Tag: Trade Talks

  • Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    Donald Trump: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের, নয়াদিল্লির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে চাইছে ট্রাম্পের দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের। নয়াদিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক পোক্ত করতে চাইছে রাশিয়ার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও (Donald Trump)। বিশ্ব মঞ্চে ফের একবার ভারতের সঙ্গে তার অটল বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করল রাশিয়া। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক (Trade Talks) নিয়ে রাশিয়ার আশ্বাস, নয়াদিল্লির সঙ্গে তার দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক ব্যাহত করতে বহিরাগত শক্তির যে কোনও প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করা হবে। রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হতে বাধ্য। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরটিতে জারি করা এক বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, “ভারত-রাশিয়া সম্পর্ক স্থির এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে এবং এই প্রক্রিয়া ব্যাহত করার যে কোনও প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।” আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রাশিয়ার সঙ্গে বহুমুখী সহযোগিতার প্রতি ভারতের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে, যাকে রাশিয়া দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের চেতনা ও ঐতিহ্য বলে অভিহিত করেছে।

    ভারত অপরিহার্য খেলোয়াড় (Donald Trump)

    এদিকে, দেরিতে হলেও শেষমেশ বোধহয় হয়েছে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। তিনি স্বীকার করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মধ্যস্থতা করা তার আগের ধারণার চেয়েও কঠিন বলে প্রমাণিত হচ্ছে। ওয়াশিংটন নয়াদিল্লির সঙ্গে স্থগিত থাকা বাণিজ্য আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করতে এগিয়ে চলেছে। আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো বিশ্বের বৃহৎ শক্তিধর দুই দেশের ভারতকে নিয়ে এই দড়ি টানাটানি নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় অবস্থানকেই তুলে ধরছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, ভারত মস্কোর একটি স্থিতিশীল অংশীদার এবং ওয়াশিংটনের অর্থনৈতিক গণনায় এক  অপরিহার্য খেলোয়াড় (Trade Talks)।

    যৌথ প্রকল্পে কাজ

    রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুটি দেশ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্পে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে নাগরিক ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, পারমাণবিক শক্তি উন্নয়ন, মানবযুক্ত মহাকাশ অভিযান, এবং রাশিয়ায় তেল অনুসন্ধানে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ। দুই দেশ একই সঙ্গে কাজ করছে তাদের জাতীয় মুদ্রা ব্যবহারে পেমেন্ট সিস্টেম বিস্তৃত করার এবং বিকল্প পরিবহণ ও নয়া রুট তৈরিতে। এই উদ্যোগগুলিকে একটি দীর্ঘমেয়াদি কৌশল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে, যা বর্তমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল কোনও ব্যবস্থাই নয়।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা

    মার্কিন (Donald Trump) রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে অপরিশোধিত তেল কিনে চলেছে ভারত। তার জন্য ট্রাম্প প্রশাসন ভারতীয় পণ্যের ওপর দু’দফায় মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। তার পরেও রাশিয়া থেকে নিয়মিত তেল কিনে চলেছে ভারত। পশ্চিমী চাপ উপেক্ষা করেও নিজের সিদ্ধান্ত অটল থাকায় নয়াদিল্লির ব্যাপক প্রশংসাও করেছে রাশিয়া। শুধু তাই নয় (Trade Talks), স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণে অটল থাকায় নয়াদিল্লিকে সাধুবাদও জানিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক বিষয়ক কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের প্রতিনিধিত্ব করে। এই অংশীদারিত্বে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয় সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ এবং মজবুত কূটনৈতিক সম্পর্ককে।”

    ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ

    রাশিয়ার এহেন প্রশস্তিবাক্য এসেছে এমন একটা সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প (Donald Trump) ভারত-সহ বিভিন্ন দেশকে চাপ দিচ্ছেন রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে। এই জন্যই চাপানো হয়েছে চড়া শুল্ক। তার পরেও ভারত মস্কোর সঙ্গে তার জীবাশ্ম-জ্বালানি ব্যবসা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকেছে। রাশিয়া একে “বিশ্বাসভিত্তিক, দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব” বলে উল্লেখ করেছে। এদিকে, প্রথম থেকেই ভারতকে চাপে ফেলতে নানা চেষ্টা করে গিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক চাপানো হল ৫০ শতাংশ। তার পরেও নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদি সরকার। যার নিট ফল, ট্রাম্পের পরিকল্পনা ফেল। ট্রাম্প এবার ইউকে-কে বলল ভারত থেকে তেল না কিনতে। কিন্তু মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির স্বার্থে মাথা নোয়াল না ব্রিটেনও।

    ট্রাম্পের পরিকল্পনা ব্যর্থ

    আরও একবার মুখ থুবড়ে পড়ল ট্রাম্পের পরিকল্পনা। জি-৭ গোষ্ঠীকেও ভারতের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয় (Trade Talks)। শেষমেশ নেটোকে বলছে ভারতের ওপর শুল্ক আরোপ করতে। কিন্তু ‘সুপার পাওয়ার’ হতে চলা ভারতের ওপর শুল্ক চাপাতে অস্বীকার করে একের পর এক মিত্র দেশগুলি। উল্টে রাশিয়া ও চিন ভারতকে সমর্থন করে মোদির হাত শক্ত করল। এসসিও-ব্রিকসকে ভাঙার পরিকল্পনাও ব্যর্থ। এহ বাহ্য। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে না পেরে এখন ট্রাম্প স্বীকার করছেন, ওটা গভীর সমস্যা। এত সহজে মিটবে না। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতকে (Donald Trump) বেগ দিতে গিয়ে উল্টে একা হয়ে গিয়েছে ট্রাম্পের দেশ। তাই মোদির প্রতি সুর নরম করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আবারও আলোচনার টেবিলে বসছে ভারত ও আমেরিকা। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর দিল্লিতে আসছে উচ্চস্তরের এক মার্কিন প্রতিনিধি দল। আমেরিকার প্রধান বাণিজ্য আলোচনা নেতা ব্রেন্ডেন লিঞ্চ এই দলের নেতৃত্ব দেবেন। ভারতের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করবেন বাণিজ্যমন্ত্রকের বিশেষ সচিব রাজেশ আগরওয়াল।

LinkedIn
Share