Tag: Trinamool

Trinamool

  • South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্য দিবালকে চড় মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি  ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফ্রেজারগঞ্জ পোস্টাল থানার কয়লাঘাটা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্বপন দাস।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্বপন দাস নামে ওই তৃণমূল নেতা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফেজারগঞ্জের নূপুর হাজরা নামে এক মহিলার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেন বলে অভিযোগ। আর সেই টাকা চাইতে গেলে তাকে বারে বারে হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছিল। এরপরই প্রতারিত ওই মহিলা তৃণমূল নেতাকে সামনে পেয়ে ধরে ফেলেন। তাঁকে চড় মারেন, আর সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে, ওই তৃণমূল নেতাও ওই মহিলাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা স্বপন দাস বলেন,গাড়ি কেনা-‌বেচা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল। আমি ওই ভদ্রমহিলার কাছে গাড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু, তাঁর কাগজপত্র বৈধ ছিল না। তাই নিয়ে কেস চলছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ আদালতে। আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় আমি ডায়মন্ডহারবার জেলে ছিলাম। তাহলে তখন টাকা নিলাম কী করে? সবটাই মিথ্যা কথা।

    প্রতারিত মহিলার কী বক্তব্য?

    নূপুরদেবী বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে হাজার তিরিশ টাকা নিয়েছে। এখন আর তা ফেরত দিচ্ছে না। চাকরিও করে দেয়নি। আমি টাকা চাইতে গেলে আমায় মারধর করেছে। ওর স্ত্রী আমায় অপমান করছে। তাই যখন টাকা দেয়নি তখন আমি বলেছি মেরে পাওনা টাকা আদায় করব। স্বপন দাস বহু মানুষের কাছ থেকে চাকরি সহ সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার কাছেও অভিযোগও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, যদি এমন কাজ করে থাকে, অবশ্যই শাস্তি পাবে। এখনও আমি বিষয়টি ভালো করে জানি না আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা অনুপ সামন্ত বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে ওই তৃণমূল নেতা। তাই, প্রকাশ্যে ওই নেতার উপর চড়াও হলেন মহিলা। আগামীদিনে আবারও এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বীরভূমে কি ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত! ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে উধাও ছবি

    Anubrata Mondal: বীরভূমে কি ব্রাত্য হয়ে গেলেন অনুব্রত! ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে উধাও ছবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ছিলেন বীরভূমের বেতাজ বাদশা। তাঁর কথাতেই এই জেলায় বাঘে-গরুতে একঘাটে জল খেত। ফলে, সরকারি হোক বা দলীয় কর্মসূচি, অনুব্রতের ছবি থাকা এক প্রকার অঘোষিত নির্দেশ ছিল জেলায়। গরু পাচার মামলায় গত বছর গ্রেফতার হওয়ার পরে যত দিন গিয়েছে, ততই কেষ্ট ম্যাজিক উধাও হয়ে গিয়েছে। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত কাজল সেখ। এখন কেষ্টকে কার্যত ঝেড়ে ফেলা দেওয়ার মতো অবস্থা দাঁড়িয়েছে বলে দলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে ব্রাত্য কেষ্ট! (Anubrata Mondal)

    ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির বসেছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত লোবা গ্রামে। লোবা পঞ্চায়েতের তরফে যে তোরণটি বসানো হয়েছে, তার উপরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নিচে দু’পাশে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের ছবি। এমন তোরণ থেকে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি আগেই সরেছিল। দলীয় সূত্রেই খবর, ‘প্রভাবশালী’ তকমা ঘোচাতে উঁচুতলা থেকেই দলীয় কর্মসূচিতে অনুব্রতের নামে স্লোগান দেওয়া বা তাঁর ছবি ব্যবহারে একসময়ে ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি হয়েছিল। আর এখন দলীয় বা সরকারি কর্মসূচিতে ‘ব্রাত্য’ অনুব্রত। একটা সময়ে মমতা, অভিষেকের সঙ্গে তোরণ, ফ্লেক্স বা ব্যানারে দেখা যাচ্ছিল জেলার অন্য নেতা বা মন্ত্রীর ছবি। তৃণমূল সূত্রেই জানা যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে অনুব্রতের ছবি ফেরানোর ‘নির্দেশ” এসেছিল ঠিকই, কিন্তু সাময়িক। ঠিক সেই সময় থেকেই ‘উত্থান’ কাজল শেখের। দলের নানুর ব্লক কমিটির কার্যকরী সভাপতি কাজলকে প্রথমবার ভোটের টিকিট দেয় দল। প্রথম বারেই বিপুল ব্যবধানে জিতে সভাধিপতি হওয়ার পরে তাঁর ‘প্রভাব’ ও ‘দাপট’ আরও বেড়েছে জেলায়। অনুব্রতের জায়গা দখল করেছেন কাজল।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি?

    অনুব্রত-পরবর্তী অধ্যায় কি শুরু হয়ে গিয়েছে জেলায়? যার প্রতিফলন দেখা গেল লোবা পঞ্চায়েতের তরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজিত দুয়ারে সরকার শিবিরের তোরণে। যদিও কাজলের কথায়, ‘তিনি আমার অভিভাবক। আমার রাজনৈতিক গুরু। উনি জেলা সভাপতি আছেন।’ ব্যস ওই পর্যন্ত। বাস্তবে অন্য চিত্র দেখছে দলের কর্মীরা। এই প্রসঙ্গে জেলার এক নেতা বললেন,’ বিকাশদা এখন পদে নেই। কেষ্টদা (Anubrata Mondal) জেলাতেই নেই! এটা মনে রাখতে হবে। এটাই বাস্তব।’

    কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় উড়ানে গেল অনুব্রতের (Anubrata Mondal) নথি

    অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলার যাবতীয় নথি দিল্লিতে নিয়ে গেলেন ইডির আধিকারিকরা। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দর থেকে দু’টি ট্রলি ভর্তি মামলার নথি নিয়ে দিল্লিতে উড়ে যান ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে দিল্লি গিয়েছেন আসানসোল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দুই কর্মীও। দিল্লির আদালতে নথি জমা দেবেন তাঁরাই। এদিন গোটা টিমের নিরাপত্তায় ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, বিশেষ কোনও কারণ না থাকলে আজ বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে গরু পাচার মামলার নথি জমা পড়ে যাবে। তারপর সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের দুই কর্মী দিল্লি থেকে ফিরে আসবেন।

    এবার পুজোতে তিহাড়েই থাকতে হবে সুকন্যাকে!

    এক-দুই মাস নয়, চারমাস পিছিয়ে গিয়েছে মূল গরুপাচার মামলার শুনানি। সূত্রের খবর, ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে সুকন্যার জামিনের আবেদন আপাতত পিছিয়ে গিয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ এবছর আর জামিনের আবেদন না হওয়ার সম্ভাবনা। সামনের বছর জামিনের আবেদন হতে পারে। যার ফলে এবার পুজোতে তিহাড়েই থাকতে হবে সুকন্যাকে। এই আদালতেই জামিনের জন্য আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কিন্তু তিনি কি পুজোর সময় বের হতে পারবেন? এনিয়ে এখনও কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সেই মামলার শুনানি হবে। তারপরই বোঝা যাবে তিনি আদৌ পুজোর সময় জেল থেকে বের হতে পারবেন কি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মুক্তিপণ চেয়ে ফোন! মালদায় উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ, গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

    Malda: মুক্তিপণ চেয়ে ফোন! মালদায় উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত মৃতদেহ, গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদা জেলায় গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) পুখুরিয়া থানার শ্রীপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাদেক আলি। বয়স ৫০ বছর। তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বিবি। তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাদেক আলির চায়ের দোকান আছে। মঙ্গলবার রাতে দোকান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকজন বলেন, রাতে তাঁদের কাছে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। সকালবেলা ফের দু’লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। কিন্তু, আবার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সকাল এগারোটায় বাঁশবাগান থেকে তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রসঙ্গত, মালদার (Malda) শ্রীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ২০টি। তৃণমূল ১২, সিপিএম ৫ এবং কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়ী হয়। এরপর তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সিপিএম ও কংগ্রেসকে নিয়ে বোর্ড গঠন করে। প্রধান হয় তৃণমূলের। এরপর থেকে প্রাক্তন প্রধানের স্বামী মহব্বত তাঁদের হুমকি দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। নেপথ্যে প্রধান গঠন নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলেরই বিরোধী গোষ্ঠীর দিকে। যদিও জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কী বললেন?

    তৃণমূলের মালদার (Malda) জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আবদুর রহিম বক্সী ওই গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। যারা আমাদের দলের ওই কর্মীকে খুন করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। যেই যুক্ত থাকুক, পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: মদ্যপানের প্রতিবাদের জের,পানিহাটিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ

    Panihati: মদ্যপানের প্রতিবাদের জের,পানিহাটিতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের কাউন্সিলার এবং শহর তৃণমূলের সহ সভাপতির মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। এবার সেই কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। মদ্যপানের প্রতিবাদ করাকে কেন্দ্র করেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়প্রকাশ কলোনি এলাকায় তৃণমূল কার্যালয়ের পাশে প্রায়ই মদ্যপানের আসর বসে। তৃণমূলের একটি অংশ মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর মজুমদারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল পশ্চিম পানিহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি প্রবীর দের। রবিবার রাতে ফের মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় গোলমাল হয়। মারামারি বাঁধে। পরে কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদারের অনুগামীরা তৃণমূল কার্যালয়ের ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। কার্যালয়ের ভেতরে চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে টিভি ভাঙচুর করে। বাদ যায়নি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতাজি সুভাষ বোসের ছবিও। ভাঙ্গা হয়েছে পার্টি অফিসের চেয়ার টেবিলও। ভেঙে ফেলে সব ছবিও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। এই অফিসটি বেলঘড়িয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিস কমিশনারের অফিসের সামনেই। সেখানে ভাঙচুরের ঘটনায় হতবাক সকলে। রাতেই ভিড় হয়ে যায় জয়প্রকাশ কলোনিতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার বিশাল পুলিস বাহিনী।

    শহর তৃণমূলের সহ সভাপতি কী বললেন?(Panihati)

    পানিহাটি (Panihati) শহর তৃণমূলের সহ সভাপতির প্রবীর দে’র অভিযোগ, তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে বসে মদ্যপান করেন কাউন্সিলারের অনুগামীরা। এরা সিন্ডিকেট সহ সবকিছুতে যুক্ত। আমি বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক নির্মল ঘোষ এবং তীর্থঙ্কর ঘোষকে জানিয়েছিলাম। বেশ কিছুদিন ধরে সেই মদ্যপানের তিনি প্রতিবাদ করছিলেন।

    তৃণমূলের কাউন্সিলার কী বললেন?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রবীর মজুমদার। তিনি বলেন,  যাদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ, তারা কিছুদিন আগে পর্যন্ত প্রবীর দের সঙ্গে থাকতো। বনি বনা না হওয়ায় প্রবীরের সঙ্গে তাদের গোলমাল বাধে। এখানে আমার কোনও ব্যাপার নেই। এদেরকে নিয়েই প্রবীর আমাকে হারাবার সব রকম চেষ্টা করেছিল। এখন আমার অনুগামী বলে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমি এসবের বিন্দু বিসর্গ জানি না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন,তৃণমূল কংগ্রেস দল নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল ও বখরার লেনদেন নিয়ে মারপিট করতে করতেই শেষ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: এলইডি আলো লাগানো নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, কাঠগড়ায় বালুরঘাট পুরসভা

    Balurghat: এলইডি আলো লাগানো নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, কাঠগড়ায় বালুরঘাট পুরসভা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলইডি আলো লাগানো নিয়ে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার বিরুদ্ধে। আর.টি.আই করেও টাকার হিসাবের জবাব না পাওয়ায় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। বালুরঘাট পুরসভা দুর্নীতির চরম শিখরে বলে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Balurghat)

    ২০২২ সালে ২-রা সেপ্টেম্বর বালুরঘাট (Balurghat) শহরে পুরসভার পক্ষ থেকে এল.ই.ডি লাইট লাগানোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। টেন্ডারে ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ২২৪ টাকার উল্লেখ করা হয়। এরপর বালুরঘাট শহরে শুরু হয় তেরঙা এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজ। যদিও তার প্রায় মাস খানেকের মধ্যে বালুরঘাট পুরবোর্ড কোনওরূপ টেন্ডার আহ্বান না করেই পুর বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বালুরঘাট শহর জুড়ে তেরাঙা এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজের বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পূর্বের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থাকে। টেন্ডার না ডেকে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার কাজের বরাত শুধুমাত্র সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজের খরচ জানতে চেয়ে আর.টি.আই করেন বালুরঘাট নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ কুন্ডু নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু, পুরসভার তরফ থেকে সেই আর.টি.আই-এর জবাবে জানিয়ে বলা হয়, জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলি ব্যক্তিগত আগ্রহে, জনগণের আগ্রহ নয়। তাই কোনও তথ্য পুরসভার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। ঘটনা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে যায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়।

    কী বললেন বালুরঘাট (Balurghat) নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক?

    বালুরঘাট (Balurghat) নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক নৃপেন্দ্রনাথ কুন্ডুর বক্তব্য, বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় যে ট্রাই কালার লাইট লাগানো হয়েছে, তা প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার বেশি কাজ হয়েছে। অথচ ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকার টেন্ডার করে বাকি কাজগুলো নোট সিটে করা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেই কারণেই প্রকৃত তথ্য জানতে তথ্য জানার অধিকার আইনে আবেদন করি। সদুত্তর দেওয়া হয়নি পুরসভার পক্ষ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এই আলোকসজ্জাতে টেন্ডার ছাড়াই বহু টাকার কাজ হয়েছে। আর, এতে যে দুর্নীতি হয়েছে এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, গোটা রাজ্য জুড়েই এই ধরনের দুর্নীতি চলছে। আর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে দুর্নীতি হবে না এটা তো বিশ্বাসযোগ্য নয়। বালুরঘাট পুরসভা দুর্নীতির চরম শিখরে রয়েছে। এখানে মাদার টেরিজার মূর্ত্তি সহ অনেক মূর্ত্তি লাগানো হচ্ছে, সেখানেও দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন,  টেন্ডার প্রক্রিয়া মেনে সরকারি নিয়ম মেনে যা যা উন্নয়ন মূলক কাজ করা দরকার তা বালুরঘাট পুরসভাতে হচ্ছে। বালুরঘাট পুরসভার কাজ নিয়ে বালুরঘাটবাসী খুশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি করার অপরাধে রাস্তায় বেড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিজেপি করার অপরাধে রাস্তায় বেড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে সমস্ত রাস্তায় কাঁটা দিয়ে বেড়া দিয়ে বাইরের বেরোনোর পথ আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার মথুরাপুর-২নম্বর ব্লকের দক্ষিণ কনকনদিঘি ডাক্তার ঘেরি  মুন্ডাপাড়া এলাকায়। সেখানে ছটি পরিবারকে গত তিনদিন ধরে যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া দিয়ে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    অভিযোগ, ২০১৫ সাল নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) মণি নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকার একটি আইলা বাঁধ তৈরি করার কাজে হাত দেয়, তারজন্য প্রায় ২৫ টি পরিবারকে নিজেদের ঘরবাড়ি ছেড়ে উঠে যেতে হয়। ১০ টি পরিবারের নিজস্ব জায়গা থাকায় তাদের সরকার থেকে ঘর করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ১৫ টি পরিবারের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সরকার ৯টি পরিবার ভালোভাবে থাকতে পারলেও ২০১৭সালে ৬টি পরিবারকে ওই আইলাবাঁধের ঢিলছোঁড়া দূরত্বে পাট্টা দেওয়া হয়। ২০২০ সালে সরকারি টাকায়  ঘর করে দেওয়া হয়। কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় ঘর ও জায়গা পেলেও চলাচলের  রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। ৬টি পরিবারের মধ্যে একটি পরিবার সরকারি রাস্তার ধারে থাকায় তার কোনও অসুবিধা না হলেও পাঁচটি পরিবার মহা বিপদে পড়েন। ঘরের সামনে অন্যের জায়গার ওপর দিয়ে জল পেরিয়ে বাঁধে উঠে চলাচল শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু ২০২২ সালের দিকে হঠাৎ করে জমির মালিক তাদের যাতায়াতের বাধা দিতে থাকে। অসহায় পরিবার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে বিষয়টি জানান।  পরে, বিষয়টি মিটে যায়। আগের মতো তাঁরা যাতায়াত করতে থাকেন। গত পঞ্চায়েত ভোটে এই পরিবারগুলো বিজেপি করেন। তারপরেই শাসক দলের লোকজন এই পরিবারগুলোর উপরে অত্যাচার করা শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকী মাঝে মাঝে প্রাণনাশের হুমকি  দেওয়া হয়। হঠাৎ করে দেখা যায় তাদের চলাচলের সমস্ত রাস্তা কাঁটা বেড়া দেওয়া হয়। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, বিজেপি করা আমাদের অপরাধ। বাড়িতে অসুস্থ লোকজন, ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া, নলকূপের জল আনা, বাজারে যাওয়া সব কিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি নবেন্দু সুন্দর নস্কর বলেন, শুধুমাত্র রায়দিঘির এই মুন্ডাপাড়া নয়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিভিন্ন জায়গাতেই শাসক দল এইভাবেই পঞ্চায়েতে যারা যারা বিজেপি করেছে তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা করছে। তবে,এর জবাব লোকসভায় মানুষ ঠিক দিয়ে দেবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শ্যামল কুমার মাইতি বলেন, এমন যদি ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ব্যক্তিগত কারণে এসব কিছু হতে পারে। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আর এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তবুও, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election:পঞ্চায়েত ভোটের পর ভাঙড়ে ফের ১৪৪ ধারা জারি, কোন কোন এলাকায় জানেন?

    Gram Panchayat Election:পঞ্চায়েত ভোটের পর ভাঙড়ে ফের ১৪৪ ধারা জারি, কোন কোন এলাকায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Gram Panchayat Election) সময় ভাঙড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। আবারও ভাঙড়ে ১৪৪ জারি করল প্রশাসন। মূলত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়-২ ব্লকের কাশিপুর এবং কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করল প্রশাসন। তবে, গোটা ব্লক নয়, প্রতিটি পঞ্চায়েতের কেবল ২০০ মিটারের মধ্যেই এই ১৪৪ ধারা জারি থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কেন ১৪৪ ধারা জারি করা হল?

    মঙ্গলবার ভাঙড়-২ ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election)  উপ সমিতি গঠন রয়েছে। এজন্য প্রতিটি পঞ্চায়েতের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত, মিটিং, মিছিল করা যাবে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে উপ সমিতি গঠন নিয়ে আবারও অশান্ত হয়ে উঠতে পারে ভাঙড়। সেই কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে একদিনের জন্য ১৪৪ জারি করা হয়েছে। এজন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্লকের ১০ টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৯ টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। একমাত্র পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে জমি কমিটি। ইতিপূর্বে পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করার সময় আইএসএফের বিজয়ী সদস্যরা অনুপস্থিত ছিলেন। উপ সমিতি গঠনের সময় আইএসএফের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতে উপস্থিত থাকার কথা জানানো হয়েছে। ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ৭টি পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি আসনে আইএসএফ জয়ী হয়েছে।

    আইএসএফ কর্মীকে কেন আটক করল পুলিশ?

    ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোটে (Gram Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় একাধিক যে সব অশান্তির ঘটনা ঘটেছিল, সেইসব ঘটনায় মাবুক আলি নামে এক আইএসএফ কর্মীকে বোমা হাতে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর থেকেই পুলিশ সেই ছবি সংগ্রহ করে তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। দীর্ঘদিন এলাকাছাড়া থাকলেও মঙ্গলবার যখন চালতাবেরিয়া পঞ্চায়েতের উপ সমিতির গঠনের জন্য আইএসএফের জয়ী সদস্যদের সঙ্গে সে এসেছিল, তখন তাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। চালতাবেড়িযা গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে আইএসএফ কর্মী মাবুক আলিকে আটক করল কাশিপুর থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    Dhupguri: ‘ধূপগুড়িতে গেরুয়া ঝড় হবে’, ভোট দিয়ে বললেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট দিলেন সদ্য তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। ভোট দিয়ে বেরিয়েই তিনি বললেন, ধূপগুড়িতে (Dhupguri) গেরুয়া ঝড় হবে। তৃণমূলের ফের ভরাডুবি হবে। মঙ্গলবার সকালে অন্যান্য ভোটারদের সঙ্গে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিলেন তিনি।

    শাসক দলের প্রার্থীকে ভোট না দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন তৃণমূলত্যাগী প্রাক্তন বিধায়ক? (Dhupguri)

    এদিন ভোট দিতে এসে তিনি বলেন, মানুষ বিজেপির পক্ষেই রায় দেবেন। তৃণমূল সরকারের এই দুর্নীতি, ধূপগুড়ি (Dhupguri) পুরসভার দুর্নীতি, পঞ্চায়েত ভোটের সময় মানুষকে ভোট দিতে না দেওয়া, সব মিলিয়ে মানুষ তৃণমূলকে প্রত্যাখ্যান করবে এবারও। দুহাত ভরে মানুষ বিজেপিকে আশীর্বাদ করবে। ভোট দিতে এসেই ভোট কেন্দ্রের ভিতরের অব্যবস্থা দেখে চটে যান সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী প্রাক্তন বিধায়ক। ভোট কেন্দ্রের ভিতরে ইভিএমের সামনে পর্যাপ্ত আলো নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ভোটারদের সমস্যা হচ্ছে। এর পিছনে তিনি সরাসরি চক্রান্তের অভিযোগ এনে বলেন, মানুষ যখন ভোট দিতে যাচ্ছে, তখনই আলোর সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে সঠিকভাবে ভোট দিতে পারছে না। মানুষের ভোট সঠিক জায়গায় পড়ছে না। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করার জন্য প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে তিনি দাবি জানান। বুথের ভিতরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর প্রিসাইডিং অফিসারের কাছ থেকে টর্চ নিয়ে এসে তিনি ভোট দেন। পাশাপাশি তিনি ভোটারদেরও বলেন, সঠিক আলো হলেই যেন তাঁরা ভোট দেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ করেন।

    বুথের বাইরে জমায়েত নিয়ে কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক?

    বুথের বাইরে তৃণমূলের লোকজন জমায়েত করেছিলেন। সেই বিষয়ে মিতালি রায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে নালিশ করেন। পরে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর হস্তক্ষেপে জমায়েত সরিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার জন্য তিনি সরাসরি তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলেন। বলেন, বুথগুলির আলো, জল সব কিছুর বরাত পেয়েছে তৃণমূলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকা কিছু ঠিকাদার। জমায়েত করে, বুথের ভিতরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না করে কারচুপি করে তৃণমূল জেতার চেষ্টা করছে। কিন্তু, এই সব করে লাভ হবে না কিছুই। ধূপগুড়ি (Dhupguri) উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়ই বিপুল ভোটে জিতবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Arambagh: আরামবাগে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরামবাগে (Arambagh) সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসাল বিজেপি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিল ১৫ টি সংখ্যালঘু পরিবার সহ শতাধিক কর্মী। আরামবাগের জেলা কার্যালয়ে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিধায়ক মধুসূদন বাগ। এমনিতেই আরামবাগ মহকুমা জুড়ে গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির ভাল ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজন বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় এই এলাকায় বিজেপির সংগঠন আরও মজবুত হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপিতে যোগদানকারীদের কী বক্তব্য? (Arambagh)

    বিজেপিতে যোগদানের পর যোগদানকারীরা বলেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। তারা এলাকায় কোনও উন্নয়ন করেনি। বরং, রাস্তাঘাটের জন্য বরাদ্দ টাকা পকেটে পুড়েছে তৃণমূলের নেতারা। দিনের পর দিন বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। পাশাপাশি তাঁরা আরও বলেন, এনআরসি-র কথা বলে আমাদের মনে ভয় ঢোকানো হয়েছিল। বাংলাদেশ বা পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়েছিল। আমরা তো ভারতীয়, তাই আমাদের কোনও সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। ফলে, তৃণমূল এতদিন আমাদের ভুল বুঝিয়ে আসছিল। ভুল ভাঙতেই আমরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আর আরামবাগ (Arambagh) এলাকার উন্নয়নের বিষয়টি তো রয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই ভুল ভেঙেছে। সবকা সাথ সবকা বিকাশের কথা মানুষ বুঝতে পারছে। সে জন্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সংখ্যালঘুরা বিজেপির ছাতার তলায় আসছে। তৃণমূল এতদিন তাঁদের ভুল বুঝিয়ে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক করে রেখেছিল। সেটা তারা বুঝতে পেরেই আমাদের দলে যোগ দিয়েছে। আগামীদিনে আরও অনেকেই আমাদের দলে আসবেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই যোগদানের প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, বিজেপি টাকা পয়সার লোভ দেখিয়ে কিছু লোকজনকে দলে টানছে। পতাকা ধরিয়ে নাটক করছে। যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরা নিজেরাই পরে ভুল বুঝতে পেরে আবার তৃণমূলে ফিরে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: কামারহাটিতে তৃণমূল কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত কাউন্সিলারের ছেলে

    Kamarhati: কামারহাটিতে তৃণমূল কর্মীকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত কাউন্সিলারের ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল কামারহাটিতে (Kamarhati) । তৃণমূলের এক কর্মীকে বন্দুকের বাট এবং লোহার রড দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই কাউন্সিলারের ছেলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম মহম্মদ নাসিম। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kamarhati)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী মহম্মদ নাসিম খানকে বি টি রোডের কামারহাটি (Kamarhati) মোড় থেকে  পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার আফসানা খাতুনের ছেলে শাহবাজ সিকান্দারের দলবল তুলে নিয়ে যায়। এরপরই তাঁকে বন্দুকের বাট, লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুদিন আগেই বেলঘড়িয়ায় টেক্সম্যাকো কারখানার বালির দখল নিয়ে বিধায়ক ঘনিষ্ঠ ও তৃণমূল কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল। মূলত বেলঘরিয়ার টেক্সম্যাকো স্ট্রিল ফাউন্ডারি এলাকা থেকে বালি তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়।  কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গুড্ডু আনসারীর অনুগামীরা টেক্সম্যাকো স্ট্রিল ফাউন্ডারি এলাকা থেকে বালি তুলতে গেলে বাধা দেয় কামারহাটি পৌরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃনমূল কাউন্সিলার নির্মল রাইয়ের অনুগামীরা। এর ফলে দুপক্ষের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এলাকায়। এলাকার মানুষ ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের কামারহাটি উত্তপ্ত হয়ে উঠল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিনের  কাউন্সিলারের ছেলে হামলা চালানো প্রসঙ্গে কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে। তবে, কামারহাটিতে মাঝে মধ্যেই এইরকম গন্ডগোল মোটেই কাম্য নয়। দলগতভাবেও আমরা বিষয়টি দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, কামারহাটিতে (Kamarhati) তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল লেগেই রয়েছে। কাটমানির টাকা কে নেবে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব। এর আগে বিধায়ক অনুগামীর সঙ্গে এক কাউন্সিলারের অনুগামীদের লড়াই হয়েছিল। এবার কাউন্সিলারের ছেলে হামলার সঙ্গে জড়িত। ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল দলটা গোষ্ঠী কোন্দল ছাড়া আর কিছু নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share