Tag: tmc

tmc

  • Sheikh Shahjahan: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    Sheikh Shahjahan: সাদা পোশাক, সাদা স্নিকার্স পরে আদালতে শাহজাহান, ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার পর ফেরার ছিলেন সন্দেশখালির ডন শেখ শাহজাহান। প্রায় দুমাস ধরে চলেছে লুকোচুরি খেলা। ইডি-র ওপর হামলার পর তার গোটা প্রশাসনকে কার্যত ঘোল খাইয়েছেন শেখ শাহজাহান। দেড় মাস ধরে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে ছিলেন তিনি। কিন্তু, সব ছবিই তাঁর পুরনো, কোনটা ফেসবুক প্রোফাইল থেকে নেওয়া, কিংবা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা তাঁর ভিডিয়ো ফুটেজ! কারণ, প্রত্যন্ত দ্বীপের দাপুটে এই তৃণমূল নেতার নাম আগে সেভাবে শোনেনি বাংলা। গ্রেফতারির পর শেখ শাহজাহান সংবাদমাধ্যমের ফেস টু ফেস সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহান। পরনে ছিল ধবধবে সাদা পোশাক, পায়ে স্নিকার্স। গ্রেফতারির পরও স্বমেজাজেই রয়েছেন তিনি। তবে, এদিন আদালতে তোলার সময় কোনও কথা বললেননি তিনি।

    ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ

    বৃহস্পতিবার ভোরবেলায় মিনাখাঁ বামনপুকুর বাজার এলাকায় খ্রিস্টান পাড়া থেকে গ্রেফতার হন শেখ শাহজাহান। গ্রেফতারির পর তাঁকে সোজা আনা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতের গারদে (কোর্ট লকআপ)। বৃহস্পতিবার সকালে বসিরহাট মহকুমা আদালতের কোর্ট লকআপ থেকে বার করে কিছু ক্ষণের জন্য শাহজাহানকে আনা হয় এজলাসে। প্রথমবার ক্যামেরার সামনে শেখ শাহজাহান। তখনও তাঁর সেই মেজাজ। পুলিশি ঘেরাটোপ, আদালত চত্বরে জনভার ভিড়। পিছনে পুলিশ। সামনে রাজনৈতিক নেতার মতো হাঁটতে হাঁটতে এজলাসে ঢোকেন তিনি। তাঁকে দেখে পাশ দিয়ে ধেয়ে আসে একের পর এক প্রশ্নবাণ। শাহজাহান সাংবাদিক এবং উৎসুক জনতার দিকে তাকিয়ে স্রেফ আঙুল নাড়ালেন। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্ন উত্তর দিলেন না তিনি। শুনানি শেষে শাহজাহানকে নিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে যায় পুলিশ। বিশাল কনভয় কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা ছিল। কারণ, শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথম থেকেই পুলিশ চূড়ান্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করছে। স্বভাবতই, তাঁকে কোথায় রাখা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতেই থাকছেন শেখ শাহজাহান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি জুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, মিষ্টি বিতরণ, উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি জুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস, মিষ্টি বিতরণ, উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন প্রতীক্ষার অবসান। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) অত্যাচারের মূলচক্রী দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান গ্রেফতার। এতদিন শুধুই চোখের জল দেখেছে সন্দেশখালি। এখন হাসছে সেখানকার মানুষজন। শাহজাহানের গ্রেফতারির খবর পেতেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। চলছে মিষ্টি বিতরণ। ফাটছে বাজি। উঠল জয় শ্রী রাম স্লোগান।

    বসিরহাট লকআপে শাহজাহান

    ইডি-র ওপর হামলার পর থেকে ফেরার ছিল শাহজাহান। তাঁর অন্যতম শাগরেদ উত্তম সর্দার, শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পরও মহিলারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজ্যের মন্ত্রীদের কাছে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছিলেন। তারপরও পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতারে কোনও গা করেনি। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়়ে জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। ফেরার থাকার দেড় মাস পর অবশেষে শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করল। বসিরহাট লকআপে শেখ শাহজাহানকে রাখা হয়। সেখানে মোতায়েন রয়েছেন প্রচুর পুলিশ আধিকারিক। রয়েছেন মহিলা পুলিশও। গার্ডরেল বসানো হয়েছে। একাধিক পুলিশ কর্তা বসিরহাট মহকুমা আদালতে আসতে শুরু করেছেন। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বসিরহাট। আর গ্রেফতার হওয়ার পরই এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়। অনেক মহিলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন। বয়স্ক মহিলাদের রাস্তায় নাচ করতে দেখা যায়।

    আন্দোলনকারীরা কী বললেন? (Sandeshkhali)

    আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, পুলিশ ইচ্ছাকৃত শাহজাহানকে ধরেনি। আমরা এতদিন ধরে চিৎকার করছি, তারপরও পুলিশের টনক নড়েনি। আদালত নির্দেশ দিল। এরপর তাঁকে না ধরলে ভাবমূর্তি খারাপ হবে বুঝতে পেরে পুলিশ গ্রেফতার করল। এলাকার মানুষ বার বার বলেছিলেন সন্দেশখালিতেই লুকিয়ে রয়েছেন শাহজাহান। তাতে কোনও লাভ হয়নি। তবে তৃণমূলের তরফে গ্রেফতারির সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পরই রাতারাতি পুলিশের জালে উঠে এল শাহজাহান। কীভাবে সম্ভব হল এটা? আর শাহজাহান যে সন্দেশখালির বাইরে যাননি তাও গ্রেফতারির মধ্যে প্রকাশিত হল। ও যে অত্যাচার করেছে তার বিরুদ্ধে আমরা ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার গাড়ি ও হোটেল খরচ কত জানেন?

    Murshidabad: তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার গাড়ি ও হোটেল খরচ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের বাজেট অধিবেশনে, তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে গাড়ির ডিজেল খরচে লাগাম ছাড়া হিসাব দেখিয়ে কারচুপি করেছেন বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন দলেরই জেলা পরিষদের প্রাক্তন সহকারী সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য শাহনাজ বেগম। একই সঙ্গে আরও অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “সভাধিপতি কলকাতার নামী দামি হোটেলে মোটা অঙ্কের টাকা মিটিয়েছেন জেলা পরিষদের তহবিল থেকেই।” ফলে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে তৃণমূল সদস্যের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়। তৃণমূলে দলের অন্দরেই অস্বস্তির ছায়া ফের একবার স্পষ্ট।

    কত লিটার ডিজেল খরচ করেন সভাধিপতি (Murshidabad)?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা পরিষদের সদস্য শাহনাজ বগেম, রুবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, “জেলা পরিষদের সভাধিপতি গত অক্টোবর মাসে ২২০৯ লিটার, নভেম্বর মাসে ১৮১৫ লিটার, ডিসেম্বর মাসে ১৯১০ লিটার ডিজেল নিজের গাড়ির জন্য ব্যবহার করেছেন। এতো ডিজেল কোথায় ব্যবহার করলেন? আবার ২১ অক্টোবর ৬৬৮২০ টাকা, ১৭ নভেম্বর ৫৩৩২০ টাকা এবং ১৬ ডিসেম্বর ৩৫৮৪০ টাকা কলকাতার হোটেলে খরচ করেছেন। অথচ সেখানে সার্কিট হাউসে থাকা যায়। এত অতরিক্ত খরচ কেন? আমি জানতে চাইবো, এটা ঠিক না ভুল! ভুল হলে আমি খুশি হবো। জেলা পরিষদের অঙ্গ হিসাবে জানতে চাই আমি।”

    সভাধিপতির বক্তব্য

    জেলার (Murshidabad) সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা বলেন, “কোনও সদস্য আক্ষেপ করতেই পারেন। অভিযোগের যুক্তি খতিয়ে দেখতে হবে। দায়িত্ব পেল যেমন পক্ষে কথা ওঠে, তেমনি বিপক্ষেও কথা ওঠে। তবে এই সব বিষয়কে আমি গুরুত্ব দিই না। আপনাদের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত।” জেলার আরেক তৃণমূল নেতা বলেছেন, “অভিযোগকারী সভাধিপতি হতে পারেননি, তাই নিজের রাগ এবং ঝাল মেটাতে এই অভিযোগ তুলেছে।”

    জেলা কংগ্রেসের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য তৌহিদুর রহমান সুমন বলেন, “জেলা পরিষদের সদস্য যে অভিযোগ তুলেছেন, তা মারাত্মক বড় ধরনের দুর্নীতি। আমরা চাই সকল দুর্নীতির সঠিক তদন্ত হোক। সরকারি টাকার অপচয় হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে পদ থেকে সারল তৃণমূল। অবশ্য অপসৃত প্রাক্তন বিধায়কের দাবি “আমি সুস্থ”। গরুপাচার মামলায় জেলবন্দী বীরভূমের (Birbhum) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই তৃণমূলে এসেছিলেন নরেশ বাউড়ি। তাঁর বিধায়ক হওয়ার পিছনেও কেষ্ট মণ্ডলের হাত ছিল বিরাট। তাঁকে পদ থেকে অপসারণের ফলে দলের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। তাঁকে কি গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? এই ভয়েই কি অপসারণ? নাকি দলের গোষ্ঠী কোন্দল? উঠছে নানা প্রশ্ন। 

    কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতিতে তৃণমূলের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গ্রেফতারের পর থেকে ক্রমশ দলের মধ্যে অনুব্রতের গুরুত্ব কমে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। অপর দিকে অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে কাজল শেখের গুরুত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার সভাপতির পদ থেকে কেষ্টকে এখনও আনুষ্ঠানিক অব্যাহতি দেননি। এই পরিস্থিতির মধ্যে দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশকে বোলপুর টাউন সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাজল শেখ এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরাকে। ফেলে অনেকের অনুমান, দলের মধ্যে কোন্দল স্পষ্ট। 

    বেসুরো নরেশ বাউড়ি

    ঘটনায় দলের সুরে সুর না মিলিয়ে বীরভূমের (Birbhum) অনুব্রতপন্থী নরেশ বাউড়ি বলেন, “শরীরিক ভাবে আমি যথেষ্ট সক্ষম। আমি অসুস্থ নই। দলের যা সিদ্ধান্ত তা মেনে চলবো।” তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, তাই দলের পদ থেকে সরানো হয়েছে, এমনটা অনেকেই মনে করছেন। বস্তুত লোকসভার আগে এই দলের পরিবর্তনে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    তৃণমূল মন্ত্রী বক্তব্য

    মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ অবশ্য দলের দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, “নরেশ বাবু শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তিনি নিজেই সরে যাবার আবেদন করেছিলেন। তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। তাঁকে জেলায় (Birbhum) অন্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস ছিল না সন্দেশখালিবাসীর। কেউ সাহস করে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ঘুরলেই এই কথা শোনা যায়। আর ইডি-র ওপর হামলার পর দেড় মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। এদিকে, তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল সন্দেশখালি। পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলাদের একাংশ। শুধু শাহজাহান নয়, এর পাশাপাশি তাঁর ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো একাধিক অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার নতুন করে শেখ শাহজাহানের ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল।

    শাহজাহানের নামে আগেও অভিযোগ জমা করা হয়

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা হাতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর হামলা হয়। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তার আগে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। তাদের দুজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, সন্দেশখালির মূল কাণ্ডারি শাহজাহানকে ধরার বিষয়ে পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। এমনকী আদালত নির্দেশ দিলেও পুলিশ তাঁতে ধরার বিষয়ে গা করছে না। এমনই অভিযোগ সন্দেশখালিবাসীর। তবে, এখন সন্দেশখালির পরিস্থিতি আলাদা। উত্তাল সন্দেশখালিকে শান্ত করার জন্য জায়গায় জায়গায় ক্যাম্প বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে গিয়ে অভিযোগ জমা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দুই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এবার ফের দাপুটে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। এর আগে সিরাজউদ্দিনের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। এবার তাঁর নামে অভিযোগ জমা পড়ল। প্রতিদিন নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে নতুন করে কিছু এফআইআর হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী আসার আগে কৃষ্ণনগরের মাঠে ভূমি পুজো করলেন বিজেপি কর্মীরা

    Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী আসার আগে কৃষ্ণনগরের মাঠে ভূমি পুজো করলেন বিজেপি কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২ মার্চ নদিয়ায় আসতে চলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। বুধবার ভূমি পুজোর মধ্যে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মঙ্গল কামনা করে শুরু হল প্রস্তুতিপর্ব। নদিয়ার কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে ২ তারিখ সকাল দশটার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সভামঞ্চে উপস্থিত হবেন।

     প্রধানমন্ত্রী এসে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন কর্মীরা (Narendra Modi)

    লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখনও প্রার্থী ঘোষণা না হলেও নদিয়ার দুটি লোকসভা কেন্দ্রের অন্যতম হল কৃষ্ণনগর। তাই বিজেপি কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে এবং দলকে আরও শক্তিশালী করতে আগেভাগেই প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) আগমন বলে জানাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। নদিয়ায় মোট দুটি সাংসদ কেন্দ্র রয়েছে, একটি রানাঘাট এবং একটি কৃষ্ণনগর। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে থাকলেও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে। মূলত, কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট হাতিয়ার করেই এখানে তৃণমূলের জয় এসেছিল। তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র লোকসভা ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। যদিও কয়েক মাস আগে তিনি সাংসদ পদ থেকে সাসপেন্ড হোন। কয়েক মাস বাদেই রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটিকে পাখির চোখ করে মাঠে নামতে চাইছে বিজেপি। এর আগেও কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের একাধিক জায়গায় বিভিন্ন রাজ্য প্রতিনিধিরা জনসভা করে গিয়েছেন। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রটি এবার যাতে বিজেপি দখলে পায়, সেই কারণে নরেন্দ্র মোদি ভোট ঘোষণার আগেই কৃষ্ণনগরে সভা করতে আসছেন বলে মত রাজনৈতিক মহলের। মূলত কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের জনগণের উদ্দেশে তিনি কী বার্তা দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সাধারণ মানুষ এবং বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং সাংগঠনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি করতে বিজেপি কর্মীদের কী বলেন, তার অপেক্ষায় রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির মিডিয়া আহ্বায়ক সন্দীপ সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) আগামী ২ মার্চ কৃষ্ণনগরে আসছেন। তার আগে আমরা সকলের মঙ্গল কামনায় কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের মাঠে খুঁটি পুজো করলাম। আগামী ২ তারিখ আমাদের  প্রধানমন্ত্রী এসে কী বার্তা দেন, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছি আমরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের অবশেষে ঘুম ভেঙেছে’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের অবশেষে ঘুম ভেঙেছে’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুমিয়ে থাকা বুদ্ধিজীবীদের যে অবশেষে ঘুম ভেঙেছে, এটাই আমাদের অনেক বড় পাওনা। অবশেষে সন্দেশখালির অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা যে মোমবাতি খুঁজে পেয়েছেন, এটাই যথেষ্ট।’ বাদশা মৈত্র সহ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের সন্দেশখালি যাওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এভাবেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘বাংলার এই বুদ্ধিজীবীরা তো বায়াস্ট। এঁরা উত্তর প্রদেশের হাতরসে কী হল তার বিরুদ্ধে এখানে সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনে নামেন। কিন্তু, সন্দেশখালির ঘটনা এঁদের নজরে আসে না। তবে, এতদিন পরে হলেও যে তাঁদের ঘুম ভেঙেছে এটাই যথেষ্ট।’

    সন্দেশখালির পরিস্থিতি যাচাই করছেন মুখ্যমন্ত্রী!

    এদিকে সন্দেশখালির প্রাক্তন বাম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি প্রাক্তন বাম বিধায়কের প্রসঙ্গ তুলেই এদিন তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন। নিরাপদ সর্দারের অভিযোগ ছিল, সন্দেশখালির কথা বিধানসভায় বলতে গেলেই মাইক অফ করে দেওয়া হত। বাম বিধায়কের এই অভিযোগ সমর্থন করে সুকান্তবাবু বলেন, ‘এটা ভয়ানক অভিযোগ। তৃণমূলের আমলে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধানকে বারবার চ্যালেঞ্জ করছেন।’ মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, ‘আসলে তৃণমূল নেতাদের সন্দেশখালিতে পাঠিয়ে পরিস্থিতি যাচাই করার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন মানুষের ক্ষোভ আগুন হয়ে রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। পরিস্থিতি শান্ত হলে তিনি সেখানে যাবেন।’

     শাহজাহানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে (Sukanta Majumdar)

    আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও শেখ শাহজাহান আজ পর্যন্ত গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে বালুরঘাটের সাংসদ (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘তৃণমূল ও পুলিশ জানে, শাহজাহান কোথায় লুকিয়ে আছে। কিন্তু, পুলিশ তাকে এখনই ধরবে না। শাহজাহানকে ছাড়া ভোট লুট করে জেতা যাবে কি যাবে না, তা নিয়ে তৃণমূল এখন জল মাপছে। শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে আমরা ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনের ঠেলায় পড়েই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপিকে সমর্থন করায় হামলা, ব্যাপক বোমাবাজি, দুজন গুলিবিদ্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: বিজেপিকে সমর্থন করায় হামলা, ব্যাপক বোমাবাজি, দুজন গুলিবিদ্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। এটাই ছিল অপরাধ। আর তারপর থেকেই লাগাতার অত্যাচার চলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দিরবাজার ব্লকের কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খেলারামপুর গ্রামে। বুধবার ভোর থেকে ফের মুড়িমুড়কির মতো গ্রামে বোমাবাজি করা হয়। দুজন বিজেপি সমর্থনকারীকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। আহত দুই যুবকের নাম এরাদ আলি মোল্লা ও সাইরাজ মোল্লা। তাঁদের ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) খেলারামপুর গ্রামের বেশ কিছু তৃণমূল সমর্থক নির্দল হয়ে যান। নির্দল দাঁড়় করালেও তাঁরা বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থন করেন। এরপরই শুরু হয় দ্বন্দ্ব। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই এলাকায় দফায় দফায় তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এর আগেও ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার ভোর থেকে ফের শুরু হয় বোমাবাজি। খেলারামপুর গ্রামে বিজেপি সমর্থনকারীদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এক বিজেপি সমর্থনকারী বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে আমরা বিজেপিকে সমর্থন করেছিলাম। ওরা এখন আমাদের দলে টানার চেষ্টা করছে। আমরা রাজি নই বলেই এই হামলা। আমাদের একজনকে গুলি করা হয়েছে।

    গ্রামে বোমাবাজি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    যুব তৃণমূলের মন্দিরবাজার ব্লকের সভাপতি রিঙ্কু ঘোষ বলেন, তৃণমূলের যুব নেতা পারিবারিক ঘটনা থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের নাম মিথ্যাভাবে জড়ানো হচ্ছে। এই গন্ডগোলের সঙ্গে বিজেপি জড়িত রয়েছে। বিজেপি নেতা রণজিৎ হালদার বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এসব করেছে। এসব মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ প্রশাসনের নজরদারির অভাবের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি, কেষ্টর বুলি জটিলের গলায়

    Birbhum: বিরোধীদের হাত কেটে নেওয়ার হুমকি, কেষ্টর বুলি জটিলের গলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল গুরু পাচার মামলায় এখন তিহার জেলে রয়েছেন। ভোটের আগে যে ভাবে কু-কথা বলে বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিতেন কেষ্ট, সেই ঢঙে এবার বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিলেন বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের এক তৃণমূল নেতা। নাম জটিল মণ্ডল। তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি। তিনি আবার কেষ্টর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত। জটিলের বক্তব্য নিয়ে কেষ্ট গড়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    মেরে হাড়গোর ভেঙে দেওয়ার নিদান (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) ময়ূরেশ্বর-২ ব্লকের উলকুণ্ডা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সম্প্রতি লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। অভিযোগ, সেখান থেকেই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত জটিল মণ্ডল বলেন,’আমাদের খাচ্ছে আর আমাদের সর্বনাশ করছ? ভদ্রভাবে না হলে ডাং পিটা করে পিটিয়ে দিতে হবে। কেন্দ্র বাহিনী তোর বাবার বন্ধু লয়, ভোট হলেই চলে যাবে আর তখন তুই থাকবি না। কারণ গ্রাম পঞ্চায়েত আমাদের। পঞ্চায়েত সমিতি আমাদের। জেলা পরিষদ আমাদের। বিধানসভা আমাদের। ভদ্রভাবে যা বলছি শোন, তুই ভোট দিস আর না দিস, তুই ঘর থেকে বেরোবি না। ভোটে বেইমানি’ সইব না। তৃণমূলকে ভোট না দিলে বা দলের নামে কোনওরকম ‘অপপ্রচার’ হলে মেরে হাড়গোরও ভেঙে দেওয়া হবে। হাত কেটে নেওয়া হবে। এই কথাটা এখনই একটা রাউন্ড বলে দিতে হবে।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও জটিল মণ্ডল তাঁর এই বক্তব্যে আসলে ঠিক কী বলতে চেয়েছেন সেটার আর ব্যাখ্যা দেননি। তবে, বিজেপি সহ বিরোধী কর্মী-সমর্থকদের কার্যত তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বিজেপি তাঁর এই বক্তব্যকে সামনে রেখে ময়দানে নেমে পড়েছে। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, যদি কারও হাত কাটতে পারেন, তাহলে এমন মানুষও থাকবে যে তাঁর হাত কাটতে পারে। তৃণমূল নেতার ওই বক্তব্যকে সামনে রেখে আইনের দ্বারস্থ হব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘রাজ্যে রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আধার কার্ড বাতিল ইস্যুতে বালুরঘাটের এক সভায় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করলেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সাংসদ বলেন, ‘অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তৃণমূল ‘বাংলা সহায়তাকেন্দ্র’ তৈরি করেছে। এই সব কেন্দ্র তৈরির আসল কারণ, বাংলায় রোহিঙ্গাদের পাকাপাকি ব্যবস্থা করা। বিজেপি কিছুতেই তা হতে দেবে না।’ সাংসদ এও বলেন, ‘আধার কার্ড নিয়ে কারও কোনও সমস্যা নেই। যদি হয়ে থাকে, তাহলে সরাসরি তাঁরা যেন সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’

    সন্দেশখালি নিয়ে সরব সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    বাংলায় আইনের শাসন নেই বলেও অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্থাপন করেন সন্দেশখালির ঘটনা। তিনি বলেন,আদালত থেকে রাজ্যকে বলা হয়েছে যেভাবে হোক শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে হবে। রাজ্য পুলিশ সেই নির্দেশ কার্যকর করছে না। উলটে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। মানুষ আইন হাতে তুলে নিতে শুরু করেছে। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় নেমে এসেছে মহিলারা। শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী সন্দেশখালিতে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তৃণমূল নেতাদের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়বে। আর বেশি দিন নেই, এরপর একের পর এক নেতাদের গাছে বেঁধে রাখবে।’

    আধার কার্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল

    আধার কার্ড নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচারের অভিযোগ তোলার পাশাপাশি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) মুখ খোলেন সন্দেশখালি নিয়েও। আধার কার্ড নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েকদিন ধরে মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। জলঘোলাও কম হয়নি। আধার কার্ড বাতিল করার চিঠি পেয়েছেন অনেকে। তৃণমূলের তরফ থেকেও শুরু হয় পাল্টা প্রচার। খোদ সুপ্রিমোকে মুখ খুলতে দেখা যায়। এদিকে আবার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের নেতৃত্ব এক প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হওয়া নিয়েও আবার মুখ- খুলেছেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, মিথ্যে কথা বলতেই ওই প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে। আধার কার্ড নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে তৃণমূল। কারও কোনও সমস্যা নেই। সমস্যা হওয়ার কথাও না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share