Tag: tmc

tmc

  • Bankura: “চাকরীপ্রার্থী পিছু আট লক্ষ করে টাকা চেয়েছিলেন অভিষেকের ভাই”, বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

    Bankura: “চাকরীপ্রার্থী পিছু আট লক্ষ করে টাকা চেয়েছিলেন অভিষেকের ভাই”, বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে এই ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই যোগ্যরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন। এই আবহের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বাঁকুড়ার (Bankura) সভায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সৌমিত্র খাঁ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    চাকরীপ্রার্থী পিছু আট লক্ষ করে টাকা চেয়েছিলেন অভিষেকের ভাই (Bankura)

    বাঁকুড়ার (Bankura) রতনপুরে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, তৃণমূলে থাকার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু ছেলের চাকরির জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তিনি তাঁর ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেছিলেন। আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গেলে তিনি প্রার্থী পিছ আট লক্ষ টাকা দাবি করেন। সৌমিত্রর কথায়, ” আমি ওনার ছোট ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললাম অভিষেকদা বলল চাকরি করে দেবেন। তো কী করতে পারবেন? আমায় বললেন, দাদা তোমার কাছ থেকে বেশি নেব না। এক কাজ করো আট লক্ষ টাকা আর দু’লক্ষ টাকা তোমার জন্য। মোট ১০ লক্ষ টাকা করে ১০০টা ক্যান্ডিডেট এনে দিতে পারো।”  এরপরই সৌমিত্র খাঁ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর দাবি করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আসতেন আমি তাঁর প্যান্ট জামা খুলে নিতাম।” শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আদালত যে করছে তা বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্যে আরও পরিষ্কার হয়ে গেল। এই নির্বাচনে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বড়জোড়ার (Bankura) তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওর হিম্মত রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোশাক খুলে নেওয়ার? ও তো তিনটে-চারটে লোক আর পয়সার থলি নিয়ে ঘুরছে। আর এই ভোটে পাবলিক ওকে যোগ্য জবাব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিন”, চাকরিহারাদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিন”, চাকরিহারাদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার পর তৃণমূল থাকবে না। যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের বলব, ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের কাছে যান, কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিয়ে নিন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল আমলে যারা চাকরি পেয়েছেন, কার চাকরি থাকবে, কার চাকরি যাবে বলা অসম্ভব। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা পড়াশুনা করে চাকরি পেয়েছেন, তারা তো টাকা দিয়ে চাকরি পাননি। তাহলে তো আটা ও ভুষি এক হয়ে যাচ্ছে। যারা ঘুষ নিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি যাচ্ছে আর যারা পড়াশুনা করে চাকরি পেয়েছেন, তাদেরও চাকরি চলে যাচ্ছে।

    দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এদিকে রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন বালুঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত, বুথের অবস্থা কি তার খোঁজ খবর নিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। এদিন দুপুরে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম এলাকায় যান বিজেপি প্রার্থী। সেখানে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত। পাশাপাশি ওই এলাকায় কিছু তৃণমূলের লোকজন একটু হুমকি দিচ্ছে। তারা আবার দিনের বেলা বেরতে পারে না বলে জানান বিজেপি কর্মীরা । দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর, গোপালপুর ও হিলি ব্লকের তিওর সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেরান।

    আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    কী বললেন সুকান্ত?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বুধবার তো প্রচার শেষ হয়েছে। তাই, এদিন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, কেউ ভয় দেখাচ্ছে কি না এইসব শুনছি। ছোট খাটো ধমকানো চমকানো চলছে। ভয় দেখানো হচ্ছে, বিভিন্ন ভাতা বন্ধ হবে এইসব চলছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীর হাত উড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বোমা বাধঁতে গিয়ে হাত উড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ হল বোমা শিল্পর জন্য বিখ্যাত। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এইসব জায়গায় বোমা ঘরে ঘরে কুটির শিল্প এখন। বোমা তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট প্রচারে বেরিয়ে কাঞ্চনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন কল্যাণ

    Lok Sabha Election 2024: ভোট প্রচারে বেরিয়ে কাঞ্চনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন কল্যাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে আবার সামনে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি (campaign car) থেকে নামিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই মনমরা হয়ে কাঞ্চন বেরিয়ে গেলেন কল্যাণের প্রচার (election campaign) ছেড়ে। এই ঘটনার জেরে শুরুতেই তাল কাটে কল্যাণের প্রচারের।

    ঠিক কী হয়েছিল? (Lok Sabha Election 2024) 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) প্রচার ও জনসংযোগে বের হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan bandhopadhyay)। এই প্রচারে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক এবং অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক (kanchan mallick)। কিন্তু প্রচার শুরু হতেই ঘটে বিপত্তি। গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলা হয় বিধায়ককে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কাঞ্চনকে দেখলেই গ্রামের মহিলারা ‘ভীষণ রিয়্যাক্ট’ করছেন। তাই তিনি কাঞ্চনকে তাঁর সঙ্গে গ্রামে প্রচারে যেতে মানা করেছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আমি ওঁকে আগেই বলে দিয়েছিলাম, গ্রামে এসো না। আমি ব্যক্তি বিশেষের জন্য নই, আমি সমষ্টিগত মানুষের সুখের জন্য। একজনের সুখের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না।”এরপর কাঞ্চন এক দলীয় কর্মীর বাইকের পিছনে বসে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। কাঞ্চনের অনুগামীদের সূত্রে খবর, ঘটনার পর তিনি কলকাতায় ফিরে গেছেন।

    আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    কাঞ্চনের বিয়ে নিয়েই শোরগোল টলিপাড়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়

    প্রসঙ্গত, কাঞ্চন টলিউডের (tollywood actor) একজন জনপ্রিয় অভিনেত। কিন্তু, বর্তমানে ব্যক্তিগত কারণে শিরোনামে  আছেন তিনি। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর খুব সম্প্রতি আবারো বিয়ে করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। আর কাঞ্চনের এই বিয়ে নিয়েই শোরগোল টলিপাড়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সর্বত্র। আর এদিনের প্রচারে কাঞ্চনকে দেখে সেই নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে দাবি কল্যাণের। যদিও কল্যাণ স্পষ্ট করেননি, গ্রামের মহিলারা ঠিক কোনও কারণে কাঞ্চনকে নিয়ে আপত্তি করছেন। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় কাঞ্চন মল্লিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “চোরেদের দল তৃণমূলে আর থাকব না”, অর্জুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন কাউন্সিলর

    Arjun Singh: “চোরেদের দল তৃণমূলে আর থাকব না”, অর্জুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) গড় ভাটপাড়ায় ফের তৃণমূলে ভাঙন। ভাটপাড়া পুরসভার ১০  নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দলবল বিজেপিতে যোগদান করলেন। ভোটের আগে এই ধস নামার ঘটনায় ব্যাকফুটে শাসক দল। পাশাপাশি, ভাটপাড়ায় আরও শক্তি বাড়ালো বিজেপি। ভোটের আগে এই যোগদানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙা হয়ে উঠেছেন।

    চোরদের দল তৃণমূলে আর থাকব না, বললেন দলত্যাগী কাউন্সিলর

    মঙ্গলবার রাতে ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলার চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হামলায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর সত্যেন রায় এবং তাঁর ছেলে শানু রায়। সত্যেনবাবু বলেন, পার্টি অফিসে একটি বিষয়ে আলোচনা চলছিল। পরে, সেটা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। সে সময় তৃণমূল নেতা দেবরাজ ঘোষ দলবল নিয়ে এসে আমাকে প্রথম মারধর করে। আমার ছেলে আমাকে বাঁচাতে এলে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। কিছুদিন আগে তার কিডনির অপারেশন হয়েছে। তাকেও রেয়াত করেনি। আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করি, আজ এটাই ফল পেলাম। পরে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার ঘটনার পর তৃণমূল নেতারা কেউ পাশে আসেনি। অর্জুন সিং (Arjun Singh) আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। যে দল আমাকে কোনও সম্মান দেয়নি, সেই দলের সঙ্গে আমি কোনও মতেই থাকতে পারবো না। তাই আমি বিজেপিতে যোগদান করলাম। চোরদের দলে আমি থাকবো না। আর বারাকপুরে পার্থ ভৌমিক হেরে বসে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    কী বললেন অর্জুন সিং? (Arjun Singh)

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিল। তাঁকে অপমান করা হচ্ছিল। মারধর করা হচ্ছিল। আমরা তো তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিরাপত্তা দিতে পারি না। বিজেপি আসলে সন্মান পাবেন বুঝতে পেরেই তিনি দলে যোগ দিয়েছেন। আমার দলের কর্মীদের হামলা করলে তৃণমূল বুঝতে পারবে কী হবে। মানুষ তার যোগ্য জবাব এবার ভোটে দিয়ে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: গোষ্ঠীকোন্দল! ধারাল অস্ত্রের কোপ, দলীয় কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী

    Murshidabad: গোষ্ঠীকোন্দল! ধারাল অস্ত্রের কোপ, দলীয় কর্মীদের হাতেই আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ। প্রথম দফার ভোট শেষ হয়েছে। ২৬ এপ্রিল রাজ্যে দ্বিতীয় দফা ভোট। আর এরই মধ্যে বুধবার বিকেলে গন্ডগোলে উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকা। 

    ঠিক কি ঘটেছিল? 

    জানা গেছে মিটিং শেষে বাড়ি ফেরার পথে রঘুনাথগঞ্জের গিরিয়া অঞ্চলের ভৈরব টোলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। পুরনো শত্রুতার জেরেই এই গণ্ডগোল এমনই অভিযোগ উঠছে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় তিনজন। ইতিমধ্যেই জখমদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর (Jangipur) মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যদিও হাসান শেখ নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের (Baharampur Medical College) রেফার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। জঙ্গিপুর আউটপুস থানার ওসি (OC) সুমিত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পুলিশ এলাকায় তদন্ত (Investigation) চালাচ্ছেন। আক্রান্ত এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলেরই মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। মারধরের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকাজুড়ে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: চতুর্থ দফায় চাহিদা সবচেয়ে বেশি, দ্বিতীয়-তৃতীয় দফায় বাড়ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    তৃণমূলে কোন্দল লেগেই রয়েছে!

    যদিও তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল কোনও নতুন ঘটনা নয়। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনার তালিকা অনেক লম্বা। এর আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সালার থানার পূর্ব গ্রামে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল দলেরই এক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে সম্প্রতি তৃণমূলের আরেক গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা ঘটেছিল হুগলিতে। হুগলির তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rachana Banerjee) সমর্থনে জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় কেড়ে নেওয়া হল বলাগড় বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর (Manoranjan Byapari) মাইক। এই ঘটনায় মঞ্চ ছাড়েন ‘অপমানিত’ বিধায়ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে”, তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে”, তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্টের রায়ে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এটা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই ইস্যুকে সামনে রেখে তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  

    এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে (Suvendu Adhikari)

    লোকসভা ভোটে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে বুধবার ডিমারিতে এক জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু। সেখানে চাকরি বাতিল ইস্যুতে শাসকদলকে এক হাত নেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন,  ‘একুশের আগে বলেছিল ডবল ডবল চাকরি হবে। এখন ডবল ডবল চাকরি যাচ্ছে।’ এমনিতেই আদালতে শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের পাশাপাশি সুদ সহ টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার এই ইস্যুতে শিলিগুড়িতে শুভেন্দু চাকরিহারাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, আপনারা টাকা ফেরত না দিয়ে চাকরি চোর মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করুন। এরপর এদিন তমলুকে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকে বলছেন আমরা যোগ্য। প্রশ্ন হচ্ছে, কারা যোগ্য আর অযোগ্য এই রিপোর্টটা দেওয়ার কথা ছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের। কে যোগ্য আর কে অযোগ্য সেই তালিকা পর্যন্ত আদালতে দেওয়া হয়নি। এখানে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই।’

    আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    চাকরিহারাদের একাংশ পথে নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন

    এসএসসি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা নিয়োগ প্যানেল বাতিল হওয়ার ফলে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাঁরা যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, সবার চাকরি বাতিল হয়েছে। যাঁদের চাকরি যেতে বসেছে, তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যেই নিজেদের ‘যোগ্য’ বলে দাবি করছেন। তাঁরাও রাস্তায় নেমেছেন। সরব হচ্ছেন। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবার ‘ন্যায্য’ চাকরিপ্রাপকদের একাংশ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের অফিসে গিয়ে পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকেই কলকাতায় শহিদ মিনারের পাদদেশে জমায়েত করতে শুরু করেছেন। বুধবারও তাঁদের দেখা গিয়েছে সেখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    Sukanta Majumdar: চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তার বার্তা সুকান্ত মজুমদারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। আদালতের এই রায়ে অথৈ জলে পড়েছেন ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরি পাওয়া যোগ্য শিক্ষকেরা। এমন পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। একই ভাবে বুধবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশনও। অন্যদিকে চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “আটা আর ভুষি আলাদা করতে হবে। যাঁরা অযোগ্য তাঁদের বাদ দিয়ে, যোগ্যদের পাশে থাকবে বিজেপি। চাকরিহারা যোগ্যদের আইনি সহায়তা দেবে বিজেপি।” শুধু তাই নয়, যোগ্য চাকরিহারাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সরকারকেই দায়ী করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এখানেই শেষ নয়, “অযোগ্যদের ঢাল হয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”, ঠিক এমন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

    আরও পড়ুনঃ বালুরঘাটে জনসভায় তৃণমূল প্রার্থীর সামনেই সুকান্তর প্রশংসা দেবের মুখে

    মমতাকে তোপ সুকান্তর

    এরপর সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের পাশে থাকবেন সেকথা বলছেন না। উনি বলছেন, আমি সবার পাশে থাকব। মানে, যোগ্যদের সঙ্গে অযোগ্যদেরও পাশে থাকবেন। ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অযোগ্যদের বাঁচানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ্যদের শিখণ্ডী করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু কি পারতেন না, যারা ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের নামের তালিকা আলাদা করে আদালতের হাতে তুলে দিতে। তাহলেই তো যোগ্যদের কিছুই হত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালাকি করলেন। তিনি রাজনীতি করলেন। যে পাঁচ হাজার জনের কাছ থেকে তাঁর নেতারা পয়সা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন, তাঁদের বাঁচানোর জন্য কুড়ি হাজার যোগ্য শিক্ষককে ঢাল করলেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মধ্যে বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক। এবার দ্বিতীয় দফা ভোটের আগেই হামিদুল রহমানকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সম্প্রতি এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধী ভোটারদের উদ্দেশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এবার তাঁকে শোকজ করল কমিশন।

    ঠিক কী বলেছিলেন (Election Commission)?

    সম্প্রতি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। চোপড়া (Chopra) ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ের সভায় বক্তব্যের মাঝে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হামিদুল রহমান (Hamidul Rahaman) বলেছিলেন, “যে বিরোধী ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না তাঁদের মনে রাখতে হবে ২৬ এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। এলাকার বাহিনীর সঙ্গেই তখন থাকতে হবে। তখন কিছু হলে তাঁরা যেন বলতে না আসেন। তাই মূল্যবান ভোটগুলি নষ্ট করবেন না।” এই বক্তব্যের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ করেছে কমিশন (Election Commission)। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে চোপড়ার বিধায়ককে জবাব দিহি করতে বলেছে কমিশন। যদিও এ ব্যাপারে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এই বক্ত্যবের তীব্র নিন্দা করেছিল বিজেপি। চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুণ সিংহ পাল্টা সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) হামিদুল রহমানের এই বক্তব্যের পরেই কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “নিশ্চিত পরাজয় বুঝে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা হুমকি দিতে শুরু করেছেন। পঞ্চাতের মত ভোটলুঠ এবার আমরা করতে দেব না।”

    আরও পড়ুনঃ প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অন্যতম উত্তেজনার কেন্দ্র ছিল চোপড়া। সিপিএম ও কংগ্রেস মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তাদের উপর গুলি চালানো ও বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও হয়। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহতও হয়েছিল। এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেনি। একপ্রকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Election Commission) জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার লোকসভা ভোটে আর তৃণমূলকে (TMC) এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বালুরঘাট লোকসভায় ভোট। তার দুদিন আগেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক চলছে। বুধবার তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল প্রায় শতাধিক পরিবার। এদিন বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজেপিতে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এছাড়াও যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন (Sukanta Majumdar)

    এদিন মূলত তপন ব্লক একাধিক পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে। এই ব্লকের ৭০টি পরিবার যোগ দেয়। অন্যদিকে, বালুরঘাট শহরের একাধিক নতুন ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেছে। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় ৪০ জন নতুন ভোটার বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অন্যান্য দলের সমর্থক ছিলেন। এদিন লোকসভা নির্বাচনের শেষ প্রচার। প্রচারের শেষ দিন কুশমন্ডি ও হরিরামপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় হুড খোলা গাড়িতে নির্বাচনের শেষ প্রচার করলেন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রচার সেরে তিনি গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। বিজেপিতে যোগদান করার পর এক যোগদানকারী বলেন,আমরা ১০ নম্বর মালঞ্চা গ্রামপঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। কারণ, তৃণমূলে থাকাকালীন শুধু দুর্নীতি দেখেছি। তাই, দুর্নীতি মুক্ত করতে আজ বিজেপিতে আসলাম।

    আরও পড়ুন: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রচারের শেষদিন। তাই, জেলার কুশমন্ডি, হরিরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করলাম। সাধারণ মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছি। এদিনও সকাল থেকে দিনভর বিভিন্ন এলাকায় চুটিয়ে প্রচার করলাম। আর বহুদিন ধরেই তৃণমূল ছেড়ে বহু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করছে। প্রচারের শেষদিনেও যোগদান পর্ব লেগেই রয়েছে। যোগদানকারীরা বুঝেছে যে রাজ্য বাঁচাতে হলে বিজেপি দরকার তাই আজ তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    SSC Recruitment Scam: “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে গিয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মনের। চাকরি বাতিল হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, চাকরি হারানোর পর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি এই দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

     চাকরি বাতিল হয়েছে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতির (SSC Recruitment Scam)

    দলীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-২৩ সাল পর্যন্ত তৃণমূল পরিচালিত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন কবিতা বর্মন। তাঁর স্বামী প্রফুল্ল বর্মন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এবং হেমতাবাদের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদে ছিলেন। সেই সময় তিনি স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। কবিতা বর্মনের বিরুদ্ধে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জানা গিয়েছে, তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের বালিজোল উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আদালতের রায়ে তাঁর চাকরি চলে যায়। তবে, দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়েছে তা অকপটে স্বীকার করেন কবিতা দেবী।

    আরও পড়ুন: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে

    জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন, “হাইকোর্টের অর্ডার তো এখন মানতেই হবে। দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়েছে। তবে, আমার বিরুদ্ধে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সাদা খাতা জমা দিয়ে তো কারও চাকরি হয় না। গোটা প্যানেলটাই বাতিল হয়েছে, সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।” পাশাপাশি এই দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলেন,  “এরজন্য আমরা দায়ী নই। রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। যা করেছে রাজ্য সরকার। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share