Tag: Trinamool

Trinamool

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে ৫০ কোটির দুর্নীতিতে ইডি, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ, কী বললেন আমনতকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল জমানাতেই আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) একটি সমবায়ে আমানতকারীদের গচ্ছিত কোটি কোটি টাকা তছরুপ হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রতারিতরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ওই মামলায়  ইডি এবং সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আর্থিক তছরূপের ঘটনায় কয়েক বছর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের পাঁচ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হলেও আমানতকারীরা তাদের গচ্ছিত টাকা আজও ফেরত পাননি। ইতিমধ্যেই জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে দুর্নীতির ওই মামলায় সিবিআই ও ইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় খুশি আমানতকারীরা। তাঁদের আশা, কোটি কোটি টাকা তছরূপে জড়িত মূল নাটের গুরুরা এবার সিবিআই ও ইডির জালে ধরা পড়বে।

    কত টাকার দুর্নীতি হয়েছিল? (Alipurduar)

    যদিও বাম আমলে আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতি গড়ে উঠেছিল। শুরুর দিকে ওই ওই সংস্থার কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবেই চলছিল। কিন্তু, ২০১৭ সাল থেকেই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। ওই সংস্থার প্রায় ২২ হাজার গ্রাহক ছিল। গ্রাহকরা তাঁদের গচ্ছিত টাকা ফেরত না পেয়ে ২০২০ সালের আগস্ট মাসে সমিতির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে রাস্তায় নামেন। ২০২০ সালেই বন্ধ হয়ে যায় সমিতির দফতর। এখনও সেই দফতর বন্ধই রয়েছে। ওই সময় অলক রায় নামে এক বাসিন্দা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই সমবায় কর্তাদের পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে সিআইডি তদন্ত হয়েছে। কিন্তু, আমানতকারীরা টাকা ফেরত পেতে ২০২২ সালে সার্কিট বেঞ্চে সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপরেই গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই ও ই ডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক থেকে ঝাল মুড়ি বিক্রেতা কেউ বাদ যায়নি প্রতারণার হাত থেকে। আদালতের নির্দেশে যে কোন দিনই আলিপুরদুয়ারে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা এসে ওই আর্থিক দুর্নীতি তদন্ত শুরু করবে। প্রতারিত আমানতকারীদের বক্তব্য,আসল রাঘব বোয়াল যারা তারা অধরাই রয়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকে ঠিকাদার রয়েছেন। যারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে।

    দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    যদিও বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, সিপিএমের কিছু নেতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষকরা মানুষের গচ্ছিত ওই টাকা আত্মসাৎ করেছে। আমি বিধানসভায় এ নিয়ে সরব হয়েছিলাম। আমরা চাই, প্রতারিত মানুষরা তাদের টাকা ফেরত পাবে। অন্যদিকে,  সিপিএমের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সম্পাদক কিশোর দাস জানিয়েছেন, তৃণমূল জামাতেই যারা মানুষের গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করেছে, তাদের অনেকেই শাসক দলের ছাত্র ছায়ায় রয়েছেন। সিবিআই ও ইডি তদন্ত হলেই সব কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিজেপির জেলা নেতা মিঠু দাস বলেন, এই দুর্নীতির সঙ্গে তৃণমূল জড়়িত রয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে প্রতারিতদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পাবে বিজেপি, আর কাজ করবে তৃণমূল! বুধবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ভোট (Dhupguri By Election) প্রচারে এসে এমন মন্তব্যই করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব। পাশাপাশি ভোটারদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন তিনি। ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। প্রচারে এসে অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁর এই আচরণে সাধারণ মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dhupguri By Election)

    বুধবার সকালে তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গৌতম দেব ধূপগুড়ি পুর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটের (Dhupguri By Election) প্রচার করছিলেন। সেখানেই এক ভোটার গৌতম দেবকে সামনে পেয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন। জলকাদায় ভরে গিয়েছে রাস্তা, পানীয় জলের পাইপ রাস্তার ওপর দিয়ে গিয়েছে, এইরকম একাধিক অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই ভোটার। তিনি মেয়রকে বলেন, ফি বছর বর্ষায় আমাদের জলবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। নিকাশি ব্যবস্থা এমনই খারাপ যে, চলাফেরা করার জন্য একেবারে অযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রথম থেকেই ওই এলাকায় কোনও রকম উন্নয়ন হয়নি। আর এতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন গৌতমবাবু। তিনি সেই ভোটারকে পাল্টা জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, বিধায়ক বিজেপির, সাংসদও বিজেপির। কাজেই এই অনুন্নয়নের জন্য দায়ী বিজেপি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধূপগুড়ির জন্য কী কী করেছেন সেই খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি, এটা হতে পারে না। এরপর পাশ থেকে এক দলীয় কর্মী বলেন, এবার উপ নির্বাচনে লিডের ব্যবস্থা করুন, উন্নয়ন হয়ে যাবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলার কৃষ্ণদেব রায় বলেন, ধূপগুড়ি পুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে রাস্তার বেহাল অবস্থা। সব থেকে বেশি সমস্যা বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলিতে। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। এলাকার কী অবস্থা, তা গৌতম দেব নিজে এসে ঘুরে দেখে গিয়েছেন। তবে, ভোটের প্রচারে এসে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা এইভাবে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন, সেটা হয়তো ভাবতেই পারেননি তিনি। আর এই ঘটনায়  কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। যদিও ধূপগুড়ি পুর এলাকা থেকে বিধানসভা উপ নির্বাচনে (Dhupguri By Election) তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বলে আশাবাদী দলীয় নেতৃত্ব। তবে ধূপগুড়ি পুর এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছেই। এবারের উপ নির্বাচনে কিছুটা হলেও শাসক-বিরোধী হাওয়া রয়েছে পুর এলাকায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের সিজগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত দলেরই অঞ্চল সভাপতি

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের সিজগ্রামে তৃণমূল নেতার বাড়িতে হামলা, অভিযুক্ত দলেরই অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্থানীয় তৃণমূল নেতা পলাশ কবিরাজের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার ভরতপুর থানার সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের কাঞ্চনগড়িয়া কবিরাজপাড়ায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুর-১ নং ব্লকের ১৬ নং পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন পলাশ কবিরাজ। তিনি পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। তবে, স্থানীয় নেতৃত্ব হিসেবে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী সদস্য তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। শত্রুতার সূত্রপাত পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে পলাশ কবিরাজের অনুগামীরা তাঁর পক্ষে দাঁড়ায়নি। সেই কারণেই সিজগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান রাসমিনা বিবির স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি আমীর হামজা বোর্ড গঠনের পর থেকে তাঁকে ফোনে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার রাত ১১টা নাগাদ ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী বাইকে করে পলাশ কবিরাজের বাড়িতে চড়াও হয়। সকলেই তৃণমূল নেতা আমীর হামজার অনুগামী হিসেবে পরিচিত। তাঁকে গালিগালাজ করা হয়। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছোড়়া হয় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা?

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতা পলাশ কবিরাজ বলেন, আমরা দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে চেয়েছিলাম। তাই, ঝর্ণা মণ্ডলকে প্রধান করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম। এটাই আমার অপরাধ। আমীর ওর স্ত্রীকে পঞ্চায়েত প্রধান করেছে। বোর্ড গঠনের পর থেকে হুমকি দিচ্ছিল। এবার বাড়িতে লোক পাঠিয়ে হামলা চালাল। বিষয়টি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার নেতৃত্বকে জানাব।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আমীর হামজা বলেন, হামলার ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। পলাশ কবিরাজ ঋণে জর্জরিত, পাওনাদাররা বহুবার তার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। হামলা চালালে তার দায় আমি নেব না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। পলাশ থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করুক। আমরা হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: এলাকায় দাদাগিরি! শিলিগুড়িতে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের পাশে বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: এলাকায় দাদাগিরি! শিলিগুড়িতে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের পাশে বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে। আর সেই সাহসেই প্রকাশ্যে এক ব্যক্তির  দাদাগিরি চালাচ্ছে এলাকায়। আর তার দাদাগিরি অত্যাচারে অতিষ্ঠ শিলিগুড়ির (Siliguri) শক্তিগড় এলাকার ব্যবসায়ীরা। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার, পুলিশ এবং শিলিগুড়ির মেয়র সবাইকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। চরম আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? 

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড ক্ষমতায় রয়েছে। এই পুরসভারই এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গোবিন্দ দাস নামে এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, শক্তিগড় এলাকায় টাকা না দিয়ে দোকান থেকে জিনিসপত্র সে তুলে নিয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফেরার সময় মহিলা ব্যবসায়ীর পিছু নিয়ে অশ্লীল গালাগালাজ এবং প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের এই নীরবতায় অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির পিছনে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের প্রশ্রয় রয়েছে। গোবিন্দ দাস নামে ওই ব্যক্তি দিনের পর দিন এই কাণ্ড ঘটিয়ে চলায় ব্যবসায়ীরা এখন দোকান খুলতে ভয় পাচ্ছেন।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা? (Siliguri) 

    সোমা সেনগুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, রাতে আতঙ্কে থাকি। ওই ব্যক্তি বহুদিন ধরেই এমন ঝামেলা করছে। গত বুধবার রাতে দোকান বন্ধ করে ফেরার সময় একই ঘটনা ঘটায়। বৃহস্পতিবার এনজেপি থানায় অভিযোগ দায়ের করি গোবিন্দ দাস নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার মেয়রকে জানালে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু,  কোনও ব্যবস্থা হয়নি। উল্টে শনিবার রাতেই আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে সে। শিলিগুড়ির (Siliguri) শক্তিগড় পিডব্লুইডি মোড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পার্থ ঘোষ বলেন, অনেকদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় জানানোর পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

    আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের পাশে বিজেপি

    রবিবার ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ান বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে তিনি ওই এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। সোমা সেনগুপ্তের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে শিখা দেবী বলেন, গোটা রাজ্যে এই গুন্ডারাজ চলছে। শাসকদলের মদত রয়েছে বলেই পুলিশও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একজন মহিলা ব্যবসায়ী দোকান করে রাতে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। রাস্তায় পিছু করে অশ্লীল গালাগালি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু,তৃণমূলের মদতে এই গুন্ডাগিরি চালতে দেব না।

    তৃণমূলের মেয়র ও কাউন্সিলার কী বললেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলার মৌসুমী মণ্ডল  বলেন, গোটা বিষয়টি শোনার পর আমি পুলিশে জানিয়েছি। পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। শনিবার টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠানে মেয়র সোমাদেবীর অভিযোগ শুনে তাঁকে বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়। পুলিশকে বলব যাতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এলাকা দখলের লড়াই, আক্রান্ত পড়ুয়া, বোমাবাজি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর এলাকা দখলের লড়াই, আক্রান্ত পড়ুয়া, বোমাবাজি, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় ক্ষমতার রাশ কার দখলে থাকবে তা নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জের সেকেন্দ্রা পঞ্চায়েত এলাকায়। এলাকায় বোমাবাজি হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা নিজেদের হাতে রাখতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সেকেন্দ্রায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল দীর্ঘদিনের। এদিন দুপুরে সেকেন্দ্রা হাইস্কুলে নবম শ্রেণির দুই ছাত্র স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে খেজুরতলা মহিপাড়া সাঁকোর কাছে ওই দুই ছাত্রের পথ আটকায়। তারপর তাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত দুই ছাত্রকে উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। বিষয়টি জানাজানি হতেই দুই পক্ষের মধ্যে ফের এলাকায় গণ্ডগোল হয়। ওই তৃণমূল নেতা বোমাবাজিও করে বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে তৃণমূলের সেকেন্দ্রার অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দিয়ে নতুন সভাপতির নাম ঘোষণার পর থেকেই নতুন ও পুরানো পন্থিদের মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত হয়। ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্তরা। তাদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রঘুনাথগঞ্জ থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, এলাকায় পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীরা নেতারা?

    তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মোতাহার হোসেন বলেন, ওরা দলকে ভালোবাসে না। নিজেদের আখের গোছাতেই ওরা দল করত। ক্ষমতা চলে যাওয়ার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনার বাতাবরণ সৃষ্টি করছে। দুটি ছাত্রকে মারধর করেছে। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা সরজেম শেখ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জ -২ ব্লকের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা অসীলা বিবির আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। সরজেম শেখ বলেন, এলাকায় কী ঘটেছে জানিনা। আমি বহুদিন ওই এলাকা ছেড়ে শহরে বসবাস করি। পুলিশ তদন্ত করে দোষীদের সাজা দিক।

    কী বললেন পঞ্চায়েতের প্রধান?

    সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতের নব নির্বাচিত প্রধান পারভিন খাতুন বলেন, দুই ছাত্রের মধ্যে গণ্ডগোল। সেটাকেই কেন্দ্র সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। বোমাবাজি হয়নি। দু-একটি ড্যামেজ বোমা উদ্ধার হয়েছে মাত্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Salboni: শালবনিতে বোর্ডে ক্ষমতা দখলের পরও পঞ্চায়েতে কেন তালা দিলেন বিজেপি কর্মীরা ?

    Salboni: শালবনিতে বোর্ডে ক্ষমতা দখলের পরও পঞ্চায়েতে কেন তালা দিলেন বিজেপি কর্মীরা ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতের গেটে পড়ল তালা। তালা ঝুলিয়ে দিলেন স্থানীয় বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির লালগেড়িয়া এলাকায়। এই পঞ্চায়েত এবার বিজেপির দখলে এসেছে। প্রধান, উপপ্রধান নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। বুধবার তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা দেওয়া হয়নি বলেই প্রতিবাদে পঞ্চায়েতের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, এদিন না হলেও শীঘ্রই নবনির্বাচিত প্রধান, উপপ্রধানকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অরূপ দাস। তিনি বলেন, তৃণমূল একটা নোংরা খেলায় নেমেছে। শালবনির লালগেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড বিজেপি দখল করেছে। কিন্তু, প্রধান, উপপ্রধান এবং আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের তৃণমূল প্রশাসনের সাহায্যে আমাদেরকে হেনস্তা করছে। পুরানো বোর্ডের যে ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারটা থাকে সেটা তৃণমূল বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত করা হয়নি। এইসব করার জন্য  আমাদের পঞ্চায়েত এবং অঞ্চলের যেসব নেতা কর্মীরা রয়েছেন তারা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা মেরে দিয়েছে। আমরা এসব মেনে নেব না। আমরা তৃণমূলের অসহযোগিতার বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলনে নামব। 

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, এবারের লালগেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা দুটো আসনে মাত্র দু ভোটে হেরে গিয়েছিলাম। আমরা মানুষের রায় মাথা পেতে মেনে নিয়েছি। আগামী ১৮ই অগাস্ট  নির্ধারণ করা হয়েছে ক্ষমতা হস্তান্তকরণের। কিন্তু, বিজেপি এমন একটি বিশৃংখল দল কোনও কর্মী কোনও নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ফলে, যা হওয়ার তাই হয়েছে। পঞ্চায়েতে গিয়ে বলা হয়েছে যে আজকেই ক্ষমতা হস্তান্তর করে দিতে হবে। নাহলে পঞ্চায়েতের কাজ করতে দেব না। পঞ্চায়েতের সমস্ত কর্মীদেরকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: তৃণমূলের মঞ্চে খড়দা থানার আইসি, কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার হুঁশিয়ারি, বিতর্ক

    Khardah: তৃণমূলের মঞ্চে খড়দা থানার আইসি, কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার হুঁশিয়ারি, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে কেক খাইয়েছিলেন থানার আইসি সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর বিতর্ক চলছে। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই খড়দায় (Khardah) তৃণমূলের দলীয় মঞ্চে পুলিশের পোশাক পরে হাজির খোদ খড়দা থানার আইসি রাজকুমার সরকার। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    তৃণমূলের মঞ্চে উঠে কী করলেন খড়দা থানার আইসি? (Khardah)

    খেলা দিবস উপলক্ষ্যে খড়দা থানার কাছে টিটাগড় পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সভায় টিটাগড় পুরসভার তৃণমূলের একাধিক কাউন্সিলারের সঙ্গে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন। সেই মঞ্চেই খড়দা (Khardah) থানার আইসি রাজকুমার সরকার পোশাক পরে হাজির হন। মঞ্চের মধ্যেই দলের অন্যান্য নেতাদের মতো খড়দা থানার আইসি পোশাক পরে বসেছিলেন। অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে তাঁকেও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে, তিনি তৃণমূল নেতাদের সামনে মঞ্চে বক্তব্য রাখেন। তোলাবাজির বিরুদ্ধে তিনি সরব হন।

    তৃণমূল কাউন্সিলারদের কী হুঁশিয়ারি দিলেন আইসি?

    খেলা হবে দিবসের মঞ্চ থেকে বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীকে পাশে বসিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলারদের হুঁশিয়ারি দিলেন খড়দহ (Khardah) থানার আইসি রাজকুমার সরকার। তিনি বলেন, তোমরা দলের কাউন্সিলার। যেমন কাজ করবে বিধায়কের ইমেজ ওরকমই হবে। সেই সন্মানটা তোমরা রাখবে। আমি তো আছি। বার বার বলছি সামাজিক কাজ করুন। সামনে পুজো আসছে। আমরা সরকারের মুখ। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মানুষের জন্য কাজ করার। পাড়ায় গিয়ে কাজ কর। অসামাজিক কাজ করবে না। তোলাবাজি করবে না। এটা যেন কোনওভাবেই না হয়। আপনাদের নিরাপত্তা যদি আমি না দিতে পারি ওই জায়গাটায় আমার থাকার কোনও যোগ্যতা নেই। সোজাসুজি বিধায়ককে জানাবেন। এই লোকটা কাজ করে না, একে রাখবেন না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, তৃণমূল দলটা এখন পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করছে। বিরোধীদের শায়েস্তা করছে পুলিশ। আর দলের কাউন্সিলারদের তোলাবাজি না করার বার্তা দিচ্ছে পুলিশ। শাসক দলের নেতাদের সুরে খড়দা (Khardah) থানার আইসি কথা বলছে।  ফলে, বোঝাই যাচ্ছে, দলটার কী অবস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    Siliguri: শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা বনধ ডাকলেন ব্যবসায়ীরা, আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোকানের মালিকানার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটে শুরু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার ব্যবসা বনধ। এখানেই রয়েছে হংকং মার্কেট। পাহাড়, জঙ্গল ঘুরতে এসে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা একবারের জন্য হলেও হংকং মার্কেটে আসেন বিদেশি পণ্য কেনার জন্য। কিন্তু এদিন হঠাৎ করে বাজার বন্ধ থাকায় অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যান। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনের পরও দোকানের মালিকানা না পেয়ে এদিন ব্যবসা বনধ ডাকার পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিল করেন ব্যবসায়ীরা। এই মিছিলে পা মেলান সমস্ত ব্যাবসায়ী ও কর্মচারীরা। সুবিশাল মিছিল বিধান মার্কেট থেকে শুরু হয়ে শহরের মূল রাস্তা পরিক্রমা করে।

    কেন এই ব্যবসা বনধ?

    দেশভাগের পর উদ্বাস্তু হয়ে আসা মানুষের পুনর্বাসনের জন্য শিলিগুড়িতে (Siliguri) এই বাজার তৈরি করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। সেই মতো এই বাজারের নামকরণ করা হয় বিধান মার্কেট। কিন্তু, এতদিন পরেও বংশানুক্রমে ব্যবসা করে আসা ১৬২০ জন ব্যবসায়ী দোকানের মালিকানা তথা জমির সত্ত্ব পাননি। দোকানের মালিকানার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছেন বিধান মার্কেটের ব্যাবসায়ীরা। রাজ্যের শাসক দল সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। শিলিগুড়ি- জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (এস জে ডি) সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেও ব্যবসায়ীরা দোকানের মালিকানা পাননি। অবশেষে ধর্মঘটের পথে হাঁটেন ব্যাবসায়ীরা। বিধান মার্কেট ব্যাবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি সাহা বলেন, এরপরেও এসজেডিএ যদি আমাদের দাবি পূরণ না করে তাহলে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।

    ব্যবসায়ীদের আন্দোলনের পাশে বিজেপি

    এদিকে শিলিগুড়ির (Siliguri) বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও তাঁর দল। দোকানের মালিকানা পাওয়ার ক্ষেত্রে কোথায় সমস্যা হচ্ছে সেবিষয়ে তিনি বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সবরকমভাবে ব্যবসায়ীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে রাজু বিস্তা রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে  প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি রোহিঙ্গাদের পাট্টা দেওয়া হয়, তাদের ভারতের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়, তাহলে বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের কেন দোকানের পাট্টা দেওয়া হবে না?

    কী বলছে এসজেডিএ?

    এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, এদিনই বিধান মার্কেটের ব্যবসায়ীদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। তারা এলে আলোচনা করে গোটা বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Islampur: ফের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১৫, এলাকায় উত্তেজনা

    Islampur: ফের ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১৫, এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত ইসলামপুর (Islampur)। এবারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে চলল গুলিও। গুলিবিদ্ধ প্রায় ১৫ জন। তাদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চোতরাগছ গ্রামের আতালডাঙ্গী-হাট এলাকায়। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকাজুড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বুধবার সকাল থেকে সেখানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Islampur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  স্থানীয় আতালডাঙ্গী-হাট এলাকায় হঠাৎই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের জেরে চলে গুলি ও ব্যাপক বোমাবাজি হয়। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন প্রায় ১৫ জন। আহতদের অভিযোগ, আমরা তৃণমূল কর্মী। জেলা পরিষদ আসনে নির্দল প্রার্থীকে ভোট না দেওয়ার কারণে আমাদের ওপরে গুলি চালানো হয়েছে। ইসলামপুরের (Islampur) সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আব্দুল হক ও তার লোকজন এই হামলার ঘটনায় জড়িত। উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের ৪নং আসনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন মৌসুমী খাতুন। তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে নেমেছিলেন চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে আরজুনা বেগম। নির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী খাতুন। এই প্রার্থী পদ নিয়ে শুরু থেকেই সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব লেগেই ছিল। তারই অঙ্গ হিসেবে মঙ্গলবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন আহতরা। সংঘর্ষে আহত মহঃ সারোয়ার নামে এক তৃণমূল কর্মী জানিয়েছেন, আমরা মহঃ জাহিদুলের অনুগামী। আমরা তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছি। চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁকে আমরা ভোট দিইনি। তাই তাঁর লোকজনেরা আমাদের ওপরে গুলি চালিয়েছে। অপর এক গুলিবিদ্ধ খলিল মহম্মদ জানিয়েছেন, আমি তৃণমূল দল করি। আমি হাটে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে নির্দল প্রার্থীর লোকজনেরা গুলি চালাতে আরম্ভ করে। আমারও পায়ে গুলি লেগেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    ঘটনার খবর পেয়ে ইসলামপুর (Islampur) হাসপাতালে ছুটে আসেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, ইসলামপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেন, ইসলামপুরের যুব তৃণমূল নেতা কৌশিক গুণ সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। তাঁরা অবশ্য এই গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয়টি এড়িয়ে যান। এই ঘটনায় জেলা পরিষদের বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী খাতুনের স্বামী মহঃ জাহিদুল বলেন, আতালডাঙ্গী এলাকায় আমাদের কিছু লোক বাজার করতে গিয়েছিল। সেখানে তাদের উপরে নির্দল সমর্থিত কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় ও গুলি করে। ওই এলাকা বিরোধীশূন্য হলেও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেখানে দুটি গোষ্ঠী হয়ে গিয়েছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই নির্দল সমর্থিত দুষ্কৃতীরা আমাদের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছিল। সুজালি অঞ্চলে কোনও অশান্তি হোক আমরা তা চাইনি। তাই আমাদের লোকজনদের শান্ত থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু, আজ অশান্তি হয়েই গেল। এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল বলেন, ২০-২২ জনের মতো আহত হয়েছে। তাদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনা পুলিশ সুপারকে জানানো হয়েছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করবে। তারপরই বিস্তারিত জানা যাবে।” 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই চটুল গানে তৃণমূল নেতাদের নাচানাচি, বিতর্ক

    Howrah: হাওড়ায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরই চটুল গানে তৃণমূল নেতাদের নাচানাচি, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন হাওড়ার (Howrah) বাঁকড়া -২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস লাগোয়া সরকারি ভবনে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের প্রার্থীদের চটুল গানের তালে তালে নাচানাচি করার অভিযোগ উঠল। সেই নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?(Howrah)

    এই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাওড়া (Howrah) জেলা পরিষদের এক তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য শামসুল আলম তরফদার এবং বাঁকড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ আরও কয়েকজন সদস্যকে গায়ে সবুজ আবির মেখে আইটেম সং এর তালে তালে নাচতে। সানি লিওনের জনপ্রিয় আইটেম সং ‘লায়লা মে লায়লা’ গানের তালে তালে নাচতে থাকা শামসুল আলম তরফদার সহ অন্যদের ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এরা জন প্রতিনিধি। এরা সাধারণ মানুষকে সুস্থ সংস্কৃতি শেখাবে, তার বদলে যদি এরাই চটুল গানের তালে তালে নাচতে থাকে তাহলে তা দেখে সাধারণ মানুষ বা ছোট বাচ্চারা কী শিখবে?

    কী বললেন বিতর্কিত তৃণমূল নেতা?

    বিতর্কিত তৃণমূল নেতা শামসুল আলম তরফদার বলেন, এই নাচের মধ্যে কোথাও খারাপ কিছু দেখছি না। আর ওটা পঞ্চায়েত অফিস নয়। পঞ্চায়েত অফিসের পাশের একটি ভবন। তৃণমূল কংগ্রেস জানে কোথায় কী করতে হয়। যেখানে নাচ হচ্ছে কোথাও লেখা দেখাতে পারা যাবে না যে সেটা বাঁকড়া দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। তিনি বলেন, খুশিতে নেচেছি। আমি নাচতে পারি, গাইতে পারি। অনেক কিছুই করতে পারি। খেলতে পারি এবং খেলাতে পারি। সেটা যদি কেউ হিংসা করে তাতে আমি কী করব। এখনও আমার ভিতরে অনেক প্রতিভা লুকিয়ে আছে। সেটা সময়মতো দেখতে পাবেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    হাওড়ার (Howrah) বিজেপি নেতা উমেশ রায় বলেন, এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের দেখা গিয়েছে শহিদ দিবসে মেয়েদের নিয়ে পাগলু ডান্স করতে। তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে এটা নতুন কিছু নয়। ওরা এটাও বোঝে না পঞ্চায়েত অফিস বা সরকারি কার্যালয় মানুষকে সেবা করার একটা মন্দির। এই লজ্জাকর ঘটনা ব্যাখ্যা করার ভাষা নেই আমাদের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share