Tag: Trinamool

Trinamool

  • BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    BJP: প্রশাসনের কর্মীদের আটকাল তৃণমূল, ময়নাগুড়িতে ঝুলে রইল বোর্ড গঠন, আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) ঠেকাতে মরিয়া চেষ্টা চালায় তৃণমূল। প্রথমে প্রশাসনের কর্মীদের রাস্তা আটকে পঞ্চায়েতে আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। আর তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা পঞ্চায়েত অফিসে না যাওয়ায় বৃহস্পতিবার কার্যত বোর্ড গঠন ঝুলে রইল জলপাইগুড়ির রামশাই গ্রাম পঞ্চায়েতে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বৃহস্পতিবার  দিন ধার্য্য থাকলেও বোর্ড গঠন ঝুলে রইল ময়নাগুড়ি ব্লকের রামশাই অঞ্চলে। এই গ্রামপঞ্চায়েতের মোট আসন ২৪টি। বিজেপি এবং তৃণমূল পেয়েছে ১২ টি করে আসন। টসের মাধ্যমে বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, বোর্ড গঠনের জন্য ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের মাঝ পথেই এদিন তাঁদের আটকে দেয় তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপি (BJP) নেতা কর্মীরা তাদের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বোর্ড গঠনের জন্য আসলেও তৃণমূলের কোনও জয়ী প্রার্থী না আসায় বোর্ড গঠন আপাতত স্থগিত থাকে। এদিকে বিজেপি নেতা কর্মীরা গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে যেতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ জানিয়েছে, ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছে তারা। পুলিশের কথা শুনে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের আন্দোলনের মাত্রা কিছুটা কমিয়ে দেন। তবে, এদিন দুপুর পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন ঝুলে রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) ময়নাগুড়ি ব্লকের উত্তর মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক শান্ত স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, আমরা শান্তিপূর্নভাবে এদিন বোর্ড গঠনের জন্য এসেছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের লোকজন ব্লক অফিসের আধিকারিক এবং কর্মীদের আটকে দেয়। তার ওপর নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এদিন আর বোর্ড গঠন হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গেল। এদিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আমরা এই গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের সামনে অবস্থান করব, যাতে তৃণমূল অন্যায়ভাবে এসে বোর্ড গঠন করতে না পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গ্রেফতার করিয়েও শেষরক্ষা হল না তৃণমূলের, টসে জিতে মেখলিগঞ্জে বোর্ড গঠন বিজেপির

    BJP: গ্রেফতার করিয়েও শেষরক্ষা হল না তৃণমূলের, টসে জিতে মেখলিগঞ্জে বোর্ড গঠন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে পুলিশ বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের পুরানো মামলার সূত্র ধরে গ্রেফতার করে আটকে রাখছে। বোর্ড গঠনের সময় থেকে রাজ্যজুড়ে এই ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতেও বোর্ড গঠনের আগে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। বোর্ড গঠনের এক দিন আগে বিজেপির (BJP) জয়ী সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। বিজেপির সেই জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যই হয়ে গেলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

    কেন গ্রেফতার বিজেপির জয়ী সদস্য?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন গণনাকেন্দ্রের সামনে ঝামেলা করার অভিযোগ ওঠে বিজেপি (BJP) নেতা রমানাথ বর্মনের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগেই সোমবার গভীর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করে হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে জিতে যান তিনি। বিজেপির অভিযোগ, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই পুলিশ তৃণমূলের কথা মতো মিথ্যা মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    কী করে বিজেপি বোর্ড গঠন করল?

    হলদিবাড়ি ব্লকের পার মেখলিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১৪টি। এবার ভোটে বিজেপি (BJP) জয়ী হয়েছে ৭টি, তৃণমূলের দখলে আসে ৬টি আসন এবং ফরওয়ার্ড ব্লক পায় একটি আসন। যদিও পরবর্তীতে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূল ও বিজেপির আসন সংখ্যা সমান সমান হয়ে যায়। সে কারণেই একজন জয়ী প্রার্থীকে গ্রেফতারির পর বিজেপির অভিযোগ ছিল, বোর্ড গঠনে তৃণমূলকে সুবিধা করে দিতেই মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এদিকে ঘাসফুল ও পদ্ম শিবিরের আসন সংখ্যা সমান হয়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত ঠিক হয় টসেই ঠিক হবে প্রধান। সেই টসে জিতে পঞ্চায়েতের প্রধান হয়ে যান বিজেপির জয়ী সদস্য রমানাথবাবু। বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি। উপপ্রধান হয়েছেন ডলি রায়। এদিকে গ্রেফতারির পর পুলিশ রমানাথকে আদালতে তুললে মেখলিগঞ্জ মহকুমা আদালত থেকে তিনি জামিন পেয়ে যান। অংশ নেন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায়। লটারিতে রাতারাতি তাঁর ভাগ্য ফিরে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বোর্ড গঠনের দিনই পঞ্চায়েত অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বোর্ড গঠনের দিনই পঞ্চায়েত অফিস লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে বোমাবাজির ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতর। বুধবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের অনন্তপুর, মোস্তাফানগর ও ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন স্থির করেছিল জেলা প্রশাসন। সেই মতো এদিন নির্ধারিত সময়ে বোর্ড গঠনের জন্য ব্লক প্রশাসনের তরফে তোড়জোড় শুরু হয়। কিন্তু আচমকাই মোস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে বাইরে শুরু হয় ব্যাপক বোমাবাজি। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ভেঙে যায় দফতরের জানলার কাচ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    জানা গিয়েছে, ৮ নম্বর মোস্তফানগর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ৩০ টি। ম্যাজিক ফিগার ১৬টি। তার মধ্যে তৃণমূল জয়ী হয় ১৩ টি আসনে। বিজেপি (BJP) পেয়েছে ৮ টি,কংগ্রেস ৩ টি, সিপিএম ২ টি ও নির্দল ৪ টি আসনে জয়লাভ করে। ২০১৮ সালে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গঠন করলেও ২০২৩ সালের নির্বাচনে এই পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়। এদিন পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের দিন ধার্য্য করেছিল ব্লক প্রশাসন। কিন্তু, বোর্ড গঠন শুরুর মুহূর্তে পঞ্চায়েত দফতরে বোমাবাজি চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে কেউ হতাহত না হলেও জানলার কাঁচ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কালিয়াগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতা গৌরাঙ্গ দাস বলেন, বোর্ড গঠনে বাধা দিতেই তৃণমূল এই গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করেছে। পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয় পঞ্চায়েত দফতরে। গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে গিয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

    বোর্ড গঠনের দিনই বিজেপি প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ

    অন্যদিকে, বোর্ড গঠনের আগে রাস্তা থেকেই বিজেপির (BJP) ৩ ও ১ নির্দল সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। জানা গিয়েছে অপহৃত চার পঞ্চায়েত সদস্যর নাম ধীরেন রায়,অষ্টমি রায়, আদোরি বর্মন ও পঞ্চমী রায়৷ এদের মধ্যে পঞ্চমী রায় নির্দল জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    এদিন বোর্ড গঠন উপলক্ষ্যে চার জন সদস্য গাড়ি করে পঞ্চায়েত দফতরে যাচ্ছিলেন। সেই সময় ডালিমগাঁ পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের রাস্তা থেকে অপহরণ করে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার পর থেকে এখনও কোনও খোঁজ নেই বিজেপির ৩ ও নির্দল পঞ্চায়েত সদস্যর। উল্লেখ্য ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৮ টি। ২০২৩ সালে ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতে সর্বাধিক আসনে জয়ী হয় বিজেপি (BJP)। তাদের মোট আসন ১২ টি। অন্যদিকে তৃণমূলের দখলে যায় ১১ টি আসন। বাকী সিপিএম ২ টি, কংগ্রেস ২ টি ও নির্দল ১ টি আসনে জয়লাভ করে। এদিন বোর্ড গঠনের আগেই বিরোধী চার পঞ্চায়েত সদস্যকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির নেতা কর্মীরা।

    অপহরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপি (BJP) নেতা গৌতম বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যাতে বোর্ড করতে না পারে সেজন্য দলের পঞ্চায়েত সদস্যদের অপহরণ করেছে তৃণমূল। এদিকে এই ঘটনায় পালটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে তোপ দেগেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সাধন সরকার বলেন, বিজেপির প্রধান কে হবেন তা নিয়েই গোলমালের সূত্রপাত। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই জয়ী সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে, বোর্ড গঠনের পথে গেরুয়া শিবির

    BJP: মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দুই জয়ী সদস্য যোগ দিলেন বিজেপিতে, বোর্ড গঠনের পথে গেরুয়া শিবির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলাতেও তৃণমূলের জয়ী সদস্যরা দল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছে। বহরমপুর জেলা কার্যালয়ে বেলডাঙ্গা-১ ব্লকের চৈতন্যপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দুজন জয়ী তৃণমূলের সদস্য বিজেপিতে যোগদান করলেন। তৃণমূলে ধস নামিয়ে এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে বাজিমাত করতে চলেছে বিজেপি।

    পঞ্চায়েতে বিজেপির আসন সংখ্যা কত হল?

    চৈতন্যপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৪টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ৫টি আসন পেয়েছে তৃণমূল। ৬টি বিজেপির (BJP) দখলে রয়েছে। বাকী ৩ টি আসন বিরোধীদের দখলে রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা বিজেপি কার্যালয়ে দলের জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকারের হাত থেকে  বেলডাঙ্গা -১ নম্বর ব্লকের চৈতন্যপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের দুই জয়ী প্রার্থী শ্যামলী হালদার এবং সুফল দাস বিজেপির পতাকা গ্রহণ করেন। দুজন জয়ী প্রার্থী বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই পঞ্চায়েতে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হল ৮ জন। আর তৃণমূলের আসন কমে হল ৩ জন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে জয়ী প্রার্থী সুফল দাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি শাখারাভ সরকার বলেন, জেলার প্রতিটি অঞ্চল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে ফোন আসছে। তৃণমূল সন্ত্রাস করে ভোটে জয়ী হয়েছে। দুর্নীতিগ্রস্ত এই দলে কেউ থাকতে চাইছে না। তাই, বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছে। চৈতন্যপুর-২ পঞ্চায়েতে আমরা সব থেকে বেশি আসন পেয়েছিলাম। কিন্তু, বোর্ড গঠনের জায়গায় ছিলাম না। দুজন সদস্য যোগ দেওয়ায় এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    নওদার তৃণমূল বিধায়ক সাইনা মমতাজ বেগম বলেন, আসলে মানুষের লোব। মোটা টাকা লোভ দেখিয়ে বিজেপি (BJP) ওদের দলে টেনে নিয়েছে। এসব করে মানুষের মনে ওরা জায়গা করতে পারবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    TMC: জয়ী নির্দল প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে আটক, তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে বিক্ষোভ অনুগামীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের (TMC) বোর্ড গঠন করতে হলে একজন বিরোধী প্রার্থীর সমর্থন প্রয়োজন। সেই কারণে বিনা অপরাধে নির্দল প্রার্থীকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার রানাঘাট থানার হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্দলের জয়ী প্রার্থী গোপাল ঘোষ। ওই এলাকার এর আগে তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৫ বছর ধরে তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন এবং পাঁচ বছরের জন্য প্রধান ছিলেন তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল টিকিট দেয়নি তাঁকে। সেই কারণে তিনি নির্দলের হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। ভোট গণনার পর দেখা যায় প্রচুর ভোটে তিনি জয়লাভ করেন। হবিবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২২ টি। এবার তৃণমূলের দখলে গিয়েছে ১১ টি আসন, ৮ টি আসনে বিজেপি জয়লাভ করেছে এবং ৩টি নির্দল প্রার্থীরা জয়লাভ করেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে গেলে এখনও একটি আসন প্রয়োজন তৃণমূলের। অভিযোগ রবিবার গোপাল ঘোষ তাঁর পরিবারের এক ব্যক্তির অসুস্থতার কারণে কলকাতায় একটি হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি যখন বাড়িতে ফিরছিলেন রানাঘাটে তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। তাঁর গাড়ি সহ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তিন দিন থানায় থাকতে হবে এমনটাই তাঁকে জানানো হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। তবে, তাঁকে আটকে রাখার কারণ হিসেবে কিছুই জানায়নি পুলিশ বলে অভিযোগ।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    বেআইনিভাবে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে এলাকাতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন নির্দল কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে তাঁকে ছেড়ে না দিলে এবং বোর্ড গঠনের দিন তাঁকে অংশগ্রহণ করতে না দিলে পথ অবরোধ করে আরও বড়সড় বিক্ষোভে নামব। এ বিষয়ে নির্দল প্রার্থীর পরিবারের এক সদস্য অপর্ণা ঘোষ বলেন, যেহেতু দুদিন পরেই পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন, সেই কারণে তাঁকে শাসকদলের (TMC) নির্দেশে তুলে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। অবিলম্বে হয় তাঁকে ছেড়ে দিতে হবে, না হলে বোর্ড গঠনের দিন পুলিশকে পঞ্চায়েত অফিসে তাঁকে নিয়ে আসতে হবে। বোর্ড গঠনের ভোটাভুটিতে তিনি যেন অংশগ্রহণ করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: রামপুরহাটে ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার, এত বিস্ফোরক মজুত ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপে বীরভূম (Birbhum)। ফের উদ্ধার প্রচুর জিলোটিন স্টিক। পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া ওই বিস্ফোরকগুলি কে বা কারা মজুত করল তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কোথায় থেকে উদ্ধার হল জিলোটিন স্টিক?

    রবিবার সকালে বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাটের রদিপুরের কাছে আচমকাই হানা দেয় পুলিশ। একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বেশ কিছুক্ষণ পর প্রায় ৬০ পেটি জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার পিস জিলোটিন স্টিক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। কে বা কারা পরিত্যক্ত বাড়িতে জিলোটিন স্টিক মজুত করে রেখেছিল, তা এখনও জানা যায়নি। বিপুল পরিমাণ জিলোটিন স্টিক মজুতের নেপথ্যে ছকই বা কী ছিল, তা-ও স্পষ্ট নয়। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

     এর আগে নলহাটিতে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর পরিমাণে জিলোটিন স্টিক?

     গত ২৮ জুন সকালে আচমকাই বীরভূমের (Birbhum) নলহাটির বাহাদুরপুরে তৃণমূল নেতা মনোজ ঘোষের একটি পাথর খাদানে হানা দেয় এনআইএ আধিকারিকরা। দীর্ঘ আট থেকে দশ ঘন্টা সেখানে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা। এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসে সেই সময় মনোজ ঘোষের ম্যানেজার পার্থকুমার মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই খাদানের কাছে একটি পরিত্যক্ত ঘরে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং প্রচুর পরিমাণ জিলোটিন স্টিক উদ্ধার হয়। এরপর পুনর্নির্বাচনের দিন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ সূত্রে খবর, মনোজ ঘোষকে জেরা করে বীরভূমের কুশমোড়ের ইসলাম চৌধুরীর খোঁজ পান তদন্তকারীরা। ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক মজুতের অভিযোগ রয়েছে। কুশমোড় ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি তিনি। শুক্রবার ভোররাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছয় এনআইএ। ইসলাম চৌধুরীকে পাইকর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তাঁকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতায়। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই রামপুরহাট থেকে জিলোটিন স্টিক উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিকে ভোট, ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ফর্ম না দেওয়ার হুমকি অশিক্ষক কর্মীর

    BJP: বিজেপিকে ভোট, ছাত্রীকে কন্যাশ্রী ফর্ম না দেওয়ার হুমকি অশিক্ষক কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশম শ্রেণীর ছাত্রীর পরিবার বিজেপি (BJP) করে। এটাই তার অপরাধ। আর সেই অপরাধে কন্যাশ্রীর ফর্ম না দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলের এক অশিক্ষক কর্মী রামেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের পানবাড়ি ভবানী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন অভিভাবক স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহাকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, টুম্পা হাজরা নামে এক স্কুল ছাত্রী কয়েকদিন আগেই কন্যাশ্রীর ফর্ম নেওয়ার জন্য স্কুলে আসে। সে স্কুলে এসে অভিযুক্ত রামেশ্বর রায়ের কাছে ফর্ম চায়। অভিযোগ সেই সময় অভিযুক্ত রামেশ্বর রায় ছাত্রীকে বলেন, তোমরা যেখানে সেখানে ভোট দেবে আর কন্যাশ্রীর জন্য আমার কাছে আসবে? পরবর্তীতে নিরুপায় হয়ে স্কুলছাত্রী বাড়িতে এসে সমস্ত কথা জানায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। অভিযুক্ত রামেশ্বর রায় বলেন, তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। ২০১৫ সাল থেকে আমি অস্থায়ী ক্লার্ক হিসাবে কাজ করছি। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। এটা বিজেপির (BJP)  চক্রান্ত।

    কী বললেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক?

    স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীনেশ সিনহা বলেন, বেশ কয়েকজন এসেছিল আমাকে অভিযোগ জানিয়েছে। আমার তো মনে হয় এসব ভিত্তিহীন কথা। যারা অভিযোগ জমা দিয়েছে তারা কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি। তবে, যেহেতু অভিযোগ এসেছে, সেটা তদন্ত করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    একটি স্কুলে কীভাবে রাজনীতি করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির ময়নাগুড়ি বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর নিতাই রায়। তিনি বলেন অন্যান্য ক্ষেত্রে তো তৃণমূল  রাজনীতি করছেই এবার ছাত্রদের ক্ষেত্রেও তাঁরা রাজনীতি ঢুকিয়ে দিল। যা খুব নিন্দনীয় বিষয়। বিজেপি নেতা জয়ন্ত রায় বলেন, বিজেপি (BJP) করার অপরাধে কন্যাশ্রীর ফর্ম দেওয়া যাবে না, এটা তাজ্জব বিষয়। আমার স্ত্রী রত্না রায় এবার ভোটে জিতেছে। সেই ছাত্রীর বাবা বিজেপি করতেই পারে। এটাই কি তার অপরাধ। অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছে থেকে কন্যাশ্রী করে দেওয়ার নাম করে টাকার দাবি করেন। অভিযুক্তর শাস্তির দাবিতে  বিষয়টি আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে  লিখিত আকারে দিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে,তৃণমূলের ময়নাগুড়ি ১নং ব্লক সভাপতি মনোজ রায় জানান, বিজেপি (BJP) বিষয়টি পরিকল্পিত ভাবে সাজিয়েছে। তৃণমূলকে কলুষিত করার জন্য এই রকম মিথ্যা অভিযোগ এনেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: শান্তিপুরে বিজেপি করার অপরাধে পুকুরে বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: শান্তিপুরে বিজেপি করার অপরাধে পুকুরে বিষ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) কর্মীর পুকুরে বিষ মিশিয়ে মাছ মেরে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুকুরের অধিকাংশ মাছ মরে গিয়েছে। শনিবার সাত সকালে পুকুরের এই অবস্থা দেখে চরম ভেঙে পড়েন বিজেপি কর্মী। এদিন  ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানার পুমলিয়া এলাকায়। বিষয়টি জানাজানি হতেই  রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    শান্তিপুর বেলঘড়িয়া এলাকার বাসিন্দা অমল বিশ্বাস এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে তিনি প্রচুর খেটেছিলেন। অমলবাবুর বক্তব্য, আমার দেড় বিঘা জায়গার উপরে একটি পুকুর রয়েছে। দেড় থেকে দু কুইন্টাল মাছ ছেড়েছিলাম। এদিন সকালে পুকুরে গিয়ে দেখি, পুকুরের ধারে একাধিক মাছ মরে জলে ভাসছে। এদিন দুপুরের মধ্যে পুকুরের অধিকাংশ মাছ মরে গিয়েছে। পুকুরে বিষ দেওয়ার কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। আসলে আমি এলাকায় সক্রিয়ভাবে বিজেপি (BJP) করি। সেটাই অপরাধ। তাই, আমাকে শিক্ষা দিতেই তৃণমূল এই কাজ করেছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার এত বড় সর্বনাশ করা হয়েছে। আমার পুকুরের সব মাছ মরে গিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) শান্তিপুর মণ্ডলের সভাপতি প্রদীপ সরকার বলেন, অমলবাবু আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। তৃণমূলের লোকজন পুকুরে বিষ মিশিয়ে চরম অন্যায় কাজ করেছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানিয়েছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের শান্তিপুর ব্লকের সভাপতি সুব্রত সরকার বলেন, এই ধরনের জঘন্য কাজের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে জড়িত নয়। বিজেপি (BJP) আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলব অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে কিনতে এসে ঘাটালে ঘেরাও তৃণমূল নেতা

    BJP: বিজেপির জয়ী প্রার্থীকে ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে কিনতে এসে ঘাটালে ঘেরাও তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নিয়ে বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থীদের কিনতে এসেছেন তৃণমূল নেতা। এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল নেতাকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখলেন বিজেপি কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিডাঙ্গা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আটকে রাখার খবর পেয়ে পুলিশ ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২১ টি আসন রয়েছে। এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২১টি আসনের মধ্যে দশটি পেয়েছে তৃণমূল, দশটি বিজেপি এবং একটি নির্দল প্রার্থী দিয়েছে। ত্রিশঙ্কু হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল। তৃণমূলের বোর্ড গঠন করতে নির্দল সহ বিজেপি জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলের যোগদানের জন্য অনেকদিন ধরেই তৃণমূল চেষ্টা চালাচ্ছে বলে দাবি বিজেপির। অভিযোগ, শুক্রবার বিকালে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে ঘাটালের মনসুকা এলাকার তৃণমূল নেতা অসিত গোস্বামী বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে কেনার জন্য ফোন করেন এবং পৌঁছে যান ইড়পালা এলাকায়। সেখানেই জয়ী প্রার্থীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা হতেই অসিত গোস্বামী নামে ওই তৃণমূল নেতাকে আটকে রাখে এলাকার বিজেপি সমর্থকরা। ব্যাগ ভর্তি টাকা নিয়ে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের কিনতে এসেছেন এই তৃণমূল নেতা অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন। দীর্ঘক্ষণ তৃণমূল নেতাকে ঘেরাও করে রাখার পর খবর পেয়ে ঘাটাল থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপির (BJP) বিধায়ক শীতল কোপাটের বক্তব্য, টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে গত তিনদিন ধরেই ওই তৃণমূল নেতা এলাকায় ঘুরছিল। ফোনে জয়ী প্রার্থীকে টোপও দিয়েছিল। আমরা হাতেনাতে ধরে তাঁকে ঘেরাও করে রাখি। আমরা দোষী ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দিলীপ মাঝি বলেন, ওই নামে আমাদের দলে কোনও নেতা নেই। তিনি নিজের দায়িত্বে গিয়েছিলেন। এরসঙ্গে কোনও দল কোনওভাবেই জড়িত নয়। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বেহাল রাস্তায় কচু গাছ পুঁতে বাঁকুড়ায় বিজেপির অভিনব প্রতিবাদ

    BJP: বেহাল রাস্তায় কচু গাছ পুঁতে বাঁকুড়ায় বিজেপির অভিনব প্রতিবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহাল রাস্তায় জর্জরিত এলাকাবাসী। রাস্তা সংস্কারে তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পুরসভার কোনও হেলদোল নেই। এবার রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করল বিজেপি। রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়ে অভিনব প্রতিবাদ করল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। যা দেখে খুশি শহরবাসীও। তাঁদের বক্তব্য, রাস্তা খানাখন্দে ভরা। বহুবার আবেদন করেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এলাকার মানুষের হয়ে পথে নেমে বিজেপি আন্দোলন করায় ভাল লাগছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা তৈরি করতে হবে।

    বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের ঠিক কী অভিযোগ?

    কচু গাছ পুঁতে অভিনব প্রতিবাদ বিজেপির (BJP)। শুক্রবার বাঁকুড়া শহরের ব্যস্ততম লালবাজার এলাকার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে। খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা যান চলাচলের অযোগ্য বলে অভিযোগ। বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, ২০ নম্বর ওয়ার্ড লালবাজার এলাকায় একাধিক রাস্তা বেহাল। বিশালাকার গর্ত তৈরি হয়ে জমে আছে জল। পুরকর্তৃপক্ষ এই রাস্তা সংস্কারে কোন উদ্যোগ নেয়নি। এদিনের এই কর্মসূচিতে নেতৃত্বদানকারী বাঁকুড়া জেলা বিজেপি সম্পাদক উজ্জ্বল মণ্ডলের বক্তব্য, তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পুরসভার ২৪ টি ওয়ার্ডের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। লালবাজারের এই খানাখন্দে ভরা রাস্তার উপরেই হিন্দু হাইস্কুল। রাস্তার যা পরিস্থিতি তাতে যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। মাঝে মাঝে রাস্তা সংস্কার করা হয়, ক’দিন পরেই আবার সেই একই অবস্থা। শুধুমাত্র ‘কাটমানি’র জন্য লোক দেখানো করে রাস্তা সারাই হয়। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল পরিচালিত বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারপার্সন অলকা সেন মজুমদার বলেন, বিজেপি (BJP) রাজনীতি করার জন্য এসব করছে। ওরা আমাদের কাছে আসতে পারত। কিন্তু, ওরা সেটা করেনি। বিজেপি এসব করে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই। কারণ, এই পুরসভা এলাকায় অধিকাংশ ওয়ার্ডে রাস্তা তৈরি হয়েছে। খুব শীঘ্রই আরও ২১ টি রাস্তা তৈরি করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share