Tag: tmc

tmc

  • Sheikh Shahjahan: বিজেপি কর্মী খুনেও অভিযুক্ত ছিল শাহজাহান, চার্জশিট থেকে বেমালুম উধাও তাঁর নাম!

    Sheikh Shahjahan: বিজেপি কর্মী খুনেও অভিযুক্ত ছিল শাহজাহান, চার্জশিট থেকে বেমালুম উধাও তাঁর নাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী বহু ক্ষেত্রে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ পর্যন্ত জমা নিত না। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট-পরবর্তী হিংসায় সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে ৩ বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এফআইআরে নাম ছিল শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan)। ন্যাজাট থানায় খুন ও অস্ত্র আইনে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ঘটনায় তৃণমূল ও বিজেপি দু’দলই থানায় এফআইআর করেছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে শাহজাহানের নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। তৃণমূলের তরফে যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। কিন্তু, বিজেপির অভিযোগপত্রে নাম থাকা শেখ শাহজাহানের নাম নেই চার্জশিটে! এটা নিয়ে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    বিজেপি কর্মীর দেহ মেলেনি

    সন্দেশখালির ভাঙ্গিপাড়া গ্রামে ভোট-পরবর্তী সংঘর্ষে ২০১৯ সালে খুন হয়েছিলেন বিজেপি কর্মী প্রদীপ মণ্ডল। সেই সময় পুলিশের কাছে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) নামে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত তাদের পরিবার। এখনও পরিবারের লোকজন এখানে বসবাস করে না। তাঁর মা বাড়িতে আছেন। এতটাই আতঙ্কিত তাঁরা কথা বলতে চাইছেন না। প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের মৃতদেহ পাওয়া গেলেও এত বছর পরও দেবদাস মণ্ডলের মৃতদেহ মেলেনি। নিহত বিজেপি কর্মী দেবদাস মণ্ডলের বোন বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। দাদা নিখোঁজ। তার আর কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি। থানায় অভিযোগ জানানো হলেও পুলিশ কাউকে ধরেনি।

    সন্দেশখালি নিয়ে আদালতে কী বললেন সরকারি আইনজীবী

    সোমবার হাইকোর্টে সন্দেশখালি সংক্রান্ত একটি মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, শেষ ৪ বছরে ৪৩টি এফআইআর হয়েছে। যার মধ্যে ৪২টিতে চার্জশিট হয়েছে। ধর্ষণের ধারাও যুক্ত আছে। বাকি তদন্ত চলছে। জমি দখলের অভিযোগে ৭টি এফআইআর হয়েছে। সেগুলিতে চার্জশিট হয়েছে। ৮ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৪টি এফআইআর হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। যেখানে ১৪৪ ধারা ছিল, সেখানে যাননি রাজ্যের মন্ত্রীরা।

    ৪২টি মামলার চার্জশিটে ৪ বছর সময় লাগল

    প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘তার মানে ৪ বছর ধরে এই ঘটনা ঘটছিল। কিন্তু, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিস্ফোরণ ঘটেছে। রাজ্য বলছে, যে জমি দখল করা হয়েছে, সেগুলি ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তার মানে কিছু একটা ঘটেছে। আর কী প্রমাণের দরকার, সরাসরি সাজা দিতে হবে। আদালত বিস্মিত যে, ৪২টা মামলার চার্জশিট দিতে ৪ বছর কেন লাগল? পরে আমরা চার্জশিটও খতিয়ে দেখব। ক্রমাগত মানুষ ওখানে যাচ্ছেন, তার ফলে ভালোও হতে পারে, আবার খারাপও হতে পারে। আইনকে আইনের পথে চলতে দেওয়া হোক।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্টর গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Birbhum: কেষ্টর গড়ে ধাক্কা খেল শাসক দল, তৃণমূলের যুব নেতা যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের খাস তালুকে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। খয়রাশোলের দাপুটে যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নীলমাধব চৌধুরী এবার ভোটের মুখে যোগ দিলেন বিজেপিতে। যুব তৃণমূল নেতার সঙ্গে আরও ৩০টি পরিবার তৃণমূল ছেড়ে তাদের দলে যোগ দিয়েছে। এমনিতেই কেষ্ট-হীন বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে। কাজল অনুগামীদের সঙ্গে কেষ্ট অনুগামীদের লড়াই লেগেই রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন করে দলের দাপুটে যুব তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শাসক শিবির বড়সড় ধাক্কা খেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূলে দম বন্ধ হয়ে আসছিল (Birbhum)

    সোমবার বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলা কার্যালয়ে এই যোগদানপর্ব চলে। বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেন ওই যুব নেতা। বিজেপিতে যোগদানের পর যুব নেতা নীলমাধব চৌধুরীর বক্তব্য, তৃণমূলের সন্ত্রাসের রাজনীতিকে সমর্থন করি না। ওই দলে দমবন্ধ হয়ে আসছিল। পাশাপাশি মোদিজি যেভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন, তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমরা বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিন আমার সঙ্গে আরও দুই সাধারণ তৃণমূল নেতা-কর্মী মদন মণ্ডল ও সাধন দাস বৈরাগ্যও ঘাসফুল ছেড়ে পদ্মফুলে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে তিন হাজার জন যোগদান করবে। যদিও এই দল বদলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে না জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের বক্তব্য, আসলে স্বার্থ পূরণ হয়নি বলে কেউ দলবদল করেছে। তাতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। লোকসভা ভোটে কোনও প্রভাব প়ড়বে না।

    খয়রাশোলে তৃণমূল গোল্লা পাবে

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, খয়রাশোলে আমাদের সংগঠন ভালো। আর যুব নেতা যোগদানের কারণে সামনের লোকসভা ভোটে আমাদের ভালো ফল হবে। আগামীদিনে আরও অনেকে আমাদের দলে যোগদান করবে। আর তৃণমূল কংগ্রস খয়রাশোলে গোল্লা পাবে। বিজেপির ব্যাপক জয় হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুল রায়ের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা, কোন মামলার তদন্তে?

    Mukul Roy: মুকুল রায়ের বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা, কোন মামলার তদন্তে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড মামলার তদন্তে তৃণমূল বিধায়ক মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বাড়িতে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির আধিকারিকেরা। সোমবারই কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ মুকুলের বাড়িতে পৌঁছান আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে মুকুলের সঙ্গে কথাও বলেন তদন্তকারীরা। মুকুলের পুত্র বীজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘তদন্তকারীদের পূর্ণ সহযোগিতা করা হয়েছে। তদন্তে তাঁরা খুশি।’’

    ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন বিধায়ক

    রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে চলে গিয়েছেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। বর্তমানে তাঁর স্থায়ী ঠিকানা হয়ে উঠেছে কাঁচরাপাড়ার বাড়ি। জানা গিয়েছে, ডিমেনশিয়া রোগে ভুগছেন বিধায়ক। মাঝে মাঝে বাড়ির বারান্দায় দেখা যায় তাঁকে। দিন কয়েক আগেই মুকুলকে ইডি নোটিশ পাঠায়। পুরনো চিটফান্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লিতে ইডির দফতরে মুকুলকে তলব করা হয়, তাঁর বয়ান রেকর্ডের জন্য। এই আবহে ইডিকে চিঠি দেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায়। তার পরই সোমবার ইডির তিন আধিকারিক বিধায়কের বাড়িতে আসেন। এ নিয়ে মুকুল-পুত্র (Mukul Roy) শুভ্রাংশু বলেন, ‘‘আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি যে, সহযোগিতা করব। আমরা চিঠি দেওয়ার পর ওরা বলে বাড়িতে আসবে। আজ এসেছিল। আড়াই-তিন ঘণ্টা ছিল। পুরোপুরি সহযোগিতা করা হয়েছে।’’

    রাজনীতিতে চর্চিত নাম ছিলেন মুকুল রায়

    গত এক দশকে রাজনীতিতে চর্চিত নাম ছিল মুকুল রায় (Mukul Roy)। একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড ২০১৭ সালে যোগ দেন বিজেপিতে। তারপর থেকে বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ পদেও আসেন মুকুল। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা তিনি পালন করেন রাজ্যে বিজেপির অভূতপূর্ব সাফল্যে। এরপর ২০২১ সালে প্রথমবারের জন্য রাজ্য বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুকুল। প্রার্থী হন কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে। ২০২১ সালে ফের তৃণমূল জিতলে পুরনো দলে ফিরে যান মুকুল।

     

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, গুচ্ছ নির্দেশিকা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, রাস্তা অবরোধকারী প্রতিবাদীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে

    Birbhum: ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, রাস্তা অবরোধকারী প্রতিবাদীদের ওপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় প্রকাশ্যে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে সহ তিনজনের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রামে। এই ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামের লোকজন একজোট হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান। রাস্তা অবরোধ করলে প্রতিবাদীদের উপর ইট পাটকেল ছুঁড়ে ও লাঠি নিয়ে হামলার চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত ৪-৫ পাঁচজন প্রতিবাদী জখম হন। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত তিনজনকে পুলিশ আটক করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    সোমবার দুপুরে বীরভূম (Birbhum) মাড়গ্রাম থানা এলাকার এক ছাত্রী সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময় তিন যুবক একটি মোটর সাইকেলে চড়ে এসে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। তাদের মধ্যে একজন অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য বাসার শেখের ছেলে। তৃণমূল নেতার বউমা বর্তমানে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। রাস্তায় প্রকাশ্যে নির্যাতিতা হওয়ার পর ছাত্রীটি বাড়ি ফিরে বাড়ির লোকজনকে  সেই ঘটনা কথা জানায়। বাড়ির লোকজন সমস্ত বিষয়টি গ্রামবাসীদের জানান। এরপর তার বাড়ি ও গ্রামের বাসিন্দারা ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। নির্যাতিতা ছাত্রীর বক্তব্য, আমি পাশের গ্রামে কম্পিউটার ক্লাসে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে সাইকেল চালিয়ে ফিরছিলাম। রাস্তাতেই তিনজন বাইকে করে আসে। তৃণমূল নেতার ছেলে ফুলবাবু আমার শ্লীলতাহানি করে।

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আমরা রাস্তা অবরোধ করি। সেই সময় অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে এসে আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। ইটের আঘাতে ৪-৫ জন বিক্ষোভকারী গুরুতর জখম হন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী  ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিস্থিতি সামাল দেয়। দিনে দুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনার পর এলাকায় পুলিশের টহলদারি শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, রানাঘাট থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    TMC: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা, রানাঘাট থেকে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন রানাঘাটের এক তৃণমূল (TMC) নেতা। রবিবার রাতে রানাঘাট থানার আইসতলা থেকে সৌভিক ঘোষ ওরফে গুড্ডু নামের ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে ডায়মন্ডহারবার জিআরপি পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত যুবকের নাম পার্থ মাইতি। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া এলাকায়। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে পার্থ মাইতির সঙ্গে বেশ কয়েকজনের আলাপ হয় শিয়ালদা ডায়মন্ড হারবার শাখার হোটর স্টেশনে। রাজ্য সরকারের কর্মচারী বলে নিজেদেরকে পরিচয় দেন তাঁরা। এমনকী পার্থ মাইতিকে তাঁরা জানান যে রাজ্য সরকারের গ্রুপ ডি তে তাঁরা চাকরি করে দিতে পারেন। এরপরেই অর্থের বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরা। এই ঘটনায় ডায়মন্ডহারবার জিআরপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পাঁশকুড়ার বাসিন্দা পার্থবাবু। অভিযোগের পর ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে রানাঘাটের এই তৃণমূল (TMC) নেতার নাম সামনে আসে। আর এর পরই রবিবার রাতে আইসতলা থেকে ওই তৃণমূলের নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নদিয়া জেলা পরিষদের আসনে আইসতলা থেকে তৃণমূলের টিকিটে প্রার্থী ছিলেন সৌভিক ঘোষ ওরফে গুড্ডু নামের ওই তৃণমূল নেতা। ধৃত সৌভিক ঘোষের পাশাপাশি আরও চারজনের নাম উঠে আসে তদন্তে। ধৃত সৌভিক ঘোষকে সোমবার ডায়মন্ড হারবার এসিজেএম আদালতে  হলে বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    অনেকের কাছে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা অভিযোগ

    এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব ছিল তৃণমূল (TMC) নেতা সৌভিক ঘোষের। একাধিক মানুষের কাছ থেকে এই ভাবেই চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছে ওই তৃণমূল নেতা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে রানাঘাট ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব। অন্যদিকে, ওই তৃণমূল নেতাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেছে ধৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: ঘর ভাঙচুর, ৮০ হাজার টাকা লুট! থানায় নতুন এফআইআর শাহজাহানের নামে

    Sheikh Shahjahan: ঘর ভাঙচুর, ৮০ হাজার টাকা লুট! থানায় নতুন এফআইআর শাহজাহানের নামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি-র ওপর হামলার পর থেকে বেপাত্তা সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan)। তাঁকে ধরার বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। শাহজাহানকে গ্রেফতারির দাবিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী। এই আবহের মধ্যে এবার শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় নতুন করে অভিযোগ দায়ের করা হল। গৌর দাস নামে এক ব্যক্তি দাপুটে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ঘর ভাঙচুর, ৮০ হাজার লুটে অভিযুক্ত শাহজাহান! (Sheikh Shahjahan)

    আগে শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সাহস ছিল না। কেউ বুকে সাহস নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ অভিযোগ জমা না নিয়ে ফিরিয়ে দিত। জনরোষ তৈরি হতেই  দুয়ারে পুলিশ ক্যাম্প শুরু হয়েছে। সেখানে অভিযোগ জমা নেওয়া চলছে। পাশাপাশি থানাতেও অভিযোগ জমা নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, নতুন এফআইআরে শাহজাহানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী গৌরবাবুর ৮০ হাজার টাকা লুট করা হয়েছে। এছাড়া, তাঁর ঘরবাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। তবে, শুধু শাহজাহান একা নন, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দার-সহ মোট আট জনের বিরুদ্ধে ওই এফআইআর হয়েছে। এতদিন যে পুলিশ অভিযোগ নিত না, সেই অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বসিরহাট জেলা পুলিশ। এমনই মত এলাকাবাসীর।

    শাহজাহানকে গ্রেফতারে বাধা নেই, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট

    শাসকদলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতের বিধিনিষেধের কারণে পুলিশ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারছে না বলে সাফাই দিয়েছিলেন। সোমবার হাইকোর্টে সেই প্রসঙ্গে উঠলে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম স্পষ্ট করে জানান, ইডির মামলায় সিট গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। শাহজাহানকে গ্রেফতার করার বিষয়ে কোনও স্থগিতাদেশ আদালত দেয়নি। পুলিশ চাইলেই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) এই মামলায় যুক্ত করে নোটিস দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। এর পরেই জানা গেল সন্দেশখালি থানায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে নতুন এফআইআর দায়ের হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, ঝাঁটা হাতে মহিলারা, জ্বলল খড়ের গাদা, ভাঙচুর তৃণমূল নেতার বাড়ি

    Sandeshkhali: ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, ঝাঁটা হাতে মহিলারা, জ্বলল খড়ের গাদা, ভাঙচুর তৃণমূল নেতার বাড়ি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ সিরাজউদ্দিন, অজিত মাইতির পর আরও এক তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দারের শাস্তির দাবিতে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর গ্রামের পোলপাড়ায় লাঠি, ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসী মহিলারা। তৃণমূল নেতা শঙ্করের বাড়়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। ঘরের সব জিনিস ভেঙে ফেলা হয়। রান্না ঘরের বেড়া টেনে হিঁচড়ে ভেঙে ফেলা হয়। রান্না করা খাবার ফেলে দেওয়া হয়। খড়ের গাদায় আগুন দেওয়া হয়। ফলে, রবিবারের পর সোমবারও নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি।

    তৃণমূল নেতা শঙ্করের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (Sandeshkhali)

    রবিবার তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে তাড়া করেন মহিলারা। চার ঘণ্টা একটি বাড়িতে তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়। পরে, পুলিশ আটক করার পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দারের ওপর ক্ষোভ গিয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুরের পোলপাড়ায় ৪২ বিঘা জমি ভুয়ো নথি তৈরি করে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধে। সেই কাজে সিরাজউদ্দিনকে সাহায্য করেছিল অজিত মাইতি, শঙ্কর সর্দার। এমনই দাবি বিক্ষোভকারী মহিলারা। কীভাবে অজিত মাইতি হুমকি দিতেন তাঁর ভাইরাল অডিও এদিন প্রকাশ্যে আনলেন মহিলারা। সেই সঙ্গে একরাশ ক্ষোভ। পারিবারিক অশান্তির জেরে এক মহিলা শঙ্করের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও করেন। কথা না শুনলে কী ভাবে সিরাজউদ্দিন বাহিনী মারধর করে, তাও অভিযোগে উঠে এসেছে। আইন হাতে তুলে না নেওয়ার কথা বলে পুলিশ। তাতে আরও রাগ বেড়ে যায় বিক্ষোভকারীদের। এক বিক্ষোভকারী মহিলা জানালেন, “আমাদের জমি দখল করেছে শঙ্কর। মুরগি পুষতাম তাও নিয়ে নিয়েছে। ওকে ছেড়ে দেব? যখন আমাদের উপর অত্যাচার হয়েছে কোথায় ছিল প্রশাসন?” যদিও তৃণমূল নেতার মেয়ে বলেন, “আমার পিসি অসুস্থ। বাবা ওনাকে দেখতে গিয়েছে। তাও শুনল না। বাড়ি ভাঙচুর করল। আমার বাবা কোনও অন্যায় করেনি।”

     তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ

    তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দারের পাশাপাশি প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান তপন সর্দারের বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা। জবকার্ড সংক্রান্ত বিষয়ে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দঙ্গলপাড়ার গ্রামবাসী। তৃণমূল নেতা জব কার্ড নিয়ে প্রচুর দুর্নীতি করেছেন। তবে পুলিশ পৌঁছে হটিয়ে দেয় বিক্ষোভরত মহিলাদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: প্রকাশ্যে তৃণমূলের উপ প্রধানকে গুলি করে খুন, জেলাজুড়ে শোরগোল

    North 24 Parganas: প্রকাশ্যে তৃণমূলের উপ প্রধানকে গুলি করে খুন, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas)  ভাটপাড়া, আমডাঙার পর এবার অশোকনগরের গুমাতে তৃণমূলের উপ পুরপ্রধানকে গুলি করে খুন। মৃত তৃণমূল নেতার নাম বিজন দাস (৪৯)। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)  

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas)  গুমা এলাকায় রবিবার রাতে দলীয় কর্মীর জন্মদিনের পার্টিতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের উপ প্রধান। ওই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ওই এলাকারই জমি ব্যবসায়ী গৌতম দাস। অনুষ্ঠানের মধ্যে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে ওই পার্টিতেই গৌতম দাসের সঙ্গে বচসা হয় উপ প্রধানের। বচসার পরে গৌতম দাস পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং কিছুক্ষণ পরে তিনি ফিরে আসেন। এরপরেই তিনি ফিরে এসে ফের বিজন দাসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। এরপরই তাঁর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় উপ প্রধান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় পর উত্তেজিত জনতা জমি ব্যবসায়ী গৌতম দাসের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এরপরেই অশোকনগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান পুরনো শত্রুতার জেরেই উপ প্রধানকে গুলি করে খুন করেছে। এই ঘটনার পরেই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই গৌতম দাসের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

    সাংসদ কী বললেন?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গৌতম দাস ২০১৮ সালে একটি ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় নানান ধরনের অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। তিনি এলাকায় জমি কেনা-বেচা এবং সিন্ডিকেটের সঙ্গেও যুক্ত বলে জানা যাচ্ছে। রাতেই বারাসত মেডিক্যাল কলেজে যান বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। দলের জন্য বড় ক্ষতি। বিজন দাস ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে যুব রাজনীতি করেছেন। বর্তমানে তিনি উপ প্রধান ছিলেন। তাঁকে যে এইভাবে খুন হতে হল, সেটি অবিশ্বাস্য লাগছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে। দোষীরা অবিলম্বে শাস্তি পাবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের যুব নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপ, দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: তৃণমূলের যুব নেতাকে এলোপাথাড়ি কোপ, দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের সেকেন্দ্রা এলাকা। বিগত বেশকিছু দিন ধরে সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। রবিবার সকাল গড়াতেই ফের দুই পক্ষের মধ্যে বাধে বচসা। শুরু হয় হাতাহাতি। ঘটনাস্থলে রঘুনাথগঞ্জ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি ইশানুল শেখ যেতেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করে দলেরই অন্য গোষ্ঠীর লোকজন। হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয়। এই ঘটনায় এলাকায় চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার জন্য সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। এদিন তার শেষ দিন। সেখানেই তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। বিষয়টি জানার পরই যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি ইশানুল শেখ সেখানে যাওয়ার সময় তাঁর ওপর দলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন হামলা চালায়। লাঠি এবং লোহার রড দিয়ে হামলা চালানোর পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রঘুনাথগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকা শান্তি আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্নিত না হয় তারজন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গিপুর এসডিপিও প্রবীর মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় টহল মারছে। অপরদিকে আহত হন দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর এক কর্মীও। তাঁকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বর্তমানে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়।

    তৃণমূলের অ়ঞ্চল সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, দলের সহায়তা কেন্দ্রে প্রথমদিন থেকে ইশানুল সেখানে ছিলেন। বাড়ি বাড়ি কর্মীদের ডাকেন তিনি। সেই কাজে বাধা দেওয়া হয়। তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, হাসি মুখে কীর্তনে মজে দুই মন্ত্রী

    Sandeshkhali: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি, হাসি মুখে কীর্তনে মজে দুই মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali), অপর দিকে এলাকা পরিদর্শন করতে গিয়ে রাজ্যের দুই মন্ত্রী কীর্তনে মজেছেন। তৃণমূলের এই মন্ত্রীদের আজ রবিবার পেয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। পলাতক নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ গর্জে উঠেছেন। সন্দেশখালি ২ অঞ্চল সভাপতি অজিত মাইতিকে গ্রামবাসীরা হাতে ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করেছেন এবং ভয়ে তিনি অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

    হাসি মুখে বাদ্যযন্ত্রে মজে মন্ত্রী পার্থ (Sandeshkhali)

    শনিবারের পর আজ রবিবার নতুন করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর এলাকা। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে এলাকার মানুষ। অন্যদিকে দিল্লি থেকে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সন্দেশখালি যেতে গেলে ব্যাপক বাধার মুখে পড়ে। রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বোস গতকালের পর আজ ফের সন্দেশখালি পৌঁছান। তাঁদের অন্য মেজাজে দেখা গেল এদিন। গলায় খোল ঝুলিয়ে হাসিমুখে বাদ্যযন্ত্র বাজাতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থকে।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “অনেক অভিযোগ প্রশমিত হয়েছে। মানুষের ক্ষোভ অনেক কমে গিয়েছে। মেয়েদের যে অভিযোগগুলি হাইলাইট করা হয়েছিল, তা মিথ্যা। জমি যদি কারও গিয়ে থাকে তাহলে ফেরত পাবেন।” আবার মন্ত্রী সুজিত বোস বলেন, “কার্যত রাজনীতি করতে এইসব কিছু জিইয়ে রাখা হচ্ছে। কিন্তু এই আন্দোলন বেশি দিন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। কিছু মানুষকে দিয়ে জোর করে এইসব কাজ করানো হচ্ছে। কারা করছে আমরা বুঝতে পারছি। বেড়মজুরে (Sandeshkhali) দাঁড়িয়ে সবটাই দেখলাম।”

    ক্ষুব্ধ মহিলার বক্তব্য

    এই কথার প্রতিবাদে এলাকার (Sandeshkhali) এক মহিলা বলেন, “আমাদের বেলায় আইন, আর ওদের বেলায় আইন নেই। এত অভিযোগ যে শেষ করতে পারবো না। এই ঝাঁটা দিয়ে সব আবর্জনা ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ইচ্ছে মতো খেলা করছে। শুধু আনন্দ উপভোগ করতে চাইছেন। আমরা কোনও মন্ত্রীকে চাই না। মন্ত্রী কী করে বললেন ঝামেলা নেই! উনি কি ঘুমোচ্ছিলেন?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share