Tag: tmc

tmc

  • Sandeshkhali: শিবু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা পাড়া ঘুরে ঘুরে তালিকা তৈরি করছেন, ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী

    Sandeshkhali: শিবু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা পাড়া ঘুরে ঘুরে তালিকা তৈরি করছেন, ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষোভে ফুঁসছেন সন্দেশখালিবাসী। মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। আর সেটা দলীয় নেতারা বুঝতে পেরে ক্ষতে প্রলেপ দিতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক দল। জমি নেওয়ার পর গ্রামবাসীদের লিজের টাকা দিতেন না শাহজাহান বাহিনীর উত্তম সর্দার- শিবু হাজরারা। এবার সেই লিজের টাকা না পাওয়া বাসিন্দাদের তালিকা তৈরি করছে পঞ্চায়েত। তালিকা তৈরি করছেন সন্দেশখালি (Sandeshkhali) পঞ্চায়েতের উপ প্রধান গণেশ হালদার। আর সেই তালিকা নিয়ে চর্চা চলছে সন্দেশখালিজুড়ে। কারণ, এই গণেশই শিবু হাজরার অনুগামী। তাঁর বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ। তাঁকে আবার তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    তালিকা তৈরি নিয়ে মুখ খুললেন বাসিন্দারা (Sandeshkhali)

    তৃণমূল নেতা গণেশ এই এলাকায় তিন বারের পঞ্চায়েত সদস্য। গ্রামবাসীদের দাবি, এলাকার গরিব মানুষের থেকে গণেশ যা টাকা তুলতেন, তার ভাগ যেত শিবপ্রসাদ, শেখ শাহজাহানের কাছেও। এই এলাকায় গণেশ খাস জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের। গণেশের নিজের বুথ এলাকা ৫ ঘটি পাড়ার বাসিন্দাদের অনেকের বক্তব্য, যাঁর বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ, তিনিই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে এলাকার মানুষের কাছ থেকে জমি লিজ় সংক্রান্ত অভিযোগ শুনছেন। রুমা মণ্ডল নামে এই এলাকার এক বাসিন্দার অভিযোগ, গণেশ আমাদের পাট্টা করিয়ে দেবে বলে ৭০০ টাকা নিয়েছিলেন দু’বছর আগে। কিন্তু, টাকা ফেরত দেননি, কাজও হয়নি। উনিই আবার জমির সমস্যা সমাধানে বেরিয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে কী হবে। রুমার মতো অনেকের অভিযোগ, চারশো, পাঁচশো করে যখন যেমন খুশি টাকা নিয়েছেন গণেশ। গণেশের বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর আরও বড় বলে জানিয়েছেন নমিতা মণ্ডল-সহ বেশ কয়েক জন। নমিতার দাবি, গণেশ তাঁর দলবল নিয়ে চড়াও হয়ে এই গ্রামের বহু লোকের একশো দিনের কাজের টাকা তুলে নেন। আমার পরিবারেই ছ’জন একশো দিনের কাজ করেছিলেন। তিন জনের ব্যাঙ্ক একাউন্টে তিন হাজার টাকা করে ঢুকেছিল প্রায় দু’বছর আগে। গণেশের লোক এসে বলে যায়, নয় হাজারের মধ্যে দেড় হাজার রেখে সাড়ে আট হাজার টাকা দিয়ে দিতে হবে। তাই করতে হয়। কাটমানি নেওয়া নেতা টাকা ফেরানোর আশ্বাস দেন কী করে! শিবপদ কাণ্ডার নাম এক বাসিন্দা বলেন, “একশো দিনের কাজ করেছিলেন প্রায় ৩৭ দিন। দু’বছর আগে একবার ৫,৭০০ টাকা ঢুকেছিল। গণেশ চাপ দিয়ে সব টাকা তুলে নেন। ওদের কথা না শুনলে, মিটিং-মিছিলে না গেলে কোদালের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হত। ভয়ে ওদের কথা শুনতে হত।”

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গণেশ অবশ্য অভিযোগের কথা মানতেই চাননি। তিনি বলেন, “সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার সামনে এমন অভিযোগ কেউ করতে পারবে না। আসলে এসব নিয়ে অনেকে রাজনীতি করছেন।” সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিধায়ক তৃণমূলের সুকুমার মাহাতো বলেন, “যার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ, সব শোনার জন্য নেতারা যাচ্ছেন। এত দিন কেউ তো কিছু বলেনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু গ্রেফতারে খুশির হাওয়া সন্দেশখালিতে, ফ্রিতে মিষ্টি-চা বিতরণ

    Sandeshkhali: শিবু গ্রেফতারে খুশির হাওয়া সন্দেশখালিতে, ফ্রিতে মিষ্টি-চা বিতরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির ওপর হামলার পর থেকে শেখ শাহজাহান ফেরার। এখনো পুলিশ তাঁর কোঁজ পায়নি। তবে, তাঁর অন্যতম দুই সাগরেদ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আর তারপরই উল্লাসে মেতে উঠলেন সন্দেশখালির মহিলারা। তাই সন্দেশখালির (Sandeshkhali) কোথাও চলছে বিনামূল্যে চা খাওয়ানোর পর্ব তো কোথাও মিষ্টি মুখের পালা।

    বিনামূল্যে চা-মিষ্টি বিতরণ! (Sandeshkhali)

    শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ায় এবার আতঙ্ক কাটল, নতুন করে স্বাধীনতা ফিরে পেলেন বলে জানাচ্ছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। কেউ বলছেন, “অনেকটা সাহস পেলাম। এবার নতুন করে জীবন ফিরে পাব। নতুন করে স্বাধীনতা পাব আশা করছি।” এলাকাবাসীর অভিযোগ, শিবু হাজরার লোকজন গ্রামের মহিলাদের বিকালের পর পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে যেতেন এবং তাঁদের ওপর যৌন নির্যাতন চলত। শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ার পর এবার তাঁর কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। যার প্রেক্ষিতে শনিবারই শিবু হাজরার বিরুদ্ধে জমি দখল, মানুষের উপর অত্যাচার-সহ অন্যান্য ধারার পাশাপাশি গণধর্ষণের মামলা রুজু করে পুলিশ। এরপর সন্ধ্যাতেই পুলিশের জালে পাকড়াও হয় শিবু হাজরা। শিবু হাজরার গ্রেফতারির খবর শুনেই সন্দেশখালির শ্রীমনি বাজারে চায়ের দোকানিরা এদিন সন্ধ্যায় সকলকে বিনামূল্য চা খাওয়াচ্ছেন। রবিবার সকালে সকলকে মিষ্টি খাওয়ান শ্রীমনি বাজারের দোকানিরা। আবার এলাকার মহিলারা বলছেন, “আমরা ঘরেই মিষ্টি খাব।”

    আন্দোলনকারী মহিলাদের কী বক্তব্য?

    শিবু হাজরা গ্রেফতার হওয়ায় কেবল মহিলা নয়, স্থানীয় বাসিন্দা সকলের মধ্যেই খুশির বাঁধ ভেঙে পড়েছে। তবে, শিবু হাজরা গ্রেফতার হলেও এখনই আন্দোলন থামছে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। তাঁদের কথায়, “শিবু হাজরার মাথায় রয়েছে শেখ শাহজাহান। শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেই আন্দোলন থামবে।” শাহজাহান গ্রেফতার হলেই আতঙ্কের পরিবেশ কাটবে এবং এলাকাবাসী নির্ভয়ে বাঁচতে পারবে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: “বাবা অসুস্থ, যাবেন না”, মুকুলের ইডি-তলব নিয়ে জানালেন ছেলে শুভ্রাংশু

    Mukul Roy: “বাবা অসুস্থ, যাবেন না”, মুকুলের ইডি-তলব নিয়ে জানালেন ছেলে শুভ্রাংশু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ড সংস্থা অ্যালকেমিস্ট মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য কৃষ্ণনগরের উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়কে (Mukul Roy) ১৯ শে ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ইডি-র পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে। তবে, ইডি-র ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি দিল্লি যাচ্ছেন না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশু রায়। কেন তাঁর বাবা ইডির ডাকে দিল্লি যাচ্ছেন না তা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।

    কী বললেন মুকুল (Mukul Roy)-পুত্র?

    চিটফান্ড সংস্থা মামলায় মুকুল রায়কে তলব করা হয়েছে দিল্লিতে। শুক্রবার ইডি-র পাঠানোর চিঠি প্রসঙ্গে মুকুল (Mukul Roy) পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেন, ইডির পক্ষ থেকে আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। কিন্তু, বাবার শারীরিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে বাবার পক্ষে দিল্লি যাওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। তবে, আমরা তদন্ত সহযোগিতা করতে সব রকম ভাবেই প্রস্তুত। বাবাকে যদি তারা ফোন করে চান, তাতে কোনও আপত্তি নেই। বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা এসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। ইডি এই উদ্যোগ নিলে আমরা স্বাগত জানাবো। এছাড়া তারা যদি ভিডিও কলিং করে বাবার সঙ্গে কথা বলতে চান তা তাঁরা করতে পারেন। আমাদের অবস্থান আমরা চিঠি দিয়ে ইডি আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছি। আমরা ইডি আধিকারিকদের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি। পরবর্তীকালে তারা যে নির্দেশ দেবে সেইমতো  পরবর্তী পদক্ষেপ আমরা নেব। জানা গিয়েছে,  কাঁচরাপাড়ার বাড়িতেই রয়েছেন মুকুল রায়। এদিন সকালে ইডি-র হাজিরা নিয়ে অবস্থান জানতে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা তাঁর বাড়িতে হাজির হন। মুকুল পুত্র শুভাংশু রায় বেরিয়ে আসেন। ইডি-র ডাকার বিষয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এই সময়ের মধ্যে একবার দোতলার বারান্দায় এসে কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন মুকুল রায়। বিশেষ কিছু কথা তিনি বলেননি। শুভ্রাংশু রায় বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা কেমন তা বারান্দাতেই আপনারা দেখতে পেয়েছেন। তাই, এখন ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। মুকুল রায়ের পক্ষ থেকে ইডি আধিকারিকদের যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে ইডি কী উত্তর দেয় সেটার অপেক্ষায় রয়েছেন তৃণমূল বিধায়কের পরিবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূল নেতার অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলে বাধা, ফিরে এল পুরসভা

    Siliguri: তৃণমূল নেতার অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গেলে বাধা, ফিরে এল পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার বাধায় অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে  ফিরে এলো তৃণমূল পরিচালিত শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভা। কারণ, সেই অবৈধ নির্মাণ হওয়া বাড়ির মালিক হচ্ছেন স্বয়ং তৃণমূল নেতা। শাসক দলের নেতা বলেই পিছু হটতে বাধ্য হল পুরসভা। এটা নিয়ে শিলিগুড়ি জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Siliguri)

    জানা গিয়েছে, প্রতিবেশীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইন মেনে নোটিশ জারি করে শুক্রবার শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার কর্মীরা ওই বাড়ি ভাঙতে যায়। বাড়ির মালিক সৌমিত্র দেবনাথ তৃণমূলের ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক। এই বিতর্কিত বাড়ির নিচে তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয় খোলা হয়েছে। পুরসভার কর্মীরা তার বাড়ি ভাঙতে গেলে  তিনি প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়ান। এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। শিলিগুড়ি পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তারপর বাড়ি ভাঙার অভিযান স্থগিত রেখে ফিরে যান পুরসভার কর্মী ও ইঞ্জিনিয়াররা।

    দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও চক্রান্তের অভিযোগ

    অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে বাড়ি ভাঙার অভিযানে দলেরই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন ত়়ৃণমূল নেতা সৌমিত্র দেবনাথ। তিনি ও তাঁর স্ত্রী মামনী দেবনাথ তৃণমূল কাউন্সিলর অমরআনন্দ দাসের বিরুদ্ধে তোলাবাজিরও অভিযোগ করেন। সৌমিত্র দেবনাথ বলেন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে অধিকাংশ বাড়ির জমিরই পাট্টা নেই। অধিকাংশ বাড়ির অনুমোদিত প্ল্যান নেই। আমার বাড়ি ভাঙতে হলে আরও অনেক বাড়ি ভাঙা পড়বে। এলাকার বাসিন্দারা কোনও দিন কারও বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ করেননি। অমরআনন্দ দাস কাউন্সিলর হওয়ার পর গত এক বছর ধরে তিনি তার নিজের কিছু লোককে দিয়ে বাড়ি বেছে বেছে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ করাচ্ছেন পুরসভায়। তারপর অভিযোগ তোলার নাম করে ঘুরিয়ে মোটা টাকা আদায়ের জন্য চাপ সৃষ্টি  করা হচ্ছে। 

     কী বলছেন তৃণমূল কাউন্সিলর?

    তৃণমূল কাউন্সিলর অমরআনন্দ দাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই যুক্ত নই। আমার বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে  সৌমিত্র দেবনাথ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে যাব। পাশাপাশি তিনি প্রশাসন ও আদালতের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে অধিকাংশ বাড়ির জমির পাট্টা নেই।  মানুষ সাধ্যমতো বাড়ি বানিয়ে শান্তিতে বসবাস করছেন। তাই ওয়ার্ডের বাসিন্দারা যেন  কোনও বাড়ি নিয়ে অবৈধ নির্মাণ অভিযোগে না করেন। কারও বাড়ি যাতে ভাঙ্গা না পড়ে।

     কী বললেন মেয়র?

    নোটিশ জারি করে অভিযানে গিয়ে তৃণমূল নেতার বাধায় ফিরে আসতে হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে পুরসভা। তৃণমূলও অস্বস্তিতে। কেননা দলের নেতার বিরুদ্ধে অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ। আর সেই বাড়ি মালিক বলছেন, তৃণমূলের কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এসব করে তোলাবাজি করছেন। মেয়র গৌতম দেব বলেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। পদ্ধতি মেনেই কাজ হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে”, হুমকি দিয়েছিলেন উত্তম সর্দার

    Sandeshkhali: “তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে”, হুমকি দিয়েছিলেন উত্তম সর্দার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার পরই ফেরার শেখ শাহজাহান। এখনও খোঁজ নেই শাহজাহানের। তবে, শাহজাহানের অন্যতম অনুগামী শিবু হাজরা-উত্তম সর্দারের অত্যাচারের কাহিনি সামনে আসতে শুরু করেছে। পার্টি অফিসে তুলে নিয়ে গিয়ে সুন্দরী মহিলাদের কীভাবে যৌন নির্যাতন চালানো হত, তা নিয়ে এর আগে মহিলারা গর্জে উঠেছেন। যদিও উত্তম এখন জেলে রয়েছেন। আর শিবু ফেরার। এবার উত্তমের বিরুদ্ধে আরও বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির মহিলারা।

    বিজেপি সদস্যের স্ত্রীকে হুমকি! (Sandeshkhali)  

    বিরোধী রাজনীতি করলে উত্তম যে তার কী হাল করতেন, তা নিয়ে মুখ খুললেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) মহিলারা। শোনালেন জীবনের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। কীভাবে একপ্রকার জোর করেই তাঁদের তৃণমূল করতে বাধ্য করা হয়, সেকথা বললেন মহিলারা। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তাঁর এলাকায় বিজেপির দিকে পাল্লা ভারী ছিল। জিতেও গিয়েছিল বিজেপি ওই এলাকায়। এরপরই ওই বিজেপি প্রার্থীর স্ত্রীকে উত্তম সর্দার হুমকি দিয়েছিলেন। এক মহিলা বলেন, “বিরোধী পার্টি করার সাহস ছিল না কারও। বিজেপি প্রার্থী ভোটে জয়ী হওয়ায় উত্তমের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে। যিনি ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে উত্তম বললেন, তোকে বিধবার কাপড় খুব তাড়াতাড়ি পরতে হবে। আমি উত্তম সর্দার।” এমন নয় যে আড়ালে-আবডালে হুমকি দেওয়া হয়েছে। সবার সামনেই বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি সন্দেশখালির ওই মহিলার। তিনি বললেন, ‘লোকজনের সামনে বন্দুক দেখিয়ে উত্তম বলে গেল, আমি কিন্তু ওকে মার্ডার করে দেব। ২৭টা করেছি, ওকে নিয়ে ২৮টা হবে। তুই সাবধান হয়ে যা।’ এ তো গেল হুমকির কথা। এছাড়া ভোটের সময় দেদার ছাপ্পা চলত বলেও অভিযোগ ওই মহিলার। উত্তম-শিবু মতো শাহজাহান বাহিনী সন্দেশখালি জুড়ে তাণ্ডব চালাত। জোর করেই তৃণমূলের পক্ষে ভোট করাত। সন্দেশখালি জুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছিল ওরা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মিলবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ থেকে বেশি টাকা, বিজেপি-র প্রচারে এবার ‘লাডলি বহেনা’

    BJP: মিলবে ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারের’ থেকে বেশি টাকা, বিজেপি-র প্রচারে এবার ‘লাডলি বহেনা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভান্ডারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিজেপির (BJP) হাতিয়া ‘লাডলি বহেনা যোজনা’। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডারের মহিলাদের জন্য ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করেছেন। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল এনিয়ে ঢালাও প্রচারে নেমেছে। এই টাকা বৃদ্ধিকে সামনে রেখে তৃণমূল যাতে ফায়দা তুলতে না পারে, তার জন্য ‘লাডলি বহেনা যোজনা’ নিয়ে বিজেপি জোরকদমে প্রচারে নামছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    লাডলি বহেনা যোজনা কী? (BJP)

    সম্প্রতি শিলিগুড়িতে বিজেপির (BJP) উত্তরবঙ্গের জ়োনের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে দলের রাজ্যের সহ পর্যবেক্ষক আশা লাকড়া, সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে লাডলি বহেনা প্রকল্প নিয়ে প্রচার করার কথা বলা হয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডারে যা দিচ্ছে, তার থেকে অনেক বেশি টাকা পাওয়া যাবে লাডলি বহেনা প্রকল্পে। দেশের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলাদের মাসে আড়াই হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের নাম লাডলি বহেনা যোজনা। এই প্রকল্পের মতো পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প চালু করেছিল। তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা পেতেন ১০০০ টাকা। আর বাকিদের ৫০০ টাকা করে দেওয়া হত। এবারের বাজেটে ৫০০ টাকার জায়গায় ১০০০ টাকা ও ১০০০ টাকার জায়গায় ১২০০ টাকা করা হয়েছে। তাতেও লাডলি বহেনা যোজনার থেকে অনেকটা পিছিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডার । বিজেপি ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি পাবেন এই রাজ্যের মহিলারা।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপির (BJP) শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, তৃণমূল সরকার এরাজ্যে কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করতে দেয়নি। এতে এই রাজ্যের মানুষ চিকিৎসায় বিপুল খরচের চাপমুক্ত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সাধারণ মানুষ এই প্রকল্পে উপকৃত হচ্ছেন। সেরকম লাডলি বহেনা প্রকল্প থেকেও এরাজ্যের মহিলরা বঞ্চিত। তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলে এসব পাওয়া যাবে না। তাই তৃণমূলকে সরাতে হবে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে এরাজ্য থেকে ৩৫ টি আসন দিলে সেই পথ প্রশস্ত হবে। তাই নিজেদের উন্নয়নে এরাজ্যের মহিলাদের কাছে আমরা লাডলি বহেনা প্রকল্পের কথা তুলে ধরবো। কেননা মহিলা ভোটারের সংখ্যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্মীর ভান্ডারে কম টাকা দিয়েও তৃণমূল একতরফা ফায়দা নিতে চাইছে। এতে মহিলারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

     কী বলছে তৃণমূল?

    তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভাপতি পাপিয়া ঘোষ বিজেপির এই প্রচারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা ও সাধারণ মানুষের জন্য যত সামাজিক প্রকল্প চালু করেছেন, তা কোথাও নেই। তাই বিজেপি যতই প্রচার করুক, লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তিনি নাকি ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা! ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরায় ঘেমে-নেয়ে একশা আরাবুল

    South 24 Parganas: তিনি নাকি ভাঙড়ের বেতাজ বাদশা! ৩ ঘণ্টা পুলিশি জেরায় ঘেমে-নেয়ে একশা আরাবুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ে তিনি নাকি বেতাজ বাদশা। তাঁর কথায় এলাকা কাঁপে। দাপুটে সেই তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের একী হাল। কাশীপুর থানায় ডেকে তাঁকে টানা তিনি ঘণ্টা জেরা করা হয়। পুলিশি জেরায় তিনি কার্যত ঘেমে যান। বার বার তিনি জল চান। দাপুটে নেতার অবস্থা দেখে তাঁর অনুগামীরা হতবাক হয়ে যান।

    থানায় এনে জেরা করল পুলিশ (South 24 Parganas)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর পঞ্চায়েত ভোট উপলক্ষে মনোনয়ন পর্বের শেষ দিন, ১৫ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজার মেলার মাঠে আইএসএফ ও তৃণমূলের বোমা-গুলির সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল তিন জনের। এঁদের মধ্যে দু’জন তৃণমূল কর্মী, রশিদ মোল্লা ও রাজু নস্কর। অন্য দিকে মৃত্যু হয় আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার। মহিউদ্দিনের বাবা কুতুবুদ্দিন মোল্লার অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের ডিটেক্টিভ ডিপার্টমেন্ট গত বৃহস্পতিবার ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূলের বেতাজ বাদশা আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। আপাতত তিনি লালবাজারে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। গ্রেফতারের প্রায় এক সপ্তাহ পর আরাবুলকে কাশীপুর থানায় আনা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ছিল। ওসির ঘরে তাঁকে দফায় দফায় তদন্তকারী জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানা গিয়েছে, সে দিন ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে ঘটনা নিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করেন তদন্তকারী অফিসারেরা। প্রশ্ন বাণে কার্যত ভেঙে পড়েন দাপুটে তৃণমূল নেতা। থানা থেকে লালবাজারে যাওয়ার আগে আরাবুলের অনুগামীরা থানার বাইরে ভিড় জমান। কিন্তু কড়া পুলিশি বেষ্টনীর মধ্যে কেউ ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি।

    পরিবারের লোকজনের সঙ্গে থানায় কথা

    আরাবুল গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁকে ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য ভাঙড় বিজয়গঞ্জ বাজারে আনার কথা ছিল। কিন্তু এ দিন থানাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে লালবাজারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় পরিবারের লোকজন এসেছিলেন। বিশেষ করে তাঁর স্ত্রী ছিলেন। পরিবারের বিষয়ে কিছু কথা হয়। তারপর পুলিশি নিরাপত্তায় তাঁকে ফের লালবাজার নিয়ে চলে যায় পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: সেচমন্ত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের, পার্থকে দেখে উঠল চোর চোর স্লোগান

    Kalyani: সেচমন্ত্রীর গাড়ির সামনে বিক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের, পার্থকে দেখে উঠল চোর চোর স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূলের একাধিক তৃণমূল নেতা জেলে রয়েছে। এরইমধ্যে সন্দেশখালি কাণ্ডে মুখ পুড়েছে পুলিশের। এবার বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিলেন বিজেপি কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণীতে (Kalyani)।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    সন্দেশখালি কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য। জেলায় জেলায় বিজেপির বিক্ষোভে পুলিশি বাধা দেওয়ার অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জ করার অভিযোগ রয়েছে। এই আবহের মধ্যে বৃহস্পতিবার কল্যাণীতে (Kalyani) বিজেপি-র কর্মসূচি ছিল। এদিন হুগলির উদ্দেশে যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মীদের বাধার মুখে পড়েন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁকে লক্ষ্য করে উঠল চোর চোর স্লোগান। বিক্ষোভের জেরে মন্ত্রীর গাড়ি বেশ কিছুক্ষণ আটকে যায়। যদিও পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই কোনওরকমে মন্ত্রীর গাড়ির চালক গতি বাড়িয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এরপরই পুলিশের সামনেই বিজেপি কর্মীরা মন্ত্রীর গা়ড়ির পিছনে ফের চোর চোর স্লোগান দিতে থাকেন। মন্ত্রী প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন সেচমন্ত্রী?

    বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁকে বিজেপি কর্মীরা চোর বলেননি তা তিনি স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, ওরা আমাকে চোর চোর বলেনি। ওরা তৃণমূলকে চোর চোর বলেছে। আর সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপি চক্রান্ত করে লোক ভাড়া করে এই নোংরামো করছে। সন্দেশখালির ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে, আরও তদন্ত চলছে। এখন শান্ত রয়েছে সন্দেশখালি। আর যারা টিভির সামনে বক্তব্য রাখছে তারা সন্দেশখালির বাসিন্দা নয়। এটা প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। আসলে উস্কানি দিয়ে উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা সেখানে মিটিং করব। ৫০ হাজার কর্মীর সেখানে জমায়েত হবে। সন্দেশখালির মানুষ যে আমাদের সঙ্গে রয়েছে ফের তা প্রমাণিত হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: পাট্টার ‘রেকর্ডের’ লোভ দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা তৃণমূলের

    Sandeshkhali: পাট্টার ‘রেকর্ডের’ লোভ দেখিয়ে সন্দেশখালিতে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে মুখ পুড়েছে তৃণমূলের। যতদিন যাচ্ছে শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়়ছে গ্রামবাসীদের। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। পাট্টার রেকর্ড করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে আগুনে জল ঢালার চেষ্টা করছে তৃণমূল। যা নিয়ে সন্দেশখালি জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী উদ্যোগ নিয়েছে তৃণমূল? (Sandeshkhali)

    জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি বারাসতে জেলা পরিষদ ভবনে জেলা সভাধিপতির ঘরে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) এমন গ্রামবাসীদের আসতে বলা হয়েছে, যাঁরা পাট্টা পাওয়া সত্তেও জমির ‘রেকর্ড’ করাতে পারেননি। তাঁদের যাতায়াত ও খাওয়া খরচ জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী নিজেই বহন করবেন বলে জানিয়েছেন। সন্দেশখালি-কাণ্ডের তদন্তে তৃণমূল নেতৃত্ব স্থানীয় এবং জেলা পর্যায়ে দু’টি কমিটি গড়েছে। জেলা পর্যায়ের কমিটিতে আছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী।আর স্থানীয় কমিটিতে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি- এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার রয়েছেন। জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, উত্তম পাট্টার জমি ইজারা নিয়ে মেছোভেড়ি করে মাছ চাষ করতেন। অনেকেরই সেই জমি ‘রেকর্ড’ হয়নি। অভিযোগ, উত্তম ভূমি দফতরে প্রভাব খাটিয়ে সেই সব জমির ‘রেকর্ড’ করাতে দেননি। ইজারার টাকাও দেননি। নারায়ণের কথায়, “রেকর্ড করাতে গিয়ে পাট্টাপ্রাপকদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বহু ক্ষেত্রে।” তিনি আরও বলেন, “জেলা ভূমি দফতরের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ওঁদের জমির রেকর্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব। জেলাশাসককে নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালির দু’টি ব্লকেই যাব।” সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেন, “গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। আমরা বলেছি, ইজারার টাকা ফেরত না পাওয়া মানুষের তালিকা তৈরি করতে। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব দলের।”

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শাহজাহান বাহিনীর তাণ্ডবের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীরা বার বার সোচ্চার হয়েও কোনও লাভ হয়নি। শাহজাহান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবপ্রসাদ হাজরা, উত্তম সর্দাররা ওই সব জমি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। ফলে, পাট্টা পেয়ে জমি দখলে রাখতে পারেননি গ্রামবাসীরা। আর রেকর্ড করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার। ফলে, শাহজাহান বাহিনীর লোকজন জমি ভোগ করে আসছিল। এতদিন পর হুঁশ ফিরল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, পাট্টা রেকর্ড করার কথা বলে এলাকাবাসীকে লোভ দেখাচ্ছে। তৃণমূল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলে হাতাহাতি, পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ

    Malda: সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলে হাতাহাতি, পুলিশের লাঠিচার্জের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরস্বতী পুজো করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক হাতাহাতি। প্রথমে শুরু হয় বচসা এবং পরে হাতাহাতি হয় উভয় পক্ষের মধ্যে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে, পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর, লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলেন বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হবিবপুর থানার শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শীর্ষি এলাকায়। ের জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।

    স্থানীয়দের বক্তব্য (Malda)

    এলাকায় (Malda) সরস্বতী পুজোকে ঘিরে মারধরের প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি সমর্থক উত্তম মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, “আমরা এলাকায় পুজো করছিলাম। আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমাদের পুজোর সামগ্রী ফেলে দেয় তারা। এরপর আমাদেরকে মারধর করে। ঘটনায় পুলিশে খবর দিলে হবিবপুর থানার পুলিশ এসে উলটে আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির অভিযোগ, এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রত্যক্ষ মদতে পুলিশ এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। ইতিমধ্যে ১১ জন আহত হয়েছেন। তাঁদেরকে মালদা (Malda) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। তিনি বলেন, “পুলিশ দোষীদের না ধরে বিজেপি সমর্থক গ্রামবাসীদের ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। পুলিশ অফিসার বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী স্থানীয় তৃণমূল নেতার নির্দেশে এই কাজ করেছেন। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।” পরে অবশ্য গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানা ও জেলার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সরস্বতী পুজো হয়ে থাকে একটি জমিতে। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী দেব মন্ডল দাবি করেন ওই জমিটি তাঁর। আর এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। ঘটনায় বিবাদ থামাতে হবিবপুর (Malda) থানার পুলিশ পৌঁছে সামাল দেয় গ্রামবাসীদের। স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিপ্লব মন্ডল বলেন, “সরস্বতী পুজো করে গায়ের জোরে অশান্তি তৈরি করেছে বিজেপি।” আবার জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বলেন, “সারা বাংলায় তৃণমূলের উন্নয়নের কাজে বিজেপি উস্কানি দিয়ে চলেছে। সরস্বতী পুজোর দিনে এই সংঘর্ষ কাম্য নয়। পুলিশকে আরও সংযত হয়ে কাজ করতে হবে। আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share