Tag: train accident

train accident

  • Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    Odisha Train Accident: নিছক দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত? সত্য উদঘাটনে বালাসোরে সিবিআই, শুরু তদন্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত সময় গড়াচ্ছে, করমণ্ডল দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) জোরালো হচ্ছে অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব। প্রকৃত সত্যের উদঘাটনে সোমবার থেকেই আসরে নেমেছে সিবিআই।

    দুর্ঘটনা না অন্তর্ঘাত?

    বালাসোরের ট্রেন দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) সিগন্যালিংয়ের ত্রুটির বিষয়টি রবিবারই স্বীকার করে নিয়েছে রেল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই ত্রুটি কি নিছক যান্ত্রিক গোলযোগ, নাকি দায়ী কোনও মানুষ? এটা কোনও মুহূর্তের ভুল নাকি এর পেছনে রয়েছে কোনও পরিকল্পনা? অর্থাৎ, জোর করে কেউ এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় গোলযোগ বাঁধিয়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটায়নি তো? সত্যিকারে গাফিলতি ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থায়? নাকি কারচুপি করে তাকে অকেজো করে রাখা হয়েছিল? যার জেরে প্রাণ গেল ২৭৫ জনের!

    কীভাবে সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল?

    রেলের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, সিগন্যালিং সমস্যার জন্যই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু, সিগন্যালিং সিস্টেমে গণ্ডগোল কি নিছক যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি ষড়যন্ত্র? রেলের তদন্তকারী আধিকারিকরা জানান, দুর্ঘটনার সময় করমণ্ডল এক্সপ্রেস আপ মেইন লাইনে যাওয়ার জন্য সিগন্যাল সবুজ ছিল। কিন্তু, তারপরই সিগন্যাল অফ করে দেওয়া হয়। আপের লুপলাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। আবার সেই সময়ে মেনলাইন থেকে লুপলাইনে ট্রেন ঢোকানোর জন্য আগে থেকেই পয়েন্ট সেট করা ছিল। ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস লুপ লাইনে চলে যায় এবং মালগাড়িতে ধাক্কা মারে।

     মেইন লাইন ছেড়ে কেন লুপ লাইনে?

    রেলের তদন্তকারী আধিকারিকদের আরও দাবি, লুপলাইনে ঢোকার জন্য পয়েন্ট সেট করা থাকলে তার অনেক আগে থেকেই হোম সিগন্যাল হলুদ থাকার কথা। এটা রেলের একটা স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা। নিয়ম অনুসারে, হোম সিগন্যাল হলুদ থাকলে চালককে প্রথমে ট্রেনটিকে থামাতে হয়। তারপর খুব ধীর গতিতে, মোটামুটি ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার গতিবেগে লুপলাইনে ঢোকার কথা ছিল করমণ্ডলের। কিন্তু এক্ষেত্রে লুপলাইনে পয়েন্ট সেট করা থাকলেও হোম সিগন্যাল সবুজ ছিল। যে কারণে, ট্রেন ছুটছিল ঘণ্টায় প্রায় ১২৮ কিলোমিটার গতিবেগে। দ্রুত গতিতে লুপলাইনে ঢুকে পড়ে লোহাচুর বোঝাই মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Odisha Train Accident)।

    আরও পড়ুন: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    অকেজো ছিল স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা?

    রেলকর্তাদের আশঙ্কা, দুর্ঘটনার সময়ে যে কোনও কারণেই হোক ওই এলাকায় স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল ব্যবস্থা অকেজো হয়ে ছিল। সাধারণত কোথাও সিগন্যালের মেরামতি করতে হলে এটা করা হয়ে থাকে। সিগন্যালিংয়ের এই গণ্ডগোলের পিছনে অন্তর্ঘাত রয়েছে বলেই তাঁদের দাবি। রেলের ডিআরএম বলেন, “এই সিগন্যালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল বলেই গতকাল থেকে রিলে রুম বন্ধ করে রেখেছে। কারণ কোনও ত্রুটি হয়েছে কি না তা একমাত্র ওই রিলে রুমে থাকা হার্ডওয়্যারের মাধ্যমেই জানা যাবে। ওই ঘরে সিগনালিং এবং টেলি কমিউনিকেশনের সব কাজ হয়। তাই অন্তর্ঘাত তো কিছু না কিছু ভাবে হয়েছেই।” 

    ট্যাম্পারিং করা হয়েছিল ইন্টারলকির সিস্টেমে?

    রেল কর্তাদের দাবি, তাদের ইন্টারলকিং সিস্টেম খুবই নিরাপদ এবং এখানে ত্রুটির সুযোগ কম। একটা সিগন্যালিং ব্যবস্থা এতটাই স্পর্শকাতর হয় যে, তার ত্রুটি মেরামত করার পর অন্তত ছয় থেকে সাতবার উন্নতমানের মেশিন এনে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে এত কম সময়ে বিগড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত ০.০১ শতাংশ। ডিআরএম জানান, এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা কিছুদিন আগেই মেরামত করা হয়েছিল। তাহলে, সেখানে এই ধরনের বিপর্যয়ের অবকাশই নেই। ফলে, প্রাথমিক তদন্তের সঙ্গে রেলকর্তারা একমত যে, ইচ্ছাকৃতভাবে বদল ঘটানো বা ট্যাম্পারিং না হলে ইন্টারলকির সিস্টেমে পরিবর্তন করা যায় না। যে কারণেই এখানে ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব উঠে আসছে। ইন্টারলকিং সিস্টেমে হস্তক্ষেপের পিছনে উদ্দেশ্য খুঁজে বের করতেই সিবিআই তদন্তের সিদ্ধান্ত।

     অনুসন্ধানে ১০ সদস্যের সিবিআই টিম

    করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাকাণ্ডে (Odisha Train Accident) রেলের নিজস্ব তদন্তের পাশাপাশি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেই অনুযায়ী, সোমবার থেকেই তদন্ত শুরু করে দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ১০ সদস্যের টিম পৌঁছে গিয়েছিল বালাসোরে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি, কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে একাধিক জায়গায় হানা দেয় সিবিআইয়ের বিশেষ দল। বালাসোর স্টেশনের প্যানেল রুমের দায়িত্বে থাকা অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন মাস্টার-সহ কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। প্রত্যেকের বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। 

    কী হয়েছিল সেই সময়? জানতে চায় সিবিআই

    এছাড়া, খড়্গপুর জংশন থেকেও করমণ্ডল এক্সপ্রেসের গতিবিধি সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশনস ম্যানেজার (এসডিওএম), ডিওএম, ট্র্যাক লোকো কন্ট্রোলার (টিএলসি), সিনিয়র ডিভিশনাল ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সহ বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চালকের কেবিন থেকে উদ্ধার হওয়া লগবুক, স্পিডোমিটার, ওয়াকিটকি, সিইউজি ফোন (কমন ইউনিফায়েড গ্রুপ), পিএমইউ (পিরিয়োডিক্যাল মেডিক্যাল একজামিনেশন মেমো), রিফ্রেশার মেমো (ট্রেনিংয়ের সার্টিফিকেট)– এই সব সামগ্রী রেলের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে সিবিআই। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Odisha Train Accident) চালক ও সহকারী চালকের সঙ্গেও কথা বলতে চান তদন্তকারীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    Odisha Train Accident: কীভাবে ক্ষতিপূরণ চাইবে মৃত ও আহতদের পরিবার? পদ্ধতি জানাল রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Odisha Train Accident) কেড়েছে ২৭৫টি প্রাণ। আর কোনওদিনও বাড়িতে ফিরবেন না তাঁরা। একদিকে প্রিয়জনকে হারানোর শোক, তার ওপর নিহতদের অনেকেই ছিলেন পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। ফলে, সব মিলিয়ে আতান্তরে নিহতদের পরিবারবর্গ। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সামনে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখমরাও। করমণ্ডল দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৮০০ পার করেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকের জখম গুরুতর। অনেকে জীবনভর কিছু করার ক্ষমতা হারিয়েছেন। বহু যাত্রীর অঙ্গহানি ঘটেছে। কারও কাটা পড়েছে হাত, কারও বা পা। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতে কিছুটা মলমের প্রলেপ এনে দিতে পারে ক্ষতিপূরণের টাকা। 

    কীভাবে মিলবে ক্ষতিপূরণ?

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পরই রেলের তরফে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। প্রতি মৃতের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা, গুরুত্ব আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া কথা জানিয়েছিল রেল। কিন্তু, কীভাবে মিলবে ক্ষতিপূরণের টাকা? অনেকের কাছে এই পদ্ধতি জানা নেই। তার ওপর, প্রিয়জনের দেহ এখনও অনেকে পাননি। যে পরিবার দেহ পেয়েছে, তাদের মানসিক অবস্থা এখন স্বাভাবিক নয়। সকলে শোকে বিহ্বল। বাড়িতে শোকের ছায়া। অনেক পরিববার বুঝেই উঠতে পারছে না, এই সময়ে ঠিক কী করণীয়। 

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    মানতে হবে কিছু নিয়ম

    এমন অবস্থায়, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল রেল। ক্ষতিপূরণের (Odisha Train Accident) অর্থ আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। এবার সেই ক্ষতিপূরণের টাকা কী ভাবে চাইতে হবে, সেই পদ্ধতিও জানানো হল। সোমবার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রেল ক্ষতিপূরণ দাবি করার প্রক্রিয়াটি জানিয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতিপূরণ পেতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, মৃতের পরিবারের সদস্যরা কিংবা আহতরা বালাসোর স্টেশন কিংবা হাসপাতালে গিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। সঙ্গে ক্ষতিপূরণের সমস্যা এবং তার সমাধানের জন্য হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল ৯৪৩৯৯ ৮১৯৯৯, ৭৯৭৮৪ ১৮৩২২ এবং ৮২৪৯৫ ৯১৫৫৯। এছাড়া ৬৪৮১০ নম্বরে ফোন করে ক্ষতিপূরণের দাবি করতে পারেন। তবে প্রতি ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট নথিপত্র রেলকে দেখিয়ে পরিচয়ের প্রমাণ দিতে হবে।

    টিকিট না কাটলেও মিলবে ক্ষতিপূরণ

    রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২৮৫ জন যাত্রীকে মোট ৩.২২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন যাত্রীর মৃত্যুর জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ও ৫০ জন গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় রেলের তরফে আপাতত সাতটি জায়গা থেকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। এগুলি হল-সোরো, খড়্গপুর, বালাসোর, খন্তপারা, ভদ্রক, কটক ও ভুবনেশ্বর। রেলের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা জানিয়েছেন, কার টিকিট ছিল অথবা টিকিট ছিল না এই ঘটনা নির্বিশেষে সকলেই ক্ষতিপূরণ পাবেন। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন করা হবে।

    প্রিয়জনের খোঁজ পেতে হেল্পলাইন ১৩৯

    দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) পর এখনও পর্যন্ত বালাসোর, সোরো এবং বাহানগা বাজার থেকে মোট ৭৭টি মৃতদেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। সেগুলি যথাযথ নিয়ম মেনে তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের সদস্যদের হাতে। অন্যদিকে ১৮২টি দেহ এখনও সনাক্ত করা যায়নি। এখনও মৃত পরিজনদের দেহ পেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। তাদের পরিবারকে সহায়তা করতেই ১৩৯-এই হেল্পলাইন নম্বরটি চালু করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত ও নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়, তাও নিশ্চিত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মৃত ও আহদের পরিবার ১৩৯ নম্বরেও ফোন করতে পারেন। এই নম্বরে ফোন করলে, জোনাল রেলওয়ে ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানানো হবে। ২৪/৭ এই হেল্পলাইন নম্বর চালু রাখা হচ্ছে। ফোনের এ প্রান্তে থাকবেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: মামার দেহ সৎকার করে কেরল যাওয়ার পথেই মৃত্যু ভাগ্নার

    Odisha Train Accident: মামার দেহ সৎকার করে কেরল যাওয়ার পথেই মৃত্যু ভাগ্নার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে ওঠার সময় স্টেশনেই বোনের সাথে শেষ কথা হয়। এরপর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জানা জানি হতেই যুবককে বাড়ি থেকে ফোন করা হলে যুবককে ফোনে পাননি। এরপর বালেশ্বর (Odisha Train Accident) থেকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। অপর দিকে মহিষাদলের এক বাসিন্দা বাড়িতে ফিরে এমন টাই বললে, বৌ সন্তানকে নিয়ে অল্পের জন্য মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছি! এই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ভোলার নয়।

    দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃত্যু ৩০ বছরের যুবকের

    তমলুক থানার শ্রীরামপুর এলাকার শেখ আজিমুদ্দিনের মামার বাড়ি হল ওড়িশার বালেশ্বরে। মামার মৃত্যুর পর দেহ সৎকারের পর, মামা বাড়ি থেকে কেরালায় কাজ করতে যাওয়ার জন্য বালেশ্বর স্টেশন (Odisha Train Accident) থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেনে ওঠার কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পরেই দুর্ঘটনা ঘটে করমন্ডল এক্সপ্রেসের। 

    পরিবারের বক্তব্য

    দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই আত্মীয় পরিজন রওনা দেয় দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) স্থলে। সেখানেই দেখেন যে আজিমুদ্দিনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এরপর এই খবর জানা জানি হতেই সকাল থেকেই মৃতের বাড়িতে লোকজন এসে জড়ো হয়। মৃতের পরিবারের আবেদন যে রোজগেরে ছেলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর পুরো পরিবারটাই অর্থনৈতিক ভাবে ভেঙে পড়বে। দুই ছেলে ও বাবা মাকে নিয়ে সংসার ছিল আজিমুদ্দিনের। দুই ছেলেকে নিয়ে এইমুহুর্তে কীভাবে চলবে সংসার! কিছুই ভেবে পাচ্ছেন না মৃতের বোন। বোনের বক্তব্য, সরকার তাঁদের আর্থিক সাহায্য করুক। এই মুহূর্তে পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

    অল্পের জন্য রক্ষা পেলে  আরও এক পরিবার

    অন্যদিকে এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বাড়ি ফিরতে পারবে কিনা জানা ছিল না, নতুন জীবন পেয়ে বাড়ি ফিরলেন পাল পরিবারের ৩ সদস্য। শুক্রবার সন্ধ্যে ৭.১৫ নাগাদ বালেশ্বরে করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কবলে পড়েছিলেন তাঁরা। ওই ট্রেনেই সফর করছিলেন মহিষাদল থানার মলুবসান গ্রামের সুব্রত পাল, তাঁর স্ত্রী দেবশ্রী পাল ও ছেলে। এই ট্রেনে করে চেন্নাই যাচ্ছিলেন ছেলেকে ডাক্তার দেখানোর জন্য। বালেশ্বরের এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা, তাঁদের কাছে আতঙ্কের। সুব্রত বাবুর স্ত্রী জানান, নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি! যতদিন বাঁচবো এই স্মৃতি মনের মধ্যে থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: উত্তর দিনাজপুরের আহত ৪ এবং বীরভূমের নিখোঁজ ২ পরিযায়ী শ্রমিক, পরিবারের পাশে বিজেপি

    Train Accident: উত্তর দিনাজপুরের আহত ৪ এবং বীরভূমের নিখোঁজ ২ পরিযায়ী শ্রমিক, পরিবারের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দারা অনেকেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে (Train Accident) ছিলেন আর তাই ট্রেনের দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন জেলার ৪ জন এবং অপর দিকে একই দুর্ঘটনায় বীরভূমের দুই পরিযায়ী শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। পরিবারের মানুষ দুশ্চিন্তায় নাওয়া খওয়া ছেড়ে দেওয়ার উপ্রক্রম হয়েছে।

    উত্তর দিনাজপুর থেকে (Train Accident) নিখোঁজ

    বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident) জখম হল উত্তর দিনাজপুরের ৪ জন৷ আহতদের সকলকেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার মর্মান্তিক দু:সংবাদ, বাড়িতে এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। আহতদের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া ব্লকের লক্ষীপুর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে আহতরা সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। আহতদের নাম হুদা আলম, মহম্মদ রাজ্জাক, মহম্মদ শাহাদাত, মিরাজুল ইসলাম। জানা গিয়েছে আহতদের মধ্যে হুদা আলমের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার ট্রেন দুর্ঘটনার পরপরই আহতদের মধ্যে একজন বাড়িতে ফোন করে এই দুর্ঘটনার কথা জানান। তারপরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আহতদের পরিবারের সদস্যরা। আহতরা কে কোথায়, কীভাবে আছেন তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিজনরা। ঘটনার জেরে কার্যত দুশ্চিন্তায় পরিবার।

    বীরভূম থেকে নিখোঁজ এবং পরিবারের পাশে বিজেপি

    সিউড়ির নগরী পঞ্চায়েতে ঝোড়গ্রামের দুই পরিযায়ী শ্রমিক গতকাল করমণ্ডল এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়েন। তাঁদের মধ্যে একজন নিখোঁজ, অপরজন কটক হসপিটালে ভর্তি রয়েছেন বলে জানা গেছে। নিখোঁজ ব্যাক্তির নাম লাভলু মাল আর আহত ব্যক্তির নাম মহিম ডোম। এই পরিবারের বাড়িতে বিজেপির প্রতিনিধি দল পৌঁছান। ইউপির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দীনেশ শর্মা মহাশয় সহ বিজেপির একাধিক জেলার কার্যকর্তারা নিখোঁজ পরিবারের পাশে থেকে আশ্বাস দেন। দীনেশ শর্মা বলেন, ভারত সরকার এই নির্মম বেদনাদায়ক ঘটনার প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন। আমরাও আজ দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাক্তির পরিবারে পাশে থেকে আশ্বাসের বার্তা দিয়েছি। সরকার ক্ষতি পূরণের কথা ঘোষণা করেছেন। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে আমাদের ভারত সরকার একসঙ্গে মিলে উদ্ধার কাজ করছে। এই মুহূর্তে সাধারণ মানুষের পাশে থাকাটাই আমাদের একমাত্র কর্তব্য বলে মন্তব্য করেন বিজেপির এই নেতা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: “চোখের সামনে কামরাটি উল্টে গেল, ১২ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে,” বললেন শ্যামনগরের সঞ্জয়

    Train Accident: “চোখের সামনে কামরাটি উল্টে গেল, ১২ ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে,” বললেন শ্যামনগরের সঞ্জয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বালেশ্বর স্টেশনে ট্রেন ছাড়ার পর আমি আর আমার বন্ধু রবি খাওয়া-দাওয়া শুরু করি। পরে, বাথরুমের পাশে বেসিনে থালা পরিষ্কার করছিলাম। আচমকা ট্রেনটি নড়ে ওঠে। বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। আমাদের কামরাটি কয়েকটি পাল্টি খেয়ে ছিটকে পড়ল। তারপর আমার আর কিছু মনে নেই। প্রায় ১২ ঘণ্টার পর আমার জ্ঞান ফেরে। তখন দেখি আমি বালেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।” ফোনে এক নিমেষে কথাগুলি বলছিলেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় (Train Accident) গুরুতর জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয় দত্ত।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসে চেপে কেরালায় যাচ্ছিলেন শ্যামনগর রাহুতার বিআরএস নবপল্লির বাসিন্দা রবি বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন তাঁরই এক বন্ধু সঞ্জয় দত্ত। দুজনেই কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ওড়িশার বালেশ্বরের কাছে ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)  গুরুতর জখম হন তাঁরা। ট্রেন দুর্ঘটনায় ছেলে আহতের খবরে ভেঙে পড়েছেন বিশ্বাস দম্পতি। জখম রবির দিদি মলি নন্দী বিশ্বাস বলেন, ভাইয়ের ট্রেন দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসি। ভাই প্ৰথমে বলেশ্বর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। সেখান থেকে মেদিনীপুরে একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ভাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসুক এটাই ঠাকুরের কাছে আমাদের প্রার্থনা।

    ট্রেন দুর্ঘটনায় (Train Accident)  জখম যাত্রী কী বললেন?

    দুর্ঘটনায় জখম হওয়া যাত্রী সঞ্জয়বাবু আরও বলেন, “ভয়াবহ দুর্ঘটনায় প্রাণে বেঁচে এসেছি। কিন্তু, শ্রমিকের কার্ড, জব কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড হারিয়ে গেল। আমি কাজ করবো কী করে, খাব কী? ডান হাত আমার গুঁড়িয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ছটার পর থেকে অজ্ঞান হয়ে যাই। এদিন সকালে জ্ঞান ফিরে দেখি, বালেশ্বর হাসপাতালে। সেখান থেকে মেদিনীপুর।” একই রকম উৎকন্ঠ নিয়ে রয়েছে তার বন্ধু রবি। তারও পা ভেঙে গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: তৃণমূল সরকার ঘর দেয়নি, আয়ের জন্য যেতে হয়েছিল ভিনরাজ্যে, ফেরার পথেই দুর্ঘটনা

    Train Accident: তৃণমূল সরকার ঘর দেয়নি, আয়ের জন্য যেতে হয়েছিল ভিনরাজ্যে, ফেরার পথেই দুর্ঘটনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫০ বছর ধরে ভাঙ্গা ঘরে বসবাস, সামান্য হাওয়া এলেই বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়। একটি পাকা ঘর করার আশায় ছেলে বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে গিয়েছিল। বাড়ি আসার পথে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় (Train Accident) বর্তমানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সুজয় সিংহ রায় নামক এক ব্যাক্তি। সরকারি ঘর পেলে আজকে এই দিনটা দেখতে হতো না, চোখে জল নিয়ে আক্ষেপ পরিবারের। তাঁদের পরিবার সম্পর্কে কিছুই জানেন না স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা।

    নদীয়ার কে ছিলেন ট্রেন (Train Accident) দুর্ঘটনায়?

    নদীয়ার শান্তিপুর থানার গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা সুজয় সিংহ রায়। দিনআনা দিনখাওয়া সংসারে একমাত্র উপার্জন করার মানুষ সুজয়ের বাবা। কোনরকম ভাবে আধপেটা খেয়ে সংসার চলে, তার উপর পড়াশুনার খরচ! চালাবেন কী করে? তাই বাধ্য হয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করে, কাজের পথ বেছে নিতে হয়েছে সুজয়কে। দেড় বছর ধরে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে দিনমজুরের কাজ করত সে। দিন কয়েক ধরে তাঁর শারীরিক সমস্যা হচ্ছিল, আর সেই কারণে ওখানকার একাধিক ডাক্তার সে দেখিয়েছিল। শরীর সুস্থ না হওয়ায় সে বাড়ি ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল বাড়ি ফেরার সময় ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) কবলে পড়তে হয়েছে তাঁকে। গুরুতর জখম অবস্থায় অন্য একটি মোবাইল থেকে সে বাড়িতে ফোন করে এবং নিজের পরিস্থিতির কথা জানায়।

    পরিবারের উদ্বেগ এবং বোনের বক্তব্য

    বাড়িতে খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। সুজয়ের বোন রূপসা সিংহ রায় বলে, আমি প্রাইভেট পড়তে গিয়েছিলাম হঠাৎ একটি নম্বর থেকে আমাকে ফোন করা হয়। আমি ফোনটা ধরার পর, দাদা নিজেই বলে, আমি দুর্ঘটনায় (Train Accident) পড়ে আহত হয়েছি। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে আছি! শুধু এটুকুই কথা হয় দাদার সঙ্গে। রূপসা আরও বলে, প্রথমে ভেবেছিলাম আমার দাদা হয়তো মিথ্যা কথা বলছে। কিন্তু পরবর্তীকালে জানতে পারি সত্যিই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে।

    মায়ের প্রতিক্রিয়া

    সুজয়ের মা সুজাতা সিংহ রায় বলেন, আমার মেয়ে পড়তে গিয়েছিল, প্রথমে মেয়ে পড়া থেকে এসে আমাকে বলে দাদার দুর্ঘটনা (Train Accident) হয়েছে। মা আরো বলেন, সংসারের অর্থনৈতিক হাল ফেরাতে এবং ঘরকে পাকাপোক্ত করতেই ছেলে একবছর ধরে বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে কাজ করছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে পেট ব্যথার কারণে ছেলে বাড়িতে আসতে চাইছিল। আমরা চাই, প্রশাসন যত দ্রুত সম্ভব আমার ছেলেকে সুস্থ ভাবে ফিরিয়ে আনুক।

    বাবার বক্তব্য

    সুজয়ের বাবা সারদা সিংহ রায় বলেন, কোনরকম ভাবে আমার একার উপার্জনেই এই সংসার চলত। তার উপর ছোট ছেলেমেয়েদের নিয়ে ৫০ বছর ধরে এই ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছি। একাধিক বার পঞ্চায়েত মেম্বার থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত অফিসে কাগজপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু কোনরকম সরকারি পরিষেবা পাইনি। ঝড় বৃষ্টির মধ্যে চরম আতঙ্কে থাকি আমরা। একটু জোরে হাওয়া দিলেই নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়। শুধুমাত্র একটি ঘর তৈরির জন্য আমার ছেলেকে ভিন রাজ্যে (Train Accident) যেতে হয়েছে। আজ যদি পঞ্চায়েতের মাধ্যমে সরকারি ঘরটা পেতাম তাহলে এই দিনটি দেখতে হতো না।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার উল্টোসুর

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা পূজা ঘোষ বলেন, আমি জানিই না যে আমার এলাকায় সুজয় নামে একটি ছেলে, ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন। সুজয়রা কেন ঘর পায়নি? সেই প্রশ্ন করতে তিনি বলেন, আমি নামেমাত্র পঞ্চায়েত সদস্যা। কাজ করে ওই এলাকার অন্যান্য তৃণমূল মাতব্বররা। দুর্ঘটনার কবলে থাকা সুজয় এখন কবে ফেরে, সেই আশায় উদ্বিগ্ন পরিবার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা

    Odisha Train Accident: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার জেরে বাতিল বহু ট্রেন, রইল তালিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Odisha Train Accident) কবলে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস। শুক্রবার বালেশ্বর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে বাহানগা বাজার স্টেশনে সন্ধে পৌনে ৭টা নাগাদ এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ভদ্রকের দিকে যাচ্ছিল চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস। হাওড়াগামী যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসের অভিমুখ ছিল বালেশ্বরের দিকে। করমণ্ডলের বাঁ দিকের লাইনে ছিল একটি মালগাড়ি। সংঘর্ষে তালগোল পাকিয়ে যায় ৩টি ট্রেন। খেলনা গাড়ির মতো উল্টে যায় ট্রেনের একের পর এক কামরা। 

    এখনও পর্যন্ত মেলা খবর অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় (Odisha Train Accident) মৃত্যু হয়েছে ২৬৮ জনের। আহতের সংখ্যা ৬৫০ পার করেছে। দুর্ঘটনার ফলে এখন কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ওই শাখা। ফলস্বরূপ, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের খড়গপুর-ভদ্রক শাখায় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল হয়েছে। দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া, শিয়ালদা থেকে পুরীগামী একাধিক ট্রেনও বাতিল করা হয়েছে। ঘুর পথে চালানো হচ্ছে আরও অনেক ট্রেন।

    এক নজরে বাতিল হওয়া ট্রেন—

    হাওড়া-সেকেন্দ্রাবাদ ফলকনুমা এক্সপ্রেস
    হাওড়া-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস 
    হাওড়া-এর্নাকুলাম অন্ত্যোদয় এক্সপ্রেস
    হাওড়া-পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস
    হাওড়া-বেঙ্গালুরু দুরন্ত এক্সপ্রেস
    হাওড়া-এসভিএমটি বেঙ্গালুরু সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। 
    হাওড়া-তিরুপতি এক্সপ্রেস
    হাওড়া-ভুবনেশ্বর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস
    হাওড়া-চেন্নাই মেল
    হাওড়া-ভদ্রক বাঘাযতীন এক্সপ্রেস
    হাওড়া-যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস

    আরও পড়ুন: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    সাঁতরাগাছি-পুরী স্পেশাল
    শিয়ালদা-পুরী দুরন্ত এক্সপ্রেস
    হায়দরাবাদ-শালিমার এক্সপ্রেস
    দিঘা-পুরী সমুদ্রকন্যা এক্সপ্রেস
    ত্রিবান্দ্রম-শালিমার এক্সপ্রেস
    চেন্নাই-শালিমার করমণ্ডল এক্সপ্রেস 
    শালিমার-সম্বলপুর এক্সপ্রেস
    শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস
    শালিমার-পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস

    এছাড়া, বাতিল হয়েছে—

    খড়গপুর-জয়পুর-কেওনঝড় রোড এক্সপ্রেস
    খড়গপুর বেলদা মেমু স্পেশাল
    খড়গপুর খুরদা রোড এক্সপ্রেস
    খড়গপুর ভদ্রক মেমু
    হাওড়া জয়সলমীর মেমু স্পেশাল
    বাংরিপোপোশি-ভুবনেশ্বর ইন্টারসিটি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস

    এছাড়াও, বেশ কয়েকটি ট্রেন টাটানগর দিয়ে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর (Odisha Train Accident)

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    Train Accident: বালাসোর যেন মৃত্যুপুরী! রেললাইনে শোয়ানো সারি সারি দেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোর যেন ঠিক মৃত্যুপুরীর চেহারা নিয়েছে। শুক্রবার বিকেল অবধি যে জায়গা স্বাভাবিক ব্যস্ত জনপদ ছিল। রাত থেকেই বদলে যায় তার চিত্র। হাহাকার, রক্তমাখা দেহ। কারও হাত আছে তো পা নেই আবার পা আছে তো হাত নেই। ভোররাতে সূর্যের অস্ফুট আলো ফুটে উঠতেই বোঝা যায় দুর্ঘটনা (train accident) কতটা ভয়ঙ্কর ছিল। রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলছেনা বদলে সারি সারি ভাবে সাদা কাপড়ে মোড়া মৃতদেহ। কামরার জানলাগুলি থেকে বেরিয়ে এসেছে হাত-পা। জানা যাচ্ছেনা তারা জীবিত না মৃত। কারণ তা জানতে কামরার ভিতরে ঢুকতে হবে। কিন্তু তালগোল পাকানো কামরার ভিতরে ঢোকার প্রশিক্ষণ তো উদ্বারকারীদের জানা নেই। ভরসা এখন গ্যাস কাটার। সময় যত পেরবে ততই বাড়বে মৃত্যুর সংখ্যা, এমনটাই জানাচ্ছেন উদ্বারকারীরা। 

    আরও পড়ুন: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃত্যু বেড়ে ২৩৩, আহত ৯০০-র বেশি

    স্থানীয়রাই প্রথম এগিয়ে আসে উদ্বারের কাজে

    উদ্বারের কাজে ত্রুটি কিছু রাখেনি সরকার। ড্রোন, স্নিপার ডগ এমনকি হেলিরকপ্টার পর্যন্ত ব্যবহার করছে এনডিআরএফের টিম। তবে সবথেকে আগে হাত বাড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই সমানতালে তাঁরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন। শনিবার দুপুর অবধি খবর পাওয়া গেছে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এবং তা ২৬০ অতিক্রম করেছে আহত ৯০০ জনেরও বেশি। এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘‘দুর্ঘটনার (train accident) সময় আমি কাছেই ছিলাম। প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আমরা উদ্ধার করেছি।’’ তাঁর আরও দাবি, ভিতরে চাপা পড়ে রয়েছে আরও বহু দেহ। এদিন আহতদের রক্ত দিতে বালাসোরের হাসপাতালে দেখা যায় স্থানীয়দের লম্বা লাইনও।

    ট্রেন যাত্রীর বিবরণ

    ট্রেনের এক যাত্রী তো নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে শিউরে উঠছেন। তিনি বলেন, ‘‘তখন ঘুমাচ্ছিলাম ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেগে উঠে দেখি প্রায় ১০-১৫ জন আমার উপরে পড়ে আছে। আমি হাত ও ঘাড়ে আঘাত পেয়েছি। ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন আমি ট্রেন থেকে নামলাম দেখি চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিচ্ছিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। একটি পা এখানে, একটি হাত সেখানে। কারও মুখ বিকৃত।’’ 

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident:  ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ তপনের চন্দন রায়, উদ্বেগে পরিবার

    Train Accident: ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিখোঁজ তপনের চন্দন রায়, উদ্বেগে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে কাজ নেই। রোজগারও তলানিতে। মা, স্ত্রী আর পাঁচ বছরের সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার গাঁও গঙ্গারামপুরের চন্দন রায়। ভালো রোজগারের আশায় ভগ্নিপতি নিত্যম রায়ের সঙ্গে প্রথম কেরালায় রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছিলেন তিনি। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে তাঁদের টিকিট ছিল। ট্রেন দুর্ঘটনার (Train Accident) পর থেকে চন্দনবাবুর কোনও হদিশ পাচ্ছেন না পরিবারের লোকজন। চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন সকলে।

    কী বললেন চন্দনের স্ত্রী?

    চন্দনবাবুর ভগ্নিপতি নিত্যম রায়ের বাড়ি মালদহের বামনগোলায়। দুজনেই করমন্ডল এক্সপ্রেসে এক কামরায় ছিলেন। চন্দনবাবুর স্ত্রী চিত্রা রায় বলেন, “ট্রেনে ওঠার পর ও আমাকে ফোন করে জানায়, বিকেলের দিকে ট্রেন ছাড়ার পর ও বলে, ট্রেন ছাড়ল। পৌঁছে গিয়ে ফোন করব। সেই আশায় ছিলাম। সন্ধ্যার পর খবরে দেখি করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটেছে। আর ওরা ওই ট্রেনে ছিল, তা জানতাম। সঙ্গে ওর মোবাইলে ফোন করি। কিন্তু, মোবাইল সুইচড অফ পাই। এরপর আমার ননদাইকে ফোন করি। কিন্তু, তাঁর মোবাইল থেকে একজন ফোন তুলে আমার সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলেন। যেটুকু বুঝলাম তাতে আমার ননদাই আর বেঁচে নেই। আর আমার স্বামীর খোঁজ কেউ দিতে পারলেন না। ও এখন বেঁচে আছে না কোথায় আছে কিছুই জানি না। খুব উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটছে। আমার স্বামীকে খুঁজে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আমি আবেদন জানিয়েছি। থানাতেও গিয়েছি।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    স্থানীয় বিজেপি নেতা জুল্লুর রহমান চন্দনবাবুর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে শনিবার সকালে গিয়ে দেখা করেন। তিনি বলেন,”আমরা বিষয়টি জানার পর হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে সব জানিয়েছি। আমাদের রাজ্যে থেকে যে উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলে (Train Accident) গিয়েছে তাঁদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আমরা থানায় জানিয়েছি। বিজেপির পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে সবরকমভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। আমরা তাঁদের পাশে সবসময় রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coromandel Express Accident: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    Coromandel Express Accident: বালাসোরে দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়া ফিরল বিশেষ ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর কেটে গিয়েছে প্রায় ১৮-ঘণ্টা। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। একদিকে প্রতি ঘণ্টায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। অন্যদিকে, হাসপাতালে বাড়ছে আহতদের ভিড়। এরমধ্যেই, দুর্ঘটনার জেরে করমণ্ডল ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের আটকে পড়া ২০০ যাত্রীকে নিয়ে হাওড়ায় ফিরল বিশেষ ট্রেন। আরও ১০০০ যাত্রীকে নিয়ে পরে আরও একটি ট্রেন আসবে বলে জানা গিয়েছে। 

    হাওড়া পৌঁছল বিশেষ ট্রেন

    শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express Accident) ও যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীদের নিয়ে বিশেষ ট্রেন এসে পৌঁছল হাওড়ায়। শুক্রবার রাতভর হাওড়া স্টেশনে যাত্রীদের আত্মীয়-পরিজন, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ ছিল চরমে। দূরপাল্লার দুই ট্রেন মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার যাত্রী ছিলেন। তাঁদের আত্মীয় ও পরিবারের সদস্যদের সারা রাত ধরে হাজির হতে দেখা গেল হাওড়ার রেল স্টেশনে। হাওড়া পৌঁছনোর খড়্গপুর স্টেশনে যাত্রীদের জল, চা এবং খাবার দেওয়া হয়। হাওড়া পৌঁছতেই স্টেশনেই তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানান তাঁরা। রেলসূত্রে খবর, আরও যাত্রী নিয়ে হাওড়া ফিরছে স্যর এম বিশ্বেশ্বরায়-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। অন্যদিকে, একটি বিশেষ ট্রেন আটকা পড়া যাত্রীদের নিয়ে শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ভদ্রক থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে।

    আরও পড়ুন: আহতদের দেখতে বালাসোর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আগে করলেন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও

    এদিকে, দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) পর দ্রুততার সঙ্গে একাধিক হেল্পলাইন খোলা হয়েছে রেলের তরফে। পাশাপাশি চালু হয় ২৪ ঘণ্টার হেল্প ডেস্ক। সরাসরি দুই ট্রেনের যাত্রীদের বাড়ির লোক রেলের সাহায্য নিতে পারবেন। 

    রেলের হেল্পলাইন নম্বর

    রেল আপৎকালীন(হাওড়া): ২২৯৩৩, ০৩৩-২৬৪১৩৬৬০
    রেল অনুসন্ধান(টোল-ফ্রি): ২২২৪৪, ২২২৫৫, ২২২৬৬
    বিএসএনএল: ২৬৪০-২২৪১, ২৬৪০-২২৪২, ২৬৪০-২২৪৩
    হাওড়া: ০৩৩-২৬৩৮২২১৭
    খড়্গপুর: ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯
    বালাসোর: ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২
    শালিমার: ৯৯০৩৩৭০৭৪৬

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share