Tag: train accident

train accident

  • Train Accident: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদে মৃত ১, নিখোঁজ ২ এবং আহত ২

    Train Accident: বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদে মৃত ১, নিখোঁজ ২ এবং আহত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) সাগরদিঘির ১ বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে জেলায় আরও ২ শ্রমিক নিখোঁজ এবং আহত আরও ২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। রাজ্যে কাজ নেই, তাই বাইরের রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবার। এলাকায় শোকের ছায়া।

    দুর্ঘটনায় (Train Accident) সাগরদিঘি থেকে এক ব্যক্তির মৃত্যু   

    পরিযায়ী শ্রমিক কাজের উদ্দেশ্যে ওড়িশা যাচ্ছিল মুর্শিদাবাদ থেকে। মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘী থানার অন্তর্গত মাদারডাঙ্গার নিমগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন মুনসি টুডু। ওড়িশা যাবার পথেই বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। পরিবারের পক্ষে মুনসি টুডুর দাদা রাজেশ হেম্ব্রম জানান, আমাদের পরিবার অভাবের সংসার, অন্য রাজ্যে কাজ করেই আমাদের সংসার চলে, আর্থিক অবস্থা তেমন নেই। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন যদি ভাইয়ের মৃতদেহকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করে, তাহলে খুব উপকার হয়। মৃত্যুকে ঘিরে রীতিমতো নেমে এসেছে শোকের ছায়া গোটা পরিবার জুড়ে। 

    সাগরদিঘিতে আহত ২ ও নিখোঁজ ১

    মৃত মুনসি টুডুর গ্রামের আরেক পরিযায়ী শ্রমিক শম্ভুলাল কিসকু গুরুতর আহত অবস্থায় ওড়িশায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উল্লেখ্য সাগরদিঘী এলাকার নিমগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা সিলবানিস টুড নামে আরেক ব্যাক্তির কোনও খোঁজ মেলেনি বলে জানা গেছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে থাকলেও এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সন্ধান পায়ননি পরিবার। আবার সাগরদিঘির পাটেল ডাঙ্গা অঞ্চলের গৌরীপুরের আরও এক পরিযায়ী শ্রমিক আহত হয়েছেন দুর্ঘটনায়। তাঁর নাম আতাউর রহমান, বয়স ৪১। ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) কামরা উল্টে গেলে সিটের রডে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আহত হয়েছেন আতাউর রহমান। সাগরদিঘীতে খবর পৌঁছতেই এলাকায় দুশ্চিন্তার ছায়া।

    সালার থেকে নিখোঁজ ১ পরিযায়ী শ্রমিক

    সংসারের অভাবেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে অন্য রাজ্যে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন বলে জানা গেছে। পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে মুর্শিদাবাদের সালারের তালিপুরের ৫ শ্রমিকের একটি দল চেন্নাইয়ে যাওয়ার মাঝ পথেই রেল দুর্ঘটনা (Train Accident) শিকার হয়ে বাড়ি ফিরছে চারজন শ্রমিক, তবে ঘটনায় একজন শ্রমিকের এখনো পর্যন্ত কোনও খোঁজ না মেলায় গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পরিবার। কান্দি মহকুমার সালার থানার তালিবপুর সুন্দরপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন রেজাইল দফাদার। তিনি এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। তিনি মূলত নির্মাণ কাজে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যেই সালার থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলেন। পরিবারের পক্ষে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, স্বামী যেন ঠিকাঠাক ভাবে বাড়িতে ফেরেন এই আশাই রাখছি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস! কাপলিং খুলে আলাদা বগি ও ইঞ্জিন

    Train Accident: দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস! কাপলিং খুলে আলাদা বগি ও ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা (Train Accident) থেকে রক্ষা পেল হাওড়া-পুরী সুপার ফাস্ট এক্সপ্রেস। চলন্ত ট্রেন থেকে কাপলিং খুলে আলাদা হয়ে গেল ইঞ্জিন ও দুটো বগি। বেশ কিছুদূর এগিয়ে যায় ইঞ্জিন সহ বগি দুটি। জানা গেছে, সেই সময় ট্রেনের ভিতরে ঘুমিয়ে ছিলেন যাত্রীরা। আচমকাই ঝাঁকুনিতে শোরগোল পড়ে যায়। খবর দেওয়া হয় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর ডিভিশনের আধিকারিকদের। ওই দুটি বগিকে মেরামতি না করতে পারায় নতুন করে দুটি বগি লাগানো হয় ট্রেনের সঙ্গে। যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগি লাগিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি।  শনিবার রাত ১.০৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুরসেনি স্টেশনের কাছে। তবে ঘটনায় (Train Accident) হতাহতের কোনও খবর নেই। 

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা?

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রেলের তরফে। জানা গিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে হাওড়া ছেড়ে বেরনোর পর রাত ১ টা ৫ মিনিট নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের নেকুরসেনি স্টেশনে পৌঁছায় ট্রেনটি। স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনের কাপলিং খুলে যায়। ইঞ্জিন সহ দুটি বগি বাকি ট্রেনকে ফেলে রেখে এগিয়ে যায়। ঘটনার (Train Accident) ফলে পুরনো কম্পার্টমেন্ট থেকে যাত্রীদের নামিয়ে নতুন বগিতে তুলে নির্ধারিত সময়ের প্রায় তিন ঘণ্টা পর নেকুরসেনি থেকে পুরীর উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেনটি। যদিও যাত্রীদের একাংশের দাবি, প্রায় ঘণ্টা পাঁচেকের বেশি সময় তাঁরা আটকে ছিলেন। 

    আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা

    মাঝরাতে এভাবে আটকে পড়ায় অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। একইসঙ্গে একাংশ এই ভেবেই শঙ্কিত হন, ওভাবে ইঞ্জিন ছাড়া বগিগুলি গার্ডের নজরে না পড়লে আরও বড় দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটতে পারত। যদিও দুর্ঘটনার ফলে কোনও যাত্রীই আহত হননি। সবাই সুরক্ষিত ছিলেন। সকাল সওয়া ছটা নাগাদ পুরীর উদ্দেশে রওনা হয় ট্রেনটি। তবে এই দীর্ঘ সময় ট্রেনটি আটকে থাকায় রাতে ওই রুটে চলা মালগাড়িগুলির যাতায়াতে প্রভাব পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mumbai Mail: কাপলিং খুলে বিপত্তি মুম্বই মেলে, দুটি কামরা নিয়ে ছুটল ইঞ্জিন

    Mumbai Mail: কাপলিং খুলে বিপত্তি মুম্বই মেলে, দুটি কামরা নিয়ে ছুটল ইঞ্জিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে ফরাক্কা স্টেশনের কাছে রাধিকাপুর এক্সপ্রেস চালকের তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায়। রেল লাইনের ওপরে উঠে যায় ট্রাক। চালক জুরুরি ব্রেক কষায় চাকায় আগুল লেগে যায়। তবে, এই ঘটনার জের মিটতে মিটতেই অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল মুম্বই মেল (Mumbai Mail)। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার বীরশিবপুর স্টেশনে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mumbai Mail)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত প্রায় সাড়ে ন’টা নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলে উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে আপ মুম্বই মেল (Mumbai Mail) ছাড়ে। ছাড়ার ঠিক পরেই ট্রেনের কাপলিং খুলে যায় বীরশিবপুর স্টেশনের কাছে। ট্রেনের কাপলিং খুলে দু’টি কামরা নিয়েই গন্তব্যের দিকে রওনা দেয় মুম্বই মেল। বাকি কামরা পড়ে থাকে বীরশিবপুর স্টেশনেই। এই দুর্ঘটনার ফলে হাওড়া-খড়্গপুর শাখার আপ লাইনে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। যাত্রী দুর্ভোগ চূড়ান্ত। অবশেষে চার ঘণ্টারও বেশি সময়ের প্রচেষ্টার পর রাত দেড়টা নাগাদ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয় মুম্বই মেলটি। যাত্রীরা বলেন, জোরে শব্দ করে ট্রেনটি কিছু দূর গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। আচমকা ট্রেন কেন দাঁড়িয়ে গেল দেখতে দেখি, ট্রেনের দুটি কামরা সহ ইঞ্জিন নেই। যদিও  দু’টি কোচ নিয়ে ইঞ্জিন এগিয়ে গিয়ে থেমে গিয়েছে। বাকি কামরাগুলো পিছনেই রয়ে গিয়েছে। ফলে, চরম আতঙ্কিয় হয়ে পড়েছিলাম। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে খবর পেয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে এসে কাপলিং মেরামতের কাজ শুরু করেন।

    রেল আধিকারিক কী বললেন?

    দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারি আদিত্য কুমার চৌধুরী বলেন,  এই দুর্ঘটনার ফলে ট্রেন চলাচলে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। আর কাপলিং খুলে গেলেও বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ অটোমেটিক ব্রেক লক হয়ে যায়। রেল কর্মীরা গিয়ে দ্রুত মেরামতির কাজ করেছেন। তবে কী ভাবে এবং কেন এই ঘটনা ঘটল তা জানতে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Train Accident: মানুষের ভুলেই রেল দুর্ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশে? প্রকাশ্যে এল আসল সত্য

    Train Accident: মানুষের ভুলেই রেল দুর্ঘটনা অন্ধ্রপ্রদেশে? প্রকাশ্যে এল আসল সত্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দুর্ঘটনার কবলে ট্রেন (Train Accident)। এবার অকুস্থল অন্ধ্রপ্রদেশের ভিজিয়ানগরম। ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা নিয়ে চলছিল চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবার সামনে এল দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ। ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মানুষের গাফিলতির জেরেই অন্ধ্রপ্রদেশে এই দুই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে।

    দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ

    ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিশ্বজিৎ সাহু বলেন, “এই রেল দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ মানুষের গাফিলতি। আর সেই ত্রুটির জন্যই গন্তব্য ছাড়িয়ে দ্রুতগতিতে ছুটে গিয়ে বেলাইন হয়ে যায় বিশাখাপত্তনম-রায়গড় প্যাসেঞ্জার স্পেশাল ট্রেনটি।” তিনি জানান, মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে বিশাখাপত্তনম-পলাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনটির দুটি কামরা ও বিশাখাপত্তনম-রায়গড়ের লোকো পাইলটের কোচটি লাইনচ্যুত হয়। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিশাখাপত্তনম-পালাসা ট্রেনটির ১১টি বগি ও বিশাখাপত্তনম-রায়গড় ট্রেনের ৯টি বগি সরানো হয়েছে। বাকিগুলি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি এখনও ঘটনাস্থল থেকে সরানো যায়নি। 

    কেন্দ্রের তৎপরতা 

    দুর্ঘটনার (Train Accident) পরে পরেই রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পর্যালোচনা করেন পরিস্থিতি। দুর্ঘটনায় মৃতদের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছেন রেলমন্ত্রী। রেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন রেড্ডি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রেলমন্ত্রী জানান, মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। মৃতদের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ক্ষেত্রে ২ লক্ষ টাকা এবং যাঁরা অল্পস্বল্প জখম হয়েছেন, তাঁদের ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। রেড্ডি সরকারের তরফেও মৃতদের নিকট আত্মীয়দের ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাই-ভাইপো, বাড়ির কুকুর-বিড়াল দুর্নীতিতে যুক্ত’’, মমতাকে নিশানা দিলীপের

    এদিকে, দুর্ঘটনার (Train Accident) জেরে রবিবার রাতেই বাতিল করা হয় বেশ কিছু ট্রেন। সোমবার সকালেও বিশাখাপত্তনম থেকে ছাড়া এবং বিশাখাপত্তনমগামী বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বদল করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ। এগুলি হল ০৩৩৫৭ কোয়েম্বাটোর স্পেশাল ফেয়ার, ১৮১৮৯ এর্নাকুলাম এক্সপ্রেস, ১১০২০ কোনারক এক্সপ্রেস, ১২৭০৩ হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস ও ১২২৪৫ হাওড়া-যশবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bihar Train Accident: বিহারে লাইনচ্যুত কামাক্ষ্যাগামী নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস, মৃত ৫, আহত শতাধিক

    Bihar Train Accident: বিহারে লাইনচ্যুত কামাক্ষ্যাগামী নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেস, মৃত ৫, আহত শতাধিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিরে এল করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি। এবার উল্টে গেল কামাক্ষ্যাগামী নর্থ-ইস্ট সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের (North East Express Derailment) ৬টি বগি। ঘটনাস্থল বিহারের বক্সার জেলা (Bihar Train Accident)। শেষ খবর মেলা পর্যন্ত ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত শতাধিক। ঘটনাস্থলে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও উদ্ধারকারী দল পৌঁছেছে। পৌঁছেছেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। 

    রঘুনাথপুর স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত

    রেল সূত্রে খবর, বুধবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিট নাগাদ দানাপুর ডিভিশনের রঘুনাথপুর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয় দিল্লির আনন্দ বিহার থেকে অসমের কামাক্ষ্যাগামী ১২৫০৬ ডাউন নর্থ-ইস্ট সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস (North East Express Derailment)। লাইন থেকে ছিটকে যায় একাধিক কামরা। এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। দানাপুরের ডিআরএম ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। পৌঁছেছেন বক্সার জেলার প্রশাসনিক কর্তারা (Bihar Train Accident)। পৌঁছন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং রেলের আধিকারিকরা। জোরকদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে, রাতের অন্ধকারে, উদ্ধার প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পরে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আলোর ব্যবস্থা করে উদ্ধারকার্য পুরোদমে চালু করা হয়।

    হেল্পলাইন নম্বর চালু রেলের

    দুর্ঘটনার পরই রেলের তরফে হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে (Bihar Train Accident)। সেগুলো হল— পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশনের হেল্পলাইন- ৮০৮১২০৬৬২৮ ও ৮০৮১২১২১৩৪, পাটনা জংশন হেল্পলাইন- ৯৭৭১৪৪৯৯৭১, দানাপুর হেল্পলাইন- ৮৯০৫৬৯৭৪৯৩, কন্ট্রোল রুম হেল্পলাইন- ৭৭৫৯০৭০০০৪, আরা জংশন হেল্পলাইন- ৮৩০৬১৮২৫৪২, চণ্ডাওয়াল স্টেশন – ৭৭৫৯০৭০০০৪, গয়া জংশন হেল্পলাইন- ৯৭৭১৪২৭৪৯৪ ও ৭৫১৮৪০১০৪৫। এই দুর্ঘটনার (North East Express Derailment) ফলে ওই লাইনে আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বহু ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে।


     

     

    ট্যুইট বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ও অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    দ্রুত উদ্ধারকাজে (Bihar Train Accident) সমস্ত রকম সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে ট্যুইট করে জানিয়েছেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে বলেছেন, ‘‘বক্সার এবং আরার জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আহতদের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যতটা দ্রুত সম্ভব আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন।’’ খোঁজ রাখছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। তিনি নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, “আনন্দ বিহার থেকে কামাখ্যাগামী ১২৫০৬ নর্থ-ইস্ট এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত (North East Express Derailment) হওয়ার খবর পেয়েছি। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা চালাচ্ছি।”

     

    চারটি রাজ্য অতিক্রম করে এই ট্রেন

    রেল সূত্রে খবর (Bihar Train Accident), নর্থ-ইস্ট সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস প্রতিদিন উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের মতো চারটি রাজ্য অতিক্রম করে। কানপুর, এলাহাবাদ, মুঘলসরাই (এখনকার নাম পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন), পটনার মতো প্রধান স্টেশন সহ প্রায় ২৮টি স্টপেজ রয়েছে ট্রেনটির। পশ্চিমবঙ্গে এই ট্রেন (North East Express Derailment) স্টপেজ দেয় নিউ আলিপুরদুয়ার, নিউ কোচবিহার, জলপাইগুড়ি রোড এবং নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন। এটি ৩৩ ঘণ্টা ধরে প্রায় ১,৮৫৬ কিমি দূরত্ব অতিক্রম করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madurai Train Fire: কামরায় হচ্ছিল রান্না! সিলিন্ডার ফেটে মাদুরাইয়ে ভারত গৌরব এক্সপ্রেসে আগুন, মৃত ১০

    Madurai Train Fire: কামরায় হচ্ছিল রান্না! সিলিন্ডার ফেটে মাদুরাইয়ে ভারত গৌরব এক্সপ্রেসে আগুন, মৃত ১০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের মর্মান্তিক স্মৃতি কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী দেশ। এবার ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হলো অন্তত ১০ জনের। আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন। ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর মাদুরাই (Madurai Train Fire)।

     

    শনিবার ভোর ৫টা ১৫ মিনিট নাগাদ মাদুরাই রেল স্টেশনের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা লখনউ-রামেশ্বরম ভারত গৌরব ট্যুরিস্ট এক্সপ্রেসের (Bharat Gaurav Express) একটি কামরায় আগুন লাগে। জানা গিয়েছে, ট্রেনটি একটি পর্যটন ট্রেন ছিল। দুর্ঘটনার সময় তা মাদুরাই (Madurai Train Fire) রেল স্টেশনের বাইরে বোড়ি লেনে দাঁড়িয়ে ছিল। আগুন লাগার খবর পেয়ে ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থলে আসেন রেল এবং দমকল কর্মীরা। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন মাদুরাইয়ের জেলা কালেক্টর এমএস সঙ্গীতা। সকাল ৭টা ১৫ নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। 

     

    শেষ খবর মেলা পর্যন্ত, দমকল ইতিমধ্যেই আগুন নিভিয়েছে। আগুনে একটি কামরা পুরোটাই পুড়ে গিয়েছে। তবে, অন্য কামরায় তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে। পোড়া কামরা থেকে সকালে মৃতদেহগুলো বের করা হয়। আহতদের মাদুরাইয়ের সরকারি রাজাজি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। তবে এভাবে যাত্রীদের মৃত্যু হয়নি। 

     

     

    দক্ষিণ রেল সূত্রে খবর, এক্সপ্রেস ট্রেনটির (Bharat Gaurav Express) ওই কামরাটি ব্যক্তিগত ভাবে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ওই কামরার যাত্রীরা এসেছিলেন উত্তর প্রদেশের লখনউ থেকে। ১৭ অগাস্ট তাঁদের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সকলের গন্তব্য ছিল রামেশ্বরম। কামরাটি আলাদা করে মাদুরাই স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরে রেল ইয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন পোর্টেবল এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে চা তৈরি করছিলেন৷ সেইসময় সিলিন্ডার ফেটে বিপত্তি ঘটে (Madurai Train Fire)।  আগুন দেখে অনেক যাত্রীই কোচ থেকে নেমে পড়েন। মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহয্যে ঘোষণা করা হয়েছে, দক্ষিণ রেলের তরফ। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার রেলের ৩ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালেশ্বরে (Odisha Train Accident) করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলের তিন আধিকারিককে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ওই তিন আধিকারিকের কাজকর্মের জেরেই ঘটেছিল দুর্ঘটনা। এদিন যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা হলেন সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়র অরুণ কুমার মোহন্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়র মহম্মদ আমির খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। সিবিআই জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ও ২০১ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ওই তিনজনকে।

    করমণ্ডল দুর্ঘটনা 

    গত ২ জুন বালেশ্বরের (Odisha Train Accident) বাহানগা স্টেশনের অদূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হাওড়া চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মেইন লাইনের পরিবর্তে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে থাকা আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস ঢুকে পড়েছিল লুপ লাইনে। ওই লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। তার পিছনে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। এরই কয়েকটি ছিটকে পড়ে পাশের লাইনে। সেই সময় ওই লাইনে আসছিল ডাউন এসএমভিটি বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রায় ২৮৮ জন। আহত হয়েছিলেন এক হাজার জনেরও বেশি মানুষ। 

    তদন্ত শুরু রেলের

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কারণ জানতে তদন্ত শুরু করে রেলের সেফটি কমিশন। উচ্চ পর্যায়ের তদন্তে জানা যায়, সিগন্যালের ভুলের কারণেই ঘটেছিল মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনা। মূলত সিগন্যালিং ও টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের একাধিক ভুলের জন্য মেইন লাইনের বদলে লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার এএম চৌধুরীও তাঁর রিপোর্টে দাবি করেছেন, বিভিন্ন স্তরে সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির কারণেই ঘটেছে এই দুর্ঘটনা।

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালে খড়্গপুর ডিভিশনের বাঁকড়া নয়াবাজ স্টেশনেও এই একই ধরনের ত্রুটি দেখা দিয়েছিল সিগন্যালিংয়ে। যার জেরে ভুল করে ট্র্যাকে ঢুকে পড়েছিল ট্রেন। এই রিপোর্টটি সিবিআইকে দেওয়ার কথা। কারণ এই দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) নেপথ্যে অপরাধমূলক কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত করছে সিবিআই-ও। সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছিলেন রেলমন্ত্রী স্বয়ং।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: এআই পোর্টাল ‘সঞ্চার সাথী’র সাহায্যে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বহু মৃতদেহ শনাক্ত

    Coromandel Express Accident: এআই পোর্টাল ‘সঞ্চার সাথী’র সাহায্যে করমণ্ডল দুর্ঘটনায় বহু মৃতদেহ শনাক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওড়িশার বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) নিহত অনেক মানুষের পরিচয় এখনও মেলেনি। দুর্ঘটনার পর ৯ দিন কেটে গেলেও এখনও বেওয়ারিশ লাশের মত পড়ে রয়েছে বহু দেহ। এমন পরিস্থিতিতে ওড়িশা সরকারের সাহায্যে এই মৃতদেহগুলি শনাক্ত করতে রেলওয়ে নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং সিম ট্রায়াঙ্গুলেশনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। রেলওয়ে এআই (AI) চালিত ওয়েবসাইট ‘সঞ্চার সাথী’ এবং সিম কার্ডের ব্যবহার করা হচ্ছে।

    কী ভাবে দেহগুলিকে শনাক্ত করা হল 

    রেলের তরফে জানানো হয়েছিল, মোট ৮৩টি দেহ এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু, তাতেও অধরা অনেকের পরিচয়। ফলে এবার আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে রেল। কী ভাবে মৃতদেহগুলিকে (Coromandel Express Accident) শনাক্ত করল এআই পোর্টাল? জানা গিয়েছে, এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স মূলত গ্রাহকদের নামে ইস্যু হওয়া মোবাইল নম্বরগুলিকে ট্র্যাক করে। এরপর নম্বর ব্লক করে স্মার্টফোনের লোকেশন খুঁজে বের করে। এক রেল আধিকারিকের কথায়, “নিরুপায় হয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত সঞ্চার সাথী এআই পোর্টালের সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই। ৬৪টি দেহের শনাক্তকরণের জন্য এই পোর্টালের সাহায্য নেওয়া হয়। ৪৫টি ক্ষেত্রে সফল হয়েছে সেটি।”

    আরও পড়ুন: প্রতি জিবি ডেটা ৩০৮ থেকে কমে ১০ টাকারও নিচে! প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সাফল্য মোদি সরকারের

    এআই পোর্টাল কী?

    রেল প্রাথমিকভাবে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইউআইডিএআই) এর একটি দলকে ডেকেছিল এই মৃতদের পরিচয় জানতে। তাঁদের আঙুলের ছাপ নিতে ডাকা হয়। কিন্তু এটি শেষ পর্যন্ত কাজ করেনি। কারণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বুড়ো আঙুলের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ছাপ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্যে, এই সঞ্চার সাথী পোর্টাল সম্প্রতি উদ্বোধন করেছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, যিনি দেশের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীও বটে। মৃতদেহের ছবির সাহায্যে এই এআই পোর্টাল তাঁদের ফোন নম্বর এবং আধার কার্ডের তথ্য বের করে ফেলছে। আর সেই তথ্যের সাহায্য়েই দুর্ঘটনায় (Coromandel Express Accident) মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু, এই এআই পোর্টালের সাহায্যে মৃতদেহের চিহ্নিতকরণও দুর্বিসহ কাজ। কারণ অধিকাংশ মৃতদেহে ইতিমধ্যে পচন ধরেছে। দুর্ঘটনার জেরে বহু মানুষের মুখ বিকৃত হয়ে গিয়েছে। অধিকাংশের মুখ পুড়ে ঝলসে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Train Accident: কাজ নেই বলেই বাইরে যাচ্ছে ছেলেরা, মায়ের আর্তি প্রকাশ্যে আনল করুণ ছবি

    Train Accident: কাজ নেই বলেই বাইরে যাচ্ছে ছেলেরা, মায়ের আর্তি প্রকাশ্যে আনল করুণ ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একটা কাজের বন্দোবস্ত করে দিন! যাতে বাড়ির ছেলেদের আর বাইরে যেতে না হয়”। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ঠিক এমনই দাবি জানাতে চেয়েছিলেন জলপাইগুড়ির নাগরাকাটার চন্দ্রবতী সিং। তবে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলা তো দূর অস্ত, ফিরেও তাকাননি। আর এই নিয়েই একরাশ ক্ষোভ বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম ধরমনাথ সিং-এর মায়ের।

    কীভাবে পড়লেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)?

    দীর্ঘ চার মাস পর ছুটি পেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়ায় ফিরছিলেন পেশায় ডেকরেটর কর্মী ধরমনাথ সিং। বালেশ্বরের বাহানাগায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম হন তিনি। প্রথমে বালেশ্বরের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জিক্যাল অবজারভেশন ওয়ার্ডে চিকিসাধীন ধরমনাথ। মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বলেন বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় আহতদের সঙ্গে। তবে তিনি ফিরেও তাকাননি সার্জিক্যাল অবজারভেশন ওয়ার্ডের ৯ নম্বর বেডের দিকে। ভিন রাজ্যে যাতে কাজ করতে যেতে না হয়, তার আবেদন জানাতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী ফিরে না তাকানোয় সেকথা আর বলা হয়ে ওঠেনি চন্দ্রবতী সিংয়ের। আর তা নিয়ে একরাশ ক্ষোভ সিং পরিবারের দুই সদস্যের।

    কী বললেন ধরমনাথ সিংয়ের মা (Train Accident)?

    ধরমনাথ সিং-এর মা চন্দ্রবতী সিং বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসবেন শুনে আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সিস্টাররা আমাকে কথা বলতে দেয়নি। আমি শুধু এটুকুই বলতে চেয়েছিলাম, আমরা গরিব মানুষ। বাগানে কাজ করি। কিন্তু তা দিয়ে তো আর সংসার চলবে না। তাই ছেলেদের বাইরে পাঠাতে বাধ্য হয়েছি। সেই কাজ করে বাড়ি ফেরার সময়ই ওই দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটেছে। এখানে কাজ নেই। কীভাবে বাঁচব আমরা? এই কথাগুলোই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেই সুযোগটুকুই পেলাম না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    Odisha Train Accident: ছাড়বে নির্ধারিত সময়ে, বুধবার থেকে ফের চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারের দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পর থমকে গিয়েছিল যাত্রা। পাঁচদিন পর বুধবার থেকে ফের চলতে শুরু করবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। আগের মতোই নির্ধারিত সময়ে ছাড়বে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। রেল সূত্রে খবর, দুপুর ৩টে ১৫ নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেবে ট্রেনটি। রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আগের রুটেই চলবে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। অর্থাৎ, বাহানগা বাজার স্টেশন হয়েই যাবে ট্রেন। গত শুক্রবার সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ এই স্টেশনের কাছেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চেন্নাইগামী আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় ২৭৫ জনের। আহত হন ৯০০ জনের বেশি।

    ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিষেবা

    উদ্ধারকাজ শেষ হওয়ার পর শনিবার রাত থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাইন মেরামতির কাজ শুরু করে রেল। রেলমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, প্রায় ১০০০ জন এই পুনরুদ্ধারের কাজে হাত লাগিয়েছেন। দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) প্রায় ৫১ ঘণ্টা পরে বাহানাগা স্টেশন থেকে আপ এবং ডাউন লাইনে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হয়। রবিবার রাতে, দুটি মালগাড়ি পাঠানো হয় ক্ষতিগ্রস্ত ডাউন লাইন দিয়ে। এরপর রাত ১২টা নাগাদ, আপ লাইন দিয়ে একটি ট্রেন চালানো হয়। এরপর সোমবার সকালে ওই লাইনে চলেছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। অবশ্যই, এখানে তার গতি মন্থর ছিল। এর পর যায় ফলকনামা এক্সপ্রেসও। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার এই লাইন দিয়ে মোট ৪০টির মতো ট্রেন গিয়েছে। তবে, সতর্কতা অবলম্বন করে, সবকটির গতিবেগ রাখা হয়েছিল ঘণ্টায় ১০-১৫ কিমি।

    আরও পড়ুন: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    মঙ্গল-বুধেও বাতিল বহু ট্রেন

    তবে, এই লাইন দিয়ে এখনই পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি ট্রেন চলাচল। সোমবার এই শাখায় বহু ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। মঙ্গলবারও তাই। এমনকি, বুধুবারও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। রেলের জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, বাহানগা বাজারে রেললাইন (Odisha Train Accident) মেরামতির কাজের জন্য আগামী ৬ ও ৭ জুন অর্থাৎ মঙ্গল ও বুধবার একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল থাকবে। এই ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে- আপ ও ডাউন পুরী-বাংরিপোসি এক্সপ্রেস, ভদ্রক-বালাসোর এক্সপ্রেস, ভুবনেশ্বর-বালাসোর স্পেশাল, সেকেন্দ্রাবাদ-আগরতলা স্পেশাল, পুরী-শিয়ালদহ দুরন্ত এক্সপ্রেস, ভদ্রক-হাওড়া এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন ভুবনেশ্বর-হাওড়া জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন পুরী-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন পুরী-জলেশ্বর এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন সেকেন্দ্রাবাদ-হাওড়া ফলকনামা এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী ধৌলি এক্সপ্রেস, খড়্গপুর-খুরদা রোড এক্সপ্রেস, শালিমার-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেস, আপ ও ডাউন সাঁতরাগাছি-এমজিআর চেন্নাই সেন্ট্রাল এক্সপ্রেস, আনন্দবিহার-পুরী এক্সপ্রেস, পাটনা-পুরী এক্সপ্রেস। তবে, আগ বাতিলের ঘোষণা করা হলেও, নির্ধারিত সময় ছাড়বে হাওড়া-পুরী এক্সপ্রেস, পুরী-শালিমার এক্সপ্রেস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share