Tag: Trinamool

Trinamool

  • PM Modi: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    PM Modi: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি”, সপ্তম দফার আগেই জানিয়ে দিলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে বিজেপি।” কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দু’দিনের সফরে মঙ্গলবার কলকাতায় এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে জনসভা করেন বারুইপুরে। সন্ধেয় কলকাতায় রোড-শো করার কথা। তার আগে সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে এক পেশে লড়াই হচ্ছে। এই লড়াই তৃণমূল লড়ছে স্রেফ অস্তিত্ব রক্ষার জন্য।”

    টিকে থাকার লড়াই তৃণমূলের! (PM Modi)

    অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। সাত দফায় নির্বাচন হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গেও। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচন। রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে এখনও ভোট হয়নি ৯টি কেন্দ্রে। পয়লা জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় নির্বাচন হবে এই কেন্দ্রগুলিতে। তার আগে দু’দিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “বাংলার ভোটে তৃণমূল দল কেবল টিকে থাকার জন্য লড়াই করছে। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন বাংলায় বিজেপির তিনটি আসন ছিল। সেখান থেকে বেড়ে ৮০টি (আসলে ৭৭টি) হয়েছিল। গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা প্রচুর সমর্থন পেয়েছিলাম।”

    বেস্ট পারফর্মিং রাজ্য

    এর পরেই তিনি বলেন, “গোটা দেশের মধ্যে বাংলা হবে বিজেপির বেস্ট পারফর্মিং রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে সব চেয়ে বেশি সাফল্য পাবে বিজেপি।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলায় লাগাতার খুন আর হামলার ঘটনা ঘটছে। ভোটের আগে বিজেপি কর্মীদের জেলে ভরে দেওয়া হচ্ছে। এই সব অত্যাচার সত্ত্বেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বেরিয়ে এসে নিজের ভোট নিজে দিচ্ছেন।” সাক্ষাৎকারে প্রত্যাশিতভাবেই ওঠে ওবিসিদের শংসাপত্র বাতিলের প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনিভাবে দেওয়া ওবিসি সংরক্ষণ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। তৃণমূল এখন উচ্চ আদালতকে আক্রমণ করছে। বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে খারাপ কথা বলছে।”

    আর পড়ুন: সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন বন্ধের নির্দেশ, সময় বেঁধে দিল হাইকোর্ট

    এদিন প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের লক্ষ্য ছিল কংগ্রেসও। তিনি বলেন, “ওদের একটা সুনির্দিষ্ট ছক রয়েছে। প্রথম পাপ ওরা করেছে অন্ধ্রপ্রদেশে। সেখানে মুসলমানদের সংরক্ষণ দেওয়ার পাপ করেছে। ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের কোনও বিধান নেই সংবিধানে। তাই সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। এবার ওরা পিছনের দরজা দিয়ে মুসলমানদের ওবিসির তালিকায় সংরক্ষণ দিতে চাইছে। কেড়ে নিতে চাইছে ওবিসিদের অধিকার।” নাম না করে ‘ইন্ডি’ জোটকেও আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “যাঁরা নতুন স্বপ্ন দেখে নতুন দৌড় শুরু করেছিলেন, তাঁদের কাছেও এটা শেষ দৌড়। কেবল নির্বাচনের নয়, ওদের অস্তিত্বেরই শেষ দৌড় (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বুকে-পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ধানখেতে বিজেপি কর্মীর দেহ, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বুকে-পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ধানখেতে বিজেপি কর্মীর দেহ, খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার পর পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা। ভোটের মুখে ফের বিজেপি (BJP) কর্মীকে খুনের অভিযোগ। ধানখেত থেকে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ। ঘটনার জেরে শনিবার পিংলা বিধানসভা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম শান্তনু ঘোড়াই। তাঁর বাড়ি পিংলার বাড়বাশী এলাকায়। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    বিজেপি করলে খুন করার হুমকি দেওয়া হত! (BJP)

    গত কয়েকদিন দলের নির্বাচনী প্রচারপর্বে এলাকায় দেওয়াল লিখন-সহ নানা কর্মসূচিতে তিনি অংশ নিয়েছেন। কিছুদিন আগেই বিজেপি (BJP) ছেড়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের তরফে তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার সকালে ধানখেত থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, শুক্রবার সন্ধ্যা অবধি বাড়ি ফেরেননি শান্তনু। এরপর খোঁজ খবর শুরু করে বাড়ির লোকেরা। রাত হয়ে গেলেও ফেরেননি বাড়ি। এরপর শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ খবর আসে মাঠে একটা দেহ পড়ে আছে। গিয়ে দেখেন শান্তনুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। বুকে, পেটে বিড়ির ছ্যাঁকা, ছাল উঠে গিয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। শান্তনুর বাবা বলেন, “বিজেপি করে বলেই ছেলেকে জীবন দিতে হল। বারবার বলা হতো বিজেপি করবে না। বিজেপি করলে মুশকিল আছে। মেরে দেওয়ার হুমকি দিত।”

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরের পর করিমপুরে মহুয়ার বাড়িতে হানা দিল সিবিআই

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির (BJP) সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘পিংলার বাড়বাশী এলাকায় শান্তনু ঘোড়াই আমাদের বিজেপির একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মী শান্তনুকে খুন করে ফেলে রেখে গেছে। ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এটা ২০১৯, ২০২১ নয়। মানুষ আন্দোলন করলে পালাবার পথ পাবে না তৃণমূল। খুনের রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে দেবের সভায় হাজার হাজার মানুষ দেখে এসব মৃতদেহকে হাতিয়ার করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলরের আবাস দুর্নীতির অভিযোগ

    Murshidabad: তৃণমূল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলেরই কাউন্সিলরের আবাস দুর্নীতির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধুলিয়ান পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূলেরই ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পারভেজ আলম ওরফে পুতুল। পুর এলাকার সমস্ত ওয়ার্ডের উপভোক্তাদের আবাস যোজনার টাকা প্রদান করা হলেও গোষ্ঠী কোন্দল এবং প্রতিহিংসার কারণে শুধুমাত্র ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু উপভোক্তাদের টাকা আটকে রেখেছেন খোদ চেয়ারম্যান। ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় দুর্নীতি ফের প্রকাশ্যে।

    সাংবাদিক সম্মলেন করে অভিযোগ (Murshidabad)

    তৃণমূল কাউন্সিলর এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ধুলিয়ান পুরসভা (Murshidabad) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। এদিন তিনি এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উপভোক্তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। কাউন্সিলর স্পষ্ট বলেন, “উপভোক্তরা টাকা পাওয়ার জন্য যে কয়েকজন অফিসারের স্বাক্ষর দরকার, তারা সবাই স্বাক্ষর করলেও প্রতিহিংসা করে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেননি। ফলে বকেয়া টাকা আটকে রয়েছে। চরম দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাতে হচ্ছে আবাস যোজনার উপভোক্তাদের।” এখানেই তিনি থেমে থাকেননি, বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে এবং চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশ্যে বিজেপিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ

    ধুলিয়ান পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের (Murshidabad) বঞ্চিত উপভোক্তাদের অভিযোগ, “দীর্ঘ দেড় বছর ধরে বাড়িতে খোলা অবস্থায় রয়েছেন। কেউ ভিত পর্যন্ত, কেউ আবার বাড়ির কিছুটা অংশ উঠিয়ে টাকা না পেয়ে বেকায়দায় পড়ে রয়েছেন। এই অবস্থায় আমাদের আর্থিক বরাদ্দের টাকা না দিলে আমাদের ঘরের কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না। আমাদের সঙ্গে প্রতিহিংসার রাজনীতি করা হচ্ছে।” উল্লেখ করা যেতে পারে, ধুলিয়ান পুরসভার কাউন্সিলর পারভেজ আলম পুতুল ২০২২ সালে কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করে পুরসভায় বিরোধী দলনেতা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মাস ছয়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে জেলা সভাপতির হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এরপর থেকে দলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়। 

    চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    এদিকে দলেরই কাউন্সিলর পারভেজ আলম পুতুলের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে ধুলিয়ান (Murshidabad) পুরসভার চেয়ারম্যান ইনজামুল ইসলাম বলেন, “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। ইতিমধ্যেই সমস্ত ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২৪ জন উপভোক্তাকে ব্যাঙ্কে টাকা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি সোমবারের মধ্যে বাকি আরও ১৫ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা প্রদান করা হবে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, “যারা টাকা পাওয়ার কথা, তাদের নাম না দিয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ওই কাউন্সিলর। আমরা সেটা বানচাল করে ন্যায্য প্রাপকদের দিয়েছি। এতেই ওই কাউন্সিলরের গাত্রজ্বালা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বিজেপির রাস্তা হাইজ্যাক করল তৃণমূল! তারপর কী হল জানেন?

    Balurghat: বিজেপির রাস্তা হাইজ্যাক করল তৃণমূল! তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্প হাইজ্যাক করার নজির তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক রয়েছে। এবার পুরসভা এলাকার সামান্য রাস্তাও হাইজ্যাক করার চেষ্টা করল তৃণমূল। যদিও বিরোধীদের বাধায় সেই পরিকল্পনা মাঝ পথেই ভেস্তে যায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    বিজেপির বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর বিধায়ক তহবিলের টাকায় রাস্তা তৈরি করছে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা। সেই রাস্তার কাজের সূচনাও করেছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, সেই রাস্তার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিধায়ককেই আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। এনিয়ে বালুরঘাট শহরে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। পুরসভার সূচনার পরে সেই একই রাস্তার উদ্বোধন করল বালুরঘাট টাউন বিজেপি নেতৃত্ব। আমন্ত্রণ না পেয়ে বিধায়কের নির্দেশে ফের মঙ্গলবার ওই রাস্তার কাজের সূচনা হয়। বিধায়কের নির্দেশে মঙ্গলবার ওই একই রাস্তার কাজের সূচনা করলেন বালুরঘাট টাউন বিজেপি সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত। এদিন ফিতে কেটে ও নারকেল ফাটিয়ে কাজের সূচনা করেন বিজেপি নেতা। বালুরঘাট শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিমপুর স্কুলপাড়া এলাকার রাস্তার ঘটনা।

    ফের বিজেপির উদ্যোগে রাস্তার শিলান্যাস করা হল

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিমপুর স্কুলপাড়া এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার এই ঢালাই রাস্তাটির জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। দিন পনেরো আগে এই রাস্তার সূচনা করে পুরসভা। ইট পাতা থেকে পাশের নর্দমার কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে বিধায়ক তহবিলে এই কাজ হলেও বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি শিলান্যাসের সময়। এই বিষয়ে বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর দত্ত বলেন, বিধায়ক তহবিল থেকে এই রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। কাজের অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে বিধায়ককে ডাকা হয়নি। তাই আমরা এদিন ফের রাস্তাটির শিলান্যাস করে ফের নতুন করে কাজ শুরু করি।

    তৃণমূলের বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    এই বিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তিনি আসেননি কেন তা জানি না। এখন ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    বিজেপি বিধায়কের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) বিধানসভার বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী বলেন, এই রাস্তার উদ্বোধনে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি, তার জন্য আমি খুব খুশি। তবে, রাস্তাটা যাতে ভালোভাবে হয় সেটা পুরসভা দেখলেই হল। পুরসভার চেয়ারম্যান আবার এই রাস্তাটির ব্যান্ড বাজিয়ে ধূমধাম করে উদ্বোধন করলে আমি আরও খুশি হব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: গ্রামের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যেতে তৃণমূল পঞ্চায়েতকে দিতে হচ্ছে টোল ট্যাক্স, ক্ষোভ

    Arambagh: গ্রামের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যেতে তৃণমূল পঞ্চায়েতকে দিতে হচ্ছে টোল ট্যাক্স, ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা পরিষদের রাস্তায় টোল আদায় করছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। আর সেই টোল নেওয়ার প্রতিবাদেই সরব হয়েছেন গাড়িচালক ও মালিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) তিরোল পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)  

    আরামবাগের (Arambagh) তিরোল পঞ্চায়েত এলাকায় শিয়ালি থেকে বাইশ মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬-৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে হুগলি জেলা পরিষদ। কিন্তু, হঠাৎ করেই সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল করার জন্য বসানো হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের টোল ট্যাক্স। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন যানবাহন। অভিযোগ, বালির ট্রাক্টর, ধানের গাড়ি সহ মাল বোঝাই গাড়ি থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা করে টোল ট্যাক্স। কিন্তু, এখানেই গাড়ি মালিক ও চালকদের আপত্তি। তাঁদের বক্তব্য, গাড়ির জন্য সরকারকে ট্যাক্স দেওয়ার পরেও আবার কেন ট্যাক্স দিতে হবে? তাছাড়াও জেলা পরিষদের রাস্তায় কেন পঞ্চায়েত তাদের ইচ্ছা মতো ট্যাক্স নেবে? সেই সব অভিযোগ তুলে তিরোল পঞ্চায়েতের মাদরা এলাকায় বেশ কয়েকবার এই টোল বসানোর পরে পঞ্চায়েতের ওই টোল কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যার জেরে ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন গাড়ির মালিকেরা। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত এই জোরজুলুম বন্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। যদিও পরে খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    তিরোল পঞ্চায়েতের প্রধান বিলকিস বেগম বলেন, ওই রাস্তা জেলা পরিষদের হলেও রক্ষণাবেক্ষণ করে পঞ্চায়েত। তাই ওই রাস্তা মেরামতের জন্য সমস্ত নিয়ম মেনেই টোল নেওয়া হচ্ছে। কোনও বেআইনি কাজ করা হচ্ছে না।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, জেলা পরিষদের রাস্তায় উপর টোল বসানোর কোনও আইন নেই। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা তোলা তোলার একটি কল। এটা কোনও পঞ্চায়েত টোল বসায়নি। এই টোল বসিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান। ব্যক্তিগতভাবে তোলা তোলার জন্য এসব করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপির পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর! পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বিজেপির পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর! পুলিশকে সময় বেঁধে দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত তাণ্ডব চালানোর ঘটনার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) পঞ্চায়েত অফিস পরিদর্শন করেন। তৃণমূলের হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করা হয়। সেখানে তৃণমূল এবং পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন বিরোধী দলনেতা।

    তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)  

    প্রতিবাদ সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)  বলেন,  সরকারি পঞ্চায়েত অফিস কীভাবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা ভেঙেছে তা আপনারা দেখেছেন। পুলিশ প্রশাসনের উদ্দেশে জানিয়েছেন, সোমনাথবাবু ও স্থানীয় তৃণমূল কর্মী জাকিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে থানার সামনে বিক্ষোভ হবে। গুন্ডাদের কীভাবে সোজা করতে হয় জানি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট দিয়ে তৃণমূলদের এই পঞ্চায়েত থেকে তাড়িয়েছেন। সোমনাথ একটা ডাকাত কুড়ি কোটি টাকা তুলেছে চাকরি দেওয়ার নাম করে। ভারত সরকারের ব্যাঙ্কে কোটি কোটি টাকা অনাদায়ী হয়ে রয়েছে সবই জানা। এখানকার তৃণমূলীদের বলছি, জনগণের পঞ্চায়েত গড়ে তুলুন। প্রধান-উপপ্রধানদের সাহায্য করুন মানুষের সেবার জন্য। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, এই পঞ্চায়েতকে যারা কালিমালিপ্ত করল গঙ্গাজল ছিটিয়ে পবিত্র করে পুনরায় পঞ্চায়েতের কাজকর্ম শুরু করুন।

    পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তমলুক থানাকে বলছি তিনদিনের মধ্যে সোমনাথ, জাকিরের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয় বিক্ষোভ হবে। কীভাবে এই গুন্ডাদের জব্দ করতে হয় তা আমরা জানি। ভাঙচুরের বিরুদ্ধে লঘু ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  পঞ্চায়েত অফিসের চেয়ার, টেবিল ভাঙচুরের ছবি তোলা হয়েছে।  পুলিশ একটা জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর করেছে। সরকারি অফিস চলাকালীন ভাঙচুর করলে কী ধারা যোগ করতে হয় মমতা পুলিশ না জানলেও  সিআরপিসি , আইপিসিতে সেই বিষয়ে লেখা রয়েছে। প্রয়োজনে ধারা যোগ করার জন্য আদালতে যাব।

    তৃণমূলের সভা থেকে পঞ্চায়েত অফিসে হামলা!

    প্রসঙ্গত, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক ব্লকের উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখল থেকে বিজেপির দখলে এনেছেন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। তাই ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার, এই ইস্যু তুলে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। ওই প্রতিবাদ সভায় জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক ও এলাকার তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা সোমনাথ বেরা উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূল নেতার উস্কানিমূলক বক্তব্যের পর প্রায় ২০০ জন কর্মী ওই অঞ্চলের বিরোধী দলনেতা জাকির হোসেনের নেতৃত্বে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে হামলা চালায়। অঞ্চল অফিসের চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়। তাণ্ডবে এলাকার পাশের দোকানদাররা পর্যন্ত দোকান বন্ধ করে দিয়ে ছুটে পালান। উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিতরে সরকারি কর্মীরা কাজ করছিলেন। সেই সময় শাসক দলের কর্মীদের আক্রমণে তাঁরাও হেনস্তার শিকার। মঙ্গলবার রাত তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: সভা থেকেই তৃণমূল নেতার উস্কানি! বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙচুর

    Tamluk: সভা থেকেই তৃণমূল নেতার উস্কানি! বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের সভা। আর সেই সভা থেকেই বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের (Tamluk) উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। সেখানে ঢুকে হামলা এবং ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল শতাধিক তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tamluk)

    মঙ্গলবার তমলুক (Tamluk) ব্লকের উত্তর সোনামুই অঞ্চল অফিসের ঠিক উল্টো দিকে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা প্রমুখ। সোমনাথবাবু বক্তব্য শেষ হওয়ার মুখেই সভাস্থলে থাকা মহিলা এবং পুরুষ নির্বিশেষে দলে দলে ছুটে যান বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসের দিকে। ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। চলে পঞ্চায়েত অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর। পঞ্চায়েত অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

    গন্ডগোল, ভাঙচুরের সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শক, সরব বিজেপি

    পুরো ঘটনার পিছনে তৃণমূলের উস্কানিকেই দায়ী করেছেন বিজেপির তমলুক (Tamluk) সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। এবার তাদের হারিয়ে পঞ্চায়েতের দখল বিজেপির হাতে গিয়েছে। তারই শোধ তুলতে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতে হামলা চালানোর জন্য। তৃণমূলের সভাস্থল থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। গন্ডগোল, ভাঙচুরের সময় তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। মঙ্গলবার রাতেই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’ এই ঘটনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামার ডাক দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার টাকা চক্রান্ত করে আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার জন্য দায়ী এই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই। এলাকার মানুষ নিজেদের দাবি আদায়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! বাস অফিসে তালা, আতঙ্কিত বাস মালিকরা

    Howrah: তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! বাস অফিসে তালা, আতঙ্কিত বাস মালিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! আর তার জেরে বাস সিন্ডিকেটের অফিসে তালা ঝোলানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) সিইএসসি অফিসের পাশে ফায়ার সার্ভিস বাসস্ট্যান্ডে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    হাওড়ার (Howrah) ফায়ার সার্ভিস বাসস্ট্যান্ড থেকে দীর্ঘদিন ধরেই জেএনএনইউআরএম প্রকল্পের আওতায় থাকা ২৪এ রুটের ৩৭টি বাস চলে। কয়েকটি দূরপাল্লার বাসও চালানো হয়। হাওড়া পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা তৃণমূল নেতা মহম্মদ রুস্তম এবং তাঁর দলবল জোর করে স্ট্যান্ডের সিন্ডিকেট রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন। অভিযোগ, মহম্মদ রুস্তম নামে তৃণমূলের ওই প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির লোকজন নিয়মিত বাসস্ট্যান্ডে লাক্সারি বাস রাখতে দিয়ে তোলাবাজি করতেন। সম্প্রতি তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুষ্কৃতী নিয়ে এসে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে গোলাবাড়ি থানা।

    বাস মালিক সংগঠনের কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    বাসস্ট্যান্ডের বাসমালিকদের সংগঠন, ‘২৪এ/১ বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সম্পাদক মহম্মদ রিয়াজুদ্দিন বলেন, তৃণমূলের ওই নেতা সমাজবিরোধীদের এনে স্ট্যান্ডটি দখল করতে চাইছেন। আমাদের খুনের হুমকিও দিয়েছেন। কোনও টেন্ডার তিনি পাননি। ওই বাসস্ট্যান্ডে রাতে লাক্সারি বাস রাখতে দেওয়া পরিবর্তে ১৫০০ টাকা করে নেওয়া হত। তৃণমূল নেতার লোকজন তা করত। পুলিশ তা বন্ধ করে দেওয়ার পরেই আমাদের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর থেকে বাসকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন। নিরাপত্তা চেয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাসমালিকদের আরও অভিযোগ, রাত হলেও ওই স্ট্যান্ডে নানা ধরনের অসামাজিক কাজ শুরু হয়।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    এ দিকে তৃণমূল নেতা মহম্মদ রুস্তম বলেন, বাসমালিকেরা বেআইনিভাবে স্ট্যান্ডে বাস রাখছেন। ওখানে বাস রাখার অনুমতি নেই। ওটা হাওড়া (Howrah) পুরসভার জায়গা। ওরা সেটাই করত। তাই তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।

    হাওড়া পুর কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    হাওড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন সুজয় চক্রবর্তী বলেন, বাসস্ট্যান্ডটি হাওড়া পুরসভার জমির উপরে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। পুরসভার জমি হলে ওই তালা খোলানোর ব্যবস্থা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূর-দূরান্ত থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি (Paddy Procurement) করতে এসে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হলেন চাষিরা। প্রথমত, সার্ভার সমস্যায় হল না ধানের বিক্রি। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ধান বিক্রি করতে প্রতি কুইন্টালে দিতে হচ্ছে ৫ কেজি ‘ধলতা’। অর্থাৎ এক কুইন্টাল ধান বিক্রির জন্য দিতে হচ্ছে ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান। চাষিদের অভিযোগ, এটা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। এটা দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাষিরা। প্রতিবাদে ধান রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। কারণ, তৃণমূলকে কাটমানি দেওয়ার জন্যই ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি চাষিদের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান চাষ করেন চাষিরা। সেই ধান বিক্রির উপর নির্ভর করেই চলে তাঁদের সারাটা বছর। এবার সেই ধান সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন তাঁরা। মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা জনিত কারণে সারাদিন বসে থেকেও বিক্রি হল না ধান। প্রশ্নের মুখে মিলারদের (রাইস মিল) ভূমিকাও।

    চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন (Paddy Procurement)

    মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটল এলাকায় সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রের সামনে ওই বিক্ষোভ হয়। চাষিদের অভিযোগ, তাঁরা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন ধান বিক্রির জন্য। ধান নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট খরচও হয়েছে। এই ধান বিক্রির (Paddy Procurement) অর্থের ওপর নির্ভর করে তাঁরা পরবর্তী চাষের খরচ জোগাবেন। কিন্তু সকাল থেকে বসে থেকেও তাঁরা বিক্রি করতে পারছেন না ধান। কারণ ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রের ম্যানেজার জানাচ্ছেন, মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা রয়েছে। যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হন চাষিরা। যদিও জানা গেছে পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে। চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে যে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের। অর্থাৎ ওই সরকারি কেন্দ্রে ধান ক্রয় করছেন যে রাইস মিল মালিকরা, তাঁরাই এই ধলতা নিচ্ছেন। কিন্তু প্রতি কুইন্টালে এই অতিরিক্ত পাঁচ কেজি ধান দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। এতে আধিকারিকদেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা।

    তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য?

    এদিকে ৫ কেজি ধান তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য, খাদ্য-দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা বিজেপির। পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতারা এখান থেকেও কাটমানি নেয়। তাই ৫ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হচ্ছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও খোঁচা। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, চাষিদের কথা মমতা ব্যানার্জির সরকার ভাবে। তাই ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র (Paddy Procurement) করা হয়েছে। সমস্যা হলে সেটা তাঁরা মিল মালিকদের বলবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share