Tag: tmc

tmc

  • Shahjahan Sheikh: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    Shahjahan Sheikh: পালাতে পারে বিদেশে, সন্দেশখালির শাহজাহানের ভাইয়ের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একাধিকবার সমন পাঠিয়ে হাজিরা দিতে বলেছিল ইডি। তার পরেও বারংবার হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে সন্দেশখালিকাণ্ডে অভিযুক্ত শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) ভাই সিরাজউদ্দিন শেখ। ঘটনার পঞ্চান্ন দিন পরে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত শাহজাহানকে। এবার সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল ইডি।

    বিদেশে পালাতে পারে সিরাজউদ্দিন (Shahjahan Sheikh)

    তদন্ত এড়াতে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করতে পারে সিরাজউদ্দিন। সে যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য দেশের সব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে ইডি। সিরাজউদ্দিনের ছবি ও তার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও পাঠানো হয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) আর এক ভাই আলমগিরকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। রবিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে ইডিও। গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূল নেতা শাহজাহানের (গ্রেফতার হতেই দায় ঝেড়ে ফেলতে সাসপেন্ড করা হয় শাহজাহানকে) দুই শাগরেদ শিবু হাজরা ও দিদারবক্স মোল্লাকে।

    সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, মহিলা নির্যাতন, জমি জবরদখল, স্থানীয়দের ওপর জুলুমবাজির যেসব অভিযোগ সন্দেশখালি ও ন্যাজাট থানায় দায়ের হয়েছিল আঠারো থেকে চব্বিশ সালের মধ্যে, সেই অভিযোগগুলিতে নাম রয়েছে শাহজাহান-সহ অন্যদের। সন্দেশখালিকাণ্ডের পর এলাকাবাসীর অভিযোগ নেওয়ার জন্য যে পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছিল, সেখানে সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে অন্তত ১০০টি অভিযোগ জমা পড়েছিল। এতে যেমন ছিল জমি দখলের অভিযোগ, তেমন ছিল অকারণে মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও।

    আরও পড়ুুন: ফের ‘কেরালা স্টোরি’র গল্প! বিহার, কর্নাটকে ‘লাভ জিহাদে’র ফাঁদে হিন্দু তরুণীরা

    জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ সর্দার পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, ‘এক আদিবাসী মহিলার ৩৩ শতক চাষের জমি দখল করে মার্কেট তৈরি করেছে সিরাজউদ্দিন। টাকার জন্য সিরাজউদ্দিনের দোরে ঘুরেও ফিরতে হয়েছে খালি হাতে। গাড়ি করে বসিরহাটে তুলে নিয়ে গিয়ে জমি লিখিয়ে নিয়েছে, ভয়ে কারও কাছে মুখ খুলতে পারিনি।’ ইডি সূত্রে খবর, এসব মামলার তদন্ত সূত্রেই সিরাজউদ্দিনকে তলব করেছিল ইডি।

    প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডের তদন্তে শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা। আক্রান্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ান মায় সংবাদমাধ্যমের কর্মীরাও। অভিযোগের আঙুল ওঠে শাহজাহান অনুগামীদের দিকে। তার পর থেকেই নিত্য খবরের শিরোনামে রয়েছে শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) অ্যান্ড কোং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bankura: “রড, লাঠি ও টাঙি নিয়ে ব্যাপক হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    Bankura: “রড, লাঠি ও টাঙি নিয়ে ব্যাপক হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে তৃণমূলের ফতোয়ার বিরোধিতা করায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের শিবডাঙা গ্রামে। সোনামুখী থানার ওই গ্রামে দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের হামলায় এক শিশু সহ সাতজন জখম হন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার বাঁকুডার (Bankura) সোনামুখী থানার শিবডাঙা গ্রামে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে দেওয়াল লিখনের প্রস্তুতি নেন স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। গ্রামের একাধিক দেওয়ালে চুনের প্রলেপ লাগানো হয়। অভিযোগ, সোমবার রাতে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হয়ে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ফতোয়া দেয় গ্রামে বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে কোনও দেওয়াল লিখন করা চলবে না। বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য, তৃণমূলের ফতোয়ার  প্রতিবাদ জানালে তৃণমূল কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে রড, লাঠি ও টাঙি নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে। অভিযোগ, পরিবারের মহিলা ও শিশুদেরও রেহাই দেওয়া হয়নি। পরে, আহত অবস্থায় ৭ জন বিজেপি কর্মীকে স্থানীয় সোনামুখী ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এক বিজেপি কর্মীর আঘাত গুরুতর থাকায় রাতেই তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: “আমি যে যোগ্য কেউ তা বিশ্বাস করবে না”, চাকরি হারিয়ে আক্ষেপ চন্দননগরের কার্তিক ধারার

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, বিষ্ণুপুর লোকসভায় নিজেদের হার নিশ্চিত জেনে এখন তৃণমূল কর্মীরা মরিয়া হয়ে এই হামলা চালাচ্ছে। সন্ত্রাস করে ওরা বাজিমাত করতে চাইছে। এসব করে কোনও লাভ হবে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, বিজেপি কর্মীরাই তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করেছে। যে সমস্ত এলাকায় পায়ের তলায় মাটি পাচ্ছে না, সেই জায়গায় লড়াই লাগিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন বিজেপি কর্মীরা। কেউ আহত হয়ে থাকলে তা বিজেপির কোন্দলের জের। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “শেষ জীবনেও মুখ্যমন্ত্রীকে চোর চোর শুনতে হবে”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

    Dilip Ghosh: “শেষ জীবনেও মুখ্যমন্ত্রীকে চোর চোর শুনতে হবে”, কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি ভোটের প্রচারে বলেন, “অপকর্ম করলে ফল পাবেন। এখানেও পাবেন, ভগবানের কাছেও পাবেন। আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উচিত তাঁর নেতাদের বলা যে সুদ সমেত টাকা ফেরত দিয়ে দাও। নাহলে যাঁদের চাকরি গেছে তাঁদের টাকাও যাবে। তবে এখন টাকা দিতে গেলে বাপের জমি বেচতে হবে। যাঁরা গরিব ছেলে-মেয়ের টাকা নিয়েছে, প্রত্যেকের সাজা না হওয়া পর্যন্ত এই তদন্ত এবং এই রায় ফলপ্রসূ হবে না।” মঙ্গলবার দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের আশিষ মার্কেটে চায়ে পে চর্চায় যোগ দিয়েছিলে বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

    কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

    ওই কর্মসূচিতে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) মাইক হাতে নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে (CM) আক্রমণ করে বলেন, “ইডি (ED), সিবিআই (CBI) নেতাদের বাড়ি থেকে টাকা বের করে নিয়ে যাচ্ছে। তাতে তাঁর খুব কষ্ট। মানুষ আপনাকে মানে না, মানবে না। তাই রাস্তায় চোর চোর স্লোগান শুনতে হয়। তাঁর পার্টির ছিঁচকে চোররা শুনত চোর চোর। এখন মুখ্যমন্ত্রীকেও চোর শুনতে হচ্ছে। তাঁদের জলে ডুবে মরা উচিত। ৫০ বছর রাজনীতি করার পরে শেষ জীবনে চোর চোর শুনে যেতে হবে। এ জীবনের কোনও মূল্য নেই। দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) অশ্বত্থ গাছে নিচে দাঁড়িয়ে বলছে, ডুবে মরো, ডুবে মরার জলও নেই পশ্চিমবঙ্গে। খাওয়ার জল পাওয়া যাচ্ছে না ডুববে কোথায়।”

    ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল

    প্রসঙ্গত সোমবার কলকাতা উচ্চ আদালতের (Calcutta High Court) দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে একসঙ্গে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি চলে গিয়েছে। এ যেন ঢাকি সমেত বিসর্জন! সাম্প্রতিক কালে এত সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে চাকরি যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। এরই মাঝে চাকরি যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)? সহ একাধিক বিজেপি নেতা।

    আরও পড়ুনঃ ভাঙল ১০০ বছরের ইতিহাস! আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় পেল প্রথম মহিলা উপাচার্য

    মমতার অভিযোগ বিচারব্যবস্থার দিকে

    আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার ভোটের প্রচার কর্মসূচি থেকে যে বক্তব্য রাখেন তাতে তাঁর অভিযোগ ছিল বিচারব্যবস্থার দিকেই। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষ সহ একাধিক তৃণমূল নেতারা যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের দলের নেতারা গ্রেফতার হলেও তাঁরা এই দায় নিতে নারাজ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যদি সমস্ত ওএমআর শিট আদালত বা তদন্তকারী সংস্থার কাছে জমা দিত কমিশন, তাহলে যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ের কাজ আরও ভালোভাবে করা যেত। এখানেই প্রশ্ন তাহলে কি এসএসসি তদন্তকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে? এদিন নির্বাচনী প্রচারে চোর চোর বলে তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ভোটের মুখে অর্জুনের গড়ে রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Barrackpore: ভোটের মুখে অর্জুনের গড়ে রক্ত ঝরল বিজেপি নেতার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের রক্ত ঝড়ল বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভার বাসুদেবপুর থানার জগদ্দল বিধানসভার  কাউগাছি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অম্বিকাপল্লিতে। বিজেপির জগদ্দল মণ্ডল-৪-এর  সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব করকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত বিজেপি নেতাকে তাঁর বাড়িতে দেখতে যান অর্জুন সিং।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপ্লববাবু স্থানীয় বিজেপি নেতা। বারাকপুরে (Barrackpore) দলীয় প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লিখন, বাড়ি বাড়ি প্রচার করছেন তিনি। শাসক দলের স্থানীয় নেতারা তা মেনে নিতে পারছে না বলে বিজেপির অভিযোগ। হনুমান জয়ন্তী পুজো নিয়ে বিপ্লববাবুর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী বিশাল সিংয়ের বচসা হয়। বিশাল তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। সোমবার ভোর রাতে বাড়ির বাইরে শৌচালয়ে যেতেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মী বিশালের লোকজন হামলা চালায়। বিপ্লববাবুর বাঁ হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। আক্রান্ত বিজেপি নেতা বিপ্লব কর বলেন, আসলে এলাকায় আমি বিজেপির নেতৃত্ব দিই। সেটা তৃণমূলের লোকজন মেনে নিতে পারে না। তাই, সামান্য কারণে আমার সঙ্গে ঝগড়া করে পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আসলে পাড়ার মন্দিরে হনুমান জয়ন্তী পালন করা নিয়ে তৃণমূল কর্মী বিশাল সিংয়ের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়েছিল। সকলের অনুমতি ছাড়া হনুমান জয়ন্তী করা যাবে না বলে বিশালকে আমি সাফ জানিয়ে দিয়েছিলাম। সেটা ও মেনে নিতে পারিনি। সামান্য বিষয় নিয়ে ও আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল।

    আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! কী বললেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা?

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, আসলে তৃণমূল এলাকায় তোলাবাজি করে। পুজোর নাম করে তোলাবাজির চেষ্টা করছিল। আমাদের ওই এলাকার দলীয় নেতা তার প্রতিবাদ করেছিল। তাই ওর ওপরে এরকম হামলা হল। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। যদিও এই ঘটনা নিয়ে কাউগাছি-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ-প্রধান শেখ ইমতিয়াজ আলি বলেন, এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। পড়শিদের মধ্যে কোনও কারণে ঝামেলা হয়েছে। অকারণে রাজনীতিকে জড়াচ্ছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর, প্রতিবাদে হেলেঞ্চায় অবরোধ বিজেপির

    Lok Sabha Election 2024: শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর, প্রতিবাদে হেলেঞ্চায় অবরোধ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠল। ভোটের ( Lok Sabha Election 2024) মুখে সোমবার সকালে বাগদার পুরাতন বাজার এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মহিলারা বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায়। বিজেপির অভিযোগ, মহিলাদের সামনে রেখে তৃণমূল এই কাজ করেছে। সোমবার সকালে এই ঘটনার জেরে বাগদার হেলেঞ্চায় পথ অবরোধে বসেন বিজেপি কর্মীরা।

    বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে বাধা! ( Lok Sabha Election 2024)

    চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ( Lok Sabha Election 2024) প্রচারে বেরিয়ে সোমবার সকালে বাগদার পুরাতন বাজারের কাছে তৃণমূল সমর্থিত মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন শান্তনু ঠাকুর। পাশাপাশি তাঁর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। সেই সময় তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। তৃণমূলের লোকজনই এসব করেছে বলে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি। যদিও বিক্ষোভকারী মহিলারা বলেন, “আমরা বিক্ষোভ দেখাতে আসিনি। আমফান-করোনা মহামারী গিয়েছে, সাংসদকে আমরা পাইনি। আমরা শুধু দেখা করতে এসেছিলাম, জানতে এসেছিলাম। শান্তনু ঠাকুরই বিজেপির গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এসে আমাদের মহিলাদের ওপরে আক্রমণ করেন।” যদিও বিজেপি নেতৃত্ব তা অস্বীকার করে।

    গাড়ি থামিয়ে পুলিশের তল্লাশি

    জানা গিয়েছে, সিএএ-এনআরসি কার্যকর হলে মুসলিমরা বিপদে পড়লে খুন হবেন, ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেওয়া হবে। এমন হুমকি চিঠি আগেই পেয়েছিলেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। আর এবার প্রচারে গিয়ে তৃণমূলীদের হামলার মুখে পড়লেন তিনি। পরে, বনগাঁ বিডিও অফিসের সামনে শান্তনুর গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি করে পুলিশ। তা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী।

    আরও পড়ুন: ‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় দয়ালু, তাই পুরো প্যানেল বাতিল করেননি’’, নিয়োগ-মামলায় হাইকোর্ট

    আমাকে খুনের চেষ্টা হচ্ছে, বললেন শান্তনু

    এদিকে শান্তনু ঠাকুর বলেন, মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার করার সময় তৃণমূলের গুন্ডা বাহিনী বন্দুক, লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করার পরিকল্পনা করেছে। পাশাপাশি ফিরে আসার সময় আমার গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর মারা হয়, আহত হয় কয়েকজন মহিলা। আমাকে খুনের চেষ্টাও করা হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন শান্তনুর কর্মীরা। রাস্তায় বসে অবরোধ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি গেল একসঙ্গে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তৃণমূলের শাসনে একটি বড় দুর্নীতি। তাহলে তৃণমূলের ঢাকি সমেত বিসর্জন কি একেই বলে? ফেসবুকে একথা ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাল গতিতে। সাম্প্রতিক কালে এত সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে চাকরি যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। এরই মাঝে চাকরি যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।”

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বালুরঘাটে (Balurghat) তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে চলছে প্রচার। প্রচারের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মাস্টার মশাইদের চাকরি গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগির মতো বিক্রি হয়েছে। তার ফল আজ এই পরিবারগুলোকে ভুগতে হচ্ছে। ২৬ হাজার পরিবার অথৈ জলে পড়ে গেল। ক্যাবিনেটের শীর্ষে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে (CM) এর দায় নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। তিনি এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে এবং পশ্চিমবঙ্গকে এই অন্ধকার থেকে বের করে আনতে হবে।”

    ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া

    একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার সরকারি কর্মচারীর চাকরি গেল। যার মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এর প্রভাব পড়বে ছাত্রদের পড়াশুনায়। প্রভাব পড়বে সমাজেও। স্বাভাবিক ভাবে চাপে শাসকদল। চাপে শিক্ষা দফতর। এরই মাঝে সুকান্তের (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া এসেছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তিনি বলেছেন, “রায়ের কপি হাতে পাইনি। তবে রায়ের কপি হাতে পেলে আরও বিস্তৃতভাবে বলতে পারব। এসএসসির কর্তাদের সঙ্গে আমার প্রাথমিক কথা হয়েছে। তাঁদের দেওয়া রিপোর্ট থেকে আমি বলতে পারি প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। প্রায় ২৬ হাজার লোকের চাকরি গেল। অর্থাৎ যারা যোগ্য এরকম প্রায় ১৯ হাজারেরও চাকরি চলে গিয়েছে। অথচ এসএসসি কমিশনকে মাননীয় বিচারপতি বলছেন টেন্ডার প্রক্রিয়া ডেকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে। যে ওএমআর শিট আছে সেগুলো নতুন করে যাচাই করতে। আমরা আইনি পরামর্শ নেব যে আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারি কিনা। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলতে পারি প্রায় ১৯ হাজার জনের যদি চাকরি চলে যায়, তাহলে সেটা অত্যন্ত চিন্তার। যেভাবে বিজেপির নেতারা যোগ্য মানুষদের চাকরি যাওয়াতে আনন্দ প্রকাশ করছে সেটা সমাজের পক্ষে এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে খুবই বেদনার বলে আমরা মনে করি।”

    আরও পড়ুনঃ “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    দিলীপ ঘোষের বক্তব্য

    এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে যে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে এদিনের হাইকোর্টের রায়ের ফল তাতে সিলমোহর পড়ল। এই রায় ঐতিহাসিক বলেছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে ঢাকি সমেত বিসর্জন ও দুর্নীতির কথা বলে আসছিলেন সেই তত্ত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে আসন্ন নির্বাচনেও। এত সংখ্যক চাকরি যাওয়ার ফল ভুগতে হবে তৃণমূলকে। এদিকে সুকান্তের পাশাপাশি, বর্ধমান দুর্গাপুরে প্রচার শেষে দিলীপ ঘোষ (Sukanta Majumdar) বলেন, “হাজার হাজার কোটি টাকা যাঁরা কামিয়েছেন দুর্নীতি করে, তাঁদের জেলে যেতে হবে। যে অন্যায় করেছেন তাঁদের ফল ভুগতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কথা রাখল বিজেপি, দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন বিধায়ক

    Alipurduar: কথা রাখল বিজেপি, দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটে গেলে নেতারা ফিরেও চায় না। এরকম অভিযোগ অনেকে করে থাকেন। কিন্তু, ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরও যে দুর্গত মানুষের পাশে নেতারা থাকেন, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। বিজেপি বিধায়কের এই পদক্ষেপে খুশি দুর্গতরা।

    দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করলেন বিজেপি বিধায়ক (Alipurduar)

    প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরুর আগে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে বাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছিল। ভেঙে পড়েছিল বাড়ি। কিন্তু, সে সময় নির্বাচনের বিধিনিষেধ থাকার কারণে বিজেপি বিধায়ক দুর্গতদের কাছে গেলেও ত্রাণ-সাহায্য করতে পারেননি। তবে, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন। এবার ভোট মিটতেই দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিলেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে সাহায্য নিয়ে গেলেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও।

    আরও পড়ুন: স্বস্তির বার্তা, তাপপ্রবাহের মধ্যেই তিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ভোট হয়ে যাওয়ার পর রবিবার কুমারগ্রামের রায়ডাক, খোয়ারডাঙা-১, ধনতলি টাপুতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে যান ত্রিপল ও শুকনো খাবার। যদিও দুর্যোগের খবর পেয়ে আগেই এলাকায় গিয়েছিলেন শাসকদলের তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। নির্বাচনী বিধিনিষেধ থাকায় তাঁকেও খালি হাতেই যেতে হয়েছিল। তবে আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন ভোট মিটলে যাবেন। কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেন, আসলে ঝড়ে এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছিলাম। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর আমরা দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি।

    দুর্গতদের কী বক্তব্য?

    দুর্গতদের বক্তব্য, ঝড়ে বাড়ি-ঘর সব ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক নিজে নদী পেরিয়ে আমাদের কাছে ত্রাণ পৌছে দিয়েছেন। সকলের অভাব অভিযোগ শুনেছেন। আমরা এলাকার সমস্যার কথা জানিয়েছি। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ভোটের মুখে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বিজেপির পার্টি অফিস, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Durgapur: ভোটের মুখে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বিজেপির পার্টি অফিস, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের ১৩ মে ভোটগ্রহণ রয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে। এবার সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্ধমান-দুর্গাপুরে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সঙ্গে কড়া টক্করের পরে শেষ হাসি হাসতে পারেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সমীক্ষার রিপোর্ট বিজেপি কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে। আর এই আবহের মধ্যেই এবার আগুনে পুড়ে গেল বিজেপির পার্টি অফিস। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) বিধাননগরের পাম্প হাউস মোড়ের কাছে বিজেপির পার্টি অফিস রয়েছে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় ওই পার্টি অফিস। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। ভিড় জমান স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। আসলে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে হার নিশ্চিত জেনেই তৃণমূল সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে। নিউ টাউনশিপ থানায় জানানো হয়েছে গোটা ঘটনাটি। যদিও দমকল কর্মীরা আগুন লাগার নিশ্চিত কারণ হিসেবে কিছু জানাতে পারেননি। যদি দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ে, তাহলে দল লাগাতার আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগর এলাকায়।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, আসলে বিজেপির জনসমর্থন নেই। তাই, এসব করে তারা খবরের শিরোনামে আসতে চাইছে। এটুকু বলতে পারি, এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। এবার এই আসনে তৃণমূলের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। ফলে, অকারণে এসব আমরা করতে যাব না। তাছাড়া তৃণমূল এরকম নোংরা কাজ করে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল নেতা হয়েও রেহাই পেলেন না পুলিশের কাছে, আমডাঙায় জুটল মার!

    TMC: তৃণমূল নেতা হয়েও রেহাই পেলেন না পুলিশের কাছে, আমডাঙায় জুটল মার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। শাসক দলের নেতাকে পেটাচ্ছে পুলিশ! তাও আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে। আমডাঙার (Amdanga) ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত ক্ষোভের আগুন জ্বলেছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের মারে হাত ভেঙেছে তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহমেদ মন্ডলের। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ওঁই তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ ভৌমিক ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে বিকেলে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় পুলিশ আচমকা ওঁই তৃণমূল কর্মীকে মারতে শুরু করেছে। মোস্তাকের অবশ্য, অভিযোগ কোনও প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশ মারধর করতে শুরু করে। আটকাতে গেলে আমাকেও লাঠিপেটা করা হয়। মারের চোটে হাত ভেঙে গিয়েছে। সেই অবস্থাতেই তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে আসা হয়।

    জাতীয় সড়ক অবরোধ

    ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূল নেতা মোস্তাকের অনুগামীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। গভীর রাত পর্যন্ত টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। উত্তেজনা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ক্ষোভ থামাতে ময়দানে নামেন ব্যরাকপুরের (Barrackpore) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক।

    আরও পড়ুনঃ মনোনয়নে সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি! বিধিভঙ্গের অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কেন পুলিশ মারধর করল? জিজ্ঞেস করা হলে মোস্তাক বলেন, “আমার উপর পুলিশের কী কারণে রাগ আমি জানি না। যেভাবে ধরে মারল আমার কিছু বলার নেই। আমার সারা শরীরে লাঠির আঘাত করেছে। গোটা শরীরে যন্ত্রণা আছে।” অপরদিকে মোস্তাকের অনুগামীরা জানিয়েছেন, “স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে নিয়ে গোপনে মিটিং মিছিল করছেন। এই কাজের প্রতিবাদ করায় বিধায়কের নির্দেশে পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে।” যদিও রফিকুর রহমান অর্জুন সিংকে নিয়ে মিটিং করার কথা অস্বীকার করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur: “বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী”, বললেন নির্যাতিতা

    Santipur: “বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী”, বললেন নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালির ছায়া শান্তিপুরে (Santipur)! রাতের অন্ধকারে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে একাধিক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। অভিযুক্ত শাসকদলের মদত দিচ্ছে প্রশাসন, দাবি বিজেপি প্রার্থীর। রাত হলেই চরম আতঙ্কে ঘুম উড়েছে মহিলাদের। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার বাগআচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করমচাঁপুর এলাকার।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Santipur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত হলেই ওই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী প্রদীপ সরকার বিভিন্ন বাড়িতে (Santipur) ঢুকে পড়ছে। বাড়িতে ঢুকে মহিলারা যখন ঘুমিয়ে থাকছে তাদের গায়ে হাত দিচ্ছে। পাশাপাশি জানালা দিয়ে  উঁকি মেরে মহিলাদের দেখছেন ওই অভিযুক্ত। এর আগেও তারা প্রশাসনকে একাধিকবার বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু, প্রশাসন অভিযোগ হাতে পেলেও কোন কর্ণপাত করেনি। এক মহিলা বলেন, বাড়িতে পুরুষরা না থাকলেই ওই তৃণমূল কর্মী বাড়িতে এসে চড়াও হয়। মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে। তৃণমূল করে বলে পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নেয় না। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। এ বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা সনৎ সরকার বলেন, দিন কয়েক আগেও ওই অভিযুক্ত আমার বাড়িতে গিয়েছিল। রাতের অন্ধকারে আমার বাড়ির মহিলাদের ওপর হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রবিবার ওই এলাকায় যান রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তথা এবারের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি এলাকার মহিলাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর ওই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যাতে কঠোর শাস্তি হয় সেই আশ্বাস দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “গোর্খারা ন্যায় বিচার পাবে”, সভায় যেতে না পেরে ফোনে বার্তা দিলেন অমিত শাহ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই অভিযুক্ত প্রদীপ সরকারের সঙ্গে শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের পুরোপুরি মদত রয়েছে। নাহলে বছরের পর বছর কীভাবে ওই তৃণমূল কর্মী এই কাজ করতে পারে। পাশাপাশি মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, এই সমস্ত অভিযুক্তদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুষে রেখেছে। তাঁর সাহসেই এরা দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে আগামীদিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।  এ বিষয়ে শান্তিপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, মহিলাদের সঙ্গে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমিও চাই অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হোক। তবে, এটাও বলব ওই পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। তাহলে চাইলেই প্রধান এবং ওই গ্রামের পঞ্চায়েত বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হতে পারতেন। তবে, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share