Tag: tmc

tmc

  • Sandeshkhali: এ যেন অন্য  সন্দেশখালি, বাঁধের গা থেকে উধাও ইট! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    Sandeshkhali: এ যেন অন্য সন্দেশখালি, বাঁধের গা থেকে উধাও ইট! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক আরেক সন্দেশখালির খোঁজ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। সেখানেও দুর্নীতির অভিযোগে সরব এলাকাবাসী। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুই তেঁতুলতলায় রায়মঙ্গল নদীর বাঁধের গা থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ইট। রায়মঙ্গলের এক পাশে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এবং অপর পাশে গোসাবা। সেখানে মূলত অভিযোগ, বাঁধের ইট নদীবাঁধকে রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু তা কার্যত দিনে দিনে উধাও হয়ে যাচ্ছে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, “এলাকায় কালোবাজারি চলছে। প্রকাশ্য দিনেদুপুরে চুরি হচ্ছে ইট।”

    ইট পাচারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা (Sandeshkhali)

    স্থানীয় (Sandeshkhali) মানুষদের অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল নেতা বাঁধের ইট খুলে বিক্রি করছেন। কোনও সময় গ্রামের বাইরে আবার কোনও সময় খোলা বাজারে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে এই ইট। কার্যত এলাকায় কালোবাজারি চলছে। আর এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন গ্রামের তৃণমূল নেতা নিত্যানন্দ চক্রবর্তী। তিনি আবার এলাকার তৃণমূল নেতা রঞ্জন মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গিয়েছে। এলাকার বাসিন্দা দেবব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, “রঞ্জনবাবু তো এসেছিলেন এলাকায়, তাঁদের নির্দেশে ইটগুলো তুলে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানীয় ক্লাবেও কিছু ইট পাচার করা হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের মারবে।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা নিত্যান্দ চক্রবর্তী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ওই ইটগুলি রাস্তা নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। কোনও ইট বিক্রি করা হয়নি। সবটাই পাবলিকের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। টাকা নিয়ে ইট দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।” অপর দিকে রঞ্জন মণ্ডল বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। বিক্রি যে করা হয়েছে তার প্রমাণ দিতে বলুন। আমি রাজনীতিতে আসার আগে আমার যা সম্পত্তি ছিল আর এখন যা সম্পত্তি হয়েছে সেই বিষয়ে হিসেব নিলেই সব বোঝা যাবে। মানুষের সেবা করা আমার অপরাধ হয়ে গিয়েছে।” অপর দিকে এলাকার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমি এমন কোনও খবর পাইনি। এখানে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও বিষয় নেই।”

    তৃণমূলের রাজত্বে মানুষের ক্ষোভে এই পুই তেতুলতলা এখন নতুন এক সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) পরিণত হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ফের ঝাঁটা হাতে রাস্তায় মহিলারা, তাড়া খেয়ে তৃণমূল নেতা আশ্রয় নিলেন অন্যের বাড়িতে

    Sandeshkhali: ফের ঝাঁটা হাতে রাস্তায় মহিলারা, তাড়া খেয়ে তৃণমূল নেতা আশ্রয় নিলেন অন্যের বাড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। ঝাঁটা হাতে রাস্তায় বের হলেন মহিলারা। রবিবারও তৃণমূল নেতাদের ওপর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ল জনতার। বেড়মজুরে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা অজিত মাইতিকে তাড়া করেন গ্রামবাসীরা। অজিত দৌড়ে পালিয়ে একজনের বাড়িতে ঢুকে পড়েন। তাড়া করে সেখানে পৌঁছে যান গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশির ভাগই মহিলা। তাঁদের দাবি, এখনই গ্রেফতার করতে হবে অজিতকে। পরে, পুলিশ গিয়ে উত্তেজিত জনতাতে সামাল দেয়। পরে, তৃণমূল নেতা অজিতকে আটক করে পুলিশ।

    দরজা খুলবেন না, মেরে দেবে, আর্জি তৃণমূল নেতার (Sandeshkhali)

    রাজ্যের দুই মন্ত্রী- সুজিত বসু এবং পার্থ ভৌমিক এলাকাবাসীর কথা শুনবেন বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। মূলত রবিবার বেলায় তৃণমূল নেতা অজিত মাইতিকে দেখতে পেতেই খেপে ওঠেন গ্রামবাসীরা। তাঁরা ধাওয়া করেন অজিতকে। অজিত প্রাণ বাঁচাতে দৌড় লাগান। দৌড়ে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে পড়েন তিনি। আর ঢুকেই দরজায় তালা মেরে দেন। এ দিকে ওই বাড়ির লোক তখন বাইরে স্নান করছিলেন। স্নান সেরে ঘরে ঢুকতে গিয়ে তিনি দেখেন, দরজায় তালা! ওই ব্যক্তির দাবি, নিমন্ত্রণ আছে বলে সকাল সকাল স্নান সেরে পোশাক পরতে ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখেন দরজায় তালা! আর ভিতর থেকে। অজিতের আর্তি, “দাদা, দরজা খুলবেন না! ওরা আমাকে মেরে ফেলবে!” অজিতের বক্তব্য, ২০১৯ সালে মারধর করে বিজেপি থেকে তৃণমূলে আনা হয়েছিল। মারধরের নেতৃত্বে ছিলেন সিরাজ ডাক্তার। অজিতের দাবি, মারধরের পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, অসত্য বলছেন অজিত। তিনি নিজেও জমি দখলে যুক্ত ছিলেন। তাই তাঁকে এখনই গ্রেফতার করতে হবে।

    অজিতকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে

    এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মন্ত্রী পার্থকে। তিনি বলেন, “কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁরা অত্যাচার করেছেন, দল তাঁদের পাশে নেই।” অজিতকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    ১০০০ হাজার টাকা অনুদান চাই না, গর্জে উঠলেন মহিলারা

     রবিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু। তাঁদের দাবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই আছে। একদিকে মন্ত্রীরা যখন সন্দেশখালির এক প্রান্তের ক্ষোভ শান্ত করছেন, সেই সময় ফের মহিলাদের একাংশের অভিযোগে জ্বলেছে বেলমজুর। এক মহিলা বলেন, “শেখ শাহজাহান, সিরাজ ডাক্তার, অজিত মাইতির গ্রেফতারি চাই।” অপরদিকে, আরও একজন রণচণ্ডী রূপ ধারণ করেন। বলেন, “আমাদের চাই না ১০০০ টাকা। আমাদের স্বামীরা খেটে খাওয়াতে পারে। কেন পুলিশ আমাদের বাড়ির ছেলেদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে?”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘জেলায় জেলায় শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘জেলায় জেলায় শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু সন্দেশখালি নয়, জেলায় জেলায় একজন করে শেখ শাহজাহান বসিয়ে রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তারা  করে কম্মে খাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা হয়েও সন্দেশখালির ঘটনায় নীরব রয়েছেন। মূল অভিযুক্তকে আড়াল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের সঙ্গে ছলনা করছেন। রবিবার দিল্লি থেকে বালুরঘাট যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

      শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়া নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    সন্দেশখালি ইস্যুতে এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় সরব হন। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, সন্দেশখালিতে জমি দখল, মহিলাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরও পুলিশ মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে এখনও গ্রেফতার করেনি। পুলিশ শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে না। কেননা শেখ শাহজাহানের হয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফাই গেয়েছেন। তিনি হোম মিনিস্টার। তার অধীনে রয়েছে পুলিশ। তাই পুলিশ কীভাবে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করবে? তবে, তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিজেপি আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করাতে বাধ্য করাবে।

    পুলিশ দেখলে ক্ষেপে যাচ্ছে সন্দেশখালিবাসী

    রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে নয়, তাঁর সাম্রাজ্য সামলাতে গিয়েছিলেন। শাহজাহান তাজমহল বানাচ্ছেন। তাই ডিজি গিয়েও শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারেননি।  বরং পুলিশ দেখলে সন্দেশখালির মানুষ এখন  ক্ষেপে যাচ্ছেন। কেননা এই পুলিশই দিনের পর দিন শাহজাহানদের নিয়ে রেইকি করেছে কবে কোন সুন্দরী মহিলাকে কীভাবে রাতে তুলে আনতে হবে। পুলিশের ওপর এলাকার মানুষের কোনও ভরসা নেই। পুলিশ দেখলেই তারা ক্ষেপে উঠছে। সন্দেশখালির মতো রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই নারীদের ওপর নির্যাতন ও জমি দখল চলছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, শিলিগুড়িতেও তৃণমূলের মদতে জমি দখল চলছে। তৃণমূল নেতাদের এই কাজে সহযোগিতা করে বিএলআরও, ডিএম’রা পয়সা পাচ্ছেন। তাই তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমরা রাজ্যে ক্ষমতায় এলে বিএলআরও ডিএম’দের জেলে ভরবো।

    ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    কোনও জোট করে কংগ্রেস সুবিধা করতে পারবে না বলে জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেস এখন ডুবন্ত জাহাজ। বেঁচে থাকার  জন্য খড়কুটোর মতো কখনও কংগ্রেস কখনও  সিপিএমকে আঁকড়ে ধরতে চাইছে। কখনও সাপের কখনও ব্যাঙের গালে চুমু খেয়ে কংগ্রেসের লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nandigram: সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন নন্দীগ্রামের নির্যাতিতাদের

    Nandigram: সন্দেশখালির আন্দোলনকে সমর্থন নন্দীগ্রামের নির্যাতিতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন নির্যাতিতারা। এই নির্যাতিতাদের পাশে দাঁড়ালেন নন্দীগ্রামের (Nandigram) নির্যাতিতারা। এই লড়াই চেনা ঠেকছে নন্দীগ্রামের রাধারানি আড়ি, কল্পনা মুনিয়ান, হৈমবতী দাসদের। দেড় দশকের ব্যবধানে রাজ্যের দুই প্রান্তের নির্যাতিতাদের স্বর মিলে যাচ্ছে।

    সন্দেশখালির অত্যাচার নিয়ে সরব নন্দীগ্রামের নির্যাতিতারা (Nandigram)

    ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে (Nandigram) গুলি চালনার পরে রাধারানিকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল সিপিএমের ‘হার্মাদ বাহিনী’র বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। পরে ফিরেছেন গোকুলনগরের বাড়িতে। ৬৬ বছরের রাধারানি বলেন, বাড়িতে টিভি নেই। লোকজনের মুখে শুনছি, সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। তবে তারাও আমাদের মতো আন্দোলন করছে জেনে ভাল লাগছে। তবে, কেউ আর আমাদের খোঁজ রাখে না। যা বুঝলাম, যে যখন শাসক,দুর্বৃত্তরা তার ছত্রছায়াতেই থাকে। ২০০৭ সালের নভেম্বরে সোনাচূড়ার কল্পনা মুনিয়ান এবং হৈমবতী দাসকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। নিশানায় ছিল সেই ‘হার্মাদ বাহিনী’। পরে স্থানীয়রাই তাঁদের এগরার কাছে উদ্ধার করে। কল্পনাও বলছেন, “এই অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। অবিলম্বে সন্দেশখালির শাহজাহানদের গ্রেফতার করা উচিত।” কল্পনার বাড়ির কাছেই থাকেন হৈমবতী। তিনি বলেন, “বরাবর শাসকদের লক্ষ্য মহিলারা। বয়স হয়ে গিয়েছে। তবু সন্দেশখালিতে গিয়ে অত্যাচারিত মা- বোনেদের পাশে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।”

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী দু’দিন আগেই দাবি করেছেন, “দ্বিতীয় নন্দীগ্রাম হতে চলেছে সন্দেশখালি।” একই সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের গলাতেও।  নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, এসবের পিছনে রাজনীতি আছে। সন্দেশখালি আর নন্দীগ্রাম এক নয়।  বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন,  “নন্দীগ্রামের শহিদ পরিবার থেকে অত্যাচারিত মায়েরাও তৃণমূলের দ্বিচারিতা বুঝে এখন তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাই তাঁদের গায়ের রাজনীতির রং লাগাতে চাইছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল, ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ শাহজাহানের অত্যাচারে!

    Sandeshkhali: বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল, ছাত্রীর পড়াশোনা বন্ধ শাহজাহানের অত্যাচারে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে শেখ শাহজাহান, শিবু হাজার, উত্তম সর্দার ও সিরাজের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে বিস্ফোরক হয়েছেন গ্রামবাসীরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ৬ বিঘা জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বোসের সামনেই ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার এক গ্রামবাসী। অপর দিকে জানা গেল, শাহজাহান-সিরাজের অত্যাচারে স্নাতক হয়ে উঠতে পারেননি বেড়মজুর এলাকার প্রতিবাদী মৌ কোয়েলি সর্দার।

    গত শুক্রবারের পর শনিবার ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন। এরপর দুইজন গ্রামবাসীকে আটক করে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে এডিজি সুপ্রতিম সরকার টহল দেন। যদিও রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক স্পষ্ট করে জানান, “শাহজাহানের নামে নির্দিষ্ট করে কোনও অভিযোগ নেই।” আর এই মন্তব্যে ব্যাপক চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে।

    বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখল!

    কর্ণখালির (Sandeshkhali) বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ দাস অভিযোগ তুলে বলেন, “শাহজাহান বাহিনী আমার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে জমি জোর করে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বন্দুকের সামনে বাবা একদম ভয় পাননি। প্রতিবাদ করেছিলেন। এরপর আমাকে মেরে পা ভেঙে দিয়েছিল। আমাদের পরিবার এই চাষের উপর নির্ভর করে চলে। সমস্ত জমি দখল করে জল ঢুকিয়ে দিয়েছিল ওরা। প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ৪ দিন জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৬ বিঘা জমি দখল করে নিয়েছিল ওরা।” এদিন রাজ্যের দুই মন্ত্রী সন্দেশখালিতে গেলে এই ভাবেই এলাকার দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গ্রামের মানুষ। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীরা আরও বলেন, “মন্ত্রীরা নিয়ম করে আগে এসে নিপীড়িত মানুষের কথা শুনলে আজকের মতো পরিস্থিতি হত না।”

    সিরাজের অত্যাচারে বন্ধ হয়েছে পড়াশুনা

    ২০২১ সালের আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে (Sandeshkhali) ব্যাপক হামলা চালিয়েছিল সিরাজের বাহিনী। এই সময় কোয়েলির মোবাইল লুট করে নেয় দুষ্কৃতীরা। অপরদিকে সেই সময় করোনাকালে পড়াশুনার একমাত্র মাধ্যম ছিল এই মোবাইল এবং অনলাইন। মোবাইল না থাকায় আর পড়াশুনা করা হয়ে ওঠেনি তার পক্ষে। কোয়েলি জানিয়েছেন, “শেখ শাহজাহান এবং সিরাজ সেই সময় আমাদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করে। কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছিলাম। তখন আমাদের অনলাইনে পড়াশুনা এবং পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপার ছিল। ফোনটা লুট করে নিয়েছিল তাই আর পরীক্ষা দিতে পারিনি। যারা পড়াশুনা করছিল তাদের সকলের নামে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছিল। এমনকি অধ্যাপকদেরও নামে কেস দেওয়া হয়েছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: দুই মন্ত্রীর কাছে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানালেন সন্দেশখালিবাসী

    Sandeshkhali: দুই মন্ত্রীর কাছে শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানালেন সন্দেশখালিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। যত দিন যাচ্ছে শাহাজাহান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন একের পর এক গ্রামবাসী। শক্ত জমি ক্রমশ আলগা হচ্ছে তৃণমূলের। এটা বুঝতে পেরেই বারবারই ছুটে আসছেন মন্ত্রীরা। দিনভর মাটি কামড়ে পড়ে থাকছেন সন্দেশখালিতে। গ্রামের মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছেন। শনিবারও রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসু সন্দেশখালি গিয়েছিলেন। দিনভর এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁরা কথা বলে ক্ষোভ কতটা রয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন তাঁরা। এতকিছু কি করার পরও ছিঁড়ে কতটা ভিজল তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে।

    শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবি জানালেন বাসিন্দারা (Sandeshkhali)

    ইডির ওপর হামলার পর থেকেই শাহজাহান বেপাত্তা। তাঁর অন্যতম সাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরাতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাতেও সন্দেশখালীবাসীর (Sandeshkhali) ক্ষোভের আগুনে জল ঢালতে পারেনি প্রশাসন। বরং যত দিন গিয়েছে ক্ষোভ তত বেড়েছে। দুদিন আগেই শাহজাহানের ভাইকে তাড়া করেছে এলাকার মানুষ। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। তাঁর ওপর চড়াও হয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সন্দেশখালি অত্যাচারের নায়ক শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না। দুই মন্ত্রীর কাছেও তাঁরা শাহজাহানের গ্রেফতারির জন্য দরবার করেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে কতটা ক্ষোভ রয়েছে শাহজাহানের উপর সেটা টের পান রাজ্যের দুই মন্ত্রী।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, উত্তম ও শিবুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শাহজাহানের বিষয়টি ইডি। ইডি রাজ্য সরকারের অধীনে নয়। কেন্দ্রের অধীনে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে ইডি। এর আগে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহান গ্রেফতারি প্রসঙ্গে একই সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তবে, মন্ত্রীদের এই ধরনের কথাতে সন্তুষ্ট নন সন্দেশখালিবাসী।

    বসিরহাটের পুলিশ সুপার কী বললেন?

    দুদিন আগেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি এসেছিলেন। আইন হাতে না তোলার বার্তা দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সন্দেশখালি থেকে তুই চলে যাবার পরই সক্রিয় হয়ে উঠেছিল পুলিশ। উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ফলে পুলিশের বিরুদ্ধেও খুব উপড়ে দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। বিক্ষোভাতে ইতিমধ্যে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে মজুর গ্রামে। একাধিক জায়গায় পুলিশ কাম করা হয়েছে। বসিরহাটের পুলিশ সুপার হাসান মেহেদি রহমান বলেন, ক্যাম্পে ভালো সাড়া মিলছে। অনেকেই অভিযোগ জানাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের জমি ফেরানো ব্যবস্থা হয়েছে। বাকি অভিযোগ খতিয়ে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: তৃণমূলের দাদাগিরি! দোকান ভাঙচুর করে ক্ষমতা দেখালেন নেতা

    Balurghat: তৃণমূলের দাদাগিরি! দোকান ভাঙচুর করে ক্ষমতা দেখালেন নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল শ্রমিক নেতার দাদাগিরি। রাতের অন্ধকারের বালুরঘাট (Balurghat) বাস স্ট্যান্ড চত্বরে বাস মালিকের টিকিট কাউন্টার ভাঙার অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির আইএনটিটিইউসির জেলা সহ সভাপতি তথা প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা রাকেশ শীলের বিরুদ্ধে। বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বাস কাউন্টারের মালিক তনু সরকার। অন্যদিকে, ওই তৃণমূল নেতার তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ পেতেই পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী তনু সরকার মিনতি জোয়াদ্দার নামে একজনের কাছ থেকে বালুরঘাট (Balurghat) বাসস্ট্যান্ডের কাছে ১৫-১৬ বছর আগে ঘরটি ভাড়া নেন। তারপর থেকে সেখানে তিনি দোকান করছেন। তিনি বাসের টিকিট কাউন্টার করেন ওই দোকানঘরে। এদিকে বছর তিনেক আগের রাকেশ শীল সেই বাড়িটি কেনেন। দোকান ঘর সারানোর জন্য চাপ ও হুমকি দেওয়া তাকে। অন্য জায়গার জন্য দোকানের কোন পজিশন দেওয়া হচ্ছিল না। রাকেশ শীল নিজের দোকান ঘর বিক্রি করতে চাইছিলেন। সেটার জন্য তিনি বেশি টাকা চাইছিলেন। এর প্রতিবাদ করায় দোকানঘর ভাঙচুর করা হয়। এই বিষয়ে অভিযোগকারী তনু সরকার বলেন, আমার দোকান তৃণমূল নেতা রাকেশ শীলের লোকেরা ভাঙচুর করেছে। আমার দোকান আমি ভাড়ায় নিয়েছিলাম। কিন্তু সে ভাড়ার দোকানটা কিনতে চাইলে তিনি বেশি দাম চান। অত টাকায় আমার পক্ষে কেনা সম্ভব না। সকালে এসে দেখি তাঁরা দোকান ভেঙ্গে দিয়েছেন। আমি এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছি। এই বিষয়ে ডিএসপি হেডকোয়াটার বিক্রম প্রসাদ জানান, দুই পক্ষের অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা রাকেশ শীল বলেন, ওই জায়গার সঙ্গে লাগানো বাড়ি আমি কিনে নিয়েছি। বিকল্প জায়গা দেখতে বললেও তাঁরা দেখেননি। আমার জায়গায় কাজ করাতে গেলে আমার স্ত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। কাউন্টার ভাঙার যে অভিযোগ তুলছে তা পুরোপুরি মিথ্যে। নিজেই দোকান ভেঙে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে। এ নিয়ে আমিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    Sandeshkhali: মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জমি দখলের অভিযোগ শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে। শুধু জোর করে দখল নয়, বর্গা রেকর্ড পর্যন্ত করেছে পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহানের ভাই সিরাজ। একের পর এক জমি দখল করে এলাকার জমির চরিত্রটাই বদল করে দিয়েছে এই নেতারা। সাধারণ মানুষের জমি কেড়ে ভেড়ির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তাঁরা। ঠিক এই ভাবেই বিস্ফোরক অভিযোগ করে সরব হয়েছেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    জমিহারা মহিলার বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার কাছে জামিহারা বেড়মজুর গ্রামের বাসিন্দা মৌসুমী হালদার বলেন, “সিরাজুদ্দিন এলাকায় (Sandeshkhali) সিরাজ ডাক্তার নামে পরিচিত। শেখ শাহজাহানের ভাই। এই বাহিনী আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক বিঘা কৃষিজমি দখল করে নিয়েছে। আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে, শ্বশুরকে ব্যাপক মারধর করেছে। সেই সঙ্গে আমার বাচ্চাদেরকে প্রাণনাশ করতে পারে, এই ভয়ে আমি কিছু বলতে পারিনি।”

    আর কী অভিযোগ?

    শাহজাহান-সিরাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মৌসুমী হালদার আরও বলেন, “আড়াই লাখ টাকা দিয়ে আমার কেনা জমি ছিল। কিন্তু সন্তানের দিকে তাকিয়ে, প্রাণের ভয়ে সিরাজের হাতে তুলে দিতে হয়েছিল জমি। রেজেস্ট্রি অফিসেই জোর করে আমাকে দিয়ে সই করিয়ে নেওয়া হয়। সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সিরাজের কাছে যাওয়ার কথা বলে। থানার মধ্যেই সিরাজের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হুমকির মধ্যে পড়তে হয়। এলাকায় বিজেপি সমর্থক সন্দেহে আমাদের উপর অত্যাচার করা হয়। বাড়িতে এসে সিরাজের নির্দেশে অমিত হালদার, বিনয় সর্দার, পঙ্কজ গায়েন, লিয়াকতরা হামলা করে। জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায় ওরা। এমনকি লাথি মেরে ভাতের হাড়ি পর্যন্ত উলটে দেয়। সেই সঙ্গে আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়।”

    ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা গোপাল হালদার বলেন, “শাহজাহান-সিরাজকে গ্রেফতার না করলে এলাকায় শান্তি ফিরবে না।” আবার স্থানীয় প্রদীপ মণ্ডল বলেন, “পুলিশ ক্যাম্প হওয়ায় মার খাওয়ার ভয় নেই। কিন্তু জমি ফেরত পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Humayun Kabir: আইপ্যাকের নাম করে হুমায়ুন কবীরকে মন্ত্রী করার টোপ! চাওয়া হল ১০ লক্ষ টাকা

    Humayun Kabir: আইপ্যাকের নাম করে হুমায়ুন কবীরকে মন্ত্রী করার টোপ! চাওয়া হল ১০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইপ্যাকের নাম করে তৃণমূলের এক বিধায়ককে মন্ত্রী করার টোপ দেওয়া হয়। আর তার বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার শক্তিপুর থানা এলাকায়। তৃণমূল বিধায়কের নাম হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। তিনি ভরতপুরে বিধানসভার বিধায়ক। শক্তিপুর থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম রঞ্জন সরকার। তাঁর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম এলাকার পূর্বদাস পাড়াতে। শনিবার সকালে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Humayun Kabir)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই যুবক একটি পোর্টালে কাজ করেন।  হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir) বলেন,”প্রায়  ১৫ মাস আগে রঞ্জন সরকার প্রথম আমাকে ফোন করেন এবং নিজেকে রাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী এবং আইপ্যাক-এর শীর্ষ কয়েকজন কর্তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচয় দেন। সেই সময় ওই ব্যক্তি আমাকে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য করে দেবে এই আশ্বাস দিয়ে আমার কাছ থেকে বেশ কয়েক হাজার টাকা দাবিও করেন । আমি কোনও মন্ত্রিত্ব পাওয়ার জন্য টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই যুবক আমাকে বারবার ফোন করতে থাকেন।” সূত্রের খবর -এরপর রঞ্জন সরকার বিপদে পড়েছেন এমন দাবি করে হুমায়ুন কবীরের  কাছ থেকে কয়েক ক্ষেপে প্রায় এক লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এরপরই হুমায়ুন কবীর, রঞ্জন সরকারের টাকা চাওয়ার বিষয়টি কলকাতা পুলিশের নজরে আনেন। মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মজিদ ইকবাল খান বলেন,” বিধায়কের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ওই ব্যক্তিকে মধ্যমগ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছি।”  আদালত ধৃত রঞ্জন সরকারের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    হুমায়ুন কবীর  বলেন,” এরপর প্রায় ১ বছর আমার কাছ থেকে রঞ্জন সরকারের টাকা চাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু গত ২২ তারিখ থেকে আবার ওই ব্যক্তি আমাকে আইপ্যাক-এর নাম করে বারবার হোয়াটসঅ্যাপে এবং আমার ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করে বিরক্ত করতে থাকেন এবং টাকা চাইতে থাকেন। আমি ওই ব্যক্তিকে ফোন করতে বারণ করলেও বারবার নম্বর বদল করে আমাকে  ফোন করতে থাকেন। এরপরই আমি গোটা ঘটনাটি আইপ্যাক-এর কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিকের নজরে আনি। তখন আমাকে জানানো হয় ওই নামে আইপ্যাক সংস্থাতে কেউ কাজ করে না এবং মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা চাওয়ার বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।” শুক্রবার রাতে হুমায়ুন কবীর তাঁর নিজের বাড়ির কাছে শক্তিপুর থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মৃত বৃদ্ধার বার্ধক্যভাতার টাকা মাসের পর মাস তুলে নেওয়া হচ্ছে! কাঠগড়়ায় তৃণমূল

    South 24 Parganas: মৃত বৃদ্ধার বার্ধক্যভাতার টাকা মাসের পর মাস তুলে নেওয়া হচ্ছে! কাঠগড়়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মৃত ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মাসের পর মাস উঠে যাচ্ছে বার্ধক্য ভাতার টাকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মন্দির বাজার বিধানসভার কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত হাতছাড়়া হতেই এই দুর্নীতি সামনে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে,  মৃত বৃদ্ধার নাম অনুমতি হালদার। তাঁর বয়স ৭৫ বছর। ২০২০ সালের ৪ঠা জুন তাঁর মৃত্যু হয়। সেই মর্মে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সেই পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কয়েক মাস পরেও তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে  প্রতিমাসেই বার্ধক্য ভাতার টাকা তুলে নেওয়া হয়। আর যা দেখে চক্ষু চরক গাছ তার পরিবারের লোকেদের। শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিতে দুর্নীতির আঁতুরঘর, এমনটাই অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। জানা গিয়েছে, এতদিন গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড ছিল। গত পঞ্চায়েতে বিরোধী জোট পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে। স্থানীয় এক ব্যক্তি আরটিআই করেন। আর তাতেই পরিষ্কার হয়ে যায় সমস্ত বিষয়টি। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    অনুমতি হালদার হালদারের নামে শুধুমাত্র একটি বার্ধক্য ভাতার অ্যাকাউন্ট নয়। রয়েছে দু দুটি বার্ধক্য ভাতার অ্যাকাউন্ট। একটিতে তাঁর নামের সঙ্গে তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বর দেওয়া থাকলেও অন্যটিতে তাঁর নামের পাশে অ্যাকাউন্ট নম্বরটি অন্যজনের। কিন্তু সেই নম্বরটি কার তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। মৃতের ছেলে সঞ্জীবন হালদার বলেন, এই বিষয় নিয়ে সঠিক তদন্ত হোক। কে বা কারা আমার মায়ের নাম করে দুটি  অ্যাকাউন্ট থেকে দিনের পর দিন টাকা তুলছে তার অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি নেতা মোহন হালদার বলেন, এই সমস্ত কিছুই হয়েছে তৃণমূলের বোর্ডে। সেই সময়ে পঞ্চায়েতের দায়িত্ব থাকা প্রধান ও তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির মদতে এসব দুর্নীতি হয়েছে। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি জানাচ্ছি। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মৃত্যুঞ্জয় পাইক বলেন, এখনও আমাদের কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ আসেনি। এমন যদি হয়ে থাকে তার সঠিক তদন্ত করা হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share