Tag: Trinamool Congress

Trinamool Congress

  • Balurghat: নাগরিক পরিষেবা বন্ধ রাখা তৃণমূল কাউন্সিলরকে ‘শিক্ষা’! বাড়ির সামনে জঞ্জাল ফেললেন পুরবাসী

    Balurghat: নাগরিক পরিষেবা বন্ধ রাখা তৃণমূল কাউন্সিলরকে ‘শিক্ষা’! বাড়ির সামনে জঞ্জাল ফেললেন পুরবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ২৫টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৫০০০ ভোটে লিড পান বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। ফল ভালো হওয়ায় বালুরঘাট পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলার প্রলয় সরকার। এলাকার যেখানে সেখানে নোংরা আবর্জনা পড়ে থাকত। তাতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন এলাকার মানুষ। নাগরিক পরিষেবা ঠিক করার জন্য বারবার বলা হয়েছিল কাউন্সিলরকে। কিন্তু, কর্ণপাত করেননি তিনি। দিনের পর দিন ওয়ার্ডের জঞ্জাল পরিষ্কার না হওয়ায় শনিবার ওয়ার্ডের জঞ্জাল তুলে তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে ফেললেন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। এই ঘটনায় শহর জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন? (Balurghat)

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, লোকসভা নির্বাচনে কে কাকে ভোট দিয়েছেন তা আমাদের জানা নেই। বালুরঘাট (Balurghat) কেন্দ্রে বিজেপির সুকান্ত মজুমদার জয়ী হওয়ার পর থেকে এই ধরনের আচরণ দেখা দিয়েছে। দিনের পর দিন কাউন্সিলরকে জঞ্জাল পরিষ্কারসহ পুর পরিষেবার কথা জানানো হলেও কোনও কাজ করেন নি। বাধ্য হয়ে আমরা এই কাজ করলাম। আগামীদিনে যদি কাউন্সিলর নোংরা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ না করেন তাহলে আমরা আবার কাউন্সিলরের বাড়ির সামনে এভাবেই নোংরা ফেলে যাব।

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    তৃণমূল কাউন্সিলর কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয়ে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (Trinamool Congress) কাউন্সিলর প্রলয় সরকার বলেন, ২১ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ দিবস পালনে জেলার সব নেতৃত্ব কলকাতায় থাকায় বিজেপি এই নোংরা খেলাটি খেলেছে। আমার ওয়ার্ড প্রতিদিন পরিষ্কার করা হয়। ওরা মিথ্যা অভিযোগ করছে। সবই বিজেপির চক্রান্ত।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই বিষয়ে বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, লোকসভা নির্বাচনে বালুরঘাট পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিজেপি ভালো ফল করেছে। বেশ কিছু ওয়ার্ডের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলররা (Trinamool Congress)। যেমন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে গত এক মাস ধরে কোনও আবর্জনা পরিষ্কার করছেন না কাউন্সিলর। আমরা এই নিয়ে সোমবার প্রমাণসহ মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশন দেব। এই বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান  ইনচার্জ মুনমুন কর বলেন, পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দিনে দুবার নোংরা পরিষ্কার করা হয়। পুরোটা মিথ্যে কথা। বিজেপি রাজনীতি করার জন্য এসব করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে না গেলে আইসিডিএস কর্মীদের জরিমানার ফতোয়া জারি তৃণমূল নেতার

    Murshidabad: ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে না গেলে আইসিডিএস কর্মীদের জরিমানার ফতোয়া জারি তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাই সমাবেশে আইসিডিএস কর্মীদের যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠল হুমায়ুন কবীর নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর সমাবেশে না গেলে দাবি মতো জরিমানা দিতে হবে। এমনই ফতোয়া জারি করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার আমতলা এলাকায়। এই ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    শহিদ সমাবেশের জন্য আইসিডিএস সেন্টার থেকে জোর করে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠল হুমায়ুন কবীর নামে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির সমস্যা। ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বিডিও এবং সিডিপিওর দ্বারস্থ হয়েছেন এক আইসিডিএস কর্মী। অভিযোগ পত্রে ফরাক্কার (Murshidabad) আমতলার ৬০ নম্বর কেন্দ্রের অঙ্গনওয়ারি কর্মী মহাশ্বেতা ঘোষ অভিযোগ করেছেন, “আমতলার  তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা রোজিনা খাতুনের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীর বারবার আমাকে শহিদ সমাবেশে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। সমাবেশে না যাওয়ার কথা বললে জরিমানা বাবদ ১৫০০ টাকা দাবি করেন।” পরে, তিনি আরও বলেন, “ফরাক্কা এলাকায় আরও একাধিক আইসিডিএস কর্মীর কাছে ওই তৃণমূল নেতা জরিমানা  করেছেন। কারও কাছে দুহাজার টাকা, কারও কাছে আবার আড়াই হাজার টাকা দাবি করেছেন। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে হুমকি এবং মারধরের চেষ্টা করেন ওই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। তাতেই কার্যত আতঙ্কিত হয়ে নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে শহিদ সমাবেশের জন্য আইসিডিএস সেন্টার থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠলেও অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা ওই আইসিডিএস কর্মীর বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, “এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে আইসিডিএস কর্মী সেন্টার ঠিক মতো চালান না। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের প্রচুর অভিযোগ রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • TMC Conflict: দলেরই নেতার হাতে মার খেলেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC Conflict: দলেরই নেতার হাতে মার খেলেন তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের জেলা সভাপতি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাইয়ের ঠিক আগেই পার্টি অফিস চত্বরে নিজেদের মধ্যে মারপিটে জড়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা স্তরের দুই নেতা। তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের (মাধ্যমিক) জেলা সভাপতি ভাস্কর মজুমদারের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই জেলা সাধারণ সম্পাদক অনুপ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। তিনি আবার প্রাক্তন ডিপিএসসির চেয়ারম্যানও। তিনি হাইস্কুলের ক্লার্কে চাকরি করেন। প্রকাশ্যে জেলার দুই নেতাকে মারপিট করতে দেখে সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের কোন্দল (TMC Conflict) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (TMC Conflict)

    শুক্রবার বিকেলে একুশে জুলাইয়ের জন্য একটি বাসে করে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা হতে দলের জেলা কার্যালয়ে এসেছিলেন। সেখানে দলের জেলা নেতারা ওই কর্মীদের জল ও শুকনো খাবার তুলে দেন। ওই কর্মসূচি চলাকালীন দলের জেলা কার্যালয় চত্বরে ভাস্কর মজুমদার ও অনুপ চক্রবর্তী দুজনেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের বচসার মূল বিষয়বস্তু ছিল, কে স্কুলে যান, কে স্কুলে যান না, তা নিয়ে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুই নেতা। পরবর্তীতে যা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়িয়েছে। ভাস্করবাবুর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অনুপবাবুর বিরুদ্ধে। শাসকদলের জেলার দায়িত্বশীল নেতাদের মধ্যে প্রকাশ্যে এই ধরনের মারধরের ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় জেলা নেতৃত্ব। হাতাহাতির ঘটনার সময় দুই নেতাকে সামাল দিতে শাসকদলের অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা এগিয়ে আসেন। দুজনকেই শান্ত করার চেষ্টা করেন তাঁরা। ভাস্করবাবু বলেন, “সামান্য কথা নিয়ে বচসা হয়। অনুপবাবু আচমকা আমার ওপর হামলা চালায়।” অন্যদিকে, অনুপবাবু বলেন, “ভাস্করবাবু আমাকে মারতে এগিয়ে আসেন। আমি তাতে বাধা দিয়েছি। হামলা চালাইনি।”

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    যদিও বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক মহল থেকে শহরের আনাচে-কানাচে এখন একটাই চর্চা, নেতারাই যদি আক্রান্ত হন, সাধারণ কর্মীদের নিরাপত্তা কোথায়? বিজেপির জেলা সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, “শাসক দলের নিজেদের গোষ্ঠী কোন্দল এতটাই চরমে যে আলিপুরদুয়ারে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। রাজ্যজুড়েই ওরা নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক।” তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা (Alipurduar) সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন,”দুজনের কাছেই অভিযোগ শুনেছি কেন এমন ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘রাজ্যে হিন্দুদের ভোট দিতে দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘রাজ্যে হিন্দুদের ভোট দিতে দিচ্ছে না তৃণমূল সরকার”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পুলিশ প্রশাসনকে সামনে রেখে তৃণমূল বিধানসভা উপনির্বাচনের আগেরদিন হিন্দুদের বেছে বেছে বাড়ি ভাঙচুর করেছে। ভোটের দিন দুপুরে হিন্দু ভোটারদের গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধু বিজেপি নয়, হিন্দু ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না।” শুক্রবার নদিয়ার পায়রাডাঙ্গায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করে একথা বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, পুলিশকে সামনে রেখে তৃণমূলের জেহাদিরা এসব করে বেড়াচ্ছে। এসব বেশিদিন চলতে পারে না। আক্রান্তদের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এসেছিলাম। আমাদের স্পষ্ট বার্তা, স্বৈরাচারী মমতার সরকারের অবসান করতে হবে। এরজন্য হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

    শুভেন্দুকে বাধা তৃণমূলের (Suvendu Adhikari)

    বিধানসভা উপনির্বাচনের আগে রানাঘাট এবং গাংনাপুর এলাকার বিভিন্ন বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং তাঁদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়িতে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি যখন গাংনাপুরে গিয়ে পৌঁছান, ঠিক তখনই তৃণমূলের পতাকা নিয়ে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী তাঁকে ঘিরে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পাশাপাশি কালো পতাকা দেখানো হয়। এরপরই দেখা যায়, গাড়ি থেকে নেমে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর প্রতিবাদ জানান। প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখালেও পুলিশ নীরব দর্শক ছিল বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: ৬ মাস আত্মগোপনের ছক কষেছিলেন সোনারপুরের জামাল! অবশেষে গ্রেফতার

    তৃণমূল-পুলিশকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “এটা তৃণমূলের কালচার। আমাকে ওরা আক্রমণ করেছিল। ভেবেছিল আমি ভয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাব। কিন্তু, আমি একা তার প্রতিবাদ করেছি। ওদের বিক্ষোভ রুখে দিয়েছি। পুলিশের সামনেই সব কিছু হয়েছে। ওরা কিছু করেনি। আসলে গাংনাপুর থানার ওসি সম্পূর্ণ বিষয়টি সামনে থেকে করিয়েছেন। আমি সকলকে চিহ্নিত করব এবং গাংনাপুর থানার ওসির বিরুদ্ধে আদালতে জানাব। আমি কোনওভাবেই এই ধরনের নোংরামো সহ্য করব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ১০ বছরে রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক কোনও কাজ করেননি, বললেন দলেরই নেতা

    Murshidabad: ১০ বছরে রেজিনগরের তৃণমূল বিধায়ক কোনও কাজ করেননি, বললেন দলেরই নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২১ জুলাইয়ের আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রেজিনগর বিধানসভায় তৃণমূলের কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এল। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল বিধায়ক এবং দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন। যা নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (Murshidabad)

    বেলডাঙ্গা-২ নম্বর (Murshidabad) ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি আতাউর রহমান দলের বিধায়ক রবিউলআলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে টেন্ডারের দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বলেন,  দুর্নীতির কোনও অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে বিধায়ক পদ ছেড়ে দেব। আসলে ওই তৃণমূল নেতার স্ত্রী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তিনি অবৈধভাবে টেন্ডার প্রক্রিয়া করতে চাইছেন। যার ফলে বেলডাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের টেন্ডারে অনিয়ম হচ্ছে। উন্নয়নের থমকে গিয়েছে। যদি তাঁদের মন মতো টেন্ডার না হয় তাহলে তাঁরা বাতিল করছেন। ফেরিঘাটে টেন্ডার করা হয়নি। এর দায় পঞ্চায়েত সমিতির। যতদিন থাকব এই অবৈধ টেন্ডার মেনে নেব না, তারজন্য যেখানে যা করার দরকার আমি করব। ভাটির ব্যবসা, থানার দালালি যে দলের লোক করুক না কেন, যদি আমাদের দলের লোকও করে থাকে তাদের জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা আমি করব।

    আরও পড়ুন: পুলিশের নাকের ডগায় মাছের ভেড়িতে আত্মগোপনে সাদ্দাম, তিনদিন পর গ্রেফতার

    ১০ বছরে বিধায়ক কোনও কাজ করেননি!

    বিধায়কের সাংবাদিক বৈঠকের পর পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের (Trinamool Congress) বেলডাঙ্গা ২ নম্বর ব্লকের (Murshidabad) প্রাক্তন সভাপতি আতাউর রহমান। তিনি বলেন, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিধায়ক তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে ভোট করেন নি। বিধায়কের চোখের সামনেই দুর্নীতি হচ্ছে, তিনি চোখ বন্ধ করে আছেন। বিধায়কের (Trinamool Congress) উন্নয়ন তহবিলের টাকার কাজের নিয়ম মতো টেন্ডার হচ্ছে না। তিনি রবিউল আলামের কাজ নিয়েও অনেক প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, সরকার প্রতিবছর বিধায়কদের ৬০ লক্ষ টাকা করে উন্নয়ন খাতে দেন। বিগত  দশ বছরের ব্যবধানে আমরা দেখতে পাইনি কোনও পঞ্চায়েতে বা কোনও ব্লকে বিধায়ক তহবিলের টাকায় কাজ হয়েছে। বিগত ১০ বছর কোথায় কাজ করেছেন তার কোনও প্রমাণ আমাদের কাছে নেই। এখন অনলাইন ব্যবস্থা হওয়ার পর আমরা জানতে পারি বিধায়কসাহেব যে বছরের ৬০ লক্ষ টাকা পান, সেটা আন্ডারটেকিং ওয়েস্ট বেঙ্গল এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে টেন্ডার করানো হচ্ছে। তবে, এই টেন্ডার কবে হচ্ছে কোথায় হচ্ছে? কে কাজ পাচ্ছেন? সেই কাজ দেখভালের জন্য ইঞ্জিনিয়ার কবে আসছেন, কাজের পরিধি কী রয়েছে তার কোন কিছুই জানা নেই।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Kalna: ক্ষমতার দম্ভ! কালনা রাজবাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর বুকে ‘ধাক্কা’ তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানের

    Kalna: ক্ষমতার দম্ভ! কালনা রাজবাড়ির নিরাপত্তারক্ষীর বুকে ‘ধাক্কা’ তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’। নিরাপত্তা কর্মীকে সজোরে ধাক্কা! ফের বিতর্কে কালনা (Kalna) পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। শুধু ধাক্কা দিয়েই শান্ত হননি চেয়ারম্যান,ওই কর্মীকে গালিগালাজও করেন বলে অভিযোগ। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল সেই ভিডিও। নিন্দায় সরব বিরোধী শিবির।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalna)

    কালনা (Kalna) পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। সম্প্রতি তাঁর অপসারণের দাবিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, তিনি কোনও কাজ করেন না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ময়দানে নামতে হয়েছিল খোদ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এবার ফের বিতর্কে পুর চেয়ারম্যান। জানা গিয়েছে, ভারতীয় সর্বেক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে কালনা রাজবাড়ির লালাজি এবং কৃষ্ণচন্দ্র মন্দির। যার দেখভাল ও নিরাপত্তার দায়িত্বে পুরাতত্ত্ব বিভাগ। গতকাল রাজবাড়ির একটি মন্দিরের একটি ভোগের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে জলের জার নিয়ে একটি টোটো ঢুকতে গেলে বাধা দেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিরাপত্তা রক্ষীরা। তাঁরা জানান যে, নিয়ম অনুযায়ী টোটো রাজবাড়ির ভিতরে ঢুকবে না। এই নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বর্ধমান রাজবাড়ি চত্বরে পুরাতত্ত্ব বিভাগের এক নিরাপত্তা কর্মীকে রীতিমতো ধাক্কাধাক্কি করছেন চেয়ারম্যান। একটি টোটোকে টানাটানি করতেও দেখা যায় ভিডিওতে। সেই ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী থেকে তারই দলের কালনার বিধায়ক সকলেই। পুরাতত্ত্ব বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা পুরো বিষয়টি রিপোর্ট আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট 

    তৃণমূলের চেয়ারম্যানের পাশে নেই দলেরই বিধায়ক

    এবিষয়ে তৃণমূল (Trinamool Congress) বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, “একজন জনপ্রতিনিধির কখনই এরকম আচরণ কাম্য নয়। কারণ মানুষ তো সমস্যায় পড়লে জনপ্রতিনিধিদের কাছেই আসে। কখনও প্রশাসনের কাছে যায়। জনপ্রতিনিধিদের (Trinamool Congress) সংযত থাকা উচিত। তাঁর এই ধরনের আচরণ করা উচিত হয়নি। দলও এই কাজ সমর্থন করে না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বলেন?

    বিজেপি নেতাদের কথায়, “এই আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। শাস্তি পাওয়া উচিত।” এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আনন্দ দত্তের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Nadia: স্কুলে ছুটি হলেই বসত মদের আসর! তৃণমূল নেতার ছেলে ও সিভিকের পর্দাফাঁস করলেন শিক্ষক

    Nadia: স্কুলে ছুটি হলেই বসত মদের আসর! তৃণমূল নেতার ছেলে ও সিভিকের পর্দাফাঁস করলেন শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার ছেলে ও সিভিক ভলান্টিয়ার মিলে স্কুল ছুটি হলেই চালাতেন মদের আসর। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) বগুলা বাজার জিএসএফটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Nadia)

    জানা গিয়েছে, বগুলার (Nadia) এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ৩৮। আর শিক্ষক রয়েছেন চারজন। স্কুলের চাবি থাকে পাশের একটি দোকানদারের কাছে। ঘটনার দিন স্কুল ছুটির পর সমস্ত শিক্ষক বাড়ি চলে যান। স্কুলের কিছু কাজের জন্য পুনরায় ফিরে আসতে হয় শিক্ষক বিমান মিদ্দাকে। বিমানবাবু স্কুলে ঢুকতেই থ হয়ে যান। তিনি  বলেন, “ওইদিন স্কুলের ছুটি হয়ে গেলে আমি কিছু কাগজপত্র জেরক্স করার জন্য বেরিয়েছিলাম। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অফিস ঘরে তালা মেরে চাবি পাশের একটি দোকানে রেখে যান। পরবর্তীকালে আমি জেরক্স করে স্কুলে ঢুকতেই দেখি, একজন সিঁড়ি দিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে আসছেন। অফিস ঘরে ঢুকেই দেখি, সেখানে মদের আসর বসেছে। টেবিলের ওপর কিছু খাবারও রাখা ছিল। আমাকে দেখেই ওরা মদের আসর ছেড়ে সকলেই অফিস থেকে পালিয়ে যান। সেখানে একজন স্থানীয় তৃণমূল নেতার ছেলে এবং একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। আমি পুরো বিষয়টি পরবর্তীকালে ভিডিও করি। প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

    প্রধান শিক্ষক কী সাফাই দিলেন?

    এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সঞ্জীব কুমার ঠাকুর বলেন, “আমি কিছুদিন আগে এখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছেন। চাবি আগে থেকেই ওই দোকানে রাখা হত।” নদিয়ার (Nadia) হাঁসখালি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক তন্দ্রা ঘোষ বলেন, “বিষয়টি আমিও জানি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।” স্কুল থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    হাঁসখালি পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্য বিজেপির আনন্দ কবিরাজ বলেন, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর আছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতার ছেলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত ওই স্কুলে মদের আসর বসাত। এর থেকে লজ্জার আর কী থাকতে পারে।” তৃণমূলের (Trinamool Congress) হাঁসখালি-২ সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি শিশির রায় বলেন, “এমন কোনও ঘটনার কথা জানা নেই। খোঁজ না নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়ির ফুটপাথ দখল করছেন মেয়র! ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

    Siliguri: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য! শিলিগুড়ির ফুটপাথ দখল করছেন মেয়র! ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে শিলিগুড়িতে ফুটপাথ দখল করে দোকান বসানোর অভিযোগ উঠল খোদ শহরের মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যজুড়ে ফুটপাথ দখলমুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। সেখানে শিলিগুড়ির (Siliguri) গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা স্টেশন ফিডার রোডে ফুটপাথ ফুড লেন তৈরির নিয়ে বিতর্কে মেয়র। এক্ষেত্রেও কাটমানির অভিযোগ, তৃণমূল নেতারা টাকার বিনিময়ে এই স্টল বিক্রি করছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    কেন বিতর্ক? (Siliguri)

    মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো শিলিগুড়িতেও (Siliguri) পুরসভা শহরের বেশ কিছু জায়গায় ফুটপাথ সরানো হয়েছে। এনিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসা গরিব মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। একদিকে গরিব মানুষ বেকার করে দেওয়া, অন্যদিকে ফুটপাথে ফুডলেন বানানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করার অভিযোগে বিতর্কে জড়িয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূল নেতা গৌতম দেব।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

      স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও প্রতিবাদে সরব

    শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা স্টেশন ফিডার রোড। এই রাস্তাতেই রয়েছে দমকল কেন্দ্র, একাধিক স্কুল, শিলিগুড়ি থানা। এহেন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার ফুটপাথে ফুডলেন তৈরি করতে ২২ টি স্টল বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভা। সেই মতো ২২ টি চলমান স্টলও আনা হয়েছে। সেই স্টল বসাতে গিয়ে কার্যত বিক্ষোভ ও প্রতিরোধের মুখে পড়েন মেয়র। ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা ফুটপাথ ছেড়ে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এখানে দোকান করে আসছি।  এখন সেখানে ২২ টি স্টল বসিয়ে ফুডলেন করা হলে আমাদের দোকান আড়ালে চলে যাবে। ব্যবসা মার খাবে। ফুডলেনের জন্য অযথা যানজটে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়বে। এর প্রতিবাদ জানাতে আমরা একদিন ওই এলাকার ব্যবসা বনধ রেখেছিলাম। তাতে সাময়িক পিছু হটলেও এখানে ফুডলেন করার সিদ্ধান্তে অনড় মেয়র। এবার ব্যবসায়ীরা আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন।

    ফুডলেনের নামে চলছে তৃণমূলের কাটমানির খেলা!

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এই ফুড স্টল বসানোর উদ্যোগে শিলিগুড়ি পুরসভা মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ নিয়ে কার্যত দ্বিচারিতা করছে। একদিকে ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হচ্ছে গরিব মানুষকে পথে বসিয়ে,আর একদিকে ফুডলেন তৈরির নামে ফুটপাথে স্টল বসানো হচ্ছে। ফুডলেন করতে হলে অন্য কোথাও ফাঁকা জায়গায় করা যেত। আসলে এই দোকান বসানোর পিছনে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের মোটা টাকার খেলা রয়েছে। গরিব মানুষকে পথে বসিয়ে  ফুটপাথ দখলমুক্ত করার চেয়ে সবার আগে বন্ধ করা উচিত জাতীয় সড়কের  ধারে বিভিন্ন জায়গায় নয়ানজুলি বুজিয়ে পেট্রল পাম্প, হোটেল তৈরি করা।  তৃণমূল নেতাদের মদতে এসব চলছে। 

      শিলিগুড়ির মেয়র কী বললেন?

    তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ফুডলেন করা নিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশে অনেকেই অনেক অভিযোগ করছেন। আমি রাজ্য সরকারকে জানিয়েই এই ফুডলেন তৈরি করছি। সব কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে হচ্ছে। ২২ টি স্টল সবার সামনে লটারির মাধ্যমে বন্টন করা হবে। কাটমানির কোনও প্রশ্ন নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lakshmi Bhandar: বিজেপি সমর্থনকারীদের লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা

    Lakshmi Bhandar: বিজেপি সমর্থনকারীদের লক্ষ্মীর ভান্ডার বন্ধ করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) নিয়ে ফের রাজনীতি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। দুদিন আগে কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের এক তৃণমূল নেতা লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে বিজেপিসহ বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ বার্ধক্য ভাতা ও অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের মাথাভাঙা-১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা? (Lakshmi Bhandar)

    ২১-শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা উপলক্ষে মাথাভাঙ-১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফে একটি পথ সভার আয়োজন করা হয়। সেই পথ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে মাথাভাঙা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে তৃণমূল পরাজিত হয়েছে। এটা খুব দুঃখজনক। কিছু মানুষ সারা বছর তৃণমূলের সঙ্গে নাটক করল। তৃণমূল রাত ও দিন এক করে তাদের পরিষেবা দিয়ে গেল। কিন্তু, মানুষকে এত পরিষেবা দেওয়ার পরেও একটা দিন আমাদের সঙ্গে বেইমানি করল। যে হাত দিয়ে সারা বছর আমাদের কাছ থেকে পরিষেবা নিয়ে গেল, সেই হাত দিয়েই মাথাভাঙা শহরে তৃণমূল কংগ্রেসকে গলা টিপে মারলো। যারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে তারা তৃণমূলের সঙ্গে বেইমানি করেছে। তাদের চিহ্নিত করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmi Bhandar) ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিতে হবে। সরকারি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় সেবিষয়ে পুরসভা ও রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হবে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে অপমানজনক মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ চারজনকে বিরত করল হাইকোর্ট

     দিনহাটার তৃণমূল নেতাও ফতোয়া দিয়েছিলেন

    কয়েকদিন আগে দিনহাটা-২ (Cooch Behar) নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দিনহাটা-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার (Lakshmi Bhandar) পেয়েও ভোট দেননি যাঁরা, তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হবে। লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পাওয়ার পরেও তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে, অন্ততপক্ষে আমাদের কিছু জনের নাম লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কেটে দেওয়া দরকার আছে। যে টাকাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছে, যে টাকাটা তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার দিচ্ছে, সেটা নরেন্দ্র মোদির টাকা নয়, তৃণমূল সরকারের টাকা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাল ঠুকছে তৃণমূলের দুই সংগঠন, ভর্তি শিকেয়

    Asansol: আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাল ঠুকছে তৃণমূলের দুই সংগঠন, ভর্তি শিকেয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে (Asansol) কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন বনাম তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির দ্বন্দ্ব। প্রশাসনিক ভবনে অচলাবস্থা তৈরি করেছে ছাত্র সংগঠন। গত সাতদিন ধরে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের দফতরে তালা দিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে তৃণমূল ছাত্রপরিষদ। পাল্টা আন্দোলন করছে তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতি। তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূলের আন্দোলনে ব্যাহত ভর্তি প্রক্রিয়া (Asansol)

    বিশ্ববিদ্যালয়ে (Asansol) তৃণমূলের (Trinamool Congress) দুই সংগঠনের আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবার থমকে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া। যদিও ভর্তি হতে আসা ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকদের একাংশ প্রশাসনিক ভবনে টিএমসিপি-র লাগানো তালা ভেঙে দেন। তাঁরা কী করবেন বুঝতে পারছেন না। দূর থেকে আসা এক অভিভাবকের বলেন, ভর্তি কবে হবে বুঝতে পারছি না। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। অভিভাবকদের দাবি, অবিলম্বে ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কড়া হাতে আন্দোলন দমন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার যাঁরা ভর্তি হতে পারেননি, তাঁদের জন্য অনলাইনের ব্যবস্থা করা হবে।

    তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা বলেন, ছাত্র ভর্তির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (Asansol) বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের খাতে খরচ করা হয়েছে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আইনি খরচ বাবদ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করাহয়েছে। ওই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ফেরত দিতে হবে।  কখন,কোথায়, কী কারণে এই টাকা খরচ করা হয়েছে- তা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে উপাচার্যকে জানাতে হবে। অন্যদিকে, তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের এই আন্দোলনকে ‘বহিরাগতদের আন্দোলন’ বলে অভিহিত করে পাল্টা আন্দোলনে নামে তৃণমূলেরই শিক্ষাবন্ধু সমিতি। প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন সমিতির সদস্যেরা। সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির যুগ্ম সম্পাদক দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনৈতিক দাবি নিয়ে কিছু বহিরাগত ছাত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করতে দেব না।”  পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় বলেন, “আসানসোলের যাঁরা ভালো চান, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে তাঁদের এই আন্দোলন চলছে। আর দল ঠিক করবে কারা প্রকৃত তৃণমূল (Trinamool Congress)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share