Tag: tmc

tmc

  • Satabdi Roy: ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে রয়েছে’, বেফাঁস শতাব্দী রায়

    Satabdi Roy: ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে রয়েছে’, বেফাঁস শতাব্দী রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছেন। দলে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল সেখ বেশ কিছুদিন ধরে বীরভূমে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁর দাপাদাপিতে কেষ্ট অনুগামীরা এখন কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। লোকসভা ভোটের মুখে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আর এই অবস্থায় দলের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy) বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন শতাব্দী রায়? (Satabdi Roy)

    লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বুধবার সিউড়ি তৃণমূল কার্যালয়ে ছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠক। আর সেই বৈঠকেই উপস্থিত ছিলেন কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, অভিজিৎ সিংহ, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী অসিত মাল এবং বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)। মূলত কোর কমিটির এদিনের এই বৈঠকে বীরভূম জেলায় লোকসভা ভোটের কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি বিজেপির দখলে থাকা দুবরাজপুর বিধানসভা এলাকায় কীভাবে বেশি মার্জিনে ভোট টানা যাবে তা নিয়েও আলোচনা হয়। ভোটের আগে জেলায় যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা হয় বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। এদিনের এই বৈঠকের পর সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে শতাব্দী রায় বলেন, “গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে বেশি মাথা ঘামাবেন না, ওটা এখন তৃণমূলের সিলেবাসের মধ্যে পড়ে গিয়েছে। যে লোকগুলোর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে তোমরা রিপোর্ট দেখাবে, তারাই দেখবে আবার দুদিন পর হাতে হাত ধরে ভোট করতে যাবে, তখন তোমাদের ওই রিপোর্টটা বেকার হয়ে যাবে।” ফলে, জেলায় যে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে তা বিদায়ী সাংসদ স্বীকার করে নেন। তৃণমূল প্রার্থীর এই বক্তব্য নিয়ে দলের কর্মীদের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “যে বুথে লিড পাবো না সেই বুথে….”, প্রচারে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    Bankura: “যে বুথে লিড পাবো না সেই বুথে….”, প্রচারে গিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। লিড না পেলে সেই এলাকায় কী পদক্ষেপ করবেন, তার ব্যাখ্যা করেন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপি-র পক্ষ থেকে এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল প্রার্থী? (Bankura)

    তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বাঁকুড়ার (Bankura) মঙ্গলবার প্রচারে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যে বুথে লিড পাবো, সেই বুথে জান লড়িয়ে দেব। যে বুথে পাবো না সেই বুথে আমি তো দূরস্ত, আমার দলের কোনও কর্মীকেও আসতে দেব না।’ ওন্দা ব্লকের নতুনগ্রাম এলাকায় প্রচারে গিয়ে তিনি আরও বলেন, “কোন কোন বুথে তৃণমূল ও বিজেপি লিড পাচ্ছে তার তালিকা তৈরি করে রাখা হবে। যে বুথে তৃণমূল লিড পাবে সেখানে জান লড়িয়ে দেব। আর যেখানে তৃণমূল লিড পাবে না সেখানে আমি তো দূরস্ত আমার কোনও কর্মীকেও যেতে দেব না”। এখানেই থেমে থাকেননি। সুজাতাকে হুমকির সুরে গ্রামবাসীদের বলতে শোনা যায়, “তোমরা ভোটের বেলায় বড় ফুলকে দেবে, আর চাওয়ার বেলায় ছোট ফুলের কাছে চাইবে তা হয় না। তোমরা বারেবারে এখান থেকে বিজেপিকে জিতিয়েছ। এবারও যদি তাই হয় তাহলে এবার তোমাদের কথা শুনতে আমরা আর আসবো না। তোমরা বিজেপির সঙ্গে বুঝে নেবে।”পরে, সুজাতা মণ্ডলের যুক্তি, এই এলাকা থেকে বারবার বিধানসভা, লোকসভা ও পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওন্দা এলাকাকে উন্নয়নের জোয়ারে ভরিয়ে দিচ্ছেন। এতে তাঁদের যন্ত্রণা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল প্রার্থীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখার বলেন, “ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না। তৃণমূল এখন ঠেলায় পড়ে এমন মন্তব্য করছে। এরকম মন্তব্য ওরা যত করবেন, তত মানুষের থেকে তাঁরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: লোকসভার প্রচারে তৃণমূল-কংগ্রেসকে একযোগের আক্রমণ বিজেপির প্রার্থী নির্মল-গৌরীশংকরের

    Murshidabad: লোকসভার প্রচারে তৃণমূল-কংগ্রেসকে একযোগের আক্রমণ বিজেপির প্রার্থী নির্মল-গৌরীশংকরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ডাক্তার নির্মল সাহা হাতিনগর বকুলতলায় সকালে চায়ে পে চর্চায় অংশ গ্রহণ করেন। তিনি সেখানে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন “এখানে বিপুল সমর্থন দিয়েছেন আমার মা বোনেরা। তাঁরা আজ এখানে একত্রিত হয়েছেন এবং যুব সমাজও দাঁড়িয়ে পাশে। আজ এখানকার সবাই মোদির সঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ফেলে দিয়ে নতুন সরকার এখানে আনবেন।” অপর দিকে মুর্শিদাবাদ (Murshidbad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গৌরীশংকর নিজের জয় নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী।

    তৃণমূল-কংগ্রেসকে আক্রমণ নির্মল সাহার (Murshidabad)

    ডাক্তার নির্মল সাহা ভোটের প্রচারে বের হয়ে বলেন, “সেদিনের আর বেশি দেরি নেই, তৃণমূল সরকারের পতন ঘটবেই এবং ভারতীয় জনতা পার্টি সরকার গঠন করবে এই রাজ্যে। অধীরের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন কাজ নয়। আমি চিকিৎসক হিসেবে বহু মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছি। যখন তাঁদের কাছে গিয়ে ভোট চাইবো, তখন আমার এবং দলের আদর্শ নিরিখে আমাকে ভোট দিবেন, এটাই আমার আশা। জেলাবাসীকে একটা কথাই বলবো, এর আগে যাঁকে লোকসভায় পাঠিয়েছিলেন, তাঁকে প্রশ্ন করুন বহরমপুরে (Murshidabad) তিনি কী কাজ করেছেন? আবার আগামী পাঁচ বছর জয়ী হলে কী কাজ করবেন? ইউসুফ পাঠান আপনাদের কাছে এসে নিশ্চয়ই ভোট চাইবে। তাঁর কাছে জানতে চাইবেন তিনি এখানে কী করবেন?”

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী গৌরীশংকর

    এর আগেও দলের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী গৌরীশংকরকে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবার প্রার্থী ঘোষণা করায় আরও বড় লড়াই হবে। গৌরীশঙ্কর বলেন, “এটা নতুন কিছু না। রাজনীতিতে দল সামলাতে হয়, আবার কখনও নির্বাচনে লড়াইও করতে হয়। এবারের টিমটি পুরো ইয়াং, তাঁদেরকে নিয়ে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে সুবিধা হবে। মানুষের ভরসার একমাত্র জায়গা বিজেপি। সেই ভরসার জায়গাকে শক্তিশালী করতে প্রত্যেককেই নামতে হবে। প্রার্থী যেই হোক না কেন তার জন্য অনেক আগে থেকেই দলের কর্মীরা বিজেপিকে জয়যুক্ত করতে অত্যন্ত আশাবাদী।”

    গৌরীশংকরের পরিচয়

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রে এবারে বিজেপির প্রার্থী মুর্শিদাবাদ বিধানসভার জয়ী গৌরীশঙ্কর ঘোষ। গৌরীশংকর ঘোষ ভারতীয় জনতা পার্টির একজন রাজনীতিবিদ। তিনি মুর্শিদাবাদ জেলার এম জে ব্লকের হাড়িভাঙ্গা প্রদাদপুরের বাসিন্দা। তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানে এমএ করেছেন। ২০২১ সালের মে মাসে বিধানসভার সদস্য হিসাবে মুর্শিদাবাদ থেকে নির্বাচিত হন। তিনি বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সিংহ রায়কে ২৪৯১ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। বর্তমান মুর্শিদাবাদ লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে প্রার্থীর সিলমোহর দেয়। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন বর্তমান ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি বর্তমানে শাসকদল তৃণমূলের ভরতপুরের বিধায়ক। গত ২০১৯ সালের মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন আবু তাহের খান, কংগ্রেসের আবু হেনা, সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান এবং বিজেপির হুমায়ুন কবীর।

    ২০১৯ সালে প্রাপ্ত ভোট কেমন ছিল?

    ২০১৯ সালে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের আবু তাহের খান। তিনি মোট ভোট পেয়েছিলেন ৬০৪৩৪৬, কংগ্রেসের আবু হেনা মোট ভোট পেয়েছিলেন ৩৭৭৯২৯, সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান ভোট পেয়েছিলেন ১৮০৭৯৩ এবং হুমায়ুন কবীর বিজেপির হয়ে ভোট পেয়েছিলেন ২৪৭৮০৯। এইবার ঘরের ছেলে মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এ মুর্শিদাবাদ লোকসভার প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগীর গ্রেফতার হওয়ার দিনই সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন মহিলারা। দুই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আবারও পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলারা। এবারের ঘটনাস্থল সন্দেশখালির সুখদোয়ানি।

    ঠিক কী হয়েছে? (Sandeshkhali)

    জানা গিয়েছে, ইট বিক্রি করে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দুই তৃণমূল নেতা। এরপরই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মহিলারা। এমনকী ঠিকাদারকে ঘিরে ধরে দেখানো হয় বিক্ষোভ। তাড়া খেয়ে দুই তৃণমূল নেতা পালিয়ে যান। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামে পুলিশ ও র‍্যাফ। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, দুর্গা মন্দিরের জন্য বরাদ্দ ইট বিক্রি করে দিয়েছেন তৃণমূলের দুই নেতা। একজনের নাম সঞ্জীব আড়ি। তিনি অঞ্চল সভাপতি। অপরজন দেবব্রত ভুঁইয়া। তিনিও এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা। ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর চর বিক্রি করে দোকান তৈরি করা হয়েছে। সেখানে এই দুই নেতার ভূমিকা রয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচাগার নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ইট ঠিকাদার চিত্ত অধিকারীকে বিক্রি করে দিয়েছেন এই দুই নেতা। এরপর ঠিকাদার সেই ইট তুলতে এলে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতা নাক গলাতে এসে বিপাকে পড়েন। তাঁদের সামনে পেয়ে ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। মহিলারা তাড়া করেন তাঁদের। প্রাণ বাঁচাতে ছুটে একটি ঘরের ভিতর ঢুকে যান দুই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। তাঁদের নিরাপত্তা দিতে গোটা বাড়ি ঘিরে রাখে পুলিশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেমেছে র‍্যাফ। ইতিমধ্যেই গ্রামবাসীরা তৃণমূল নেতা দেবব্রতর বাইক ভাঙচুর করেন। অভিযোগ, মারধর করা হয়েছে তাঁর ভাইপোকে। শুধু তাই নয়, পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, গ্রামবাসীদের ঠেকাতে গিয়ে পুলিশ মাটিতে পড়ে যায়।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা দেবব্রত ভুঁইয়া বলেন, এলাকায় কালভার্টের কাজ চলছে। সেটার জন্য কিছু ইট কম পড়ে। আমি ঠিকাদারকে বলেছিলাম পঞ্চায়েতের ইট নিয়ে কাজ করতে। কিন্তু, এখানকার পুজো কমিটি বলেছে ইট দেব না। এরপর ঠিকাদার সেই ইট নামিয়ে দেয়। আর আমরা মিটিংয়ে যাওয়ার সময় আমাদের ঘিরে ধরে বলে শাহজাহান এই করেছে ওই করেছে। আর কিছুই হয়নি। বাকি যা যা বলছে সব মিথ্যা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Murshidabad: সন্দেশখালির মডেল এবার মুর্শিদাবাদে, জমি হাতানোয় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে জোর করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে। সন্দেশখালির মডেলেই অন্যের জমি হাতানোর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিতলা থানার দেবাইপুর এলাকার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিতলা থানার দেবাইপুর এলাকার বাসিন্দা কামালউদ্দিন আহমেদ। অভিযোগ, তাঁর জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে তৃণমূল নেতা মাসাদুল খান। কামালউদ্দিনের দাবি, মাসাদুল খানের কাছ থেকে তাঁর বাবা সাড়ে তিন শতক জায়গা কিনে নিয়েছিলেন। আর এই জায়গা এখন কামালউদ্দিন আহমেদ সহ তাঁর আরও তিন ভাই ও দুই বোনের নামে রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে মাসাদুল খান জোরপূর্বক সেই জমি দখল করতে চাইছে। ঠিক যেমন শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল একদম সেই রকম। শুধু তাই নয়, হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি রানিতলা থানায় অভিযোগ জানাতে যাই। কিন্তু, পুলিশ আমাদের অভিযোগ নেয়নি। এরপর বাধ্য হয়ে ভগবানগোলার এসডিপিওর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাই। শমিরুদ্দিন আহমেদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, “আমাদের জমি জোর করে দখল করতে চাইছেন মাসাদুল। তিনি তৃণমূলের দাপুটে নেতা। থানাকে হাত করে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না এখন। উল্টোপাল্টা কেসে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মাসাদুল খান বলেন, “সালটা ২০১৪। সেই সময় প্রাক্তন সিপিএম প্রধানের নেতৃত্বে আমার জমি দখল করা হয়। জোর করে আমার জায়াগায় বাড়ি করা হয়। এমনকী আমি থানায় অভিযোগ করি। এরপর সালিশি সভা হয়। এরপর দেড় শতক জায়গা আমি ওদের দিয়ে দিই। আসলে ওরা আমার জমি দখল রেখেছিল। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: নিশীথের দিকে তেড়ে গেলেন উদয়ন, উত্তপ্ত দিনহাটা, বনধ

    Cooch Behar: নিশীথের দিকে তেড়ে গেলেন উদয়ন, উত্তপ্ত দিনহাটা, বনধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয় আটকানোকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা। উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ ওই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের দিকে তেড়ে আসেন। ফলে দুজনেই প্রকাশ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন। মাথা ফেটেছে দিনহাটার এসডিপিও ধীমান মিত্রর। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দিনহাটায় ২৪ ঘণ্টার বনধ ডেকেছে তৃণমূল। পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে ফিরছিলেন নিশীথ। সেই সময় আবার দিনহাটা (Cooch Behar)  পুরসভার পুরপিতার বাড়িতে উদয়নের জন্মদিন পালন হচ্ছিল। অভিযোগ, নিশীথের কনভয় ওই এলাকায় আসতেই তা ঘিরে ধরার চেষ্টা করা হয়। তখনই নিশীথ প্রামাণিকের দেহরক্ষীরা লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর নজিরবিহীন ঘটনা আসে প্রকাশ্যে। গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন নিশীথ প্রামাণিক। ওই সময়ই বেরিয়ে আসেন উদয়ন গুহও। তিনি নিশীথ প্রামাণিকের দিকে তেড়ে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দিনহাটা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র সহ আহত হন একাধিক ব্যক্তি। দুই পক্ষের সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে হিমশিম খায় পুলিশ। আহতদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা (Cooch Behar) বিজেপির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, “আমরা সারা দিনের সভা শেষ করে বাড়ি ফিরছিলাম। সেই সময় দিনহাটার পাঁচমাথা মোড়ে তৃণমূলের লোকজন জড়ো হয়। আমরা সেখানে পৌঁছতেই অতর্কিত তৃণমূল আক্রমণ করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হন। আমাদের পক্ষ থেকে কোনও প্রকারের আক্রমণ করা হয়নি।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ভাবে রাস্তা দিয়ে আসছিলাম। হঠাৎ আমার কনভয়ে ইট-পাটকেল, তির-ধনুক নিয়ে আক্রমণ করে তৃণমূল। তিনি বলেন, “গন্ডগোল দেখে আমায় নামতে হয়েছে গাড়ি থেকে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন বলেন, “লাঠিসোঁটা, তির-ধনুক নিয়ে ঘুরছে। পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ওপর হামলা করেছে ওরা।” তিনি আরও বলেন, আমার জন্মদিন উপলক্ষে কর্মীরা একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। আমি রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা আমাদের দলের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: কাটমানির লড়াই? তৃণমূলের প্রধানকে দলবল নিয়ে ঘেরাও করে বসলেন দলেরই উপ প্রধান!

    Jalpaiguri: কাটমানির লড়াই? তৃণমূলের প্রধানকে দলবল নিয়ে ঘেরাও করে বসলেন দলেরই উপ প্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের উপ প্রধানের হাতে ঘেরাও তৃণমূলেরই প্রধান। লোকসভা ভোটের মুখে ব্যাপক অস্বস্তি শাসক দলের অন্দরে। তৃণমূল পরিচালিত গ্রামপঞ্চায়েত দফতর ঘেরাও করল তৃণমূলের অপর এক গোষ্ঠী। লোকসভা ভোটের আগে ফের প্রকাশ্যে এল তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মোটা টাকার বিনিময়ে আসন কিনেছেন বর্তমান প্রধান। আদিবাসীদের বঞ্চিত করে উন্নয়ন করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে চা বাগানের বাসিন্দাদের নিয়ে জলপাইগুড়ি অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রাজেশ মণ্ডলকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের উপ প্রধান টিগা রাউতিয়া। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয় তৃণমূল পরিচালিত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে। অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির পুলিশ আধিকারিকেরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

    জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের উপ প্রধান টিগা রাউতিয়া বলেন, আমি যেহেতু আদিবাসী তাই আমাকে প্রধান অবজ্ঞা করে।আমাকে আড়াল করে কাজকর্ম করে। আমাকে কোনও মিটিংয়ে ডাকে না। আমার এলাকায় পানীয় জল নেই,রাস্তা ভাঙা, কিছুই কাজকর্ম হচ্ছে না। আমাকে গ্রামের মানুষ বারবার চেপে ধরছেন। আর সহ্য করা যাচ্ছে না। তাই আজ গ্রামবাসীদের নিয়ে প্রধানকে ঘেরাও করা হয়েছে। প্রাক্তন উপ প্রধান তথা তৃণমূলের চা শ্রমিক নেতা মহেশ রাউতিয়া বলেন, পঞ্চায়েত প্রধান টাকার বিনিময়ে এই আসন কিনে রাজত্ব চালাচ্ছে। বিনা টেন্ডারে কাটমানি নিয়ে কাজ করাচ্ছেন। আমাদের উপ প্রধান এই সবের বিরোধিতা করায় তাকে অন্ধকারে রেখে অফিস পরিচালনা করছে। আমরা আজ ডেপুটেশন দিলাম। দলকে সব জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে মহিলাদের তাড়া খেয়ে ছুটে ঘরে ঢুকে প্রাণ বাঁচালেন দুই তৃণমূল নেতা

    পঞ্চায়েত প্রধানের কী বক্তব্য?

    তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অরবিন্দ গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রাজেশ মণ্ডল। তিনি বলেন, যা কাজকর্ম হচ্ছে তা আইন মেনেই হচ্ছে। বর্তমান উপ প্রধানের বাবা তিনি যা অ্যাকশন প্ল্যান করে গিয়েছিলেন সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। আমরা সবাই তৃণমূল। একসাথে মিটিং এ বসে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু, ভোটের মুখে ফেসবুকে প্রচার করে তারপর আন্দোলন এর পেছনে কী যোগসূত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন

    বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, এই গ্রামপঞ্চায়েতে কাটমানির লড়াই। প্রাক্তন উপ প্রধান বলছে বর্তমান প্রধান টাকার বিনিময়ে প্রধান হয়েছে। কি অদ্ভুত কাণ্ড। গোটা পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডগুলিতে এই একই চিত্র।আর এর জেরে শহর সংলগ্ন চা বাগানে পানীয় জল, রাস্তাঘাট সব ধরনের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত স্থানীয় আদিবাসী সমাজ। যা লজ্জার। মানুষ দেখুক কারা এই রাজ্য চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “কাজ না করেও ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন তৃণমূলকর্মীরা”, ক্ষোভ জানিয়ে বললেন বঞ্চিতরা

    Nadia: “কাজ না করেও ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন তৃণমূলকর্মীরা”, ক্ষোভ জানিয়ে বললেন বঞ্চিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মজুরির টাকা দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই টাকা দিতেই সামনে চলে এসেছে দুর্নীতি। তৃণমূলের প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন এলাকার মানুষ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) বারাসত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে প্রকৃত শ্রমিকেরা মজুরি না পেলেও, প্রধানের ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে হাজার হাজার টাকা। মজুরি বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। নদিয়ার রানাঘাট ব্লকের বারাসত পঞ্চায়েতের এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    বেশ কয়েক বছর আগে ১০০ দিনের কাজ করেছিলেন পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। অথচ রাজ্য সরকার ঘোষিত মজুরি প্রাপকদের তালিকায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা নেই। যার ফলে তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য,  কাজ না করেও প্রধান-ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর এলাকায় আমাদের মতো জবকার্ডধারীরা ৮০ থেকে ৯০ দিন কাজ করেও মজুরি প্রাপকদের তালিকায় নাম নেই। কিন্ত এক দিনও কাজ না করেও পুরো ১০০ দিনের টাকা পাচ্ছেন অনেকে তৃণমূলকর্মীরা। অতীতে আবাস দুর্নীতিতেও নাম জড়িয়ে ছিল নদিয়ার (Nadia)  বারাসাত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। পাকা ঘর থাকা সত্ত্বেও প্রধানের পরিবারের একাধিক সদস্যদের আবাস তালিকায় নাম থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ১০০ দিনের টাকা বণ্টন ঘিরেও জব কার্ড প্রাপকদের দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ হলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আবার সরব হয়েছেন এলাকাবাসী।

    তৃণমূলের প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    পঞ্চায়েত প্রধান শেফালি দাবি করেছেন, এখানেও রয়েছে ‘বিরোধীদের রাজনীতি।’ তিনি বলেন, “যত জনের জব কার্ড রয়েছে তার থেকেও বেশি জন টাকার জন্য আবেদন করেছেন। এরপর তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ১,৪৫৮ জন মজুরির জন্য আবেদন করেছেন। অথচ, জব কার্ড প্রাপকের সংখ্যা ১,২৫৩। কেন্দ্র যখন টাকা দেয়নি, কেউ কিছু বলেনি। মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত শ্রমিকদের টাকা দিতেই বিরোধীদল হট্টগোল পাকানোর চেষ্টা করছে।”

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, “তৃণমূল আর দুর্নীতি সমার্থক শব্দ। ভোটের কর্মীদের লুটেপুটে খাওয়ার জন্যই ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার স্কিম নিয়েছে তৃণমূল। আসলে এটা তৃণমূলের দলীয় তহবিলে নিজস্ব খরচ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “এখান থেকে পদ্মফুলের কোনও প্রচার হবে না”, দিনহাটায় তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারি

    Cooch Behar: “এখান থেকে পদ্মফুলের কোনও প্রচার হবে না”, দিনহাটায় তৃণমূল নেতার হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে, প্রচারে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দিলে দেখে নেবো বলে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলে নেতা। লোকসভার ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। নির্বাচনের আচরণবিধি লাগু হয়েছে। ইতিমধ্যে কোচবিহারে (Cooch Behar) তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যের খবর উঠে এসেছে। ব্লকের তৃণমূল নেতা বলেন, “এখান থেকে পদ্মফুলের কোনও প্রচার হবে না।” দিনহাটার চওড়া বাজারে কোনও ব্যবসায়ী যদি বিজেপিকে ভোট দেন, তাহলে ফল ভুগতে হবে বলে মন্তব্য করেন এই তৃণমূল নেতা। ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি।

    কোন তৃণমূল নেতা হুমকি দেন (Cooch Behar)?

    গতকাল মঙ্গলবার লোকসভা ভোটের প্রচার করতে গিয়ে দিনহাটা (Cooch Behar) ব্লক তৃণমূল নেতা বিশু ধর বিজেপিকে ভোট দিলে ফল খারাপ হবে বলে হুমকি দেন। যদিও এই এলাকা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহের পরিচিত বলে জানা যায়। তৃণমূল প্রার্থী জগদীশ বসুনিয়ার সমর্থনে প্রচারে যান। দোকানে দোকানে গিয়ে হুমকি দিয়ে নেতা বিশু ধর বলেন, “বিজেপিকে ভোট দেওয়ার পর যদি বিপদে পড়েন, তাহলে আমাদের কাছে যাবেন না, নিশীথ প্রামাণিকের বাড়ি যাবেন। এখানে কোনও পদ্ম ফুলের হয়ে প্রচার করা যাবে না। কেউ যদি মনে করেন এটা হুঁশিয়ারি, তাহলে হুঁশিয়ারিই এটা। উদয়নের দরজা সব সময় খোলা। বর্তমান বিজেপির এমপিকে একদম পাওয়া যায় না। যে কাজ করবে না, তাঁকে ভোট দেওয়া যাবে না।”

    বিজপির বক্তব্য?

    ব্লক (Cooch Behar) তৃণমূল নেতা বিশু ধর আরও বলেন, “এলাকার ভোট অন্য কোথাও পড়লে আমরা দেখে নেবো। আগের বারের ভোটে ৭০০০ ভোটে হেরেছি আমরা। এই চাওড়া বাজারে থাকতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে পাশে দাঁড়াতে হবে। যদি একটিও ভোট বাইরে যায় তাহলে আমরা পাশে থাকব না।” ঘটনায় স্থানীয় বিজেপি নেতা সমালোচনা করে বলেন, “ভোটের আগে থেকেই এলাকার মানুষকে উত্তপ্ত করা হচ্ছে। মানুষের মনে ভয় ঢোকানো হচ্ছে। তৃণমূল নরকের কিট ছাড়া আর কিছুনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: কে অর্জুন পুরস্কার পেল, ভোটে গুরুত্বপূর্ণ নয়, দলীয় কোন্দলে প্রসূনকে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    Howrah: কে অর্জুন পুরস্কার পেল, ভোটে গুরুত্বপূর্ণ নয়, দলীয় কোন্দলে প্রসূনকে আক্রমণ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কেই এবার দলের বিধায়ক কটাক্ষ করে বললেন, “কে অর্জুন কিংবা কৃষ্ণ পুরস্কার পেল তা ভোটে কোনও বিষয় নয়।” উল্লেখ্য দলের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৭৯ সালে অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন প্রসূন। ফলে এই নিয়ে দলীয় কোন্দলে ফের শোরগোল পড়ছে তৃণমূলের অন্দরে। চরম অস্বস্তিতে দল।

    ঠিক কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক (Howrah)?

    হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরি বলেন, “যে ভাবে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে একজন কাউন্সিলরকে বিধায়ক হওয়ার টোপ দিচ্ছেন তা ঠিক কাজ নয়। দরকার হলে  লোকসভার ভোটের পর সুজাতা দত্তকে কাউন্সিলরের টিকিটের জন্য প্রস্তাব দিতে পারতেন। কিন্তু প্রকাশ্যে এই মন্তব্য করা উচিত ছিল না। দলীয় কর্মীদের মানসিক ভাবে আহত করা হয়েছে।” এরপর আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “যদি ১০ শতাংশ কর্মীকে খুশি করতে গিয়ে ৯০ শতাংশ কর্মী ভোটের সময় বসে যান, তাহলে কী হবে?”

    প্রসূন কী বলেছিলেন?

    হাওড়ার (Howrah) সালকিয়ায় এক বসন্ত উৎসবে যোগদান করে উত্তর হাওড়ার প্রাক্তন বিধায়ক অশোক ঘোষের মেয়ে সুজাতা দত্তকে দেখে বলেছিলেন, “ও খুব ভালো কাজ করছে। ও কাউন্সিলর হোক। তারপর এমএলএ হবে।” প্রসূনের এই বক্তব্য ভাইরাল হতেই বিক্ষুব্ধ হন তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরি। হাওড়ায় তিনবারের সাংসদ হলেন প্রসূন। চতুর্থ বারের প্রার্থী হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন মমতার ভাই বাবুন। ভাইয়ের সঙ্গে দিদি সম্পর্ক ছেদ করলে, নিজে বাবুন নির্দল হয়ে হাওড়ায় লড়াই করবেন বলে জনিয়েছিলেন। আপাতত ভাই বোনের লড়াই থেমে গেলেও দলীয় কোন্দল থামছে না।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যে সম্পাদক বলেন, “হাওড়ায় (Howrah) তৃণমূল সাংসদ তিনবার নির্বাচিত হলেও কোনও কাজ করেননি। আর তাই কাউকে কাউন্সিলর বা কাউকে এমএলএ করে দিতে চাইছেন। মানুষের উন্নয়ন বা কাজের প্রতিশ্রুতি নেই। কেবল টোপ দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল বলেই সম্ভব। বিজেপি এখানে জিতবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share