Tag: tmc

tmc

  • Kokata Police: সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়! মুখ্যমন্ত্রীর মিম-বিতর্কে পিছু হটল কলকাতা পুলিশ

    Kokata Police: সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়! মুখ্যমন্ত্রীর মিম-বিতর্কে পিছু হটল কলকাতা পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়ে পিছু হটল কলকাতা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর মিম কে বানিয়েছে? তার উত্তর জানতে চায় পুলিশ। এ নিয়ে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে পুলিশ।  রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে (Mamata Banerjee) নিয়ে মিম (Meme) বানানোয় কড়া হাতে ব্যবস্থা নেয় কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ভোটের মাঝেই মমতাকে নিয়ে একটি মিম ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে স্পিটিং ফাক্টস নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে। যা রীতিমতো ভাইরাল। ওই ভিডিয়ো কলকাতা পুলিশের নজরে পড়তেই বিপত্তি। 

    পুলিশের পদক্ষেপ

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর, অমর্যাদাকর ভিডিও বানানোর জেরে লালবাজারের সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জারি করা হয় নোটিস। সংশ্লিষ্ট ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেরার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুলিশ তরফে। ওই ভিডিয়ো ডিলিট করার পাশাপাশি, আসল নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। বলা হয়েছে, ‘যদি আপনি না জানান তবে ৪২ সিআরপিসিতে আপনার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ এ সংক্রান্ত একটি পোস্টও করা হয়।

    এরপরই কলকাতা পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এমনকী, পোস্টকর্তাদের আসল নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়ে যে হুমকি-ট্যুইট করেছিল কলকাতা পুলিশ, তার  জবাবে একজন পোস্ট করেন এই বার্তা—

    একপ্রকার বাধ্য হয়ে নিজেদের পোস্ট সরিয়ে নেয় কলকাতা পুলিশ।

    আরও পড়ুন: “নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি”, ভোট আবহে ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে বার্তা মোদির

    মোদির সহনশীলতা

    বাংলায় যখন এমন ভিডিওকে ঘিরে পদক্ষেপ চলছে তখনই ভাইরাল হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমনই এক ভিডিও। এক যুবক সেই ভিডিও পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি এই ভিডিও পোস্ট করছি কারণ আমি জানি ‘একনায়ক’ এই ভিডিওর জন্য আমায় গ্রেফতার করাবেন না।’ পোস্টদাতার ওই বার্তার নাম না করে কটাক্ষ ছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদিকে ‘একনায়ক’ বলে আক্রমণ শানান প্রায়শই। সেই ভিডিও পোস্ট হওয়ার পর তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে ক্যাপশনে লেখেন, ‘নিজেকে নাচতে দেখে আপনাদের মতো আমিও সেই নাচ উপভোগ করেছি। নির্বাচনের মরশুমে এমন ‘শিল্প’ সত্যিই মনকে আনন্দ দেয়।’ এরপর যেন সমালোচনা আরও তীব্র হয়। 

    মালব্যর কটাক্ষ

    প্রধানমন্ত্রী নিজের নাচের ভিডিও শেয়ার করার পরই সরব হন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি মমতা ও মোদির দুটি ভিডিও এবং কলকাতা পুলিশের পোস্ট ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পোস্টের একটি কোলাজ বানিয়ে তা পোস্ট করেন এক্স হ্যান্ডেলে। সেই সঙ্গে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘স্পট ‘দি ডিক্টেটর’। 

    এই প্রথম নয়

    তবে এই প্রথমবার নয়। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে নিয়ে নানারকম কার্টুন ও মিম তৈরির বিরুদ্ধে এর আগেও কড়া পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুলিশ। ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মিম বানানোয় একজন ইউটিউবারকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই অভিযোগে আরও সাতজনের নাম ছিল।

    ২০১৯ সালে মুখ্য়মন্ত্রীর একটি বিকৃত ছবি ফেসবুকে পোস্ট করায় গ্রেফতার হয়েছিলেন বিজেপির এক যুবনেতা। ২০১২ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রফেসর অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছিল মুখ্য়মন্ত্রী সম্পর্কিত একটি কার্টুনকে ফরোয়ার্ড করায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি”, ভোট আবহে ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে বার্তা মোদির

    PM Modi: “নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি”, ভোট আবহে ভিডিও শেয়ার করে মমতাকে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা ভোটের মরশুমে নিজের নাচের ভিডিও শেয়ার করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ভিডিয়োটিতে তাঁকে একটি মঞ্চে নাচতে দেখা যাচ্ছে। যদিও ভিডিয়োটি সত্যিকারের নয়, এটি তৈরি করা। তবে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি তাঁর এই নাচের ভিডিও দেখে ভারি মজা পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেই সে কথা জানালেন মোদি। এক নেটব্যবহারকারীর তৈরি ২৮ সেকেন্ডের সেই অ্যানিমেনেড ভিডিয়োয় প্রধানমন্ত্রী মোদির আদলের এক ব্যক্তিকে মঞ্চে পাগলু ডান্স করতে দেখা গিয়েছে। 

    ভিডিও শেয়ার প্রধানমন্ত্রীর

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের মধ্যে আলোচনায় পাগলু ডান্স। এবার সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে দেবের সেই জনপ্রিয় নাচের অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো। তবে তৃণমূলের তারকা-সাংসদ দেব নন, সেখানে কুশীলব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! ভিডিয়োটি প্রথমে এথেয়িস্ট কৃষ্ণ নামের এক এক্স হ্যন্ডেল থেকে শেয়ার করা হয়েছিল। সঙ্গের ক্যাপশনে লেখা, “এই ভিডিয়োটি পোস্ট করছি, কারণ, আমি জানি এর জন্য ‘ডিক্টেটর’ আমায় গ্রেফতার করবে না।” এই ভিডিয়োটিই ফের শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে তাঁর সরস মন্তব্য, “আপনাদের সকলের মতো আমিও নিজেকে নাচতে দেখে আনন্দ পেয়েছি। ভোটের আবহে এই ধরনের সৃজনশীলতা সত্যিই আনন্দ দেয়।” 

    যখন রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা নিজেদের সমালোচনা শুনলেই তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন সেই পরিস্থিতিতে ভোটের বাজারে প্রধানমন্ত্রী মোদির এই ‘স্পোটিং স্পিরিট’ প্রশংসা কুড়োচ্ছে অনেকেরই। সামাজিক মাধ্যমে মোদির এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন নেটিজেনরা। একই সঙ্গে এই ভিডিও শেয়ার করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এমনও মনে করছেন অনেকে।

    আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল প্রধানমন্ত্রী মোদি, ভোট দিলেন, সঙ্গে বার্তাও

    মমতাকে কটাক্ষ কঙ্গনার 

    প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের স্পুফ ভিডিয়োটি শেয়ার করার পর, এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসনের বিজেপির প্রার্থী তথা বলি অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “মমতা দিদি জি এটাকে বলে ‘টেকিং আ চিল পিল (মাথা ঠান্ডা রাখা)। আপনিও মাঝে মাঝে এটা ব্যবহার করুন। আপনি সবসময় রেগে থাকেন। কয়েকটা বাচ্চা ছেলে আপনার নাচের ভিডিয়ো বানিয়েছে। আপনি তাদের জেলে পাঠানোর চেষ্টা করছেন। আপনি খুব রাগী এবং অনমনীয়।”

    কেন কটাক্ষ

    সোমবারই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি স্পুফ ভিডিও শেয়ার করার দায়ে, কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের নোটিস পেয়েছেন দুই এক্স ব্যবহারকারী। এরপর কলকাতা পুলিশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাপোশের মতো আচরণ করছে বলে কটাক্ষ করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে (PM Modi) ব্যঙ্গ করে অশ্লীল পোস্টার লাগানোর বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কোনও পদক্ষেপ কেন করছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।

    মমতাকে নিশানা বঙ্গ বিজেপির

    রাজ্য বিজেপিও মোদির এই মিম-শেয়ারকে হাতিয়ার করে মমতাকে তুলোধনা করেছে। তারা জানিয়েছে, কী করে সবকিছু গ্রহণ করতে হয়, কী করে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হয়, দুই নেতার মধ্যে বিস্তর ফারাক। একদিকে ভিডিও দেখে প্রধানমন্ত্রী আনন্দ উপভোগ করছেন। অন্যদিকে, মমতা পুলিশ ভিডিও মুছে দেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। এই মর্মে একটি ট্যুইটও করেছে বঙ্গ বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “সন্দেশখালির মতো ফলতায় জাহাঙ্গির বাহিনী মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে”, বিস্ফোরক অভিজিৎ দাস

    South 24 Parganas: “সন্দেশখালির মতো ফলতায় জাহাঙ্গির বাহিনী মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে”, বিস্ফোরক অভিজিৎ দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির মতো দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী সন্ত্রাস চালাচ্ছে। মহেশতলায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে একটি জনসভায় যোগ দিয়ে একথা বলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। এমনিতেই প্রার্থী হওয়ার পর থেকে গোটা লোকসভা কেন্দ্র চষে বেড়়াচ্ছেন তিনি। তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করছেন তিনি।

    সন্দেশখালির মতো ফলতায় জাহাঙ্গির বাহিনী মহিলাদের অত্যাচার করেছে (South 24 Parganas)

    এদিন জনসভা থেকেই এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সন্দেশখালি প্রসঙ্গ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ডায়মন্ড হারবারের(South 24 Parganas)  বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সন্দেশখালি নিয়ে বড় বড় কথা বলছে। ফলতা, বিষ্ণুপুর,বজবজে দেখুক কীভাবে তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী সন্ত্রাস চালাচ্ছে। সন্দেশখালিতে শাহজাহান ও তার বাহিনী মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে। শাহজাহানের মতো ফলতায় তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির ও তার বাহিনীর দ্বারা কত মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে তার হিসাব নেই। আমরা এই সব হার্মাদ বাহিনীর গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারে লোকসভার নির্বাচনে কোনও হিন্দু-মুসলিম বা কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ভোট নয়, সাধারণ মানুষ তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করে ডায়মন্ড হারবার থেকে এই অভিশাপকে সরাবে।”

    আরও পড়ুন: “বাংলায় অনুপ্রবেশকারীরা তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক”, বিস্ফোরক অমিত শাহ

    কর্ম সংস্থানে উদ্যোগ

    তিনি বলেন, “তৃণমূল এখানে কোনও উন্নয়ন করেনি। তৃণমূলের লোকজন শুধু তোলাবাজি করেছে। মানুষ কোনও পরিষেবা পাইনি। এই কেন্দ্রের মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রাখে তাহলে ১১টি কোম্পানিকে নিয়ে এসে কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করব। তৃণমূল শুধু দুর্নীতি করেছে। কর্ম সংস্থানের কোনও ব্যবস্থা করেনি। এই কেন্দ্রের মানুষের অন্যতম ইস্যু হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করা। চিকিৎসার জন্য এই এলাকার মানুষ ভিন রাজ্যে যান। আশা করি, তিন বছরের মধ্যেই এই এলাকায় আমরা এইমস হাসপাতাল করতে পারব। আর এই হাসপাতাল হয়ে গেলে আর এই কেন্দ্রের মানুষদের চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের আগে আবাসের টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের, কমিশনে যাবে বিজেপি

    South 24 Parganas: ভোটের আগে আবাসের টাকা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তৃণমূলের, কমিশনে যাবে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির কারণে আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েছে কেন্দ্র। আর তাতেই চরম ব্যাকফুটে পড়েছে তৃণমূল। কারণ, বহু উপভোক্তা টাকা না পাওয়ার কারণে বা়ড়ি তৈরি করতে পারেননি। ফলে, ভোটের মুখে ক্ষোভ বাড়ছে। আর তাই, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর লোকসভা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নাম এবং ফোন নম্বর সংগ্রহ করে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছে তৃণমূল। আর এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাবে বিজেপি।

    বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে কমিশনে বিজেপি (South 24 Parganas)

    বিগত বছরগুলিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সুন্দরবন বারবার আক্রান্ত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। গরিব মানুষের বাড়ির চাল উড়েছে। ভেঙে গিয়েছে বাড়ির দেওয়াল। সেই মানুষের মাথা গোঁজার জন্যে রাজ্য সরকার যে ত্রিপল দিয়েছে তা ‘চুরি’ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেই। এমনকী সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়েও নয়- ছয় হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে সুন্দরবনের ভোটাররা যাতে তৃণমূলের থেকে মুখ না ফিরিয়ে নেয়, তাই আবাস যোজনার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নাকি স্থানীয় নেতারা বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, সাগর, মথুরাপুর এক নম্বর ও মথুরাপুর দু’নম্বর, কুলপি ব্লকের বহু বাসিন্দার আবাস যোজনার তালিকায় নাম থাকলেও তাঁরা টাকা পাননি। অনেকের আবার আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। এই সব নিয়ে চরমে উঠেছে দুর্নীতি। তৃণমূলের নীচুতলার নেতাদের বিরুদ্ধে সেই দুর্নীতির অভিযোগ। ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের নাম এবং ফোন নম্বর সংগ্রহ করে আবাস যোজনার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাইছে তৃণমূল। আদতে এসব করে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানাবো।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার দিনই বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু কিশোরের, উড়ল হাত, শোরগোল

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    নির্বাচনের মুখে নতুন করে আবাসের বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠেছে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ প্রসঙ্গে পাথরপ্রতিমার তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানা বলেন, “আবাস যোজনার টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দিয়ে দেবে। মানুষকে তা জানানো হচ্ছে। এতে বিধি ভঙ্গের কিছু নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “মহিলাদেরকে অসম্মানজনক কাজে লাগিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে তৃণমূল”,  তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মহিলাদেরকে অসম্মানজনক কাজে লাগিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে তৃণমূল”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মহিলাদেরকে অসম্মানজনক কাজে লাগিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছে তৃণমূল।” সোমবার সকালে কাঁকসার গোপালপুর এলাকায় প্রাতঃভ্রমণ ও চা চক্রে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মূলত, ভোটের আবহে সন্দেশখালি, নিয়োগ দুর্নীতিতে অনেকটাই ব্যাকফুটে তৃণমূল। তাই, এই ধরনের ইস্যু তৈরি করে ভোটে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মহিলাদের দিয়ে অসম্মানজনক কাজে করিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তৃণমূল (Dilip Ghosh)

    এদিন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) রাজ্যপালের হয়ে সওয়াল করলেন। শুধু পাশে দাঁড়ানো নয়, এই ইস্যুতে কার্যত তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল একজন শিক্ষিত মানুষ। তিনি যেহেতু তৃণমূলের বশ্যতা স্বীকার করেনি তাই তাঁর বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলার পাশাপাশি কখনো তাকে কালো পতাকা দেখানো এবং নানাভাবে অসম্মান করার কাজ করছে। এখন আবার মহিলাদের দিয়ে অসম্মানজনক কাজে লাগিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় থাকতে চাইছে তৃণমূল। সমাজ এর জবাব দেবে। শুধুমাত্র ক্ষমতা এবং টাকার জন্য তৃণমূল এই ধরনের কাজ করছে। তিনি বলেন, বর্তমানে তৃণমূল এতটাই বদনাম হয়ে গিয়েছে যে কোথাও কোনও পোস্টারে তৃণমূল লেখা থাকছে না, শুধুমাত্র জোড়া ফুল চিহ্ন দেওয়া হচ্ছে পোস্টারে। কারণ, তৃণমূল শব্দ তাই বদনাম হয়ে গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: অভিষেকের সভার দিনই বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু কিশোরের, উড়ল হাত, শোরগোল

    সন্দেশখালি ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন দিলীপ

    সন্দেশখালি প্রসঙ্গে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে সেটা একজন দুজন মহিলার সঙ্গে নয় অনেক মহিলাকে অসম্মান করা হয়েছে, যার কারণে হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় ঝাঁটা নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন। আর এই সন্দেশখালিতে ইস্যুতে তৃণমূল কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। মানুষ আর ওদের চাইছে না। আর সন্দেশখালিতে বিজেপি নেতার ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সত্য উদঘাটন হবে। মানুষ সবই দেখতে পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: এফআইআর করার অধিকার নেই পুলিশের, রাজভবনের কর্মীদের চুপ থাকার নির্দেশ রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: এফআইআর করার অধিকার নেই পুলিশের, রাজভবনের কর্মীদের চুপ থাকার নির্দেশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত নিয়ে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে এবার কড়াবার্তা রাজভবনের। সংবিধানের ৩৬১ ধারা তুলে ধরে বিবৃতি জারি করেছে রাজভবন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose) প্রশ্ন তুলে ধরলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, “পুলিশ কীভাবে তথ্যানুসন্ধান করছে?” ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ফের শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট  করের বলেন, “সংবিধানের ধারা ৩৬১ নম্বরকে অমান্য করছে পুলিশ। রাজভবনের কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ রাজভাবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে আবেদনের কথা বলেছে। একই ভাবে রাজভাবনের সমস্ত স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মীদের পুলিশের সঙ্গে বার্তালাপের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।” তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, “মুখোমুখি, ফোনে কিংবা কেউ যেন পুলিশের সঙ্গে কোনও রকম কথা না বলেন। সকলের কাছে এই বার্তা দিতে রাজভবনের সিনিয়র আধিকারিক এস কে পট্টনায়ককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” একই সঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়ে রাজভবন থেকে বলা হয়, “সংবিধানের ৩৬১ (২) ও ৩৬১ (৩) নম্বর ধারায় বিশেষ রক্ষা কবজ পান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পুলিশের তদন্ত করার কোনও এক্তিয়ার নেই। পুলিশের তদন্তের বিরুদ্ধে আদলতও কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না। পুলিশ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও রকম এফআইআর দায়ের করতে পারবে না।”

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    গত বৃহস্পতিবার রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী হেয়ার স্ট্রীট থানায় রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মহিলা কর্মী নিজে অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “চাকরি যাহেতু অস্থায়ী, তাই স্থায়ীর জন্য আমি আবেদন করি। কিন্তু রাজ্যপাল দুই বার অশালীন আচরণ করেছেন।” এরপর থেকেই তৃণমূল রাজ্যপালকে নিশানা করে ময়দানে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশ আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে। তাই ওঁই মহিলার অভিযোগকে ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশ রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে চায় এবং রাজভবনের ওসির কাছে এই মর্মে একটি চিঠিও দেয় লালবাজার। আর এরপরই রাজভবন থেকে পাল্টা পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা

    Lok Sabha Election 2024: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় পানীয় জলের অভাব! লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিদায়ী সাংসদ। কার্যত দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটা বিস্তৃত এলাকায় তীব্র পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। শাসক দল এই সমস্যাকে উপেক্ষা করেছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। তাই এবার জয়নগরের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদকে সামনে পেয়ে এলাকার মানুষ ক্ষোভ উগরে দেন। পাল্টা জল সঙ্কটকে অতরিক্ত গরম বলে উষ্ণায়নকে দুষলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ (Lok Sabha Election 2024)

    গত ১০ বছরে এলাকার সাংসদকে চোখে দেখেননি কেউ। রবিবার সকালে হরিনারায়ণপুরে ভোট প্রচারে (Lok Sabha Election 2024) ভোট চাইতে গেলে এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রতিমা মণ্ডল। এলাকায় মানুষের তীব্র জলের কষ্ট, নেই রাস্তায় লাইটের ব্যবস্থা। এই তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে ছিলেন অপর আরেক তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস। কিন্তু অভিযোগ করার সময় এই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এমনকী বিষয় শেষ পর্যন্ত হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায়। এরপর প্রতিমা নিজে দুই পক্ষকে সরিয়ে গোলমাল সামাল দেন।

    আবার স্থানীয় বাসিন্দা প্রভাত কয়াল বলেন, “আমার পাড়ায় একটা আলো নেই। টিপকলের জল আসে না। আমাদের এখানে এক ফোঁটা জলই আসে না। সাংসদ এলাকায় এসেছেন ১০ বছর পরে। ভোটের সময় কাছে পেয়ে তাই সমস্যার কথা তাঁকে বললাম।” আবার আরেক গৃহবধূ বলেন, “এলাকায় কোনও কাজ হয়নি। আমাদের জল একান্ত প্রয়োজন।”

    আরও পড়ুনঃ এবার যোগ্য শিক্ষকদের পাশে বিজেপি, আইনি সহায়তা দিতে গঠন হল লিগ্যাল সেল

    কী বললেন প্রতিমা?

    এলাকার মানুষের সমস্যার কথা শুনে প্রতিমা বলেন,“জলের সমস্যা শুধু এই রাজ্যের সমস্যা নয়, সারা দেশ এবং বিশ্বের মধ্যে এই জলের সঙ্কট রয়েছে। বিশ্বউষ্ণায়নের জন্য তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ছে। ভূগর্ভের জল অনেকটা নেমে গিয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী (Lok Sabha Election 2024) আচরণ বিধি আছে তাই ইচ্ছে থাকলেও নলকূপ বসানো যাবে না। আবার নির্বাচনে জয়ী হয়ে মানুষের জন্য কাজ করব। এখন পিএইচ থেকে জল বাড়িতে বাড়িতে দেওয়ার কথা বলছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ghatal: পানীয় জলের যন্ত্রণায় ভুগছে ঘাটাল! ভোটের মুখে দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঘাটালের ৩০ পরিবারের

    Ghatal: পানীয় জলের যন্ত্রণায় ভুগছে ঘাটাল! ভোটের মুখে দেবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঘাটালের ৩০ পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সূর্যের তেজে পুড়ছে গোটা বাংলা। তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে জল সংকটে ভুগছে ঘাটাল। তাপমাত্রার পারদ যখন প্রায় ৪০ ডিগ্রি পার করেছে তখন পানীয় জলের সংকটে (Ghatal Water Crisis) নাজেহাল হচ্ছে ঘাটালের (Ghatal) গ্রামবাসী। প্রবল দাবদহের মধ্যে তীব্র পানীয় জলের সঙ্কটে ঘাটালের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের দন্দিপুর বক্সী পাড়া এলাকার ৩০ পরিবার। 

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বিদায়ী সাংসদ দেবকে বিষয়টি একাধিকবার জানানো হলেও কোনও কাজ হয়নি। তাতেই গ্রামে (Ghatal) বিক্ষোভের আঁচ। এলাকার লোকজনের দাবি, আজ নয়, দীর্ঘ ছয় মাসের বেশি সময় ধরে একই অবস্থা এলাকার। কিছুদিন আগেই এলাকায় প্রচারে এসেছেন ঘাটালের দুবারের সাংসদ তথা এবারের তৃণমূল প্রার্থী দেব। তাঁর কাছে জলের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু তারপরেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা। 

    দেবের প্রতিশ্রুতি (Dev) 

    এ প্রসঙ্গে এলাকার (Ghatal) বাসিন্দা অনিমা বক্সি বলেছেন, “কার্তিক মাস থেকে জল নেই। সবাইকে বলেছি। কেউ কিছু শোনেনি। দেবও কদিন আগে এসেছিল। ওকেও বলেছিলাম আমরা। এখন তো এদিক ওদিক থেকে জল এনে কোনওরকমে কাজ চালাচ্ছি।” আর এক মহিলা বলেন, “৬ মাস ধরে জল নেই। বাধ্য হয়ে পুকুরের জল ব্যবহার করছি।” যদিও দেব (Dev) 
    প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইলেকশনের পর কাজ হয়ে যাবে।   

    আরও পড়ুন: ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটেও ব্যাপক দুর্নীতি! পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন বিচারপতি মান্থার

    জল সংকটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী (Ghatal) 

    জানা গেছে পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে গ্রামে হয়েছিল সজল ধারার কাজ। তবে সূত্রের খবর, বিদ্যুতের বিল সময় মতো না দেওয়ায় সেই সংযোগও বিচ্ছিন হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আবার এলাকায় পিএইচইর পাইপ লাইনের ট্যাপ কল বসেছে। কিন্তু, জল এখনও আসেনি তাতে। ফলে সমস্যার (Ghatal Water Crisis)সমাধান কিছুতেই হচ্ছে না। এদিকে জল সংকটে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বেড়ে চলেছে স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপর। 
    বিষয়টি নিয়ে বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রশান্ত রায়ের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি আবার বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাকে দুষছেন। তবে তাঁর আশ্বাস সমস্যার সমাধান দ্রুত হবে। জল পাবে এলাকার মানুষ। কিন্তু, এলাকার (Ghatal) মানুষের দাবি, প্রতিশ্রুতি অনেক পেয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Panihati: পানিহাটির অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Panihati: পানিহাটির অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন পুরসভার চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন দমদম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। পানীয় জলের সঙ্কটের জন্য তৃণমূল পরিচালিত পুর কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছিলেন বাসিন্দারা। এবার সেই বোর্ডেরই পুরপ্রধান পানিহাটি (Panihati) পুরসভার সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন। ভোটের আগে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    পানিহাটি অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন চেয়ারম্যান (Panihati)

    পানিহাটি (Panihati) পুরসভায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ৩৫টি। গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ বোর্ড মিটিং। পানীয় জল, জঞ্জাল, বিদ্যুৎ, নিকাশি নিয়ে মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। তার ওপর ঠিকাদারদের প্রায় ১৫ কোটি টাকার মতো বকেয়া থাকায় তারাও কোনও কাজে হাত দিচ্ছেন না। ফলে, থমকে উন্নয়নের কাজ। একপ্রকার অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পানিহাটি জুড়ে। এই অবস্থার মধ্যে চেয়ারম্যানকে সরানোর জন্য কাউন্সিলরদের একটা অংশ সরব হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুরবোর্ড ক্ষমতায় থাকার পরও কোনও কাজ হচ্ছে না। আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে শহর। পানীয় জলের সঙ্কট তো রয়েছে। এই অবস্থা কাটিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসুক আমরা চাই। অন্যদিকে,পানিহাটি (Panihati) পুরসভার সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল নেতার নির্দেশে বাড়িতে মজুত বোমা তৈরির মশলা-আগ্নেয়াস্ত্র”, জানালো ধৃত দুষ্কৃতী

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    মানুষের ক্ষোভ যখন দিনে দিনে বাড়ছে তখন পুরপ্রধানের চেয়ারে বসে পানিহাটির (Panihati) সামগ্রিক অচলাবস্থা নিয়ে তদন্তের দাবি করলেন পুরপ্রধান মলয় রায়। তিনি বললেন, ঠিকাদারদের যে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে বলা হচ্ছে সেই কাজ হয়েছে ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে ওই কাজ করা হয়েছিল। যার বেশিরভাগই হয়েছিল কোনওরকম টেন্ডার, ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া। স্বপক্ষে কাগজপত্রও ঠিকঠাক নেই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে বিপুল পরিমাণ ওই টাকার কাজ কিভাবে হলো? যদিও তা নিয়ে খোলসা না করলেও পুরো প্রক্রিয়াটার পিছনে কারোর না কারোর মদত ছিল বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান। তিনি বলেন, ‘ আমি পুরপ্রধানের চেয়ারে বসার পর থেকে সমান্তরাল প্রশাসন চালানো হচ্ছে। বোর্ড মিটিং ডাকলে কাউন্সিলরদের একটা অংশ ইচ্ছাকৃত ভাবে হাজির হচ্ছেন না। যাতে বোর্ড মিটিং না হয়। ঠিকাদাররা কাজ করতে চাইছেন না।

    পানিহাটির বিধায়ক কী বললেন?

    পানিহাটির (Panihati) বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘ প্রথমত আমি পুরসভা দেখিনা। তার ওপর চেয়ারম্যান তো অসুস্থ।আর সেকারণে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব তাকে পদত্যাগ করতে বললেও তিনি করেননি। তবে আমি নির্বাচনের মুখে মুখ খুলতে চাইনা। কাউকে চটাতেও চাইনা। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে পুরসভা চালানোর দায়িত্ব পুরপ্রধানের। উনি যদি নিজের ব্যর্থতাকে তদন্ত দিয়ে ঢাকতে চান করবেন’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • No Dues Certificate: দেবাশিস ধরের প্রার্থীপদ বাতিলের জের! বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

    No Dues Certificate: দেবাশিস ধরের প্রার্থীপদ বাতিলের জের! বড় সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারের ঘরে তাঁর বকেয়া নেই, এই সংক্রান্ত সার্টিফিকেট দেখাতে পারেননি তিনি। জীবনের প্রথম লড়াইয়ে প্রার্থীপদ বাতিল হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের (Debashis Dhar)। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর এই ঘটনার পর নড়ে চড়ে বসে কমিশন। “নো ডিউস সার্টিফিকেট” (No Dues Certificate) নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ।

    কমিশনের বড় সিদ্ধান্ত (No dues Certificate)

    পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহ দেশের সমস্ত রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। জানানো হয়েছে প্রার্থীর আবেদনের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনও বকেয়া না থাকলে “নো ডিউজ সার্টিফিকেট” (No Dues Certificate) ইস্যু করতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতর। যদি বকেয়া থাকে সে ক্ষেত্রেও বিশদ তথ্য দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরকে। “নো ডিউস সার্টিফিকেট” সংক্রান্ত ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ বদল আনা হল। এরপর মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়মই কার্যকর হবে।

    অভিষেকের গড়ে একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, মহিলাদের শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শতাব্দী রায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবাশিস ধর

    প্রসঙ্গত দেবাশিস ধরকে বীরভূম (Birbhum) লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Ray) বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। প্রচারও শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রাজ্য “নো ডিউজ সার্টিফিকেট” জারি না করায় তাঁর প্রার্থী পদ বাতিল হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে বিকল্পপ্রার্থী হিসেবে দেবতনু ভট্টাচার্যকে দিয়ে নমিনেশন করানো হয় বিজেপির তরফে। দেবাশিস ধরের প্রার্থী পদ বাতিল হওয়ায় বিজেপি এই কেন্দ্রে চাপে রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন দেবাশিস বাবু। সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে বলে। দেবাশিস বাবুর অভিযোগ প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনে তৃণমূল প্রার্থীকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য “নো ডিউজ সার্টিফিকেট” নিয়ে গড়িমসি করে প্রশাসন।

    কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস

    প্রসঙ্গত কমিশন (ECI) সূত্রে খবর রিপ্রেজেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্টের সেকশন ৩৬ অনুযায়ী কোন প্রার্থী যদি সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে নো ডিউজ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়। ২৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে হলফনামা দেওয়ার সময় তিনি (No Dues Certificate) সার্টিফিকেট দিতে পারেননি বলে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। দেবাশিস ধর (Debashis Dhar) কোচবিহারের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। শীতলকুচি কাণ্ডের পর তাঁকে বলির পাঁঠা করা হয় বলে দাবি করেছেন দেবাশিস বাবু। এই মামলায় পরে তাঁর বিরুদ্ধে সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও কম্পালসারি ওয়েটিং এ রাখা হয়েছিল তাঁকে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে তাঁর নাম ঢুকিয়ে তাকে টানা জেরা করা হয় বলে অভিযোগ প্রাক্তন পুলিশ কর্তার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share