Tag: tmc

tmc

  • Balurghat: “১ লক্ষ ভোটে সুকান্ত মজুমদারকে আমরা জয়ী করব”, বললেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা

    Balurghat: “১ লক্ষ ভোটে সুকান্ত মজুমদারকে আমরা জয়ী করব”, বললেন বিজেপিতে যোগদানকারীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বালুরঘাটে (Balurghat)  তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল তৃণমূল। সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি সহ শতাধিক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেন। ভোটের মুখে এই যোগদানের ঘটনায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙা হয়ে উঠেছে।

    কারা যোগদান করলেন? (Balurghat)  

    ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি রঞ্জিত সরকার, ওয়ার্ডের যুব সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস, মহিলা তৃণমূল সভাপতি টুম্পা সান্যাল সরকার, তৃণমূলের বুথ সভাপতি রবীন সূত্রধর-সহ শতাধিক কর্মী, সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আজ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট রঞ্জিত সরকারের নেতৃত্বে ওয়ার্ডের মহিলা প্রেসিডেন্ট টুম্পা সরকার, বুথ সভাপতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন বুথের তৃণমূলের মহিলা নেত্রী এসেছেন। আরও অনেকে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিজেপির পতাকা তুলে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির কাজ দেখে। এতে ভোটের আগে আমাদের অনেকটাই শক্তিবৃদ্ধি হল।

    আরও পড়ুন: দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ! ভোটের মধ্যেই মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন

    ১ লক্ষ ভোটে জয়ী করাই লক্ষ্য

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে রঞ্জিত সরকার বলেন, আমি তৃণমূলে  নানা পদে থেকেছি। কিন্তু বিজেপি এখানে যা কাজ করেছে, তা দেখেই আমরা দল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিই। সুকান্ত মজুমদার বিভিন্ন পরিষেবা দিয়েছেন এই বালুরঘাটকে। অমৃত ভারত স্টেশন দিয়েছেন। তাই আমরাও বিজেপিতে এলাম। আর অনেকে আসতে চান, নানা কারণে আসতে পারছেন না। আমাদের টার্গেট সুকান্ত মজুমদারকে ১ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জেতানোর। সেই লক্ষ্যপূরণে আমরা নিজের এলাকায় কাজ করা শুরু করেছি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বালুরঘাট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্বাচনী প্রচারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নরেন্দ্র মোদি এসে ঝড় তুলেছিলেন। এবার মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী সুকান্তর সমর্থনে বালুরঘাটে প্রচারে আসেন। শুক্রবার তপনে জনসভা করেছেন। এদিন রোড শো করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: যুবতীর সঙ্গে আশীলন আচরণে অভিযুক্ত তৃণমূল, নির্যাতিতার পাশে সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলারা

    Raiganj: যুবতীর সঙ্গে আশীলন আচরণে অভিযুক্ত তৃণমূল, নির্যাতিতার পাশে সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটল রায়গঞ্জে (Raiganj)। আর সেই নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াতে রায়গঞ্জে এলেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা। শুক্রবার রায়গঞ্জে আসেন সন্দেশখালির ১২জনের একটি দল। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক চন্দ্র পালের সমর্থনে কালিয়াগঞ্জে অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর জনসভায় যোগ দেন তাঁরা। এমনকী হেমতাবাদে এক নির্যাতিতার পাশে দাঁড়ান তাঁরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj)

    ভোটের স্লিপ বিলি করতে গিয়ে এক মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করার অভিযোগ রায়গঞ্জে (Raiganj) হেমতাবাদে। জানা গিয়েছে, ভোটের স্লিপ দিতে এসে জল চেয়েছিলেন অভিযুক্ত। তারপরই বাড়ির এক যুবতীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন। অভিযুক্তকে গাছে বেধে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। বিজেপির জেলা সভাপতিই ভিডিও পোস্ট করেন। অভিযোগ, অভিযুক্ত যুবক তৃণমূলের সমর্থক। এই ঘটনার পর অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে গিয়ে দেখা করেন সন্দেশখালির মহিলাদের ১২ জনের একটি দল। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, বিগত দিনে উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও একাধিক নারী নির্যাতনের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিশেষ করে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোরালো আন্দোলনেও নেমেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। এবারে লোকসভা নির্বাচনে সন্দেশখালির মহিলাদের বিজেপির হয়ে প্রচারে আসার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: দুঃসহ জ্বালা! আজই কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি, চরম সতর্কতা জেলায় জেলায়

    সন্দেশখালির মহিলারা কী বললেন?

    এদিন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা বলেন, শুধু সন্দেশখালি নয়, গোটা পশ্চিমবঙ্গে নারীদের ওপরে যেভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তারই বিরুদ্ধে আমরা প্রচারে নেমেছি। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে কারণে আমরা এ জেলায় এসে মানুষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। তৃণমূল ক্ষমতায় এলে ফের নারী নির্যাতন হবে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের বক্তব্য, নির্বাচনের আগেই যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে তাহলে ভোটে জেতার পর কি অবস্থা হবে তা ভেবেই ভোটারদের ভোট দেওয়া উচিৎ। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অরিন্দম সরকারের বক্তব্য, অভিযুক্ত তৃণমূল করেন কি না তা জানা নেই। আর সব দলেই খারাপ বা ভাল লোক থাকেন। যদি এমন কেউ করেই থাকেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সেই শীতলকুচিতে ভোট দিতে এসে পাথরে ক্ষতবিক্ষত ভোটারের চোখ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Lok Sabha Election 2024: সেই শীতলকুচিতে ভোট দিতে এসে পাথরে ক্ষতবিক্ষত ভোটারের চোখ! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও শিরোনামে শীতলকুচি। গণতন্ত্রের ভোট (Lok Sabha Election 2024) উৎসবে রেহাই পেলেন না সাধারণ ভোটারও। লোকসভা ভোটের প্রথম দফায় ‘রক্তারক্তিকাণ্ড’ ঘটল। শীতলকুচিতে (Sitalkuchi) ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে আক্রান্ত ভোটার (Voter), পাথরে ক্ষতবিক্ষত হল চোখ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ভোট দিতে আসাই যেন কাল হল কোচবিহারের ওই বাসিন্দার।

    ঠিক কী ঘটেছিল (Lok Sabha Election 2024)?

    স্থানীয় জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন এক ভোটার। হঠাৎ অতর্কিতে হামলা হয়। দুষ্কৃতীদের আঘাতে চোখ ফেটে যায় ওই ভোটারের। এরপর যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান, ক্ষত গভীর। আপাতত ওই ব্যক্তির চোখে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। ছেলের এই অবস্থা দেখে চোখে জল এসে গিয়েছে মায়ের। ভোট দিতে এসে এভাবে আক্রান্ত হতে হবে, ভাবেননি তাঁরা। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা তো চাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হোক। কিন্তু সেটা আর ওরা কোথায় হতে দিল! ভোট দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হয়, মার খায়!’

    আক্রান্ত ভোটারের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে শীতলকুচির আক্রান্ত ভোটার বলেন, “আমি সকালবেলা ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে গিয়েছিলাম। তখন ভোট কাউন্টার খোলেনি। আমি ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। কাউন্টার খোলার পর আমরা ভোট (Vote) দিই। বাড়ি ফেরার সময় পিছনে চিৎকার চেঁচামেচির আওয়াজ শুনতে পাই। তৃণমূলের (TMC) লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। আওয়াজ শুনে পিছন ফিরে দেখি পাথর ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে। সেই পাথর এসেই আমার চোখে লাগে।” তৃণমূলের লোকেরাই সেই পাথর মেরেছে বলে দাবি করেন আক্রান্ত ভোটার। এছাড়াও তিনি বলেন, “তাঁকে পুলিশ কিংবা কেন্দ্রীয় বাহিনী (CRPF) কেউ হাসপাতালে নিয়ে যায়নি।”

    বিধানসভা ভোটে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল

    প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই কেন্দ্র। চলেছিল গুলি। আর সেখানেই এবার ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আক্রান্ত হলেন ভোটার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভোটের মরশুমে এমন ঘটনায় হইচই পড়ে গেছে এলাকায়। কিন্তু এত বড় একটা ঘটনা ঘটল কীভাবে? কোথায় ছিলেন নিরাপত্তাকর্মীরা? কেন এগিয়ে এল না কেন্দ্রীয় বাহিনী? তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: “যতদিন তৃণমূল আছে হিংসা হবেই, জনগণই প্রতিরোধ করছে”, ভোট দিয়ে তোপ নিশীথের

    Nisith Pramanik: “যতদিন তৃণমূল আছে হিংসা হবেই, জনগণই প্রতিরোধ করছে”, ভোট দিয়ে তোপ নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই ভোটদান (Lok Sabha Election 2024) প্রক্রিয়া চলছে উত্তরবঙ্গের তিন আসনে। ইতিমধ্যেই নিজের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা কোচবিহার (Cooch Behar) লোকসভা আসনে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। এদিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭/২০৬ নং বুথে ভোট দিলেন এই বিজেপি প্রার্থী। ভোট পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বের হন তিনি। নিজের ভোট দিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “যতদিন তৃণমূল আছে হিংসা হবেই, জনগণই প্রতিরোধ করছে।”

    কী বললেন নিশীথ?

    শুক্রবার ভোটদান সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাস করবার চেষ্টা করছে। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছে। বহু জায়গায় দুষ্কৃতীরা বুথ এজেন্টদের, সাধারণ ভোটারদের আটকাবার চেষ্টা করছে। আমাদের এখানকার মানুষ পঞ্চায়েত নির্বাচন, পুরসভা নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। তাই গণপ্রতিরোধ গড়ে উঠেছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের দিন সকালেই কমিশনে জমা পড়ল ৩৮৩টি অভিযোগ, কী বললেন রাজ্যপাল

    উদয়ন গুহ প্রসঙ্গে নিশীথের বক্তব্য

    উদয়ন গুহ প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) বলেন, “আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম, উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন কর্মীদেরকে প্রভাবিত করছেন, উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়ে চলেছেন, তাই সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলা হচ্ছে, গাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যতদিন তৃণমূল আছে, হিংসা হবেই। তবে এবার জনগণই প্রতিরোধ করছে। ভোট কিছুটা শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। তবে তাঁর গতিবিধি নিয়ন্ত্রিত হলে আরও শান্তিপূর্ণ ভোট হত। তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত। তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পেয়ে গিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।” উল্লেখ্য, অন্যদিকে সকাল থেকেই রাস্তায় রাস্তায় দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহকে (Udayan Guha)। প্রার্থী না হওয়া সত্ত্বেও উপদ্রুত এলাকাগুলিতে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে এই তৃণমূল নেতাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কোথাও তৃণমূলের বুথ দখল, কোথাও ছাপ্পা, হামলা! ভোটে অশান্ত উত্তরবঙ্গ

    Lok Sabha Election 2024: কোথাও তৃণমূলের বুথ দখল, কোথাও ছাপ্পা, হামলা! ভোটে অশান্ত উত্তরবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে চলছে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটগ্রহণ (Lok Sabha Election 2024)। শুক্রবার সকাল থেকেই কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি আসনে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ (phase 1 Voting) শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারকে পাখির চোখ করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission), কিন্তু এত নিরাপত্তার মধ্যেও ভোটগ্রহণ শুরু হতেই একাধিক জায়গায় বিজেপির ওপর তৃণমূলের হামলার অভিযোগ উঠে এসেছে। এলাকা অশান্ত করে বুথ দখল, ছাপ্পা এবং অপহরণের চিত্র উঠে এসেছে সর্বত্র।

    কোচবিহার-জলপাইগুড়িতে বিক্ষিপ্ত অশান্তি (Lok Sabha Election 2024)

    ভোট (Lok Sabha Election 2024) গ্রহণের দিনে সকাল থেকেই কোচবিহারের কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর উঠে এসেছে। বিজেপির (BJP) তরফ থেকে ইতিমধ্যেই কমিশনের কাছে পাঁচটি অভিযোগ জমা পড়েছে। কোথাও বুথ দখল, কোথাও ছাপ্পা, কোথাও বা বিজেপির পোলিং এজেন্টকে (BJP Polling Agent) ঢুকতে বাধা। এমনকী অপহরণেরও অভিযোগ এসেছে বিজেপির তরফে। শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি লোকসভায় ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় ভালোবাসা মোড়ে ৮৬ নং বিজেপির পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আবার জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ বিধানসভার ১৮/৯৭ বুথের দুটি বিজেপি পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

    শীতলকুচিতে বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

    শীতলকুচির গোসাইহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় ধাপের চাত্রা এলাকায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) দিতে যাবার সময় এক বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এদিন তিনি বড় ধাপের চত্রায় এলাকায় ২০১ নং বুথে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন সেই সময় তৃণমূল (TMC) কর্মীরা তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারধর করে। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আবার শালবাড়িতে বিজেপির এক যুব নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে বক্সিরহাট থানার শালবাড়ির ঘটনা। রাজগঞ্জের ১৮/২৫৪ নম্বর বুথে বিজেপির বুথ অফিসের সামনে তৃণমূলের পতাকা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    বিজেপির পোলিং এজেন্টকে অপহরণ

    কোচবিহারের দিনহাটায় বিজেপির পোলিং এজেন্ট বিশ্বনাথ পালকে বুথ (Lok Sabha Election 2024) থেকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। শুকারুরকুটির কুরশারহাটের ২২১ নম্বর বুথের সামনে থেকে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে তৃণমূলের বাইক বাহিনী অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। কোচবিহার দক্ষিণের চারটি কেন্দ্রে বিজেপির পোলিং এজেন্টদের বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যে হিংসা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ শুভেন্দুর

    বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ

    দক্ষিণ কোচবিহারের গিরিয়াকুঠিতে বিজেপি সমর্থক কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, বেছে বেছে তাদের সমর্থকদের বাড়ি চিহ্নিত করা হচ্ছে। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। সমস্ত ঘটনায় প্রথম পর্বের ভোটে (Lok Sabha Election 2024) তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: ইডির হাতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট, কী আছে তাতে? ডরাচ্ছে তৃণমূল

    Sujay Krishna Bhadra: ইডির হাতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার রিপোর্ট, কী আছে তাতে? ডরাচ্ছে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘কালীঘাটের কাকু’র (Sujay Krishna Bhadra) কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট হাতে পেল ইডি। বৃহস্পতিবার কলকাতার কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি থেকে মুখবন্ধ একটি খামে করে রিপোর্টটি এসে পৌঁছেছে ইডির দফতরে। তবে ওই রিপোর্টে ঠিক কী বলা হয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে তা জানানো হয়নি ইডির তরফে।

    কালীঘাটের কাকু (Sujay Krishna Bhadra)    

    শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে কলকাতার পিজি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে গিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তার পর থেকে দীর্ঘদিন তাঁর কণ্ঠস্বর পরীক্ষার সুযোগ মেলেনি। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর শেষমেশ ৪ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট হয় তাঁর। সুজয়ের স্বর ডিজিটালি রেকর্ড করে রাখা হয়। অসমর্থিত একটি সূত্রের খবর, পরীক্ষাগারে দেখা গিয়েছে দু’টি স্বরই এক ব্যক্তির (Sujay Krishna Bhadra)। রিপোর্ট হাতে পেতেই যারপরনাই উচ্ছ্বসিত ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার ফাঁসবে নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে দুর্নীতির পর্দা।

    ইডির হাতে গ্রেফতার কাকু

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় গত ৩০ মে সুজয়কে গ্রেফতার করে ইডি। তার পর থেকে অনেকটা সময় হাসপাতালে কাটিয়েছেন তিনি। ভর্তি ছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে। নিয়োগ কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস করতে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সুজয়ের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করতে চায় ইডি। এজন্য আদালতের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। হাইকোর্টে নমুনা সংগ্রহে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হলেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, সুজয়ের শারীরিক অবস্থা ঠিক না হওয়া অবধি তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে না। ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হয় ইডি। ইএসআই হাসপাতালে সুজয়ের শারীরিক সুস্থতা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। শেষমেশ ৪ জানুয়ারি জোকা ইএসআই হাসপাতালে ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট হয় কাকুর।

    আরও পড়ুুন: দিনহাটাতেই ‘বন্দি’ থাকতে হবে উদয়নকে, ফরমান কমিশনের, বিপাকে তৃণমূল!

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার যে রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দেয় ইডি, সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র সম্পত্তি সংক্রান্ত খতিয়ানও দিয়েছিল ইডি। অভিষেকের এই সংস্থায়ই কাজ করতেন সুজয়। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এই ভয়েস স্যাম্পেল যে মিলবে, সেটা সকলের জানা। তবে এই ভয়েস স্যাম্পেলের ওপর নির্ভর করে হরিপালের বড় কোনও ডাকুকে ধরবে, মানুষ আর সেটা নেবে না (Sujay Krishna Bhadra)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Lok Sabha Elections 2024: দিনহাটাতেই ‘বন্দি’ থাকতে হবে উদয়নকে, ফরমান কমিশনের, বিপাকে তৃণমূল!

    Lok Sabha Elections 2024: দিনহাটাতেই ‘বন্দি’ থাকতে হবে উদয়নকে, ফরমান কমিশনের, বিপাকে তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিপাকে পড়ে গেল তৃণমূল! এলাকাবন্দি হয়ে গেলেন ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া উদয়ন গুহ। শুক্রবার নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024) চলাকালীন নিজের এলাকা ছেড়ে বেরোতে পারবেন না তৃণমূলের এই মন্ত্রী। কমিশনের নির্দেশ, ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার ভোট চলাকালীন কোচবিহারের এই তৃণমূল নেতা নিজের এলাকা ছেড়ে বেরতে পারবেন না। তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র দিনহাটায়ই ‘বন্দি’ থাকতে হবে। অন্য কোথাও যাতায়াত করতে পারবেন না।

    কমিশনকে চিঠি দিয়েছিলেন নিশীথ (Lok Sabha Elections 2024)

    দিন কয়েক আগে কমিশনকে উদয়নের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে চিঠি দিয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। তিনি (Lok Sabha Elections 2024) লিখেছিলেন, “আপনারা জানেন উদয়ন গুহই যাবতীয় অশান্তি পাকিয়ে থাকেন। আদর্শ আচরণ বিধি চালু থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া মিছিলে আমায় দু’বার আক্রমণ করেছেন।” একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অশান্তির প্রসঙ্গও তোলেন বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, “নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে উদয়ন গুহর নাম ছিল। তাঁর ঘৃণাভাষণের জেরে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হিংসায় উদ্বুদ্ধ করছেন উদয়ন গুহ।” আরও লিখেছেন, “উনি তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মধ্যে ঘৃণা ভাষণের জন্য খ্যাত।” নিশীথ জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সময় উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়নের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা মুশকিল।

    আরও পড়ুুন: সনাতন ধর্মের যজ্ঞের আগুনেই জন্ম গণিত-বিজ্ঞান-কলাশাস্ত্রের বহু সূত্রের!

    উদয়নের ‘উত্তরণ’

    এক সময় ফরওয়ার্ড ব্লক করতেন উদয়ন। তাঁর বাবা কমল গুহ বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভায় মন্ত্রী ছিলেন। কমল প্রয়াত হওয়ার পর রাজ্যে পালাবদলের পর ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে নাম লেখান উদয়ন। বাম আমলে উদয়নের দল যাঁদের ওপর অত্যাচার করত, তাঁরা কখনওই চাননি উদয়ন তৃণমূলে যোগ দিন। তবে দলনেত্রী উদয়নকে তৃণমূলে নেওয়ায় ছুঁচো গিলতে বাধ্য হন হার্ডকোর তৃণমূল নেতারা। তার প্রমাণ মিলেছিল একুশের বিধানসভা নির্বাচনে। দিনহাটা কেন্দ্রে বিজেপির নিশীথ প্রামাণিকের কাছে গোহারা হেরে যান উদয়ন। সাংসদ পদ ছেড়ে বিধায়ক হতে না চাওয়ায় বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন নিশীথ। তার পরেই হয় উপনির্বাচন। এবার উদয়ন জেতেন ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯ ভোটে। সেই সময় বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, উপনির্বাচনে বাম কায়দায় ভোট করিয়ে জয়ের মার্জিন দেড় লাখেরও বেশি করে ফেলেছেন একুশের নির্বাচনে ‘হেরো’ উদয়ন (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: “বিজেপির ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে”, তোপ মিঠুনের, রোড শোয়ে জনজোয়ার

    Mithun Chakraborty: “বিজেপির ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে”, তোপ মিঠুনের, রোড শোয়ে জনজোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) রোড শোয়ে জনজোয়ার। এদিন বেলা ১২ নাগাদ দার্জিলিং লোকসভা আসনে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সমর্থনে শিলিগুড়ির গুরুং বস্তি থেকে চম্পাসারি মোড় পর্যন্ত রোড শো করেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে সামনে থেকে দেখার জন্য এদিন সকাল থেকেই রাস্তার দু’ধারে নানা ভাষা, বর্ণ ও বয়সের মানুষ প্রতীক্ষায় ছিলেন। মিঠুন চক্রবর্তীর কনভয় ঢুকতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন জনতা। আর জনতার এই উন্মাদনা দেখে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, সবখানেই বিজেপির মিটিং, মিছিলে প্রচুর ভিড় হচ্ছে। আর বিজেপির এই ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

    মমতার গর্দার বলার জবাব দিলেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)

    এদিন শিলিগুড়ির রোড শো থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির সমর্থনে প্রচার শুরু করার পর থেকেই মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) নিশানা করেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রমণ করতে গিয়ে মিঠুন চক্রবর্তীকে গর্দার বলেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, হ্যাঁ, আমি গর্দার, সর্দার সবই। বিজেপির মিটিং মিছিলের ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যতদিন যাবে  বিজেপির মিটিং মিছিলে ভিড় দেখে মুখ্যমন্ত্রীর মাথা আরও খারাপ হবে। তৃণমূলের রাজ্য নেতা কুণাল ঘোষও তাঁকে আক্রমণ করেছেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কুণাল ঘোষ একটা নর্দমা। ওর নাম নেবেন না। ওর নাম নিলে দিন খারাপ যায়।

    আরও পড়ুন: এবছর কি আপনার প্রথম ভোট? তাহলে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে কী কী করণীয়?

    রাজু বিস্তা জিতবে, বললেন মিঠুন

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয় তথা আসন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। এদিন রোড শো’র ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, আমি চার জায়গায় প্রচারে গিয়েছি, সবখানে মানুষের কাছ থেকেই পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি। মানুষ বিজেপিকে চাইছে। এদিন শিলিগুড়িতেও যেভাবে মানুষের মধ্যে উন্মাদনা দেখলাম তাতে আমি নিশ্চিত বিজেপি সব জায়গাতেই জিতবে। আর রাজু বিস্তা গত পাঁচ বছরে এখানে যে কাজ করেছে তাতে দার্জিলিং লোকসভা আসনে যোগ্য প্রার্থী রাজু। এবারও বিপুল ভোটে জিতবে রাজু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ! তৃণমূল নেতাদের আটকে বিক্ষোভ বঞ্চিতদের

    South 24 Parganas: ১০০ দিনের কাজের টাকা আত্মসাৎ! তৃণমূল নেতাদের আটকে বিক্ষোভ বঞ্চিতদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা হাতানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। বঞ্চিতরা এনিয়ে সরব হয়েছিলেন। এবার টাকা ফেরতের দাবিতে তিন তৃণমূল নেতাকে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত আটকে রাখলেন বঞ্চিত শ্রমিকরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপিতে। ভোটের মুখে তৃণমূলের থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। এই ঘটনা জ্বলন্ত উদাহরণ। এমনই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    সালিশিসভায় তৃণমূল নেতাদের আটকে রাখা হয় (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরনার (South 24 Parganas) কুলপির করঞ্জলী পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামে একশো দিনের মজুরি আত্মসাতের অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি স্বপন মাঝির বিরুদ্ধে আগেই উঠেছিল। টাকা না পাওয়া শ্রমিকদের টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। কিন্তু, একশো দিনের কাজের মজুরি না পাওয়া শ্রমিকদের নিয়ে সালিশিসভা করা হয়। সেই সভায় মজুরির হিসেব নিয়ে গরমিল প্রকাশ্যে আসে। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সালিশিসভা। পরে, দীর্ঘক্ষণ আটক থাকলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ তিন নেতা। নেতাদের ঘিরে চলে বিক্ষোভ ও টানাহ্যাঁচড়া। পরে, খবর পেয়ে কুলপি থানার বিশাল বাহিনী গ্রামে ঢোকে। নেতাদের উদ্ধার করতে গেলে বাধা দেয় গ্রামবাসীরা। পরে গভীর রাতে পুলিশের উপস্থিতিতে দ্রুত বকেয়া মজুরি মেটানোর প্রতিশ্রুতি পেয়ে বিক্ষোভ ওঠে।

    আরও পড়ুন: এবছর কি আপনার প্রথম ভোট? তাহলে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে কী কী করণীয়?

    বঞ্চিত শ্রমিকদের কী বক্তব্য?

    বঞ্চিত শ্রমিকদের অভিযোগ, অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি স্বপন মাঝি। অনেককে আবার টাকা দিতে চাপ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, প্রকৃত শ্রমিকরা মজুরি পাননি। তাই বিক্ষোভ দেখানো হয়। উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই গ্রামে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বেশ কিছু কাজ হয়। সেই কাজের মজুরি দীর্ঘদিন আটকে ছিল। গত মাসে রাজ্য সরকার শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেয়। সেই টাকা শাসকদল ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে ঢুকলেও প্রায় শতাধিক শ্রমিক টাকা পায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ভোটের মুখে ভাটপাড়ায় শ্যুটআউট, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    North 24 Parganas: ভোটের মুখে ভাটপাড়ায় শ্যুটআউট, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ভাটপাড়ায়। এখানকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে গুলিবিদ্ধ হন এক যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম যুবকের নাম পিন্টু চৌহান। তিনি তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। হামলাকারীও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলে বিজেপির দাবি। এই ঘটনায় ভাটপাড়়ায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ভোটের আগে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ভাটপাড়া (North 24 Parganas) পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ নম্বর গলির ধর্মশালা এলাকায় মতি ভবন স্কুলের কাছে ওই যুবকের ওপর দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। আক্রান্ত যুবক তৃণমূল কর্মী। হামলাকারীরা তাঁর পরিচিত। প্রথমে কোনও একটি বিষয় নিয়ে বচসা হয়। এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ ওই যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। আপাতত কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যুবক। নিমেষে থমথমে হয়ে যায় গোটা চত্বর। সঙ্গে সঙ্গে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে, ঠিক কী ঘটেছিল তা বোঝার চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। ভোটের মুখে এই রক্তক্ষরণের ঘটনায় ফের ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে এলাকাবাসীর মনে। এদিকে গুলি চালানোর ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে পলাতক হামলাকারীরা। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: শক্তিপুরে রাম নবমীর শোভাযাত্রায় হামলা, বোমাবাজি একাধিক বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, আক্রান্ত পুলিশও

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং বলেন, হামলাকারী তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ। এলাকার সকলেই তা জানেন। এখন কেন হামলা চালানো হল তা বলতে পারব না। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপি জড়িত নয়। আসলে এসব করে তৃণমূল নিজেদের কোন্দল ঢাকতে চাইছে। অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, হামলাকারীরা বিজেপি করে। আক্রান্ত যুবক তৃণমূল কর্মী। তৃণমূল করা যাবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই গুলি চালিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share