Tag: Trinamool

Trinamool

  • Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়়ি উপ নির্বাচনেই ঠিক আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন তৃণমূলের ধূপগুড়ির (Dhupguri) প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে এই আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। ফলে, এমনিতেই এই আসনে তৃণমূল ব্যাকফুটে রয়েছে। শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক দল বদল করায় তৃণমূল আরও ব্যাকফুটে চলে গেল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে।

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক? (Dhupguri)

    ২০১৬ – ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ধূপগুড়ির (Dhupguri) বিধায়ক ছিলেন। ২০২১ সালে ফের তৃণমূল তাঁকে বিধানসভার টিকিট দিয়েছিল। সেই ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁকে দলে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মিতালি রায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজবংশী সমাজকে বাড়তে না দেওয়া এবং তাদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। ২০২১ এর ভোটের পর থেকেই আমি একপ্রকার ঘরেই বসেছিলেন। এবারের নির্বাচনেও আমি তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নামেননি। মাঝে একদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের অনুরোধে আমি প্রচারে বেড়িয়েছিলাম। শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও আমি মঞ্চে ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্যও রেখেছিলাম। কিন্তু, মঞ্চেই আমি বুঝতে পারি, আমার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। তখনই আমি দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিই। এলাকার মানুষের স্বার্থে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কেন আমাকে টিকিট দেবেনা তৃণমূল?  কামতপুর আন্দোলনে জড়িত ছিলেন, সেখান থেকে তৃণমূল আমাকে তাদের দলে নিয়ে আসে, জেলার মহিলা সভানেত্রীর পদ দেয়। আমিও মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাহলে কেন আমার সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হল? বানারহাটের হাতিনালা খালের পাকাপাকি সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এই সব কিছু চিন্তা করে আমি বিজেপিতে যোগদান করেছি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভোটের আগে এটা আমাদের মাস্টার স্ট্রোক। এতেই তৃণমূল ধরাশায়ী হবে। ধূপগুড়িতে (Dhupguri) বিজেপি অনেক ভাল ফল করবে। গত বিধানসভার থেকেও অনেক বেশি মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    মিতালি রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, এতে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। উল্টে লাভ হবে। কে গেলো আর কে এলো সেটা কোনও ব্যাপারই না। দলের চিহ্ন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ধূপগুড়িতে (Dhupguri) ভোট দেবে মানুষ। তার বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূল আরও বেশী ভোটে জিতবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের মদতেই আরামবাগে চলছে তোলাবাজি, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে ব্যবসায়ীরা

    Arambagh: তৃণমূলের মদতেই আরামবাগে চলছে তোলাবাজি, রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের মদতেই এলাকায় রমরমে চলছিল তোলাবাজি। প্রতিবাদে পথে নামলেন ব্যবসায়ীরা। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাজ্য সড়ক অবরোধের পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)  

    অভিযোগ, তোলাবাজদের মাথায় শাসক দলের নেতাদের একাংশের হাত রয়েছে। শাসক দলের প্রভাব খাটিয়ে কিছু সমাজ বিরোধী ব্যাবসায়ীদের কাছে থেকে তোলা চাইছে। আর কেউ দিতে অস্বীকার করলে দুষ্কৃতীরা হুমকি দিচ্ছে। গোটা এলাকাজুড়ে যা খুশি তাই করে বেড়াছে। এমনকী সাধারণ মানুষের কাছে থেকেও তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শাসক দলের মদত থাকায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে না। ওরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার জেরে ব্যাপক সমস্যায় এলাকার ব্যাবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ। তোলাবাজদের বিরুদ্ধে পুলিশকে বার বার  জানিয়েও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। তাই এবার এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাধ্য হয়ে এদিন মায়াপুর এলাকার ব্যাবসায়ীরা আরামবাগ-(Arambagh) কোলকাতা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বেশ কিছুক্ষণ অবরোধের পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে  দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে তাঁরা অবরোধ তুলে নেয়। একই আশ্বাস দেন হরিণখোলা- ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থ হাজারিও। তবে, ব্যবসায়ীরা পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শাসক দলের একাংশের মদতেই এসব হচ্ছে। এ ধরনের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ফের দেখা দিলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন এলাকায় তোলাবাজি চালাচ্ছে। ব্যবসাদার ও সাধারণ মানুষকে ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছে থেকে তোলা আদায় করছে। মায়াপুরেতে দীর্ঘদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটে চলেছে। পুলিশ, প্রশাসনকে ব্যবসায়ীরা বারবার জানিও কোন কাজ না হওয়ার কারণে এদিন ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়েই পথে নেমে প্রতিবাদ জানান।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে তৃণমূল। আরামবাগ (Arambagh) সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, তৃণমূলের কর্মীরা এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে কোনওরকমভাবেই জড়িত নয়। বিজেপি পরিকল্পিতভাবে আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা কং-বাম নেতৃত্বের

    Dhupguri: ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের দিনই ধূপগুড়িতে তৃণমূলকে তুলোধোনা কং-বাম নেতৃত্বের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হচ্ছে। সেই বৈঠকে তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম নেতৃত্ব সহ সকলেই জোট বেঁধে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার রূপরেখা তৈরি করছে। ঠিক সেই সময় ধূপগুড়ি (Dhupguri) উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তেড়ে ফুড়ে নামল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। ফলে,কেন্দ্রে ইন্ডিয়া জোটের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ধূপগুড়়ির বাসিন্দারা।

    কেন্দ্রের জোট শরিক তৃণমূলকে নিয়ে কী বললেন কং-বাম নেতৃত্ব?

    শুক্রবার ধূপগুড়ির (Dhupguri) উপনির্বাচনে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রের বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরী এবং সি পি আই এমের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক মহ:সেলিম এক মঞ্চে বাম প্রার্থীর হয়ে প্রচার সভা করেন। ধূপগুড়ি ডাকবাংলো মাঠে শুক্রবার তাঁরা একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এদিন প্রথমে অধীর চৌধুরী বক্তব্য দিতে উঠেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, তৃণমূল গোটা রাজ্য জুড়ে লুট করে চলেছে। একদিকে কয়লা, গরু, বালি পাচারের টাকা খাচ্ছে, এর পাশাপাশি চাকরিও চুরি করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাস চালিয়েছে। ভোটের আগে সন্ত্রাস, ভোটের মনোনয়নে সন্ত্রাস,ভোটের দিন সন্ত্রাস,ভোটের পরেও সন্ত্রাস করেছে বলে অভিযোগ করেছেন অধীর চৌধুরী। একই সুর শোনা যায় মহ: সেলিমের গলায়। তাঁর বক্তব্যের মূল নিশানা ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, তিনিই চোরেদের সর্দার। গোটা রাজ্য জুড়েই তারা সব টাকা লুটে পুটে খাচ্ছে। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা তারা লুটে পুটে নিয়ে সাধারণ মানুষকে সব কিছু থেকে বঞ্চিত করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই জোট প্রসঙ্গে বিজেপির জলপাইগুড়ির জেলা সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রাসাদ বলেন, এই জোট শিয়ালের জোট। তারা এই ইন্ডিয়া জোটকে শিয়ালের জোট হিসেবেই দেখছেন। কারণ, এক শিয়াল যখন চুরি করার জন্য হুক্কা হুয়া ডাকে তখন অন্য শিয়ালরাও হুক্কা হুয়া করে। এরা নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এই জোট করছে। মানুষের সেবার জন্য নয়। এরা শুধু মানুষের রক্ত চোষার জন্য এই জোটে সামিল হয়েছে

    ইন্ডিয়া জোট নিয়ে একী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    এদিন মহ:সেলিমকে ইন্ডিয়া জোট নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছুটা বিরক্ত বোধ করে বলেন মুম্বইয়ের কথা মুম্বাই থেকে শুনবেন। ধূপগুড়ির (Dhupguri) বিষয় ধূপগুড়িতে হবে। এই মঞ্চে ইন্ডিয়া জোট বা বৈঠক নিয়ে কোনও কথাই বলতে রাজি হন নি। এক কথায় এই প্রাশ্ন এড়িয়ে গিয়ে বলেন, রাজ্যের বিষয়টি একেবারেই আলাদা। এর সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্যের বিষয় রাজ্যেই হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি দলীয় কার্যালয়ে তালা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Paschim medinipur: পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি দলীয় কার্যালয়ে তালা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনটি দলীয় কার্যালয় কার দখলে থাকবে, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, না অঞ্চল তৃণমূলের সহ-সভাপতির। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। তৃণমূল কার্যালয়ে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা-২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর-২ পঞ্চায়েত এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি বিবাদ রয়েছে। মূলত অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ও  অঞ্চল কমিটির সহ-সভাপতি  তথা ভগবন্তপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ইসমাইল খানের মধ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। জানা যায়, দলীয় নির্দেশকে মান্যতা না দিয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এগিয়ে থাকা ইসমাইল অনুগামীরা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে প্রধান নির্বাচিত করেন। মূলত নির্দলদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তারপর থেকেই এলাকায় রয়েছিল চাপা উত্তেজনা। আর মঙ্গলবার ইসমাইল অনুগামীরা নির্দলের জয়ী সদস্যকে নিয়ে এলাকায় একটি মিছিল করেন। আর সেই মিছিলের পরেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়গুলি দখলের অভিযোগ তুলছে তৃণমূলের রামকৃষ্ণ রায়ের অনুগামী তথা তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ভগবম্তপুর দুই পঞ্চায়েত এলাকার কল্লা, খুড়শি, ভগবন্তপুরে  তিনটি তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। তিনটি কার্যালয় দখলের অভিযোগ জয়ী নির্দল কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলল নির্দল কর্মীরা। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় তালা দেওয়ার ঘটনায় নির্দলদের মদত দেওয়ায় নাম জড়াল। এলাকার তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের অভিযোগ, তৃণমূলের যে দুটি দলীয়  বুথ কার্যালয় ও একটি অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ছিল। মঙ্গলবার রাতে সেই কার্যালয়ে তালা দিয়ে দিয়েছে নির্দল কর্মীরা। এলাকার কিছু সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা নির্দলদের সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের কিছু নেতাদের মদতে এই কার্যালয়গুলিকে দখল করে নিয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূলের অঞ্চল  সভাপতি?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, নির্দলের সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের একাংশ বোর্ড গঠন করেছে। তৃণমূলের একটি অংশের সমর্থনে এই এলাকায় নির্দল প্রার্থী জয়ী হয়েছে। তারা মিছিল করে আমাদের দলীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

    কী বললেন অঞ্চল তৃণমূলের সহ সভাপতি?

    তৃণমূলের সহ সভাপতি ইসমাইল খান বলেন, নির্দলরা কেউ ছিল না। সকলেই দলের কর্মী। অঞ্চল সভাপতি দলীয় কার্যালয় তালা দিয়েছিলেন। কর্মীরা তা মানেনি। তালা ভেঙে দলীয় কর্মীরা পার্টি অফিসে ঢুকেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় গুলি করে তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলেকে খুন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Nadia: নদিয়ায় গুলি করে তৃণমূলের বুথ সভাপতির ছেলেকে খুন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে চলে এল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে প্রকাশ্যে চলল গুলি। তৃণমূলের বুথ সভাপতি মহতালি দফাদারের বাড়িতে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে বুথ সভাপতির ছেলের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মতিয়াজুল দফাদার (৩৫)। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে দুজনকে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে  নদিয়ার নাকশিপাড়ার ধাপারিয়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    নদিয়ার (Nadia) নাকাশিপাড়ার ধাপারিয়া এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন। তৃণমূল জয়ী হলেও কংগ্রেস প্রার্থী অনেক ভোট পেয়েছিলেন। তৃণমূল বোর্ড গঠন করার পরই কংগ্রেসকে সমর্থন করা হয়েছে, এই সন্দেহ করেই তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে দলের অন্যপক্ষ হুমকি দিতে থাকে। এদিন সকালে তৃণমূল আশ্রিত ওই দুষ্কৃতীরা হঠাৎ তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিয়োগ। বুথ সভাপতি বাড়িতে বসে চা খাচ্ছিলেন। প্রথমে দুষ্কৃতীরা বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে বুথ সভাপতি ও তাঁর ছেলে এবং ভাইপোকে। বাধা দিতে গেলেই দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে বুথ সভাপতির ছেলের গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর আহত হন আরও দুজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    কী বললেন জখম পরিবারের সদস্য?

    আহত পরিবারের সদস্য গুলমিশা বিবি বলেন, আমাদের পরিবারের প্রত্যেকেই তৃণমূল দল করেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই অন্য এক তৃণমূলের গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে শুরু করে। কারণ, নির্বাচনে কংগ্রেসকে আমরা সমর্থন করেছি এই সন্দেহ করেই ওরা এভাবে হামলা চালিয়েছে। অথচ আমাদের পরিবার সকলেই তৃণমূল করে। তারপরও এভাবে হামলা চালানো মেনে নেওয়া যায় না। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এ বিষয়ে নাকাশিপাড়ার বিধায়ক প্রথা নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক তৃণমূলের জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নয়। পুরোটাই ব্যক্তিগত কারণে তাদের অশান্তি। এরা উভয় পক্ষ আমাদের দল করে। তবে, এটা রাজনৈতিক কোনও ঘটনা নয়। পুলিশ তদন্ত করছে, সত্য জানা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়, ধূপগুড়িতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Dhupguri: দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়, ধূপগুড়িতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়ির (Dhupguri) উপনির্বাচন নিয়ে শাসক দলের কোন্দল  চলছেই। এবাবের এই নির্বাচনে দলের কিছু নেতা কর্মী তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে বের হননি। তারমধ্যে প্রধান মুখ মিতালি রায়। তিনি ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ধূপগুড়ির তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। ২০২১সালেও বিধায়ক পদে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি আর জিততে পারেন নি। এই আসনে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হওয়াতে সেই আসনে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর উপ নির্বাচন হবে। আর তৃণমূলের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে বিজেপি প্রার্থী পুলওয়ামায় শহিদ জওয়ানের স্ত্রী তাপসী রায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দলীয় প্রার্থীর প্রচারে নেই তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক

    এবার উপ নির্বাচনে টিকিট পাননি তৃণমূলের মিতালী রায়। আর তাতেই তাল কেটেছে তৃণমূলের ধূপগুড়ি (Dhupguri) এলাকায়। এবারের প্রচারের থেকে নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে রেখেছেন মিতালীদেবী। ভোটের বাকী মাত্র হাতে কয়েকটা দিন। কিন্ত, প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে তাঁকে প্রচার করতে দেখা যায়নি। উলটে তিনি নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। শুধু পরিকল্পনাই নয় তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে একপ্রকার ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখের ঠিক আগের দিন তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব মিতালী রায়কে বুঝিয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়া থেকে বিরত করেন। তারপরেও মিতালী রায়কে কোনও প্রচারে দেখা যায়নি। যেখানে দলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্ব  ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের পালা করে প্রচারে আসছেন, সেখানে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক কোনও প্রচারে সামিল হচ্ছেন না।

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে জোট প্রার্থীর বৈঠক

    অন্যদিকে, সিপিআইএম ও কংগ্রেসের জোট প্রার্থী ঈশ্বর চন্দ্র রায় মিতালী রায়ের বাড়িতে গিয়ে একান্তে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন। তবে, ওই বৈঠকে তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। দুজনেই জানিয়েছেন এই বৈঠক সৌজন্য সাক্ষাৎকার মাত্র। এদিকে মিতালীদেবী দীর্ঘদিনের তৃণমূল নেত্রী। তাঁর নিজস্ব ভোট ব্যাংক আছে। তিনি ভোটের প্রচারে না যাওয়ায় তাঁর অনুগামীদের ভোট খুব স্বাভাবিকভাবেই শাসক দল পাবে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। এই আবহে ঘোলা জলে মাছ ধরার মতো ধূপগুড়ির (Dhupguri) তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস।

    কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক?

    প্রাক্তন বিধায়ক মিতালী রায়কে ফোনে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণে আমি প্রচারে বের হতে পারছি না। তার ব্যক্তিগত কারণ, নাকি দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী না করায় গোঁসা? সেই বিষয়ে তিনি আর খোলসা করে কিছু বলেননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    Duttapukur: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Duttapukur) ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা গুরুতর জখম রয়েছেন। ফলে, কথা বলার অবস্থায় অনেকেই নেই। বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলি ওরফে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল করত, দাবি পরিবারের লোকজনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরামতের ‘বাজি’র ব্যবসায় ‘অংশীদারিত্ব’ ছিল শফিকের। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে কেরামতের। তাঁর ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার সকালে ফের দত্তপুকুরে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হল। বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুরে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল। তার মাথা ফাটা, কোমর থেকে পায়ের কোনও চিহ্ন নেই। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী বললেন ধৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন?

    দত্তপুকুরকাণ্ডে (Duttapukur) গ্রেফতার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বিবি বলেন, রবিবার বিকালে আমার স্বামীকে একজন ফোন করে। স্বামী বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গেলেই তাকে গ্রেফতার করে। এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত নয় আমার স্বামী। কেরামতের সঙ্গে পাড়ার লোক হিসাবে কথাবার্তা হতো। বাজি কারবারের যে অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করা হল পুরোটাই চক্রান্ত। ধৃতের দাদা বাবলু ইসলাম বলেন, আমার ভাই তৃণমূল করত। ওই দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এই ঘটনায় ভাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। ভাইকে ফাঁসানো হল।

    বাজি কারবারে মুর্শিদাবাদের একজন জড়িত, দাবি এলাকাবাসীর

    কেরামত আলির সহযোগী ছিল শফিক আলি। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জিরাত শেখ নামে একজনের নাম উঠে আসছে। দত্তপুকুরে (Duttapukur) বাজি কারখানায় জিরাতের অন্যতম ভুমিকা রয়েছে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনার সময় সে ঘটনাস্থলে ছিল না মুর্শিদাবাদে ছিল, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে, পুলিশ মুর্শিদাবাদের এই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, কেরামত মোচপোল গ্রামে একজনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি বাজি কারখানা গড়ে তুলেছিল। বাড়ির মালিকও এই কারখানায় কাজ করত। বিস্ফোরণের ঘটনায় তারও মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। শফিক আলিকে জেরা করার পর আরও অনেক তথ্য জানা যাবে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমনিতেই বাজি তৈরির কারখানা ছিল বেআইনি। সেখানে আতসবাজি শুধু নয়, বোমা তৈরি হয়। কেরামতের কারখানা থেকে কিছুটা দূরেই আরও একটি বেআইনি কারখানার হদিশ পায় এলাকাবাসী। পাঁচিল ঘেরা সেই জমিতেই বেআইনি বাজি ও বোমা তৈরি করা হত। রীতিমতো গবেষণাগার তৈরি করা হয়েছিল। এলাকাবাসী ভাঙচুর করার সময় দেখতে পায়, সেখানে পটাশিয়াম ক্লোরাইড মজুত করে রাখা রয়েছে। ফলে, সেখানে যে বোমা তৈরি হত, তার জ্বলন্ত প্রমাণ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে কেউ না থাকায় সেই কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari:  ‘লোকসভাতে প্রতিটা বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করব’, খেজুরির সভা থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভাতে প্রতিটা বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করব’, খেজুরির সভা থেকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিসিমণি মিটিং হয়েছে? কয়লা ভাইপো খেজুরিতে মিটিং হয়েছে ! ১৪৪ ! মামার বাড়ির আবদার! লোকসভাতে প্রতিটি বুথে তৃণমূলকে ফাঁকা করবো। এভাবেই  শনিবার বিকেলে খেজুরির আলিপুর বাজারে বিজেপির জনসভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কারণ, এর আগে গত শনিবার খেজুরির আলিপুর বাজারে বিজেপির জনসভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। কিন্তু, হঠাৎই পুলিশ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সভার অনুমতি বাতিল করে। সেদিন খেজুরির বুকে দাঁড়িয়ে রীতিমতো হুঙ্কারের সুরে শুভেন্দু বলেছিলেন,আলিপুর বাজারেই সভা করব আগামী শনিবার। আদালতের অনুমতি নিয়েই সভা হবে। আর হলও তাই।

    পুলিশকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    এরপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বক্তব্যের শুরুতে পুলিশকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে কখনও ‘মামা’ বলে  সম্বোধন করেন। কখনও মমতা পুলিশ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বিরোধী দলনেতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কোনও ফ্যাক্টর নয়। সমস্যা হচ্ছে মমতা পুলিশ। এরপরই তিনি বলেন,মমতার পুলিশের থেকেও ব্রিটিশ পুলিশ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। সেই ব্রিটিশ পুলিশকে খেদিয়ে ছিল যে মেদিনীপুর। সেখানে  মিথ্যা মামলা দিয়ে, গাঁজার কেস দিয়ে, অস্ত্র মামলা দিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না।  সংঘবদ্ধ থাকুন। সামনে কঠিন লড়াই।  ২০২৪ সালে মোদীকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী করার নির্বাচন। কাঁথি লোকসভা তিন লক্ষ ভোটে বিজেপি জিতবে বলেও তিনি দাবি করেন।

    তৃণমূল কর্মীদের ব্যালট খাওয়া নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আমরা জানি, কয়লা, গরু, পাথর, বালি খায়। আমরা জানতাম না তৃণমূল ব্যালট পেপার খায় বলে। এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ, বিধায়ক,  মন্ত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি তৃণমূল কংগ্রেস ইভিএম খেতে পারবে না লোকসভায় ইভিএমের আকার এত বড় আর তার সঙ্গে রয়েছে ভিভিপ্যাড। এই দুটো তৃণমূলের ছোট চোর তো পরের কথা, চোরেদের রানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ক্ষমতা নেই ইভিএম খেয়ে ফেলার। 

    দলবদলু দুই সদস্যকে কী বার্তা দিলেন শুভেন্দু?

    খেজুরি ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সত্ত্বেও বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূল। কারণ,বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের হাত ধরেছে। বিজেপির মন্ডল সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী সেই উদয় শঙ্কর মাইতিকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, নিশ্চিতভাবে দল পরিবর্তনের অধিকার সবার আছে। কিন্তু,তার আগে পঞ্চায়েত সমিতিতে পদত্যাগ করা উচিত উদয়ের। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সব কর্মাধ্যক্ষ বিজেপির হবে বলেও হুংকার দেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন,১০ লক্ষ করে টাকার বিনিময়ে বিজেপির দুজন নিজের মনুষ্যত্ব, নিজের হিন্দুত্ব, নিজের রাষ্ট্রবাদ, নিজের দেশপ্রেম বিক্রি করেছেন এবং গণদেবতাকে অমর্যাদা করেছেন।  এরপরই নিজের উদাহরণ টেনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ১৭ ই ডিসেম্বর ২০২০ সালে বিধানসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ১৯ শে ডিসেম্বর অমিত শাহের হাত ধরে পদ্ম ফুলের পতাকা ধরেছিলাম। এই কাজটা যদি উদয় করত তাহলে, আমাদের কোনও আপত্তি ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: রায়গঞ্জে শঙ্খ বাজিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করে পঞ্চায়েতে দায়িত্ব নিল বিজেপি, কেন জানেন?

    Raiganj: রায়গঞ্জে শঙ্খ বাজিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করে পঞ্চায়েতে দায়িত্ব নিল বিজেপি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরোহিত ডেকে শাঁখ, উলুধ্বনির পাশাপাশি গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণের মধ্য দিয়ে  পঞ্চায়েতের দায়িত্বভার নিল বিজেপি। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এদিন প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বিজেপির রেখা বর্মন।

     পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ? (Raiganj)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ (Raiganj) ব্লকের কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। বিজেপি এই পঞ্চায়েতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও বিজেপি জয়ী সদস্যদের শংসাপত্র কেড়ে নিয়ে খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ঘটনার পর পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন বিজেপির রেখা বর্মন। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এই পঞ্চায়েত দখল করেছিল। প্রায় আড়াই বছর পর বিজেপির সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় তৃনমূল কংগ্রেস অনাস্থার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি পুনরায় এই গ্রাম পঞ্চায়েতটি দখল করে। বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করলেও বোর্ড গঠন নিয়ে তৈরি হয়েছিল টানাপোড়েন। সেই টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। শনিবার পঞ্চায়েতের প্রধান রেখা বর্মন আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। প্রধান পঞ্চায়েত অফিসে আসার আগেই পঞ্চায়েত অফিসকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। পুরোহিত ডেকে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধীকরন করার পর উলুধ্বনি, শঙখধ্বনির মধ্যে দিয়ে প্রধান রেখা বর্মন পঞ্চায়েতে প্রবেশ করেন। পঞ্চায়েতকে কেন শুদ্ধিকরন করা হল এ প্রসঙ্গে বিজেপির অঞ্চল কনভেনর অরূপ পাল বলেন, চলতি বছরে তৃণমূল চারিদিকে সন্ত্রাস করেছে। এমনকী বোর্ড গঠনের দিনে বিজেপির প্রধানের শংসাপত্র খেয়ে নিয়েছিল তৃণমূলের এক প্রতিনিধি। তাই এসব ঘটনা থেকে পঞ্চায়েতকে মুক্ত করে নতুন করে মানুষের জন্য কাজ করার পথ চলা শুরু হল।

    কী বললেন পঞ্চায়েতের প্রধান?

    একইভাবে নবনির্বাচিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেখা বর্মন বলেন, আড়াই বছর এই পঞ্চায়েতে তৃণমূল ক্ষমতায় ছিল। তারা কোনও কাজ করেনি। তাই এদিন শুদ্ধিকরণের মধ্যে দিয়ে নতুন করে পথ চলার বার্তা দেন তিনি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী প্রধান যমুনা বর্মন বিজেপির এই শুদ্ধিকরনকে আমল দিতে রাজি নন। তিনি বলেন, মন শুদ্ধ থাকলেই সব শুদ্ধ হয়। এসব করে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বালুরঘাটে ঠিকাদারের কাছে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী

    Balurghat: বালুরঘাটে ঠিকাদারের কাছে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলেরই কর্মী। সেই সুবাদে তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা থেকে ঠিকাদারির কাজ পেয়েছিলেন ওই কর্মী। আর সেই কাজ করতে গিয়েও ওই ঠিকাদারের কাছে থেকে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভায়। এর আগে এই পুরসভায় এক তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে  কাটমানি নেওয়ার অভিযোগের তদন্তই শেষ হয়নি। সেই ঘটনার জের না মিটতেই বালুরঘাটে ফের  আরও এক তৃণমূল কাউন্সিলারের স্বামীর বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠল। কাটমানি চাওয়ার সেই অডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূল।

    ভাইরাল হওয়া অডিওতে কী রয়েছে? (Balurghat)

    ভাইরাল হওয়া ওই  অডিওতে এক দলের কর্মী তথা ঠিকাদারের সঙ্গে ওই  মহিলা কাউন্সিলারের স্বামী সুদীপ নন্দী ও এক অনুগামীকে  কাটমানি নিয়ে দরকষাকষি চালাতে শোনা যাচ্ছে। বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার এক ঠিকাদার ওয়ার্ডে ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার কাজ করেছেন। তার কাছ থেকে ২০ শতাংশ টাকা কাটমানি হিসেবে চাওয়া হচ্ছে। আর অত টাকা দিতে পারবেন না বলে কাকুতি মিনতি করছে ওই ঠিকাদার। দলীয় কর্মীকেও কাজের জন্য এভাবে টাকা দিতে হবে। তিনি পার্টি ফান্ডের জন্য ২ হাজার দিতে রাজি হয়। যদিও  ওই  ভাইরাল অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বালুরঘাট (Balurghat) শহর মণ্ডলের প্রাক্তন সভাপতি সুমন বর্মন বলেন, কাউন্সিলারের স্বামী ও তাঁর অনুগামীদের এক ঠিকাদারের কাছে টাকা চাওয়ার অডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ক্লিপেই পরিষ্কার, কাটমানি ছাড়া কোনও কাজ করে না তৃণমূল। ঠিকাদার অত টাকা দিতে পারবেন না বলে আকুতি মিনতি করছেন। আমরা এর তদন্ত চাই।

    অভিযোগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল কাউন্সিলার?

    কাটমানি নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠা প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলার নিতা নন্দী বলেন, আমার ও আমার স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিজেপি যদি অভিযোগটা প্রমানণ করতে পারে তাহলে আমি আমার পদ থেকে ইস্তফা দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, যে অডিও ভাইরাল  করা হয়েছে,  তাতে কাউন্সিলর বা কাউন্সিলারের স্বামীর কোনও গলা সেখানে আমরা শুনতে পাইনি। অথচ তাদের নাম করে যারা মিথ্যা রটনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রস্তুত। কারণ, পুরসভাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চলছে। তৃণমূল জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, বিজেপির আইটি সেল এর কাজ মিথ্যে রটনা করা। এক্ষেত্রেও আমাদের মনে হচ্ছে মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে। কোনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে কিনা আমরা দলীয়ভাবে তদন্ত করে দেখব।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share