Tag: tmc

tmc

  • Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ। জয় শ্রীরাম বলার জন্য কনভয় থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরে এক যুবকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই তৃণমূল দলের নেতাদের গলায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি। সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিন তৃণমূলের নেতাদের রাম নাম জপতে দেখে বালুরঘাটবাসী হাসাহাসি করছেন।

    তৃণমূল নেতাদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, জয় শ্রীরাম স্লোগান (Ram Navami 2024)

    বুধবার সকাল সকাল গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে বালুরঘাট পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, এমসিআইসি বিপুল ঘোষ এবং টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডল রাম নবমীর (Ram Navami 2024)  মিছিলে হাঁটেন। শহরের মানুষ সকালে এই দৃশ্য দেখে কিছুটা চমকে ওঠেন। অনেককে বলতে শোনা যায়, ভেবেছিলাম তৃণমূল নেতারা দল বদল করল না তো। পরে, দেখি তৃণমূলে থেকেই রাম নাম জপছেন। কারণ, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি সাধারণত বিজেপি  কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়। আজ রাম নবমী উপলক্ষে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের বালুরঘাট শহরের শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় এবং মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেখে অবাক বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    ভূতের মুখে রাম নাম, কটাক্ষ সুকান্তর

    রাম নবমী উপলক্ষে রাম নবমী উদযাপন কমিটির মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিল থেকে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তৃণমূলের এ হেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বেড়াল ঠেলায় না পড়লে গাছে ওঠে না। আগে রাম নবমীতে ছুটি ছিল না। এখন তৃণমূল নেত্রী রাম নবমীতে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এই বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় মাদার টেরেসার মূর্তি বসিয়ে এলাকার নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। আজ তারাই রাম নাম বলছে। এটা কিছুটা ভূতের মুখে রাম নামের মতো শুনতে লাগলেও লক্ষণ ভালো।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এটা তৃণমূলের কোনও শোভাযাত্রা না। এই শোভাযাত্রাটা সাধারণ মানুষ করেছিল, সেখানে তৃণমূলের কিছু নেতা হেঁটেছেন। জয় শ্রীরাম তাঁরা বলেননি। তৃণমূল এর সঙ্গে যুক্ত নয়। মানুষ এর উত্তর ভোটের ব্যালট বক্সে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Vote 2024), তার আগেই এবার দল থেকে ভাঙড়ের (Bhangar) দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলামকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। ফলে এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে (Arabul Islam) ছাড়াই ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিল দল। ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক বা কনভেনর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। দাপুটে এই তৃণমূল নেতা যে ব্লক তৃণমূলের কোনও পদে আর নেই, সে কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। আরাবুল জেল বন্দি থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন ভাঙড়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা।

    শওকত মোল্লার বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) বলেছেন, “আরাবুল ইসলামকে দলের কনভেনার করেছিলাম। এখন তিনি জেলে, তাই দলের দায়িত্ব আমার কাঁধে নিয়ে ও ভাঙড়ের যাঁরা তৃণমূলের (TMC) নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব দিয়েই আমরা এই নির্বাচনে লড়াই করব। এখন আরাবুলের দলের কোনও পদ নেই। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রয়েছেন। আমি আশা করি তিনি ভবিষ্যতে দলের অনুগত সদস্য হয়েই কাজ করবেন। আর যদি তা না করেন পরবর্তী পদক্ষেপ দল থেকে নেওয়া হবে।”

    বর্তমানে জেলে আরাবুল

    আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার করে কাশীপুর (উত্তর) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে ভাঙড়, পোলেরহাট থানা এলাকায় অশান্তিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে আরাবুলের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন তোলাবাজি ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুনঃ “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    জেল থেকে নির্বাচনে লড়ে ছিলেন

    উল্লেখ্য, তৃণমূলের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন আরাবুল। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকেটে ভাঙড়ের (Bhangar) বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তারপরেই তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা সহ-সভাপতি থেকেছেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরাবুল। সেই সময়ে জেল থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেবারের নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। তারপর তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পরবর্তী সময় তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার পরেই এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024। ভোটের প্রাক্কালে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট আসানসোলের (Asansol) রাজনৈতিক মঞ্চ। এরই মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পোস্টারে লেখা “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”। প্রার্থী নাকি নিখোঁজ! তাঁকে দেখা কিংবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে (Asansol)?

    ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। আসানসোলের (Asansol) এই কেন্দ্রে বর্ষীয়ান নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়াকে (S. S. Ahluwalia) প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি এই কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। অন্ডাল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার এবং লিফলেট। তাতে লেখা, “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই, মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা মহাশয়কে দীর্ঘকাল যাবৎ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে পান আমাদের জানাবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কেন অন্ডাল এলাকায় এই ধরনের পোস্টার? এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, ২০২২ সালে সেই জায়গা পূরণ করার জন্য হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ভয়ানক ভয়ভীতির পরিবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা, শাসক দলের হয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তাই হয়তো এবারও ভোট দিলে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। মানুষের কাছে এই বার্তা দিতেই এই পোস্টার দিয়েছেন এলাকার মানুষ।”

    আরও পড়ুনঃ দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে বলেন, “বিজেপি আসানসোলের প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না। বর্তমানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছে, তিনিই দুর্গাপুরে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল দুর্গাপুর শহর অঞ্চল জুড়ে। বিজেপির কিছু নেই বলেই এই ধরনের কুৎসা ছড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের কথা শুনছে না পুলিশ! ওসি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে কমিশনে যাচ্ছেন বিধায়ক

    Murshidabad: তৃণমূলের কথা শুনছে না পুলিশ! ওসি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে কমিশনে যাচ্ছেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদাধিকার বলে পুলিশ মন্ত্রীও। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। ভোটের মুখে পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের বিধায়কের সরব হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ তৃণমূলের কথা না শুনলেই নেতারা মেনে নিতে পারছে না। আসলে মানুষ সরে গিয়েছে। এবার দলদাস পুলিশও তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী পাকুড় স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করে পুলিশ। কয়েক জন শ্রমিককে ট্রেনে তুলে দিয়ে দোগাছি সাকারঘাট ডিবিএসের রাস্তা দিয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী ইউসুফ শেখ। ইউসুফ শ্রমিকদের বিভিন্ন জায়গায় কাজে পাঠানোর কাজ করেন। অর্থাৎ, লেবার কন্ট্রাক্টর। তাঁকে ওই দিন সামশেরগঞ্জ থানার এএসআই-এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ‘তুচ্ছ কারণে’ হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। এক পুলিশ আধিকারিক এবং থানার গাড়ির চালক এবং চার সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বিধায়ক?

    এই ঘটনার পর পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে পুলিশ বেধড়ক মারে। মারের চোটে ওই যুবকের চোখের পাশে এবং শরীরের নানা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসলে সরকারি বিরোধী কাজ করছেন ওসি প্রশান্ত ঘোষ। সমাজবিরোধীদের মদত দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করব।

    পুলিশ-প্রশাসন কী সাফাই দিয়েছে?

    বিধায়ক আমিরুল এবং আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে শামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ইউসুফ শেখ নামে ওই ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় মোটর বাইক চালাচ্ছিলেন। পুলিশকে দেখে অযথা ‘পাসিং লাইট’ দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের গাড়ির চালককে গালাগাল করেন। পুলিশের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তার পরেই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: “দলীয় প্রার্থীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হল”, বললেন বিজেপি নেতা

    Jhargram: “দলীয় প্রার্থীকে গাড়ি থেকে নামিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হল”, বললেন বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বিজেপি প্রার্থীর কনভয় থামিয়ে তাঁকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া অঞ্চলের কাঠুয়াপালে ওই ঘটনায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রথমে তাঁকে সাঁকরাইলের ভাঙাগড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে, ঝাড়গ্রাম মেডিক্যালে রেফার করা হয়। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jhargram)

    মঙ্গলবার সাঁকরাইল ব্লকের (Jhargram) বিভিন্ন এলাকায় প্রচার ছিল বিজেপি প্রার্থীর। দুপুরে রোহিণী মন্দিরে পুজো দিয়ে কাঠুয়াপাল গ্রামে যাচ্ছিলেন প্রণত। সেখানে এক কর্মীর বাড়িতে দুপুরের খাওয়ার আয়োজন ছিল। অভিযোগ, তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা ফাটানো হয়। এরপরই তৃণমূলের রগড়া অঞ্চল সভাপতি পঞ্চানন দাসের নেতৃত্বে তৃণমূলের লোকজন তেড়ে এসে প্রণতের গাড়ি থামান বলে দাবি। তাঁর সঙ্গী, জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত রায়ের দাবি, “আচমকা তৃণমূলের পতাকা নিয়ে কিছু লোক প্রার্থীর কনভয় থামিয়ে গালিগালাজ শুরু করে। ওই পথ দিয়ে যাওয়া চলবে না বলে ফতোয়া দেয়। এরপর প্রণতবাবুকে কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে কিল, চড়, ঘুসি মারা হয়। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারা হল। তাঁর বুকে আঘাত করা হয়।” বিজেপি কর্মীরা প্রণতকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে তাঁদের লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ইটের আঘাতে এক পুলিশকর্মী জখম হন। জয়ন্তের অভিযোগ, “তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। যে কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা ছিল, সেখানেও তৃণমূলের লোকজন বাধা দেয়।” প্রতিবাদে কাঠুয়াপালের রাস্তায় কিছুক্ষণ অবস্থান-বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। পরে, সাঁকরাইল থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের পাঁচ মাথা মোড় সহ একাধিক জায়গায় অবরোধ চলে। রাতে সাঁকরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাত। অভিযোগপত্রে তুফান জানিয়েছেন, হামলাকারীরা প্রণতকে জাত তুলে গালিগালাজ করেছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের রগড়া অঞ্চল সভাপতি পঞ্চানন দাস বলেন, “ওই এলাকায় ওদের পতাকা ধরার লোক নেই। বাইরের লোকজন নিয়ে অশান্তি করেছে।’ জেলা তৃণমূলের সধারণ সম্পাদক অজিত মাহাত বলেন, এলাকায় বিজেপির কোনও চিহ্ন নেই। ভোট পাবে না বলে এসব নাটক করেছেন প্রার্থী। যাতে প্রচারের আলোয় আসেন।

    জেলা প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলছেন, “ঘটনাটি জেনে ওই এলাকায় ফ্লাইং সার্ভিলেন্স স্কোয়াড পাঠানো হয়। পুলিশের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।” তবে ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nisith Pramanik: ভোটের মুখে নিশীথের কনভয় থামিয়ে পুলিশের তল্লাশি, তৃণমূলের ষড়যন্ত্র দেখছে বিজেপি

    Nisith Pramanik: ভোটের মুখে নিশীথের কনভয় থামিয়ে পুলিশের তল্লাশি, তৃণমূলের ষড়যন্ত্র দেখছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃণমূলকে তুলোধনা করলেন। দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক দলকে কড়া আক্রমণ করলেন। মোদির সফরের দিনই তাঁর ক্যাবিনেটের গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী তথা কোচবিহারের (Cooch Behar) বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় থামিয়ে পুলিশ দিয়ে তল্লাশির নামে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের মুখে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    এদিন নিশীথ প্রামাণিক বাড়ি থেকে বেরিয়ে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিকে যাচ্ছিলেন। মাঝপথে তাঁর কনভয় আটকানো হয়। তল্লাশিতে বাধা দেন নিশীথের নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা জানান, নিশীথ প্রামাণিক একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তাঁর গাড়িতে এভাবে তল্লাশি চালানো যায় না। সে কথা না শুনে পুলিশ তল্লাশি শুরু করলে গাড়ি থেকে নেমে আসেন নিশীথ। নিশীথ প্রামাণিক দাবি করেন, কনভয় আটকে এভাবে তল্লাশি চালানো যায় কি না, সেই গাইডলাইন আনতে হবে, তবেই অনুমতি দেবেন তিনি। কারণ, গাইড লাইন ছাড়া অনুমতি দেওয়া হবে না। পুলিশ কথা শুনতে রাজি হননি। ফলে, বচসা বেধে যায়। বিজেপি প্রার্থী তল্লাশিতে তীব্র আপত্তি জানান। যদিও পুলিশের দাবি, এটা রুটিন তল্লাশি ছাড়া আর কিছু নয়।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    কী কারণে এই তল্লাশি চালানো হল, তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ। শুধু জানানো হয়েছে, এটা রুটিন তল্লাশি। উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বেহালার ফ্লাইং ক্লাবে যখন অভিষেকের হেলিকপ্টারের ট্রায়াল রান চলছিল, সেই সময় তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এই ইস্যুতে আয়কর দফতরের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক। তা নিয়ে জলঘোলা হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, এমনিতেই তৃণমূল থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মোদি কোচবিহারে এসে ঝড় তুলে গিয়েছেন। এবার ভোটের ঠিক আগেই এভাবে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করে দলীয় প্রার্থীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Primary Recruitment Case: টেট অকৃতকার্যদের কাছে টাকা নিয়ে চাকরি দিত তাপস-কুন্তল! রিপোর্ট সিবিআইয়ের

    Primary Recruitment Case: টেট অকৃতকার্যদের কাছে টাকা নিয়ে চাকরি দিত তাপস-কুন্তল! রিপোর্ট সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেট পরীক্ষা (Primary Recruitment Case) দিয়েই চাকরিপ্রার্থীদের অনেকেই যোগাযোগ করতেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলের সঙ্গে। চাহিদা মতো টাকা দেওয়ার পরে পাশ করা প্রার্থিতালিকায় নাম উঠে যেত তাঁদের। ইন্টারভিউয়ে ডাকও পেতেন। এঁদের মধ্যে অনেকে চাকরিও পেয়েছিলেন।

    সিবিআইয়ের দাবি (Primary Recruitment Case)

    সিবিআইয়ের দাবি, জাল ওয়েবসাইট খুলে চলত জালিয়াতি। সেখানেই নাম দেখতে পেতেন কুন্তল-তাপসকে টাকা দেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এমনই রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কীভাবে দুর্নীতি হয়েছিল, এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বেঞ্চে জমা পড়েছে সেই সংক্রান্ত তদন্ত রিপোর্ট। রিপোর্টের সঙ্গে পেশ (Primary Recruitment Case) করা হয়েছে চার্জশিটের কপিও। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কুন্তল ও তাপসের মধ্যে গড়ে উঠেছিল অশুভ আঁতাত। এঁরাই অবৈধভাবে চাকরি পাইয়ে দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ রোজগারের চক্র তৈরি করেছিলেন।

    জালিয়াতি কারবার!

    রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাপসের কয়েকজন সাব এজেন্ট ছিলেন। তাঁদের মাধ্যমে মূলত টিচার্স ট্রেনিং কলেজের মালিকদের কাছ থেকে টাকা তোলা হত। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কুন্তল ও তাপস কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন বলেও দাবি সিবিআইয়ের। ২০১৬ থেকে ২২ এই ছ’বছরে আটজন এজেন্টের মাধ্যমে তাপস সংগ্রহ করেছিলেন ৪ কোটি ১২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা। কুন্তলকে দিয়েছিলেন ৫ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। সিবিআইয়ের দাবি, প্রায় একইভাবে তিনজন এজেন্টের মাধ্যমে কুন্তল তুলেছিলেন ৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। সিবিআই জানিয়েছে, কুন্তল-তাপসের তৈরি জাল ওয়েবসাইটটি ছিল অবিকল আসলের মতো। নকল ওয়েবসাইটটি হল, www,wbtetresults.com। বেআইনিভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, ভুয়ো ই-মেইল আইডি থেকে মেইল পাঠিয়ে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডেকে পাঠানো হত তাঁদের।

    আরও পড়ুুন: “অনুপ্রবেশকারী ও অপরাধীদের কাছে বাংলাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক মোদি

    কুন্তল ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা। গ্রেফতার হওয়ার পরেই অবশ্য তাঁকে ছেঁটে ফেলে দল। করা হয় বহিষ্কার। যে তাপসের সঙ্গে তাঁর অশুভ আঁতাত, সেই তাপসই বছরখানেক আগে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, তৃণমূল সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন কুন্তল। সেই টাকা তিনি খাটাচ্ছেন হাওলায় (Primary Recruitment Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: “অনুপ্রবেশকারী ও অপরাধীদের কাছে বাংলাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক মোদি

    Narendra Modi: “অনুপ্রবেশকারী ও অপরাধীদের কাছে বাংলাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে তৃণমূল”, বিস্ফোরক মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল অনুপ্রবেশকারী ও অপরাধীদের কাছে বাংলাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে।” মঙ্গলবার বালুরঘাটের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলকে এই ভাষাতেই কড়া আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) । তিনি বলেন, “শিক্ষক নিয়োগেও দুর্নীতি হচ্ছে। মন্ত্রীদের বাড়িতে তল্লাশি চললে কোটি টাকা উদ্ধার হয়, এজেন্সির ওপর হামলা হচ্ছে। তৃণমূল একপ্রকার বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের প্রশ্রয় দেয়। সিএএ-র বিরোধিতা করে। ওদের প্ররোচনায় কান দেবেন না। পদ্মফুলে ভোট দিয়ে তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দিতে হবে। সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছে, তাতে গোটা দেশ স্তম্ভিত। তৃণমূল কীভাবে সন্দেশখালির অপরাধীদের বাঁচানোর শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছে, সেটাও দেশ দেখেছে।”

    দণ্ডিকাণ্ড নিয়ে তৃণমূলকে তোপ মোদির (Narendra Modi)

    বালুরঘাটে ১৫ শতাংশ আদিবাসী ভোট রয়েছে। সেই সঙ্গে তফসিলি জাতির ভোট প্রায় ২৭ শতাংশ। মোদি বক্তৃতার শুরু থেকেই স্থানীয় আবেগ ছুঁতে চান। বাংলায় শুরু করা বক্তৃতায় দক্ষিণ দিনাজপুরের স্থানীয় দেবী বোল্লা কালীর নাম উল্লেখ করেন তিনি। এর পরে দলের ইস্তাহার নিয়ে কিছুক্ষণ বলার পরেই মোদি দলিত, আদিবাসীদের সম্পর্কে বিজেপির ভাবনা বলতে শুরু করেন। একই সঙ্গে আক্রমণ শানান তৃণমূলকে। মোদি (Narendra Modi) বলেন, “এই বালুরঘাটে তিন আদিবাসী মহিলা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল, তৃণমূল দণ্ডি কাটিয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছিল। দলিত, আদিবাসীরা নিজের মর্জির মালিক হতে পারে, বাম-তৃণমূলের সরকার তা চায় না। সীমান্তবর্তী এলাকা, যেখানে দলিত আদিবাসী বেশি, তাঁদের জেনে বুঝে উন্নয়নের থেকে দূরে রেখেছে। ভালো হাসপাতাল, রোজগারের উন্নয়ন হতে দেয়নি। এখানকার যুবকদের কাজের খোঁজে বাইরে যেতে হয়।”

    আরও পড়ুন: মমতার আসল এজেন্ডা ঠিক কী, খোলসা করলেন শুভেন্দু, কী বললেন তিনি?

    বালুরঘাটের অনুন্নয়ন নিয়ে সরব হলেন মোদি

    এদিন মোদি (Narendra Modi) বলেন, “বিজেপি বালুরঘাট ও বাংলার বিকাশের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। বালুরঘাট স্টেশনে অমৃত ভারত স্টেশন হিসাবে বিকশিত করছে। জানুয়ারিতে এনডিএ সরকার শিয়ালদার সঙ্গে জুড়ে একটা নতুন ট্রেন শুরু করেছে। ভাতিন্ডা থেকে মালদা পর্যন্ত ট্রেনকেও বালুরঘাটের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। বালুরঘাট এয়ারপোর্টের জন্যও প্রচুর চেষ্টা করেছে। কিন্তু, এখানকার তৃণমূল সরকারের ইচ্ছাই নেই, এখানে বিমানবন্দর হোক। ছোট ব্যবসায়ী, কারিগরদের বিকাশের জন্য ১৩ হাজার কোটি টাকায় বিশ্বকর্মা যোজনা চালু করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে মাত দিতে বিজেপির বাজি শ্রমিক নেতা অভিজিৎ দাস

    Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেককে মাত দিতে বিজেপির বাজি শ্রমিক নেতা অভিজিৎ দাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) সর্বশেষ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল বিজেপি। এই প্রার্থী লড়বেন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে। বাংলায় লোকসভা আসন রয়েছে ৪২টি। ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে ৪১টি কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম। মঙ্গলবার অন্নপূর্ণা পুজোর পুণ্যলগ্নে ঘোষণা করা হল ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থীর নাম।

    রণাঙ্গনে অভিজিৎ-অভিষেক (Lok Sabha Election 2024)

    অভিজিৎ দাস ওরফ ববিই লড়বেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। অভিজিৎ বিজেপির শ্রমিক নেতা। রাজনীতিতে তিনি নতুন মুখ নন। ২০১৪ সালেও ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে পদ্ম-প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। সেবার অবশ্য হেরে গিয়েছিলেন। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে ‘ভাইপো’কে মাত দিতে প্রার্থী বদল করে বিজেপি। সেবার প্রার্থী হন নীলাঞ্জন রায়। এবার ফের শ্রমিক নেতা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রাক্তন জেলা সভাপতির ওপরই আস্থা রাখলেন বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা (Lok Sabha Election 2024)।

    শিক্ষাগত যোগ্যতা

    শিক্ষাগত যোগ্যতায় বিরোধী প্রার্থীদের অনেকের চেয়ে ঢের এগিয়ে অভিজিৎ। এমএসসি পাশ করার পর করেছেন এলএলবি। আরএসএসের জেলা প্রচার প্রমুখও ছিলেন তিনি। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “অভিজিৎ দাস ওরফে ববি আমাদের বহুদিনের সংগঠক। ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন সংগ্রাম করে লড়ে চলেছেন তিনি। এমন ভাবার কোনও কারণ নেই যে আমরা কমজোরি প্রার্থী বা কম ওজনের প্রার্থী দিয়েছি।“

    আরও পড়ুুন: “দেশকে কালো টাকার দিকে ঠেলে দেওয়া হল”, বললেন মোদি

    ডায়মন্ড হারবারে রুদ্রণীল ঘোষ বা কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কৌস্তুভ  বাগচিকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে চর্চা চলছিল। সব জল্পনায় জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে এই কেন্দ্রে প্রার্থী বেছে নেওয়া হল অভিজিৎকে। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে বিজেপির সাংগঠনিক কাজ করছেন অভিজিৎ৷ কেন্দ্রের আনাচ-কানাচ হাতের তালুর মতো চেনেন তিনি৷ তাঁর জনসংযোগও দারুণ। সেই কারণেই তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে বলে গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর (Lok Sabha Election 2024)৷ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের প্রার্থী প্রসঙ্গে সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, প্রার্থী তো নিমিত্ত মাত্র। ভোট হবে প্রধানমন্ত্রীর নামে। ডায়মন্ড হারবারে পুরো বিজেপি ভোট করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: মমতা-অভিষেকের প্রচার বন্ধ করার দাবিতে কমিশনের কাছে আর্জি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: মমতা-অভিষেকের প্রচার বন্ধ করার দাবিতে কমিশনের কাছে আর্জি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ির টর্নেডো পীড়িতদের সহায়তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের বিধি ভেঙে রাজনীতি করার অভিযোগ তুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সুকান্তবাবু তৃণমূলের এই দুই সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রীর বিরুদ্ধে প্রচার বন্ধের দাবি তুলেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার বালুরঘাটে এক সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি প্রার্থী তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “নির্বাচন কমিশন মুখ্যসচিবকে উপভোক্তাদের সহায়তা করতে বলেছেন। কিন্তু, এনিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ম ভাঙায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি কমিশনের কাছে।” পাশাপাশি বেঙ্গালুরুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িতদের পশ্চিমবাংলায় গ্রেফতার প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, ‘বিজেপি সংকল্পপত্রে ভারতবর্ষকে ওয়েডিং ডেস্টিনেশন হিসেবে অযোধ্যা নগরীর ধাঁচে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গকে সন্ত্রাসবাদীদের ডেস্টিনেশন হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন। নইলে এমন কুখ্যাত জঙ্গিরা রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ঘুরে বেড়াল, অথচ পুলিশের কাছে খবর পর্যন্ত ছিল না। পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ করা উচিত।’

    আরও পড়ুন: “তোলাবাজ ভাইপোকে উত্তরসূরি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করাই একমাত্র এজেন্ডা মমতার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মুখ্যমন্ত্রী ভাঁওতা দিচ্ছেন

    বালুরঘাট জেলা পার্টি অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি, স্বরূপ চৌধুরী। জেলার এয়ারপোর্ট, মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজ্যকে আক্রমণ করেছেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অশোকবাবু বলেন, “উনি সব জায়গায় বলছেন সবকিছু করে দিয়েছি। বাস্তবে বালুরঘাটের বিশ্ববিদ্যালয় চোখে দেখা যায় না। এমনকী মেডিক্যাল কলেজও রাজ্য সরকার করতে পারেনি। ভোটের সময় মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের নেতারা এসে শুধু ভাঁওতা দিচ্ছেন।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মোদিজি বালুরঘাটে প্রথম আসছেন। বালুরঘাটে মোদি ঝড় হবে। রাস্তায় তৃণমূল বাদে সবাই মাঠে থাকবে। সবাইকে বলব, তাড়াতাড়ি মাঠে যাওয়ার জন্য। নাহলে পরে আর জায়গা থাকবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share