মালিকের অজান্তেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। জমি বেচাকেনার অবৈধ কারবার চলছে গোটা দিনহাটা (Dinhata) জুড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। প্রসঙ্গত মন্ত্রীর নাম কারা ব্যবহার করে এবং কেনই বা তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জিজ্ঞেস করা হলে উদয়ন বলেন, “আমার কাছে খবর আছে কেউ কেউ আমার নাম উল্লেখ করে বা আমার নাম ভাঙ্গিয়ে জমি জায়গার ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। তাই ওদেরকে সতর্ক করে দিয়েছি। সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। যিনি জমি সংক্রান্ত কারবার করবেন নিজের দায়িত্ব করবেন।” দলের তরফে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? প্রশ্ন করা হলে উদয়ন বলেন নির্দিষ্ট করে কেউ আমার কাছে বা পুলিশে অভিযোগ করলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    উদয়ন গুহর ওই পোস্টে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, “কারা (Dinhata) বেআইনি জমির কারবার করছে তা শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা ভালই জানেন। তাঁরা জানেন না এ কথা বললে কেউ বিশ্বাস করবে না। আসলে কাটমানিটা তাঁদের কাছেও পৌঁছে যায়। তাই তাঁরা চুপ থাকেন। ধীরে ধীরে সবই প্রকাশ্যে আসছে। চাকরি থেকে জমি সব জায়গায় জড়িত তৃণমূলের নেতারা।”

    জমির হাঙরদের রাজত্ব চলছে

    তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে কিছুদিন আগে দিনহাটার (Dinhata) বোর্ডিং পাড়া এলাকায় একটি জায়গা বিক্রি হয়। এই জমি বিক্রি নিয়ে তৃণমূলের দিনহাটা শহর ব্লক কমিটির এক নেতার নাম জড়িয়ে পড়ে। তিনি উদয়ন গুহর ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। সেই প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি কেনা বেচা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে স্টেশন রোড এলাকায় মুচির মাঠ সংলগ্ন একটি জায়গাও মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে জোর করে কেনার চেষ্টা করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পরে। জানতে পেরে উদয়ন সরব হন বলে জানা যায়। যদিও বিজেপির পাল্টা দাবি, “যে সমস্ত ক্ষেত্রে কাটমানি নেতার কাছে পৌঁছে যায় না। সেই বিষয়েই প্রতিবাদে সরব হন তিনি। বাকি ক্ষেত্রে তিনি চুপ করেই থাকেন।”

    আরও পড়ুন: ফের সন্দেশখালিতে হানা, শাহজাহানের ভাই সিরাজের বাড়িতে তলবের নোটিস দিল সিবিআই

    কেন বাড়বাড়ন্ত ?

    কিছুদিন সবকিছু থেমে থাকলেও বর্তমানে ফের ভোটের বাজারে জমি মাফিয়াচক্র সক্রিয় হয়েছে। মনে করা হচ্ছে প্রশাসনের মাথায় এখন ভোটের চাপ। তাই এই সুযোগে স্বার্থসিদ্ধি করার অভিযোগ উঠছে। কোথাও (Dinhata) ভয় দেখিয়ে আবার কোথাও জোর করে বাজার মূল্যের কম দামে জমি কিনে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, “যারা জমি জায়গার কারবার করেন তাঁরা চিরকাল শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকেন। বর্তমানেও তারা শাসক দলের সঙ্গেই যুক্ত হয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করে যাচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক জনসভা, বিতর্ক

    Murshidabad: সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক জনসভা, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের গোদায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। আর সেখানে জমির ফসল কেটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করলেন। আর কৃষি দফতরের চাষের ফার্মে জনসভা করাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, সোমবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে জনসভা হয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমোর। আর সেই জনসভা ঘিরেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির।

    সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা (Murshidabad)

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য,”মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে কৃষির খেত-খামার। ওটা একটা ফার্ম। সেখানে তিলের চাষ হচ্ছে। সেই তিল নষ্ট করে, জনসভা হল। যে জায়গায় সভা হয়েছে, সেই জায়গাটি কৃষি দফতর বিভিন্ন বীজ শস্য পরীক্ষা- নিরীক্ষণের জন্য ব্যবহার করে। সেখানে বেশ কিছুটা জায়গায় তিল চাষও করা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য সেই ফসল কেটে নেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য জমির ফসলও নষ্ট করা হল। আর এই ফসল নষ্ট করার জন্য কোনও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।” কংগ্রেস নেতৃত্বও সরকারি জমির ফসল নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর সভার করার নিন্দা জানিয়েছেন। তবে, এই বিষয়ে খড়গ্রামের ব্লকের কৃষি আধিকারিক কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ফলে, জোর করে এই জমি তৃণমূল নিয়েছিল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: বুধবারও তীব্র তাপপ্রবাহ দক্ষিণের ৮ জেলায়, জনশূন্য রাস্তাঘাট, ফুটিফাটা জমি

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও জমি বিতর্কে বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। খড়গ্রামের (Murshidabad) তৃণমূল বিধায়ক আশিস মার্জিত বলেন, “ফসল নষ্ট হয়নি। ওই জমিতে সামান্য জায়গায় ফসল ছিল। খুব বেশি ফসল ছিল না। যেগুলি ছিল, সেগুলিও প্রায় মরেই গিয়েছিল। আর আমরা বিনা পয়সায় জমি নিয়েছি, এমন নয়। আমরা তার ক্ষতিপূরণ দিয়েই সভা করেছি। সামান্য যে ফসল ছিল, তার অনেক গুণ বেশি ক্ষতিপূরণ দিয়েই সভা হয়েছে। “লোকসভা ভোটের আবহে এই সভাস্থলের জমি ইস্যু আরও চর্চায় উঠে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে”, হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

    Howrah: “বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে”, হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর হাওড়ার (Howrah) সালকিয়া অবাঙালি অধ্যুষিত বহুতল বাড়িগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। হাওড়া পুরসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফলাফলেও সেটা প্রতিফলিত হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনেও হাওড়া উত্তর বিধানসভা এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। তাই এ বার ওই ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে তৎপর তৃণমূল। উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপিকে ভোট দিলেই জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে (Howrah)

    দলীয় প্রার্থীর হয়ে গোলাবাড়ি (Howrah) থানার কাছে একটি আবাসনের কাছে তিনি ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। ওই আবাসনের ভোটার সংখ্যা প্রায় ন’শো। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) এক জনকে উদ্দেশ্য করে বিধায়ক বলেন, ওই আবাসনের বাসিন্দারা যেন ভোটের দিন বাড়ি থেকে না বের হন। আর যদি বের হন, তা হলে আমি বুঝে যাব কাকে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। তারপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয় তা হলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, “যেখানে নির্বাচন কমিশন কোটি কোটি টাকা খরচ করছে নির্বাচনের জন্য, মানুষকে নির্ভয়ে ভোট দিতে আবেদন করছে। সেখানে এক জন জনপ্রতিনিধি কী ভাবে মানুষকে ভোট না দিতে বলেন? তিনি কী ভাবে বলতে পারেন যে, বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে?” আমরা এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করছি। আর তৃণমূল বিধায়ক (Howrah) গৌতম চৌধুরী বলেন, আমি ওই এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলাম ঠিকই। তবে, এমন হুমকি আমি দিইনি। এরপরই তিনি বলেন, “পাঁচ বছর প্রত্যেক দিন, চব্বিশ ঘণ্টা আমি মানুষের পাশে থাকি। আমরা জল দিই, রাস্তা তৈরি করি। মানুষকে নিরাপত্তা দিই। তা হলে মানুষ কেন আমাদের ভোট দেবেন না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Agnimitra Paul: বসিরহাটের কায়দায় এবার দাঁতনে অগ্নিমিত্রাকে প্রচারে বাধা তৃণমূলের!

    Agnimitra Paul: বসিরহাটের কায়দায় এবার দাঁতনে অগ্নিমিত্রাকে প্রচারে বাধা তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে রেখা পাত্র। তার পর অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়া কি তৃণমূলের (TMC) রণকৌশল। উঠছে প্রশ্ন। দুটি প্রচারে বাধা দেওয়ার ধরণে মিল রয়েছে। তিনি বলেছেন, “চোরের দল বাধা দিয়েছে, মহিলাদের শিখিয়ে পড়িয়ে এগিয়ে দিয়ে পিছনে থাকছেন তৃণমূল নেতারা।”

    গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল কর্মীরা (Agnimitra Paul)

    ভোটের প্রচারে ফের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর লোকসভার বিজেপি (BJP) প্রার্থী অগ্নিমিত্র পল-কে। মঙ্গলবার দাঁতনে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul)। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ করছিলেন তিনি। আচমকাই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থকরা। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। এমনকি অপশব্দ বলতেও শোনা গেছে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “হুডখোলা গাড়িতে প্রচার করতে এসেছিলেন অগ্রিমিত্রা (Agnimitra Paul )। দাঁতনের কুসমি এলাকায় তাঁর গাড়ি পৌঁছতেই অগ্নিমিত্রাকে ঘিরে ধরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। মহিলাদের এগিয়ে দেওয়া হয় গাড়ির সামনে। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। এবং কয়েকজন মহিলা স্লোগান দিতে শুরু করেন। দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগানও। তাঁর গাড়ি আটকে রাখার চেষ্টা করে কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তৃণমূলীরা।

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল?

    এ বিষয়ে অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul ) বলেন, “ওদের দলের চুরি যাতে জনমানসে না বেরিয়ে যায় তাঁর জন্য একদিকে সুপ্রিম কোর্ট দৌড়াচ্ছেন অন্যদিকে আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। রাজ্যে সব জায়গায় দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা এতদিন চুরি করেছে তাদের আজ অসুবিধা হচ্ছে বলে বিজেপি প্রার্থীকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে। গ্রামের মানুষ কেউ বেরিয়ে আসেনি, জনাকয়েক চোর বেরিয়ে এসেছে।” প্রসঙ্গত অগ্রিমিত্রা স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে দাবি করেন, “দলের কয়েকজন কর্মী ছাড়া ওদের পাশে কেউ নেই। এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা চুরির সঙ্গে যুক্ত। এরপর জনগণ ওদের কাছ থেকে চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চাইবে।” হুঁশিয়ারী দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী (Agnimitra Paul )। প্রসঙ্গত এদিন সকালেই বসিরহাটে (Basirhat) একই কায়দায় রেখা পাত্রকে (Rekha Patra) ঘিরে ধরে কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থক। রেখাকে আটকে ঘেরাও করা মহিলাদের পেছনে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এদিন দাঁতনেও দেখা গেল একই ছবি। সামনে মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থক পিছনে দাঁড়িয়ে পুরুষরা। প্রচারে বাঁধার জেরে দলীয় প্রার্থীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার গোসাবা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার এবং গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    সরকারি লঞ্চে তৃণমূলের মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন দুই বিধায়ক (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবা (South 24 Parganas) বিডিও-র লঞ্চে করে দলীয় মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং মন্দির বাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার। আর এই ঘটনার সামনে আসতে সুর চরিয়েছে বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ , নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পর কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মিটিংয়ে বিডিও লঞ্চ ব্যবহার করে দুই বিধায়ক তাদের দলীয় মিটিংয়ে আসে। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তারা সরকারি লঞ্চ ব্যবহার করছে এমনটাই অভিযোগ করছে বিজেপি। তবে, এই ঘটনায় গোসাবা বিডিও বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তবে,এ বিষয়ে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, এখন বিভিন্ন বিডিও অফিস, ডিএম অফিস, থানা থেকে ওপরে সমস্ত সরকারি দফতরগুলি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। তারা ভুলেই গেছে এখন নির্বাচন আচরণবিধি কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। তারপরেও কীভাবে বিডিও অফিসের লঞ্চ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারে?এই বিষয় নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করব। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে মন্দির বাজারের বিধায়ক তথা সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, এমন কোনও ঘটনায় ঘটেনি। আমরা ব্যক্তিগতভাবে লঞ্চ ভাড়া করে নিয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যাই। বিরোধী শিবির ও বিজেপির কোনও ইস্যু নেই, তাই এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে প্রচারে আসতে চাইছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাংলায় ভোট প্রচারে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রসুলপুরে সভামঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চে উঠেই তিনি বলেন, ‘অসীম সরকারকে যত ভোট দেবেন, ততই ভোট যাবে নরেন্দ্র মোদির কাছে।

     বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব (Amit Shah)

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, বহু বিজেপি কর্মীকে বাংলায় খুন করা হয়েছে। আজ বলে যাচ্ছি, যারা এগুলো করেছে, আমাদের সরকার তৈরি হওয়ার পর পাতাল থেকে খুঁজে বের করে জেলে পাঠাবে বিজেপি। আমাদের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করা হয়, লজ্জা হওয়ার উচিত। আমাদের নেতারা বাংলায় এসে হোটেল পায় না, গাড়ি পায় না, যে হোটেল বুক হয়, সেটা তৃণমূলের গুণ্ডারা খালি করে দেয়।’ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পায় বলে এসব করে।

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়ালেন শাহ

    শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের যারা অত্যাচার করেছে, তাদের সকলকে জেলে পাঠানো হবে। তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছে না, কারণ তাদের ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, মোদি সরকারের সব যোজনা নিজের নাম লাগিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মমতা দিদি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,  ‘পিএম ফসল যোজনা হয়ে গেল বাংলা ফসল যোজনা, পিএম আবাস হয়ে গেল বাংলার আবাস, স্বচ্ছ ভারত বদলে গিয়েছে নির্মল বাংলা নামে, জল জীবন মিশন হয়ে গেল মমতার জলস্বপ্ন।’ মোদি বাংলার জন্য ১০ লক্ষ কোটি টাকা পাঠিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছে তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাংলায় বিনামূল্যে যে চাল আসে, সেটা দেন মোদি। ১২ কোটি মানুষের বাড়িতে শৌচালয় বানিয়ে দিয়েছেন মোদি। ৪ কোটি মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন মোদি। ১০ কোটি মানুষকে সিলিন্ডার দিয়েছেন, ১৪ কোটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন জল।

    ৩০ টি আসনে মোদিকে জেতান, বাংলা হবে দেশের এক নম্বর রাজ্য

    এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, দেশের মানুষ ও রামভক্তরা চাইতেন রাম মন্দির তৈরি হোক। যখন মন্দির তৈরি হল, তখন মমতা দিদিকে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, ওঁরা গেলেন না। কেন গেলেন না জানেন? কারণ ওঁরা অনুপ্রবেশকারীদের ভয় পায়। এরপর সাধার মানুষের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ১৮ টি আসন দিয়েছিলেন, তারপরই তৈরি হল রাম মন্দির। ৩০ টি আসনে মোদিকে জেতান, আমরা বাংলাকে দেশের এক নম্বর রাজ্য হিসেবে গড়ে দেব। সোনার বাংলার স্বপ্নও পূরণ করবেন মোদি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা-মাটি-মানুষের কথা বলেছিলেন। আসল মা-মাটি-মানুষের সরকার ফিরিয়ে আনতে পারেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: “লাঠি, ইট দিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল”, বললেন  প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র

    Basirhat: “লাঠি, ইট দিয়ে হামলা চালায় তৃণমূল”, বললেন প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মাটিয়া থানার খড়িডাঙা এলাকায়। দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার ছিলেন। তিনিও আক্রান্ত হন। পরে, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, গোলমালের কারণে বিজেপি প্রার্থীর প্রচার বানচাল হয়ে যায়। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়িডাঙ্গা গ্রামের তৃণমূলের প্রধান সমীর বাছার, তাঁর ভাই মৃণাল বাছার ও সিভিক ভলান্টিয়ার বাবলু বাছার আক্রমণ চালায়। বিজেপি প্রার্থী রেখার উপর লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Basirhat)

    সোমবার বসিরহাট (Basirhat) ২ নম্বর ব্লকের খড়িডাঙ্গায় বিজেপি প্রার্থী রেখার দেওয়াল লিখনে কালি দেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে গন্ডগোল শুরু হয় এলাকায়। বিজেপি কর্মীরা প্রতিবাদ করলে তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। তৃণমূলের হামলায় কালীদাস বাছার নামে এক বিজেপি কর্মী জখম হন। আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁকে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি, সেখানে কালীদাসকে দেখতে গিয়েছিলেন রেখাও। নতুন করে গোলমালের সূত্রপাত মঙ্গলবার সকালে। মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ রেখা পাত্র খড়িডাঙায় ভোটের (Lok Sabha Election 2024) প্রচার করতে যান। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার। আর নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। কিন্তু, সকালে গ্রামে বিজেপি প্রার্থীকে দেখে তৃণমূলের লোকজন মহিলাদের সামনে এগিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রেখা পাত্র কথা বলতে গেলে তৃণমূলের মহিলা বাহিনী হামলা চালায়। অর্চনা মজুমদারও আক্রান্ত হন। গাড়ি করে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় গাছের গুঁড়ি ফেলে পথ আটকানো হয়। লাঠি, ইট দিয়ে গাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন।

    আরও পড়ুন: সোমবার রাজ্যের উষ্ণতম ছিল কলাইকুন্ডা, কলকাতার তাপমাত্রা কত?

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    বিজেপি (Basirhat) প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, বিক্ষোভকারীরা সকলেই তৃণমূলের লোক। বিক্ষোভ দেখানো নয়, আমার প্রচার ভন্ডুল করাই তাঁদের উদ্দেশ্য। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তরজায় জড়িয়ে পড়েন আমাদের দলের কর্মী-সমর্থকেরা। তর্কাতর্কি গড়ায় হাতাহাতিতে। এরপরই পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। লাঠি, ইট দিয়ে তৃণমূল হামলা চালায়।

    নিরাপত্তা বাড়ল রেখা পাত্রের

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রেখা পাত্রের ওপর হামলার আগেই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁকে এক্স ক্যাটাগরি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে বাড়তে চলেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Panihati: “টানা ৬দিন পানীয় জল নেই,” সৌগত রায়কে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ মহিলাদের

    Panihati: “টানা ৬দিন পানীয় জল নেই,” সৌগত রায়কে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচারে বেরিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে কদমতলা এলাকায়। ভোটের মুখে পানীয় জলের দাবিতে এভাবে দলীয় প্রার্থী বিক্ষোভের মধ্যে পড়ায় চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে শাসক দল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    কার্যত বেহাল পানিহাটির (Panihati) নাগরিক পরিষেবা। পানীয় জল থেকে বিদ্যুৎ, জঞ্জাল থেকে নিকাশি, রাস্তাঘাট কোনওকিছুই বাদ নেই। গরমের মধ্যে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘ হচ্ছে। জলের জন্য পানিহাটিতে ক্ষোভ বিক্ষোভ লেগেই আছে। এই আবহের মধ্যে সোমবার সকালেই ফের পানীয় জলের দাবিতে বাড়ির মহিলারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। এমনিতেই গরমে নাজেহাল অবস্থা, তারমধ্যে পুরসভার দেওয়া পাইপ লাইন দিয়ে একটুও জল পড়ছে না। গরম উপেক্ষা করে মহিলারা রাস্তা অবরোধে সামিল হন। সেই সময় প্রচার সেরে ফিরছিলেন দমদম লোকসভার প্রার্থী সৌগত রায়। তাঁকে মহিলারা চিৎকার করে বলে ওঠেন, ৬ দিন ধরে জল নেই। এই গরমে কী করে বাঁচব? পুরসভার কাছে বার বার গিয়ে আবেদন করেছি। কোনও লাভ হয়নি। আপনি কিছু একটা করুণ। এরপর সৌগত অবরোধকারীদের সামনে পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল তীর্থঙ্কর ঘোষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, কেএমডিএ-র সঙ্গে কথা বলেন। এরপরই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরা সেখানে হাজির হন। পানীয় জলের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়ার পর অবরোধ ওঠে।

    আরও পড়ুন: “আভি তো পিএসসি, মিউনিসিপ্যালিটি, ফায়ার ব্রিগেড বাকি হ্যায়”, তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় বলেন, আমাকে দেখে বিক্ষোভ কেউ দেখাইনি। আসলে তাঁরা নিজেদের দাবি কথা জানিয়েছেন। ৬দিন ধরে এলাকায় জল নেই। তাই, মহিলারা রাস্তা অবরোধ করেছিলেন। আমি পুরসভাকে জানিয়েছি। আশা করি, জলের সমস্যা মিটে যাবে। বিজেপি নেতা কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না। সাংসদ হিসেবে তিনি যে কিছু করেননি তা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল। ভোট বাক্সে মানুষ এর জবাব দেবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “আভি তো পিএসসি, মিউনিসিপ্যালিটি, ফায়ার ব্রিগেড বাকি হ্যায়”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “আভি তো পিএসসি, মিউনিসিপ্যালিটি, ফায়ার ব্রিগেড বাকি হ্যায়”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। এই ইস্যুতে ভোট আবহের মধ্যে তোলপাড় চলছে। এই অবস্থায় নতুন করে চাকরি দুর্নীতি নিয়ে ফের সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি।

    আরও চাকরি দুর্নীতি নিয়ে সরব শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রবিবার নন্দকুমারের জনসভা থেকে চাকরি দুর্নীতি ইস্যুতে সরব হন  শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। এদিন তিনি বলেন, ‘এসএসসি তো পহেলা ঝাঁকি হ্যায়, আভি তো পিএসসি, মিউনিসিপ্যালিটি, ফায়ার ব্রিগেড বাকি হ্যায়। এসএসসি দুর্নীতির জেরে চাকরিহারা হয়েছেন অনেকে। এবার আরও বেশ কয়েকটি দুর্নীতি প্রমাণ হবে বলে দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তাহলে কি আরও অনেকে চাকরিহারা হবেন? ‘

    আরও পড়ুন: “ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    নাম না করে মমতাকে তোপ

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)  বলেন, ‘অনেকগুলো মিটিং করেছেন পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে। আমাকে উনি নাকি তৈরি করেছেন। আমাকে কেউ তৈরি করলে তিনি সুশীল ধাড়া, কুমুদিনী ডাকুয়া। আমার অভিভাবিকা আভা মাইতি।’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘১৯৯৫ সালে কাউন্সিলর হই। তার আগে ১৯৮৮ সালে কলেজে ইউনিয়নের জিএস। কলকাতা থেকে লাফিয়ে নন্দীগ্রামে এসেছিলেন। তিন বছর আগের কথা। ৬৫ হাজার মুসলিম ভোট ছিল। ভেবেছিলেন তা পেলে শুভেন্দু অধিকারীকে হারিয়ে দেওয়া যাবে। হেরে বাড়ি গিয়েছেন। যতদিন বেঁচে থাকবেন, কানের কাছে বাজবে হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি।’

    অযোগ্যদের জন্য ২০ হাজারকে বলি দিয়েছেন মমতা

    মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘আদালত যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা চেয়েছিল। ৫৪০০ অযোগ্যের জন্য ২০ হাজারকে বলি দিয়েছে। যোগ্যদের নিয়ে চিন্তা নেই। অযোগ্যদের বাঁচাতে ১৮ – ২০ লাখ টাকা করে তুলেছে। বিচারপতি দেবাংশু বসাক জানতে চেয়েছেন, অতিরিক্ত শূন্য পদ কারা তৈরি করেছিল? তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই। ওই সিদ্ধান্ত হয়েছিল ২০২২ সালের ক্যাবিনেটে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: “ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    Siliguri: “ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের ৭২  ঘণ্টার মধ্যে রক্ত ঝরল শিলিগুড়িতে। অভিযোগ, বিজেপির হয়ে ভোটে কাজ করা ও জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেওয়ার কারণে তৃণমূলের হাতে  গুরুতরভাবে আক্রান্ত হলেন বিজেপি বুথ সভাপতি সহ ছ’ জন কর্মী। এর মধ্যে দু’জন মহিলা রয়েছেন। আক্রান্তদের শিলিগুড়ি (Siliguri) জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাতে মাটিগাড়া ব্লকের কলাইবক্তিয়ারিতে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে এফআইআর করে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার রাতেই মাটিগাড়া থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার মাটিগাড়া ব্লক বনধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসিপি, হেড কোয়ার্টার তন্ময় সরকার বলেন, হামলার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী হয়েছিল? (Siliguri)

    মাটিগাড়া -নকশালবাড়ি বিধানসভা এলাকায় কলাইবক্তিয়ারিতে  বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতি নন্দকিশোর ঠাকুরকে বিজেপির হয়ে কাজ করতে বারণ করেছিল তৃণমূল। সেই নিষেধ অমান্য করে এলাকায় তাঁরা প্রচার করেছিলেন। এমনকী ভোটের দিন বুথের কাছে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিলেন। ভোট শেষ হওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই বিজেপির বুথ সভাপতিসহ ছ’জন বিজেপি কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা চালায় দুস্কুতিরা। দু’জন মহিলা সহ ছয়জন গুরুতর জখম হয়েছেন। এই ঘটনায় সরাসরি তৃণমূলকে দায়ী করেছে বিজেপি। বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মন্ডল বলেন, তৃণমূল নেতা স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৈলাশ মণ্ডল ও তাঁর দলবল ভোটের আগে থেকেই আমাদের বুথ সভাপতি  নন্দকিশোর ঠাকুরকে হুমকি দিচ্ছিল। রবিবার সকালে বাড়ি গিয়ে নন্দকিশোরকে  প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। রাতেই প্রাণঘাতি হামলা চালায় তৃণমূল নেতা কৈলাশ মণ্ডল ও তাঁর দলবল। আক্রান্ত বিজেপি নেতা নন্দকিশোরবাবু বলেন, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় তৃণমূল। আমার পাশাপাশি দু’জন মহিলা সহ আমাদের ছ’জন কর্মী গুরুতর জখম হন। এর প্রতিবাদে সোমবার আমরা মাটিগাড়া বনধের ডাক দিয়েছি। মানুষ তাতে সাড়া দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: তৃতীয় দফা ভোটের আগে প্রচারে ঝড় তুলতে রাজ্যে আসছেন মোদি-যোগী

    তৃণমূলের দালাল পুলিশের মদতেই এই ঘটনা, বললেন রাজু বিস্তা

    বিজেপির দার্জিলিং লোকসভা আসনের প্রার্থী ও বিদায়ী সাংসদ রাজু বিস্তা এই ঘটানার জন্য পুলিশের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, রবিবার সকালে পুলিশকে অভিযোগ জানানোর পর ব্যবস্থা নেওয়া হলে এই ঘটনা ঘটত না। পুলিশ তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। সকালে অভিযোগ পেয়েও এই ঘটনা ঘটানোর জন্য পুলিশ নিশ্চুপ হয়ে বসেছিল। তৃণমূলের এই সন্ত্রাস এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ তদন্ত করার দাবি জানিয়েছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share