Tag: tmc

tmc

  • Lok Sabha Eelections 2024: তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা, মোদি ফিরছেন জেনেই হাটুরে রাজনীতি!

    Lok Sabha Eelections 2024: তৃণমূলের ইস্তাহারে প্রতিশ্রুতির বন্যা, মোদি ফিরছেন জেনেই হাটুরে রাজনীতি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন শুরুর ঠিক দু’দিন আগে ইস্তাহার প্রকাশ করল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের ক্যাপ্টেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডি জোটে রয়েছেন। অথচ পৃথকভাবে প্রকাশ করেছেন ইস্তাহার (Lok Sabha Eelections 2024)। তাতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। যদিও ইস্তাহারের কোথাও প্রতিশ্রুতি পূরণের দিশা দেখানো নেই। ইস্তাহারে যে দশটি প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, তাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ১০ শপথ হিসেবেই তুলে ধরেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    মার্গ দর্শন কই? (Lok Sabha Eelections 2024)

    কংগ্রেসের ইস্তাহারের পোশাকি নাম ছিল ‘ন্যায়পত্র’। বিজেপির ‘সঙ্কল্পপত্র’। তৃণমূলের অবশ্য এমন কোনও নাম নেই। রয়েছে (মিথ্যা) প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি। তোষণ, তুষ্টিকরণ এবং সস্তার রাজনীতি করতে যা যা উপাদানের প্রয়োজন, তা সবই মজুত রয়েছে ঘাসফুল আঁকা দুই মলাটের মাঝে থাকা ইস্তাহারের পৃষ্ঠায়। যে (Lok Sabha Eelections 2024) দশটি শপথ নিয়েছে তৃণমূল, তার কোথাও বেকারত্ব সমস্যার সমাধানের উল্লেখ নেই। উল্টে রয়েছে দান-খয়রাতির হাটুরে রাজনীতি। জবকার্ড হোল্ডারদের ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দেওয়া হবে ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে। বাস্তবে আমরা কী দেখেছি? দেখেছি, একশো দিনের কাজে খরচ করা যায়নি পুরো কেন্দ্রীয় বরাদ্দ। অনেক সময়ই তা গিয়েছে ফেরত।

    জনগণকে নিখাদ ধোঁকা!

    বিরোধীদের অভিযোগ, যারা তৃণমূলের ধামাধরা, জবকার্ডে কাজ পেয়েছে তারাই। তার মজুরির একটা বড় অংশ ঢুকেছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে। দারিদ্রসীমার নীচে প্রত্যেক পরিবারকে বছরে ১০টি করে মুফতে গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। খয়রাতির সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, তার কোনও দিশা নেই বাজেটে। ওবিসি, এসসি-এসটি যুবকদের উচ্চশিক্ষা বৃত্তি বাড়ানো হবে। বার্ধক্যভাতা বাড়িয়ে করা হবে হাজার টাকা। বিরোধীদের অভিযোগ, মাগ্গিগণ্ডার বাজারে দৈনিক এই ৩৩ টাকার কিছু বেশি পয়সায় কী হয়! পেট্রল-ডিজেল ও সিলিন্ডার দেওয়া হবে স্বল্পমূল্যে। সেই মূল্যটি কত, তা বলা হয়নি। যেমন বলা হয়নি, কাঁড়ি কাঁড়ি ভর্তুকির টাকা আসবে কোত্থেকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘কোনও একতা নেই, ছন্নছাড়া’’, ইন্ডি জোটকে তুলোধনা অমর্ত্য সেনের

    ২৫ বছর পর্যন্ত সব স্নাতক ও ডিপ্লোমাধারীদের দক্ষতা বাড়াতে শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রতিশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে তার পরে তাঁদের কোথায় নিয়োগ করা হবে, শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করে হা-শিল্পের রাজ্যে তাঁরা কোথায় কাজ করবেন, সেই মার্গ দর্শনও করানো হয়নি তৃণমূলের ইস্তাহারে। মোদি সরকারের যে তিনটি প্রতিশ্রুতি পূরণ হলে দেশ এগিয়ে যেত একলপ্তে অনেকখানি, তৃণমূলের ইস্তাহারে সেখানে পেছন থেকে টেনে ধরা হয়েছে। সিএএ লাগু হয়েছে। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগুর প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে সিএএস, এনআরসি এবং ইউসিসি প্রয়োগ করা হবে না।

    রাজনৈতিক মহলের মতে, ইস্তাহারের ছত্রে ছত্রে স্পষ্ট তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিচারিতা। তিনি ইন্ডি জোটে থেকেও পৃথক ইস্তাহার প্রকাশ করেছেন, রাজ্যে ইন্ডির বাকি শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেননি। যার জেরে রাজ্যের প্রায় সব আসনেই ত্রিমুখী বা চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। যার ফয়দা তুলবে বিজেপি। তাহলে কী ফের মোদি সরকার আসছে জেনেই ইস্তাহারে মিথ্য প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী (Lok Sabha Eelections 2024)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুকে সুকান্তর নেতৃত্বে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল রাম ভক্তদের

    Ram Navami 2024: তৃণমূল প্রার্থীর খাসতালুকে সুকান্তর নেতৃত্বে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল রাম ভক্তদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার বালুরঘাট শহরে রাম নবমী (Ram Navami 2024) উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য মিছিলের আয়োজন করা হয়। যেখানে প্রায় হাজার দুয়েক রাম ভক্ত অংশগ্রহণ করেন। মিছিলে নানা রকমের ট্যাবলো নিয়ে শহর পরিদর্শন করেন। এই মিছিলকেই অভ্যর্থনা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এই মিছিল শুরু হয় বিজেপি মোড় থেকে এবং সাড়ে তিন নম্বর মোড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফুল ছিটিয়ে মিছিল কে অভ্যর্থনা জানান। অবশ্য এই মিছিলে পা মেলান  বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ী সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্ব।

    তৃণমূল প্রার্থীর গড়ে দাপিয়ে রাম নবমীর মিছিল করলেন রাম ভক্তরা (Ram Navami 2024)

    পাশাপাশি তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর বাড়ির এলাকায় রাম নবমী (Ram Navami 2024) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। গঙ্গারামপুরে বাড়ি তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্রর, আর গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব মিত্রর ভাই প্রশান্ত মিত্র। সেই গঙ্গারামপুরে রাম নবমীর বিশাল শোভাযাত্রায় হাজারখানেক রাম ভক্তর সঙ্গে পায়ে হেঁটে সামিল হন সুকান্ত মজুমদার। জেলার বুনিয়াদপুরের সভা থেকে তিনি বলেন, আজ রাম নবমীর দিনে আপনাদেরকে বলছি রামকে ভোট দিন, রাবনকে ভোট দেবেন না।

    রামকে নিয়ে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ভুল বোঝাচ্ছে

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন,আজ রামের জন্মদিন। আজকের দিনে সমস্ত সমাজের মানুষ রাম নবমী (Ram Navami 2024) পালন করে ও রামকে শ্রদ্ধা জানান। কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি উস্কানি দিয়ে ভোট ব্যাংকের জন্য এই সব করে। কিন্তু, মানুষ উস্কানিতে পা দেবে না।আজ আমি জেলার বিভিন্ন এলাকায় রাম নবমীর শোভাযাত্রায় পা মেলালাম। গতবারের রাম নবমীর উদাহরণ তুলে ভোটের আগে বিভাজনের রাজনীতি তৃণমূলের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, রামকে নিয়ে দেশের কারও সমস্যা নেই। কিছু পার্টির নেতাদের সমস্যা আছে। রাম তো এই দেশের আদর্শ। সবাই চেনে রামকে, অন্য ধর্মের মানুষেরা সম্মান করেন রামকে। কিন্তু, কিছু রাজনৈতিক ব্যাক্তি কিছু লোককে ভুল বুঝিয়ে রাখতে চায়।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    অসমে উস্কানি দিচ্ছেন মমতা

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অসমে গিয়ে বলেন আপনাদের উপর অত্যাচার হলে আপনারা বাংলায় আসুন এই প্রসঙ্গে সুকান্ত জানান,এইটা উস্কানিমূলক বক্তব্য। অহমীয়া ও বাঙালিদের মধ্যে একটি গন্ডগোল বাধানোর চেষ্টা করছে। গন্ডগোল হলে তো বাঙালিরা বিপদে পড়বে। অসমে বাঙালিরা ভালোই আছেন। তারা আমাদের সমস্ত ধরণের সাহায্যে পায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    Ram Navami 2024: রাম নবমীর শোভাযাত্রায় বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে পা মেলালেন তৃণমূল নেত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট বড় বালাই। অবশেষে রামকে আঁকড়ে ধরল তৃণমূল। বুধবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) বিজেপি প্রভাবিত রামনবমী মহোৎসব কমিটির মিছিলে বিদায়ী সাংসদ তথা দার্জিলিংয়ের বিজেপি প্রার্থী রাজুর বিস্তার সঙ্গে হাঁটলেন দার্জিলিং জেলা (সমতল) তৃণমূলের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ। রাজু বিস্তা একা নন। সেই মিছিলে ছিলেন শিলিগুড়ি মহকুমার বিজেপির তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, আনন্দময় বর্মন ও দুর্গা মুর্মু। সবাইকে চমকে দিয়ে সেই মিছিলে পা মেলালেন পাপিয়া ঘোষ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা, লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় ধসে যাওয়া ভোট ব্যাঙ্ক মেরামতের মরিয়া চেষ্টাতেই এদিন পাপিয়া ঘোষ বিজেপির রাম নবমীর মিছিলে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটল? (Siliguri)

    এদিন সকাল থেকে শিলিগুড়িতে (Siliguri) রাম নবমীকে ঘিরে ছিল বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস। রামভক্তদের একের পর এক মিছিলে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা শহর। আরএসএস প্রভাবিত রাম নবমী মহোৎসব কমিটির মিছিল তারই একটি। এই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন রাজু বিস্তা, বিজেপির তিন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ,  আনন্দময় বর্মন ও দুর্গা মূর্মু। ছিলেন বিজেপির একাধিক নেতা।  শহরের কেন্দ্র স্থল এয়ারভিউ মোড়ে সেই মিছিলেই  পা মেলাতে দেখা গেল দার্জিলিং জেলা( সমতল) তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নির্ণয় রায় সহ তৃণমূলের বেশ কয়েকজন নেতাকে। দু’পক্ষকই একে অপরকে উত্তরীয় পরিয়ে, প্রসাদ বিনিময় করেন। বিজেপি বিরোধিতায় এই রামনবমী ও রাম নাম নিয়ে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাম নাম শুনে তাঁকে মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছে।  তাই এদিন রাম নামে সব ছুৎমার্গ ভুলে পাপিয়া ঘোষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে হাঁটায় শহরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিস্মিত হন সাধারণ মানুষ। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের একাংশের কাছে এটা প্রত্যাশিত। তাদের বক্তব্য, রাম নাম ও রাম নবমী নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের আচরণে তৃণমূলের ভোটেব্যাঙ্কে বড় ধস নেমেছে। ভোটের মুখে রাম নবমী নিয়ে সেই অবস্থান ধরে রাখলে বিপদ বাড়বে। সেটা বুঝতে পেরেই ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য এদিন পাপিয়া ঘোষ বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে রাম নবমীর মিছিলে হাঁটেন।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

     কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    দার্জিলিংয়ের বিদায়ী সাংসদ এবারেরও বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা পাপিয়া ঘোষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, অবশেষে তৃণমূলের বোধোদয় হয়েছে। তৃণমূল বুঝতে পেরেছে রাম নাম ছাড়া সব কিছু অসম্পূর্ণ। ধর্ম নিয়ে আমরা রাজনীতি করি না। এদিন সাধারণ মানুষের উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছে ভারত দ্রুত রাম রামরাজ্যে পরিনত হতে চলেছে।

     রাম কারও একার নয়, বললেন তৃণমূল নেত্রী

    পাপিয়া ঘোষ বলেন, রাম কারও একার নয়। আমরা হিন্দু, আমরাও রামের ভক্ত। এদিন সকাল থেকে রামের পুজো দিয়েছি। আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না। তাই রাম নবমীর মিছিলে কে আছে দেখিনি। রামভক্ত হিসেবেই রামনবমীর মিছিলে হেঁটেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hiran Chatterjee: “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন”, দাবি হিরণের

    Hiran Chatterjee: “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন”, দাবি হিরণের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজ্যে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Vote 2024)। আর এরই মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) পাল্টা জবাব দিলেন ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। সম্প্রতি ঘাটালে দেবের (Dev) সমর্থনে প্রচার করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। প্রচার চলাকালীন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এবার অভিষেকের সেই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দিলেন হিরণ।

    অভিষেকের বক্তব্য (Hiran Chatterjee)

    গত ৭ এপ্রিল ঘাটালে হিরণের (Hiran Chatterjee) নাম না করেই অভিষেক বলেছিলেন, ‘‘এখানে যাঁকে বিজেপি (BJP) দাঁড় করিয়েছে, তিনি ছ’-আট মাস আগে আমার দফতরে এসেছিলেন। তৃণমূলে (TMC) ঢোকার জন্য এলেও আমি দরজা বন্ধ করে দিয়েছি।” এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। অভিষেক সেদিন আরও জানিয়েছিলেন, দরকার হলে সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ্যে আনবেন তিনি।

    হিরণের পাল্টা বক্তব্য

    তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই দাবি খারিজ করে বিজেপি প্রার্থী হিরণ (Hiran Chatterjee) পাল্টা দাবি করে বলেন, “অভিষেকই আমাকে বার বার ফোন করে ডেকেছিলেন। তাই আমি তাঁর দফতরে গিয়েছিলাম। দলকে পুরো বিষয়টি জানিয়ে গিয়েছিলাম। অভিষেক যেদিন সিসিটিভির ফুটেজ দেবেন, আমি সেদিন সমস্ত প্রমাণ দেব। উনি কত বার আমায় ফোন করেছেন, কেন আমায় ডাকছিলেন, কী কী বলেছেন, সমস্ত রেকর্ড আমার কাছেও আছে। আমাদের পার্টির কিছু নির্দিষ্ট কৌশল আছে। আমরা কিছু জিনিস মেনে চলি। আমরা পাবলিসিটির জন্য ভুলভাল কথা বলি না।”

    আরও পড়ুনঃ অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ‘প্রমাণ’ হাজির করার হুঁশিয়ারি

    উল্লেখ্য, গত বছর একটি ছবি ঘিরে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়, এমনই দাবি করা হয়েছিল। এবারের লোকসভা ভোটের প্রচার চলাকালীন সেই বিষয়টিই তুলে ধরেন অভিষেক। আর তাঁর পাল্টা জবাব দিয়ে ‘প্রমাণ’ হাজির করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঘাটালের (Ghatal) এই বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভক্তিতে নয়, ভয়ে এসব করছে”, রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভক্তিতে নয়, ভয়ে এসব করছে”, রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবিত্র রাম নবমীর পুণ্যতিথি উপলক্ষে বাসন্তীতে শোভাযাত্রায় যোগ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি এসে পৌঁছান বাসন্তী বাজার এলাকায়। সেখানে হরি মন্দিরে পুজো দিয়ে শোভাযাত্রায় যোগদান করেন। আর মিছিলে যোগ দিয়েই রাজ্যে রাম নবমীর ছুটির প্রসঙ্গে তোপ দাগেন তৃণমূলকে (TMC)।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    রাম নবমীর দিনে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্য সরকারের সুমতি হয়েছে, তাই এই প্রথম রাম নবমীতে ছুটি দিয়েছে। ওরা বাধ্য হয়ে এসব করছে। এসব ভক্তিতে নয়, ভয়ে। ভালো লাগছে, জাগরণ হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এবছর প্রথম রাম নবমীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার (State Government)। রাজ্য সরকারের তরফে ছুটির তালিকা দেওয়া ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে যেহেতু রাম নবমীর দিন ছুটি দেওয়া হল, তাই অনেকেই মনে করছেন, এই ঘটনা রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

    ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত বাসন্তী

    উল্লেখ্য বাসন্তীর (Basanti) মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যোগ দিতেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা বাসন্তী বাজার চত্বর। শত শত মানুষ যোগ দেন সেই মিছিলে। আর মিছিল পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্য পুলিশ সহ কেন্দ্রিয় বাহিনীর (CRPF) জওয়ানরাও। তবে শুধু বাসন্তীতেই নয়, বুধবার সকাল থেকেই চলছে শুভেন্দুর রাম নবমী উদযাপন। সকালেই বিরোধী দলনেতার দেখা মিলেছিল ইকো পার্কে (Eco Park)। রামের কপালে ফোঁটা দিয়ে পুজো সেরেছেন বিরোধী দলনেতা। পুজোর পর শুরু হয় শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। আর রাম নবমীর (Ram Navami) এই মিছিল দেখতে রাস্তায় উপচে পড়েছিল সাধারণের ভিড়।

    আরও পড়ুনঃ অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট (Lok sabha vote 2024)। আর তার ঠিক আগে রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রাম নবমী (Ram Navami)। সকাল থেকে দিকে দিকে ভক্তরা মেতে উঠেছেন রাম নবমী উদযাপনে। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট, বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল। সেই অনুমতি পেয়েই দিকে দিকে শুরু হয়েছে রাম নবমীর মিছিল। আর এবার সেই মিছিল থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar), জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সঙ্গে প্রথম দফায় কোচবিহারেও (Cooch Behar) ভোটগ্রহণ হবে। শুক্রবার নির্বাচনের আগে বুধবার ছিল শেষ প্রচার। এর মাঝেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) যাতে তাঁর বুথের বাইরে না যেতে দেওয়া হয়, সেই দাবি জানালেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। নির্বাচন কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। নিশীথের অভিযোগ, “উদয়ন গুহ আমার ওপর দুবার হামলা করেছেন। গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন বলে কমিশনে চিঠি দিলাম।”

    ভোটের দিনে অশান্তি আটকাতেই চিঠি (Cooch Behar)

    প্রসঙ্গত কোচবিহারে (Cooch Behar) নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বেশ কয়েকবার উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামাণিক মুখোমুখি হয়েছেন। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। দুই দলের কর্মীরা একে অপরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। প্রচার চলাকালীন এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিশীথ। তাঁর মতে ভোটের দিন অশান্তি পাকাতে পারেন উদয়ন গুহ। ইতিমধ্যেই তিনি পরিকল্পনা শুরু করেছেন। ভোটের দিন অশান্তি আটকাতেই আগেভাগে কমিশনকে জানিয়ে রেখেছেন তিনি। প্রসঙ্গত বুধবার সকালে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী নিজের বাসভবনে বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

    হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী উদয়ন (Cooch Behar)

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, পর্যবেক্ষক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছেও উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন নিশীথ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, “উদয়নের (Cooch Behar) বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে। এমনকী ৩০২ ধারায় খুনের মামলাও রয়েছে।” ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে তিনি বিজেপি কর্মীদের যে দুর্গতি করেছিলেন, সেই কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। ভোট পরবর্তী সময়ে উদয়ন এলাকায় হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী ছিলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছিল সেখানেও উদয়ন গুহর নাম রয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন নিশীথ।

    আরও পড়ুনঃ আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    উদয়নের বক্তব্য

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ পাল্টা বলেন, “ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ভোটে জিততে পারবে না। সেটা বুঝতে পেরে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবদার করেছে। খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচবার চেষ্টা করছে। সে কারণেই বলছি আমাকে ঘরবন্দি করে রাখা হোক। নির্বাচন কমিশন আমাকে ঘরবন্দি করে রাখলেও তৃণমূল এখানে জয়ী হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ। জয় শ্রীরাম বলার জন্য কনভয় থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরে এক যুবকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই তৃণমূল দলের নেতাদের গলায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি। সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিন তৃণমূলের নেতাদের রাম নাম জপতে দেখে বালুরঘাটবাসী হাসাহাসি করছেন।

    তৃণমূল নেতাদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, জয় শ্রীরাম স্লোগান (Ram Navami 2024)

    বুধবার সকাল সকাল গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে বালুরঘাট পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, এমসিআইসি বিপুল ঘোষ এবং টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডল রাম নবমীর (Ram Navami 2024)  মিছিলে হাঁটেন। শহরের মানুষ সকালে এই দৃশ্য দেখে কিছুটা চমকে ওঠেন। অনেককে বলতে শোনা যায়, ভেবেছিলাম তৃণমূল নেতারা দল বদল করল না তো। পরে, দেখি তৃণমূলে থেকেই রাম নাম জপছেন। কারণ, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি সাধারণত বিজেপি  কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়। আজ রাম নবমী উপলক্ষে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের বালুরঘাট শহরের শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় এবং মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেখে অবাক বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    ভূতের মুখে রাম নাম, কটাক্ষ সুকান্তর

    রাম নবমী উপলক্ষে রাম নবমী উদযাপন কমিটির মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিল থেকে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তৃণমূলের এ হেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বেড়াল ঠেলায় না পড়লে গাছে ওঠে না। আগে রাম নবমীতে ছুটি ছিল না। এখন তৃণমূল নেত্রী রাম নবমীতে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এই বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় মাদার টেরেসার মূর্তি বসিয়ে এলাকার নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। আজ তারাই রাম নাম বলছে। এটা কিছুটা ভূতের মুখে রাম নামের মতো শুনতে লাগলেও লক্ষণ ভালো।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এটা তৃণমূলের কোনও শোভাযাত্রা না। এই শোভাযাত্রাটা সাধারণ মানুষ করেছিল, সেখানে তৃণমূলের কিছু নেতা হেঁটেছেন। জয় শ্রীরাম তাঁরা বলেননি। তৃণমূল এর সঙ্গে যুক্ত নয়। মানুষ এর উত্তর ভোটের ব্যালট বক্সে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Vote 2024), তার আগেই এবার দল থেকে ভাঙড়ের (Bhangar) দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলামকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। ফলে এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে (Arabul Islam) ছাড়াই ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিল দল। ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক বা কনভেনর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। দাপুটে এই তৃণমূল নেতা যে ব্লক তৃণমূলের কোনও পদে আর নেই, সে কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। আরাবুল জেল বন্দি থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন ভাঙড়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা।

    শওকত মোল্লার বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) বলেছেন, “আরাবুল ইসলামকে দলের কনভেনার করেছিলাম। এখন তিনি জেলে, তাই দলের দায়িত্ব আমার কাঁধে নিয়ে ও ভাঙড়ের যাঁরা তৃণমূলের (TMC) নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব দিয়েই আমরা এই নির্বাচনে লড়াই করব। এখন আরাবুলের দলের কোনও পদ নেই। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রয়েছেন। আমি আশা করি তিনি ভবিষ্যতে দলের অনুগত সদস্য হয়েই কাজ করবেন। আর যদি তা না করেন পরবর্তী পদক্ষেপ দল থেকে নেওয়া হবে।”

    বর্তমানে জেলে আরাবুল

    আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার করে কাশীপুর (উত্তর) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে ভাঙড়, পোলেরহাট থানা এলাকায় অশান্তিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে আরাবুলের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন তোলাবাজি ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুনঃ “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    জেল থেকে নির্বাচনে লড়ে ছিলেন

    উল্লেখ্য, তৃণমূলের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন আরাবুল। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকেটে ভাঙড়ের (Bhangar) বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তারপরেই তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা সহ-সভাপতি থেকেছেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরাবুল। সেই সময়ে জেল থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেবারের নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। তারপর তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পরবর্তী সময় তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার পরেই এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024। ভোটের প্রাক্কালে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট আসানসোলের (Asansol) রাজনৈতিক মঞ্চ। এরই মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পোস্টারে লেখা “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”। প্রার্থী নাকি নিখোঁজ! তাঁকে দেখা কিংবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে (Asansol)?

    ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। আসানসোলের (Asansol) এই কেন্দ্রে বর্ষীয়ান নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়াকে (S. S. Ahluwalia) প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি এই কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। অন্ডাল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার এবং লিফলেট। তাতে লেখা, “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই, মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা মহাশয়কে দীর্ঘকাল যাবৎ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে পান আমাদের জানাবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কেন অন্ডাল এলাকায় এই ধরনের পোস্টার? এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, ২০২২ সালে সেই জায়গা পূরণ করার জন্য হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ভয়ানক ভয়ভীতির পরিবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা, শাসক দলের হয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তাই হয়তো এবারও ভোট দিলে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। মানুষের কাছে এই বার্তা দিতেই এই পোস্টার দিয়েছেন এলাকার মানুষ।”

    আরও পড়ুনঃ দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে বলেন, “বিজেপি আসানসোলের প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না। বর্তমানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছে, তিনিই দুর্গাপুরে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল দুর্গাপুর শহর অঞ্চল জুড়ে। বিজেপির কিছু নেই বলেই এই ধরনের কুৎসা ছড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের কথা শুনছে না পুলিশ! ওসি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে কমিশনে যাচ্ছেন বিধায়ক

    Murshidabad: তৃণমূলের কথা শুনছে না পুলিশ! ওসি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে কমিশনে যাচ্ছেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদাধিকার বলে পুলিশ মন্ত্রীও। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। ভোটের মুখে পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের বিধায়কের সরব হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ তৃণমূলের কথা না শুনলেই নেতারা মেনে নিতে পারছে না। আসলে মানুষ সরে গিয়েছে। এবার দলদাস পুলিশও তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী পাকুড় স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করে পুলিশ। কয়েক জন শ্রমিককে ট্রেনে তুলে দিয়ে দোগাছি সাকারঘাট ডিবিএসের রাস্তা দিয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী ইউসুফ শেখ। ইউসুফ শ্রমিকদের বিভিন্ন জায়গায় কাজে পাঠানোর কাজ করেন। অর্থাৎ, লেবার কন্ট্রাক্টর। তাঁকে ওই দিন সামশেরগঞ্জ থানার এএসআই-এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ‘তুচ্ছ কারণে’ হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। এক পুলিশ আধিকারিক এবং থানার গাড়ির চালক এবং চার সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বিধায়ক?

    এই ঘটনার পর পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে পুলিশ বেধড়ক মারে। মারের চোটে ওই যুবকের চোখের পাশে এবং শরীরের নানা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসলে সরকারি বিরোধী কাজ করছেন ওসি প্রশান্ত ঘোষ। সমাজবিরোধীদের মদত দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করব।

    পুলিশ-প্রশাসন কী সাফাই দিয়েছে?

    বিধায়ক আমিরুল এবং আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে শামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ইউসুফ শেখ নামে ওই ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় মোটর বাইক চালাচ্ছিলেন। পুলিশকে দেখে অযথা ‘পাসিং লাইট’ দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের গাড়ির চালককে গালাগাল করেন। পুলিশের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তার পরেই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share