Tag: train

train

  • Vande Bharat Express: হাওড়ার পর এবার শিয়ালদা থেকেও ছুটবে বন্দে ভারত, কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড

    Vande Bharat Express: হাওড়ার পর এবার শিয়ালদা থেকেও ছুটবে বন্দে ভারত, কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার পরে এ বার শিয়ালদা থেকেও বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) চালানোর উদ্যোগ নিল ভারতীয় রেল। মাস তিনেকের মধ্যে চালানোর উপযোগী পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গেলে শিয়ালদার ভাগ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের শিকে ছিঁড়তে পারে বলেই জানাচ্ছেন রেলকর্তারা। ওই ট্রেনের পরিষেবা শুরু করার আগে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সংস্কারের ওপরে বিশেষ জোর দিচ্ছে রেল।  মঙ্গলবার জানিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মিলিন্দ দেউস্কর।

    কাশীপুরে হচ্ছে রেল ইয়ার্ড (Vande Bharat Express)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা টার্মিনাল লাগোয়া কাশীপুরে (Vande Bharat Express) প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ করে যাবতীয় আধুনিক সুবিধা-সহ ওই কোচিং ডিপো বা ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে। তৈরি হচ্ছে রেল ইয়ার্ড। ওখানেই হবে ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। সেই পরিকল্পনা করছে রেল। ইতিমধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার-সহ পদস্থ আধিকারিকরা। হাওড়ার ঝিল সাইডিংয়ের ধাঁচে ভবিষ্যতের জন্য ওই পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি, কলকাতা ও শিয়ালদা স্টেশনের ট্রেন রক্ষণাবেক্ষণ পরিকাঠামোও উন্নত করা হচ্ছে। দু’জায়গাতেই সর্বাধিক ২৪ কোচের ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ করার ব্যবস্থা করতে সম্প্রতি পিট লাইনের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হয়েছে। এর পাশাপাশি, পুরনো সেতুর সংস্কার করে ট্রেনের গতি বাড়ানোর ওপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে পূর্ব রেলের আওতায় চলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সিংহভাগ চলে হাওড়া থেকে। তবে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ব্যান্ডেল স্টেশনকে কলকাতার উপগ্রহ টার্মিনাল হিসেবে গড়ে তুলতে চায় রেল। সে জন্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান পূর্ব রেলের জিএম।

    আরও পড়ুন: ‘‘এটা মৃত্যু নয়, হত্যা”, স্যালাইনকাণ্ডে থানায় এফআইআর দায়ের বিজেপি বিধায়ক শঙ্করের

    হাওড়ায় আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানোর উদ্যোগ

    পাশাপাশি, হাওড়া থেকে কবচ যুক্ত ইএমইউ ট্রেনগুলি চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য ৩ মাস সময় লাগতে পারে জানালেন পূর্ব রেলের (Vande Bharat Express) জেনারেল ম্যানেজার। হাওড়া থেকে ধানবাদ সংলগ্ন ছোটা আমবানা পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ আগামী ৩ মাসের মধ্যে হবে বলে জানাচ্ছেন তিনি। হাওড়া স্টেশনে পুরনো বাঙালবাবু ব্রিজ এবং বারাণসী ব্রিজের বদলে নতুন সেতু চালু হলে ওই স্টেশনে আটটি প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো সম্ভব হবে। সেই কাজ করা গেলে দূরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়াও ১২ কোচের লোকাল ট্রেন স্টেশনে ঢোকা নিয়ে জটিলতা কমবে। আগামী তিন মাসের মধ্যে হাওড়া-নয়াদিল্লি পথের একাংশে কবচ প্রযুক্তির মহড়া শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন জিএম। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে পূর্ব রেল পণ্য পরিবহণ খাতে ২৮ শতাংশ আয় বাড়িয়েছে। লোকাল ট্রেনের সময়ানুবর্তিতা উন্নত করতে ২০০টি ট্রেনকে বেছে নিয়ে পরিস্থিতি বদলানোর চেষ্টাও করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ড ছাড়াও রেললাইনের অন্যান্য ক্ষতি এড়াতে রেলপথের ধারে আবর্জনা ফেলার বিরুদ্ধে রেল প্রচার চালাবে।

    প্রসঙ্গত, বাংলায় প্রথম বন্দে ভারত চালু হয়েছিল হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে। চালুর পর থেকেই এই ট্রেন নিয়ে উন্মাদনার শেষ নেই। শুরুতে অল্প সংখ্যক ট্রেন থাকলেও চাহিদার কথা মাথায় রেখেই কিছু সময়ের মধ্যে বাংলার বন্দে ভারতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে থাকে। বর্তমানে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ির পাশাপাশি হাওড়া-পুরী, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি, হাওড়া-পাটনা, হাওড়া-রাঁচি, নিউ জলপাইগুড়ি-পাটনা রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bomb Threat in Train: চলন্ত ট্রেনে বোমার হুমকি! মাঝপথে থামল বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস, আতঙ্কে যাত্রীরা

    Bomb Threat in Train: চলন্ত ট্রেনে বোমার হুমকি! মাঝপথে থামল বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস, আতঙ্কে যাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমানে বোমাতঙ্ক (Bomb Threat in Train) ছড়ানোর পর এবার চলন্ত ট্রেনেও এল বোমা রাখার হুমকি। মাঝ পথেই ট্রেন দাঁড় করিয়ে চলল তল্লাশি। আতঙ্ক ছড়াল যাত্রীদের মধ্যে। ১২৫৬৫ বিহার-সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস ট্রেনে বোমা রাখার উড়ো খবর আসতেই আতঙ্ক ছড়ায়। তল্লাশির পর কিছু না মেলায় ট্রেন ফের গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়।

    দিল্লিগামী ট্রেনে তল্লাশি

    বিহার সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস (Bomb Threat in Train) দ্বারভাঙা থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল শুক্রবার। সন্ধ্যায় উত্তরপ্রদেশের উপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে ওই ট্রেনে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। দিল্লির কন্ট্রোল রুম থেকে খবর আসে, ট্রেনে বোমা রাখা আছে বলে হুমকি পেয়েছেন তাঁরা। ঝুঁকি না নিয়ে তাই ট্রেন থামিয়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ গোণ্ডা স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা গোটা ট্রেন তন্ন তন্ন করে খোঁজেন। কিন্তু কোথাও বোমা বা বিস্ফোরক পদার্থ পাওয়া যায়নি। গোণ্ডার জিআরপি ইনস্পেক্টর নরেন্দ্র পাল সিং বলেন, ‘‘দিল্লির কন্ট্রোল রুম থেকে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানকার জিআরপি, আরপিএফ এবং নিরাপত্তারক্ষীরা সতর্ক হন। গোণ্ডা স্টেশনে ট্রেন থামিয়ে বম্ব স্কোয়াড ডেকে তল্লাশি করানো হয়। কিছু পাওয়া যায়নি।’’

    আরও পড়ুন: ভোর ও রাতে ঠান্ডার আমেজ! আগামী সপ্তাহেই কমতে পারে তাপমাত্রা

    সরকারের পদক্ষেপ

    তল্লাশি পর্ব শেষ হলে ট্রেনটি (Bomb Threat in Train) গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। এই সময়ের মধ্যে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। এমনকি, ট্রেনের নিরাপত্তারক্ষীরাও বোমার হুমকি পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। ভুয়ো বোমাতঙ্ক কে বা কারা ছড়াল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি একের পর এক বিমানে বোমাতঙ্কের ঘটনার পর এবার ট্রেনেও বোমাতঙ্ক ছড়াল। শুধু তাই নয় সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক হোটেলেও বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল। রবার এমন ভুয়ো বোমাতঙ্ক নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রও। সরকারের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কারা এই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Cyclone Dana: ‘দানা’-র দাপট কাটিয়ে কলকাতায় স্বাভাবিক বিমান পরিষেবা, চালু হল ট্রেনও

    Cyclone Dana: ‘দানা’-র দাপট কাটিয়ে কলকাতায় স্বাভাবিক বিমান পরিষেবা, চালু হল ট্রেনও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ওড়িশার ধামরা, ভিতরকণিকার কাছে ল্যান্ডফল হয় ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র। তার প্রভাব পড়ে বাংলার উপকূলেও। তবে ঝড়ের (Cyclone Dana) তাণ্ডবলীলা সেভাবে চলেনি, রক্ষা পেয়েছেন উপকূল এলাকার বাসিন্দারাও। এই পরিস্থিতিতে রেল লাইনেও তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। ফলে, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ছন্দে ফিরছে স্টেশনগুলিও। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার মুখে। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র প্রভাব থেকে বাঁচতে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল ট্রেন (Train Service) চলাচল। এদিন সকালে শিয়ালদা এবং হাওড়া স্টেশন (Sealdah Howrah) থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ছন্দে ফিরেছে কলকাতা বিমানবন্দরও। সেখানেও শুরু হল নিয়মিত পরিষেবা।

    শুরু হল ট্রেন চলাচল (Cyclone Dana)

    রেলের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকার কথা বলা হয়ে ছিল। তবে, শুক্রবার সকালে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট আগে থেকেই রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হল শিয়ালদা ডিভিশনে। দক্ষিণ শাখার প্রথম ট্রেন ডাউন সোনারপুর লোকাল শিয়ালদা স্টেশন ছাড়ে। তারপর একে একে ছাড়ে ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, বারুইপুর এবং লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল ট্রেন। তবে যাত্রীর সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় অনেক কম। ট্রেন বন্ধ থাকায় অনেক রাত থেকে শিয়ালদা স্টেশন অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। সময়ের অনেক আগে থেকে অনেকেই টিকিট কাউন্টারের সামনে লাইন দেওয়া শুরু করেন (Cyclone Dana)। যাতে কাউন্টার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই টিকিট পাওয়া যায়। কিন্তু, দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হওয়ায় অনেকেই ধৈর্য্যচ্যুত হয়ে পড়েন। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন পড়ে যায় যাত্রীদের। অন্যদিকে, হাওড়া স্টেশনেও দুর্যোগের কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরোননি। আবার কেউ কেউ ট্রেন চলাচল নিয়েও অনিশ্চয়তায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে বনগাঁ শাখার ট্রেন চললেও হাসনাবাদ শাখায় ট্রেন চলেনি। সেই পরিষেবাও শুক্রবার স্বাভাবিক করা হয়েছে। দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রেও নতুন করে কোনও তথ্য জানানো হয়নি। আগে থেকে বাতিল হওয়া ট্রেন বাদে সবই চলবে স্বাভাবিক সময়ে (Train Service)। 

    আরও পড়ুন: রাস্তায় যুবতীকে চুম্বন ‘মদ্যপ’ মহিলা পুলিশকর্মীর! ভাইরাল ভিডিও, আক্রমণ বিজেপির

    চালু বিমান পরিষেবা

    এদিকে, কলকাতা বিমানবন্দরে শুরু হয়েছে বিমান পরিষেবা। তবে ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana) দানার প্রভাবে বাতিল হয়েছে বহু উড়ান। তার জেরে ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের। কলকাতা বিমানবন্দরে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে উড়ান পরিষেবা চালু হয়েছে। সাইক্লোন ‘দানা’-র কথা মাথায় রেখে যাত্রী সুরক্ষার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে ১৫ ঘণ্টা উড়ান পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ হয়েছে সাইক্লোন ‘দানা’-র ল্যান্ডফল। এর প্রভাবে কলকাতায় বৃষ্টিপাত হলেও বিশেষ প্রভাব পড়েনি। পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালিয়ে নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা আগেই কলকাতা বিমানবন্দরে পরিষেবা চালু হয়। শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে দিনের প্রথম উড়ান অবতরণ করে সাড়ে ৮টা ২৫ মিনিট নাগাদ। তা দিল্লি থেকে কলকাতায় আসে এবং সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে একটি উড়ান ইম্ফলের উদ্দেশে রওনা দেয়। সকাল ৮টা থেকেই বিমানবন্দরের কাজকর্ম স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IRCTC: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করল রেল, দেখুন সেই তালিকা

    IRCTC: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করল রেল, দেখুন সেই তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় দানা (Cyclone Dana) আগামী বৃহস্পতিবার তীব্রতার সঙ্গে আছড়ে পড়বে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ঝড় তীব্রতর হবে বলে আশঙ্কা থাকায় রেলের তরফে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। আইআরসিটিসি (IRCTC) বাতিল ট্রেনের তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩০০ টিরও বেশি ট্রেন বাতিল হয়েছে। আসুন জেনে নিই কোন কোন ট্রেন তালিকায় রয়েছে।

    ২৩ এবং ২৫ অক্টোবর বাতিল ট্রেন (IRCTC)

    দক্ষিণ পূর্ব রেল (IRCTC) এখনও পর্যন্ত মোট ১৫০টিরও বেশি এক্সপ্রেস এবং যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেছে। বাতিল হওয়া ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস, কামাখ্যা-যশোবন্তপুর এসি এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস, হাওড়া-ভুবনেশ্বর শতাব্দী এক্সপ্রেস এবং হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেস। বাতিল করা ট্রেনগুলি আগামী ২৩ অক্টোবর এবং ২৫ অক্টোবরের মধ্যে মূল স্টেশনগুলি ছাড়ার জন্য সময় নির্ধারিত ছিল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের এক আধিকারিক বলেন, “ঝড়ের গতি এবং পরিস্থিতির প্রয়োজন হলে এই ক্ষেত্রের মধ্য দিয়ে চলা আরও বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হতে পারে। রেলের এই ক্ষেত্র পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্য জুড়ে বিস্তৃত।”

    আর কোন কোন ট্রেন বাতিল?

    রেল (IRCTC) সূত্রে জানা গিয়েছে, ওড়িশা থেকে ছাড়া বা ওপর দিয়ে যাওয়া ১৯৮টি ইস্ট কোস্ট ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ, শালিমার পুরী, কামাখ্যা-বেঙ্গালুরু, নিউ দিল্লি-ভুবনেশ্বর, খড়গপুর-ভিলুপুরম, হাওড়া-ভুবনেশ্বর, শালিমার-হায়দারবাদ, হাওড়া-পুরী। আবার ইস্টার্ন রেলওয়েতে পাটনা-এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, কলকাতা-পুরী, পুরী-কলকাতা, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী, বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি সহ বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল হয়েছে। একই ভাবে বাতিল হওয়া আরও কিছু নম্বর সহ ট্রেন হল–

    আরও পড়ুন: কল্যাণের ‘নাটক’! ওয়াকফ সংশোধনী বিল বিতর্কে নিজেই কাচের বোতল ভেঙে রক্তাক্ত

    ২২৩২৯ হলদিয়া-আসানসোল এক্সপ্রেস

    ২২৩৩০ আসানসোল-হলদিয়া এক্সপ্রেস

    ১২৫৫২ কামাখ্যা-এসএমভিবি বেঙ্গালুরু এক্সপ্রেস        

    ২২৬৪৪ পাটনা-এরনাকুলাম এক্সপ্রেস

    ৩১০১ কলকাতা–পুরী এক্সপ্রেস স্পেশাল       

    ৩১০২ পুরী-কলকাতা এক্সপ্রেস স্পেশাল       

    ২২৫০৪ ডিব্রুগড়- কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস       

    ২২৫০৩ কন্যাকুমারী-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেস        

    ১২৫০৯ এসএমভিবি বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস        

    ৩৪২৯ সেকেন্দ্রাবাদ-মালদা টাউন এক্সপ্রেস       

    ৩৪৩০ মালদা টাউন-সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস     

    ১৮৪১৯ পুরী-জয়নগর এক্সপ্রেস      

    ২২২০২ পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস        

    ৩২৩০ পাটনা-পুরী এক্সপ্রেস স্পেশাল

    ১২৫১৪ শিলচর-সেকেন্দ্রাবাদ সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস       

    ১৫২২৭ এসএমভিবি বেঙ্গালুরু-মুজফফরপুর এক্সপ্রেস  

    ১৩৪১৮ মালদা টাউন-দিঘা এক্সপ্রেস 

    ১৩৪১৭ দিঘা-মালদা টাউন এক্সপ্রেস

    আরব সাগরে অগাস্টের শেষের দিকে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকে বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরের উত্তর ভারত মহাসাগরের অববাহিকায় এটি দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Dana)। ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: চালু হল মুর্শিদাবাদের নসিপুর ব্রিজ, তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ!

    Murshidabad: চালু হল মুর্শিদাবাদের নসিপুর ব্রিজ, তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ২০ বছর আগে শুরু হয়েছিল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নসিপুর রেলব্রিজের কাজ। জমি জটের কারণে এতদিন ধরে আটকে ছিল কাজ। মোদি সরকারের উদ্যোগে অবশেষে নসিপুর রেল ব্রিজের ওপর দিয়ে শুরু হল ট্রেন চলাচল। বুধবার কলকাতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। এছাড়াও আজিমগঞ্জ স্টেশনে রেলের তরফ থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজিমগঞ্জ স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরে জমি জটে আটকে থাকার পর অবশেষে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় খুশি জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ।

    তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ! (Murshidabad)

    ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নসিপুর (Murshidabad) রেল ব্রিজের শিলান্যাস করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। এরপর ২০০৫ সালে মুর্শিদাবাদ থেকে শিয়ালদা সেকশনে সরাসরি যোগাযোগের জন্য রেল ব্রিজ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১০ সালে এই রেল ব্রিজ তৈরির কাজ শেষ হয়। তবে, সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়নি। জমি জটের কারণে এতদিন ধরে আটকে ছিল কাজ। ২০২২ সালে পুনরায় সেই কাজ শুরু হয়। ২০২৪ সালে সেই কাজ শেষ হয়। চলতি বছরেই রেল লাইনের  ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর বুধবার যাত্রীবাহী ট্রেনের উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদের জেলার লালবাগ শহরের কাছে নসিপুর এলাকাতে রয়েছে এই ব্রিজ। শিয়ালদা- লালগোলা শাখাকে আজিমগঞ্জ শাখার সঙ্গে যুক্ত করেছে নসিপুর। এই ব্রিজের (Nashipur Rail Bridge) ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাওয়ার সময় অনেকটাই কমে যাবে। শিয়ালদা থেকে উত্তরবঙ্গে যেতে এখন যা সময় লাগে, তার থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা কম সময়েই কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে পৌঁছনো যাবে। শুধু তাই নয়, উত্তর ভারতের (দিল্লির মতো) সঙ্গে রেল যোগাযোগ আরও উন্নত হয়ে উঠবে। মুর্শিদাবাদের মানুষ সহজেই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছতে পারবেন। তাঁদেরকে ঘুর পথে যেতে হবে না। এমনকী, নসিপুর সেতুর হাত ধরে মুর্শিদাবাদের আর্থিক উন্নতির পথ প্রশস্ত হবে। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, পণ্য পরিবহণ এবং অর্থনৈতিক ও শিল্পের উন্নতির ক্ষেত্রে এই লাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

    আরও পড়ুন: ‘রোগী-ডাক্তার একই পক্ষ, বিপক্ষ সরকার’! বিচারের দাবিতে অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা

     রেল ব্রিজ চালু হওয়ায় কী কী সুবিধা মিলবে?

    শুধু মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) নয়, দীর্ঘদিন ধরে এই ট্রেন চালু হওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন নদিয়াবাসীও। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এই ‘মেমু’ ট্রেন উদ্বোধন করার পর কৃষ্ণনগর থেকে আজিমগঞ্জ পর্যন্ত এই ট্রেন চলাচল শুরু হল। প্রথম পর্যায়ে আজিমগঞ্জ কৃষ্ণনগর দুটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চলাচল করবে নসিপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে। পরবর্তীকালে এক্সপ্রেস ট্রেনও চলবে বলে রেল সূত্রে খবর। এতদিন নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদের মানুষকে উত্তরবঙ্গে যেতে হলে হাওড়া কিংবা ব্যান্ডেল যেতে হত। আজিমগঞ্জ নসিপুর রেলব্রিজের সংযোগ স্থাপনের ফলে খুব সহজেই যাতায়াত করা যাবে।

    মোদি বড় উপহার দিলেন

    এই ট্রেন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মুর্শিদাবাদের বিজেপি বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, “এতদিন ধরে সবাই রাজনীতি করে গিয়েছে। কংগ্রেস, তৃণমূল কেউ ট্রেন চালু করার সদিচ্ছা দেখায়নি। অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বড় উপহার দিলেন। এর ফলে বহু মানুষের যাতায়াতে সুবিধা হবে।” এই ট্রেন চালু হওয়ার পর উত্তরবঙ্গ ও একাধিক জেলার সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হল এই এলাকার মানুষের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mission Sahasi: আরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    Mission Sahasi: আরজি কর-কাণ্ডের অভিনব প্রতিবাদ, ৩০০ তরুণীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ এবিভিপি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতলে (RG Kar Case) মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ড সারা দেশে ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। ন্যায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন হচ্ছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে কলকাতায় মহিলাদের জন্য দু’দিনের আত্মরক্ষা কর্মশালা ‘মিশন সাহসী’ (Mission Sahasi) অনুষ্ঠিত করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। রাজ্যে ক্রমবর্ধমান যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিক্ষোভ-আন্দোলনের পাশাপাশি আত্মরক্ষার পাঠে নারী সামাজে ব্যাপক সাড়া পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    ৩০০ জন তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় (Mission Sahasi)

    ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া কমপ্লেক্সে, অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (ABVP) আত্মরক্ষার বিশেষ কর্মশালা ‘মিশন সহসী’-র (Mission Sahasi) শিবির আয়োজন করেছিল। এই কর্মশালায় প্রায় ৩০০ জন তরুণী অংশগ্রহণ করেছিলেন। কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বিখ্যাত মার্শাল আর্ট বিশেষজ্ঞ, গ্র্যান্ডমাস্টার শিফুজি শৌর্য ভরদ্বাজ। দুই দিনে টানা ১২ ঘণ্টা করে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেন তিনি। একইভাবে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, এবিভিপি-র রাষ্ট্রীয় সংগঠন সম্পাদক আশীষ চৌহান এবং রাষ্ট্রীয় সম্পাদক শালিনী ভার্মা। স্কুল, কালেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং নার্সিং কলেজের ছাত্রী সহ আরও অনেক মেয়েরা অংশগ্রহণ করেছিলেন।

    মানসিক শক্তিকে আরও উচ্চ স্তরে নিয়ে যায়

    ‘মিশন সাহসী’ হল এবিভিপি-এর চলমান কর্মকাণ্ডের মধ্যে একটি প্রধান ধারা, যেখানে তরুণী, যুবতী, ছাত্রী সহ সমাজের নানা বর্গের মহিলাদের আত্মরক্ষার কৌশলের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ হয়ে থাকে। এই কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হল প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মেয়েদের আত্মবিশ্বাসকে বৃদ্ধি করা। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে আশিস চৌহান এই উদ্যোগের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, “মিশন সাহসী (Mission Sahasi) মহিলাদের শক্তিশালী করে দাঁড়াতে সক্ষম করে, তাঁদের আত্মরক্ষার দক্ষতাকে বৃদ্ধি করে। অটল সাহসের সঙ্গে যেকোনও চ্যালেঞ্জের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার মানসিক শক্তিকে আরও উচ্চস্তরে নিয়ে যায়। সম্প্রতি আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই প্রশিক্ষণ একান্ত আবশ্যক হয়ে পড়েছে। এই রাজ্য সন্দেশখালির মতো নারী নির্যাতনের ঘটনা মানুষের মনকে ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত করেছে। তাই আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। আমরা ২০১৯ সাল থেকে এই মিশন সহসীর কাজ শুরু করেছিলাম। ইতিমধ্যেই ভারত জুড়ে দেড় কোটির বেশি মেয়েকে আত্মরক্ষামূলক কর্মসূচিতে প্রশিক্ষণ দিতে পেরেছি। পশ্চিমবঙ্গে সম্প্রতি মহিলাদের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহ করে হত্যার ঘটনা ক্রমবর্ধমান ভাবে ঘটে চলেছে। এই রাজ্যের সরকার নারী সুরক্ষা নিয়ে অত্যন্ত উদাসীন। তাই মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে ঘটা নির্মম অত্যাচারের বিরুদ্ধে মিশন সাহসী একটি প্রতিবাদের ভাষা।”

    আন্দোলনের সঙ্গে চাই সমাধানও

    এই কর্মশালাটিকে (Mission Sahasi) মহিলাদের ক্ষমতায়নের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হয়েছে। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের জন্য আরও বিষয়টি প্রসাঙ্গিক। নারী নির্যাতনের ঘটনা রাজ্যে মারাত্মক আকার নিয়েছে। এবিভিপির রাষ্ট্রীয় সম্পাদক শালিনী ভার্মা অনুষ্ঠানে বলেন, “মিশন সহসীর উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গের যুবতী মহিলাদের আত্মরক্ষার জন্য একান্ত প্রয়োজন। নির্মমভাবে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এটি একটি সংঘটিত জঘন্য অপরাধ। এবিভিপি-র কর্মীরা প্রতিবাদে রাজপথে বিক্ষোভ করছে এবং ন্যায় বিচারের দাবিতে একই সময়ে মিশন সাহসী অভিযান শুরু করেছে। এই পদক্ষেপ রাজ্যের মহিলাদের আত্মরক্ষার দক্ষতা শিখতে এবং কঠিন পরিস্থিতিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করবে। আমরা মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ প্রদান করছি। স্কুল, কলেজ, মেডিক্যাল, প্যারামেডিক্যাল কলেজ এবং নার্সিং ইনস্টিটিউটের শত শত মেয়েরা এখানে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এবার তাঁরা নিজ নিজ ক্যাম্পাস বা জেলায় মেয়েদের আরও শেখানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য হল পশ্চিমবঙ্গে চলমান সমস্যার একটি যৌক্তিক সমাধান খুঁজে বের করা। শুধু আন্দোলন নয়, চাই সমাধানের রাস্তাও।”

    মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতা সরকার

    অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের জাতীয় কার্যনির্বাহী সদস্য তুলসী সরকার বলেন, “রাজ্যের মেয়েদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতা সরকার। তাই আমরা মেয়েদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়ার কর্মসূচি (Mission Sahasi) নিয়েছি। দুই দিনে মোট চারটি অধিবেশনে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন আত্মরক্ষার কৌশল শিখেছেন। এরপর আমরা জেলা স্তরে একাধিক কর্মসূচি গ্রহণ করব। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ করব।”

    মেয়দের নির্ভীক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবে

    একই সঙ্গে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি রশ্মি সামন্ত। তিনি বলেন, “মিশন সাহসী (Mission Sahasi) হল এবিভিপির একটি মহৎ উদ্যোগ। যার লক্ষ্য মেয়েদের একটি শক্তিশালী এবং নির্ভীক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একটি উন্নত জীবন প্রদান করা। এই প্রশিক্ষণ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং এটি বাংলার ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব তৈরি করবে। আমরা আশাবাদী যে বাংলা এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবে এবং এবিভিপি একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

    আরও পড়ুনঃ ‘‘ট্রান্সজেন্ডারদের সঙ্গে সম্পর্ক পাতাতেন সন্দীপ, কামড়াতেন-মারতেন’’! বিস্ফোরক দাবি

    মামলায় গ্রেফতার এখনও পর্যন্ত ৩

    উল্লেখ্য, গত ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল (RG Kar Case) কলেজ ও হাসপাতালের হলে চতুর্থ তলায় সেমিনার অর্ধনগ্ন অবস্থায় এক মহিলা চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। মেডিক্যাল পরীক্ষায় জানা যায় যে যৌন নিপীড়ন করে খুন করা হয়েছিল। মামলার তদন্ত পুলিশ করলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বর্তমানে সিবিআই তদন্ত করছে। ইতিমধ্যে হাসপাতলের প্রাক্তন অধ্যক্ষ, টালা থানার ওসি এবং এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঘটনার দিন থেকে ন্যায় বিচারের দাবিতে বিদ্যার্থী পরিষদ ‘লক্ষ্মীর সুরক্ষা’, স্বাস্থ্য ভাবন অভিযান, মশাল মিছিল, রাত দখল-সহ একাধিক কর্মসূচি পালন করতে দেখা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sealdah Railline: বারাকপুর থেকে দমদম যাওয়ার জন্য গোরা সাহেবরা ঘোড়া নিয়েই ট্রেনে উঠতেন!

    Sealdah Railline: বারাকপুর থেকে দমদম যাওয়ার জন্য গোরা সাহেবরা ঘোড়া নিয়েই ট্রেনে উঠতেন!

    হরিহর ঘোষাল

    হাওড়া-ব্যান্ডেল লাইন দিয়ে ১৮৫৪ সালেই ট্রেন চলাচল শুরু করে দিয়েছে রেল কোম্পানি। পরে, সেই রেলপথ বর্ধমান হয়ে রানিগঞ্জ পর্যন্ত চলে যায়। আর গঙ্গার পূর্ব পাড়ের বাসিন্দাদের নৌকা করে গঙ্গা পার হয়ে হেঁটে বেশ কিছুটা পথ গিয়ে সুযোগ মিলত ‘কু ঝিক ঝিক’ ট্রেনে চড়ার। মানে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তবেই রেলগাড়ির দেখা মিলত। ফলে, গঙ্গার পূর্ব পাড়ের বাসিন্দাদের আক্ষেপ ছিল। তাই, গঙ্গার পূর্ব পাড়ে ট্রেন চালানো নিয়ে সেকালের জমিদার থেকে সাধারণ মানুষ, সকলেই বিভিন্ন জায়গায় দরবার শুরু করলেন। পূর্ব পাড় দিয়ে আদৌ রেলগাড়ি চলবে কি না, তা নিয়ে এই সব এলাকার মানুষের মধ্যে রাস্তাঘাটে জোর চর্চা হত। তবে, সেই আক্ষেপ বেশি দিন বয়ে বেড়াতে হয়নি। ১৮৫৭ সালে বারাকপুরের সেনা ছাউনিতে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে হয়েছিল সিপাহী বিদ্রোহ। ঠিক তার পরের বছর, ১৮৫৮ সাল নাগাদ গঙ্গার পূর্ব পাড়ে শিয়ালদা (Sealdah Station) থেকে রেলগাড়ি চালানোর জন্য রেলপথ বসানোর উদ্যোগ শুরু হয়।

    শিয়ালদা রেলপথ তৈরির আদি কথা (Sealdah Station)

    শিয়ালদা (Sealdah Station) থেকে কুষ্টিয়া (এখন বাংলাদেশে) পর্যন্ত ১০৯ মাইল রেলপথ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। যদিও এখন এই রেলপথের অনেকটা অংশ বাংলাদেশের দিকে রয়েছে। এই দেশের রেলপথের শেষ স্টেশন গেদে। আর ওপারে রয়েছে দর্শনা স্টেশন। মৈত্রী এক্সপ্রেস এখন সেই পুরানো রেলপথ ধরে চলাচল করে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন রেলপথ তৈরির জন্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কোম্পানির চুক্তি হয়। রেলপথ পাতার জন্য ২০০ ফুট চওড়া জমি অধিগ্রহণ করার কাজ শুরু হয়। ১৮৫৯ সালের ১৪ এপ্রিল ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি গেজের সিঙ্গল লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়। ১৮৬২ সালে শিয়ালদা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ট্রেনটি (Train) ছিল দু’কামরার। প্রথম শ্রেণির যাত্রীবাহী একটি কামরা ছিল। অন্যটি ছিল মালবাহী কামরা। ১৮৬২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্পেশাল ট্রেন শিয়ালদা থেকে কুষ্টিয়া যায়।

    প্যাসেঞ্জার ট্রেন কবে থেকে চালু হল?

    গঙ্গার পূর্বপাড়ে রেলগাড়ি চালু হওয়ার সময় শিয়ালদা (Sealdah Station) স্টেশনের নাম ছিল কলিকাতা। সেই সময়কার রেলওয়ে টাইম টেবিলের তথ্য সেই কথা বলছে। কলিকাতা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করত। কলিকাতা থেকে রানাঘাট পর্যন্ত প্যাসেঞ্জার ট্রেন যাতায়াত করা শুরু করেছিল ১৮৬২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। প্রথম এই ট্রেনটিতে যাত্রী সংখ্যা ছিল ১১০০ জন। আর ১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে শিয়ালদা থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয়। যদিও গেদের পর থেকে এখন বাকি অংশটি বাংলাদেশের দিকে চলে গিয়েছে।

    ১৬০ বছর আগে শিয়ালদা মেন লাইনে কোন কোন স্টেশন ছিল?

    ১৬০ বছর আগে রেলগাড়ি চালু হওয়ার সময় বহু স্টেশনের কোনও চিহ্নমাত্র ছিল না। হাতে গোনা কয়েকটি স্টেশনের ওপর দিয়ে রেলগাড়ি ছুটত। সেই সময়কার নথি থেকে পাওয়া যায়, শিয়ালদা (Sealdah Station) বা কলিকাতার পর ছিল দমদমা স্টেশন। আসলে তখন দমদম নাম ছিল না, বলা হত দমদমা। তারপর বেলঘরিয়া, সোদপুর, বারাকপুর, ইছাপুর, শ্যামনগর, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া, মদনপুর, চাকদা, রানাঘাট। অন্যদিকে, এই সব স্টেশন বাদ দিলে উল্টোডাঙা, আগরপাড়া, খড়দা, টিটাগড়, পলতা, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, হালিশহর, কল্যাণী, শিমুরালি, পালপাড়া, পায়রাডাঙা-এই সব স্টেশনের কোনও চিহ্নমাত্র ছিল না। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে নতুন এই সব স্টেশনের অনুমোদন মিলেছে। আর রানাঘাট থেকে কুষ্টিয়া পর্যন্ত স্টেশনের সংখ্যাও ছিল হাতেগোনা। রানাঘাটের পরের স্টেশন ছিল আড়ংঘাটা, বগুলা, কৃষ্ণগঞ্জ, মতিয়ারি, রামনগর, জয়রামপুর, চুয়াডাঙা, মুন্সিগঞ্জ, আলমডাঙা, হিলসিয়া, পোড়াদহ, জাগটি, কুষ্টিয়া।

    প্রথমে কত কামরার ট্রেন চালু হয়েছিল, কত ছিল ভাড়া?

    রেলগাড়ি চলাচল করার শুরুতে তিনটি কামরা থাকত-প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির। প্রথম শ্রেণির কামরায় শিয়ালদা থেকে দমদমের ভাড়া ছিল ৪ আনা। বেলঘরিয়া-৬আনা, সোদপুর-৯ আনা, বারাকপুর-১৪ আনা, ইছাপুর-১ টাকা ১ আনা। দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ছিল দমদম-২ আনা, বারাকপুর-৬ আনা। তৃতীয় শ্রেণির কামরায় শিয়ালদা থেকে দমদম পর্যন্ত ১ আনা ভাড়া ছিল। আর বারাকপুর ছিল ৩ আনা ১০ পাই। বারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে দমদম যাওয়ার জন্য গোরা সাহেবরা ঘোড়া নিয়ে ট্রেনে উঠতেন। সন্ধ্যা নামলেই গোরা সাহেবদের দাপাদাপির কারণে দেশিয় লোকজন ট্রেনে চড়তে ভয় পেতেন। এখন সবই ইতিহাস। এখন শিয়ালদার (Sealdah Station) এই লাইনে লোকাল ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেনের ছড়াছড়ি। এখনও আদি রুট শিয়ালদা-গেদে লাইনে একাধিক লোকাল ট্রেন (Train) রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Sleeper Train: দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন কোন রুটে জানেন?

    Vande Bharat Sleeper Train: দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন কোন রুটে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অচিরেই ভারতীয় রেলপথে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটবে প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন (Vande Bharat Sleeper Train)। রেল সূত্রে খবর, নাগপুর এবং পুণের মধ্যে প্রথম ছুটবে এই ট্রেন। মধ্য রেলের নাগপুর ডিভিশনে নিত্য বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা। সেই কারণেই প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন (Nagpur Pune Route) চালানো হবে এই রেলপথে।

    বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন (Vande Bharat Sleeper Train)

    কেবল এই রেলপথেই নয়, দেশের আরও কয়েকটি জায়গায় চালানো হবে দুরন্ত গতির এই ট্রেন। তবে প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন চালানো হবে নাগপুর-পুণে রুটে। নাগপুর-পুণে রুটে গরিব রথ, অজনি-পুণে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং নাগপুর-পুণে এক্সপ্রেসের মতো একাধিক ট্রেন রয়েছে। তার পরেও ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই রব। তাছাড়া, ট্রেনগুলির সবই চেয়ার কার। স্লিপার কোচের অপশন নেই। এই সব ট্রেনেও সিট পেতে কালঘাম ছুটে যায় যাত্রীদের। দীর্ঘ ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হয় যাত্রীদের। অনেক সময় গাঁটের কড়ি গচ্চা দিয়ে যাত্রীদের যাতায়াত করতে হয় বাসে। তাই ক্ষোভ বাড়ছে যাত্রীমহলে। সেই কারণেই রেল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত, প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন চালানো হবে নাগপুর-পুণে রুটে।

    উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী!

    ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবস। এদিনই উদ্বোধন হতে পারে প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনের। পরে চালানো হবে অন্যান্য রুটেও। জানা গিয়েছে, হাওড়া-দিল্লি রুটেও চালানো হতে পারে বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন। রেলেরই অন্য একটি সূত্রে খবর, দেশের প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেন ছুটবে দিল্লি-মুম্বই রুটে। স্বাধীনতা দিবসে এর যাত্রার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি করতে গিয়ে হাঁড়ির হাল কর্নাটকের অর্থনীতির?

    প্রথম বন্দে ভারত স্লিপার ট্রেনে (Vande Bharat Sleeper Train) সব মিলিয়ে মোট ১৬টি কোচ থাকবে। এর মধ্যে ১০টি সংরক্ষিত থাকবে থার্ড এসি-র জন্য। সেকেন্ড এসি-র জন্য থাকবে ৪টি কোচ। আর ফার্স্ট এসির জন্য থাকবে একটি কোচ। ট্রেনটিতে সিটিং কাম লাগেজ কোচও থাকবে। প্রথম পর্যায়ে ট্রেন ছুটবে (Nagpur Pune Route) ঘণ্টায় ১৩০ কিমি গতিতে। পরে আস্তে আস্তে বাড়বে গতি। সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ২২০ কিমি (Vande Bharat Sleeper Train)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur Railway Division: খড়্গপুর ডিভিশনে টানা ১০ দিন তিনশোর বেশি ট্রেন বাতিল, ঘোষণা রেলের

    Kharagpur Railway Division: খড়্গপুর ডিভিশনে টানা ১০ দিন তিনশোর বেশি ট্রেন বাতিল, ঘোষণা রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণপূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশনের (Kharagpur Railway Division) অন্দুল স্টেশনে টানা ১০ দিন ধরে চলবে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ। এই কাজের জন্য শনিবার থেকে মেদিনীপুর-হাওড়া-মেদিনীপুর সহ মোট ২৩৭টি লোকাল ট্রেন এবং ৩২ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন সহ মোট ৩০৩টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। যাত্রীরা যাতে স্টেশনে গিয়ে দুর্ভোগের শিকার না হন তা নিয়ে আগেই এই ঘোষণা রেলের।

    কী জানানো হয়েছে রেল সূত্রে (Kharagpur Railway Division)?

    গতকাল সোমবার রেলের দক্ষিণ পূর্ব শাখা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, দিন কয়েক আগেই অবশ্য রেলের তরফ থেকে ঘোষণা করে বলা হয়েছিল যে আন্দুল স্টেশনে নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজের জন্য ২২ জুন থেকে কোনও ট্রেন বাতিল (Kharagpur Railway Division) করা হচ্ছে না। যদি পরবর্তী সময়ে ট্রেন বাতিল করা হয় তাহলে দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে। অবশেষে সোমবার তা জানানো হল। মোট ৩০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করা ছাড়াও যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে একাধিক ট্রেনের। সেই সঙ্গে কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ বদল করা হয়েছে। একই ভাবে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনকে। এই প্রি নন-ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলবে ২৯ জুন থেকে ৬ জুন পর্যন্ত। ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে ৭ এবং ৮ জুলাই। আর তাই ২৯ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ২৩৭টি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ৩২ জোড়া যে ট্রেন বাতিল হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, তাম্রলিপ্ত, ইস্পাত, জনশতাব্দী, ইন্টারসিটি, ধৌলি, আরণ্যক, কাণ্ডারী, সামলেশ্বরী, আজাদ হিন্দ, শতাব্দী-র মতো একাধিক ট্রেন।

    আরও পড়ুনঃ২৫ জুন গণতন্ত্রের অন্ধকার দিন! জরুরি অবস্থার ৫০ তম বার্ষিকীতে বিরোধীদের আক্রমণ মোদির

    ১১ জোড়া ট্রেনের যাত্রা পরিবর্তন

    রেলের (Kharagpur Railway Division) তরফে আরও জানা গিয়েছে, এই ১০ দিনে মোট ১১ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাপথের পরিবর্তন করা হয়েছে। সময় পরিবর্তন করা হয়েছে ১১১ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের এবং যাত্রা সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে ৩ জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের। ৬ জুলাই, ডিব্রুগড়-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস ৯০ মিনিট এবং পুরী-হাওড়া এক্সপ্রেস ২০ মিনিট দেরিতে চলতে পারে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে। ফলে আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তাই নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Arambagh: পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি, বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, গাড়ি ভাঙচুর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগ (Arambagh) লোকসভায় জয়ের পরই তান্ডব শুরু করেছে তৃণমূল। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এমনকী গন্ডগোল থামাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপরও হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। শুক্রবার রাতে এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল গোঘাটের কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির মাঝে পড়ে রক্ত ঝরল এক পুলিশ কর্মীর। জানা গিয়েছে, কুমারগঞ্জ গ্রামপঞ্চায়েতের ভুরকুন্ডা এলাকার বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের পরও কেন এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগানো রয়েছে তা নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রশ্ন তোলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝামেলার সূত্রপাত। সেই গন্ডগোল থেকেই রণক্ষেত্রে চেহারা নেয় গোটা এলাকা। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা এসে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করেন। এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। গোঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের লক্ষ্য করেও এলোপাথাড়ি ইট ছোড়া হয়। রক্তাক্ত হন এএসআই পদমর্যাদার এক আধিকারিক। আহত ওই আধিকারিকের নাম বরুণকুমার বাগ। তাঁর মাথায় চোট লাগে। উর্দিতেও রক্তের ছিটে লাগে। ৫ জন বিজেপি কর্মী, ২ মহিলা ও পুলিশ আধিকারিককে কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ ওঠে।

    আরও পড়ুন: “ভারতীয় মিডিয়াতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন”, রামোজি রাওয়ের প্রয়াণে শোকবার্তা মোদির

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ভোটের আগে থেকেই বারবার আরামবাগ (Arambagh) সহ গোঘাটে রাজনৈতিক অশান্তির অভিযোগ এসেছে। ভোট মিটলেও সেই ছবি বদলায়নি। বিজেপির এক নেতা বলেন, এই লোকসভায় তৃণমূল জিতলেও গোঘাট বিধানসভা এলাকায় বিজেপি ভাল ফল করেছে। এটাতেই ক্ষুব্ধ তৃণমূল। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকে বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, বিজেপি এলাকায় অশান্তি করছে। এই ঘটনায় তৃণমূল জড়িত নয়। অকারণে তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share