Tag: triveni sangam

triveni sangam

  • Droupadi Murmu: সোমবার প্রয়াগে রাষ্ট্রপতি, মহাকুম্ভে আর কে কে সারবেন অমৃতস্নান?

    Droupadi Murmu: সোমবার প্রয়াগে রাষ্ট্রপতি, মহাকুম্ভে আর কে কে সারবেন অমৃতস্নান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে বিবৃতি জারি করে রাষ্ট্রপতির প্রয়াগরাজের সফরসূচি জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার আট ঘণ্টারও বেশি সময় প্রয়াগরাজে থাকবেন রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। বেশ কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা তাঁর। প্রথমে সঙ্গমে শাহি স্নান, তার পর অক্ষয়বট এবং হনুমান মন্দিরে পুজো দেবেন তিনি। সফরকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

    স্নান করবেন জগদীপ ধনখড়ও (Droupadi Murmu)

    এদিনই অমৃতস্নান করার কথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়েরও। রাষ্ট্রপতির এই সফরের আগে প্রয়াগরাজে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির (Droupadi Murmu) কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিকেল পৌনে ছটা নাগাদ তিনি প্রয়াগরাজ থেকে নয়াদিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন। প্রসঙ্গত, ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদও পূর্ণকুম্ভের সময় অমৃতস্নান করেছিলেন।

    ২ দিনের সফরে দত্তাত্রেয় হোসাবলে

    মাঘী পূর্ণিমাতেই মহাকুম্ভে (Triveni Sangam) ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়ে যাবে ৪৫ কোটি, এমনটাই অনুমান প্রসাশনের। এই আবহে মহাকুম্ভে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সর কার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে। জানা গিয়েছে, মহাকুম্ভে তিনি দুদিন থাকবেন। এর পাশাপাশি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল শর্মা এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরাও অমৃত স্নানে অংশ নিতে পৌঁছেছেন মহাকুম্ভে। উত্তরপ্রদেশের পরে রাজস্থানই হল একমাত্র রাজ্য, যেখানকার ক্যাবিনেট একসঙ্গে পবিত্র স্থান সারল।

    সবচেয়ে বেশি ভক্ত স্নান করেন মৌনী অমাবস্যায়

    ১২ জানুয়ারি মহাকুম্ভ শুরু হওয়ার আগে প্রশাসন অনুমান করেছিল ৪০ থেকে ৪৫ কোটি মানুষ স্নান সারবেন প্রয়াগরাজে। প্রশাসনের সেই অনুমানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে পুণ্যার্থীর সংখ্যা। পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অমৃত স্নান – মকর সংক্রান্তির স্নান, মৌনী অমাবস্যা স্নান এবং বসন্তী পঞ্চমীর স্নানের পরেও মানুষের উন্মাদনা তুঙ্গে। এখনও পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন প্রয়াগরাজে। তাঁরা রীতি মেনে স্নান করছেন। একটি হিসেব বলছে, মৌনী অমাবস্যায় সব চেয়ে বেশি মানুষ হাজির হয়েছিলেন এই ত্রিবেণী সঙ্গমে। সেদিন অমৃতস্নান সেরেছেন ৮ কোটি পুণ্যার্থী।

  • Mahakumbh 2025: এখনও বাকি ১৮ দিন! মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সারলেন ৪০ কোটিরও বেশি ভক্ত

    Mahakumbh 2025: এখনও বাকি ১৮ দিন! মহাকুম্ভে পবিত্র স্নান সারলেন ৪০ কোটিরও বেশি ভক্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেই জানানো হয়েছিল যে প্রথম ২৪ দিনেই মহাকুম্ভে (Mahakumbh 2025) ভক্ত সংখ্যা ছুঁয়েছে ৩৮.২৯ কোটি। মাঘী পূর্ণিমার আগেই তা ৪০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। ঠিক তেমনটাই হল। ১২ ফেব্রুয়ারি রয়েছে মাঘী পূর্ণিমা। তার আগেই চল্লিশ কোটি ভক্ত স্নান সেরে ফেললেন মহাকুম্ভে, গঙ্গা-যমুনা ও অন্তঃসলিলা সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে (Triveni Sangam)। রিপোর্ট বলছে গতকাল অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৭৮.৭৮ লক্ষ ভক্ত পবিত্র স্নান সেরেছেন এবং এভাবেই ভক্ত সংখ্যা পার করল ৪০ কোটি। মহাকুম্ভের এখনও বাকি রয়েছে ১৮ দিন। মনে করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে ৫০ কোটিরও বেশি ভক্ত সংখ্যা স্নান করবেন মহাকুম্ভে।

    মৌনী অমাবস্যায় হাজির ৮ কোটি ভক্ত (Mahakumbh 2025)

    প্রসঙ্গত, প্রথম দিকে মহাকুম্ভ (Mahakumbh 2025) অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রশাসনের তরফ থেকে অনুমান করা হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ কোটি ভক্ত স্নান সারবেন প্রয়াগরাজে। কিন্তু প্রশাসনের সেই অনুমানকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভক্ত সংখ্যা। পরপর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অমৃত স্নান, অর্থাৎ মকর সংক্রান্তির স্নান, মৌনী অমাবস্যা স্নান এবং বসন্তী পঞ্চমীর স্নানে এর পরেও ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ ভক্ত প্রতিদিন হাজির হচ্ছেন প্রয়াগরাজে। তাঁরা রীতি মেনে স্নান করছেন। একটি হিসেব বলছে, মৌনী অমাবস্যাতে সবথেকে বেশি ভক্ত হাজির হয়েছিলেন এবং সেই দিন পবিত্র স্নান সেরেছেন ৮ কোটি ভক্ত।

    বসন্ত পঞ্চমীতে স্নান ২.৫৭ কোটি ভক্তের (Mahakumbh 2025)

    অন্যদিকে মকর সংক্রান্তির দিনে হাজির হয়েছিলেন সাড়ে তিন কোটি ভক্ত এবং গত ৩০ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি হাজির হয়েছিলেন ২ কোটি ভক্ত। বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে হাজির হয়েছিলেন ২.৫৭ কোটি ভক্ত। মহাকুম্ভ যেন সব কিছুর মেলবন্ধন হয়ে উঠেছে, বলিউড থেকে রাজনীতি। সবাই স্নান করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ছাড়াও বলিউডের হেমা মালিনী, অনুপম খের, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব সাইনা নেহওয়াল, ক্রিকেটার সুরেশ রায়না- প্রত্যেকেই হাজির হয়েছেন কুম্ভে।

  • Mahakumbh Mela 2025: ত্রিবেণী সঙ্গমে ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভ যোগ, নেপথ্যে রয়েছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    Mahakumbh Mela 2025: ত্রিবেণী সঙ্গমে ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভ যোগ, নেপথ্যে রয়েছে কোন পৌরাণিক কাহিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের পূর্ণকুম্ভমেলা (Mahakumbh Mela 2025) আর বাকি কুম্ভমেলাগুলি থেকে আলাদা। কারণ হিন্দু শাস্ত্রমতে জানা গিয়েছে, এই কুম্ভ ১৪৪ বছর পর পূর্ণ যোগে পূর্ণ কুম্ভমেলা বসবে। ভারতীয় হিন্দু ধর্মের মহামিলন কেন্দ্র হল এই মেলা। পুরাণে কথিত রয়েছে বাসকী নাগের দ্বারা সুরাসুরের সমুদ্র মন্থনে যে অমৃত উঠেছিল, তা এই গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতীর ত্রিবেণী সঙ্গমে (Triveni Sangam) এক ফোঁটা পড়েছিল। ফলে এই স্থানের নদী সঙ্গমে স্নান করলে মোক্ষ প্রাপ্তি ঘটে। এবছর উত্তরপ্রদেশ সরকার জানিয়েছে, মেলায় আনুমানিক ৪০-৪৫ কোটি মানুষ পুণ্যস্নান করবেন। আর তাই প্রস্তুতি চলেছে জোর কদমে।

    ১৪৪ বছর পর পূর্ণ মহাকুম্ভ কেন (Mahakumbh Mela 2025)?

    মহাকুম্ভমেলা (Mahakumbh Mela 2025) হল বিশ্বের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয়, সামজিক এবং সাংস্কৃতিক মহামিলন মেলা। প্রতি ১২ বছর এক যোগে পূর্ণকুম্ভের আয়োজন হয়ে থাকে। আর প্রতি বছর যে মেলা হয়, তাকে বলা হয় কুম্ভ। ছয় বছরে একবার কুম্ভকে বলা হয় অর্ধকুম্ভ। প্রতি ১২ বছরে অনুষ্ঠিত কুম্ভকে বলা হয় পূর্ণকুম্ভমেলা। আবার ১২টি পূর্ণকুম্ভ অতিক্রান্ত হয়ে বা ১৪৪ বছর পর যে পূর্ণকুম্ভমেলা আসে, তাকে বলা হয় মহাকুম্ভ মেলা। এই কুম্ভ মূলত চারটি জায়গায় চক্রাকারে অনুষ্ঠিত হয়। জায়গাগুলি হল, উত্তরপ্রদেশের গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী নদী সঙ্গমে প্রয়াগরাজ (Triveni Sangam), উত্তরাখণ্ডের গঙ্গা নদীর তীরে হরিদ্বার, মধ্যপ্রদেশের শিপ্রা নদীর তীরে উজ্জয়িনী এবং মহারাষ্ট্রের গোদাবরীর তীরে নাসিকে। সব জায়গায় মূলত নদী সঙ্গমে মেলা বসে এবং পুণ্যস্নান সম্পন্ন হয়। এই বছর পূর্ণ মহাকুম্ভ মেলা আয়োজিত হচ্ছে প্রয়াগরাজে।

    কীভাবে কুম্ভের তারিখ ঠিক হয়?

    কুম্ভমেলার (Mahakumbh Mela 2025) অবস্থান এবং তারিখ নির্ধারণ করতে, জ্যোতিষী এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের আখড়ার নেতারা একত্রে মিলিত হন। এরপর বৃহস্পতি এবং সূর্যের অবস্থান কেমন রয়েছে তা ভালো করে পরীক্ষা করেন। বৃহস্পতি (গুরু) এবং সূর্য উভয়ই হিন্দু জ্যোতিষশাস্ত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয়। তাদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে সময়, দিনক্ষণ, তারিখ এবং তিথি নির্ধারিত হয়। এই মেলা সধারণত মাঘ-ফাল্গুন মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

    কীভাবে কুম্ভমেলা শুরু, পৌরাণিক কাহিনী?

    এই কুম্ভমেলার (Mahakumbh Mela 2025) উৎপত্তি, হিন্দু পুরাণে, বিশেষ করে সমুদ্র মন্থনের গল্পে নিহিত। প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থগুলিতে বর্ণনা করা হয়েছে কীভাবে দেবগণ (দেবতা) এবং অসুররা (দানব) অমৃত পাওয়ার জন্য একটি মহাজাগতিক মোক্ষ লাভের জন্য কাজ করে ছিলেন। সমুদ্র মন্থনটি হওয়ার সাথে সাথে পবিত্র অমৃতে ভরা একটি কুম্ভ বা পাত্র উদ্ভূত হয়েছিল। অসুরদের হাত থেকে ওই অমৃতভান্ডার রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু মোহিনীর ছদ্মবেশে পাত্রটি নিয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর যাত্রার সময়, অমৃতের কয়েকটি ফোঁটা চারটি স্থানে পড়েছিল। এই স্থানগুলি হল— প্রয়াগরাজ, হরিদ্বার, উজ্জয়িনী এবং নাসিক। এই স্থানগুলি পবিত্রস্থান হিসাবে হিন্দু শাস্ত্রে শ্রদ্ধা করা হয়। এরপর থেকে কুম্ভমেলা ঘূর্ণায়মান হয়ে এই স্থানগুলিতে পালিত হয়।

    আরও পড়ুনঃ ২২ জানুয়ারি মুর্শিদাবাদে রাম মন্দিরের সূচনা, ঘোষণা অম্বিকানন্দের, কারা কারা আমন্ত্রিত?

    জন্ম-মৃত্যুর মায়া বন্ধন কেটে যায়

    হিন্দু শাস্ত্রের তিথি নক্ষত্র অনুয়ায়ী দেখা গিয়েছে, গ্রহ এবং নক্ষত্রের একটি বিরল জ্যোতির্বিজ্ঞানের গণনার ফলে এবারের কুম্ভমেলা (Mahakumbh Mela 2025) অনুষ্ঠিত হচ্ছে। হিন্দু জন্মান্তরবাদে সূত্রে এই কুম্ভে স্নান করলে সকল পাপের অবসান ঘটবে এবং জন্ম-মৃত্যুর মায়া বন্ধন ত্যাগ করে মোক্ষলাভ হবে। নিজের, পরিবার এবং সমাজ, দেশের কল্যাণ কামনায় কোটি কোটি ভক্তরা এই মহামিলন সাগরে সমাবেত হন। এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে আনুমানিক ৪৪ দিনের বেশি সময় ধরে। আগামী ১৪ জানুয়ারি, মকর সংক্রান্তি থেকে মেলা শুরু হবে এবং চলবে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি, শিবরাত্রি পর্যন্ত। বিশেষ বিশষ স্নান হল, ২৯ জানুয়রি মৌনী অমবস্যা স্নান, ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমী স্নান, ১২ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমা স্নান, ২৬ ফেব্রুয়ারি মহাশিবরাত্রি স্নান।

    আখড়ার ঐতিহ্য, শোভাযাত্রা নিয়ে প্রদর্শনী

    কুম্ভমেলায় (Mahakumbh Mela 2025) হিন্দু সম্প্রদায়ের নানা মত এবং ভাগের সাধু-সন্ত এবং সন্ন্যাসী সমাজের মানুষ অংশগ্রহণ করে থাকেন। তাঁদের নিজের নিজের আখড়ার ঐতিহ্য, শোভাযাত্রা নিয়ে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হাতি, ঘোড়া, রথ নিয়ে বেশ সজ্জিত হয়ে নিজের নিজের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলকে তুলে ধরে থাকেন সন্তসমাজ। হিন্দু সমাজের পরম্পরা এবং ঐতিহ্য তুলেধারার একটা ধারাও লক্ষ্য করা যায় মেলায়। এই সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা যাত্রা দেখার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ সমববেত হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Maha Kumbh 2025: ত্রিবেণী সঙ্গমে মহাকুম্ভের শুরু হল সকালের আরতি, মায়েরা করলেন প্রদীপ প্রজ্বলন

    Maha Kumbh 2025: ত্রিবেণী সঙ্গমে মহাকুম্ভের শুরু হল সকালের আরতি, মায়েরা করলেন প্রদীপ প্রজ্বলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের মহাকুম্ভমেলা (Maha Kumbh 2025) মকর সংক্রান্তি থেকে শুরু হবে। ইতিমধ্যে এই বিরাট সনাতনী হিন্দু মেলায় ভক্ত, সাধু, সন্ত, সন্ন্যাসী, সাধু, নাগা, ব্রহ্মচারীরা আসতে শুরু করেছেন। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত। মেলায় প্রত্যেকদিন ভোরে সূর্যোদয়ের সময়ে গঙ্গা আরতি করা শুরু হয়েছে। তবে প্রদীপ প্রজ্বলন করে আরতি প্রয়াগরাজের বিখ্যাত ঘাটের কিনারাতেই হয়ে থাকে এমন নয়, ত্রিবেণী সঙ্গমের নদী সমতলের নানা জায়গায় চলে আরতি। এরপর করা হয় মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা। দূরদূরান্ত থেকে আগত দর্শনার্থীরাও তা দর্শন করে থাকেন।

    আরতি হল হিন্দু সনাতন ধর্মের একটি বড় উৎসব (Maha Kumbh 2025)

    উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের মহিলারা মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) আগে একবার গঙ্গাতীরে আরতি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। তবে সেই সময় ছিল সম্পূর্ণ ভাবে একটি মহড়া কেন্দ্রিক। প্রয়াগরাজ তীর্থ ক্ষেত্রের এক পুরোহিত প্রদীপ পাণ্ডে বলেন, “আজ সকালে একটি বিশেষ আরতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এখানে ছেলেরা ত্রিবেণী আরতি করেন এবং মায়েরা গঙ্গা আরতি করেছেন। আমরা আশা করি এই আরতি সমাজের পরবর্তী সমাজকে উৎসাহিত করবে। আমরা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই, এই আরতি হল হিন্দু সনাতন ধর্মের একটি বড় উৎসব। একে কোনও ভাবেই সীমাবদ্ধ করে রাখা যায় না। ভগবানের কাছে সকলের মঙ্গলকামনায় করা হয় আরতি।”

    মেলার ফায়ার স্টেশনে ৩৬৫টি গাড়ি মোতায়েন রাখা হয়েছে

    প্রয়াগরাজ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলায় (Maha Kumbh 2025) আগত ভক্ত-সাধু এবং সন্ন্যাসীদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপকযন্ত্র এবং ফায়ার স্টেশনের উদ্বোধন করা হয়েছে। আগুন লাগা থেকে দ্রুত নিস্তার পেতে কমপক্ষে ৩৬৫টি গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। একই ভাবে সব রকম প্রচার এবং মানুষকে অযথা আতঙ্কিত হওয়া থেকে মুক্ত থাকার কথাও বলা হয়েছে। অগ্নি নির্বাপণ শাখার এডিজি পদ্মজা চৌহান বলেন, “সচেতনতার বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই ভাবে সাধারণ কিছু মানুষকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছোট খাটো আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের অফিসাররা দাঁড়িয়ে থেকে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।”

    অল-টেরেন যান মোতায়েন করা হয়েছে

    এইবার কুম্ভমেলার (Maha Kumbh 2025) নিরাপত্তার বিষয়ে নজর দিয়ে একদিকে যেমন কর্মীনিয়োগ করা হয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন-দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অল-টেরেন যান মোতায়েন করা হয়েছে। এই যান জল-স্থল বা মরু অঞ্চলেও চলতে পারে। একই ভাবে অগ্নিনির্বাপক রোবট এবং মিস্ট বাইকের ব্যবহার করা হয়েছে। একই ভাবে বেশ কিছু অগ্নিনির্বাপক নৌকাও আনা হচ্ছে। নদীর জলকে ব্যবহার করে এই কাজ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    ভক্তদের জন্য ইউটিএস মোবাইল অ্যাপ

    মহাকুম্ভের (Maha Kumbh 2025) আগত ভক্তদের সুবিধা দিতে রেল নিজেদের কর্মীদের প্রয়াগরাজ জংশনে মোতায়েন করবে। ফলে এই কর্মীরা সবুজ পোশাকে থাকবেন। তাঁদের জামার পিছনে কিউআর কোড থাকবে। খুব সহজেই তাঁদের শনাক্ত করা যাবে। তীর্থ যাত্রীরা ইউটিএস মোবাইল অ্যাপে ডাউনলোড করে তাঁদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দীর্ঘ সময়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে অসংরক্ষিত টিকিট বুক করতে পারবেন বলে জানা গিয়েছে। স্টেশনে ভিড় কমাতে এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। একইভাবে ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টিও সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে সময় এবং ভিড় থেকে বাঁচতে এই ধরনের  ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ মোদি জমানায় ১৭.৯ কোটি নতুন চাকরি, ইউপিএ আমলে ছিল ২.৯, বিরোধীদের তোপ মান্ডব্যর

    স্নান শান্তিপূর্ণ এবং নিরাপদ, স্বচ্ছ করতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়

    এই মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) ১২ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ১৩ জানুয়ারী থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রয়াগরাজে প্রচুর ভক্তদের উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে। প্রধান শাহী স্নানের দিনগুলি হল ১৩ জানুয়ারি-পৌষ পূর্ণিমা, ১৪ জানুয়ারি-মকর সংক্রান্তি, ২৯ জানুয়ারি-মৌনি অমাবস্যা, ৩ ফেব্রুয়ারি-বসন্ত পঞ্চমী এবং ১২ ফেব্রুয়ারি-মাঘী পূর্ণিমা। আবার যোগী প্রশাসন জানিয়েছে, এই বৃহৎ ধর্মীয় মেলায় আনুমানিক ৪০ থেকে ৪৫ কোটি তীর্থ যাত্রীদের সমাগম হবে। বিশেষ বিশেষ স্নানে দৈনিক ১ কোটি ভক্তদের স্নান করার উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। একইভাবে স্নান শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও স্বচ্ছ করতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্বোধনের দিনে আকাশ পথে পুষ্পবর্ষণ, দশহাজার বৈদিক পণ্ডিতের দ্বারা বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে মেলার আধ্যত্মিক পরিবেশকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share