Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Birbhum: লোকসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি, আদিবাসী গ্রামে জল বন্ধ করল তৃণমূল! আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    Birbhum: লোকসভায় লিড পেয়েছে বিজেপি, আদিবাসী গ্রামে জল বন্ধ করল তৃণমূল! আন্দোলনে গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোটে দিয়েছিলেন গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা। ভোটের ফল বের হওয়ার পর দেখা যায়, বীরভূমের (Birbhum) নারায়ণপুরের খড়িডাঙা নামে আদিবাসী গ্রামে তৃণমূলকে হারিয়ে লিড পেয়েছে বিজেপি। এটাই ছিল ওই গ্রামের বাসিন্দাদের অপরাধ। কারণ, তারপর থেকেই এই আদিবাসী গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল পঞ্চায়েত। এমনই অভিযোগে সরব বিজেপি। পানীয় জল সরবরাহ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে বিজেপি। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভে বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ স্থানীয় নেতা, কর্মী-সমর্থকেরা হাজির ছিলেন। তিন ধরে এই ধর্না চলবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি (Birbhum)

    এমনিতেই বেশ কিছুদিন ধরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে রামপুরহাট (Birbhum) জুড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন দেওয়ার বিষয়ে কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। অসহায় ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিজেপি। উচ্ছেদ হওয়া ফুটপাত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানানো হয়েছে। এদিনের অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বিজেপি নেতারা বলেন, অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। নাহলে আমাদের আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    বিজেপি জেলা সভাপতি কী বললেন?

    বিজেপি (BJP) জেলা (Birbhum) সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, লোকসভা ভোটে বিজেপি লিড পেয়েছে বলে খড়িডাঙার আদিবাসী গ্রামের মানুষ পানীয় জল পাচ্ছেন না। তৃণমূল নোংরা রাজনীতি করছে। আমরা এর আগে বিডিও অফিসে দ্বারস্থ হয়ে সমস্যার কথা বলেছিলাম। কিন্তু, তাতেই প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। তাই, বাধ্য হয়ে মহকুমা শাসকের দরবারে আমরা সেই একই আর্জি জানিয়েছি। পাশাপাশি জেলায় যে সব জায়গায় বিজেপির (BJP) ফল ভালো হয়েছে, সেখানেই তৃণমূল আমাদের কর্মীদের বঞ্চিত করছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এসবের বিরুদ্ধে আমাদের এই আন্দোলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়ে নেওয়া হচ্ছে তোলা, বিপাকে পড়ুয়ারা

    South 24 Parganas: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’! স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়ে নেওয়া হচ্ছে তোলা, বিপাকে পড়ুয়ারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহ, সোনারপুরের পর দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরি। স্কুলের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বিল্ডারকে ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, পড়ুয়াদের সাইকেল রাখার জায়গায় কেন বালি-স্টোনচিপ, সিমেন্ট রাখা হচ্ছে?

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    জানা গিয়েছে,পাথরপ্রতিমা (South 24 Parganas) ব্লকের দক্ষিণ কাশিনগর হাইস্কুলে প্রায় হাজারের ওপরে ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা সাইকেল রাখার জায়গা না পেয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তার ধারে সাইকেল রেখে ক্লাস করে। এই নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় বিভিন্ন গাড়িচালক থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। কিন্তু, সেই স্কুলের জায়গায় তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন কুমার মান্না নিজের প্রভাব খাটিয়ে দখল করে ভাড়া দিয়েছেন এক ব্যবসায়ীকে। স্কুলের জায়গায় রাখা হচ্ছে, বালি, ইট, স্টোন। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সরকারি জায়গা, সমস্ত স্তরেই চলে শাসক দলের দাদাগিরি। একদিকে যখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখল মুক্ত করার নির্দেশ দিচ্ছেন, তখনই শিক্ষাক্ষেত্রে ক্ষমতা দেখিয়ে স্কুলের জায়গা ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁরই দলের পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত তৃণমূলের (Trinamool Congress) পঞ্চায়েত সদস্য তথা স্কুল কমিটির সদস্য স্বপন কুমার মান্নাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি।

    আরও পড়ুন: জ্যান্ত কেউটেকে দুধ-গঙ্গাজল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয় বর্ধমানের চার গ্রামে

    প্রধান শিক্ষক কী বললেন?

     এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক (South 24 Parganas) সুশান্ত কুমার মণ্ডল বলেন, আমার অজান্তেই এসব কাজ হচ্ছে, টাকা নেওয়ার কথা আমি জানি না। তবে, এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, শাসক দল শিক্ষাক্ষেত্র থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুতেই দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। টাকার বিনিময়ে স্কুলের জায়গা ভাড়া দিয়েছে, এটাই স্বাভাবিক। কোন দিন দেখা যাবে ওই জায়গা বিক্রিও করে দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পাঁচ বছর ধরে পড়ে পড়েই নষ্ট ৪০ লক্ষের লঞ্চ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    North 24 Parganas: পাঁচ বছর ধরে পড়ে পড়েই নষ্ট ৪০ লক্ষের লঞ্চ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাত্রীদের পারাপারে সুরক্ষা দিতেই উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হিঙ্গলগঞ্জে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছিল লঞ্চ। কিন্তু, যাত্রী পরিষেবায় তা ব্যবহার করা হয়নি। গত পাঁচ বছর ধরেই সেই লঞ্চ পড়ে পড়ে নষ্ট হতে বসেছে। সরকারি অর্থের এমন ‘অপচয়’ নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারকে তুলোধনা করেছেন। তৃণমূল সরকারের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষও।

    ৪০ লক্ষ টাকা জলে! (North 24 Parganas)

    হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের (North 24 Parganas) নেবুখালি ও দুলদুলি জেটিঘাটের মধ্যে যাত্রী পারাপারের জন্য লঞ্চ পরিষেবা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নৌকো করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার বন্ধ করার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই মতো ২০১৯ সালের শেষ দিকে রাজ্যের পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে একটি লঞ্চ পাঠানো হয় হিঙ্গলগঞ্জে। কিন্তু, পাঁচ বছর হতে চলল এক দিনও ওই লঞ্চ যাত্রী পারাপারের কাজে লাগানো হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে হিঙ্গলগঞ্জ বিডিও অফিসের পাশের খালে রাখা রয়েছে লঞ্চটি। সেখানে পড়ে থেকে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে লঞ্চটি। লঞ্চের বেশিরভাগ অংশ ভেঙে গিয়েছে। নদীতে জোয়ার হলে অর্ধেকের বেশি অংশ জলে ডুবে থাকে। ভাঙাচোরা লঞ্চের ভিতরে পলি জমে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এই ভাবে ৪০ লক্ষ টাকা জলে দেওয়ার কোনও মানে হয় না। এই লঞ্চ যখন কাজে লাগল না, তখন অন্য এলাকার জন্য বরাদ্দ করে দেওয়া দরকার ছিল। তাহলে আর ৪০ লক্ষ টাকা জলে যেত না।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    লঞ্চ যখন আনা হয়, সে সময়ে হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সহ সভাপতি ছিলেন সুদীপ মণ্ডল। বর্তমানে তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। তিনি বলেন, “দুলদুলির দিকে ভাসমান জেটিঘাট থাকলেও নেবুখালির দিকে ভাসমান জেটিঘাট আজও হয়নি। এই লঞ্চ ভাসমান জেটিঘাট ছাড়া ব্যবহার করা যায় না। তাই রক্ষণাবেক্ষণ করাও সম্ভব হয়নি।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা গোবিন্দ অধিকারী বলেন, “তৃণমূল (Trinamool Congress) দুর্নীতি, স্বজনপোষণ ও ব্যক্তিস্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝে না। লঞ্চ হলে নেবুখালি-দুলদুলির মধ্যে নদী পারাপার অনেক বেশি আরামপ্রদ ও নিরাপদ হত। কিন্তু এই সরকার সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষের কথা ভাবে না। সরকারি সম্পত্তি যারা নষ্ট করল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: সরকারি জমি দখলে জড়িত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, অবশেষে গ্রেফতার

    Darjeeling: সরকারি জমি দখলে জড়িত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ, অবশেষে গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখল নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই হুঁশ ফিরল পুলিশ-প্রশাসনের। অবশেষে সরকারি জমি দখলের অভিযোগে সোমবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার হলেন দার্জিলিং (Darjeeling) জেলার নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা আশরফ আনসারি। বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নকশালবাড়ি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় জমি কারবারের সঙ্গে যে তৃণমূল নেতারা জড়িত তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল।

    কেন গ্রেফতার? (Darjeeling)

    জানা গিয়েছে, জমি কারবারে যুক্ত থাকার অভিযোগে তৃণমূল নেতা গৌতম গোস্বামীকে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছে। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি (Darjeeling) ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি ছিলেন। সোমবার ফের তৃণমূল নেতা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সভাঘর থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকায় জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এরপরই গত ১২ জুলাই নকশালবাড়ির সেবদেল্লা মৌজায় ধৃত তৃণমূল নেতা সহ কয়েকজনের নামে সরকারি জমি দখলের বিষয়ে নকশালবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্থানীয় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে প্রথমে ১৯ জুলাই শিলিগুড়ি থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর সোমবার গ্রেফতার করা হয় নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আশরফ আনসারিকে।

    আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ রুখতে অভিযান সেনার, জখম এক জওয়ান

    ধৃত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    ধৃত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Darjeeling) পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আশরফ আনসারি বলেন, “আমাকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি নাকি জমির দালাল। আসলে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করেছি বলেই আমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অসুবিধায় পড়ে আমাকে গ্রেফতার করিয়েছে। আমাকে পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে।”

    দাঁড়কাককে বাঁচানোর চেষ্টা!

    শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “একই কথা বারবার বলার যে দক্ষতা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রয়েছে তা অনস্বীকার্য। তৃণমূলের (Trinamool Congress) ছোট ছোট কাককে গ্রেফতার করে দাঁড়কাককে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আমি ২০২৬ সালে এই মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের সমস্ত কাক ও দাঁড়কাকের বিসর্জন দেখতে চাই। ছোট নয় বড় মাথাদের কবে গ্রেফতার করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    Balurghat: সুকান্ত লিড পাওয়ায় বালুরঘাটে বন্ধ নাগরিক পরিষেবা! মহকুমা শাসককে নালিশ পুরবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে পাচ্ছেন না কোনও নাগরিক পরিষেবা। ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অভিযোগ জানাতে গেলেই কাউন্সিলর বলেন সুকান্ত মজুমদারকে বলেন। এমনই অভিযোগ বালুরঘাটের (Balurghat) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত কলোনির বাসিন্দাদের। পুরসভার পরিষেবা না পেয়ে অবশেষে এলাকার বাসিন্দারা দ্বারস্থ হলেন বালুরঘাট মহকুমা শাসকের। সোমবার মহকুমা শাসকের দফতরে এলাকায় পুর পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য ডেপুটেশন দেন এলাকাবাসী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্ত কলোনি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। রাস্তায় ডাঁই হয়ে পড়ে রয়েছে আবর্জনা। রাস্তায় চলাচল করতে সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি রাস্তার আলো বন্ধ থাকছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ এ বিষয়ে পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জানানো হলে তিনি বলছেন, লোকসভা ভোটে সুকান্ত মজুমদারকে ভোট দিয়েছেন, তাঁকে গিয়েই অভিযোগ করুন। জানা গিয়েছে, গত লোকসভা ভোটে বালুরঘাট পুরসভায় ব্যাপক জয় পায় বিজেপি। শুধুমাত্র বালুরঘাট পুরসভার ২৫ টি ওয়ার্ডে ২৫ হাজার ভোটে লিড পান বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত  মজুমদার। এলাকাবাসীদের অভিযোগ সেই কারণেই পরিষেবা বন্ধ রেখেছে বালুরঘাট পুরসভা।  যাতে ওয়ার্ডের কাজ হয় সেই জন্য আমরা মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ জানালাম।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির (BJP) টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ  দত্ত বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জেতার পর বালুরঘাট পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলাররা। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের কাছে কোনও বিষয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে তৃণমূলের কাউন্সিলররা বলেন, সুকান্ত মজুমদারের কাছে যান। এমন অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। যদি পুরসভার চেয়ারম্যান বা কাউন্সিলররা যদি তাঁদের কাজ না করতে পারেন তাহলে পদ ছেড়ে দিন আমরা চালিয়ে নিচ্ছি সব।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থাকা কাউন্সিলর মুনমুন কর বলেন, এটা পুরোটা মিথ্যে অভিযোগ। বিজেপি আলোতে থাকার জন্য এই নোংরা কাজটা করছে। আমাদের পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে কাজ ঠিকঠাক হয়। আর আমাদের কোনও কাউন্সিলর এমন কথা বলেনি বলেই আমার বিশ্বাস। এটা বিজেপির (BJP) চক্রান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    Saumitra Khan: “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চাইছেন মমতা”, তোপ দাগলেন সৌমিত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের পশ্চিমবঙ্গে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন বিজেপি (BJP) সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। তৃণমূল নেত্রীকে তুলোধনা করলেন। একইসঙ্গে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও কড়া করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন।

    ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? (Saumitra Khan)

    বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan) বলেন, “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর ডাক দিয়েছেন মমতা। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, অবিলম্বে বিএসএফকে সতর্ক করা হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সতর্ক করা হোক। যাতে একটাও রোহিঙ্গাও ঢুকতে না পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে গ্রেটার বাংলাদেশ তৈরি করবেন, ২১ জুলাই তিনি এই বার্তা দিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভারতের গণতন্ত্র প্রশ্নের মুখে পড়বে। ভারতবর্ষ কোনও পান্থশালা নয়, যে কেউ আসবে খাবে আর চলে যাবে। বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের কোনও মতে প্রবেশ করতেআমরা দেব না। সেজন্য আমরা প্রাণ দিতে রাজি আছি। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি লিখব যে অবিলম্বে সীমান্তে পাহারার কড়াকড়ি করা হোক। নইলে ভারতবর্ষের বড়ই বিপদ।”

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    ঠিক কী বলেছিলেন মমতা?

    রবিবার ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে মমতা বলেন, “বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা নিশ্চিত ভাবে আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তাহলে তার পাশের এলাকাকে সেই বিষয়টা সম্মান জানাতে হবে। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা যেন কোনও অশান্তি না করি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। তবে তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করল বিজেপি (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: উৎসবের মেজাজে মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন তৃণমূল কর্মীদের

    TMC 21 July: উৎসবের মেজাজে মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২১ জুলাইয়ের দিন যেখানে শহিদদেরকে সামনে রেখে তাঁদের মূর্তির নিচে মাল্যদান করছেন, শোক প্রকাশ করছেন, সেখানেই একাধিক জায়গায় ভিন্ন চিত্র ধরা পড়ল। কোথাও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ভোজপুরি গানের সঙ্গে অশ্লীল নাচ করতে দেখা গিয়েছে। আবার কোথাও মদ-মাংস খেয়ে শহিদ দিবস উদযাপন করেছেন শাসক দলের কর্মীরা। শহিদ দিবসের দিনে এই ধরনের ঘটনা প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে দলকে। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) সঙ্গে কয়েকশো যোজন পার্থক্য এদিনের একুশের জুলাইয়ের।

    উৎসবের মেজাজে তৃণমূল কর্মীরা, আসরে মদের ফোয়ারা (TMC 21 July)

    রবিবারের সকালে ধর্মতলায় শহিদ (TMC 21 July) সমাবেশে যোগদান করতে সকাল থেকেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়েছিল। হাওড়া ব্রিজ, ফেরিঘাট, হাওড়া (Howrah) স্টেশন, এমনকী দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে যানজট ছিল। বেলা গড়াতে ভিড় বাড়তে থাকে এতটাই যে দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকেই অনেকে গাড়ি ঘোরাতে বাধ্য হয়েছেন। কারণ, তাঁরা বুঝতে পেরে যান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আর ধর্মতলা পৌঁছতে পারবেন না। ফলে, মন খারাপ হয় অনেক কর্মীদেরই। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বাস রাখার ব্যবস্থা হয়েছিল হাওড়ার সাঁতরাগাছি বাস ট্রার্মিনালে। সেখানেই দুপুরের খাওয়ার জন্য রান্না-বান্না করতে হয়। সেখানেই দেখা গেল, উৎসবের মেজাজে আসরে মাংস-মদের ফোয়ারা ছোটাচ্ছেন অনেকে। কেউ গাড়ির নিচে বসে, কেউ আবার প্রকাশ্যে বসে মদ্যপান করছেন। অথচ তাঁরাই নাকি শহিদ তর্পণে বেরিয়েছিলেন। নেশায় বুঁদ হয়ে অনেকে আবার কথাও বলতে পারছেন না।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

     হাও়ড়ার (Howrah) সাঁতরাগাছি ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়ে তৃণমূল কর্মীদের চটুল নাচ করতে দেখা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ব্লকের কুলটি এলাকা থেকে বাসে করে ধর্মতলায় শহিদ দিবসে যাওয়ার জন্য রওনা হন তৃণমূল কর্মীরা (TMC 21 July)। সঙ্গে ছিল সাউন্ড সিস্টেম ও নৃত্য শিল্পীরা। যাওয়ার পথে হাতিশালা সিক্সলেনের কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভোজপুরি গান চালিয়ে চলল অশ্লীল নাচ। সঙ্গ দিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মূলত, একুশে জুলাই শহিদদেরকে তর্পণ জানানো হয়। এটা অন্যতম একটি কষ্টের দিন হিসেবে চিহ্নিত। আর সেখানেই কিনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে নৃত্যশিল্পীদের গা দোলানো ও এই অশ্লীল নৃত্য কোনওভাবেই ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    South 24 Parganas: “বিজেপি করে বলেই পিটিয়ে খুন করেছে তৃণমূল”, দাবি পরিবারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মহেশতলায় বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম তাপস মণ্ডল। বয়স আনুমানিক ৩৬ বছর। তাঁর বাড়ি মহেশতলা পুরসভার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাছারি বাগান এলাকায়। পরিবারের  দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (South 24 Parganas) সামনে ওই বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁর বাড়ির লোককে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবকের পরিবারের সদস্যরা বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিজেপি কর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বিজেপি কর্মীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, ২০২৩ সালে দোলের দিনেও তাপসকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি (BJP) করে বলেই তৃণমূলের লোকজনরা তাকে মারধর করেছে। এই বিষয়ে থানায় তখন অভিযোগ করা হয়েছিল। তাতে পুলিশ পদক্ষেপ নেয়নি। এবারও তৃণমূলের লোকজনই তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে। ইতিমধ্যে পরিবারের পক্ষ থেকে মহেশতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মহেশতলা থানার তদন্তকারী আধিকারিকরাও তদন্ত শুরু করে মৃত্যুর সঠিক কারণের সন্ধানে তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছেন। বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের বক্তব্য,  এর আগেও তৃণমূল ওর ওপর হামলা করেছিল। আমরা চাই, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে পুলিশ দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।

    আরও পড়ুন: ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের ঠাঁই দেওয়ার ভয়ংকর পরিকল্পনা’ মমতার মন্তব্যের বিরোধিতায় বিজেপি

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলা হবে। ওই বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! সরকারি জমিতে রমরমিয়ে চলছে তৃণমূলের পার্টি অফিস

    North 24 Parganas: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! সরকারি জমিতে রমরমিয়ে চলছে তৃণমূলের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি জমি দখলমুক্ত করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু, সেই নির্দেশ কি আদৌ মানা হচ্ছে। অন্তত উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) জেলা সদর বারাসতের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ছবিটা তা বলছে না। পুর প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর ধরে সরকারি জমিতে শাসক দলের কার্যালয় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস রমরমিয়ে চলছে। সঙ্গে রয়েছে সিপিএম, ফরওয়ার্ড ব্লকের পার্টি অফিসও।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন? (North 24 Parganas)

    সরকারি জমি জবর দখল করে যে সব দোকান গজিয়ে উঠেছে, তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জবরদখলকারীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু, শাসক দলের কার্যালয় উচ্ছেদ করার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রশাসনের ভূমিকা। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের (Trinamool Congress) শ্রমিক সংগঠনের বারাসত (North 24 Parganas) জেলার সহ- সভাপতি অতনু ঘোষ বলেন, সাধারণ মানুষের স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমাদের সকলের উচিত সেই নির্দেশ মেনে চলা। আর পার্টি অফিসটি তৈরির একটা ইতিহাস রয়েছে। ওখানে কাউন্সিলরদের বসার কোনও জায়গা ছিল না। আমিই উদ্যোগ নিয়ে তৎকালীন পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবগত করি। পরবর্তীকালে ওখানে তৃণমূলের একটি পার্টি অফিস তৈরি হয়। যেটা পুরসভার জমিতে রয়েছে। তৃণমূল কার্যালয় হলেও ওই অফিস থেকে সাধারণ মানুষের পরিষেবা দেন স্থানীয় কাউন্সিলর।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের কী বক্তব্য?

    ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা (North 24 Parganas) সম্পাদক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা থেকে অনুমতি নিয়েই আমরা আমাদের পার্টি অফিস চালু করেছি। পুর আইন অনুযায়ী কোনও জায়গায় ছাদ দিতে গেলে পুরসভার অনুমতি লাগে। কিন্তু, শেডের ক্ষেত্রে লাগে না। ওখানে যতগুলি পার্টি অফিস রয়েছে, কারও চালে ছাদ নেই শেড রয়েছে। তা সত্ত্বেও পুরসভা কিংবা সরকার যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা তো সকলকেই মানতে হবে। আলোচনা করতে চাইলে আমরা তাতে সহযোগিতা করব। তবে, তৃণমূলের (Trinamool Congress) পার্টি রেখে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙা চলবে। ভাঙলে সবার ভাঙতে হবে। একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা নেতা আহমেদ আলি খানের গলাতেও। তিনি বলেন, সরকারি কিংবা অন্য কারও জমিতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করার অনুমোদন দেয় না পার্টি। যদি কোথাও এরকম হয়ে থাকে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC 21 July: শহিদ দিবস! রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

    TMC 21 July: শহিদ দিবস! রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই ২১ জুলাইয়ের (TMC 21 July) শহিদ দিবসকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু, তার মধ্যে এক ভিন্ন ছবি ধরা পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার ভাঙরের হাতিশালা এলাকায়। বাস থামিয়ে শহিদ দিবসে যাওয়ার পথে অশ্লীল নৃত্য তৃণমূল কর্মীদের। এই তৃণমূল কর্মীরা বাসে করে উত্তর ২৪ পরগনা থেকে আসছিলেন বলে জানা গিয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শহিদদেরকে সামনে রেখে তাঁদের মূর্তির নিচে মাল্যদান করছেন, শোক প্রকাশ করছেন, সেখানেই তাঁরই দলের কর্মী-সমর্থকদের এমন অশ্লীল নৃত্য, প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে দলকে।

    ভোজপুরি গানে অশ্লীল নাচ তৃণমূল কর্মীদের (TMC 21 July)

    উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ব্লকের কুলটি এলাকা থেকে বাসে করে ধর্মতলায় শহিদ দিবসে যাওয়ার জন্য রওনা হন তৃণমূল কর্মীরা (TMC 21 July)। সঙ্গে ছিল সাউন্ড সিস্টেম ও নৃত্য শিল্পীরা। যাওয়ার পথে হাতিশালা সিক্সলেনের কাছে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভোজপুরি গান চালিয়ে চলল অশ্লীল নাচ। সঙ্গ দিলেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শহিদ দিবসের দিনেও আনন্দ করতে করতে যাচ্ছি, বললেন তৃণমূল নেতারা। মূলত, একুশে জুলাই শহিদদেরকে তর্পণ জানানো হয়। এটা অন্যতম একটি কষ্টের দিন হিসেবে চিহ্নিত। আর সেখানেই কিনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সাউন্ড সিস্টেমের সঙ্গে নৃত্যশিল্পীদের গা দোলানো ও এই অশ্লীল নৃত্য কোনওভাবেই ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল।

    আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে দেখলেই গুলি চালানোর নির্দেশ সেনাকে! শনিবারও নিহত ৭

    ছবি ঘিরে নিন্দার ঝড়

    ইতিমধ্যেই এই ছবি ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে সর্বত্র। এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুণাভ দাস বলেন, একুশে জুলাইকে (TMC 21 July) সামনে রেখে চোরেদের মিটিং। এটা কে কত খাবে, কে কত সেটিং করবে, আর সেখানে এই ধরনের নৃত্যই তো কাম্য। তৃণমূলের থেকে এর থেকে আর বেশি কিছু আশা করা যায় না। অন্যদিকে সমাজের বিশিষ্টজনদের মতে এই ছবি শুধু নিন্দারই যোগ্য নয়, বরং আজকের এই বিশেষ দিনটিকেও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কালিমালিপ্ত করা হল। শহিদদের অপমান করা হল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share