Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Midnapore: ‘উন্নয়নের টাকায় মোচ্ছব করছে তৃণমূলের চেয়ারম্যান’, বিস্ফোরক দলীয় কাউন্সিলাররা

    Midnapore: ‘উন্নয়নের টাকায় মোচ্ছব করছে তৃণমূলের চেয়ারম্যান’, বিস্ফোরক দলীয় কাউন্সিলাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন দলেরই কাউন্সিলারদের একাংশ। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর (Midnapore) পুরসভায়। পুরসভার চেয়ারম্যানের ঘরের সামনেই অবস্থানে বসেছেন তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় তৃণমূলের ছন্নছাড়া রুপ আরও একবার সামনে চলে এল।

     তৃণমূলের অর্ধেক কাউন্সিলার অবস্থানে! (Midnapore)

    মেদিনীপুর (Midnapore) পুরসভার ২৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছিল ২০টি আসন। ২০ জন কাউন্সিলারের মধ্যে এদিন ১০ জন কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে অবস্থানে বসেন। তৃণমূলের যে সমস্ত কাউন্সিলাররা বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম মেদিনীপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের শহর সভাপতি বিশ্বনাথ পাণ্ডব, শহর মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি মৌ রায়, তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার স্ত্রী মৌসুমী হাজরা। অবস্থান বিক্ষোভ চললেও পুরপ্রধান সৌমেন খান আসেননি পুরসভায়। ফোনেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে, এদিন শুধু অবস্থান বিক্ষোভে শেষ নয়, পুর প্রধানকে অপসারণের দাবি তুললেন তাঁরা। পাশাপাশি, পুর প্রধানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ সামনে এনেছেন তাঁরা।  

    চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মেদিনীপুর (Midnapore) পুরসভার পুরপ্রধান সৌমেন খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তৃণমূলেরই ১০ জন কাউন্সিলার। তাঁদের বক্তব্য, সবার সমর্থনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত শ্রমিক না দিয়ে সেই টাকা অন্য খাতে খরচ করা হচ্ছে। কাউন্সিলারদের প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করছেন। চেয়ারম্যানের আমলে আর্থিক দুরাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মেদিনীপুর পুরসভা। পুর প্রধানের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত, ফান্ড কাউন্সিলারদের মধ্যে ঠিকমতো ভাগ না করা, উন্নয়নের অর্থে মোচ্ছব করা হচ্ছে। এছাড়া একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন তাঁরা। পুর চেয়ারম্যানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান কাউন্সিলারদের একাংশ। সেই কারণেই পুরসভার চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি তুলেছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে সকলে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ‘জগদ্দলের বিধায়কের মায়ের স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন বাবা’, স্বীকার করলেন অর্জুন

    Barrackpore: ‘জগদ্দলের বিধায়কের মায়ের স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন বাবা’, স্বীকার করলেন অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্বে রাশ টেনেছে দল। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ইতিমধ্যেই অর্জুন সিংকে সোমনাথ ইস্যুতে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সেই নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়েই ফের বিস্ফোরক অর্জুন। আবারও জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধোনা করলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের পরও আরও একবার সোমনাথ-অর্জুনের দ্বৈরথ ফের প্রকাশ্যে চলে এলো।

    অর্জুনকে নিয়ে কী বলেছিলেন সোমনাথ? (Barrackpore)

    তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুন হওয়ার পর থেকেই উত্তাল বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি। এই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অর্জুনের ভাইপো পাপ্পু সিংকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারপর থেকেই সোমনাথ-অর্জুনের দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। দলীয় মিটিং, পথসভায় প্রকাশ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে সোমনাথ এবং অর্জুন সিংকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। দুদিন আগেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, আমার কাছে হলুদ ফাইল রয়েছে। সেখানে অর্জুন সিং এর সমস্ত তথ্য রয়েছে। হলুদ ফাইল খুললেই সাংসদের সমস্ত দুর্নীতি  সামনে চলে আসবে।

    বাবার দৌলতে বিধায়কের মা চাকরি পেয়েছেন: অর্জুন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্জুন বলেন, দলের রাজ্য সভাপতি আমাকে চুপ থাকতে বলেছেন। তাই এই বিষয়ে আমি আর বেশি কোনও কথা বলবো না। এরপরই তিনি বলতে শুরু করেন, আমি কোন হলুদ ফাইল, নীল ফাইলের কথা বলবো না। যেটা সত্যি, জগদ্দল এর মানুষ যেটা জানেন, আমি সেই কথাই বলবো। তিনি বলেন, জগদ্দল এর বিধায়কের মায়ের প্রাইমারি স্কুলে চাকরি আমার বাবা করে দিয়েছিলেন। সেখানে মিঠু সাউ বলে একজনকে নেওয়ার কথা ছিল। তাকে বাদ দিয়ে বিধায়কের মাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল প্রাইমারি স্কুলে। এটা সবাই জানেন।

    তোলাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই আক্রমণ

    সোমনাথ শ্যামের এই বার বার আক্রমণ প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, আমি বিজেপিতে যাওয়ার পর বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে রমরমিয়ে তোলাবাজি শুরু হয়েছিল। আমি তৃণমূলে ফিরে আসতেই তোলাবাজিতে লাগাম টেনেছি। এবার দল যদি আমার উপর আস্থা রাখে এবং আমি যদি ফের সাংসদ নির্বাচিত হই তাহলে তাদের তোলাবাজি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এখন আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। কিন্তু, এলাকার মানুষ জানেন, অর্জুন সিং কেমন মানুষ। এসব নোংরামো করে ভোট ব্যাঙ্কে কোন প্রভাব পড়বে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়ার কোপ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Malda: শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়ার কোপ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তৃণমূলের এক  নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার উত্তর পঞ্চানন্দপুর এলাকায়। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্যের নাম রথীন সরকার এবং তাঁর বাবার নাম শ্যামল সরকার। এই ঘটনায় আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য হামলাকারী তৃণমূল নেতা বাপি সরকার ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    আক্রান্তকারী পুলিশকে কী বললেন? (Malda)

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাড়ি মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার উত্তর পঞ্চানন্দপুর এলাকায়। পুলিশকে অভিযোগকারী আক্রান্ত তৃণমূল নেতা রথীন সরকার বলেন, ‘এলাকায় দলীয় একটি কর্মসূচির জন্য ফ্ল্যাগ ও ফেস্টুন টাঙানোর কাজ চলছিল। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আমিও সেখানে ছিলাম। সেই সময় তৃণমূল নেতা বাপি সরকার তাঁর দলবল নিয়ে এসে গোলমাল শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে হাঁসুয়া দিয়ে আমার ওপর হামলা চালান। মাথায় কোপ মারতে গেলে হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার বাবা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছুটে আসে। ওরা বাবাকেও মারধর করে। তারপর আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় তৃণমূলের কার্যালয় থেকে কর্মীরা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পুরো বিষয়টি নিয়ে হামলাকারী বাপি সরকার ও তাঁর ভাই টনি সরকার-সহ দলবলের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’

    হামলাকারী কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা বাপি সরকার বলেন,’ঘটনাটি মিথ্যা। এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং, রাস্তা ঘিরে ওরা কাজ করছিল। প্রতিবাদ করাতেই পাল্টা তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েতে সদস্যের দলবল আমার ওপর হামলা চালায়। মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’

    জেলা নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের মালদা (Malda) জেলা সহ- সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘অন্যায়ভাবে দলের এক নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রেমের প্রস্তাবে না, কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    Nadia: প্রেমের প্রস্তাবে না, কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। এটাই তাঁর অপরাধ। এরপর  ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র নেতা যা করেছেন তা জানলে চমকে উঠবেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপ শহরে।  

    দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে শ্লীলতাহানি! (Nadia)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রী। আর অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার নাম শ্যামসুন্দর দাস। তিনি নবদ্বীপ শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি। কলেজের এক ছাত্রীকে এক যুবকের মাধ্যমে তিনি প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু, সেই কলেজ ছাত্রী তাঁর সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। অভিযোগ, এরপর একদিন রাধাবাজারের দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রীকে ডেকে পাঠান। দলীয় কার্যালয়ে সকলে থাকবে মনে করে তরুণী সেখানে যান। অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানি করা হয় তাঁর। কোনওমতে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরেন তরুণী। পরিবারের লোকজনকে তিনি সমস্ত ঘটনা জানান। এরপর নবদ্বীপ থানায় যান। অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র নেতা হওয়ায় পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। ফলে, এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের বক্তব্য, শাসক দলের নেতা বলে অপরাধ করলে সাত খুন মাফ। এই ধরনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দরকার। নাহলে রাস্তাঘাটে মহিলাদের সুরক্ষা বলে কিছু থাকবে না।

    নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নির্যাতিতার বক্তব্য, ওই ছাত্র নেতা আমাকে মাঝে মধ্যে উত্যক্ত করত। বহুবার আপত্তি জানালেও ও তা মানেনি। অবশেষে আমাকে কার্যালয়ের মধ্যে এরকম করবে তা ভাবতে পারিনি। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, কলেজে যেতে মেয়ে আতঙ্কিত বোধ করছে। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ওই ছাত্র নেতা যা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পুলিশ ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে! হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    Barrackpore: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে! হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অর্জুন সিংকে এবার প্রার্থী করা হবে, না তাঁর জায়গায় নতুন কাউকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে নিয়ে দলের অন্দরে জোর জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন অর্জুনের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। দলীয় কর্মীদের নিয়ে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অর্জুনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।

    হলুদ ফাইল নিয়ে কী বললেন সোমনাথ? (Barrackpore)

    বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের ভাটপা়ড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় অর্জুন সিংয়ের ভাইপো গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। বিধায়ক এবং সাংসদ একে পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগেন। এমনকী মধ্যমগ্রামে জেলা পার্টি অফিসের বৈঠকে সোমনাথ হাজির হতেই মিটিঁং ছেড়ে চলে যান অর্জুন। এবার সেই অর্জুনের উদ্দেশে সোমনাথ বলেন, ‘আমার কাছে একটা হলুদ ফাইল আছে, সেটা আমি খুলব। তাতে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া-সহ নানা দুর্নীতির তথ্য আছে। সেই ফাইল খুললে পালাবার পথ পাবেন না অর্জুন সিংহ। সাদ্দাম হুসেনের মতো লুকনোর জায়গা পাবেন না।’ সাংসদের উদ্দেশে বিধায়কের আরও প্রশ্ন, ‘আপনার থেকে বড় চোর কে আছে? চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা, পরীক্ষার্থীদের টাকা, ভাটপাড়া পুরসভাকে দেউলিয়া করেছেন আপনি। কত মানুষের গ্র্যাচুইটির টাকা চলে গেল আপনার পেটে! এত টাকার হিসাব দিতে হবে। জবাব দিতে হলে পদত্যাগ করে আসুন, আমিও আসব। সামনাসামনি কথা হবে। তখন দৌড় করাব আমি।’

    কী বললেন অর্জুন?

    এমনিতেই সোমনাথের আচরণে বেজায় চটেছেন অর্জুন। দুদিন আগে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়টি সামাল দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই। তাই, দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলব। আর এবার সোমনাথের হলুদ ফাইল প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, একজন লোহা চোর কী বলছে, তার জবাব আমি দেব না। দলের উচ্চ নেতৃত্ব দেখছেন বিষয়টি। যা বলার, তাঁরাই বলবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: দলীয় কর্মীকেই ধান তুলতে বাধা! তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ফতোয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    Paschim Medinipur: দলীয় কর্মীকেই ধান তুলতে বাধা! তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ফতোয়ায় কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঠেই পড়ে রয়েছে পাঁচ বিঘা জমির ধান। সেই ধান কাটা যাবে না তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অনুমতি ছাড়া! এবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি  ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur)  শালবনি ব্লকের শালবনি ৩ নম্বর অঞ্চলের সিদাডিহি গ্রামে। তৃণমূল কর্মীকে তৃণমূল নেতারই ফতোয়া দেওয়ার ঘটনায় দলের গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি (Paschim Medinipur) 

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) সিদাডিহি গ্রামে বাড়ি কৃষক তথা তৃণমূলের আদি কর্মী চিরঞ্জীব খানের। তিনি বলেন, প্রায় এক মাস বিঘা পাঁচেক জমির ধান কাটতেই দিচ্ছেন না দলেরই নেতা তথা অঞ্চল সভাপতি অসিত ঘোষ। ধান কাটার জন্য আগে অনুমতি নিতে হবে, তবেই ঘরে উঠবে ধান। ফলে মাঠের ধান পেকে গেলেও তা মাঠেই পড়ে রয়েছে। বারবার আমি ধান কাটার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেই হুমকি দিচ্ছেন অঞ্চল সভাপতি। জেলা নেতৃত্ব থেকে পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। ব্লক নেতৃত্ব নেপাল সিংহ সরাসরি ঘটনা স্বীকার না করলেও তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি সঠিক কী ঘটেছে জানা নেই, তবে আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরেই উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। শুনেছি তিনি কিছু ধান বাড়িতে তুলেছেন। বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।’ অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অসিত ঘোষ বলেন, এই ধরনের ফতোয়া কাউকে দেওয়া হয়নি। তিনি আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমি চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।

    জেলা তৃণমূলের সভাপতি কী বললেন?

    পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এরকম ঘটনা ঘটে থাকলে তিনি জেলা কার্যালয়ে এসে অভিযোগ জানান। আমাদের দল বা আমাদের নেত্রী এমন দলবিরোধী কাজে বিশ্বাসী নয়। তিনি যে দলেরই কর্মী হোন না কেন অন্যায় বরদাস্ত করা হবে না। ওই ব্যক্তি তাঁর চাষের ধান যাতে বাড়িতে তুলতে পারেন আমরা তাঁর ব্যবস্থা করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বিজেপি-র মিটিংয়ে দলীয় নেতার উপর হামলা, ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Cooch Behar: বিজেপি-র মিটিংয়ে দলীয় নেতার উপর হামলা, ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি মিটিংয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা এলাকায়। দলের মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথকে চাকু দিয়ে হামলা চালানো হয়। আক্রান্ত তিনজনকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    শনিবার দুপুরে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটায় বিজেপির মিটিংয়ে ছিল। সেখানে মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথের নেতৃত্বে কর্মী, সমর্থকরা হাজির হয়েছিলেন। বৈঠক চলার পরই আচমকাই তৃণমূলের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। মণ্ডল সভাপতি করতে গেলে তাঁকে চাকু হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় আহত হন মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথ ও সংশ্লিষ্ট  এলাকার বিজেপির সম্পাদক অর্জুন চক্রবর্তী। যদিও পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তবে, তৃণমূলের এই হামলার প্রতিবাদে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা অজয় কর বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা বুঝে গিয়েছে যে তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। তাই, আমাদের দলীয় মিটিং দেখেই ওরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। আমাদের মিটিংয়ে এভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের মনোবল কোনওভাবেই ভাঙতে পারবে না। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে আর্জি জানাব। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার না করা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আমীর আলম। তিনি বলেন, দিনহাটার ঝুড়িপাড়া এলাকা দিয়ে আমরা কয়েকজন মিলে যাচ্ছিলাম, সেই সময় বিজেপি কর্মীরা আমাদের পথ আটকে মারধর শুরু করে। আমরা ওদের মিটিংয়ে কোনও হামলা চালাইনি। ওরা নিজেরা চেয়ার ভেঙে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করলেই বুঝতে পারবে তারা হামলা চালিয়েছে। নিজেদের হামলার ঘটনা ঢাকতে বিজেপি এখন নাটক করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তুতি বৈঠকে সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তুতি বৈঠকে সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তুতি বৈঠকে জগদ্দলের তৃণমূলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম-সাংসদ অর্জুন সিং দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শনিবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রাম জেলা পার্টি অফিসে প্রস্তুতি বৈঠক ছিল। জেলা নেতৃত্বের সামনে এই কোন্দল সামনে আসায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    বৈঠকের মাঝ পথে বেরিয়ে যান অর্জুন (North 24 Parganas)

    মুখ্যমন্ত্রী আসছেন জেলায়। সেই জন্য শনিবার বিকেলে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মধ্যমগ্রাম জেলা পার্টি অফিসে বৈঠক ছিল। বেলা তিনটে থেকে পাঁচটা পর্যন্ত বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বেলা তিনটে নাগাদ অর্জুন সিং আসেন। কিছুক্ষণ পর বৈঠক শুরু হয়। সাড়ে তিনটে নাগাদ সোমনাথ শ্যাম বৈঠকে ঢোকেন। বৈঠকে ঢোকার কয়েক মিনিটের মধ্যে অর্জুন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান।  প্রসঙ্গত, সোমনাথ-অর্জুনের কোন্দল নতুন নয়। তবে, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুন হওয়ার পর থেকেই দুজনের দ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে  চলে আসে। ভিকি যাদব খুনে জড়িত সন্দেহে ২১ ডিসেম্বর অর্জুনের ভাইপো পাপ্পুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ভিকি খুনে অন্যতম অভিযুক্ত পঙ্কজ সিংয়ের সঙ্গে সোমনাথ শ্যামের ছবি দিয়ে অর্জুন অনুগামীরা সোমনাথ শ্যামকে গ্রেফতারির দাবি জানান। অন্যদিকে, ভিকি যাদবের খুনের ঘটনায় পলাতক অভিযুক্তের সঙ্গে অর্জুন-পুত্র তথা ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংহের ছবি প্রকাশ্যে এনেছিলেন সোমনাথ শ্যাম। অর্জুনের দাবি, ওই ছবি সুপার ইম্পোজ করা হয়েছে। সোমনাথ শ্যাম পাল্টা বলেন, অর্জুন  অপরাধীদের গাড়িতে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তথ্য প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ করলে ভাল হয়।

    কী বললেন অর্জুন সিং?

    বৈঠকের মাঝ পথেই বেরিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, এখানে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক হচ্ছিল। তাই এসেছিলাম। সোমনাথের সঙ্গে দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, রাজনৈতিক জীবনে এই ধরনের দ্বন্দ্ব কখনও দেখেনি। দলের বিষয়টি দেখা উচিত। দল দেখলেই ভালো। আমি বিজেপির সাংসদ কিনা,সেটা মুখ্যমন্ত্রী-ই বলবে। বারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি যদি হস্তক্ষেপ করতেন তাহলে এই বিতর্ক এবং দ্বন্দ্ব এড়ানো যেত। সেটা হয়নি। তাই, শীর্ষ নেতৃত্ব বিষয়টি দেখে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ সম্বোধন, শো-কজ করা হল তৃণমূল চেয়ারম্যানকে

    Sisir Adhikari: শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ সম্বোধন, শো-কজ করা হল তৃণমূল চেয়ারম্যানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীকে ‘গুরুদেব’ সম্বোধন করেন কাঁথি পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবলকুমার মান্না। প্রকাশ্য মঞ্চে তিনি শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) সম্বোধন করে কার্যত চরম বিপাকে পড়েছেন। কারণ, তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে শো-কজ করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Sisir Adhikari)

    জানা গিয়েছে, ২১ ডিসেম্বর কাঁথির একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন কাঁথি পুরসভা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সুবলকুমার মান্না। সেখানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। সুবলবাবু সকলের সামনে শিশিরবাবুর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাবা, মা আমাকে জন্ম দিয়েছেন। এরপর রাজনীতিতে পথ চলা থেকে এই জায়গায় উঠে আসা সম্ভব হয়েছে গুরুদেব শিশির অধিকারীর জন্য। শুক্রবার সেই ভিডিও এবং প্রণাম করার ছবি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর নড়েচড়ে বসে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কাঁথির পুরপ্রধান সুবলকুমার মান্নাকে শো-কজ করেন কাথি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পীযূষকান্তি পণ্ডা। তারপরেই কাঁথির রাজনীতিতে শুরু হয় তোলপাড়।

    তৃণমূলের চেয়ারম্যান কী বললেন?

    শো-কজ প্রসঙ্গে সুবলবাবু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের একটি স্কুলে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখি শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) বসে রয়েছেন। আমি তো অসম্মান করতে পারি না।  আর  তিনি (তৃণমূলের জেলা সভাপতি) শো-কজ করার কে? আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শো-কজ করেছে, সেটা আমি জানিও না। চিঠি দিয়ে জানাবেন, তারপরে উত্তর দেওয়া হবে। মানুষকে মানুষ ভাবে না। কীভাবে বয়স্কদের সঙ্গে বলতে হয় তা তিনি জানেন না। 

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    জেলা বিজেপি নেতা অসীম মিশ্র বলেন, ‘দুজন প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। কাঁথির বর্ষীয়ান সাংসদ তথা অভিভাবক শিশির অধিকারীকে (Sisir Adhikari) কাঁথি পুরপ্রধান সুবল মান্না সৌজন্যতা জানিয়েছেন! এখানে কোনও রাজনীতি খোঁজার দরকার নেই। বয়স্ক রাজনীতিককে প্রণাম করছেন, শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সমবায় ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপে জড়িত তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: সমবায় ব্যাঙ্কে কোটি টাকার বেশি আর্থিক তছরুপে জড়িত তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায় ব্যাঙ্কের কোটি টাকারও বেশি তছরুপের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির খাড়ি এলাকায়। সমবায় ব্যাঙ্কের নাম ‘ইউনিয়ন লার্জ সাইজ প্রাইমারি এগ্রিকালচার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড’। ওই সমবায় ব্যাঙ্কটির কাছেই কাশীনগর ব্যাঙ্কের একটি শাখা রয়েছে। অভিযোগ, শাখার ইনচার্জ মোহনলাল হালদার আর্থিক তছরুপ করেছেন। অভিযুক্ত মোহনলাল আবার কাশীনগর পশ্চিমপাড়ার তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। আর শাসক দলের নেতা বলেই পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর,  দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই সমবায় ব্যাঙ্কে হাজার দু’য়েক গ্রাহক আছেন। ২০২২-২৩ আর্থিক বর্ষে অডিট রিপোর্টের পরেই তৃণমূল নেতা মোহনলালের বিরুদ্ধে প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সঙ্গে স্থানীয় আরও কিছু তৃণমূল নেতা জড়িত বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে সরব হন আমানতকারী ও শেয়ার হোল্ডাররা। সমবায়ের জেনারেল ম্যানেজার শ্রীকৃষ্ণ মণ্ডল বিভাগীয় দফতরে অভিযোগ জানান। পরে পুলিশেরও দ্বারস্থ হন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতি ধরা পড়ার পরে মোহনলাল ১০ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছিলেন। বাকি টাকা ফেরাতে পারেননি। মোহনলাল হালদারের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।

    ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    মথুরাপুর-২ বিডিও নাজির হোসেন বলেন, মাস দেড়েক আগে ৩-৪ জন গ্রাহক ওই আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো জেলা থেকে তদন্তের পরে আর্থিক তছরুপ ধরা পড়েছে। এক কোটির বেশি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পুলিশ সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘির তৃণমূলের বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, মোহনলাল এক সময় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন। এখন দলের কোনও দায়িত্বে নেই। সমবায় ব্যাঙ্কে টাকা তছরুপ করা ঠিক হয়নি। সাধারণ মানুষের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত। না হলে কঠোর শাস্তি পাওয়া দরকার। প্রশাসন কঠোর হাতে ব্যবস্থা নিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share