Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: ভাঙন ধরল ঘাস ফুল শিবিরে, ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগদান ২৫০ তৃণমূল কর্মীর

    Suvendu Adhikari: ভাঙন ধরল ঘাস ফুল শিবিরে, ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগদান ২৫০ তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের (lok sabha vote 2024) মুখে ভাঙন ধরল ঘাসফুল শিবিরে। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন প্রায় ২৫০-এর অধিক তৃণমূল কর্মী। শুক্রবার সন্ধ্যায় নৈহাটির সিং ভবনে এক দলীয় কর্মসূচি থেকে তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)। এদিন শুভেন্দুর হাত ধরে পদ্ম শিবিরে আসা নেতাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন তৃণমূলের(TMC) বারাকপুর ১ ব্লক সভাপতি রানা দাশগুপ্তও।

    তৃণমূল নেতৃত্বের যোগদান বিজেপিতে

    এই সভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংও (arjun singh)। শুভেন্দু অধিকারী ও অর্জুন সিংয়ের উপস্থিতিতে এদিন ঋষি বঙ্কিম ব্লক-১ তৃণমূল সভাপতি রানা দাশগুপ্ত এবং জগদ্দল বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের সহ-সভাপতি শ্যামল তলাপত্র সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিলেন।  এছাড়াও বীজপুর ও আমডাঙ্গা থেকে অনেকেই বিভিন্ন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যোগদান পর্বে উপস্থিত ছিলেন জেলার সভাপতি মনোজ ব্যানার্জি, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র, বারাকপুর (barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বিজয় ওঝা প্রমুখ।

    কী বললেন শুভেন্দু

    ‘‘ভোট পরবর্তী হিংসায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ১৯ জন গুন্ডাকে অভিযুক্ত করেছিল। তাদের মধ্যে কেষ্ট মন্ডল, শেখ শাহজাহান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন জেলে। কিন্তু পার্থ ভৌমিক-সহ ১৬ জন গুন্ডা এখনও জেলের বাইরে। নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি রাখবো, বাকি ১৬ জন গুন্ডার বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’’ শুক্রবার রাতে নৈহাটির(Naihati) সিং ভবনে দলীয় কার্যালয়ে যোগদান পর্বে হাজির হয়ে এমনটাই বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    আরও চাপে তৃণমূল

    একই সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী এও জানান, শেখ শাহজাহান জেলে রয়েছে। এখন নারায়ণ গোস্বামী, পার্থ ভৌমিকদের মতো একাধিক নেতা জেলের বাইরে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। আগামী ২০ মে ভোট রয়েছে বারাকপুরে। ফলে লোকসভা ভোটের (lok sabha vote 2024) মুখে এই যোগদানে বিজেপির শক্তি আরও বাড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে নির্বাচনের মুখে বারাকপুর (barrackpore) শিল্পাঞ্চলে খেলা ঘুরিয়ে শাসক দল কে আরও চাপে ফেললেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: ভূপতিনগর হামলা কাণ্ডে থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল এনআইএ

    NIA: ভূপতিনগর হামলা কাণ্ডে থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে এনআইএ  (NIA)। ঘটনার তদন্তে নেমে এনআইএ-র পক্ষ থেকে নিয়ম মেনে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তলব করার পরও হাজিরা দেননি কেউ। এবার সেই ঘটনার তদন্তে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে হানা দিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। যা নিয়ে আপত্তি জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ, যখন তদন্তকারীরা ওই দু’জনকে নিয়ে যাচ্ছিলেন গাড়িতে করে, তখনই হামলা চালানো হয়। এজেন্সির গাড়ি ঘিরে ধরেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। দুই এনআইএ আধিকারিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনায় ভূপতিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    থানায় অভিযোগ করলেন এনআইএ আধিকারিকরা (NIA)

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভূপতিনগর থানায় একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করলেন এনআইএ (NIA) অফিসাররা। জানা গিয়েছে, হামলার জেরে আহত হয়েছেন দুজন অফিসার। গাড়ি আটকে, গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা দেওয়া, তাদের ওপর হামলা চালানো সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকজন ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এর মধ্যে তৃণমূল নেতাদের নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। পুরো ঘটনার কথা জানিয়ে ভূপতিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে এনআইএ।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির ছায়া ভূপতিনগরে, তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত এনআইএ-র আধিকারিকরা, ভাঙচুর করা হল গাড়ি

    কলকাতা রওনা হয়েছেন এনআইএ আধিকারিকরা

    ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এনআইএ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তারা একাধিক তৃণমূল নেতা-কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি। শনিবার সকালে ভূপতিনগর বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে যায় এনআইএ-র (NIA) একটি দল। সেখানে আক্রান্ত হওয়ার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে, কলকাতা রওনা হয়েছেন এনআইএ-র তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কোন কোন বুথে হিংসা? গত লোকসভা, বিধানসভা ভোটের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    Lok Sabha Election 2024: কোন কোন বুথে হিংসা? গত লোকসভা, বিধানসভা ভোটের রিপোর্ট তলব কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। ইতিমধ্যেই বাংলায় চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের আগে থেকে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে বাংলা। তাই নির্বাচনের দিন কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই সতর্ক নির্বাচন কমিশন। আগামী শনিবারই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বৈঠকে বসছেন রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিন্‌হা। তার আগে বৃহস্পতিবার গত বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটের রিপোর্ট চাইলেন তিনি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও)-এর কাছে ওই রিপোর্ট চেয়েছেন অলোক।

    কেন রিপোর্ট তলব

    গত বিধানসভা এবং লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) কোথায় কী রকম ভোট হয়েছিল, কোন কোন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, সিইও দফতরের কাছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিনহা। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে আগামী শনিবার বৈঠক ডেকেছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে বিশেষ পর্যবেক্ষক ছাড়াও পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল শর্মা, সিইও আরিজ আফতাব, রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর নোডাল অফিসাররা থাকবেন। হিংসার রিপোর্ট শনিবারের বৈঠকেই পেশ করতে বলা হয়েছে। বিশেষ পর্যবেক্ষকের তলব পেয়েই সিইও দফতর জেলার রিটার্নিং অফিসারদের কাছে গত ভোটে হিংসার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আজ থেকেই নির্বাচন শুরু রাজ্যে! বাড়িতে বসে ভোট দিতে পারবেন প্রবীণ ও দৃষ্টিহীনরা

    রিপোর্টে কী কী জানতে হবে

    গত নির্বাচনে কোথায় কোথায় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে উল্লেখ করতে হবে বিধানসভার নামও। ভোটারদের (Lok Sabha Election 2024) বাধা দেওয়ার অভিযোগ কোন জায়গা থেকে বেশি এসেছে তা-ও জানাতে হবে রিপোর্টে। এ ছাড়া রিপোর্টে জানাতে হবে, কোন কোন ভোটকেন্দ্রে ভোটের দিন পোলিং এজেন্ট বসাতে না পেরে অভিযোগ এসেছিল কোন কোন রাজনৈতিক দলের তরফে। বৃহস্পতিবারই রাজ্য বিজেপির এক প্রতিনিধিদল বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিন্‌হার সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, বিজেপি নেতৃত্ব তাঁর কাছে গত কয়েকদিনের বেশ কিছু হিংসার ঘটনা তুলে ধরেছেন। তাঁদের দাবি, সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করতে হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিনটি লোকসভা আসন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে ভোট গ্রহণ করা হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: “১০ বছরে যা হয়েছে, এটা তো ট্রেলার, আমাকে অনেক কাজ করতে হবে”, বললেন মোদি

    Narendra Modi: “১০ বছরে যা হয়েছে, এটা তো ট্রেলার, আমাকে অনেক কাজ করতে হবে”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন বিকশিত ভারত তৈরির সময়। ভারত বিকশিত হলে বাংলারও লাভ। বাংলার ভাইবোনেদের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হবে। এটা দেশের নির্বাচন। দিল্লিতে মজবুত সরকার জরুরি। মোদি মজবুত সরকার দেয় কিনা? সেটা আপনারাই বলুন। দেশের সরকার বানাতে হবে। কাজ করার মতো সরকার বানাতে হবে। বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একথা বলেন।

    আপনাদের স্বপ্নই মোদির সংকল্প (Narendra Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, স্বাধীনতার পর ৬-৭ দশক পর্যন্ত জনগণ কেন্দ্রে কেবল কংগ্রেসের মডেল দেখেছে, এবার গত দশ বছরে পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন বিজেপি সরকারের মডেল দেখেছে। আজ দুনিয়া বলে, মোদি মজবুত নেতা। আজ মানুষ বলে, মোদি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো নেতা। আমি হাত জোড় করে বলছি, মোদি ভারতে জনতার সামান্য সেবক। মোদি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কারণ তাঁর ওপর ১৪০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্ন পূরণ করার দায়িত্ব আছে। আপনাদের স্বপ্নই মোদির সংকল্প, মোদির গ্যারান্টি। আজ গ্রামে গ্রামে ডিজিটাল হচ্ছে। ঘরে ঘরে ফোন পৌঁছে গিয়েছে। এত আধুনিক নেটওয়ার্ক দুনিয়ার অনেক বিকশিত দেশেও নেই। এসসি-এসটি ও গ্রামের মহিলাদের জীবনে সুযোগ এসেছে। গরিবি হঠাও সংকল্প নিয়েছে সরকার। দেশকে গরিবিয়ানা থেকে বার করে মোদি দেখিয়ে দিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে, কারণ আমাদের ভাগ্য, সততা সঙ্গে রয়েছে। তাই আমি বলি, উদ্দেশ্য সঠিক, তাহলে পরিণামও সঠিক। মোদি আপনাদের ভবিষ্যতের চিন্তা করে।

    ১০ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে, এটা তো ট্রেলার

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আরও বলেন, মোদির লক্ষ্য সঠিক, তাই এত বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে আর্টিকল ৩৭০ থেকে মুক্তি মিলেছে, নারীরা তিন তালাক প্রথা থেকে মুক্তি পেয়েছেন, ৫০০ সাল পরে অযোধ্যাতে রামমন্দির তৈরি হয়েছে। তাই দেশ বলে, যেখানে অন্যের থেকে চাহিদা শেষ হয়ে যায়, সেখান থেকেই মোদির গ্যারান্টি শুরু হয়। বাংলার কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন, পাকা ঘর পেয়েছেন, বাংলার কোটি মানুষ শৌচাগার, বিদ্যুৎ, গ্যাস, জল সব মিলেছে, কারণ মোদির গ্যারান্টি ছিল। চাষিদের জন্য পিএম কৃষাণ সম্মান নিধিতে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা সোজাসুজি দিই। ১০ সালে যে উন্নয়ন হয়েছে, তার লিস্ট অনেক লম্বা। বাংলার সব এলাকায় হয়েছে। তবে এটা মনে রাখবেন ১০ বছরে যে বিকাশ হয়েছে, এটা তো ট্রেলর। এখন তো আমাকে অনেক অনেক কাজ করতে হবে। দেশকে আরও অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাকে অনেক আগে নিয়ে যেতে হবে। মোদী গ্যারান্টি দিয়েছে, ৩ কোটি ‘বোন’কে ‘লাখপতি দিদি’ বানানোর। নমো ড্রোন দিদি যোজনার মাধ্যমে মেয়েদের ড্রোন দিচ্ছি। ড্রোন পাইলট বানাচ্ছি। যাতে চাষের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। বাংলার মেয়েদের আত্মনির্ভর বানাতে হবে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে বহু সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার বিকাশের জন্য নিরন্তর কাজ করেছে চলেছে।

    আরও পড়ুন: “সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে,” কোচবিহারে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

    তৃণমূল-বাম-কংগ্রেসের জোট কেবল রাজনীতি করতেই ব্যস্ত

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করা, যাতায়াত সুবিধা যাতে হয়, তার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তৃণমূল, বাম, কংগ্রেসের জোট কেবল রাজনীতি করতেই ব্যস্ত। ওরা মতুয়াদের কখনও পরোয়া করেনি। বিজেপি সরকার সিএএ এনেছে, তাহলে ওরা ভুল রটাচ্ছে। সব পরিবারকে নাগরিকতা দেওয়া মোদির গ্যারান্টি। বাংলার সব পরিবারকে বলছি, এই তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস ভয় দেখাবে। লোকতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে ভুল কথা বলবে। কিন্তু দশ বছর ধরে আপনারা আমার কাজ দেখেছেন, এখন আমার গ্যারান্টির ওপর ভরসা রাখতে পারেন। এখানে তো তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস সবাই লড়াই করছে। কিন্তু দিল্লিতে তো ওরা এক থালাতেই খায়। এক সঙ্গে থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে,” কোচবিহারে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

    Narendra Modi: “সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে,” কোচবিহারে কড়া হুঁশিয়ারি মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালির দোষীদের সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে।” কোচবিহারের মঞ্চ থেকে এমনই কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের পর এই প্রথম বাংলায় মোদি। কোচবিহারের বিদায়ী সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে প্রচারে এসেছেন নরেন্দ্র মোদি। সভায় তাঁর পাশে উপস্থিত বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারও। কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন তৃণমূল সরকার কীভাবে সন্দেশখালির অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য পুরো শক্তি লাগিয়ে দিল! সেখানে মহিলাদের ওপর কী ধরনের অত্যাচার হয়েছে। এখন বিজেপি সংকল্প নিয়েছে, সন্দেশখালির দোষীদের শাস্তি দিয়েই ছাড়বে। সারা জীবন জেলেই কাটাতে হবে।

    আরও পড়ুন: “মতুয়া মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল”, সরব শান্তুনু ঠাকুর

    তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য প্রকল্প সময়ে শেষ হয় না রাজ্যে

    গরিবদের লুটেরাদের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ করেছে মোদি। দেশ যাতে ভ্রষ্টাচারমুক্ত হয়, দেশ যাতে আতঙ্কবাদ মুক্ত হয়, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। আপনারাই বলুন যারা আপনাকে লুটেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত কিনা? দিনরাত মোদিকে গালি দেয়। তোলাবাজি, খুন খারাবির রাজনীতি এভাবে চলছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে দুর্নীতিতে যুক্তদের বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ হবে। এটা তৃণমূলকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময়। বাংলার জনতার জন্য যে যোজনা আনি, বাংলার সরকার এখানে সেটা হতেই দেয় না। আয়ুস্মান ভারত প্রকল্পকে আটকেছে। তৃণমূল সরকার করতেই দিচ্ছে না। যদি এখানে এই প্রকল্প হত, তাহলে অন্য রাজ্যেও পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা হত। সব জেলাতে একটা করে মেডিক্যাল কলেজ করতে চায় বিজেপি। তৃণমূল সেটা করতে দিচ্ছে না। বাংলাকে রেকর্ড পয়সা দেওয়ার পরও দুর্নীতির জন্য প্রকল্প সময়ে শেষ হয় না। রেশন দুর্নীতিতে, শিক্ষা দুর্নীতি যারা জড়িত, তাদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের মন্ত্রীদের থেকে নোটের পাহাড় উদ্ধার হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    কৃতজ্ঞতা জানালেন মোদি

    কোচবিহারের রাসমেলা ময়দান থেকে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, যখন রাস্তা দিয়ে আসছিলাম, দেখে মনে হচ্ছিল, যেন কোনও রোড শো হচ্ছে। আপনাদের এই ভালোবাসা আমার মাথায় রয়েছে। আমি সবার প্রথমে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাইছি। ২০১৯ সালে যখন আমি এই ময়দানেই এসেছিলাম, তখন এখানে মাঝখানে একটা বড় মঞ্চ বানিয়ে ময়দানের জায়গা ছোট করে দিয়েছিলেন তিনি। যাতে মোদির কথা কেউ শুনতে না পারে। সেদিন আমি মমতাদিদিকে বলেছিলাম, দিদি আপনি এটা করে ভুল করলেন, মানুষ জবাব দেবে, সেটাই হয়েছে। কিন্তু, আজ মমতাদিদি সেরকম কিছুই করেননি। ময়দান ছেড়ে দিয়েছেন। আপনাদের সকলের মুখ আজ আমি দেখতে পারছি। বাংলার জনগণের মুখ দেখার জন্য কোনও বাধা না দেওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Electoral Bonds: তৃণমূলকে অনুদান দিতেই ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ কলকাতা পুলিশের!

    Electoral Bonds: তৃণমূলকে অনুদান দিতেই ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ কলকাতা পুলিশের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বন্ডের (Electoral Bonds) মাধ্যমে তৃণমূলকে অনুদান দেওয়ার পুরস্কার পেল ফিউচার গেমিং! ফিউচার গেমিং ও হোটেল সার্ভিসেস এই দুই সংস্থারই মালিক সান্তিয়াগো মার্টিন। এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে দুটি মামলার তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, সেই মামলা দুটি বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের পুলিশ। সান্তিয়াগোর এই দুই কোম্পানিই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

    সান্তিয়াগোর কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ (Electoral Bonds)

    পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমে ডিয়ার লটারি চালায় সান্তিয়াগোর কোম্পানি। এই কোম্পানির বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণা ও ক্রিমিনাল ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। সেই অভিযোগেরই তদন্ত করছিল কলকাতা পুলিশ। সেই তদন্তই বন্ধ করে (Electoral Bonds) দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সম্প্রতি নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তখনই জানা গিয়েছে, সান্তিয়াগোর ফিউচার গেমিং ২০২০ সালের অক্টোবরে তৃণমূলকে অনুদান বাবদ দিয়েছে ১ কোটি টাকা।

    কোটি কোটি টাকা অনুদান 

    পরের বছর জুলাই মাসেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে এই সংস্থা অনুদান দিয়েছে ৩০ কোটি টাকা। এই বছরেরই অক্টোবরে ফের ৪৬ কোটি টাকা দিয়েছে ফিউচার গেমিং। ২০২২ সালে মমতার দলকে সান্তিয়াগোর এই সংস্থা আবারও ৬০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। জানা গিয়েছে, অনুদান পাওয়ার পরে পরেই ২০২১ এর ডিসেম্বর এবং পরের বছরের জানুয়ারিতেই সান্তিয়াগোর দুই সংস্থার বিরুদ্ধে চলা দুটি মামলার তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: মুখ থুবড়ে পড়বে ‘ইন্ডি’, গাড্ডায় কংগ্রেস, অপ্রতিরোধ্য বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    মামলা বন্ধের পরেই নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে আরও অনেক বেশি টাকা। জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত মমতার দলকে অনুদান দিয়েই গিয়েছে সান্তিয়াগোর সংস্থা। সব মিলিয়ে এর পরিমাণ ৫৪২ কোটি টাকা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর অবশ্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া।

    সান্তিয়াগোর সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠায় ২০১০ সালে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। কিন্তু ২০১৪ সালের পরেও, সেভাবে এগোয়নি তদন্ত। ফিউচার গেমিংয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিও। কলকাতা পুলিশ ২০১৯ সালে এফআইআর দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করে ইডি। সেহেতু রাজ্য পুলিশ ক্লোজার রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে, তাই ইডির তদন্ত আপাতত বিশবাঁও জলে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের (Electoral Bonds)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: দিনভর জনসংযোগে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী, জয়ের বিষয়ে আশাবাদী রানিমা

    Nadia: দিনভর জনসংযোগে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী, জয়ের বিষয়ে আশাবাদী রানিমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের রাজবধূ অমৃতা রায়কে প্রার্থীকে করে মাস্ট্রার স্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। কারণ, বিজেপি প্রার্থী ও তাঁর বংশ নিয়ে তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু ছোট-বড় সব স্তরের নেতারা আক্রমণ করছেন। বোঝাই যাচ্ছে, রানিমা প্রার্থী হওয়ায় নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে তৃণমূল বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে।

    জনসংযোগে রানিমা (Nadia)

    তৃণমূল লাগাতার আক্রমণ করলেও বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে রানিমা নিজের কেন্দ্রে দিনভর নিজেকে জনসংযোগে ব্যস্ত রাখলেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি রাজবাড়ি থেকে বেরিয়ে কৃষ্ণনগর (Nadia) আমিনবাজারের পৌঁছান। সেখানে প্রচুর সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা করেন। রানিমাকে দেখার জন্য রাস্তার দুধারে সাধারণ মানুষ জমায়েত হন। এরপর বিভিন্ন বাজার, রাস্তাঘাট সহ একাধিক এলাকাগুলিতে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ভোটের আবেদন করেন তিনি। তবে, একটা সময় গেছে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রানিমাকে অনেকে দর্শন করতে পারতেন না। কিন্তু, নির্বাচনে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পরে তিনি জনসমক্ষে বেরিয়ে আসেন। আর রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বর্তমান রাজবধূকে একবার দেখার জন্য স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে এক অন্য অনুভূতি থেকেই থাকে। আর তাই প্রার্থীকে দেখার জন্য রাস্তায় ভিড় জমাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন: “মতুয়া মেলা বন্ধ করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল”, সরব শান্তুনু ঠাকুর

    জয়ের বিষয়ে আশাবাদী রানিমা

    ভোট প্রচারের মধ্যে দিয়ে অমৃতা রায় বলেন, ভোটে দাঁড়ানোর পর থেকেই কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিকদলের প্রার্থীরা আমাকে বিভিন্ন ভাষায় মন্তব্য করছেন। কিন্তু, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। কারণ, মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমি আশাবাদী, লোকসভা নির্বাচনে মানুষের রায়ে আমি জয়যুক্ত হব। অন্যদিকে, নাকাশিপাড়া থানা এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীকে খুন করার ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সকালে এই ঘটনার কথা আমি জানতে পারি। এই মর্মান্তিক ঘটনা, যে বা যারা করুক তারা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমি আর্জি জানাচ্ছি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: মুখ থুবড়ে পড়বে ‘ইন্ডি’, গাড্ডায় কংগ্রেস, অপ্রতিরোধ্য বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: মুখ থুবড়ে পড়বে ‘ইন্ডি’, গাড্ডায় কংগ্রেস, অপ্রতিরোধ্য বিজেপি, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই তলিয়ে যাবে কংগ্রেস। আগের চেয়ে আরও কমবে আসন। গোহারা হারবে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডি’। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) এমন ফলই হতে চলেছে বলে উঠে এল সাম্প্রতিক এক জনমত সমীক্ষায় (India TV-CNX Opinion Poll) । এবার লোকসভা নির্বাচন হবে সাত দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ১৯ এপ্রিল। গোটা দেশের বিভিন্ন আসনের সঙ্গে এ রাজ্যের তিন আসনেও এদিন হবে ভোট গ্রহণ। অবশ্য এই তিনটি আসনই উত্তরবঙ্গে। প্রাক-নির্বাচনী সমীক্ষায় প্রকাশ, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ পাবে ৩৯৯টি আসন। আর ইন্ডি জোটের দৌড় থেমে যাবে ৯৪ এর ঘরে গিয়ে।

    কত আসন পাবে বিজেপি? (Lok Sabha Elections 2024)

    ইন্ডিয়া টিভি-সিএনএক্সের প্রাক-নির্বাচনী জনমত সমীক্ষা (India TV-CNX Opinion Poll) অনুযায়ী, বিজেপি একাই পেতে পারে ৩৪২টি আসন। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩৮টি আসন। বাংলার ১৯টি কেন্দ্রে ফুটতে পারে ঘাসফুল। ডিএমকে জিততে পারে ১৮টি লোকসভা কেন্দ্রে। জনতা দল ইউনাইটেড পেতে পারে ১৪টি আসন। আপ পেতে পারে ৬টি আসন। ১২টি আসন পেতে পারে তেলুগু দেশম। সমাজবাদী পার্টির ঝুলিতে যেতে পারে ৩টি কেন্দ্রের রাশ। অন্যান্যরা জিততে পারেন ৯১টি আসনে।

    মুখ থুবড়ে ইন্ডি জোট (Lok Sabha Elections 2024) 

    সমীক্ষায় (India TV-CNX Opinion Poll) জানা গিয়েছে, উনিশের নির্বাচনে কংগ্রেস পেয়েছিল ৫২টি আসন। এবার তা আরও কমে হতে পারে ৩৮টি। কংগ্রেস এবং বহুজন সমাজ পার্টিকে খালি হাতে ফেরাবে উত্তরপ্রদেশ। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে বিমুখ করতে পারে জম্মু-কাশ্মীর এবং অসমও। উত্তরপ্রদেশে বিজেপি জয় পেতে পারে ৭৩টি আসনে। এনডিএর শরিক আপনা দল এবং আরএলডি পেতে পারে দু’টি করে আসন। কংগ্রেস পেতে পারে বিহার, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ এবং লাক্ষাদ্বীপের কিছু আসন (Lok Sabha Elections 2024)। কংগ্রেসের তুলনায় তৃণমূল, ডিএমকে, ওয়াইএসআরপি, টিডিপি এবং বিজেডির মতো আঞ্চলিক দলগুলি স্ব স্ব রাজ্যে ভালো ফল করবে। সর্বভারতীয় দল হওয়া সত্ত্বেও, কংগ্রেস যা পারবে না। বাম শাসিত কেরালায় এবার ভালো ফল করতে পারে কংগ্রেস। এখানে সোনিয়া গান্ধীর দল পেতে পারে ৭টি আসন। কর্নাটক, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ু এবং তেলঙ্গনায় কংগ্রেস পেতে পারে যথাক্রমে ৪, ৩, ৮ এবং ৯টি আসন।

    আরও পড়ুুন: শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দুই তৃণমূল নেতার

    লোকসভার ৫৪৩টি আসনে হচ্ছে নির্বাচন। ক্ষমতায় আসতে গেলে কোনও রাজনৈতিক দল কিংবা জোটকে পেতে হবে অন্তত ২৭২টি আসন। কংগ্রেস বা ইন্ডি জোট যে তার ধারেকাছে ঘেঁষতে পারছে না, তা স্পষ্ট সমীক্ষায়ই (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Shahjahan Sheikh: শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দুই তৃণমূল নেতার

    Shahjahan Sheikh: শাহজাহানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, নিজাম প্যালেসে হাজিরা দুই তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালির শাহজাহান শেখের (Shahjahan Sheikh) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি। সূত্রের খবর, যে দুটি অ্যাকাউন্ট ইডি ফ্রিজ করেছে, তার একটি ব্যক্তিগত, অন্যটি ‘মেসার্স শেখ সাবিনা ফিশ সাপ্লাই ওনলি’র অ্যাকাউন্ট। শাহজাহানের আরও বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যও চেয়েছে ইডি।

    ইডির নজর শাহজাহানের ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে (Shahjahan Sheikh)

    প্রাথমিকভাবে শাহজাহানের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১৩৭ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। তাঁদের শ্যেন দৃষ্টি শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) প্রায় ১৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের ওপর। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেও লেনদেন হয়েছে কোটি কোটি টাকা। নিয়ম মেনে এই অ্যাকাউন্টগুলিতে আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এই বিপুল পরিমাণ টাকা শাহজাহান কাদের পাঠিয়েছিল, তা জানতেই এসকে সাবিনা নামের সংস্থার অ্যাকাউন্টটিও ফ্রিজ করেছে ইডি। প্রসঙ্গত, শাহজাহানের এই সংস্থাটির নাম রাখা হয়েছে তাঁর মেয়ের নামে।

    কীর্তিমান শাহজাহান!  

    শাহজাহান ছিলেন তৃণমূলের নেতা। পরে ইডির তদন্তকারীদের মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেই তাঁকে ঝেড়ে ফেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। দলীয় নেতৃত্বের আশীর্বাদী হাত থাকায় কার্যত বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন শাহজাহান। মাছের কারবারের আড়ালে নানা কুকর্মও করে বেড়াতেন বলে অভিযোগ। এভাবে কামানো কালো টাকা সাদা করতেন শাহজাহান। জানা গিয়েছে, শাহজাহান প্রথমে নগদ অর্থ তুলে দিতেন কোনও ব্যক্তি বা সংস্থার হাতে। পরে সেই টাকাই জমা করাতে বলতেন তাঁর অ্যাকাউন্টে।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেস থেকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার সঞ্জয় নিরুপম, যোগ দিচ্ছেন শিন্ডে-শিবিরে?

    এদিকে, শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে ইডির আধিকারিকরা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বুধবার ইডি তলব করেছিল ১৩ জনকে। ওই ঘটনায় ইডি সমন পাঠিয়েছিল হাটগাছি ৬৪ নম্বর বুথের সভাপতি আকবর মোল্লা এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মী আবদুল মতিন শেখকে। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে এসেছেন তাঁরা।

    প্রসঙ্গত, রেশন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁকে জেরা করায় উঠে আসে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের নাম। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। এই ঘটনায়ই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূলের নাম। তাই কেবল শাহজাহানকে (Shahjahan Sheikh) ছেঁটে ফেলে আদৌ কোনও লাভ হবে কিনা, সে প্রশ্ন উঠেছে সন্দেশখালির তৃণমূলের অন্দরেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোটের মুখে স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, শোরগোল

    Nadia: ভোটের মুখে স্ত্রী-সন্তানের সামনেই তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখেই আট বছরের সন্তান ও স্ত্রীর সামনেই নদিয়ার (Nadia) নাকাশিপাড়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জাহিদুল শেখ। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাগিরা বিবির স্বামী। তিনিও স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে জখম হন। এই ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে। ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, লোকসভা ভোটের আগে এই খুনের ঘটনায় যথেষ্ট আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়ার (Nadia) তৃণমূল কর্মী নিজেদের গাড়িতে ইদের বাজার করতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে চালক ছাড়া আর তিন জন অর্থাৎ জাহিদুল ও তাঁর স্ত্রী- পুত্র ছিলেন। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা মাঝ রাস্তায় প্রথমে বোমাবাজি, পরে খেজুর গাছের গুড়ি রাস্তায় ফেলে তাঁদের গাড়ি আটকায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গাড়ির মধ্যে ধারাল অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বার করে এনে তাঁকে কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন জাহিদুল। অভিযোগ, তারপরও তাঁকে আরও কোপানো হয়। আট বছরের সন্তানের সামনেই এসব চলতে থাকে। স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী। ধারাল অস্ত্রের আঘাত তাঁর শরীরেও পড়ে। আক্রান্ত হয় আট বছরের ছোট সন্তানও। স্থানীয় বাসিন্দারাই আর্তনাদ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় বেথুয়াডহরি হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসকরা একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    আরও পড়ুন: “মহিলা-তরুণদের কাছে যান”, ভিডিও-বার্তায় বঙ্গ বিজেপিকে নির্দেশ মোদির

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে মৃত জাহিদুল শেখের ভাইপো বাসির শেখ বলেন, আমার কাকা এবং তার পরিবারকে নিয়ে যখন ঈদের বাজার করে বেথুয়া থেকে বাড়ি ফিরছিল, ঠিক তখনই তাদেরকে রাস্তা আটকানো হয় এবং বোমাবাজি করা হয়। পরবর্তীকালে এলোপাথাড়ি কোপায় দুষ্কৃতীরা। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটালো সেই সম্পর্কে আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share