Tag: tmc

tmc

  • Jalpaiguri: ভোটের প্রচারেই আবাস যোজনার বাড়ির প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতার, আচরণবিধি ভঙ্গ!

    Jalpaiguri: ভোটের প্রচারেই আবাস যোজনার বাড়ির প্রতিশ্রুতি তৃণমূল নেতার, আচরণবিধি ভঙ্গ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছলে বলে কৌশলে চলছে তৃণমূলের রাজনীতি। রাজনীতি কথাটায় যে নীতি আছে, তার তোয়াক্কা অনেকেই করেন না। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির (jalpaiguri) একটি ঘটনাকে ঘিরে এমনই অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি (BJP)। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ভোটের দুদিন আগে আবাস (PM Awas) যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করাচ্ছেন মমতার এই দূতেরা। ঘটনায় শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    ঠিক কী হয়েছিল?

    জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ এলাকার পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। টেবিল-চেয়ার পেতে রীতিমতো শিবির খুলে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ করানোর প্রক্রিয়া চলছে। উদ্যোক্তা পানকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেত্রী পাপিয়া দে। শিবির খোলার আগে এলাকায় প্রচার করা হয় আবাস যোজনার বাড়ি পেতে আগ্রহীরা শিবিরে যোগাযোগ করুন।

    রাজনৈতিক তরজা কেন?

    এই ঘটনা আদর্শ আচরণ (MCC) বিধি ভঙ্গের শামিল বলে দাবি বিজেপির। ভোটের মুখে এই ধরনের কাজ করা যায় না। যারা শিবিরে আসছে না তাদের বাড়ি গিয়ে ফরম পূরণ করানো হচ্ছে। বাড়িতে পৌঁছে তৃণমূল কর্মীরা বলছেন, “আমরা দিদির হয়ে এসেছি। এবার দিদিই ঘর দেবেন। বাংলার আবাস যোজনার একটা ফর্ম দিয়ে যাচ্ছি। ভোটের পর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থাৎ এবছরের মধ্যেই আপনি ঘরের টাকা পেয়ে যাবেন। এবার কেন্দ্রের ভরসায় থাকতে হবে না।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় তৃণমূল নেত্রী পাপিয়া দে সরকার বলেন, “২০১৮ সালে একটি সার্ভে করা হয়েছিল। ২০২৪ সাল হয়ে গেলেও কেন্দ্রের টাকা আটকে থাকায় অনেকে ঘর পাননি। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন রাজ্যই এবার থেকে বাড়ি বানিয়ে দেবে। সেই মতোই স্থানীয়দের মধ্যে যারা ঘর পায়নি তাদের ঘর পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। দিদি যেমন ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছেন, লোকসভা ভোট মিটে গেলে আবাস যোজনার টাকাও দেবেন। ২০১৮ সালে যাদের তালিকা নাম ছিল, যারা প্রকৃত দরিদ্র সীমার নীচে, তারা ঘর যাতে পায় সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির দাবি, তৃণমূল নির্বাচনে বিধি ভেঙে এসব কাজ করছে। স্থানীয় বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য নিতাই কর বলেন, “ভোট ঘোষণা হয়ে গেলে এসব করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও এসব কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু তার দলের লোকেরা পাড়ায় পাড়ায় এসব করে বেড়াচ্ছে। আসলে তৃণমূল হতাশায় ভুগছে। তারা জানে উত্তরবঙ্গে তারা ভালো ফল করতে পারবে না। তাই এসব করছে ওরা। একাধিক এলাকায় পঞ্চায়েতেও হেরেছে তৃণমূল। ঘর দেবে বলে সাধারণ মানুষকে দিয়ে ফর্ম ফিলাপ করানো হচ্ছে। আর বাড়ি যখন আসবে তখন পঞ্চায়েত প্রধানের আত্মীয়, স্বজনেরা বাড়ি পাবে। যারা ঘর পাওয়ার যোগ্য তারা বঞ্চিত হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানাব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মমতার আসল এজেন্ডা ঠিক কী, খোলসা করলেন শুভেন্দু, কী বললেন তিনি?

    Suvendu Adhikari: মমতার আসল এজেন্ডা ঠিক কী, খোলসা করলেন শুভেন্দু, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “নরেন্দ্র মোদিজি যেটা ভেবেছেন, যেটা করছেন, জনস্বার্থে করছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করেন, যা ভাবেন, ধান্দার জন্য ভাবেন। আর কীভাবে তোলাবাজ ভাইপোকে প্রতিষ্ঠা করা যায় তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে, এটাই তাঁর একমাত্র এজেন্ডা।” সোমবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় ইসলামপুরের কোর্ট ময়দানে দলীয় প্রার্থী কার্তিকচন্দ্র পালের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে এসে  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই তীব্র কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ।

    মোদিজি জনস্বার্থে সব কিছু করছেন (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রাক্তন হবেন তা জানেন। তাই, তিনি এক দেশ এক ভোটের বিরোধিতা করছেন। এক একটা রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন করতে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হয় দেশের। এই টাকা যদি সাশ্রয় হয়, এই টাকা দিয়ে নতুন কয়েকশো মেডিক্যাল কলেজ, কয়েক হাজার কিলোমিটার রেললাইন, কয়েক হাজার কিলোমিটার জাতীয় সড়ক, একাধিক নতুন এয়ারপোর্ট, কয়েক কোটি জনগণের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে। তাই নরেন্দ্র মোদিজি যেটা ভেবেছেন, যেটা করছেন, জনস্বার্থে করছেন।”

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল সরকার রাজ্যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে”, বিস্ফোরক অনুরাগ ঠাকুর

    তৃণমূল চুরি-দুর্নীতি ছাড়া কোনও কাজ করেনি

    পাশাপাশি ইসলামপুরকে আলাদা জেলার দাবি প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সঠিক দাবি। ইসলামপুরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে পুরবোর্ডের নির্বাচন হয় না। এখানে মাঝে মাঝেই উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু, উন্নয়ন হয় না। একটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে, না আছে নিউরো সার্জেন, না আছে এমআরআই মেশিন, না আছে আইসিইউ। ওটাকে বলা হয় রেফার হসপিটাল। যে আসবে তাকে নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজে রেফার করাই হচ্ছে কাজ। তৃণমূল চুরি-দুর্নীতি ছাড়া কোনও কাজ করেনি।”

    মন্ত্রীর পরিবারের লোক চাকরি পেয়েছেন

    পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানী ও চোপড়ার দাপুটে বিধায়ক হামিদুল রহমানকেও তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, “চাকরি দুর্নীতি, গরু পাচার, জমি দখল, এইদিকে হামিদুল রহমানের। আদিবাসীদের জমি পর্যন্ত দখল করেছে। আর যত চাকরি রব্বানীর পরিবার, হামিদুল রহমানের পরিবারের লোকজন পেয়েছে।” পাশাপাশি চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানকে তীব্র হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। তিনি বলেন, “হামিদুল রহমানকে বলে যাই, তোমার থেকেও বড় গুন্ডা ছিল শাহজাহান। তার যা অবস্থা হয়েছে তোমার অবস্থা তার থেকেও খারাপ হবে।” অন্যদিকে, দাড়িভিটে দুই ছাত্র খুনের বিচার প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “এর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেহেতু বাংলা ভাষার পক্ষে লড়েছিল, মমতা ব্যানার্জি সেই কারণে তার লোক দিয়ে খুন করিয়েছে, এনআইএ, সিট তদন্তে বাধা দিয়েছে। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টি কথা দিতে পারি, বিচার হবে, খুনিরা শাস্তি পাবে।”

    রাম নবমী নিয়ে মমতাকে তোপ

    এদিকে রাম নবমী প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছে ১৭ তারিখ দাঙ্গা ডে। এই রকম একটা জালি হিন্দুর পক্ষে এই ধরনের কথা বলা সম্ভব। গোটা ভারতবর্ষে ২২ শে জানুয়ারি রামমন্দির উদ্বোধনের দিন এমনকী বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীরাও ছুটি দিতে বাধ্য হয়েছেন। আর উনি পাল্টা মিছিল করেছেন। জনগণ সব দেখছে। এগুলো করছেন সংখ্যালঘু ভোটকে নিজের কাছে আনার জন্য। আর শাহজাহান, আরাবুল, শওকত মোল্লা, গোলাম রব্বানীদের সৃষ্টি করার জন্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: “তৃণমূল সরকার রাজ্যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে”, বিস্ফোরক অনুরাগ ঠাকুর

    Siliguri: “তৃণমূল সরকার রাজ্যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে”, বিস্ফোরক অনুরাগ ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকার রাজ্যে জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। তাই, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এরাজ্য। সোমবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সমর্থনে প্রচারে এসে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন কেন্দ্রের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ এবং তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গরিব ও সাধারণ মানুষের কথা ভাবেন না।

     জঙ্গিদের আশ্রয় দেয় তৃণমূল সরকার (Siliguri)

    এদিন শিলিগুড়িতে (Siliguri) নির্বাচনী প্রচারে রাজু বিস্তাকে জেতানোর আহ্বান জানান অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশজুড়ে উন্নয়নের কাজ হয়েছে। তার শরিক হয়ে রাজু বিস্তাও গত পাঁচ বছরে এই অঞ্চলের ব্যাপক উন্নয়নের কাজ করেছেন। মানুষ বুঝেছেন যে নরেন্দ্র মোদি গরিব ও সাধারণ মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করেছেন, আগামী দিনেও করবেন। সেখানে রাজ্যের তৃণমূল সরকার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ঘৃণা, বিরক্তি এসে গিয়েছে। কলকাতা থেকে রাজ্যের যে কোনও প্রান্তে গেলে তৃণমূল সরকার সম্পর্কে শোনা যায় দুর্নীতিগ্রস্ত, নারী নির্যাতনকারীদের আশ্রয়দাতা। ক্রমে জঙ্গিদেরও আশ্রয়দাতা হয়ে উঠেছে। বেঙ্গালুরু বা দেশের যে কোনও প্রান্তে  নাশকতা ঘটিয়ে জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গে এসে  আশ্রয় নিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের মনেও প্রশ্ন উঠেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের জঙ্গিরা কেন পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় নিচ্ছে? সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকার জঙ্গিদেরও আশ্রয় দেয়। 

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের 

    এরাজ্যের গরিবদের বঞ্চিত করছে তৃণমূল

    তৃণমূল রাজ্যে গরিব মানুষের ক্ষতি করে চলেছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত সহ কৃষকদের বিমা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি এরাজ্যে লাগু করেননি। অথচ ১০০ দিনের কাজের  টাকার জন্য তিনি চিৎকার করে যাচ্ছেন। এরাজ্যের গরিব ও সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছেন, সরাসরি তাদের উপকার লাগে এমন কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলি মুখ্যমন্ত্রী এরাজ্যে কেন লাগু হতে দেননি। তাই এবার  রাজু বিস্তা সহ রাজ্যের সব বিজেপি প্রার্থীকে জেতানর জন্য ভোটাররা মনস্থির করে ফেলেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে নিখোঁজ স্বামীর খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্তের দাবি স্ত্রী’র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার ন‍্যাজাট থানার ভাঙ্গিপাড়ার ঘটনা। ২০১৯ সালের ৬ই জুন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিধানসভার ভাঙ্গিপাড়ায় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃণমূলের (TMC) কর্মিসভা হয়। সেই সভার শেষে এলাকার বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডলের ওপর হামলা করে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী। দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের। সেই সঙ্গে নিখোঁজ হন দেবদাস মণ্ডল।

    পুলিশের তদন্ত কোন পথে (Sandeshkhali)?

    সেই সময় থেকে দেবদাস মণ্ডলের (Sandeshkhali) খোঁজ না পাওয়ায় তাঁর পরিবার ন‍্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগে নাম উঠে আসে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সহ তাঁর সাগরেদদের। পরবর্তীকালে শেখ শাহজাহানের নাম বাদ যায় এফআইআর থেকে। তারপর দেবদাসের পরিবার দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি পুনরায় এফআইআরের নির্দেশ দেন এবং শেখ শাহজাহান নাম বহাল রাখা হয়। তারপর কেটে গেল পাঁচটি বছর।

    নিঁখোজের স্ত্রী কী বলছেন?

    আদৌ কি ফিরবে দেবদাস মণ্ডল (Sandeshkhali)? নাকি সেই দিনই তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারপর তাঁর দেহ লোপাট করা হয়েছে কোনও মাছের ভেড়িতে। আজও অজানা তাঁর মৃত্যুর রহস্য। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া মণ্ডল।

    বর্তমান অবস্থা

    আজও দেবদাসের খোঁজ পায়নি তাঁর পরিবার। স্ত্রীর দাবি, স্বামী মৃত অথবা জীবিত ফিরে আসুক ঘরে। বর্তমানে শেখ শাহজাহান রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডি হেফাজতে রয়েছেন। পরিবারের (Sandeshkhali) পক্ষ থেকে আদালতের কাছে দাবি করা হয়েছে, দেবদাসের খোঁজ পেতে সিবিআই তদন্ত করা হোক। তাহলে আসল রহস্য প্রকাশ্যে আসবে। নিহত প্রদীপ মণ্ডলের পরিবার সেই ঘটনার পর থেকে কোথায় আছে, তা এখনও অনেকের অজানা। নিহত সুকান্ত মণ্ডলের পরিবার বলতে একমাত্র তাঁর মা। তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে বর্তমানে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁকে আর দেখার কেউ নেই। কষ্ট করে সুন্দর একটি পাকা দালান বাড়ি তৈরি করেছিলেন সুকান্ত। বর্তমানে তাঁর সুন্দর একটি বাড়ি থাকলেও সেই বাড়িতে বসবাস করার মতো আর কেউ নেই। এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামের মানুষ।

    দেবদাস মণ্ডলের পরিবারে বয়স্ক বাবা-মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানো পরিবারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন দেবদাস। বর্তমান তাঁর সংসারের  খুবই করুণ দশা। তাঁর বর্তমানে একটি ছোট্ট মেয়ে ও একটি ছোট্ট ছেলে রয়েছে। তারা জানে না তাদের বাবা কবে বাড়ি ফিরে আসবে। তাদের মা পথ চেয়ে বসে আছে কবে তাঁর স্বামী ঘরে ফিরবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    Murshidabad: ভোটের মুখে আরও এক ডিআইজি বদল, বিরোধীদের অভিযোগ তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘তৃণমূলের হয়ে কাজ’ করছেন আইপিএস অফিসার (IPS Officer), সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করেছিলেন বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী (Adhir Ranjan  Chowdhury)। আর কাকতালীয় ভাবে তার পরেই মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে (DIG) অপসারণ করল নির্বাচন কমিশন। লোকসভা ভোটের মুখে বাংলার আরও এক অফিসার ডিআইজি মুকেশ কুমারকে সরালো নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকেল ৫টার মধ্যে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডিআইজি পদের জন্য তিন জনের নাম বাছাই করে কমিশনকে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। তাঁদের মধ্যে থেকে এক জনকে নতুন ডিআইজি পদে নিয়োগ করবে কমিশন।

    নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ (Murshidabad)

    কমিশনের তরফে আইপিএস অফিসার মুকেশ কুমারকে ভোটের সঙ্গে যোগ নেই, পুলিশের এমন পদে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সেই নির্দেশ কার্যকর করার কথাও বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের তরফে। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীরের অভিযোগ, “মুকেশ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এসপি থাকাকালীন থানায় যে কজন ওসি বা আইসি ছিলেন, ডিআইজি হওয়ার পর সেই অফিসারদেরই তিনি আবার থানায় নিয়ে এসেছেন। ওই সব পুলিশ আধিকারিকেরা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে দিনের পর দিন কাজ করে গিয়েছেন। এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিলেন এই আইপিএস মুকেশ কুমার।” এই বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের (Election commission ) নজরে এনে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন অধীর। তাঁর মতে, হয়তো তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    আগে চার জেলার জেলাশাসককে সরানো হয়েছিল

    উল্লেখ্য ২০১৯ সালে মুকেশ কুমার মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার এসপি ছিলেন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া রেঞ্জের ডিআইজি করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে ভোটের মুখে আইপিএস মুকেশ কুমারকে নির্বাচন কমিশন সরাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও এমন ঘটনা প্রথম নয়, লোকসভা ভোটের মুখে (Lok Sabha Vote 2024) এর আগে রাজ্যের চার জেলার জেলাশাসককেও সরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। আর এবার সরানো হল মুর্শিদাবাদের ডিআইজিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির পথেই কি নন্দীগ্রাম? তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নন্দীগ্রামে (nandigram) বিভিন্ন প্রকল্পের (government project) লাভ পাওয়া মহিলারা কে কোথায় থাকেন খোঁজ নিতেই শুরু হল বিক্ষোভ। ১০০ দিনের জব কার্ডের (MGNREGA) টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ নিতেই তৃণমূলের স্থানীয় নেতা প্রকাশ মালের ঘোলপুকুর এলাকার বাড়ি ঘেরাও করা হয়। মহিলাদের নেতৃত্বে তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা। মহিলাদের বিক্ষোভে নন্দীগ্রাম যেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি!

    নন্দীগ্রাম যেন সন্দেশখালি (Nandigram)

    মহিলাদের বিক্ষোভে এযেন দ্বিতীয় সন্দেশখালি (sandeshkhali) তৈরি হচ্ছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া বাড়ির মহিলাদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হচ্ছে বলে আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। এর পরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামলেন এলাকার মহিলারা। সঙ্গে অবশ্য পুরুষরাও ছিলেন। ১০০ দিনের কাজের জব কার্ড থেকে শুরু করে আবাস যোজনা সহ একাধিক বিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে নন্দীগ্রামবাসীর। ফলে ভোটের মুখে তৃণমূল আরও চাপে।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) এক ব্যক্তি বলেন, “আমফানের সময় পাঁচটি বরজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। যদিও আমি বিজেপি করি, কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে জোর করে তৃণমূলের সভায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে বলা হয়েছিল তৃণমূলের মিটিং মিছিলে গেলে এক লাখ টাকা পাইয়ে দেওয়া হবে। সেই কারণে গোপনে তৃণমূলের মিটিং মিছিলে যেতাম। তিনি কিন্তু বরজের ক্ষতির টাকা আজও তিনি পাননি।” স্থানীয় অপর আরেক এক মহিলা অভিযোগের সুরে বলেন, “আমাদের দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। আমরা কিছু পাইনি। স্বাস্থ্য সাথীর কার্ডের জন্য দরখাস্ত জমা দিয়ে এসেছি। তারপর ফোন করে জিজ্ঞেস করছে কোন বাড়ির মহিলা। আমাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে কেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি নেতার রাজর্ষি লাহিড়ী অভিযোগে করে বলেন, “নন্দীগ্রামের (Nandigram) ঘটনা সন্দেশখালীর প্রাথমিক পর্যায়। আগে কে কোন বাড়ির মহিলা তা চিহ্নিত করা হচ্ছে। এরপর সুন্দরী দেখে তাঁদের প্রথমে দিনের বেলায় মিটিং মিছিল, তারপর রাতে পিঠে বানানোর জন্য ওরা ডাকবে বলে এইসব কাজ করছে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে পাল্টা তমলুক তৃণমূল সাংগঠনিক জেলার (Nandigram) সহ-সভাপতি শেখ সুফিয়ান বলেন, “রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের কারণে এসব করা হচ্ছে। আবেদন করলে ভেরিফিকেশন করা আগেও হয়েছে। তবে ভেরিফিকেশন কেন প্রশাসনের বদলে রাজনৈতিক দলের তরফে হবে? মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখবে।”

    পার্টি অফিসে তালা

    অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রতিবাদে ময়দানে নামে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। পয়লা বৈশাখের সকাল থেকেই নন্দীগ্রামে (Nandigram) তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপির দাবি, মমতাকে ক্ষমা চাইতে হবে। পরে অবশ্য তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য নিঝাতে তালা ভেঙে দেন। এতদূর তো ঠিক ছিল বিজেপির পতাকা নিজে খুলে ফেলে দেন তিনি। পতাকা ফেলে দেওয়াকে মোটেই ভাল কাজ বলে আখ্যা দেয়নি রাজনৈতিক মহল। সামাজিক মাধ্যমেও পতাকা ফেলে দেওয়ার ঘটনায় সরব হয়েছেন নেটিজনেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছে কমিশন, বোকা বানাচ্ছেন মমতা, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ হতে পারে তাই জলপাইগুড়িতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যাচ্ছে না, এমন দাবি একাধিক সভায় করে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এবার রীতি মতো তৃণমূলের এই দাবিকে মিথ্যা বলে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) জানিয়েছেন,  ঝড়ে ক্ষতিপূরণ দিতে আগেই অনুমতি দিয়েছিল কমিশন তবে বোকা বানাচ্ছেন মমতা।

    ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরম দিতে নির্দেশ দেয় কমিশন

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “জলপাইগুড়ি এবং ময়নাগুড়ির বিধ্বংসী ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা, যারা ঘর বাড়ি-সহ তাঁদের শেষ সহায় সম্বলটুকুও প্রকৃতির রোষে হারিয়েছেন তাঁরা যাতে দ্রুত বাড়ি নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান পান, তার জন্য ভারতের নির্বাচন কমিশন গত ৯ এপ্রিল ২০২৪ এ ক্ষতিপূরণ এবং বাড়ি তৈরির আর্থিক অনুদানের বিষয়টি আদর্শ আচরণ বিধির আওতার বাইরে রেখে অনুমোদন মঞ্জুর করেছেন। শুধু তাই নয় ওই দিনই অর্থাৎ ৯ এপ্রিল ২০২৪ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বিষয়টি জানিয়েও দেওয়া হয়।”

    নিশানায় মমতা ও অভিষেক

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, “অনেক আগেই ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর বাড়ি নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট তহবিল থেকে আর্থিক অনুদান দিয়ে দেওয়াই যেত, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন আর কেন্দ্র সরকারের নামে মিথ্যাচার করতেই ব্যস্ত। আসলে তাদের উদ্দেশ্য অন্য, তারা এই ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়িয়ে ভোটের বাজারে নিজেদের লাভের অঙ্ক বাড়িয়ে নিতে চান। সহায় সম্বলহীন, ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষের এই দুর্দশা এবং কষ্টদায়ক পরিস্থিতির তাদের কাছে কোনও মূল্য নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Basirhat: “বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ দিয়ে মারুন”, প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হুমকি ভাইরাল

    Basirhat: “বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ দিয়ে মারুন”, প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার হুমকি ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির প্রতিবাদী মহিলা রেখা পাত্রকে প্রার্থী করে মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বুথে বুথে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের। আর শাহজাহানের কীর্তি এবং দুর্নীতি ইস্যুতে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। তাই, এবার বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বসিরহাটের (Basirhat) এক তৃণমূল নেতা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Basirhat)

    দলীয় প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলামের সমর্থনে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার বসিরহাট (Basirhat) উত্তর বিধানসভার বিবিপুর বেগমপুর তৃণমূলের পক্ষ থেকে পথসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে ওঠেন তৃণমূলের বিবিপুর বেগমপুরের অঞ্চল সভাপতি মিয়াজুল ইসলাম বাবুয়া। দলীয় সভা থেকে প্রকাশ্যে বলেন, বিজেপি ভোট চাইতে এলে চেলা কাঠ নিয়ে যুব সমাজ তৈরি থাকবেন। মা-বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে তৈরি থাকবেন। ভোট চাইতে এলেই মা, বোনেরা ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করবেন। আর যুবকরা চেলা কাঠ দিয়ে পেটাবেন। এরপর তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কথা রাখেননি। মুখ্যমন্ত্রী ২ টাকা কিলো চাল সহ সব প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। তাই, বিজেপির কেউ ভোট চাইতে এলেই তাঁদের চেলা কাঠ দিয়ে মারবেন। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার সেই বক্তব্য ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। সভার পরে, তাঁকে এই ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্যের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আরও বেশি বলা উচিত ছিল। যদিও তৃণমূল নেতার বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা পলাশ সরকার বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত দল হচ্ছে তৃণমূল। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই, এখন এই ধরনের হুমকি দিয়ে আমাদের কর্মীদের আতঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। সামনে ভোটে ওদের উচিত শিক্ষা দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “তৃণমূলের লোক জড়ো করতে মুখ্যমন্ত্রীকে নাচতে হচ্ছে”, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “তৃণমূলের লোক জড়ো করতে মুখ্যমন্ত্রীকে নাচতে হচ্ছে”, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মমতাকে নিশানা করে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সোমবার তিনি বর্ধমানের সদরঘাটে যান প্রাতঃভ্রমণে। সেখানে ছট পুজোয় অংশ নেন দামোদরের ঘাটে। চৈত্র ছটে আসা ভক্তদের সঙ্গে আলাপচারিতা করেন বিজেপি প্রার্থী। তারপর তিনি মাঠে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে হাঁটেন। এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ব্যাট হাতে মাঠে ছক্কা হাঁকান।

    মমতাকে তোপ দিলীপের (Dilip Ghosh)

    উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী আদিবাসীদের সঙ্গে নাচের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, তৃণমূলের লোক জড়ো করতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীও নাচতে হচ্ছে, প্রার্থীরাও নাচছেন। রাস্তার ধারে নেচে লোক জড়ো করছেন। আমরা যেখানে যাচ্ছি এমনিতেই লোক জড়ো হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, রাজনীতি, ব্যাট, বল, ক্যারাটে সবই করি। তাই আমার সামনে সবাই আসতে ভয় খায়। যত দিন যাচ্ছে তত ফিকে হয়ে যাচ্ছেন কীর্তি আজাদ, কারণ উনি তো রিটায়ার্ড এবং টায়ার্ড ম্যান। উনি এখন বুঝতে পারছেন এখানকার জনতা ওনাকে নিচ্ছেন না, পার্টির লোকেরাই ওনার সঙ্গে বের হচ্ছেন না। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, আমাদের সঙ্গে মানুষ আছে। পঞ্চায়েতে এখানে পুলিশ ও গুন্ডা দিয়ে লুট করা হয়েছে। সামনের পঞ্চায়েতে দেখবেন আমরা ওদের বাড়ি থেকে বের হতে দেব না। আমি তো প্রচারই করিনি। লোকের সঙ্গে দেখা করছি, ক্রিকেট খেলছি। ওরা ঘোড়া নিয়ে আসছে, টাকা খরচ করে। দিলীপ ঘোষ একাই একশো, যতই ওরা এখানে প্রচারে আসুক।

    আরও পড়ুন: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

     তৃণমূলের গুন্ডারা যেখানে সেখানে রাস্তা আটকে টাকা তুলছে

    এদিন বিজেপি প্রার্থী (Dilip Ghosh) বলেন, বুথে আমার শুধু কর্মীরা বসবে না, বুথ সামলাবে। বাইরে থেকে যদি কেউ যায় সে কীভাবে ফিরবে আমরা ঠিক করে দেব। গতবারে বুথে গন্ডগোল হয়নি, বুথের বাইরে হয়েছিল, এবার হতে দেব না। ওদের বলে দেবেন দিলীপ ঘোষ এসে গেছে। আমি যেখানে যাই, সেখানে মূল শুদ্ধ উপরে ফেলি, ওদের বলে দেবেন। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর ভরসা করে ভোট করি না। সাধারণ মানুষ যাতে ঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন সেজন্য সেন্ট্রাল ফোর্স এসেছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ট্রান্সপোর্টের লোকেরা আমাকে বলেছে, আমরা খুব সমস্যার মধ্যে আছি। পুলিশ এবং তৃণমূলের গুন্ডারা যেখানে সেখানে রাস্তা আটকে টাকা তুলছে। মমতাকে উদ্দেশ্য করে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি কিছুই করেননি, মোদিজি হাইওয়ে করেছেন, চন্দ্রযান করেছেন। উনি করেছেন বলেই আজ উদ্বোধন করছেন। এয়ারপোর্ট, ট্রেন উদ্বোধন করছেন। মমতা টাকা দাও টাকা দাও করে রাস্তায় হাঁটছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    Narendra Modi: সুকান্তর সমর্থনে প্রচারে ঝড় তুলতে বালুরঘাটে আসছেন মোদি, চলছে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয়বারের জন্য জেলায় ভোটপ্রচারে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে বুনিয়াদপুরে এবং ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে গঙ্গারামপুরে ভোটপ্রচারে এসেছিলেন। ১৬ এপ্রিল ফের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসছেন প্রধানমনন্ত্রী। বালুরঘাট রেল স্টেশন ময়দানে নরেন্দ্র মোদির সভাকে ঘিরে প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।

    মোদির সভাস্থলে শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি (Narendra Modi)

    রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সমর্থনে সভা করতে আসছেন নরেন্দ্র মোদি। জেলার সমস্ত বিধানসভা ক্ষেত্র থেকেই কর্মী-সমর্থকরা আসবেন মোদির এই সভায় যোগ দিতে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মোদির (Narendra Modi) সভায় এক লক্ষ মানুষের ভিড় হবে। এর আগে ২০১৯ সালে বুনিয়াদপুরে এসেছিলেন সুকান্তর হয়ে ভোট প্রচারে। সেবার ৩৫ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এবার ভোটের ব্যবধান বাড়াতে বিজেপি নেতৃত্ব কোনওরকম কসুর রাখছেন না। এর আগেই জেলায় সভা করে গিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বুনিয়াদপুরের সভা করেছেন। এবার নরেন্দ্র মোদির সভা বালুরঘাটে। মোদির সভা মঞ্চ গড়ে তোলার কাজ প্রায় শেষ। চলছে বিশেষ সুরক্ষা বাহিনীর কুকুর ও মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে তল্লাশি। এছাড়াও সভাস্থলে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এখন থেকেই শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন। ইতিমধ্যে সভাস্থল পরিদর্শন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি সভাস্থলের কাজ পুরো খতিয়ে দেখেন। মোদির সভাস্থলে সঞ্চালনার কাজ করবেন একজন আদিবাসী নেত্রী ও একজন আদিবাসী নেতা। সভাস্থলের হেলিপ্যাডে তিনটি পরীক্ষামূলক উড়ান দেয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টার। বালুরঘাটে নরেন্দ্র মোদির সভাকে কেন্দ্র করে উৎসাহে আছে বালুরঘাট সহ জেলাবাসী।

    আরও পড়ুন: “পিটিয়ে মেরে দিল তৃণমূলের লোকজন”, বলল নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন,”অন্য রাজনৈতিক দলের যেটুকু হাওয়া রয়েছে, ওটুকুই থাকবে। কারণ, আগামীকাল ১৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) বালুরঘাটে সভা করবেন। সভা করে যাওয়ার পর জেলায় বিজেপির যে ঝড় উঠবে, তাতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি লড়াই থেকে ছিটকে যাবে। এই আসনে জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে বিজেপির।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল পাল্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসেও কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share