Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে সরকারি জমি দখল করে তৃণমূল নেতার ভেড়ি, দখল নিল প্রশাসন

    Siliguri: শিলিগুড়িতে সরকারি জমি দখল করে তৃণমূল নেতার ভেড়ি, দখল নিল প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবাশিস প্রামাণিকের পর এবার কি রঞ্জন শীলশর্মার পালা? সরকারি জমি দখল ও জমির অবৈধ কারবারের অভিযোগে ফুলবাড়ির বেতাজ বাদশা,সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিক সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দখল হয়ে যাওয়া সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে  ঝাঁপিয়ে পড়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। সেই অভিযানে মঙ্গলবার গজলডোবায় ঝুলন্ত সেতুর পাশে আট বিঘা জমি দখলমুক্ত করে সরকারি সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়। এই জমি শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর রঞ্জন শীল শর্মা দখল করেছিলেন। সেখানে ভেরি তৈরি করেছিলেন তিনি। একটি ঘরও ছিল। সেখানে নিয়মিত দলের নেতারা আসতেন। সেই জমি প্রশাসন দখল করে নেওয়ায় তাতে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, এবার কি তাহলে রঞ্জন শীলশর্মার গ্রেফতার হওয়ার পালা?

    কেন পদক্ষেপ? (Siliguri)

    লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরপরই মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখল ও জমি মাফিয়ারাজের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। জমির অবৈধ কারবার বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে। তাহলে এতদিন কেন নীরব ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী? এই প্রশ্নে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৪৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৪৬ টি ওয়ার্ডেই বিজেপির থেকে তৃণমূল অনেকটা পিছিয়ে। মেয়র সহ তৃণমূল কাউন্সিলরদের ওয়ার্ডেও একচেটিয়া ভোট পেয়ে বিজেপি বড় লিড নিয়েছে। বাদ নেই এই নেতার ওয়ার্ডও। এটা মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে পারেননি। তাই, এলাকার শীর্ষ নেতা ও কাউন্সিলরদের অবৈধ কারবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে সকলকে বার্তা  দিতে চাইছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

     কে এই রঞ্জন শীলশর্মা?

    জানা গিয়েছে, রঞ্জন শীলশর্মা শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর। পেশায় তিনি প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক। এলাকায় তাঁর বিশাল প্রভাব-প্রতিপত্তি। একবার দলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে জমির অবৈধ কারবার করা ও মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু, তাতে রঞ্জনের কোনও সমস্যা হয়নি। বরাবরই তিনি ডাকাবুকো নেতা হিসেবে পরিচিত। গৌতম দেবের বিরুদ্ধে পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর হয়েও তিনি বারবার সরব হয়েছেন। তিনি সব সময় নিজের সিদ্ধান্তেই চলেন। প্রকাশ্যে দলের মেয়রের সমালোচনা করতে তাঁর গলা কাপে না। তাই সরকারি জমি প্রশাসন ফিরিয়ে পরও তিনি নির্বিকার। তিনি শুধু বলেন, সরকারের জমি সরকার নিয়েছে।

     আতঙ্কে তৃণমূলের অন্য কাউন্সিলররা

    জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনে তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়কে তিনি এগিয়ে রাখতে পারেননি। লোকসভা নির্বাচনে এই ব্যর্থতাকে হাতিয়ার করে এবার বিতর্কিত রঞ্জন শীলশর্মাকেও কি কোনও কোনও তৃণমূল নেতার স্বার্থে ছেটে ফেলা হবে? এ প্রশ্ন দলের অন্দরে। আর এই প্রশ্নেই শিলিগুড়ি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা এখন রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন। কেননা এবারের লোকসভা নির্বাচনে অধিকাংশ কাউন্সিলরই তৃণমূল প্রার্থীকে লিড দিতে পারেননি। আর অনেকের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনৈতিক কাজের অভিযোগও রয়েছে। ফলে, কার ওপর এবার রোষ পড়ে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে সকলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: সালিশি সভার আগে তৃণমূল নেতার সামনে পিটিয়ে খুন, শোরগোল

    Balurghat: সালিশি সভার আগে তৃণমূল নেতার সামনে পিটিয়ে খুন, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের রেশ এখনও কাটতে না কাটতেই আবার সালিশি সভার আগেই একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আর সেটা হয়েছে খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের সামনেই। চা়ঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের (Balurghat) কুমারগঞ্জ থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম জটু বর্মন(৫৪)। তাঁর বাড়ি কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবত্ত গ্রামে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। 

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। জোটুবাবু তাঁর দাদার জমির ওপর দিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে গিয়েছিলেন। কেন তাঁর জমির ওপর দিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে যাবেন? এনিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে একদফা বচসা হয়। রাতে সেই বচসা বড় আকার ধারণ করে। এনিয়ে গ্রামে সালিশি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য  জব্বার আলি মণ্ডল হাজির হন। সালিশি সভা শুরুর আগেই ফের সেই প্রসঙ্গ ওঠে। এরপরই জটুবাবুকে মারধর করা হয়। গোটা ঘটনাটিই ঘটে পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে। অভিযোগ, দাদা কালীপদ বর্মন ও তাঁর স্ত্রী দীপালি ও তাঁর দুই ছেলে মিলে জটুবাবুকে বেধড়ক মারধর করে। শাবল দিয়ে মারা হয় তাঁর বুকে ও পায়ে। বাম পা ভেঙে যায় তাঁর। বুকেও আঘাত লাগে। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। জটুবাবুকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে কুমারগঞ্জ, পরে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আরও পড়ুন: গণপিটুনির নায়ক তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিং, জুয়া-সাট্টা, মধুচক্র কোনটায় নেই তিনি!

    মৃতের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    জটুবাবুর ছেলে সনাতন বর্মন বলেন, ‘জ্যাঠার ফাঁকা জমির ওপর দিয়ে ট্র্যাক্টর নিয়ে যাওয়ার জন্যই বাবাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। জমিতে কোনও ফসল থাকলে আলাদা ব্যাপার ছিল।  ঝগড়ার পর বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে শাবল দিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় তৃণমূলের (Trinamool Congress) গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করব। ওদের দৃষ্টান্তমূল্য শাস্তির দাবি করছি।’

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এবিষয়ে তৃণমূলের (Trinamool Congress) জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ঘটনাটি সত্যি। এরমধ্যে কোনও রাজনৈতিক রং নেই। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মীমাংসা করার জন্য গিয়েছিলেন। পারিবারিক গন্ডগোল। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, এইটা দুঃখজনক ঘটনা। এই সালিশি সভার নাম করে ডেকে তাঁকে খুন করা হয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হোক। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর সামনে খুন হয়েছে। এইটা তদন্ত সাপেক্ষ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: “দুর্নীতির জন্য বহু ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে”, কামারহাটি নিয়ে বিস্ফোরক মদন

    Madan Mitra: “দুর্নীতির জন্য বহু ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে”, কামারহাটি নিয়ে বিস্ফোরক মদন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দলের দখলে থাকা কামারহাটি পুরসভার বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। বেহাল পুর পরিষেবা নিয়ে পুরসভাকেই কাঠগ়়ড়ায় দাঁড় করালেন তিনি। একইসঙ্গে দুর্নীতি নিয়েও তিনি সরব হয়েছে। আর এভাবে প্রকাশ্যে শাসক দলের দখলে থাকা পুরসভার বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।  

    ঠিক কী বলেছেন মদন? (Madan Mitra)

    কামারহাটি পুরসভার পরিষেবা নিয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, “সারা কামারহাটিতে চলাফেরার আর জায়গা নেই। আবর্জনায় ভরে গিয়েছে। পুকুর বুজিয়ে বাড়ি হচ্ছে। অবৈধ বহুতল হচ্ছে। রোজ অভিযোগ আসছে। এ আর পোষাচ্ছে না।” দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শুধু চেয়ারম্যানের ওয়ার্ড নয়, কামারহাটি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কম ভোট পেয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ খোলেন মদন। তিনি বলেন, “কয়েকটি ওয়ার্ডে বেশি ভোট না পেলে কামারহাটি পুরসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় পিছিয়ে পড়তেন। আর এরজন্য দায়ী কামারহাটিতে ব্যাপক দুর্নীতি। এই দুর্নীতির জন্য বহু ওয়ার্ডে তৃণমূল পিছিয়ে রয়েছে। প্রধানত দুটি অভিযোগ উঠে আসছে। পুকুর বুজিয়ে বাড়ি। আর চারতলা বাড়ির অনুমোদন করিয়ে ৬ তলা বাড়ি হচ্ছে। রোজ অভিযোগ আসছে।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যের থেকে কেড়ে নেওয়া হোক পুলিশের দায়িত্ব, বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর

    কামারহাটির পুর চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কামারহাটির (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, “বাড়ি বাড়ি আবর্জনা সংগ্রহের জন্য কর্মী রয়েছেন। গাড়ি রয়েছে। ফলে, আবর্জনা জমার কথা নয়। কিন্তু, বিধায়ক যখন বলেছেন কাউন্সিলরদের সঙ্গে এই বিষয়ে আমি ফের কথা বলব।” পুকুর বুজিয়ে বাড়ির প্রসঙ্গে পুর চেয়ারম্যান বলেন, “বোর্ড প্ল্যান ছাড়া বাড়ি হচ্ছে, আমার বিধায়ক জানেন। পুরসভার (Kamarhati) তরফেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”

    সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, “আসলে ভাগ ঠিকমতো হচ্ছে না বলে দুর্নীতির কথা বলছেন। পুর (Kamarhati) এলাকায় যারা দুর্নীতি করে তারা কার লোক খোঁজ নিলেই জানা যাবে। এসব বলে কোনও লাভ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chopra Incident: জেলে রয়েছে দাদা, ভিডিও করা নিয়ে চোপড়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে জেসিবি-র ভাই

    Chopra Incident: জেলে রয়েছে দাদা, ভিডিও করা নিয়ে চোপড়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে জেসিবি-র ভাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ড (Chopra Incident) নিয়ে রাজ্যে তোলপাড় চলছে। এরই মাঝে চোপড়া নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। তৃণমূল নেতা জেসিবি-র হামলা চালানোর ভিডিও কে তুলেছে তা সন্দেহ করে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে ধৃত তৃণমূল নেতা তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবির ভাই গির আলম ও তার শাগরেদরা। গির আলমের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকা ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Chopra Incident)

    চোপড়াকাণ্ডে (Chopra Incident) মূল অভিযুক্ত জেসিবি এখন জেলে রয়েছে। জানা গিয়েছে, জেসিবি-র ভাই গির আলম ও তার শাগরেদরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ। কে বা কারা ভিডিও করেছেন, এমন সন্দেহ করে অনেকের বাড়ি ঘরে ইতিমধ্যে ভাঙচুরও চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী অনেকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ভয়ে কুঁকড়ে রয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। অপরাধীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন আক্রান্ত যুবকের মা। ভয়ে জেসিবির বিরুদ্ধে মুখ খুলছে না। ছেলেকে মারধরের তিনি শাস্তিও চাইছেন না। তিনি বলেন, “যে ভিডিওটা করেছে, তার আমি শাস্তি চাই। ভাইরাল করে আমার ধর্মটা নষ্ট করেছে। আর আমার ছেলেকে কে মেরেছেন তাঁকে আমি চিনি না। যে ভাইরাল করেছে, তাকেই আমি চাই।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যের থেকে কেড়ে নেওয়া হোক পুলিশের দায়িত্ব, বাংলায় ৩৫৫ ধারা জারির দাবি শুভেন্দুর

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    প্রসঙ্গত, রবিবার দুপুরেই প্রকাশ্যে আসে চোপড়ার ভিডিও। তাতেই জানা যায় এই জেসিবির (Trinamool Congress) কুকীর্তির কথা। মূল অভিযুক্ত জেসিবি গ্রেফতার হতেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক অভিযোগ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে এক সিপিএম নেতাকে গুলি করে খুনেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটেছে। থানাতেও ওর বিরুদ্ধে একাধিক কেস রয়েছে। ওদের ভয়ে কেউ ওই রাস্তা দিয়ে যেতে পারত না। গোটা এলাকায় এমন ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে, যে একজন মানুষও কথা বলতে না পারে। ওরা (Trinamool Congress) কয়েকজন সন্দেহ করেছে, যারা ভিডিও ভাইরাল করেছে, তাদের বাড়িতে ভাঙচুর করেছে। ওর ভাইসহ ওদের একটা গ্যাং আছে, তারা এই সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: তৃণমূল নেতার হাতে হেনস্থা অভিনেত্রী-কাউন্সিলর শ্রীতমা, কামারহাটিতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Kamarhati: তৃণমূল নেতার হাতে হেনস্থা অভিনেত্রী-কাউন্সিলর শ্রীতমা, কামারহাটিতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিনেত্রী তথা তৃণমূল কাউন্সিলরকে প্রকাশ্যে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল দলেরই এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চা়ঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কাউন্সিলরের নাম শ্রীতমা ভট্টাচার্য। আর অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC Conflict) নেতার নাম অমিত সাহা। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটি পুরসভার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের (Kamarhati)  শ্রীপল্লি কমিটির উদ্যোগে সরকারি জমি বেহাত হয়ে যাচ্ছে বলে কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। সেই অভিযোগ পেয়ে কাউন্সিলর শ্রীতমা ভট্টাচার্য সরজমিনে খতিয়ে দেখতে যান। অভিযোগ, শ্রীপল্লি কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা অমিত সাহা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনেই দলীয় কাউন্সিলরকে হেনস্থা করেন। কাউন্সিলর শ্রীতমা ভট্টাচার্য বলেন, সরকারি জমি দখল হওয়ার অভিযোগ পেয়ে তা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম। জমি বেহাত হওয়া নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আমাকে অমিত সাহা অশ্রাব্যভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করেন। বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রকে জানিয়েছি। বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এর সুবিচার চাই।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    সরব তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র

    তৃণমূল বিধায়ক (Kamarhati) মদন মিত্র বলেন, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা বলে মহিলা কাউন্সিলরের সঙ্গে যা খুশি করবে তা হতে পারে না। দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। কারণ, কাউন্সিলর সেখানে একটি বিষয়ে জানতে গিয়েছিল। শ্রীপল্লি কমিটির সভাপতি হিসেবে তাঁর সহযোগিতা করার কথা ছিল। কিন্তু, সেটা না করেই সকলের সামনেই মহিলা কাউন্সিলরকে হেনস্থা করা হয়েছে। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দলের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় দেখি। আর প্রশাসনগতভাবেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কারণ, এই ধরনের ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য। আশা রাখব, দলের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    জানা গিয়েছে, এক সময় এই অমিত সাহা এই তৃণমূল (TMC Conflict) কাউন্সিলরের ইলেকশন এজেন্ট ছিলেন। তারপর এই ঘটনায় দলের কর্মীরাও হতবাক। তৃণমূল নেতা অমিত সাহা বলেন, রাতের দিকে মহিলা কাউন্সিলরের ক্লাবের মধ্যে আসা ঠিক হয়নি। কারণ, সেখান পাঁচরকম ছেলে থাকে। আর কাউন্সিলরের সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করা হয়নি। আমি শ্রীপল্লি কমিটির বিষয়ে নাক গলাতে নিষেধ করেছি। এখন এই বিষয়টি নিয়ে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের পার্টি অফিসে হাজিরা দেননি বিজেপি কর্মীরা, বন্ধ করা হল রেশন, আরামবাগে শোরগোল

    Arambagh: তৃণমূলের পার্টি অফিসে হাজিরা দেননি বিজেপি কর্মীরা, বন্ধ করা হল রেশন, আরামবাগে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই বিজেপি করার অপরাধে বেশ কয়েকজন কর্মীর রেশন বন্ধ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটি ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। ইতিমধ্যে বঞ্চিত বিজেপি কর্মীরা মহকুমা শাসকের কাছে দরবার করেছেন।

    কেন বন্ধ করা হল রেশন? (Arambagh)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এলাকার তৃণমূলের নেতারা দাদাগিরি ফলাচ্ছেন। বিজেপি কর্মী পলাশ ঘোষ, রেনুপদ ধক ও ধীরেন ধককে তৃণমূলের দলীয় অফিসে ডাকা হয়। তাঁরা সেখানে না যাওয়ায় তাঁদের রেশন একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও অভিযোগ, বাড়ির মহিলারা রেশন আনতে গেলে তাঁদেরকে লাইন থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে ওই পরিবারগুলি। বাড়ির বাইরে গেলে তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও অভিযোগ। এই বিষয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আরামবাগ মহকুমা (Arambagh) শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন আরামবাগের মহকুমা শাসক সুভাষিনী ই। তিনি ওই ব্যক্তিদের বাড়িতে তাঁদের রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথাও জানান।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    রেশন ডিলার কী বললেন?

    রেশন ডিলার গোপাল কোলের অবশ্য দাবি, “তৃণমূলের (Trinamool Congress) নির্দেশে ২০-২৩ জনের রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের আবার রেশন দেওয়া হয়। কিন্তু কোনওভাবে এই তিনজন রেশন থেকে বঞ্চিত থেকে গিয়েছে। তাঁরা দোকানে এলেই তাঁদের রেশন দিয়ে দেওয়া হবে।” যদিও এই ঘটনার পর থেকে ওই রেশন ডিলারকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে। তাঁকে নাকি গ্রাম ছাড়া করা হবে বলেই নিদান দেন তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। এই ঘটনায় ওই রেশন ডিলার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানান।

    তৃণমূলের প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    গৌরহাটি-১ নম্বর পঞ্চায়েত প্রধান (Trinamool Congress) জ্যোৎস্নারা খাতুনও  বলেন, “রেশন বন্ধের বিষয়ে আমার কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। ঘটনাটা যদি সত্যি হয় আমি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের দল দেখে দেওয়া হয় না। এই সুবিধা সকলের প্রাপ্য।” তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী দলীয়ভাবে রেশন বন্ধের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: লাঠি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী-বিডিওকে তাড়া করলেন মহিলারা, মালদায় শোরগোল

    Malda: লাঠি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী-বিডিওকে তাড়া করলেন মহিলারা, মালদায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল সরকারের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমুল  হোসেন। লাঠি উঁচিয়ে তাঁকে তাড়া করলেন গ্রামের মহিলারা। নিজেকে বাঁচাতে নৌকায় উঠে পড়তে হয় মন্ত্রীকে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের রশিদপুর গ্রামে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ত্রাণ নেই, ক্ষোভ উগরে দিলেন গ্রামবাসীরা (Malda)

    ভাঙন-কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিডিও (Malda) তাপসকুমার পালসহ অন্য প্রশাসনিক কর্তারা। মন্ত্রীসহ প্রশাসনিক কর্তাদের ক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, ফুলহার নদীতে গত কয়েকদিনে জলস্তর অনেকটাই বেড়েছে। যার ফলে এলাকা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে গ্রামের কয়েকটি বাড়ি, দোকান ভেসে গিয়েছে। কিন্তু, সরকারের কোনও হেলদোল নেই। প্রশাসনিক আধিকারিকদের কেউই গ্রামে আসেননি। ত্রাণেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। এই অভিযোগ তুলেই মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। রীতিমতো লাঠি নিয়ে মন্ত্রী ও বিডিওকে তাড়া করতে দেখা যায়। নিজেকে বাঁচাতে নৌকায় উঠে পড়তে হয় মন্ত্রীকে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় রশিদপুরে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    মন্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    মন্ত্রী তাজমুল হোসেন (Trinamool Congress) বলেন, ‘রশিদপুর গ্রামের খুবই খারাপ অবস্থা। সেচ দফতর কিছু কাজ করেছে। কিন্তু, আরও কাজ বাকি আছে। সেচ দফতরকে বলব, বাকি কাজ শেষ করতে। আমি নিজেও সেচমন্ত্রীকে যা বলার বলব।’ গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন বিডিও তাপসকুমার পালও। তিনি বলেন, ‘গ্রামবাসীদের ক্ষোভের কথা শুনলাম। কী করা যায়, তা ওপর মহলের সঙ্গে কথা বলে করতে হবে।’এ-বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রী তাজমুল হোসেন আরও বলেন, “এই কেন্দ্র থেকে জিতেছেন খগেন মুর্মু। এই বিক্ষোভ তাঁকে ঘিরে দেখানো উচিত। ভাঙন রোধের কাজে কেন্দ্র ও তাদের জনপ্রতিনিধি জেলার জন্য, মানুষের জন্য কিছুই করেন না। রাজ্য যেটুকু পারছে, সাধারণ মানুষের জন্য করছে।”

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    মন্ত্রীকে (Trinamool Congress) পালটা কটাক্ষ করেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা আমি করেছি। ভাঙন রোধের অর্থ চেয়ে রাজ্য সরকার চিঠি দিক। কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্যই সাহায্য করবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: হুগলিতে বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Hooghly: হুগলিতে বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে লোহার রড, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) ধনেখালিতে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম বিজেপি কর্মীর নাম সমীরণ মুর্মু। তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন হামলা? (Hooghly)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটে এলাকায় দলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন বিজেপির এস টি মোর্চার কর্মী সমীরণ মুর্মু। ভোটের ফল বের হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের লোকজন তাঁকে হুমকি দিত বলে অভিযোগ। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ধনেখালির (Hooghly) কানা নদী এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী তাঁর ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। রাস্তায় ফেলে লাঠি, লোহার রড, বাঁশ দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আক্রান্তের চিৎকারে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। দলীয় কর্মীরা খবর পেয়েই ওই বিজেপি কর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে একটি দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যান। খবর দেওয়া হয় ধনেখালি থানায়। বিজেপি কর্মীর মা সরমা মুর্মুর বলেন, “আমার ছেলে বিজেপি করে বলেই মারধর করেছে তৃণমূলের লোকজন। ওর সঙ্গে ব্যক্তিগত কারও কোনও শত্রুতা নেই। আমাকে তো সব কথা বলে না। তবে, ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকে ওকে আতঙ্কে থাকতে দেখেছি। এভাবে ছেলেকে তৃণমূলের লোকজন মারবে ভাবতে পারিনি। ওদের শাস্তি চাই।” ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। আক্রান্তের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চুঁচুড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে গণপিটুনি, মৃত্যু আরও ১ যুবকের! রাজ্যে ৩ দিনে মৃত ৫

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতারা বলেন, সমীরণ বিজেপির সক্রিয় কর্মী। যারজন্য তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। দলের তরফ থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল নেতারা বলেন, “পাড়ার সমস্যা। এর মধ্যে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে নির্যাতিতার কাছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, সিবিআই তদন্তের দাবি অগ্নিমিত্রার

    Cooch Behar: কোচবিহারে নির্যাতিতার কাছে বিজেপির প্রতিনিধি দল, সিবিআই তদন্তের দাবি অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারের মাথাভাঙা-২ ব্লকে বিজেপির সংখ্যালঘু নেত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ওই নেত্রী এখন কোচবিহারের (Cooch Behar) এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। শনিবার তাঁকে দেখতে কোচবিহারে  যান বিজেপি বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। শাসকদল এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

    সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন অগ্নিমিত্রা (Cooch Behar)

    এদিন দুপুরে অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল কোচবিহারে (Cooch Behar) আসেন। নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশ লাইন চৌপথিতে পথ অবরোধ করে বিজেপি। মিনিট ১৫ অবরোধ করার পর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ডেপুটেশন দেয় বিজেপির মহিলা মোর্চা। এরপর বিজেপির কোচবিহার জেলা কার্যালয়ে যান অগ্নিমিত্রা। নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরপর অগ্নিমিত্রা পল বলেন,”বাংলার মা, বাংলার মেয়ে হয়ে এটা আমাদের কাছে লজ্জার। একজন সংখ্যালঘু এক বোনের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা বলার কোনও ভাষা নেই।আমাদের মহিলা মোর্চা-সহ বেশ কয়েক জন নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলাম। এই ঘটনায় পুলিশের ওপর আস্থা নেই। তাই, আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এদিকে এদিন নির্যাতিতা বলেন, বাড়ি ফিরতে চাইছি। আতঙ্কে ফিরতে পারছি না।

    আরও পড়ুন: মালদায় জাল এসসি সার্টিফিকেট দিয়ে সরকারি চাকরি! প্রশাসনের কাছে নালিশ

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার (Cooch Behar) বাবা দীর্ঘ দিনের বিজেপি কর্মী। নির্যাতিতা নিজে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা কমিটির সদস্যা। অভিযোগ, তিনি মাঠে ছাগল চড়াতে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে গালিগালাজ করে মারধর করেন কয়েকজন মহিলা। এমনকী, তাঁকে বিবস্ত্র করেও পেটানো হয়। এনিয়ে ঘোকসাডাঙা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পুলিশি তদন্ত চলছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন,”ওরা সব সময় কেন্দ্রীয় এজেন্সির (CBI) দ্বারস্থ হন। এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। ইতিমধ্যে চারজন গ্রেফতার হয়েছে। তার মধ্যে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও রয়েছেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তির দাবি তুলছি আমরা। কিন্তু, বিজেপি শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য এসব করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খড়দায় আদিবাসী পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর

    Khardah: খড়দায় আদিবাসী পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের জমি দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কুলীনপাড়া এলাকায়। দাদাগিরি দেখিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরের এই জমি দখলের ঘটনায় আদিবাসী পরিবারের লোকজন রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁরা ইতিমধ্যে পুর কর্তৃপক্ষের কাছে দরবার করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Khardah)

    জানা গিয়েছে, ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কুলীনপাড়া (Khardah) এলাকায় বহু আদিবাসী পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন। আদিবাসী পরিবারের সদস্যরা বলেন, আমরা এই জমিতে প্রায় ১০০ বছর ধরে বসবাস করছি। জমির কাগজপত্র নেই বলে আমরা কাউন্সিলরের কাছে দরবার করেছিলাম। আমাদের নামে কাগজ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১৫০০ টাকা করে চেয়েছিলেন। সেই টাকা আমরা দিয়েছিলাম। কিন্তু, সেই কাগজ আমরা কেউ পাইনি। আমাদের টাকাও কাউন্সিলর ফেরত দেননি। এখন আমাদের জমিতে কাউন্সিলরের নজর পড়েছে। কোনও আলাপ-আলোচনা না করেই কাউন্সিলর আমাদের জমি দখল করার পরিকল্পনা করে। এই এলাকায় নোংরা ফেলার জন্য আমাদের জমি হাতানোর চেষ্টা করে কাউন্সিলর। এমনিতেই আমরা সামান্য জমিতে বসবাস করছি। তার ওপর যদিও কিছুটা জায়গা কাউন্সিলর দখল করে নেয়, তাহলে আমরা হাঁটাচলা করতে পারব না। বিষয়টি আমরা কাউন্সিলরকে বলার পরও কোনও কর্ণপাত করেননি। এরপর খড়দা থানায় জানাই। একইসঙ্গে আমরা চেয়ারম্যানকে জানাই। তিনি জমি দখল করা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তৃণমূল কাউন্সিলর স্বরাজ দাস বলেন, জোর করে কোনও কিছু করা হয়নি। ওদের জানিয়ে সব কাজ করেছিলাম। আর টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে এসব করে আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

    আরও পড়ুন: বিজেপির বুথ এজেন্টের ওপর হামলা, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পুর কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    পুরসভার চেয়ারম্যান (Trinamool Congress) নীলু সরকার বলেন, সরকারি জমিতেই আদিবাসী পরিবারগুলি ১০০ বছর ধরে রয়েছে। ফলে, কাগজপত্র না থাকলেও জমির মালিক তাঁরা। ওই জমি দখল করে কোনও কিছু করা হবে না। বিষয়টি জানার পরই আমি কাজ বন্ধ রেখেছি। আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share