Tag: tmc

tmc

  • Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘তৃণমূলের হয়ে কাজ’ করছেন আইপিএস অফিসার (IPS Officer), সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan  Chowdhury)। আর কাকতালীয় ভাবে তার পরেই মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে (DIG) অপসারণ করল নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের মুখে বাংলার আরও এক অফিসার ডিআইজি মুকেশ কুমারকে সরালো নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডিআইজি পদের জন্য তিন জনের নাম বাছাই করে কমিশনকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। তাঁদের মধ্যে থেকে এক জনকে নতুন ডিআইজি পদে নিয়োগ করবে কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ (Murshidabad)

    কমিশনের তরফে আইপিএস অফিসার মুকেশ কুমারকে ভোটের সঙ্গে যোগ নেই, পুলিশের এমন পদে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেই নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীরের অভিযোগ, “মুকেশ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এসপি থাকাকালীন থানায় যে কজন ওসি বা আইসি ছিলেন, ডিআইজি হওয়ার পর সেই অফিসারদেরই তিনি আবার থানায় নিয়ে এসেছেন। ওই সব পুলিশ আধিকারিকেরা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিনের পর দিন কাজ করে গিয়েছেন। এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন এই আইপিএস মুকেশ কুমার।” এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (Election commission ) নজরে এনে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন অধীর। তাঁর মতে, হয়তো তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    আগে চার জেলার জেলাশাসককে সরানো হয়েছিল

    উল্লেখ্য ২০১৯ সালে মুকেশ কুমার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার এসপি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া রেঞ্জের ডিআইজি করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে ভোটের মুখে আইপিএস মুকেশ কুমারকে নির্বাচন কমিশন সরাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও এমন ঘটনা প্রথম নয়, লোকসভা ভোটের মুখে (Lok Sabha Vote 2024) এর আগে রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককেও সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। আর এবার সরানো হল মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নন্দীগ্রামে (nandigram) বিভিন্ন প্রকল্পের (government project) লাভ পাওয়া মহিলারা কে কোথায় থাকেন খোঁজ নিতেই শুরু হল বিক্ষোভ। ১০০ দিনের জব কার্ডের (MGNREGA) টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা প্রকাশ মালের ঘোলপুকুর এলাকার বাড়ি ঘেরাও করা হয়। মহিলাদের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। মহিলাদের বিক্ষোভে নন্দীগ্রাম যেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি!

    নন্দীগ্রাম যেন সন্দেশখালি (Nandigram)

    মহিলাদের বিক্ষোভে এযেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি (sandeshkhali) তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া বাড়ির মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। এর পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন এলাকার মহিলারা। সঙ্গে অবশ্য পুরুষরাও ছিলেন। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে নন্দীগ্রামবাসীর। ফলে ভোটের মুখে তৃণমূল আরও চাপে।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) এক ব্যক্তি বলেন, “আমফানের সময় পাঁচটি বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও আমি বিজেপি করি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে তৃণমূলের সভায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে বলা হয়েছিল তৃণমূলের মিটিং মিছিলে গেলে এক লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণে গোপনে তৃণমূলের মিটিং মিছিলে যেতাম। তিনি কিন্তু বরজের ক্ষতির টাকা আজও তিনি পাননি।” স্থানীয় অপর আরেক এক মহিলা অভিযোগের সুরে বলেন, “আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা কিছু পাইনি। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের জন্য দরখাস্ত জমা দিয়ে এসেছি। তারপর ফোন করে জিজ্ঞেস করছে কোন বাড়ির মহিলা। আমাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে কেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি নেতার রাজর্ষি লাহিড়ী অভিযোগে করে বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনা সন্দেশখালীর প্রাথমিক পর্যায়। আগে কে কোন বাড়ির মহিলা তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর সুন্দরী দেখে তাঁদের প্রথমে দিনের বেলায় মিটিং মিছিল, তারপর রাতে পিঠে বানানোর জন্য ওরা ডাকবে বলে এইসব কাজ করছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে পাল্টা তমলুক তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার (Nandigram) সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে এসব করা হচ্ছে। আবেদন করলে ভেরিফিকেশন করা আগেও হয়েছে। তবে ভেরিফিকেশন কেন প্রশাসনের বদলে রাজনৈতিক দলের তরফে হবে? মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।”

    পার্টি অফিসে তালা

    অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে ময়দানে নামে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপির দাবি, মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরে অবশ্য তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য নিঝাতে তালা ভেঙে দেন। এতদূর তো ঠিক ছিল বিজেপির পতাকা নিজে খুলে ফেলে দেন তিনি। পতাকা ফেলে দেওয়াকে মোটেই ভাল কাজ বলে আখ্যা দেয়নি রাজনৈতিক মহল। সামাজিক মাধ্যমেও পতাকা ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছেন নেটিজনেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ হতে পারে তাই জলপাইগুড়িতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাচ্ছে না, এমন দাবি একাধিক সভায় করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার রীতি মতো তৃণমূলের এই দাবিকে মিথ্যা বলে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন,  ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছিল কমিশন তবে বোকা বানাচ্ছেন মমতা।

    ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরম দিতে নির্দেশ দেয় কমিশন

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জলপাইগুড়ি এবং ময়নাগুড়ির বিধ্বংসী ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা, যারা ঘর বাড়ি-সহ তাঁদের শেষ সহায় সম্বলটুকুও প্রকৃতির রোষে হারিয়েছেন তাঁরা যাতে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান পান, তার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন গত ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরণ এবং বাড়ি তৈরির আর্থিক অনুদানের বিষয়টি আদর্শ আচরণ বিধির আওতার বাইরে রেখে অনুমোদন মঞ্জুর করেছেন। শুধু তাই নয় ওই দিনই অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ২০২৪ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়।”

    নিশানায় মমতা ও অভিষেক

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, “অনেক আগেই ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর বাড়ি নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান দিয়ে দেওয়াই যেত, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্র সরকারের নামে মিথ্যাচার করতেই ব্যস্ত। আসলে তাদের উদ্দেশ্য অন্য, তারা এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়িয়ে ভোটের বাজারে নিজেদের লাভের অঙ্ক বাড়িয়ে নিতে চান। সহায় সম্বলহীন, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের এই দুর্দশা এবং কষ্টদায়ক পরিস্থিতির তাদের কাছে কোনও মূল্য নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Basirhat: “বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ দিয়ে মারুন”, প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হুমকি ভাইরাল

    Basirhat: “বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ দিয়ে মারুন”, প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হুমকি ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলা রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বুথে বুথে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের। আর শাহজাহানের কীর্তি এবং দুর্নীতি ইস্যুতে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। তাই, এবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বসিরহাটের (Basirhat) এক তৃণমূল নেতা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Basirhat)

    দলীয় প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলামের সমর্থনে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাট (Basirhat) উত্তর বিধানসভার বিবিপুর বেগমপুর তৃণমূলের পক্ষ থেকে পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে ওঠেন তৃণমূলের বিবিপুর বেগমপুরের অঞ্চল সভাপতি মিয়াজুল ইসলাম বাবুয়া। দলীয় সভা থেকে প্রকাশ্যে বলেন, বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ নিয়ে যুব সমাজ তৈরি থাকবেন। মা-বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন। ভোট চাইতে এলেই মা, বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করবেন। আর যুবকরা চেলা কাঠ দিয়ে পেটাবেন। এরপর তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেননি। মুখ্যমন্ত্রী ২ টাকা কিলো চাল সহ সব প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। তাই, বিজেপির কেউ ভোট চাইতে এলেই তাঁদের চেলা কাঠ দিয়ে মারবেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার সেই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সভার পরে, তাঁকে এই ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আরও বেশি বলা উচিত ছিল। যদিও তৃণমূল নেতার বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত দল হচ্ছে তৃণমূল। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই, এখন এই ধরনের হুমকি দিয়ে আমাদের কর্মীদের আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। সামনে ভোটে ওদের উচিত শিক্ষা দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “তৃণমূলের লোক জড়ো করতে মুখ্যমন্ত্রীকে নাচতে হচ্ছে”, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “তৃণমূলের লোক জড়ো করতে মুখ্যমন্ত্রীকে নাচতে হচ্ছে”, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মমতাকে নিশানা করে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার তিনি বর্ধমানের সদরঘাটে যান প্রাতঃভ্রমণে। সেখানে ছট পুজোয় অংশ নেন দামোদরের ঘাটে। চৈত্র ছটে আসা ভক্তদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন বিজেপি প্রার্থী। তারপর তিনি মাঠে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হাঁটেন। এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ব্যাট হাতে মাঠে ছক্কা হাঁকান।

    মমতাকে তোপ দিলীপের (Dilip Ghosh)

    উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের সঙ্গে নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, তৃণমূলের লোক জড়ো করতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীও নাচতে হচ্ছে, প্রার্থীরাও নাচছেন। রাস্তার ধারে নেচে লোক জড়ো করছেন। আমরা যেখানে যাচ্ছি এমনিতেই লোক জড়ো হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনীতি, ব্যাট, বল, ক্যারাটে সবই করি। তাই আমার সামনে সবাই আসতে ভয় খায়। যত দিন যাচ্ছে তত ফিকে হয়ে যাচ্ছেন কীর্তি আজাদ, কারণ উনি তো রিটায়ার্ড এবং টায়ার্ড ম্যান। উনি এখন বুঝতে পারছেন এখানকার জনতা ওনাকে নিচ্ছেন না, পার্টির লোকেরাই ওনার সঙ্গে বের হচ্ছেন না। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, আমাদের সঙ্গে মানুষ আছে। পঞ্চায়েতে এখানে পুলিশ ও গুন্ডা দিয়ে লুট করা হয়েছে। সামনের পঞ্চায়েতে দেখবেন আমরা ওদের বাড়ি থেকে বের হতে দেব না। আমি তো প্রচারই করিনি। লোকের সঙ্গে দেখা করছি, ক্রিকেট খেলছি। ওরা ঘোড়া নিয়ে আসছে, টাকা খরচ করে। দিলীপ ঘোষ একাই একশো, যতই ওরা এখানে প্রচারে আসুক।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

     তৃণমূলের গুন্ডারা যেখানে সেখানে রাস্তা আটকে টাকা তুলছে

    এদিন বিজেপি প্রার্থী (Dilip Ghosh) বলেন, বুথে আমার শুধু কর্মীরা বসবে না, বুথ সামলাবে। বাইরে থেকে যদি কেউ যায় সে কীভাবে ফিরবে আমরা ঠিক করে দেব। গতবারে বুথে গন্ডগোল হয়নি, বুথের বাইরে হয়েছিল, এবার হতে দেব না। ওদের বলে দেবেন দিলীপ ঘোষ এসে গেছে। আমি যেখানে যাই, সেখানে মূল শুদ্ধ উপরে ফেলি, ওদের বলে দেবেন। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা করে ভোট করি না। সাধারণ মানুষ যাতে ঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন সেজন্য সেন্ট্রাল ফোর্স এসেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ট্রান্সপোর্টের লোকেরা আমাকে বলেছে, আমরা খুব সমস্যার মধ্যে আছি। পুলিশ এবং তৃণমূলের গুন্ডারা যেখানে সেখানে রাস্তা আটকে টাকা তুলছে। মমতাকে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি কিছুই করেননি, মোদিজি হাইওয়ে করেছেন, চন্দ্রযান করেছেন। উনি করেছেন বলেই আজ উদ্বোধন করছেন। এয়ারপোর্ট, ট্রেন উদ্বোধন করছেন। মমতা টাকা দাও টাকা দাও করে রাস্তায় হাঁটছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    Narendra Modi: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য জেলায় ভোটপ্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে বুনিয়াদপুরে এবং ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে গঙ্গারামপুরে ভোটপ্রচারে এসেছিলেন। ১৬ এপ্রিল ফের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসছেন প্রধানমনন্ত্রী। বালুরঘাট রেল স্টেশন ময়দানে নরেন্দ্র মোদির সভাকে ঘিরে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।

    মোদির সভাস্থলে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি (Narendra Modi)

    রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদি। জেলার সমস্ত বিধানসভা ক্ষেত্র থেকেই কর্মী-সমর্থকরা আসবেন মোদির এই সভায় যোগ দিতে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদির (Narendra Modi) সভায় এক লক্ষ মানুষের ভিড় হবে। এর আগে ২০১৯ সালে বুনিয়াদপুরে এসেছিলেন সুকান্তর হয়ে ভোট প্রচারে। সেবার ৩৫ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এবার ভোটের ব্যবধান বাড়াতে বিজেপি নেতৃত্ব কোনওরকম কসুর রাখছেন না। এর আগেই জেলায় সভা করে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বুনিয়াদপুরের সভা করেছেন। এবার নরেন্দ্র মোদির সভা বালুরঘাটে। মোদির সভা মঞ্চ গড়ে তোলার কাজ প্রায় শেষ। চলছে বিশেষ সুরক্ষা বাহিনীর কুকুর ও মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে তল্লাশি। এছাড়াও সভাস্থলে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এখন থেকেই শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। ইতিমধ্যে সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সভাস্থলের কাজ পুরো খতিয়ে দেখেন। মোদির সভাস্থলে সঞ্চালনার কাজ করবেন একজন আদিবাসী নেত্রী ও একজন আদিবাসী নেতা। সভাস্থলের হেলিপ্যাডে তিনটি পরীক্ষামূলক উড়ান দেয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। বালুরঘাটে নরেন্দ্র মোদির সভাকে কেন্দ্র করে উৎসাহে আছে বালুরঘাট সহ জেলাবাসী।

    আরও পড়ুন: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,”অন্য রাজনৈতিক দলের যেটুকু হাওয়া রয়েছে, ওটুকুই থাকবে। কারণ, আগামীকাল ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বালুরঘাটে সভা করবেন। সভা করে যাওয়ার পর জেলায় বিজেপির যে ঝড় উঠবে, তাতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি লড়াই থেকে ছিটকে যাবে। এই আসনে জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে বিজেপির।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল পাল্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসেও কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    South 24 Parganas: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বিজেপি কর্মী খুন। এবার খুনের ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তীর হাড়ভাঙ্গি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম স্বপন ঘরামি। বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী উত্তর মোকামবেড়িয়া হাড়ভাঙ্গি এলাকার বাসিন্দা স্বপন ঘরামি। তিনি বিজেপি-র সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। এবারও নির্বাচনে তিনি বুথে দলীয় প্রার্থীর হয়ে দেওয়াল লিখন করেছেন। স্বপনবাবুর একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুর দখল করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রথমে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিদেশ ঘরামির সঙ্গে বচসা বাধে। এরপরই ওই তৃণমূল নেতা লোকজন নিয়ে এসে হামলা চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় এলাকার মানুষজন ও পরিবারের লোকজন স্বপনবাবুকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। কিছুক্ষণ আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় রয়েছে উত্তেজনা। ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত এলাকা। স্বপনবাবুর পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক পেটানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এভাবে পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, এই খুনের রাজনীতি তৃণমূল করে না। পারিবারিক ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ ছড়িয়েছে বিজেপি। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। বিজেপি মিথ্যে অভিযোগ করছে। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, তৃণমূলের কালচার হচ্ছে খুনের রাজনীতি করা। বিজেপির নিরীহ কর্মী স্বপন ঘরামিকে পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপি কর্মীর সেই পুকুর ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করেছে বিদেশ ঘরামি। বিফল হয়েছে। তৃণমূলের সন্ত্রাস গোটা বাসন্তী এলাকা জুড়ে চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Subhas Sarkar: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    Subhas Sarkar: অম্বেডকরের জন্মদিনে বিজেপির শ্রদ্ধাঞ্জলি, প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ সুভাষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (lok sabha vote 2024), হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই রবিবার বাংলা নববর্ষের দিনেও চুটিয়ে ভোট প্রচারে নেমেছেন প্রার্থীরা। জনসংযোগ বাড়াতে এবার ভোট প্রচারে বেরিয়ে জুতো পালিশ করতে দেখা গেল বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারকে (Subhas Sarkar )। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

    জুতো পালিশ করে প্রচার (Subhas Sarkar)

    রবিবার ডক্টর বি.আর.অম্বেডকরের (B.R Ambedkar) জন্মদিন উপলক্ষে বাঁকুড়ার মাচানতলা থেকে লালবাজার পর্যন্ত বিশেষ পদযাত্রায় অংশ নেন বাঁকুড়ার বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar)। সেখানেই হুড খোলা গাড়িতে চড়ে নিজের জুতো পালিশ করলেন তিনি। মিছিলে প্রচার চালাতে চালাতে হঠাৎই তিনি নিজের হাতে তুলে নেন নিজের জুতো। গাড়িতে দাঁড়িয়েই ব্রাশ দিয়ে সেই জুতো পালিশ করতে শুরু করেন তিনি।

    সুভাষ সরকারের বক্তব্য (Subhas Sarkar )

    বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar ) বলেন, “নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করলে কোনও কাজই ছোটো নয়। ডক্টর বি.আর.অম্বেডকর দলিত ও অত্যন্ত নিম্নবর্গ থেকে উঠে এসে সংবিধান প্রণয়নের মতো মহান কাজ করেছিলেন। একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নাম করে তিনি বলেন, “অম্বেডকরের স্বপ্ন আজ পূরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। ডক্টর বি.আর.অম্বেডকরের সেই ভাবনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আজ জুতো পালিশ করলাম।”

    তৃণমূলের কটাক্ষ

    জুতো পালিশের বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস। ওই কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “এটা কি জনগণের জুতো পালিশ হচ্ছে। সেটা তো হয়নি। জনগণকে তো ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। এসব করে নাটক করছেন সুভাষবাবু (Subhas Sarkar )। এতে কি ভোট বাড়ে।”

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    নানা প্রচারের প্রার্থীরা

    যদিও এমন ঘটনা আশ্চর্যের নয়। ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে এর আগে বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে কখনও চুল কাটতে দেখা গিয়েছে ,কখনও আবার দেখা গেছে চা, চপ, পাঁপড় ভেজে তা বিক্রি করতে। কোনও প্রার্থীকে আবার দেখা গেছে টোটো চালাতে, কাউকে আবার দেখা গেছে সবজি বিক্রি করতে। তাই এই কাজকে জনগনের হয়ে  অম্বেডকরের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ছাড়া আর কিছুই না বলে মনে করেন না সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar )।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: রাজ্য দিবস পালন নিয়ে মমতাকে বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করলেন সুকান্ত, হল যোগদানপর্ব

    Sukanta Majumdar: রাজ্য দিবস পালন নিয়ে মমতাকে বিন তুঘলকের সঙ্গে তুলনা করলেন সুকান্ত, হল যোগদানপর্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার নববর্ষের দিনে বালুরঘাটে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক থাবা বসাল বিজেপি। রবিবার সকালে মন্দিরে পুজো দিয়ে এলাকায় চুটিয়ে প্রচার শুরু করলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। একইসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করলেন। বিশেষ করে রাজ্য দিবস পালন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন সুকান্ত।

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান (Sukanta Majumdar)

    রবিবার বালুরঘাট পুরসভা লাগোয়া চকভৃগু অঞ্চলে সেখানে প্রায় ১০০ জন টোটো চালক তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদান করেন। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে এই যোগদান কর্মসূচি পালন করা হয়। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই যোগদানের ঘটনায় বিজেপি অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি হল বলে রাজনৈতিক মহলের মত। যোগদানকারীদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা আর করা যায় না। উন্নয়নের জন্য বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিজেপির

    রাজ্য দিবস নিয়ে মমতাকে তোপ

    ১ লা বৈশাখকে রাজ্য দিবস হিসাবে পালনের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাকে  কটাক্ষ করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন তিনি বলেন, এর কোনও ঐতিহাসিক গুরুত্ব নেই।  হঠাৎ করে চালু করে দিলেই হল নাকি। এতো মহম্মদ বিন তুঘলকের মতো মনে হচ্ছে। আজকে পয়লা বৈশাখ, আজকে রাজ্যের কোনও পেক্ষাপট নেই। পার্টি অফিসে বসে মদ, মাংস খাওয়া হয়। এইটা রাজ্যের জন্মদিন। আমরা আজকের দিনে এইটাই বলবো জয় বঙ্গ, জয় শশাঙ্ক। জানা গিয়েছে, নববর্ষের সকালে বালুরঘাটের অধিষ্ঠাত্রি দেবী বুড়িকালী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী। পুজোর শেষে তিনি মন্দিরে উপস্থিত হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে জনসংযোগও সেরে নেন তিনি। মন্দির থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন,  মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, যাতে তৃণমূলের অপশাসন থেকে উদ্ধার করতে পারি রাজ্যকে এবং মায়েদের সম্মান রক্ষা করতে পারি। নতুন করে যেন কোনও জায়গায় সন্দেশখালির মতো ঘটনা আর না ঘটে। একইসঙ্গে গোটা রাজ্যবাসী ও জেলার সাধারণ মানুষের মঙ্গল কামনা করলাম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Diamond Harbour: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    Diamond Harbour: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour), পড়ল বোমা, চলল গুলি। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের রবীন্দ্রনগরের চার নম্বর ওয়ার্ডের গুলজার বাগ এলাকায় দুই তৃণমূল গোষ্ঠীর মধ্যে জমি দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। অশান্তির মাঝেই আচমকাই বোমা পড়তে শুরু করে এলাকায়। প্রায় ২৫টি বোমা পড়ে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে চলে গুলিও। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকসভাকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, “শূন্যে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। বোমার স্প্লিন্টার ছিটকে এসে একটি শিশুও আহত হয়েছে। আরও এক ব্যক্তি মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” এই ঘটনার প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গোলাব, মিনু আরও একজন ছিল। বোমা ফেলছিল তারা। এখন হুমকি দিচ্ছিল যে গোটা পাড়ার মানুষকে মেরে ফেলব তারা। আমার বাড়ির পাশেও বোমা ফেলে। একই ভাবে আমার ঘরে বৃদ্ধ মা রয়েছেন। গুন্ডারা বলছে উড়িয়ে দেব সব।”

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) একপক্ষের অভিযোগ, জমি দখলে বাধা দিলে অপরপক্ষের লোকজন ঝামেলা শুরু করে, তারপরেই শুরু হয় মারধর, আশান্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রবীন্দ্রনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের সঙ্গে নামানো হয় র‍্যাফ। এরপর অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে এবার উত্তপ্ত ডায়মন্ড হারবার, চলল গুলি, পড়ল বোমা, আহত শিশু-সহ ২

    আগেও বোমাবাজি হয়েছে

    উল্লেখ্য এর আগেও গত ১৮ মার্চ ওই একই জায়গায় বোমা বাজির ঘটনা ঘটেছিল। আর এবার ফের একই ঘটনায় আতঙ্কে এলাকাবাসী। তবে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কেন বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhisekh Banerjee) গড়ে এমন বোমাবাজি অশান্তির ঘটনা ঘটছে? নাকি ভোটের মুখে এসব বোমাবাজি, গোলাগুলির ঘটনা কি ইচ্ছে করেই ঘটাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল! সাধারণ মানুষের মনে এক প্রকার আতঙ্ক যে সৃষ্টি হয়েছে সে কথা এলাকার অনেক মানুষ মনে করছেন। যদিও গোটা ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্থানীয় কোনও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share