Tag: tmc

tmc

  • Jalpaiguri: “মানুষ কি ত্রিপল খাবে?”, ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে তৃণমূলকে তোপ অনন্ত মহারাজের

    Jalpaiguri: “মানুষ কি ত্রিপল খাবে?”, ঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে তৃণমূলকে তোপ অনন্ত মহারাজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারের ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজ। মঙ্গলবার তিনি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির বার্ণিশ এলাকায় যান। রবিবারের ঝড়ে সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বার্ণিশ ও পুটিমারি এলাকা। প্রায় ১৫০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গৃহহীন অবস্থায় রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এদিন দূর্গতদের সঙ্গে দেখা করেন অনন্ত মহারাজ। তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা শোনেন তিনি।

    ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বললেন বিজেপি সাংসদ (Jalpaiguri)

    বিজেপি সাংসদকে কাছে পেয়ে দূর্গতরা তাদের অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরেন। সঙ্গে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন তাঁরা জানান শুধু ত্রিপল এবং সামান্য কিছু শুকনো খাবার ছাড়া আর কিছু দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শুকনো খাবারের মধ্যে চিড়া দেওয়া হয়, কিন্তু সেই চিড়া মুখে তোলার যোগ্য নয়। ফলে, কিছুটা না খেয়েই তাদের দিন কাটাতে হচ্ছে। ঝড়ে বাড়ি ঘর উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় তাঁরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। ঘরের আসবাবপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরে থাকা টাকা পয়সা সব ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে। একদিকে আর্থিক সমস্যা, অন্যদিকে মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে সমস্যা। সব মিলিয়ে চুড়ান্ত নাজেহাল অবস্থা তাঁদের। এই সমস্ত বিষয়গুলি তুলে ধরেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    মানুষ কি ত্রিপল খাবে? ক্ষোভ জানালেন বিজেপি সাংসদ

    ক্ষতিগ্রস্তদের কথা মন দিয়ে শোনেন অনন্ত মহারাজ। তিনি তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তৃণমূল সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত খারাপ। গোটা বিষয়টি আমি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবো। শুধু ত্রিপল দিয়েই দায় সারছে রাজ্য প্রশাসন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর মতে মানুষ কি ত্রিপল খাবেন? এই অবস্থায় প্রথম কাজ দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা। কিন্তু, প্রশাসনের তরফে সেইভাবে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এদিন তিনি প্রথমে বার্ণিশ কালীবাড়ি এলাকায় গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন এবং গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন বিজেপি সাংসদ। পরে, পুটিমারি হাই স্কুলে ত্রাণ শিবিরে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি পুটিমারির বিধ্বস্ত এলাকাও ঘুরে দেখেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি নির্বাচন বিধি মেনে যেভাবে সাহায্য করা সম্ভব, সেই ভাবেই তিনি দূর্গতদের সাহায্য করবেন বলে জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগে সরব দলের নেতারা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Arambagh: তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগে সরব দলের নেতারা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘টাকা নেই, সেই কারণেই এবারে প্রার্থী হতে পারিনি’ আরামবাগের (Arambagh) প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এরপরই এবার কাটমানি নিয়ে অপরূপার বিরুদ্ধেই সরব হলেন তাঁর দলের একাধিক তৃণমূল নেতা। এই ঘটনায় শোরগোল আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্র জুড়ে। লোকসভার ভোটের মুখে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী বলেছেন বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ? (Arambagh)

    নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানির অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, এবার লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ (Arambagh) লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ী সাংসদকে সরিয়ে প্রার্থী করা হয় একেবারে নতুন মুখ মিতালী বাগকে। টিকিট না পাওয়া নিয়ে প্রথমদিকে মুখ না খুললেও সম্প্রতি মনের জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ করেন অপরূপা পোদ্দার। দুবারের তৃণমূলের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে লড়াই করার জন্য যে টাকার প্রয়োজন তা আমার কাছে নেই।  তাই এবারে প্রার্থী হননি তিনি। এমনকী আমার কাছে টাকা নেই তা হুগলি জেলার দুই মন্ত্রী জানতেন। অপরূপার এই মন্তব্যের পরেই বিস্ফোরক হতে দেখা যায় আরামবাগ ও গোঘাটের একাধিক নেতা তথা প্রাক্তন জনপ্রতিনিধিদের।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    বিদায়ী সাংসদের বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগে সরব নেতারা

    গোঘাট ২ নং পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ স্বপন সাহানার অভিযোগ, টাকা না থাকায় প্রার্থী হননি তা পুরোপুরি মিথ্যা কথা বলছেন অপরূপা পোদ্দার। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। বনভূমির কর্মাধ্যক্ষের অভিযোগ, এলাকায় শ্মশান চুল্লির অনুমোদন পাওয়ার পরেও অপরূপা পোদ্দারকে কাটমানির টাকা না দিতে পারায় থমকে রয়েছে সেই কাজ। আবার গোঘাটের তৃণমূল নেতা শুভেন্দু মণ্ডলের অভিযোগ, ক্লাবের জন্য সরকারি পাঁচ লক্ষ টাকা পেতে দিতে হয়েছে কাটমানি। অন্যদিকে খানাকুলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান হাইদার আলির অভিযোগ, পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়ার পরেও তাঁর স্ত্রীর চাকরির জন্য টাকার দাবি করা হয়েছিল। পাশাপাশি আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি গুনধর খাঁড়ার অভিযোগ, অপরূপা যা বলছেন সবটাই মিথ্যা। উল্টে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সব মিলিয়ে প্রাক্তন আরামবাগ (Arambagh) সাংসদের বিতর্কিত মন্তব্যের পর বিস্ফোরক তাঁর দলের একাধিক তৃণমূল নেতা। যদিও এই প্রসঙ্গে বর্তমান তৃণমূল প্রার্থী মিতালী বাগকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    Sheikh Shahjahan: চিংড়ি ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নেতা হওয়ার সুবাদে একের এক অন্যায় করে চলেছিল সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। মাথায় দলীয় নেতার আশীর্বাদী হাত থাকায় ক্রমেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল তৃণমূলের এই ‘বাদশা’। তদন্তকারীরা জেনেছেন, চিংড়ি মাছের ব্যবসার আড়ালে ১৩৭ কোটি কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান। সেই টাকা লেনদেনের নথিও সংগ্রহ করেছে ইডি।

    একের পর এক অনৈতিক কাজ!

    জমি দখল, ভেড়ি দখলের মতো কাজও করে শাহজাহান লুটেছিল কোটি কোটি টাকা। শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) নিয়ন্ত্রিত এসকে সাবিনা ফিশারিজ সংস্থায় ১০৪ কোটি টাকা ঢুকেছিল ম্যাগনাম এক্সপোর্টসের মাধ্যমে। অনুপ কুমার সোম নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গত অর্থবর্ষে শাহজাহানের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ৩৩ কোটি টাকা। তদন্তকারীরা জেনেছেন, শাহজাহানের চিংড়ি মাছের ব্যবসার প্রায় ৪০ শতাংশ মাছের জোগান আসত অন্যের দখল করা ভেড়ি থেকে। তাঁর নিজের ভেড়ি থেকে আসত ১০ শতাংশ মাছ। আর বাকি ৫০ শতাংশ মাছ শাহজাহান কিনতেন স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।

    মাছ ব্যবসায়ীদের হুমকি দিত শাহজাহান!

    এলাকায় শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) যে একছত্র অধিপতি হতে চেয়েছিলেন, তারও প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁরা জেনেছেন, উনিশ সালে স্থানীয় চিংড়ি ব্যবসায়ীদের নিয়ে মিটিং করেন শাহজাহান। সেখানে তাঁদের হুমকি দিয়ে রাখে শাহজাহানের শাগরেদরা। জানিয়ে দেয়, তাঁদের সব মাছ বিক্রি করতে হবে তৃণমূল নেতা (অধুনা বহিষ্কৃত) শাহজাহানকে। অন্যত্র মাছ বিক্রি করলে ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় শাহজাহান। প্রাণভয়ে শাহজাহানের ঠিক করে দরেই তাকে মাছ বিক্রি করতেন চিংড়ি ব্যবসায়ীরা। ইডি শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অন্তত ২০ জনের নাম জানতে পেরেছে, যারা দখল করা ভেড়ির মালিক। তারা সমস্ত চিংড়ি বিক্রি করত শাহজাহানকে। মাছ বিক্রির টাকা পৌঁছে যেত শাহজাহানের দুই ভাই এবং শাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাদের অ্যাকাউন্টে।

    আরও পড়ুুন: “আপনার বাড়ির নাম যদি বদলে দিই, বাড়িটা আমার হয়ে যাবে?”, চিনকে তোপ জয়শঙ্করের

    শাহজাহানের নির্দেশে সেই টাকা ব্যবহার করা হত জমি কিনতে কিংবা অন্য কোনও কাজে। জমি কেনা হত আবু সিদ্দিকি হাফিজিয়া ট্রাস্টের নামে। এই ট্রাস্টটি শাহজাহানের বাবার নামে। জমি দখলের কালো টাকা সাদা করা হয়েছে ওই ট্রাস্টের মাধ্যমে। সোমবার আদালতে ইডির আইনজীবী বলেন, “জমি দখলের কালো টাকা চিংড়ি ব্যবসার লেনদেন হিসেবে দেখানো হত। সেই ব্যবসা শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) মেয়ে শেখ সাবিনার নামে।” ইডির দাবি, চিংড়ি কেনাবেচা করে নয়ছয় করা হয়েছে দুর্নীতির টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • Birbhum BJP Candidate: তারাপীঠে পুজো দিয়ে ভোটের ময়দানে নামলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস

    Birbhum BJP Candidate: তারাপীঠে পুজো দিয়ে ভোটের ময়দানে নামলেন বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারাপীঠে পুজো দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামলেন বীরভূমের (Birbhum) বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর (Debasis Dhar)। তাঁর লড়াই তিন বারের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের (Satabdi Ray) বিরুদ্ধে। শীতলকুচির (Sitalkuchi) ঘটনা বদলে দিয়েছে এই পুলিশ অফিসারের জীবন। জানা গিয়েছে, তাঁর অজান্তেই গুলি চলে ছিল। এরপর ঘটনায় অভিযুক্ত করে তাঁকে সাসপেন্ড এবং জেরা করা হয়। তারপরেই তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তবে এই বিজেপি প্রার্থীর (BJP Candidate) তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “বীরভূমে কোনও কাজ করেননি তিন বারের সাংসদ শতাব্দী রায়। রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী আগে ভাগে পদক্ষেপ নিলে বীরভূম নিয়ে এত অভিযোগ উঠত না।”

    কী বললেন দেবাশীষ ধর?

    লোকসভা নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে এদিন দুর্নীতি নিয়েও রাজ্যকে কটাক্ষ করেন দেবাশিস ধর। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “রাজ্য চুরিতে এমন রেকর্ড করে বসে আছে যে আগামী ১০০ বছরে এই রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হবে না। রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় না এলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। শীতলকুচির ঘটনার জন্য অনেক মানসিক পরিবর্তন হয়েছে। ওই ঘটনার পর যা হয়েছে তা যদি না ঘটত তাহলে ডিআইজি হতাম, প্রার্থী হতাম না। ২০১১ সাল থেকেই ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন পুলিশমন্ত্রী। তিনি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতেন তাহলে রাজ্যে এত রাজনৈতিক হিংসা হত না। এত দুর্নীতিও হত না। রাজ্যে মানিক ভট্টাচার্য্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল অথবা বালুর মত ব্যক্তিদের ছড়াছড়ি হত না। তৃণমূলের তিনবারের সাংসদ কোনও কাজ করেননি। মানুষের কাছে গিয়ে তিনি ধাক্কা খাচ্ছেন। অন্য রাজ্যে গেলে বাঙালি হিসেবে লজ্জা হয়। এ রাজ্যে শিল্প বলতে মদ আর জমি বিক্রি ছাড়া আর কিছুই নেই।”

    তারা মায়ের কাছে মানব সেবার কামনা

    প্রসঙ্গত মঙ্গলবার তারাপীঠে (Tarapith) পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী। মায়ের কাছে কী কামনা করলেন জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেন, “প্রার্থনা করেছি এমন কিছু চমৎকার কর যেন জন্ম জন্মান্তর তোমার সেবা করতে পারি। মানুষের হয়ে কাজ করতে এসেছি। প্রশাসনিক পদে থাকা এবং মানুষের জন্য কাজ করা অনেকটাই আলাদা। আমরা ভোটে জয়ী হবো এতে কোনও সন্দেহ নেই। ব্যক্তিগত কোনও লড়াই নেই। সবটাই রাজনৈতিক লড়াই আমাদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ইমেজে লড়াই হবে। আমাদের সরকার এলে রাজ্যের প্রশাসনিক সংস্কার হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ। 

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে”, বিস্ফোরক সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল এখানে জিতলে, গুন্ডারা এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে। তাই তৃণমূলকে জেতানো যাবে না। সাধারণ মানুষকে বোঝাতে হবে। ভোট প্রচারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কর্মীদের উদ্দেশে এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে তৃণমূলকে তোপ (Sukanta Majumdar)

    মঙ্গলবার জেলার কুশমন্ডির মহিষবাথান এলাকায় ভোট প্রচার সারেন বালুরঘাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মহিষবাথানে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা বিনামূল্যে রেশন পাচ্ছেন। আগামী পাঁচ বছর পাবেন। এই গ্যারান্টি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, বিরোধীরা মিথ্যে কথা বলছে। প্রচার করছে, দিদি দিচ্ছে। দিদির তো পকেটই নেই। কোথা থেকে দেবেন! পকেট থাকলেও টাকা নেই। তৃণমূলের ময়া মাছ, দাড়কা মাছ সাইজের নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু, কারও বন্ধ হবে না। যদি কারও বন্ধ হয়ে যায় তা চালু করার দায়িত্ব আমার। ছাব্বিশে রাজ্যে বিজেপি সরকার হলে তিন হাজার টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করা হবে। কিন্তু তার আগেও সরকার চলে আসতে পারে। তাই তৃণমূলকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

    আরও পড়ুন: বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের আশ্বাস দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে

    বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমার বলেন, সিএএ নিয়েও তৃণমূল মিথ্যে বলছে। কথা দিয়েছিলাম, বালুরঘাট-শিয়ালদা ট্রেন চালু করব, করেছি। এত সুন্দর ঝাঁ চকচকে ট্রেন গোটা উত্তরবঙ্গে নেই। এবার দিল্লির ট্রেন চলবে। সন্দেশখালিতে তৃণমূল মা-বোনদের সম্মান নিয়ে খেলেছে। এটা আমাদের এখানে হতে দেওয়া যাবে না।’ এদিনের সভা থেকে তিনি আরও বলেন, বাড়ির বউ- মেয়েদের তৃণমূল নেতাদের বাড়ি ও নেতাদের ধারে পাশে যেতে দেবেন না, তাহলে তাঁদের ইজ্জত লুটে নেবে তৃণমূলের নেতারা। তৃণমূল দল হলো ইজ্জত লুটের দল। এই দল কে কোনও ভাবেই জেতানো যাবে না। তৃণমূল জিতলে এলাকাকে সন্দেশখালি করে দেবে।

    ৩০টি আসনে জিতবে বিজেপি!

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘গতবার বিজেপি ১৮টি আসন জেতায় মুখ্যমন্ত্রীর মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেজন্য মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বিজয় মিছিল করা যাবে না। এবারে আমরা ৩০টি আসন জিতে গেলে আরও বিজয় মিছিল করা যাবে না। সেজন্য আমরা আগামী ৩ তারিখ মনোনয়নপত্র জমা দেব। বিজয় মিছিলও করব। কিন্তু, বিজয় মিছিল করতে গেলে জয় ছিনিয়ে আনতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নরেন্দ্র মোদির কাজ মানুষকে বোঝাতে হবে।’ আর তৃণমূলের প্রার্থী বিপ্লব মিত্রকে জেতানো যাবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: মেলেনি আবাসের বাড়ি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা

    Jalpaiguri: মেলেনি আবাসের বাড়ি, তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবাসে নয়, ভরসা কেরালা মডেল। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির ঝড় বিধ্বস্ত এলাকা বার্ণিশ অঞ্চলের মানুষের ক্ষোভ এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ওপর। ওই এলাকার প্রায় ১৫০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিশ্চিহ্ন হয়েছে প্রায় ৫০০ বাড়ি। এলাকার মানুষের ক্ষোভ, যদি প্রধানমন্ত্রী আবাসের ঘর তাঁরা পেতেন তাহলে এতটা ক্ষতি হত না। এলাকার অধিকাংশ বাড়িই টিনের চালের। তাও আবার কাঁচা বাড়ি। কিছু বাড়ির অর্ধেক দেওয়াল রয়েছে তাতে কী? বিধ্বংসী ঝড়ের কাছে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে বাড়িগুলি।

    ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা কী বললেন? (Jalpaiguri)

    স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব রায়, নৃপেন অধিকারীরা বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইনি। আমরা এই এলাকার আদি এবং স্থায়ী বাসিন্দা। অথচ যারা সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়িতে এসেছেন, তাঁরা ঘর সহ অন্যান্য সুবিধা পেয়ে যাচ্ছেন। শুধু তাই নয় এলাকায় তেমন ভাবে কাজের বা রোজগারের কোনও সুযোগ সুবিধা নেই। তাই বাধ্য হয়েই এলাকার ছেলে বুড়ো প্রায় সকলেই কেরালায় কাজ করেন। তাদের উপার্জিত টাকা দিয়েই বাড়ির লোকজন ঘরবাড়ি তৈরি করছিলেন। কিন্তু, ঝড়ের তান্ডবে সব শেষ হয়ে গেল। স্থানীয় নেতাদের উদ্দ্যেশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে স্থানীয়রা বলেন, যদি সরকার বিবেচনা করে সঠিক মানুষকে ঘর দেয় তাহলে ভালো হত। কিন্তু, এখানে উল্টো, স্থানীয় নেতাদের সুপারিশ করা লোকজনই সমস্ত সুবিধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা। সেই কারণে আস্থা হারিয়েছেন। বেছে নিয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজ। সেখানেই তাঁরা আর্থিকভাবে  সুরক্ষিত। উপার্জনও ভালো, তাই গ্রামের উঠতি যুবকরা কেউই আর এলাকায় থাকছেন না। কেউ শ্রমিকের, কেউ বা রাজমিস্ত্রীর, কেউ আবার কাঠমিস্ত্রীর কাজ করতে কেরলায় পাড়ি দিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের আশ্বাস দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    আবাস যোজনার বাড়ি নিয়ে তোপ দেগেছিলেন শুভেন্দু

    সোমবার শুভেন্দু অধিকারী জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ঘটনাস্থলে এসে জানিয়েছিলেন, আবাস যোজনায় টাকা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। কিন্তু, রাজ্য সরকার সেই টাকা নয়ছয় করেছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় একটিও ঘর দেয়নি রাজ্যের বাসিন্দাদের। যদি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর এই এলাকায় দেওয়া হতো তাহলে এই দুর্গতি হত না। সেই ঘর শক্তপোক্ত হতো। ছাদ দেওয়া ঘর হতো, ঘরবাড়িগুলি অন্তত উড়ে যেত না। অন্যদিকে এলাকার মানুষ ভরসা রাখছে কেরলের ওপর বা অন্য রাজ্যের ওপর, যেখান থেকে অন্তত রুজিরুটির যোগান টুকু মেলে। পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন তুলে দেওয়ার গ্যারান্টি টুকু থাকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi in North Bengal: উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে ঝড় তুলবেন মোদি, সভা জলপাইগুড়িতেও

    PM Modi in North Bengal: উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে ঝড় তুলবেন মোদি, সভা জলপাইগুড়িতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাকৃতিক বিপর্যয় এখন রাজনীতির ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) কয়েক মিনিটের ঝড় (Tornado) প্রভাব ফেলেছে রাজনীতির আঙিনায়। এবার প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) এই কেন্দ্রে বঙ্গ সফরে বেশি সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিজেপি (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রথম দফাতেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নির্বাচন (Election) হবে। কিন্তু নির্বাচনের আগে টর্নেডোর তাণ্ডব এখন ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভোটের প্রচার (Election Campaign) থমকে গিয়েছে ঝড়ের প্রভাবে। থমকে গিয়েছে স্থানীয় মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন। তবে ভোটপ্রচার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা সম্ভব নয় রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে। গণতন্ত্রের উৎসব বলে কথা।

    বৃহস্পতিবার কোচবিহারে মোদি

    প্রসঙ্গত রবিবার ঝড়ের খবর পেয়েই জলপাইগুড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), তড়িঘড়ি টুইট করে প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। উল্লেখ্য ১৯ এপ্রিল কোচবিহার (Coochbehar), আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) ও জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আসনে নির্বাচন হবে। ভোট প্রচারে ঝড় তুলতে বৃহস্পতিবার কোচবিহারে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানে জনসভা করার কথা রয়েছে তাঁর। এরপর রবিবার জলপাইগুড়িতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিনই বালুরঘাটেও সভা করার কথা রয়েছে তাঁর।

    রাজ্যে ৩০টির বেশি সভা মোদির

    উত্তরবঙ্গ পাখির চোখ বিজেপির। নিজেদের গড় ধরে রাখার লড়াই চালাচ্ছে বিজেপি। কোচবিহারের প্রার্থী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, বালুরঘাটের প্রার্থী বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়। তিন হেভিওয়েট কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও ভাষণ সহযোগে প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির দাবি, শুধু উত্তরবঙ্গ নয় লোকসভা ভোটে গোটা পশ্চিমবঙ্গে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপি। ভোট ঘোষণার আগেই রাজ্যে একাধিক সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বারাসত, কৃষ্ণনগর ও আরামবাগে সভা করে প্রচারে ঝড় তুলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে রাজ্যে ৩০টির বেশি সভা করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। এছাড়াও অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা সহ বিজেপির তারকা প্রচারকদের শতাধিক সভা ও মেগা র‍্যালি হবে রাজ্যজুড়ে।

    আরও পড়ুনঃ ভারতে চলবে না পেট্রল-ডিজেল গাড়ি! কী বললেন নিতিন গড়করি?

    উত্তরবঙ্গ বিজপির পাখির চোখ

    বিজেপি সূত্রের খবর, কোচবিহারের রাসলীলা ময়দানে মোদির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে বৃহস্পতিবার। এরপর রবিবার রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কেন্দ্র বালুরঘাটে দুপুর ২:৩০ নাগাদ সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি বিকেল চারটে নাগাদ যাবেন জয়ন্ত রায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র জলপাইগুড়িতে। সেখানে সভা করবেন তিনি। যেহেতু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভালো ফল করেছিল এবং সার্বিকভাবে বিগত বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তরবঙ্গ থেকে বেশ কয়েকটি আসন নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয় বিজেপি, তাই উত্তরবঙ্গকে এবারও পাখির চোখ করেছে গেরুয়া শিবির। সে কারণেই প্রচারে কোনও রকম খামতি রাখতে চাইছে না বিজেপি। তাই আগেভাগেই উত্তরবঙ্গের সমস্ত আসনে প্রচারে ঝড় তুলে ভোটারদের নিজেদের পক্ষে করার স্ট্র্যাটেজি নিয়েছে পদ্মফুল শিবির।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Telegram, Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের আশ্বাস দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    Cooch Behar: বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারের আশ্বাস দিলেন নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কেন্দ্রে তৃণমূল, সিপিএম ছেড়ে লাইন দিয়ে গেরুয়া বাহিনীতে যোগদান পর্ব চলছে। এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ করছেন কোচবিহারের (Cooch Behar) বিজেপি প্রার্থী। তৃণমূল বিধানসভায় ক্ষমতায় এসে বামেদের বহু কার্যালয় জোর করে দখল করে রেখেছে। এবার দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিশীথ প্রামাণিক বামেদের বার্তা দেন।

    বামেদের দখল হওয়া পার্টি অফিস খুলে দেওয়ার বার্তা নিশীথের (Cooch Behar)

    আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসন হল কোচবিহার (Cooch Behar)। এখান থেকে বিজেপি ফের একবার ভরসা রেখেছে বিদায়ী সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কোচবিহারে ভোটের লড়াই মূলত দ্বিমুখী। তৃণমূল বনাম বিজেপি। তবে কংগ্রেস ও ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থীও রয়েছে এখানে। ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে প্রার্থী করা হয়েছে নীতীশচন্দ্র রায়কে। এককালে কোচবিহার ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্ত ঘাঁটি হলেও, এখন সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই কমেছে ফরওয়ার্ড ব্লকের। এমন অবস্থায় বামেদের ভোট বিজেপির দিকে টানার চেষ্টায় কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। ভোটের আগে এবার বামপন্থীদের উদ্দেশে বার্তা দেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের। ভোটপর্ব মিটে গেলে, বামপন্থীদের দখল হয়ে যাওয়া পার্টি অফিস উদ্ধারে সাহায্য করার আশ্বাস দিলেন তিনি। নিশীথ প্রামাণিক বলেন, ‘যেখানে যেখানে বামপন্থী ভাইদের পার্টি অফিস তৃণমূল দখল করেছে, তারা উদ্ধার করতে না পারলে, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজেপি সেই পার্টি অফিস উদ্ধার করে বামপন্থী ভাইদের হাতে তুলে দেবে।’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বামপন্থীরা যাতে ভোট নষ্ট না করেন, বার্তাও দিয়ে রাখলেন নিশীথ।

    আরও পড়ুন: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও নিশীথের বামেদের প্রতি এই আশ্বাসকে খোঁচা দিতে ছাড়ছেন না কোচবিহারের (Cooch Behar) দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর পাল্টা আক্রমণ, ‘আজকের প্রতিশ্রুতিটা অনেকটা সুপারি কিলারদের মতো। সুপারি কিলাররা যেমন টাকা নিয়ে খুন করে, তেমন তিনিও বলেছেন ভোট দিন, আমরা পার্টি অফিস উদ্ধার করে দেবেন।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dev: “আবাসের বাড়ি পাইনি, মেলেনি সরকারি সুবিধা”, দেব-এর প্রচারে মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ

    Dev: “আবাসের বাড়ি পাইনি, মেলেনি সরকারি সুবিধা”, দেব-এর প্রচারে মন্ত্রীর সামনে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় তারকা প্রার্থী দেব-কে (Dev) নিয়ে ভোটের প্রচারে বেরিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়লেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শিউলি সাহা। প্রকাশ্যে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ জানানোয় চরম বিড়ম্বনায় পড়েন তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী। তবে, ভোটের মুখে এই ক্ষোভ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ (Dev)

    সোমবার বিকেলে কেশপুরে প্রচারে আসেন দেব (Dev)। তাঁর গাড়ির আগেই ছিল মন্ত্রী তথা কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহার গাড়ি। ছুতারগেড়্যার কাছে দলের নেতা-কর্মীদের জটলা দেখে গাড়ি দাঁড় করান শিউলি। রাস্তার পাশে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয়। বাম আমলে এটিই সিপিএম কার্যালয় ছিল। পালাবদলের পরে ‘দখল’ হয়েছে বলে অভিযোগ। মন্ত্রী যখন নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন তাঁর গাড়ির সামনে আসেন কাবরুল বেগম নামে স্থানীয় এক মহিলা। অভিযোগ করে বলেন, আবাসের বাড়ি দেয়নি। আমার বড় ছেলে শেখ বরজাহান আলি একশো শতাংশ প্রতিবন্ধী হয়েও সরকারি ওই প্রকল্পের সুবিধা পাননি। অথচ গ্রামের এমন অনেকে বাড়ি পেয়েছেন, যাঁদের পাওয়ার কথাই নয়। গাড়ির কাছে গিয়ে কাবরুল মন্ত্রীকে শোনান, “আমি মমতাকে দেখে পার্টি করেছি। এই পার্টি অফিসের জায়গাটা আমার শ্বশুরের। দেব আমার দেশের ছেলে। আমি কাউকে ভয় করিনি। অন্য অনেকে দু’তলা, তিনতলা বাড়ি করছে। আমার প্রতিবন্ধী ছেলেটা কেন বাড়ি পাবেনি? এটা শুধু আমার ব্যাপার নয় আরও অনেকের ব্যাপার।”

    আরও পড়ুন: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    অভিযোগকারীকে বলতে বাধা!

    অদূরে তখন দেবের গাড়ি। প্রশ্নের মুখে অস্বস্তিতে পড়েন শিউলি। নেতা-কর্মীরা ওই মহিলাকে সরানোর চেষ্টা করেন। কাবরুল তখন বলে ওঠেন, “সরাচ্ছো কেন? দল করার জন্য দুর্দিনে মার খেয়েছি। সুদিনে আমাদের দল দেখেনি।” শিউলি বোঝানোর চেষ্টা করেন, “আরে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার দিচ্ছে না তো।” কয়েকজন নেতার আশ্বাসে শেষে কাবরুল শান্ত হন। মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে এই ক্ষোভের কথা কানে উঠতেই কেশপুরের ভূমিপুত্র দেব (Dev) বললেন, “শুধু মানুষের ভালো কথা শোনার জন্য তো আর জনপ্রতিনিধি হয় না। মানুষের রাগ, অভিমান-এ সবও শুনতে হয়। মানুষ তাঁর কাছেই আক্ষেপ করেন, যাঁকে বিশ্বাস করেন।”

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এতদিন ধরে তৃণমূল করার পরও ওই মহিলা আবাস যোজনায় বাড়ি পাননি কেন? স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য মহম্মদ রফিকের দাবি, “ওঁর এক ছেলে বাড়ি পেয়েছে। উনি সেটা জানেন না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “ভোটারদের তেজপাতা মনে করেন মমতা”, শীতলকুচির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটারদের তেজপাতা হিসেবে ব্যবহার করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শীতলকুচির সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা তৃণমূলকে তোপ দাগলেন। পাশাপাশি দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটারদের কাছে আবেদন রাখলেন। এমনিতেই শীতলকুচিতে বিজেপির ভালো ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। তবে, তৃণমূল এবার লোকসভায় ভোট টানার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।

    তৃণমূলকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্য রাজনীতির নিরিখে অন্যতম চর্চিত অঞ্চল হল শীতলকুচি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে গুলি চলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক দূর গড়িয়েছিল রাজনীতির জল। শাসক-বিরোধী চাপানউতোর চলেছে দীর্ঘদিন। সেই শীতলকুচির মাটিতেই নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সারলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, তত তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতির বাতাবরণ। তৃণমূল, বিজেপি সব দলই একে অন্যকে নিশানা করছে। কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছে না। এসবের মধ্যেই এবার শীতলকুচির সভা থেকে কড়া ভাষায় তৃণমূল শিবিরকে বিঁধলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সভা মঞ্চ থেকে শীতলকুচির আমজনতার উদ্দেশে বললেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আপনাদের তেজপাতা বলে মনে করেন।” সাধারণত, তেজপাতা হল প্রতিটি বাঙালির হেঁশেলের নিত্যদিনের ব্যবহারের একটি জিনিস। কিন্তু, সেটা শুধুই ব্যবহার হয় রান্নার স্বাদ বাড়ানোর জন্য, খাওয়ার জন্য নয়। রান্নার পর খাওয়ার সময় সেই তেজপাতা পাতে পড়লে সরিয়ে রাখা হয়। কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের সমর্থনে শীতলকুচির নির্বাচনী প্রচার সভায় শুভেন্দুর দাবি, শাসক শিবির সেখানকার আমজনতাকে ‘তেজপাতা’ বলে মনে করেন। এরপরই শুভেন্দু ব্যাখ্যা দিলেন, “তেজপাতা তরকারিতে লাগে, কিন্তু খাওয়া যায় না।” ভোটারদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন, দয়া করে এদের হাতে ব্যবহার হবেন না।’

    আরও পড়ুন: পক্ষপাতের অভিযোগে রাজ্যের ২ সিনিয়র নির্বাচনী অফিসারকে সরাল কমিশন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share