Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Contai Municipality: শিশিরকে ‘গুরুদেব’ বলার মাশুল! সরল সুবল, কাঁথির চেয়ারম্যান হলেন অখিল পুত্র

    Contai Municipality: শিশিরকে ‘গুরুদেব’ বলার মাশুল! সরল সুবল, কাঁথির চেয়ারম্যান হলেন অখিল পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুষ্ঠান মঞ্চে সাংসদ শিশির অধিকারীকে প্রণাম করে ‘রাজনৈতিক গুরু’ বলে আখ্যা দেওয়ায় মাশুল গুনতে হয়েছিল কাঁথি পুরসভার (Contai Municipality) চেয়ারম্যান সুবল মান্নাকে। প্রথমে শোকজ এবং পরে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল। এরপরই তিনি কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে সরে যান। ওই পদে কে চেয়ারম্যান হবে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্রকে নিয়ে দলে চর্চা শুরু হয়েছিল। অবশেষে দলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী পুত্রের ওপর আস্থা রাখা হয়। নিয়ম মেনে এবার সেই কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান হলেন মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশ গিরি।

    চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন সুপ্রকাশ (Contai Municipality)

    বৃহস্পতিবার তৃণমূলের ১৬ জন এবং একজন নির্দল কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে সুপ্রকাশ গিরিকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে এদিন তাঁকে চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য। সুপ্রকাশবাবু এতদিন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ সামলেচ্ছেন। তবে, তিনি এবার চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে ভাইস চেয়ারম্যান পদ খালি হয়ে যায়। দলের নির্দেশ মেনে ওই পদের জন্য ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কাউন্সিলর নীরঞ্জন মান্নার  নাম ঘোষণা করা হয়। তবে, এদিন তিনি শপথ গ্রহণ করেননি।

    ২২ মাস ৭ দিন চেয়ারম্যান ছিলেন সুবল

    ২০২২ সালে পুরভোটে অধিকারীদের খাসতালুক বলে পরিচিত কাঁথি পুরসভার (Contai Municipality) নির্বাচন হয়। ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৭টিতে জয়ী হয়ে কাঁথি পুরসভায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। আর বিজেপি ৩টি এবং নির্দল পায় ১টি আসন। দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী সুবলবাবু। চেয়ারম্যান হিসেবে বর্ষীয়ান সুবল মান্নার নাম আসে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের কাছ থেকেই। চেয়ারম্যান হিসাবে চেয়ারে বসেন সুবলবাবু। চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি সেই পদে ২২ মাস ৭ দিন ছিলেন। তবে, সম্প্রতি শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ বলে পা ছুঁয়ে প্রণাম করে অনাস্থা ভোটে সেই পদ খুইয়েছেন তিনি। দলীয় কাউন্সিলররা অনাস্থা আনেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Subhranshu Roy: বারাকপুরে ছত্রখান তৃণমূল, দলেরই দুই বিধায়ককে তুলোধনা করলেন মুকুলপুত্র

    Subhranshu Roy: বারাকপুরে ছত্রখান তৃণমূল, দলেরই দুই বিধায়ককে তুলোধনা করলেন মুকুলপুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং-এর পাশে দাঁড়িয়ে জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এবং বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীকে হুঁশিয়ারি দিলেন মুকুলপুত্র শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বলে তিনি জানান। একই সঙ্গে ২০১৯ সালের আগে বীজপুরের বিধায়ক কোথায় ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভ্রাংশু। সোমনাথ-সুবোধ জুটিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুকুলপুত্র। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের পাশাপাশি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী বলেছেন মুকুলপুত্র? (Subhranshu Roy)

    ৩০ জানুয়ারি কাঁচড়াপাড়ার বাবু ব্লকে রক্তদান শিবিরের মঞ্চ থেকে সাংসদ অর্জুন সিং-কে নিশানা করেছিলেন দুই বিধায়ক। শুধু তাই নয়, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ নিয়েও তাঁরা সরব হয়েছেন। ২০২৪ সালে আগের মতো তাণ্ডব চালালে তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ পথে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এই দুই বিধায়কের নিশানায় ছিলেন মূলত অর্জুন সিং। দুই বিধায়কের বক্তব্য রাখার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার তাঁর জবাব দিলেন বীজপুর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক তথা কাঁচড়াপাড়ার উপ-পুরপ্রধান শুভ্রাংশু রায় (Subhranshu Roy)। তিনি অর্জুন সিংয়ের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের হাত ধরে সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই, তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার অর্থ দলীয় নেতৃত্ব তাঁরা চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর নাম না করে মুকুলপুত্র বলেন, যিনি বা যারা ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর তাণ্ডবের কথা বলছেন, তাঁরা তখন কোন দলে ছিলেন। তাঁর বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, বীজপুরের বর্তমান বিধায়ক তখন তো বিজেপিতে ছিলেন। অপরদিকে নাম না করেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকেও আক্রমণ করেন শুভ্রাংশু। তিনি বলেন, যিনি বড় বড় কথা বলছেন। তিনি তো তৃণমূল সম্পর্সে কিছুই জানেন না। আর ২০১৯ সালের উন্নয়নের কথা বলছেন, তার আগে তাহলে উন্নয়ন হয়নি। আমি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি, দল অনুমতি দিলে আমি তাঁদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রস্তুত। আর তিনি দুই বিধায়ককে পরামর্শ দেওয়ার ঢঙে বলেন, যা বলার দলের অভ্যন্তরে বলা উচিত। মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: মমতার জেলা সফরের দিনই সুকান্তর হাত ধরে ৫০০ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: মমতার জেলা সফরের দিনই সুকান্তর হাত ধরে ৫০০ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সফরে এসেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিনই তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসাল বিজেপি। এদিন জেলার কুশমন্ডিতে এক জনসভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। জনসভাতে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন ৫০০ জন তৃণমূলকর্মী। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার। জেলাতে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিন ৫০০ জন তৃণমূল কর্মী গেরুয়া শিবিরে যোগ দান করায় লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি কর্মীরা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।

    মমতার সফরের দিনই দেওয়াল লিখন করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) ছাড়াও এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী,  প্রাক্তন জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার সহ অন্যরা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগেই লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেওয়াল লিখন শুরু করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার । মমতার প্রশাসনিক সভামঞ্চের প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বিজেপির তরফে দেওয়াল লিখন  করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের যুবশ্রী মোড় সংলগ্ন এলাকায় দেওয়াল লিখন শুরু করেন বিজেপি সাংসদ। ‘হীরক রানি বাই বাই, অনাচার থেকে মুক্তি চাই’, ‘মোদি সরকার আরও একবার’, এই সমস্ত স্লোগানকে সামনে রেখে রাজ্যজুড়ে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে বিজেপি। 

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এদিন জেলার বালুরঘাটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। আর আমার সভা বালুরঘাট থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে হচ্ছে। মামদোবাজি পেয়েছে নাকি যে আমাদেরকে সভা করতে দেবে না। মুখ্যমন্ত্রী তো হেলিকপ্টার করে যাবেন। তাহলেই আমাদের সভা করলে ওনার সমস্যা কোথায়। আমরাও সভা করছি। আর  মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের দিন ৫০০ জন তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করল। পাশাপাশি বালুরঘাটে দেওয়াল লিখন করা হয়। তৃণমূলের সভাতে বিজেপির বিধায়কদের ডাকা হয়নি বলে কোর্টে যাবার হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই বিষয়ে এক যোগদানকারী বলেন, তৃণমূলে সন্মান ছিল না। বিজেপিতে এসে আমরা আত্মসন্মান ফিরে পেলাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুর স্কুলে ‘গুন্ডাগিরি’, গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী

    South 24 Parganas: নরেন্দ্রপুর স্কুলে ‘গুন্ডাগিরি’, গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দির স্কুলে ব্যাপক উত্তেজনা। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্কুলের শিক্ষক তারক দাসের বিরুদ্ধে। তার জেরেই স্কুলে ঢুকে গুন্ডাগিরি করার অভিযোগ উঠেছিল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। পরে, শিক্ষামন্ত্রী পুলিশ প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই ন়ড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। অবশেষে গ্রেফতার করা হয় দুজন তৃণমূল কর্মীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম মহেশ্বর নাড়ু ও সোনু মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, তৃণমূল কর্মীরা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছে। স্কুলের ভিতরে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেছে তৃণমূল। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে তৃণমূল কর্মীরা ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধর করে। ৫০-৬০ জন বহিরাগত হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, স্টাফ রুমে ঢুকে শিক্ষকদের ওপর হামলা চালানো হয়। পাশাপাশি স্কুলের ভিতরে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মোবাইল ফোন ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের মদতে এই মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তোলেন। আক্রান্ত এক শিক্ষার বক্তব্য, প্রধানশিক্ষকের দুর্নীতির তথ্য আমরা সামনে এনেছি। পালটা চাপ সৃষ্টি করতে এই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ধর্ষণের বিষয় এখানে অন্য প্রসঙ্গ। স্কুলের ভিতরে তৃণমূলীদের তান্ডবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। পরে, ঘটনাস্থলে নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। শিক্ষকদের প্রশ্ন, ধর্ষণের অভিযোগ এনে এভাবে স্কুলে তাণ্ডব চালিয়ে তৃণমূলের লোকজন সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইল। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তৃণমূল এই হামলা চালিয়েছে। আমরা হামলাকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। দলের সুপ্রিমোর জেলা সফরের আগেই বহু কর্মীর দলবদলের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     বিজেপিতে যোগ দিয়ে কী বললেন? (Alipurduar)

    শনিবার বিকালে আলিপুরদুয়ার-১ (Alipurduar) ব্লকের বিবেকানন্দ-২ অঞ্চলের বাদলনগর স্কুলের মাঠে বিজেপি-র যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই বিজেপির চার নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ১২/১৪৫ পার্টের নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য উমা দাস। তিনি এক সময় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধান ছিলেন। যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা কর, বিশু রায়-সহ ৫০ জন তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধান উমা দাস বলেন, “তৃণমূল আমাকে টিকিট দেয়নি এবার। দল আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। তাই, আমি নির্দলে দাঁড়িয়েছিলাম। গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কারমষ মানুষের সঙ্গে আমি প্রতারণা করিনি। মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে। তাই, তৃণমূল দল করার কথা আর কোনওদিন ভাবিনি। আমি ঠিক করেছিলাম,তৃণমূলে আর ফিরব না, ফিরিওনি। এবার বিজেপিতে যোগ দিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নানা কর্মকাণ্ড দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মানবকল্যাণকর কর্মসূচি নিচ্ছেন তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই আমার এই যোগদান।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ ব্যাপারে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের কোনও পদে আছেন এমন কেউ বিজেপিতে যাননি। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া হয়নি। কয়েকজন নির্দল হয়ে জিতেছিলেন। তাঁরাই ওই দলে গিয়েছেন। আর কিছু কর্মী ভোট এলেই এদিক ওদিক করেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ভোটের মুখে কোনও সমস্যা হবে না। বিজেপি এবার হারবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপিকে নরখাদক বলে দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    Malda: বিজেপিকে নরখাদক বলে দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে বেনজির আক্রমণ করা তৃণমূল নেতাদের ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর মালদার (Malda) মালতিপুরের তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী তো কখনও বিজেপিকে লাঠিপেটা করার, কখনও বিজেপি সাংসদের জিভ টেনে ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এবার বিজেপিকে নরখাদক বলে সম্বোধন করে, দাঁত-হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তৃণমূলের মালদা জেলা সভাপতি। হরিশ্চন্দ্রপুরে এক সভা থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হন তিনি।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনার  প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখার সময় আবদুর রহিম বক্সী হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, “একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উন্নয়নমূলক কাজ করছেন, তখন  বিজেপিরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তারা চেষ্টা করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটাকে কীভাবে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। ভারতবর্ষের ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। বিজেপি বড় নরখাদক। কিছু দালাল পুষেছে, পশ্চিমবঙ্গের বুকে যারা টিভিতে মুখ দেখায় বিরোধী দলের নেতা হিসেবে। সেই নরখাদকের দল জেনে রাখ, তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তোমাদের ওই দাঁত-হাত-পা ভেঙে চুরমার করে দেবে। আগামী দিনে প্রত্যেকটা নরখাদকের দাঁত ভেঙে দেব আমরা।” মালদা (Malda) উত্তরের বিজেপি সাংসদ ও বিজেপি নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন। গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি থেকে জুতার মালা পরানোর নিদান দেন তিনি। বিজেপি সাংসদ এলাকায় এলে ব্যারিকেড তৈরির পরামর্শও দিলেন তিনি। তিনি বললেন, “গ্রামে ঢুকতে বারণ করুন এবং গ্রামে ঢুকতে দেবেন না।”

    বিজেপি সাংসদ কী বললেন?

    মালদা (Malda) উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, “মানুষ ওদেরকেই ব্যারিকেড করছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতির নিজের বিধানসভা এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। কালকে মালতিপুর হয়ে চাঁচল গেলাম। ওঁর বিধানসভা এলাকা। কোথায় লোক আটকাচ্ছে?…আমাকে আটকাচ্ছে না, ওঁকে আটকাবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    Asansol: জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল (Asansol) দক্ষিণের ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফতেপুর গ্রামে। পুলিশের নির্দেশে অনুষ্ঠান সাময়িক বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Asansol)

    আসানসোল (Asansol) পুরসভার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে ফতেপুর গ্রামের ষোলোআনা কমিটি নামে স্থানীয় কমিটির উদ্যোগে সাধারণতন্ত্র দিবস পালন করা হয়। এই কমিটির কর্মকর্তারা সকলেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। আর এই কমিটিকে না জানিয়ে গ্রামের একটি অংশ সাধারণতন্ত্র দিবস পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারাও তৃণমূল সমর্থক। তারা কম্বল বিলির সিদ্ধান্ত নেয়। আর এই অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে পাশের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্তমান তৃণমূল কাউন্সিলর সঞ্জয় নুনিয়ার বাবা রোহিত নুনিয়াকে। অথচ ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমিত মাঝিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। রোহিতবাবুর বিরুদ্ধে পাশের ওয়ার্ডে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। এই দাবিতে ফতেপুর গ্রামের একটি অংশ এর আগে আন্দোলনও করেছিলেন। তাঁকে গ্রামে আমন্ত্রণ জানানোই তৃণমূলের অন্যপক্ষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। উত্তেজনার খবরের আঁচ আগেই পেয়েছিল পুলিশ। তাই এই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রোহিত দলবল নিয়ে সকালে ঢুকে পড়ে গ্রামে। আর তখনই উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। গ্রামের এক পক্ষের অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলরকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে রোহিত নুনিয়াকে কেন আমন্ত্রণ করা হল? সেই নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। পরে দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে যে জায়গায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল সেখান থেকে পতাকা স্তম্ভ তুলে নিয়ে যাওয়া হয় অন্য একটি জায়গায়।  সেখানে পতাকা উত্তোলন করেন রোহিত নুনিয়া। কম্বল বিলি হয় গ্রামের বাইরে।

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুমিত মাঝি বলেন, রোহিত নুনিয়া একজন তোলাবাজ, জমি মাফিয়া। জোর করে জমি কেড়ে নেওয়ার তাঁর কাজ। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামের ষোলোআনা কমিটি। দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর স্থানীয় কাউন্সিলর খুব ভাল ছেলে। প্রয়োজনে এই বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলে নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: মমতার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! অনুব্রত-কাজল অনুগামীদের সংঘর্ষ

    Anubrata Mondal: মমতার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! অনুব্রত-কাজল অনুগামীদের সংঘর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের জেলা নেতৃত্বকে জেলায় অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ও তাঁর অনুগামীদের গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকী জেল থেকে বীরভূমে ফিরলে সব দায়িত্ব ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়। ফলে, অনুব্রত অনুগামীদের দলে গুরুত্ব পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশই সার। দলীয় সুপ্রিমোর নির্দেশকে অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। বীরভূম জেলার কোর কমিটির ঘোষণা হতেই ফের তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল অনুব্রতের খাসতালুক। অনুব্রত গোষ্ঠী ও কাজল গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে পালটা আক্রমণের অভিযোগ তুলছে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরের নাহিনা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Anubrata Mondal)

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গোষ্ঠীর চার তৃণমূল কর্মী বোলপুরে খেলা দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, গ্রামে ঢোকার পথেই কাজল গোষ্ঠীর লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়। যদিও কাজল শেখ গোষ্ঠীর সদস্যদেরও একই অভিযোগ। বোমা, গুলি নিয়ে হামলা করা হয়েছে বলেই দাবি দুপক্ষের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনের মাথা ফেটেছে ও পা ভেঙেছে। সাতজনেরও বেশি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বোলপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    নতুন কোর কমিটি গঠনের পরই কোন্দল প্রকাশ্যে

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই বীরভূমের ৯ সদস্যের কোর কমিটি ভেঙে দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বদলে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন হয়। কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল শেখ। নানুরের দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছে। দলের তরফে জানানো হয়েছে, তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ স্বাভাবিক নিয়মে পদাধিকার বলেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য। তবে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেওয়ার পরই ফের কাজল-অনুব্রত অনুগামীদের দ্বন্দ্বে শাসক দলের ঐক্যে ফাটল দেখা দিয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কাজল শেখ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কেন্দ্রের দেওয়া গোয়ালঘরের লক্ষ লক্ষ টাকা খেল তৃণমূল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    South 24 Parganas: কেন্দ্রের দেওয়া গোয়ালঘরের লক্ষ লক্ষ টাকা খেল তৃণমূল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু থাকার বাসস্থান গোয়ালঘর তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছিল। সেই টাকাতেও থাবা বসিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত সমবায় সমিতি। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Paraganas) জেলার মথুরাপুর ২নম্বর  ব্লকের ২৩ নম্বর লাট কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Paraganas)

    গোয়াল ঘর তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এরমধ্যে উপভোক্তাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) তৃণমূল পরিচালিত সমবায়ের মাধ্যমে উপভোক্তাদের সেই কাজ করে দেওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৩০০ জন উপভোক্তার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই ১ হাজার জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে ১০টি গোয়াল ঘর তৈরি হয়েছিল। সেটাও আবার ৬০ হাজার করে খরচ হয়েছিল। বাকি লক্ষ লক্ষ টাকার কোনও হিসাব নেই। আর গোয়াল ঘর তৈরি না হওয়ায় উপভোক্তারা সরব হয়েছে। তৃণমূল বোর্ডের দিতে আঙুল তুলেছেন। জানা গিয়েছে, সমবায়ের তৎকালীন সম্পাদক ছিলেন উৎপল তাঁতি। তাঁর হাত ধরেই লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয়েছিল। সমবায়ের এই দুর্নীতির টাকায় নিজে বিশাল বাড়িও করেছেন বলে অভিযোগ। সমবায়ের পুরানো বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন বোর্ড হয়েছে। নতুন বোর্ড দুর্নীতির দায় নিতে চাইছে না। সমবায়ের প্রাক্তন ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ হালদার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলেও সেই টাকার কোনও হিসাব নেই। লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে সমবায়ের সম্পাদক। এর তদন্ত হওয়ার দরকার।

    সমবায়ের অভিযুক্ত প্রাক্তন সম্পাদক কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত সমবায়ের প্রাক্তন সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা উৎপল তাঁতি বলেন, উপভোক্তার কাছে থেকে হাজার টাকা করে নিয়েছিলাম। ঠিকাদাররা গোয়াল ঘর তৈরি করা শুরু করেছিল। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় সব ঘর করা যায়নি। কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, সমবায়ের উপভোক্তাদের টাকা আত্মসাৎ করার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে, যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে তা সঠিক তদন্ত হবে। তবে এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, যেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী,খাদ্যমন্ত্রী জেল খাটছেন, তাঁদের দলের নিচুতলার নেতারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    Indi Alliance: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোট (Indi Alliance) গঠন করে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বপ্ন দেখছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। সেই জোট এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। তবে, গুয়াহাটিতে রাহুলের বক্তব্যের পরে বাংলায় কংগ্রেস-তৃণমূল জোট নিয়ে খানিকটা ‘ইতিবাচক’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল। কিন্তু, বুধবার মমতার বক্তব্যের পরে স্পষ্ট যে, পশ্চিমবঙ্গে কোনও জোট বা আসন সমঝোতা হচ্ছে না। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনেই প্রার্থী দিতে চলেছে তৃণমূল।

    তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে রাহুল ঠিক কী বলেছিলেন? (Indi Alliance)

    মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে রাহুল বলেছিলেন, তৃণমূলের সঙ্গে আসন বোঝাপড়ার প্রক্রিয়া রয়েছে, তা চলছে। তার ফলাফল আসবে। ওই বিষয়ে আমি এখানে কোনও মন্তব্য করব না। মমতাজির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত ও দলের সম্পর্ক খুবই ভালো। তবে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের কেউ কিছু বলে দেন। ওঁদের কেউ কিছু বলেন। এটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু, এতে আসন বোঝাপড়ায় কোনও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

    রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট নিয়ে কী বললেন মমতা?

    দুদিন আগে পার্ক সার্কাসের মঞ্চ থেকে মমতা ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) সমালোচনা করেছিলেন। কংগ্রেসের নাম না করে বলেছিলেন, “আমি বলেছিলাম, যে রাজ্যে, যে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী, তারা সেই রাজ্যে লড়ুক। আর আপনারা ৩০০ আসনে একা লড়াই করুন। আমরা সাহায্য করব। বাকি আসনে আমরা লড়়াই করব। তারা বলছে, তাদের মর্জিমতো হবে।” বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে যাওয়ার আগে মমতাকে ওই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দৃশ্যতই ক্ষুব্ধ মমতা জানিয়ে দেন, বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, “আমার কারও সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। আমার প্রস্তাব প্রথম দিনেই প্রত্যাখ্যান করেছে! আমার সঙ্গে কারও কোনও আলোচনা হয়নি। অ্যাবসলিউটলি মিথ্যা কথা!” তিনি আরও বলেন, “এই যে আমাদের রাজ্যে আসছে, আমাকে তো একবারও বলেনি!” মমতা বলতে চেয়েছেন রাহুলের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র কথা। অসম থেকে রাহুল তাঁর যাত্রা নিয়ে বৃহস্পতিবারেই কোচবিহার দিয়ে বাংলায় প্রবেশ করবেন। তার এক দিন আগে মমতার কথায় স্পষ্ট যে, ইন্ডিয়া’র শরিক হিসেবে তৃণমূল ওই যাত্রায় অংশ নেবে না। দুদিন আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় সব আসনে লড়াই করার জন্য দলীয় নেতাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আর অধীর চৌধুরীকে তিনি গুরুত্ব দিতে নারাজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share