Tag: tmc

tmc

  • Serampore: “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে, বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট”, কল্যাণকে আক্রমণ কবীরের

    Serampore: “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে, বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট”, কল্যাণকে আক্রমণ কবীরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ময়দানে প্রাক্তন শ্বশুর-জামাইয়ের লড়াই ব্যাপক ভাবে জমে উঠেছে। কেউ কারুর জমি এক ইঞ্চি ছেড়ে দিতে নারাজ। শ্রীরামপুর (Serampore) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন কবীর শঙ্কর বোস অপরদিকে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণ নির্বাচনের প্রচারে বলেছিলেন বাউন্ডারি হাঁকাবেন। এবার পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে কবীর বলেন, ‘বোল্ড আউট হবেন।”

    মাহশে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু কবীরের (Serampore)

    শ্রীরামপুরে (Serampore) পরপর তিনবারের তৃণমূল সাংসদ হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারেও তাঁর আশা জয়ের। অপরদিকে বিজেপি প্রার্থী আইনজীবী কবীর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছিলেন। এবারের লোকসভায় দুই প্রার্থী পুরোদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এদিন বিকেলে মাহেশে জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়ে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রচার শুরু করেন বিজেপি প্রার্থী কবীর। ঘটনাচক্রে বিজেপি প্রার্থী কবির শঙ্কর বোস হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের প্রাক্তন স্বামী। প্রাক্তন শ্বশুরকে আক্রমণ করে কবির শঙ্কর বলেন, “চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে। বাউন্ডারি নয় উনি বোল্ড আউট হবেন। ৪ জুন ব্যাগপত্র গুছিয়ে চলে যেতে হবে।”

    আরও পড়ুনঃ “যেখানেই দাঁড়াব সেখানেই জিতব”, কেন্দ্র বদলেও স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ

    কী বললেন কবীর?

    এদিন শ্রীরামপুরের (Serampore) বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর, কল্যাণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “সব মানুষের একটা অতীত থাকে এবং বর্তমানও থাকে। এই প্রেক্ষিতে ভবিষ্যৎ থাকে। আমি একজন আইনজীবী, তিনিও আইনজীবী। উনার প্রতি আমার সম্মান রয়েছে। কিন্তু তিনি যে দলে রয়েছেন, সেই দল মাথা থেকে পা পর্যন্ত দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। এই বাংলায় তাঁদের মুখ দেখানোর জায়গা নেই।”

    উপরাষ্ট্রপতিকে বিকৃত অঙ্গভঙ্গি করেছিলেন কল্যাণ

    উল্লেখ্য শ্রীরামপুরের (Serampore) তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্প্রতিক সময়ে সংসদ থেকে সাসপেন্ড হয়ে রাজ্যসভার অধ্যক্ষ তথা দেশের উপরাষ্ট্রপতিকে বিকৃত অঙ্গভঙ্গী করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। আবার বিভিন্ন সময়ে সমাজিক মাধ্যমে ঠাকুরের সামনে বাঁধ ভাঙা কান্নার ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। আবার একটা সময় দলের অন্দরে অভিষেকের সঙ্গে সংঘাত চরমে উঠলে এলাকায় কল্যাণের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ে। ফলে তৃণমূলের অন্দরের কোন্দলকে বিজেপি কতটা কাজে লাগাতে পারে, সেটাই এখন দেখার।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: “ভুয়ো জবকার্ডের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার!”, বিস্ফোরক দাবিতে প্রচার শুরু অসীমের

    Purba Bardhaman: “ভুয়ো জবকার্ডের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার!”, বিস্ফোরক দাবিতে প্রচার শুরু অসীমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভুয়ো জবকার্ডের টাকায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়া হচ্ছে” বলে বিস্ফোরক দাবি তুলে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) লোকসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। রবিবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর সোমবার থেকে সংসদীয় ক্ষেত্রে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নিজের গানের মাধ্যমে এলাকায় প্রচার শুরু করেছেন তিনি। একই ভাবে রাজ্যে মমতা সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেন।

    কী বলেছেন অসীম সরকার (Purba Bardhaman)?

    পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন শর্মিলা সরকার। অপরদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অসীম সরকার। তিনি এদিন লোকসভার ভোটে প্রচারে গিয়ে বলেন, “১০০ দিনের টাকা চুরি করে তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিচ্ছে। ১ কোটি ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড করে যে টাকা নিয়েছে সেই টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে দেওয়া হয়েছে। টাকার হিসেব দিলেই সব বোঝা যাবে। জেতা সিট হলেই তৃণমূল জয়ী হবে এমন কোনও কথা নেই। বামেদের অনেক আসন জেতা ছিল, আজ কি আর আছে? বর্তমান পরিস্থিতিকে মাথায় রেখে ভোট দিতে হবে। তবে মানুষ যদি গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তাহলে তৃণমূল আরব সাগরে গিয়ে পড়বে। প্রতি বুথে এবার থেকে ৬ জন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। সঠিক ভাবে ভোটের গণনা হবে। মানুষের রায়ে গেরুয়া ঝড় উঠবে রাজ্যে।”

    আরও পড়ুনঃ রানিমার নাম ঘোষণা হতেই দেওয়ালে লিখন শুরু, রাজবাড়ীতে বিজেপির উচ্ছ্বাস

    শর্মিলাকে আক্রমণ

    এদিন গানের মাধ্যমে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) তৃণমূল প্রার্থীকে তীব্র আক্রমণ করেন অসীমবাবু। তিনি তৃণমূল প্রার্থীকে নিজের স্বরচিত কবি গানের মাধ্যমে ভোটের প্রচারে আক্রমণ করে বলেন, “ও মা শর্মিলা সরকার তুমি নাকি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, তুমি অদৃশ্য মন দেখতে পার, কিন্তু চোর দেখার চোখ নেই।” তিনি কালনার ১০৮ শিব মন্দিরে পুজো দেন এবং কালনা শহরে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আবিরও খেলেন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে জেলার (Purba Bardhaman) তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ বলেন, “অনেক তদন্ত বিজেপি করাচ্ছে। কিন্তু কোনও ভাবেই তৃণমূলকে দোষী প্রমাণ করতে পারবেন না। অসীম সরকার এই এলাকার মানুষ নন। তাঁর অনেক ভিডিও ভাইরাল হয়। তাঁকে বিজেপির লোকজন পাত্তা দেয় না। আমি আর কী পাত্তা দেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    Raiganj: মন্দিরে পুজো দিয়ে হোলি খেলে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে আর বেশি দেরি নেই। স্বাভাবিকভাবেই দলের তরফে নাম ঘোষণা হতেই রঙের উৎসবের দিনেই জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়লেন রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন কর্মী-সমর্থকরা। মন্দিরে পুজো দিয়ে দিনভর চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সঙ্গে হোলি খেলায় মেতে ওঠেন বিজেপি প্রার্থী।

    কে এই কার্তিক পাল? (Raiganj)

    রবিবার রাতেই দিল্লি থেকে রায়গঞ্জ (Raiganj) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে কার্তিক পালের নাম ঘোষণা করা হয়। বিদায়ী সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরীকে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ফলে, রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর বিরুদ্ধে ভোট যুদ্ধে সামিল কার্তিকবাবু। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তিকবাবু ভূমিপুত্র। একসময় তিনি পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি এলাকায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছিলেন। ২০১৯ সালের পর তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। এলাকায় তাঁর নিবিড় জনসংযোগ রয়েছে। এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। ফলে, কার্তিকবাবু প্রার্থী হওয়াতে শুধু বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা খুশি হয়েছেন তা নয়, সাধারণ মানুষও বেজায় খুশি।

    আরও পড়ুন: চন্দ্রনাথের বাড়িতে উদ্ধার ৪১ লাখ, চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রীকে তলব ইডির

    দোল ও হোলিতে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার কালিয়াগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বয়রা কালী মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী। এরপরেই জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার ও দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে প্রচারে বেরিয়ে পড়েন কার্তিক পাল। মাড়োয়ারি পট্টিতে দোল উৎসবে সামিল হন তিনি। তারপর  কালিয়াগঞ্জের শ্রীকলোনিতে অবস্থিত প্রয়াত প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মূর্তিতে মাল্যদান করেন। দলীয় নেতা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাহেবঘাটা এলাকায় এক নাবালিকার সমাধিস্থলে শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে রাধিকাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের সমাধিস্থলেও মাল্যদান করেন। পাশাপাশি পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। মঙ্গলবার শেঠ কলোনি, মহেন্দ্রগঞ্জ এলাকায় হোলি খেলার পাশাপাশি চুটিয়ে জনসংযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। পরে, কার্তিকবাবু বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল কোনও ফ্যাক্টর হবে না। আমার বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীর সঙ্গে আমারপ মূল লড়াই হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে, হোলি খেলে বর্ধমানে লোকসভার প্রচারে দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে, হোলি খেলে বর্ধমানে লোকসভার প্রচারে দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বর্ধমানে হোলি খেলে লোকসভার প্রচারে অংশ গ্রহণ করলেন বিজেপি প্রার্থী। এই ভোটের প্রচার উপলক্ষে বর্ধমানের ১০৮ শিব মন্দিরে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে পুজো দিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিন সকালে দুর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমন সেরে কর্মীদের সাথে দেওয়াল লিখনে যোগদান করলেন তিনি। তারপর সেখানে চায়েপে চর্চা সেরে বর্ধমানে আসেন তিনি। চা পানের সময় মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় নেতা কর্মীদের সঙ্গে হোলির শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মঙ্গলবারে পুজো দিয়েই প্রচার শুরু করে দেন তিনি।

    কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

    এই দিন নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পৌঁছে প্রচার অভিযান শুরু করে দেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। আগের বারে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির জয়ী প্রার্থী ছিলেন এই প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। তবে কেন্দ্র বদল হলেও জয় বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তিনি এদিন বলেন, “শক্ত আসন বুঝেই দল আমাকে প্রার্থী করেছে। এই কেন্দ্রে বিজেপিই বিপুল ভোটে জয়ী হবে। বাংলায় লোক কম পড়েছে তাই বিহার থেকে তৃণমূলকে প্রার্থী ভাড়া করে আনতে হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা রীতিমত ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। জয় আমাদের নিশ্চিত।”

    আরও পড়ুনঃ ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব’, তৃণমূলকে আক্রমণ অর্জুনের

    মানুষের হয়ে লোকসভায় প্রশ্নের আশ্বাস

    এদিন দুর্গাপুরে সিটি সেন্টারে একটি বেসরকারি হোটেল থেকে বেরিয়ে শহরের প্রাণ কেন্দ্র সিটি সেন্টার, বেঙ্গল অম্বুজা এলাকায় রাস্তায় হেঁটে প্রচার করেন দিলীপ (Dilip Ghosh)। চলতি পথে লোকের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর তিনি চতুরঙ্গ মাঠে পৌঁছান। তিনি মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন মানুষের হয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করবেন, সমস্যার কথা তুলে ধরবেন। আগামী দিনেও মাঠে মায়দানে থেকে লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনে শাসকদল সন্ত্রাস করবে না এমনটা হতে পারে না। আর এটা কমিশন খুব ভালো করে জানে। আর তাই ১০০ কোম্পানি বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। সিপিএমের অত্যাচারের থেকেও বেশি তৃণমূল অত্যাচার করছে। মানুষ ভোটের মাধ্যমে পরিবর্তন আনবেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা রাখেননি দেব, ঘাটালে পড়ল পোস্টার, শোরগোল

    Dev: ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা রাখেননি দেব, ঘাটালে পড়ল পোস্টার, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিকাঠামো উন্নয়নে স্কুলকে ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব (Dev) ওরফে দীপক অধিকারী। কথা রাখেননি বিদায়ী সাংসদ। লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে পড়ল পোস্টার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়়িয়ে পড়েছে।

    ৫০ লক্ষ টাকা স্কুলকে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন দেব (Dev)

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পুরসভা এলাকায় রয়েছে ‘খড়ার সূর্যকুমার হেমাঙ্গিনী হাইত বালিকা বিদ্যালয়’। সেই স্কুল বিল্ডিং-এর বেহাল দশা। পরিস্থিতি নিয়ে ছাত্র ও অভিভাবকদের মধ্যে ছড়িয়েছিল আতঙ্ক। এ কথা জানতে পেরে গত বছরের ৮ অক্টোবর খড়ারে স্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দেব (Dev)। সেখানেই তিনি ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কয়েক মাস কেটে গেলেও দেবের কথা দেওয়া টাকা এখনও স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকমাস কেটে গেলেও কেন টাকা দেওয়া হল না, সেই অভিযোগ তুলেই পোস্টার দেওয়া হয়েছে এলাকায়। পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘হিরণ জিতে দেবে টাকা।’

    আরও পড়ুন: ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব’, তৃণমূলকে আক্রমণ অর্জুনের

    স্কুল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    এই প্রসঙ্গে কয়েকদিন আগেই দেব (Dev) দাবি করেছেন যে টাকা দিয়ে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট সময়ে। তবে, এখনও সেই টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ পায়নি। টাকা যে এখনও পর্যন্ত দেব স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেননি, তা স্বীকার করেছেন স্কুল পরিচালন কমিটি ও স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। সেই কারণেই বিজেপি দাবি করেছে যে, দেব কথা রাখেননি। কয়েকদিন আগে প্রচারে এই নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হলে দেব বলেন, বিষয়টি মাথায় আছে। টাকা দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, আমরা  রাজনীতি বুঝি না, শুধু দ্রুত উন্নয়ন চাই স্কুলের।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, আমি নিজে টাকা জোগাড় করেছিলাম, কিন্তু তৃণমূল ধমকে-চমকে সেই টাকা নিতে নিষেধ করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। ভোটের জন্য এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনও লাভ হবে না। পরবর্তীতে এসব নিয়ে আন্দোলন আরও বড় হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “যেখানেই দাঁড়াব সেখানেই জিতব”, কেন্দ্র বদলেও স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ

    Dilip Ghosh: “যেখানেই দাঁড়াব সেখানেই জিতব”, কেন্দ্র বদলেও স্বমহিমায় দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কেন্দ্রের বদল ঘটেছে। আগের বার ২০১৯ সালের লোকসভার ভোটে মেদিনীপুর থেকে জয়ী হয়েছিলেন এই নেতা। এবার তাঁর কেন্দ্রের বদল ঘটেছে। এবার তিনি লড়বেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্র থেকে। তবে কেন্দ্র বদলে তৃণমূলের কটাক্ষকে পাল্টা নিজের স্বমেজাজে উত্তর দিয়ে বলেন, “যেখানেই দাঁড়াব সেখানেই জিতব।”

    কী বললেন দিলীপ (Dilip Ghosh)?

    তৃণমূলের পক্ষ থেকে মেদিনীপুরের প্রার্থী হয়েছেন জুন মালিয়া। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অগ্নিমিত্রা পল। মূলত মহিলা প্রার্থীর বিরুদ্ধে মহিলা প্রার্থী দিয়ে বিজেপি নির্বাচনী লড়াইকে বিরাট চমক দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। অপর দিকে বিজেপির দক্ষ সংগঠক দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) দলের নির্বাচনী কেন্দ্র বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী হয়ে বলেন, “যেখানে আমি লড়ব সেটাই আমার কেন্দ্র। আর সেখানেই আমি জিতব। দল সেই কারণে আমাকে ওখানে পাঠিয়েছে। আমি সংগঠনকে গ্রামেগঞ্জে নিয়ে গিয়েছি। আমরা সকলে নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য লড়াই করার ময়দানে নেমেছি। ফলে সব জায়গাতে আমাদের নির্বাচনী লড়াই করতে হবে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমি কোনভাবেই যাবো না।” তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন আজই আমি নির্বাচন কেন্দ্র দুর্গাপুর যাবো।

    আরও পড়ুনঃ চিন থেকে ঋণ নেওয়াই কি কাল হল দেশটির? কী বললেন মালদ্বীপের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি

    টিকিট প্রত্যাশিত ছিল

    ২০১৯ সালে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে লোকসভার নির্বাচনে লড়াই করে ১ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির প্রাক্তন সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এই কেন্দ্রের প্রতি বুথে বুথে সংগঠন তৈরি করেছিলেন তিনি। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে তিনি এই কেন্দ্রেই নিজের টিকিট প্রত্যাশা করেছিলেন। এমনকী নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে সেই কথা জানিয়েও ছিলেন। কিন্তু দলের ইচ্ছেতে তাঁকে বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকেই লড়তে হচ্ছে। অবশ্য কেন্দ্র বদলে জয়ের বিষয়ে বিন্দু মাত্র চিন্তিত নন। তিনি বলেন, “মোদিজির সৈনিক হিসাবে যে কোনও জায়গা থেকে লড়াই করতে বললে পিছু পা হবো না।” অপর দিকে মেদিনীপুর তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া বলেছেন, “দিলীপদা মানসিক চাপে রয়েছেন।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব’, তৃণমূলকে আক্রমণ অর্জুনের  

    Barrackpore: ‘মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব’, তৃণমূলকে আক্রমণ অর্জুনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈহাটিতে বড়মার মন্দিরে পুজো দিয়ে নির্বাচনের প্রচার শুরু করলেন বারাকপুরের (Barrackpore) বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং। গতকাল চতুর্থ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এরপর আজ থেকেই প্রচারে নেমে পড়লেন বিজেপি প্রার্থীরা। তৃণমূলের প্রার্থী পার্থ ভৌমিককে আক্রমণ করে নির্বাচনে জয়ের সঙ্কল্প নিলেন অর্জুন। তিনি বললেন, “মায়ের আশীর্বাদে অসুর শক্তিকে নাশ করব।” পাল্টা তৃণমূল কটাক্ষ করেছে বিজেপিকে।

    কী বললেন অর্জুন সিং (Barrackpore)?

    বারাকপুরের (Barrackpore) বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “মায়ের কাছে প্রার্থনা করলাম, মা আমাকে সফল করুন। যত অসুর শক্তি আছে, তাদের নাশ করবেন।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “পার্থ ভৌমিক এই এলাকার ভূমিপুত্র নন। ভূমিপুত্র হলে নৈহাটি ছেড়ে সোদপুরে যেতেন না। তাঁর বাড়ি ওখানেই। নৈহাটিতে মোহভঙ্গ হয়েছে তাই বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকেন। এই শিল্পাঞ্চলের মানুষ ২০১১ থেকে ভূমিপুত্র হিসাবে অর্জুনকেই পেয়েছেন। মানুষের সুখে দুঃখে আমাকেই পায় কাছে। তাই মায়ের কাছ থেকে আমার উপর আশীর্বাদ যেন বর্ষিত হয়।”

    আর কী বললেন?

    বারাকপুরের (Barrackpore) প্রার্থী অর্জুন আরও বলেন, “আমার পরিবার ১৪০ বছরের পরিবার। এই এলাকায় আমরা ১৪০ বছর ধরে মানুষের সেবা করে আসছি। এই এলাকার মানুষের আশীর্বাদ আমার উপরে থাকবে।” অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, “৪ জুন ফলাফল আসবে। অর্জুন সিং নিজে চোখে সর্ষে ফুল দেখবেন।”

    উল্লেখ্য তৃণমূলের ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় বারাকপুরের প্রার্থী হিসাবে পার্থ ভৌমিকের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময়ে অর্জুন বলেন আমার সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ করা হয়েছে। আগে জানতে পারলে আসতাম না সভায়। কিন্তু অর্জুন সিং প্রথম বারের জন্য ২০১৯ সালে সাংসদ হয়েছিলেন বিজেপির টিকিটেই। পরে ২০২১ সালের পর নিজে আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলের ফিরে যান। কিন্তু ফের এবার লোকসভার আগে তৃণমূল থেকে টিকিট না পেয়ে আরেকবার দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। লোকসভা নির্বাচনের আবহে বারাকপুর  এখন বেশ সরগরম।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijit Ganguly: তমলুকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি

    Abhijit Ganguly: তমলুকে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিচারপতি হিসেবে তাঁর ভূমিকা দেখেছেন রাজ্যবাসী। বহু বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের কাছে তিনি “ভগবান” হয়ে উঠেছিলেন। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির সেই প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijit Ganguly) তমলুক কেন্দ্রে প্রার্থী করে বড় চমক দিল বিজেপি। তবে, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর তমলুক কেন্দ্রে দাঁড়়ানোর বিষয়ে জল্পনা চলছিল। এবার সেই জল্পনাই সত্যি হল।

    প্রাক্তন বিচারপতির ওপর আস্থা রাখল বিজেপি (Abhijit Ganguly)

    গত ৩ মার্চ, বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। তার পরদিনই কলকাতা হাইকোর্টে ছিল তাঁর শেষ দিন। গত ৫ মার্চ রাষ্ট্রপতিকে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। আদালত কক্ষ ছেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতির ময়দানে পা রাখেন। হাতে তুলে নেন পদ্মশিবিরের পতাকা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শিলিগুড়ির জনসভার মঞ্চেও দেখা যায় তাঁকে। সেই  সভায় দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলকে ভোট না দেওয়ার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে আবেদন রেখেছিলেন। ইতিমধ্যে প্রার্থীর নাম ঘোষণার আগেই নন্দীগ্রামে ১ নম্বর ব্লকের হরিপুরে দেওয়াল লিখনও শুরু হয়। এবার সেই প্রাক্তন বিচারপতির ওপর আস্থা রাখল বিজেপি।

    আরও পড়ুন: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    তমলুকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্যবাসী

    তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় তমলুক বিজেপির শক্ত ঘাঁটি। গতবার লোকসভা নির্বাচনে সেখানে জয়ী হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। যিনি বর্তমানে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, বিচারপতি থাকাকালীন নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। রাতারাতি হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীর ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সেই ক্যারিশ্মাকে কাজে লাগিয়ে তমলুক কেন্দ্রে গেরুয়া শিবির ভোট বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিরুদ্ধে ভালো কোনও প্রার্থী খুঁজে পায়নি। তাই, তরুণ প্রার্থী দিয়ে তৃণমূল কতটা লড়াই করতে পারে সেটাই এখন দেখার। রাজ্যের মানুষ এখন সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    Nadia: মহুয়ার বিরুদ্ধে রানিমা অমৃতা রায়কে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের পরিবারের রাজবধূ অমৃতা রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে জল্পনা চলছিল। বিজেপি-র দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ হতেই সেই জল্পনাতেই সিলমোহর দিল পদ্মশিবির। রাজবধূ তথা নদিয়ার (Nadia) রানিমাকে কৃষ্ণনগরে কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রার্থী করে মাস্টারস্ট্রোক দিল বিজেপি।

    রানিমাকে প্রার্থী করে বাজিমাত করতে চাইছে বিজেপি (Nadia)

    গত লোকসভা নির্বাচনে মহুয়ার জয়ের নেপথ্যে ছিল নদিয়ার (Nadia) চাপড়া, পলাশীপাড়া ও কালীগঞ্জ বিধানসভা। ওই তিনটি বিধানসভা থেকে বিপুল ভোট পেয়েছিলেন মহুয়া। গত পাঁচ বছরে কালীগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য দুর্নীতির দায়ে জেলবন্দি হওয়ায় ওই বিধানসভায় ছন্নছাড়া অবস্থায় শাসকদল। একমাত্র কাঁটা চাপড়া বিধানসভা। সেখানে এত দিন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও ভোটের মুখে দলত্যাগী নেতাদের আবার দলে এনে বড় ব্যবধানে জিততে চাইছে তৃণমূল। তাই বিজেপিও পাল্টা চাইছে কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বড় ব্যবধানে জিততে। কৃষ্ণনগর উত্তর বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। পদ্ম-শিবির সূত্রে খবর, সেখানে ভোটের ব্যবধান বৃদ্ধি করতে ‘রানিমা’র মতো এক জন স্থানীয়, প্রভাবশালী ও পরিচিত এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মুখকে প্রার্থী করে বাজিমাত করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। জেলায় বিজেপির এক নেতা বলেন, “অমৃতা রায় রাজপরিবারের বিভিন্ন সামাজিকঅনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে জনসংযোগ করেন। এ ছাড়াও জগদ্ধাত্রী পুজো, দুর্গাপুজা ও রাজবাড়ির বিভিন্ন অনুষ্ঠানের রাশ এখন তাঁর হাতে। ভোটারদের মধ্যে আবেগ রয়েছে রাজপরিবার নিয়ে।”

    আরও পড়ুন: বসিরহাট কেন্দ্রে চমক বিজেপির, সন্দেশখালির প্রতিবাদী রেখার ওপর ভরসা মোদির

    প্রার্থী হয়ে কী বললেন রানিমা?

    দ্বিতীয় দফায় রাজ্যে ১৯ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। সেই তালিকায় অমৃতার নাম রয়েছে। প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পর রানিমা অমৃতা রায় বলেন, “নদিয়ার (Nadia) ইতিহাসে রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের অবদান সকলে জানেন। ভারতে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের ভূমিকা আজও সবাই মনে রেখেছেন। রাজবধূ নয়, সাধারণ জনতার কণ্ঠ হওয়ার জন্যই ভোটের ময়দানে আসা। আশা করি, মানুষ দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি-র কর্মিসভায় হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভোটের মুখে বিজেপি-র কর্মিসভায় হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বিজেপির কর্মিসভায় তৃণমূলের হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জীবনতলার মাঠেরদিঘি এলাকায়। হামলার জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হন। পরে, বিজেপি প্রতিহত করার চেষ্টা করে। তাতে জখম হয়েছেন দুপক্ষের অন্তত সাতজন। আহতদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপির চারজন বলেই জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    সরকারি অনুমতি নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জীবনতলার মাঠেরদিঘি এলাকায় বিজেপি-র কর্মিসভা হচ্ছিল। সেখানেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ঢুকে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে হামলাকারীরা। বিজেপির দাবি, পুলিশকে হামলার কথা জানানো হয়। তা সত্ত্বেও আহত দলীয় কর্মীদের উদ্ধারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। ভোটের আগে এই অশান্তিকে কেন্দ্র করে থমথমে জীবনতলা থানার মাঠেরদিঘি এলাকা। বিজেপির হাতাহাতিতে জখম দুপক্ষের অন্তত সাতজন। আহতদের মধ্যে তৃণমূলের তিনজন এবং বিজেপির চারজন বলেই দাবি। ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বিজেপির দুই কর্মীকে। যাঁদের মধ্যে সুব্রত দাস নামে এক মণ্ডল সভাপতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে ক্যানিংয়ের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রামকুমার মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীর গাড়িতে হামলা, কর্মীদের মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জয়নগর সাংগঠনিক জেলার (South 24 Parganas) সাধারণ সম্পাদক বিকাশ সর্দার বলেন, দলীয় কর্মিসভায় তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। কর্মীরা জখম হন। সন্ত্রাস করে সব কিছু শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তৃণমূলের ক্যানিং পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীরা বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় বিজেপির লোকজনেরা কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করে। তা থেকে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। অশান্তির জেরে আমাদের কয়েকজন কর্মীও আহত হয়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share