Tag: tmc

tmc

  • Sukanta Majumdar: “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই”, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি গেল একসঙ্গে। রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তৃণমূলের শাসনে একটি বড় দুর্নীতি। তাহলে তৃণমূলের ঢাকি সমেত বিসর্জন কি একেই বলে? ফেসবুকে একথা ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাল গতিতে। সাম্প্রতিক কালে এত সংখ্যক সরকারি কর্মচারীর দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগে চাকরি যাওয়া নজিরবিহীন ঘটনা। এরই মাঝে চাকরি যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন মমতা, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।”

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    বালুরঘাটে (Balurghat) তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে চলছে প্রচার। প্রচারের ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় মাস্টার মশাইদের চাকরি গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগির মতো বিক্রি হয়েছে। তার ফল আজ এই পরিবারগুলোকে ভুগতে হচ্ছে। ২৬ হাজার পরিবার অথৈ জলে পড়ে গেল। ক্যাবিনেটের শীর্ষে থাকা মুখ্যমন্ত্রীকে (CM) এর দায় নিতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। তিনি এই পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে এবং পশ্চিমবঙ্গকে এই অন্ধকার থেকে বের করে আনতে হবে।”

    ব্রাত্য বসুর প্রতিক্রিয়া

    একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার সরকারি কর্মচারীর চাকরি গেল। যার মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। এর প্রভাব পড়বে ছাত্রদের পড়াশুনায়। প্রভাব পড়বে সমাজেও। স্বাভাবিক ভাবে চাপে শাসকদল। চাপে শিক্ষা দফতর। এরই মাঝে সুকান্তের (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি প্রতিক্রিয়া এসেছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। তিনি বলেছেন, “রায়ের কপি হাতে পাইনি। তবে রায়ের কপি হাতে পেলে আরও বিস্তৃতভাবে বলতে পারব। এসএসসির কর্তাদের সঙ্গে আমার প্রাথমিক কথা হয়েছে। তাঁদের দেওয়া রিপোর্ট থেকে আমি বলতে পারি প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। প্রায় ২৬ হাজার লোকের চাকরি গেল। অর্থাৎ যারা যোগ্য এরকম প্রায় ১৯ হাজারেরও চাকরি চলে গিয়েছে। অথচ এসএসসি কমিশনকে মাননীয় বিচারপতি বলছেন টেন্ডার প্রক্রিয়া ডেকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে। যে ওএমআর শিট আছে সেগুলো নতুন করে যাচাই করতে। আমরা আইনি পরামর্শ নেব যে আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারি কিনা। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে বলতে পারি প্রায় ১৯ হাজার জনের যদি চাকরি চলে যায়, তাহলে সেটা অত্যন্ত চিন্তার। যেভাবে বিজেপির নেতারা যোগ্য মানুষদের চাকরি যাওয়াতে আনন্দ প্রকাশ করছে সেটা সমাজের পক্ষে এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে খুবই বেদনার বলে আমরা মনে করি।”

    আরও পড়ুনঃ “বঞ্চিতদের ঠকিয়েছেন, লজ্জা থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত”, তোপ দাগলেন অভিজিৎ

    দিলীপ ঘোষের বক্তব্য

    এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে যে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছে এদিনের হাইকোর্টের রায়ের ফল তাতে সিলমোহর পড়ল। এই রায় ঐতিহাসিক বলেছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যে ঢাকি সমেত বিসর্জন ও দুর্নীতির কথা বলে আসছিলেন সেই তত্ত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে। এর প্রভাব পড়বে আসন্ন নির্বাচনেও। এত সংখ্যক চাকরি যাওয়ার ফল ভুগতে হবে তৃণমূলকে। এদিকে সুকান্তের পাশাপাশি, বর্ধমান দুর্গাপুরে প্রচার শেষে দিলীপ ঘোষ (Sukanta Majumdar) বলেন, “হাজার হাজার কোটি টাকা যাঁরা কামিয়েছেন দুর্নীতি করে, তাঁদের জেলে যেতে হবে। যে অন্যায় করেছেন তাঁদের ফল ভুগতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: কথা রাখল বিজেপি, দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন বিধায়ক

    Alipurduar: কথা রাখল বিজেপি, দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটে গেলে নেতারা ফিরেও চায় না। এরকম অভিযোগ অনেকে করে থাকেন। কিন্তু, ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরও যে দুর্গত মানুষের পাশে নেতারা থাকেন, তার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। বিজেপি বিধায়কের এই পদক্ষেপে খুশি দুর্গতরা।

    দুর্গতদের ত্রাণ বিলি করলেন বিজেপি বিধায়ক (Alipurduar)

    প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শুরুর আগে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভা এলাকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ের দাপটে বাড়ির টিনের চাল ফুটো হয়ে গিয়েছিল। ভেঙে পড়েছিল বাড়ি। কিন্তু, সে সময় নির্বাচনের বিধিনিষেধ থাকার কারণে বিজেপি বিধায়ক দুর্গতদের কাছে গেলেও ত্রাণ-সাহায্য করতে পারেননি। তবে, পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন। এবার ভোট মিটতেই দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দিলেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বিধ্বস্ত মানুষের পাশে সাহায্য নিয়ে গেলেন কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও।

    আরও পড়ুন: স্বস্তির বার্তা, তাপপ্রবাহের মধ্যেই তিন জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা, কী বলছে হাওয়া অফিস?

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) ভোট হয়ে যাওয়ার পর রবিবার কুমারগ্রামের রায়ডাক, খোয়ারডাঙা-১, ধনতলি টাপুতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সঙ্গে নিয়ে যান ত্রিপল ও শুকনো খাবার। যদিও দুর্যোগের খবর পেয়ে আগেই এলাকায় গিয়েছিলেন শাসকদলের তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। নির্বাচনী বিধিনিষেধ থাকায় তাঁকেও খালি হাতেই যেতে হয়েছিল। তবে আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন ভোট মিটলে যাবেন। কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলেন, আসলে ঝড়ে এলাকায় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমি নিজে গিয়ে দেখে এসেছিলাম। ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পর আমরা দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি।

    দুর্গতদের কী বক্তব্য?

    দুর্গতদের বক্তব্য, ঝড়ে বাড়ি-ঘর সব ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক নিজে নদী পেরিয়ে আমাদের কাছে ত্রাণ পৌছে দিয়েছেন। সকলের অভাব অভিযোগ শুনেছেন। আমরা এলাকার সমস্যার কথা জানিয়েছি। তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: ভোটের মুখে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বিজেপির পার্টি অফিস, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Durgapur: ভোটের মুখে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বিজেপির পার্টি অফিস, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের ১৩ মে ভোটগ্রহণ রয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে। এবার সেখানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্ধমান-দুর্গাপুরে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের সঙ্গে কড়া টক্করের পরে শেষ হাসি হাসতে পারেন বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সমীক্ষার রিপোর্ট বিজেপি কর্মীদের বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে। আর এই আবহের মধ্যেই এবার আগুনে পুড়ে গেল বিজেপির পার্টি অফিস। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের (Durgapur) এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের (Durgapur) বিধাননগরের পাম্প হাউস মোড়ের কাছে বিজেপির পার্টি অফিস রয়েছে। আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় ওই পার্টি অফিস। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশও আসে ঘটনাস্থলে। ভিড় জমান স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, পার্টি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় তৃণমূল কর্মীরা। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। আসলে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে হার নিশ্চিত জেনেই তৃণমূল সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করছে। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে। নিউ টাউনশিপ থানায় জানানো হয়েছে গোটা ঘটনাটি। যদিও দমকল কর্মীরা আগুন লাগার নিশ্চিত কারণ হিসেবে কিছু জানাতে পারেননি। যদি দুষ্কৃতীরা ধরা না পড়ে, তাহলে দল লাগাতার আন্দোলনে নামবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় টানটান উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার বিধাননগর এলাকায়।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বিজেপির আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, আসলে বিজেপির জনসমর্থন নেই। তাই, এসব করে তারা খবরের শিরোনামে আসতে চাইছে। এটুকু বলতে পারি, এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। এবার এই আসনে তৃণমূলের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। ফলে, অকারণে এসব আমরা করতে যাব না। তাছাড়া তৃণমূল এরকম নোংরা কাজ করে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূল নেতা হয়েও রেহাই পেলেন না পুলিশের কাছে, আমডাঙায় জুটল মার!

    TMC: তৃণমূল নেতা হয়েও রেহাই পেলেন না পুলিশের কাছে, আমডাঙায় জুটল মার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এদৃশ্য সচরাচর দেখা যায় না। শাসক দলের নেতাকে পেটাচ্ছে পুলিশ! তাও আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে। আমডাঙার (Amdanga) ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত ক্ষোভের আগুন জ্বলেছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের মারে হাত ভেঙেছে তৃণমূল নেতা মোস্তাক আহমেদ মন্ডলের। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ওঁই তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ ভৌমিক ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের সঙ্গে বিকেলে চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেই সময় পুলিশ আচমকা ওঁই তৃণমূল কর্মীকে মারতে শুরু করেছে। মোস্তাকের অবশ্য, অভিযোগ কোনও প্ররোচনা ছাড়াই পুলিশ মারধর করতে শুরু করে। আটকাতে গেলে আমাকেও লাঠিপেটা করা হয়। মারের চোটে হাত ভেঙে গিয়েছে। সেই অবস্থাতেই তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে আসা হয়।

    জাতীয় সড়ক অবরোধ

    ঘটনার খবর পেয়ে তৃণমূল নেতা মোস্তাকের অনুগামীরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। গভীর রাত পর্যন্ত টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। উত্তেজনা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে ক্ষোভ থামাতে ময়দানে নামেন ব্যরাকপুরের (Barrackpore) তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী পার্থ ভৌমিক।

    আরও পড়ুনঃ মনোনয়নে সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি! বিধিভঙ্গের অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কেন পুলিশ মারধর করল? জিজ্ঞেস করা হলে মোস্তাক বলেন, “আমার উপর পুলিশের কী কারণে রাগ আমি জানি না। যেভাবে ধরে মারল আমার কিছু বলার নেই। আমার সারা শরীরে লাঠির আঘাত করেছে। গোটা শরীরে যন্ত্রণা আছে।” অপরদিকে মোস্তাকের অনুগামীরা জানিয়েছেন, “স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংকে নিয়ে গোপনে মিটিং মিছিল করছেন। এই কাজের প্রতিবাদ করায় বিধায়কের নির্দেশে পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে।” যদিও রফিকুর রহমান অর্জুন সিংকে নিয়ে মিটিং করার কথা অস্বীকার করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Santipur: “বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী”, বললেন নির্যাতিতা

    Santipur: “বাড়িতে পুরুষ না থাকলে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে তৃণমূল কর্মী”, বললেন নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালির ছায়া শান্তিপুরে (Santipur)! রাতের অন্ধকারে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে একাধিক মহিলাকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। প্রশাসনকে একাধিকবার জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। অভিযুক্ত শাসকদলের মদত দিচ্ছে প্রশাসন, দাবি বিজেপি প্রার্থীর। রাত হলেই চরম আতঙ্কে ঘুম উড়েছে মহিলাদের। ঘটনাটি নদীয়ার শান্তিপুর থানার বাগআচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করমচাঁপুর এলাকার।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Santipur)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত হলেই ওই অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী প্রদীপ সরকার বিভিন্ন বাড়িতে (Santipur) ঢুকে পড়ছে। বাড়িতে ঢুকে মহিলারা যখন ঘুমিয়ে থাকছে তাদের গায়ে হাত দিচ্ছে। পাশাপাশি জানালা দিয়ে  উঁকি মেরে মহিলাদের দেখছেন ওই অভিযুক্ত। এর আগেও তারা প্রশাসনকে একাধিকবার বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু, প্রশাসন অভিযোগ হাতে পেলেও কোন কর্ণপাত করেনি। এক মহিলা বলেন, বাড়িতে পুরুষরা না থাকলেই ওই তৃণমূল কর্মী বাড়িতে এসে চড়াও হয়। মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করে। তৃণমূল করে বলে পুলিশও কোনও ব্যবস্থা নেয় না। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। এ বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা সনৎ সরকার বলেন, দিন কয়েক আগেও ওই অভিযুক্ত আমার বাড়িতে গিয়েছিল। রাতের অন্ধকারে আমার বাড়ির মহিলাদের ওপর হাত দেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রবিবার ওই এলাকায় যান রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ তথা এবারের প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তিনি এলাকার মহিলাদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানতে পারেন। এরপর ওই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে যাতে কঠোর শাস্তি হয় সেই আশ্বাস দেন তিনি।

    আরও পড়ুন: “গোর্খারা ন্যায় বিচার পাবে”, সভায় যেতে না পেরে ফোনে বার্তা দিলেন অমিত শাহ

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, এই অভিযুক্ত প্রদীপ সরকারের সঙ্গে শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের পুরোপুরি মদত রয়েছে। নাহলে বছরের পর বছর কীভাবে ওই তৃণমূল কর্মী এই কাজ করতে পারে। পাশাপাশি মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, এই সমস্ত অভিযুক্তদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুষে রেখেছে। তাঁর সাহসেই এরা দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। অবিলম্বে গ্রেফতার না করা হলে আগামীদিনে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।  এ বিষয়ে শান্তিপুর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক ব্রজ কিশোর গোস্বামী বলেন, মহিলাদের সঙ্গে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমিও চাই অভিযুক্ত গ্রেফতার করা হোক। তবে, এটাও বলব ওই পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত। তাহলে চাইলেই প্রধান এবং ওই গ্রামের পঞ্চায়েত বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হতে পারতেন। তবে, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rajnath Singh: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    Rajnath Singh: “বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই,” বিস্ফোরক রাজনাথ সিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর ঘোষের সমর্থনে জলঙ্গিতে জনসভা করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। তিনি বাংলায় তিনটি সভা করেন। প্রথম সভা মুর্শিদাবাদে। দ্বিতীয় সভা মালদা উত্তর এবং তৃতীয় জনসভা শিলিগুড়িতে। এদিন মুর্শিদাবাদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলকে তুলোধনা করেন।

    সন্দেশখালির ঘটনা মানবতার জন্য লজ্জার (Rajnath Singh)

    এদিন রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “বাংলা অরাজকতার পরিবেশ। বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। সন্দেশখালির যে ঘটনা তা মানবতার জন্য লজ্জার। এই বাংলায় শিক্ষা, রেশন, আবাস যোজনায়, চাকরি ক্ষেত্রে সর্বত্র দুর্নীতি। এখানে মমতাদি গরিবকে আবাস যোজনা দেওয়ার কথা বলছেন, কিন্তু আবাস যোজনা ক্ষেত্রেও ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে।  মমতাজি পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে লালসা দেখাচ্ছেন। কিন্তু, আপনি বাংলার মানুষক কেন্দ্রের আয়ুষ্মান প্রকল্প চালু করতে দেননি, যেখানে গরিব মানুষ ৫ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন। মমতাদি, আপনার পাপের ঘড়া ভরে গিয়েছে, এবার আপনার পতন। আপনি যতই মানুষকে ভুল বোঝান না কেন মানুষ আপনার এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনবে না।”

    আরও পড়ুন: “গোর্খারা ন্যায় বিচার পাবে”, সভায় যেতে না পেরে ফোনে বার্তা দিলেন অমিত শাহ

    নাগরিকত্ব আইন কার্যকরী হবে

    রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, “আমাদের সরকার বাংলায় ইন্ডাস্ট্রি রিসোর্ট বানানোর জন্য পয়সা দিয়েছে, চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার সেন্টারের জন্য পয়সা দিয়েছে, সত্যজিৎ এওয়ার্ড ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন সেন্টারের জন্য পয়সা দেওয়া হয়েছে, সেই পয়সা কোথায় গেল?” তিনি আরো বলেন, “২০২২ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর আমাদের প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এসে বন্দে মাতরম ট্রেন উদ্বোধন করেন। সেই দিনই ৭৮০০ কোটি টাকার যোজনার শিলান্যাস করেন। প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন করার জন্য অন্তর থেকে তৈরি আছেন। কিন্তু, মমতাদির এ বিষয়ে কোনও চিন্তা নেই।” রাজনাথ সিং এই জনসভা থেকে মমতাদির উদ্দেশ্যে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যদি কাউকে বিশ্বাস করে তিনি হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজি। তাঁকে সকলেই ভালোবাসেন এবং সম্মান করেন।” তিনি বলেন, “আমরা বলেছিলাম ধর্মের কারণে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে যাদের হেনস্তা করা হয়েছে, সারা ভারতে এলে এক নাগরিকত্ব আইন করে দেওয়া হবে। আর মমতাদি, আপনি বলছেন আমি পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকত্ব আইন করতে দেব না।” এরপর জনসভা থেকে হুংকার দিয়ে তিনি বলেন, “মমতাদি ভারতীয় জনতা পার্টি পশ্চিমবঙ্গে আসছে। নাগরিকত্ব আইন এই পশ্চিমবঙ্গে কার্যকরী করবই । দুনিয়ায় এমন কোনও শক্তি নেই এই নাগরিকত্ব আইন করতে বাধা দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: ভোটের মুখে সৌমেন্দুর মিছিলে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল, শোরগোল

    BJP: ভোটের মুখে সৌমেন্দুর মিছিলে হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে রাজ্যের একাধিক লোকসভা এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ করছে বিরোধীরা। বিরোধীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বিজেপি (BJP) প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী মিছিলে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী  ঘটনা ঘটেছে? (BJP)

    শনিবার কাঁথির বিজেপি (BJP) প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল কাঁথির ভাজাচাউলি অঞ্চলের সরপাই বাজারে। তিনি মিছিল করে যাওয়ার পথে ভাজাচাউলি অঞ্চলের পশ্চিম সরপাইতে কাঠপুলের কাছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা র‍্যালির ওপর পাথর ছোড়ে এবং হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এই হামলায় দুই বিজেপি নেতা গুরুতর আহত হন। একজনের চোখে গুরুতর আঘাত লাগে এবং অন্যজনের মাথায় আঘাত লাগে বলে খবর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত দুজন হলেন সূর্যকমল বাগ এবং শম্ভু পাল। আহতদের অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা খড়িপুকুরিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী, উত্তর কাঁথির বিধায়িকা সুমিতা সিনহা, কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল, বিজেপি নেতা কনিষ্ক পন্ডা আক্রান্ত দলীয় নেতৃত্বদের দেখতে খড়িপুকুরিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে রাতেই পৌঁছে যান। পরে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য তমলুকে পাঠানো হয়।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানকে দেখেও শিক্ষা হয়নি, রেখার সভায় তৃণমূলের “দাদাগিরি”!

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এ প্রসঙ্গে বিজেপির (BJP) কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের হার্মাদ ও দুষ্কৃতীরা বুঝে গিয়েছে ওদের দিন অতিক্রান্ত। মানুষের মধ্যে জাগরণ ঘটেছে, মানুষের হৃদয়ে আছে পদ্ম প্রতীক, তাই সেই স্বতঃস্ফূর্ততাকে কখনও ভয় দেখিয়ে, হামলা করে আটকানো যাবে না।” পালটা কাঁথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি পন্ডা বলেন, “এই হামলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তৃণমূল শান্তিতে বিশ্বাস করে। গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এটি বিজেপির আদি-নব্যের লড়াই। ভোটের মুখে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে ভোটের ময়দানে জমি পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: সৌজন্যতা দেখালেন দিলীপ-মমতাজ, বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলার রাজনীতি

    Lok Sabha Election 2024: সৌজন্যতা দেখালেন দিলীপ-মমতাজ, বিরল ঘটনার সাক্ষী থাকল বাংলার রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক নেতা মানেই প্রতিপক্ষকে সব সময় আক্রমণ করতে, এমন নয়। বরং, বিরোধী বা শাসক দলের কেউ আক্রান্ত বা অসহায় অবস্থায় থাকলে তাঁর পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার সৌজন্যতা দেখানো একজন রাজনৈতিক নেতার কর্তব্য। যা বর্তমানে উধাও।  এই ভোট (Lok Sabha Election 2024) প্রচারের ফাঁকে এমনই রাজনৈতিক সৌজন্যের ছবি ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানে। নজির গড়লেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। শাসক দলের জখম কর্মীর প্রতি তাঁর সৌজন্যতা দেখে শাসক দলের কর্মীরাও মুগ্ধ। প্রশংসা কুড়ালেন সকলের।

    জখম তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতালে দেখতে গেলেন দিলীপ (Lok Sabha Election 2024)

    স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ১০ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে স্বপন মল্লিক নামে এক তৃণমূল কর্মী জখম হন। দলের অন্য গোষ্ঠীর হাতে তিনি গুরুতর জখম হন। তিনি এখন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। স্বপনকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে দিলীপ বলেন, “চুরি বা যে কোনও অন্যায় দেখে প্রতিবাদ করলেই তৃণমূল নেতারা আক্রমণ করছে। তাতে তৃণমূল কর্মীরাও রেহাই পাচ্ছেন না। বিধায়ক গোষ্ঠীর লোকজন ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট করেছে। স্বপন তার প্রতিবাদ করেছিলেন। তাই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা স্বপনের পরিবারের পাশে আছি। ওঁরা খুবই গরিব। যতটা পারলাম সাহায্য করেছি। আগামীদিনেও আমরা সাহায্য করব।” তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “দিলীপ ঘোষ ভোটে (Lok Sabha Election 2024) দাঁড়িয়েছেন। তাই, সহানুভূতি আদায়ের জন্য হাসপাতালে গিয়েছেন।”

    অধীর বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীদের দুষলেন বিধায়ক

    সৌজন্যের রাজনীতির নজির গড়লেন মুর্শিদাবাদের নওদার তৃণমূল বিধায়ক শাহিনা মমতাজ। বিপক্ষ দলের প্রার্থীর প্রতি ‘অভব্য’ আচরণের ঘটনায় প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিলেন নিজেরই দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, শনিবার বেলার দিকে শাহিনার বিধানসভা নওদা এলাকায় প্রচারে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। তাঁর উদ্দেশে গো ব্যাক স্লোগানও দেন শাসকদলের লোকেরা। যা ঘিরে উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিকেলে সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন শাহিনা। দলীয় কর্মীদের আচরণ সমর্থন না করে বিধায়ক বলেন, “যা হয়েছে, সেটা অসভ্যতা এবং নোংরামি এমন কাজকে মোটেই সমর্থন করছি না। বিরোধী দলের প্রার্থী হিসাবে অধীরের অধিকার রয়েছে প্রচার করার। কেন নোংরামো করবে? এই ধরনের নোংরামো একদমই ঠিক নয়।” ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহে শনিবার মমতাজ ও দিলীপের এমনই’সৌজন্য-রাজনীতি’র সাক্ষী থাকল পশ্চিমবঙ্গ। সাম্প্রতিককালে রাজ্য-রাজনীতিতে যা বিরল বলেই মনে করছেনঅনেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: শাহজাহানকে দেখেও শিক্ষা হয়নি, রেখার সভায় তৃণমূলের “দাদাগিরি”!

    Basirhat: শাহজাহানকে দেখেও শিক্ষা হয়নি, রেখার সভায় তৃণমূলের “দাদাগিরি”!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে ইডির ওপর হামলার করার শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর কী হাল হয়েছে তা রাজ্যের মানুষ দেখেছেন। জেল বন্দি শাহজাহানের অবস্থা দেখেও শিক্ষা নেয়নি তৃণমূল নেতারা। এবার বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের প্রচারের সময় তৃণমূলের একাংশের দাদাগিরির অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হিঙ্গলগঞ্জের কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Basirhat)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় হিঙ্গলগঞ্জের (Basirhat) কালীনগর এলাকায় বিজেপি প্রার্থী তথা সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্রর সমর্থনে একটি সভা ছিল। সেই সময়েই তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দলবল নিয়ে সভাস্থলে একপ্রকার ‘দাদাগিরি’ দেখান বলে অভিযোগ। সভাস্থলের যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে বেশ কিছু তপ্ত বাক্য বিনিময় ধরা পড়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বলেন, ‘হয়ত তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী ভয় পেয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীর কাজ এটাই। তারা এটাই করে এসেছে। আজ বসিরহাটের মানুষ এককাট্টা হয়েছেন দেখে, তারা ভয় পাচ্ছে। তারা এতদিন মানুষের ওপর অত্যাচার করে এসেছে। সেই নেশাটাই তো ছাড়তে পারছে না। ওরা চাইছে বিজেপি যেখানে যেখানে সভা করবে, সেখানে সেখানে গিয়ে ভয় দেখাবে ওরা। এসব করে কোনও লাভ হবে না।’

    আরও পড়ুন: ‘‘সামনের সপ্তাহে বোমা পড়তে চলেছে, বেসামাল হবে তৃণমূল’’, কী ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও বসিরহাটের (Basirhat) বিজেপি প্রার্থীর এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের বসিরহাট শহর কমিটির সভাপতি অভিজিৎ ঘোষের কথায়, ‘এর কতটা সত্যতা আছে, সে বিষয়ে নিশ্চয়ই তাদের হাতে তথ্য আছে। রেখা পাত্র পায়ের তলায় রাজনৈতিক জমি খুঁজে পাচ্ছেন না। শুধু সন্দেশখালি থেকেই তৃণমূল ৩০-৩৫ হাজার ভোটে এগিয়ে থাকবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: “দেখে না দল, ১০ টাকা দিয়ে সাহায্যও করেনি”, সুব্রত বক্সির সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

    Arambagh: “দেখে না দল, ১০ টাকা দিয়ে সাহায্যও করেনি”, সুব্রত বক্সির সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিরুদ্ধে দলের নেতা কর্মীরা সরব হয়েছিলেন। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। প্রার্থী বদল করে আরামবাগে (Arambagh) তৃণমূল আসন ধরে রাখার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে।  প্রাক্তন সাংসদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আঁচ মিটতে না মিটতেই তৃণমূলের আসল চেহারা ফের প্রকাশ্যে চলে এল। দলেরই কর্মীরা তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। দল করে ঘরছাড়া হতে হয়েছে। স্বজনহারা হতে হয়েছে। চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও মেলেনি কিছুই। আর তাতেই ক্ষোভ ফুঁসছেন তৃণমূলের শহিদ পরিবারের সদস্যরা। আর তৃণমূলের শীর্ষনেতা সুব্রত বক্সির সামনেই তুমুল বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলের শহিদ পরিবার। আর ভোটের মুখে এই ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল।

    সুব্রত বক্সির সামনেই বিক্ষোভ (Arambagh)

    শনিবার আরামবাগে (Arambagh) এসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগ ও তৃণমূলের শীর্ষনেতা সুব্রত বক্সি। আর তাঁকে দেখে দরজার বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভে ফেটে পড়েন গোঘাটের ছয় শহিদ পরিবারের লোকজন। ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি করেন তাঁরা। অভিযোগ, তাঁদের কথা কেউ শোনেননি। তাঁদের ভিতরেও যেতে দেওয়া হয়নি। প্রতিশ্রুতি মতো এই ছয় পরিবারের কাউকেই চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। অথচ তাঁদের বলা হয়েছে চাকরি হয়ে গিয়েছে। বিক্ষোভরত এক ব্যক্তি বলেন, “২০১১ সালে ক্ষমতায় এসেছে। ২০২৪ সাল হয়ে গেল দল দেখে না। আমাদের ১০টাকা দিয়েও দল সাহায্য করেনি। আমরা কী অপরাধ করেছি।” তবে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, “শহিদ পরিবারগুলির সঙ্গে সুব্রত বক্সি কথা বলেছেন। তাই তিনি বলার পর আমি আর কিছু বলব না।”

    আরও পড়ুন: সৌগতর সমর্থনে শহর তৃণমূলের মিছিল, গরহাজির প্রার্থী, বিধায়ক, পুর চেয়ারম্যান, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বস্তুত, সালটা ২০০৬। অভিযোগ, তৎকালীন বাম আমলে সিপিএমের দ্বারা অত্যাচারিত হয়, এই ছয় পরিবারের লোকজন। দল করতে গিয়ে শহিদ হয়েছে। বিগত বারো বছর ধরে ঘর ছাড়া ছিলেন তাঁরা। বার বার তৃণমূলের ওপরমহলে গিয়েও কোনও সুবিচার পাননি বলে দাবি ওই সকল পরিবারগুলির। শনিবার দুপুরে আরামবাগের (Arambagh) রবীন্দ্র ভবনে পৌঁছন সুব্রত বক্সি। এরপরই এই ছয় পরিবারের লোকজন সোজা হাজির হয়ে যান। কিন্তু, তাঁদের ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। কেউ কোনও কথা শুনতে চাননি। এরপরই তাঁরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share