Tag: tmc

tmc

  • Sandeshkhali: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই

    Sandeshkhali: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিল করা তালা খুলে শাহজাহান শেখের বাড়িতে ঢুকল সিবিআই। তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে রয়েছে দুজন ইডির আধিকারিক এবং ফরেন্সিক দল। আজ শুক্রবার সকালে আবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এসেছে সিবিআই। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার বাড়ি এবং তার আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখে গিয়েছিল। আজ সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে কমপক্ষে ৫০ জন সেনা জওয়ান বাহিনী রয়েছে। গোটা বাড়িকে ঘিরে রেখেছে বাহিনী। কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মধ্যে যাতে পড়তে না হয় সেই দিকে নজর রাখা হয়েছে। রেশন দুর্নীতির মামলার তদন্ত করতে গিয়ে গত ৫ জানুয়ারি আক্রান্ত হয়েছিলেন ইডির তিন জন আধিকারিক। এরপর ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ।

    সঙ্গে ফরেন্সিক দল (Sandeshkhali)

    পাশাপাশি এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে রয়েছে ফরেন্সিক দল। এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এই ফরেন্সিক দলের তরফ থেকে শাহজাহানের বাড়ির (Sandeshkhali) আশেপাশের এলাকার যাওয়া-আসার ছবি স্কেচ করে নেওয়া হয়েছে। ক্যামেরাবন্দি করা হচ্ছে এলাকার বাড়ি এবং চারিপাশের মুহুর্তকে। সেই সঙ্গে তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ইডির দুই আধিকারিক। ইডির সঙ্গে কথা বলেই তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করছেন সিবিআই তদন্তকারী অফিসার এবং ফরেন্সিক দলের সদস্যরা।

    ইডির বয়ানও রেকর্ড করে সিবিআই

    উল্লেখ্য হাইকোর্টের নির্দেশে শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। ইডির অফিসারদের উপার হামলা, মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গতকাল তাঁকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয় নিজাম প্যালেসে। সেখানে গিয়েছিলেন ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর গৌরব ভারিল। গত ৫ই জানুয়ারি সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির উপর আক্রমণে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনিই এই মামলার এফআইআর দায়ের করেছিলেন। একই সঙ্গে সিবিআই, ইডির বয়ান রেকর্ড করেছে। এরপর আজ শুক্রবার শাহজাহানের বাড়িতে গিতে তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারী অফিসারেরা।

    আগেও শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান হয়েছিল

    এর আগে শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাড়িতে দুবার গিয়েছিল ইডির তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রথম বার ঢুকতে বাধা পেয়েছিল এবং আক্রান্ত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল। দ্বিতীয় বার এই তৃণমূল নেতার বাড়ির দরজার তালা ভেঙে ঢুকেছিল ইডির অফিসারেরা। এরপর ফাঁকা বাড়িতে তাল্লাশি চালিয়ে বাড়িটিকে সিল করে দেয় তাঁরা। এরপর আজ ফের একবার সিবিআই সিল করা তালা ভেঙে তল্লাশি শুরু করে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: নাম ঘোষণা করেনি দল, বারাকপুর জুড়়ে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে পড়ল অর্জুনের পোস্টার

    Barrackpore: নাম ঘোষণা করেনি দল, বারাকপুর জুড়়ে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে পড়ল অর্জুনের পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের পক্ষ থেকে কোনও নাম ঘোষণা হয়নি। এরইমধ্যে অর্জুন সিং বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বলে পোস্টার পড়ল শিল্পাঞ্চল জুড়ে। যা নিয়ে নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে। অফিসিয়াল নাম ঘোষণা করা হয়নি। তারপরও এভাবে পোস্টার দেওয়ার অর্থ দলবিরোধী কাজ। জানা গিয়েছে, দলেরই একটি অংশ ইতিমধ্যেই অর্জুন যাতে কোনওভাবে প্রার্থী হতে না পারে তারজন্য শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে বারাকপুরে তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Barrackpore)

    পোস্টারের মধ্যে লেখা রয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore)  লোকসভায় তৃণমূল মনোনীত প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের বিপুল ভোটে জয়ী করুন। পোস্টারে মমতা-অভিষেকের সঙ্গে অর্জুনের ছবি রয়েছে। যদিও পোস্টার নিয়ে অর্জুন কিছু মন্তব্য করতে চাননি। তবে, অর্জুন বিরোধী মুখ হিসেবে পরিচিত সোমনাথ শ্যাম, সুবোধ অধিকারী কোনওভাবেই চান না অর্জুন এবার প্রার্থী হোক। দুদিন আগেই দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সোমনাথ বলেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে যোগ রাখা নেতাকে আপনারা চিনে রাখুন। কখনই সমর্থন করবেন না। এসবের মধ্যে শিল্পাঞ্চলের একাধিক দাপুটে নেতা জোট বেঁধে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছেন। অর্জুন প্রার্থী হলে তাঁরা এলাকায় প্রার্থীর হয়ে কাজ পর্যন্ত করবেন না বলে জানিয়েছেন। শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাঁদের কী আশ্বাস দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। আর অর্জুন বিরোধী এই আবহের মধ্যেই তাঁর নামে পোস্টার ঘিরে জোর চর্চা চলছে। অর্জুন ঘনিষ্ঠ অনুগামীরা এই পোস্টার দিয়েছে বলে জল্পনা চলছে।

    অর্জুন-সোমনাথ অনুগামীদের মধ্যে মারামারি

    এই পোস্টারের ঘটনা সামনে আসার আগে সোমনাথ-অর্জুন অনুগামীদের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি হয়েছে বলে অভিযোগ। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অর্জুন অনুগামী তৃণমূলের শ্রমিক নেতা চন্দন রজক কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় সোমনাথ শ্যাম ঘনিষ্ঠ বিনোদ সাউ ও তাঁর সহযোগীরা সাংসদ অর্জুন সিং এর নামে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন চন্দন। এরপরই আগ্নেয়াস্ত্র সহ লোহার রড নিয়ে চন্দনের বাড়ির সামনে হামলা চালান বিনোদ ও তাঁর দলবল। যার জেরে চন্দনের মাথা ফেটে যায়। এমনকী তাঁর পরিবারের সদস্যকেও মারধর করা হয়। অন্যদিকে, বিনোদ সাউ এর ওপর সাংসদ ঘনিষ্ঠ সুরাজ সিং ও তাঁর দলবল হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তিনিও গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা সুরাজ সিং বলেন, এলাকায় যথেষ্ট সিসিটিভি লাগানো রয়েছে। সেটা দেখলেই ঘটনার সত্য সামনে আসবে। ঘটনার সময় আমি ছিলামই না। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। দুপক্ষের মধ্যে হামলা, অর্জুনের পোস্টার সামনে আসাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: গরিবের ফ্ল্যাট পেলেন দাপুটে তৃণমূল নেতার মেয়ে, দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল

    Siliguri: গরিবের ফ্ল্যাট পেলেন দাপুটে তৃণমূল নেতার মেয়ে, দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন-নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার ফ্ল্যাট দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূলের। অবৈধভাবে গরিবের ফ্ল্যাট পেলেন তৃণমূলের দোর্দন্ডপ্রতাপ নেতার মেয়ে। শিলিগুড়ি -জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসজেডিএ) সম্প্রতি গরিব মানুষের জন্য ৪২২ ফ্ল্যাট বন্টনের জন্য লটারি করে। সেই তালিকায় ১৫৫ নম্বরে রয়েছেন শিলিগুড়ির (Siliguri) তৃণমূল নেতা তথা এসজেডিএ’র বোর্ড মেম্বার কাজল ঘোষ।

    কাদের জন্য এই ফ্ল্যাট ? (Siliguri)

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কাছে শিলিগুড়ির (Siliguri) কাওয়াখালিতে  গরিবের জন্য এই ৪২২ টি ফ্ল্যাট এসজেডিএ তৈরি করেছে। তিন লক্ষ টাকা দিয়ে কিনতে হবে এই ফ্ল্যাট। ফ্ল্যাট পাওয়ার শর্ত, আবেদনকারীর নামে কোনও জমি-বাড়ি থাকা চলবে না, মাসিক আয় ১৮ হাজার টাকার কম হতে হবে। সেই তালিকায় কাজল ঘোষের মেয়ের নাম ওঠায় এই ফ্ল্যাট বন্টনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। কেননা তৃণমূল নেতা কাজল ঘোষ বিপুল সম্পত্তির মালিক।

    কে এই কাজল ঘোষ?

    বিরোধীদের কথায় শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার বিধাননগরের শাহজাহান এই কাজল ঘোষ। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা। এখন এসজেডিএ’ র বোর্ড মেম্বার তিনি। বিধাননগরে পুলিশ প্রশাসন তাঁর কথাতেই চলে। গত কয়েক বছরে নামে- বেনামে বিপুল সম্পত্তি ও টাকার মালিক হয়ে উঠেছেন। মেয়ের ফ্ল্যাট পাওয়া নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে দলের একাংশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন দাপুটে এই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, আমি জানতাম না। লটারিতে আমার মেয়ের নাম উঠতে অবাক হয়ে যাই। মেয়েকে দিয়ে লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ফ্ল্যাট সে নেবে না। আসলে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে শিলিগুড়ির কিছু তৃণমূল নেতা এই ষড়যন্ত্র করেছে। সময়ে তা প্রকাশ্যে আনব।

     এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ কী সাফাই দিলেন?

    কাজল ঘোষের মেয়ে যে  ইনকাম সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন তা কে  দিয়েছেন? এই প্রশ্নে আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি কমিটির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এসজেডিএ কোনওভাবে দায় এড়াতে পারে না বলে ওয়াকিবহাল মহলের মত। এসজেডিএ’র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, কাজল ঘোষের মেয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তিনি ফ্ল্যাট নেবেন না। এমনটা হওয়ার দায় সরকারি আধিকারিকদের, যারা আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি করেছেন। আর  লটারি  হলেও আমরা এখনও ফ্ল্যাটের চাবি কাউকে দিইনি। ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনে অনিয়ম ধরা পড়লে তাঁর নাম বাদ যাবে।

     কী বলছে বিজেপি?

    বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, তৃনমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। সবেতেই দুর্নীতি। এটা হওয়ারই ছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এসজেডিএ’তে  ২০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। তার সঠিক তদন্ত হয়নি। লটারি করে যে তালিকা হয়েছে তা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা হোক। আমাদের আশঙ্কা, এরকম আরও অনেক তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর কাছের লোকদের ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে ছাত্রীর গণধর্ষণ! গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রীর ছেলে

    Birbhum: স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে ছাত্রীর গণধর্ষণ! গ্রেফতার তৃণমূল নেত্রীর ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার স্কুল থেকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। মূল অভিযুক্ত এলাকার তৃণমূল নেত্রীর ছেলে এবং আরও দুই জন। এই তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে বীরভূম পুলিশ। ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) পাইকর থানার নতুনপুকুর গ্রামে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। যদিও তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ অস্বীকার করছেন।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Birbhum)?

    স্থানীয় (Birbhum) সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে গিয়ে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এলাকার এক তৃণমূল নেত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় পাইকর থানার পুলিশ তিনজকে গ্রেফতার করেছে। বীরভূমের (Birbhum) ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, “মঙ্গলবার বিকেল ৪ টে নাগাদ স্কুল থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিল আমাদের মেয়ে। মেয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। বাড়ি পৌছে দেওয়ার নাম করে তাঁকে তিন যুবক বাইকে করে নিয়ে যায়। এরপর ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। সেই সময় এলাকার কয়েকজন মানুষ পাশ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। হঠাৎ তাঁরা আড়ালে চিৎকার এবং কান্নার শব্দ শুনে তিন যুবককে ধরে ফেলে পুলিশে খবর দেন। এরপর অত্যাচারের শিকার হওয়া আমাদের মেয়েকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আমরা ওই অভিযুক্তের ফাঁসি চাই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ধৃতদের আজ রামপুরহাট (Birbhum) মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে অভিযুক্ত যুবকের মা তথা ব্লক সভাপতি তৃণমূল নেত্রী বলেন, “ছেলে সেই দিন আমার ঘরে ছিল না। বাইক নিয়ে বেরিয়েছিল। একটি মেয়ে ফোন করে বলে বিপদে পড়েছে এবং তাকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। আর ওকে বাঁচাতে গিয়ে লোকজন খুব মারধর করে আমার ছেলেকে। ওর বাইক আটকে রেখে দেয়। এই সবের মধ্যে আমার ছেলে ছিল না। বাইক ফেরত চাইলে আরও মারধর করে। ও নির্দোষ।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে সন্দেশখালি, বসিরহাটে গিয়ে নথি সংগ্রহ করল সিবিআই

    CBI: শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে সন্দেশখালি, বসিরহাটে গিয়ে নথি সংগ্রহ করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার প্রায় দুমাসের মাথায় পুলিশ গ্রেফতার করে শাহজাহানকে। এতদিন তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। পরে, আদালতের নির্দেশে শাহজাহানকে বুধবারই নিজেদের হেফাজতে পায় সিবিআই। রাতেই সন্দেশখালি যান সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর টিম।

    সন্দেশখালি গিয়ে কী করল সিবিআই? (CBI)

    সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর শাহজাহান বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। এই ঘটনার পর শাহজাহান এবং তাঁর অনুগত অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ইডি অফিসারদের খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছিল ইডি। পরে ন্যাজাট থানার পুলিশ ইডির ওপর হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীকালে সেই মামলায় যুক্ত করা হয় খুনের চেষ্টার ধারাও। কিন্তু, অভিযুক্ত হিসাবে সেখানে শাহজাহানের নাম ছিল না। মঙ্গলবার এই দুই অভিযোগের ভিত্তিতেই সন্দেশখালির ঘটনায় দু’টি এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। শুরু করে তদন্ত। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কলকাতাহাই কোর্টের নির্দেশানুসারে সন্দেশখালি মামলায় অভিযুক্ত শাহজাহানকে হেফাজতে নেয় তারা। বুধবার রাতে সিবিআইয়ের (CBI) দল সন্দেশখালি গিয়ে সেখানে উপস্থিত উচ্চ পদাধিকারী পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে। একই সঙ্গে পুলিশের কাছ থেকে তাদের করা অভিযোগ সংক্রান্ত নথিপত্রও সংগ্রহ করেছেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।

    বসিরহাট থানায় নথি সংগ্রহ করল সিবিআই

    সন্দেশখালিতে হওয়া ইডির ওপর হামলার ঘটনারই তদন্তে নেমেছে সিবিআই। বুধবার এই সংক্রান্ত দু’টি এফআইআর দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এছাড়া একটি মামলা দায়ের হয়েছে বনগাঁয়। রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা তথা প্রাক্তন পুরপিতা শঙ্কর আঢ্যের বাড়ির সামনে হওয়া ইডির ওপর হামলার ঘটনায়। সন্দেশখালির দু’টি মামলার একটি দায়ের হয়েছিল ইডির অভিযোগের ভিত্তিতে। অন্যটি করা হয়েছে ন্যাজাট থানার পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে। সূত্রের খবর, এই এফআইআর সংক্রান্ত বিষয়েই ন্যাজাট থানার পুলিশের সঙ্গে বুধবার রাতে যোগাযোগ করেন সিবিআইয়ের (CBI) আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার বসিরহাট থানায় গিয়ে পুলিশের দায়ের করা মামলার নথি সংগ্রহ করল সিবিআই। হামলার পর শাহজাহান ফোনে কার কার সঙ্গে কথা বলেছিল তা খতিয়ে দেখতে কল ডিটেলস চেক করছেন আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম! বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের

    Nandigram: উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম! বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভার ভোট। এই রাজ্যে বিজেপি ২০টি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম (Nandigram), ভোটের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল। বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের ব্যাপক হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বিজেপি কর্মীদের জোর করে ভয় দেখিয়ে বাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আবার একই ভাবে বিজেপি করার জন্য বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা।

    বিজেপি কর্মীর অভিযোগ (Nandigram)

    নন্দীগ্রামের (Nandigram) কেশবপুরের বাসিন্দা রবীন হালদার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “পুলিশের সঙ্গে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে হামলা করে। ভোর ৩ টে থেকে ৪ টের সময় আমার বাড়িতে ঢুকে দরজায় ধাক্কা দেয়। এরপর দরজা খুলতে বলা হয়। কিন্তু দরজা না খোলায় দরজা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এরপর দুষ্কৃতীরা আমাকে টেনে ঘর থেকে বাইরে বের করে রাস্তায় নিয়ে যায়। ব্যাপক মারধর করা হয়। প্রায় ৩০-৩৫ জন লোক এসে হামলা করেছিল। সারা সময় ধরে তাণ্ডব চালায় ওরা। আমরা কেবলমাত্র বিজেপি করি বলে আমাদের উপর এই ভাবে অত্যাচার করা হয়। আমাদের আর কোনও দোষ নেই।”

    জেলা বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Purba Medinipur) বিজেপি কর্মী তথা রাজ্য কমিটির সদস্য সাহেব দাস বলেন, “এই অভিযোগ একেবারে সত্য। নন্দীগ্রামে (Nandigram) বিজেপি সম্পর্কে অপপ্রচার করে তৃণমূলের হার্মাদেরা বাড়িতে ঢুকে অত্যাচার করছে। এমনকী বাড়ির এক সদস্যকে তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে গুন্ডারা। তৃণমূলের এই দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে পুলিশ।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (Nandigram) তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, “বিজেপি সব সময় মিথ্যাচার করে। বাংলার তৃণমূল কর্মীদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তৃণমূলের কর্মীদের মেরে মাথা ফাটানো হয়েছে, আমরা অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশের কাজ পুলিশ করছে।” উল্লেখ্য নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের গোকুলনগর উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গতকাল রাতে। মহেশপুরে এক পথসভাকে ঘিরে বৃন্দাবনচকের কাছে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এরপর থেকেই বিজেপি কর্মীদের টার্গেট করে তৃণমূলের দুস্কৃতীরা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘নিজের ভোট নিজে দিতে পারব’, মোদির আশ্বাসে বুকে বল পাচ্ছেন সন্দেশখালির মহিলারা

    Sandeshkhali: ‘নিজের ভোট নিজে দিতে পারব’, মোদির আশ্বাসে বুকে বল পাচ্ছেন সন্দেশখালির মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বাধা, পুলিশের সমন কোনও কিছুই আটকাতে পারেনি সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাঁচ নির্যাতিতাকে। বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় আসেন তাঁরা। সভা শেষের পর মঞ্চের পিছনে দেখা করেন তাঁরা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সভা শেষ হওয়ার পর মোদি সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মঞ্চের পিছনের দিকে যান। অনেকেই এগিয়ে যান প্রধানমন্ত্রীকে নমস্কার করার জন্য। কিন্তু, মোদি  বলেন, ‘ আমারই উচিত আপনাদের নমস্কার করা। আপনারাই তো মা দুর্গা ‘। তিনিও শুনেছেন সব কথা।

    নিজের ভোট নিজে দিতে পারবেন (Sandeshkhali)

    শাহজাহান বাহিনীর কারণে বহুদিন সন্দেশখালিবাসী ভোট দিতে পারেননি। শাহজাহানের দলবল ভোট দিয়ে দিত। ফলে, নিজেদের মতামত এতদিন তাঁরা জানাতে পারেননি। এর আগে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। বুধবার মোদির সামনে সেই প্রসঙ্গ টেনে মহিলারা বলেন, আমরা ভোট দিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, এবার সকলে নিজেদের ভোট নিজেরাই দিতে পারবেন। দ্রুত এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ঢুকবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের প্রশংসা করে বলেন, দুর্গাশক্তি হয়ে আপনারা যা করে দেখিয়েছেন তা অতুলনীয়। শাহজাহানের শাস্তিরও আবেদন করেছি বলে জানান এক মহিলা। প্রধানমন্ত্রীকে ঝুপখালি, বেড়মজুর, জেলিয়াখালির মহিলাদের কথাও বলেছেন তাঁরা।

    সন্দেশখালির মহিলাদের কথা নোটও রাখেন একজন

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা জানিয়েছেন, এখনও সেখানে অশান্তির পরিবেশ অব্যাহত। এখনও আতঙ্কে মানুষ। আমরা বলেছি, স্যার, আমাদের রাজ্য পুলিশের ওপর কোনও আস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বসে, সন্দেশখালির মহিলাদের কথা নোটও রাখেন একজন। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেন প্রধানমন্ত্রী। অভয় দেন তাঁদের। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ওই প্রতিনিধিদলের এক মহিলা বলেন, “আমরা ৫ থেকে ৭ মিনিট কথা বলেছি। আমাদের ওপর নির্যাতন, জমি লুঠের কথা সবই জানিয়েছি ওনাকে। শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার, শাহজাহানের বাইক বাহিনীর কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী বললেন উনি আমাদের পাশে আছেন, পাশে থাকবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীও দেবেন বলেছেন। আমরা কথা বলে সন্তুষ্ট।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখন সিবিআই-এর হেফাজতে। মোটামুটি একটা লম্বা সময়ের জন্য হয়তো জেলে থাকতে হবে তাঁকে। কিন্তু এই সব কিছুর মধ্যে আরও এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এবার । তিনিও সন্দেশখালিতে প্রচুর মানুষের জমি দখল করে মাছের ভেড়ি তৈরি করেছেন। শুধু তাই নয়, এতটাই দৌরাত্ম্য যে খোদ স্কুলের জায়গা দখল করে নিজের ছেলের জন্য মোবাইলের দোকান করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর অত্যাচারে এলাকার মানুষ অত্যন্ত রুষ্ট। তাঁর নাম হল সিদ্দিকি মোল্লা।

    সরকারি জায়গা দখল (Sandeshkhali)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিদ্দিকি মোল্লা হলেন শেখ শাহাজানের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি বেড়মজুর ২ (Sandeshkhali) অঞ্চলের প্রধান। এলাকার রামপুর বাগদিপাড়া মোড় হল মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা। এই এলাকার স্থানাীয় মানুষের অভিযোগ, “শেখ শাহজাহানের মতো তাঁর বিরুদ্ধেও আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা চাই। এলাকার মানুষকে শেখ শাহজাহানের ভয় দেখিয়ে প্রচুর জমি দখল করেছেন সিদ্দিকি। সকল মানুষ তাঁকে এক বাক্যে ভয় পান। কিন্তু আজ যেহেতু শাহজাহান এলাকায় নেই, তাই অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।”

    এলাকায় ফের উত্তেজনা

    গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল বেলা থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায়। বেড়মজুর এলাকায় নতুন করে মানুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরুষ, মহিলা এবং চাষিরা। এলাকার এক মহিলা বলেন, “সরকারি জায়গাকে কীভাবে দখল করে সিদ্দিকি নিজের ছেলের জন্য মোবাইলের দোকান তৈরি করলেন? ফলে শেখ শাহজাহান এলাকায় না থাকলেও দুর্নীতি-জবর দখলের পরিসমাপ্তি ঘটেছে না। চ্যালারা এখনও এলাকায় অশান্তির পরিবেশ গড়ে রেখেছে। ফলে মানুষের জমি কীভাবে দখল হয়ে যায় ,এটাই একটা বড় প্রশ্ন। দখলকৃত জমি অবিলম্বে ফেরত চাই।” অপর দিকে এলাকায় অশান্তি ঠেকাতে বাগদিপাড়া মোড়ে প্রচুর পরিমাণে বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    এই বিষয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা হাজি সিদ্দিকি বলেছেন, “এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন, এই জায়গাটা সরকারি খাস জায়গা। কারো কাছে কোনও কাগজপত্র নেই। সরকারি ভাবে স্কুলের অধিকার রয়েছে। যেহেতু পাট্টা নেই, তাই ওখানে মাছের ভেড়ি হয়নি। তাই এলাকার জমি শুকনো। যদি কেউ বৈধ কাগজপত্র দেখান, তাহলে আমি জমি ফিরিয়ে দেবো।” উল্লেখ্য শাহজাহান যখন পলাতক ছিল, সেই সময় এই সিদ্দিকি সংবাদ মাধ্যমকে বুক ফুলিয়ে বলেছিলেন, “এলাকাতেই শাহজাহান রয়েছে।” অবশ্য এই নিয়ে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে ব্যাপক চাপানউতর তৈরি হয়েছিল।      

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: পথসভা শেষ করে ফেরার পথে হামলা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে!

    Nandigram: পথসভা শেষ করে ফেরার পথে হামলা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে (Nandigram)। হামলার পিছনের শাসক দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন রয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল সামনে চলে এসেছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব এই হামলার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nandigram)

    আগামী ১০ তারিখ ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন রয়েছে। সেই জনগর্জনের প্রস্তুতি সভা চলছে জেলায় জেলায়। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের  মহেশপুরে তৃণমূলের পথসভা ছিল। সেই সভা শেষে ফেরার পথেই বৃন্দাবনচকের কাছে একদল দুষ্কৃতী তৃণমূলের কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। ঘটনায় দু’জন তৃণমূল কর্মী জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম অশোক দাস ও ভরত দাস। এঁদের মধ্যে অশোক দাস আবার এলাকার প্রাক্তন প্রধানও। এদিন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ওপর দুষ্কৃতীদের হামলার প্রতিবাদে নন্দীগ্রামে (Nandigram) রাস্তা অবরোধ করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রাম-তেখালি সংযোগকারী রাস্তা। ঘটনাস্থলে নন্দীগ্রাম থানা ও তেখালি ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সাহেব দাস। তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। যখনই এমন কিছু ঘটনা ঘটছে, বিজেপির নামে দায় চাপিয়ে দিচ্ছে। আর পুলিশ-প্রশাসন সব এদের। তারপরও যদি এভাবে বিক্ষোভ দেখায়, সেটা দুর্ভাগ্যের বিষয়।আসলে দলীয় কোন্দলে জর্জরিত। নিজেদের কোন্দল ঢাকতে এখন আমাদের দলের নামে দায় চাপাচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: মঞ্চে বসে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, নীচে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    Nadia: মঞ্চে বসে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, নীচে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সভায় তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপ়়ড়ায়। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের সামনেই কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দলীয় সভায় এভাবে কর্মীদের মধ্যে মারামারি করতে দেখে সাধারণ মানুষ নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে শুরু করেন। শাসক দলের কোন্দলের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    বুধবার নদিয়ার (Nadia) চাপড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক বিশাল কর্মীসভার আয়োজন করা হয়। আগামী ১০ তারিখ তৃণমূল সুপ্রিমো  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে জনগর্জন সভার প্রস্তুতি হিসেবে সভার আয়োজন করা হয়। তবে, ছন্দ কাটল কর্মী সমর্থকদের মধ্যে মঞ্চে ওঠা নিয়ে। এদিনের এই কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র , তৃণমূল বিধায়ক রূকবানুর রহমান, নদিয়া জেলার সভাধিপতি তারান্নুম সুলতানা মীর, সহ- সভাধিপতি সজল সাহা সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকেরা। তখনই এক গোষ্ঠীর সঙ্গে চাপড়ার তৃণমূল নেতা জেবের শেখ অনুগামীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। পরে, ধস্তাধস্তি বাধে। গন্ডগোলের কারণে সভার কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে, দলীয় সভার কাজ শুরু হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে বিধায়ক রূকবানুর রহমান বলেন, তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই, যা হয়েছে সেটা দলে থাকলে একটু আধটু হয়। কেউ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। তবে সেটা আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে মিটিয়ে নেব। সভা মঞ্চ থেকে মহুয়া মৈত্র বিজেপি আক্রমণ করেন। তবে, এভাবে প্রকাশ্যে দলীয় কোন্দলের বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, দলের দুই গোষ্ঠীর হাতাহাতি দেখে তিনি ক্ষুব্ধ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share