Tag: Trump

Trump

  • Putin: ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল দিয়ে দিলে বন্ধ হবে যুদ্ধ, পুতিনের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন জেলেনস্কি

    Putin: ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল দিয়ে দিলে বন্ধ হবে যুদ্ধ, পুতিনের দাবি নস্যাৎ করে দিলেন জেলেনস্কি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ অগাস্ট (স্থানীয় সময়) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানান যে মস্কো তার যুদ্ধ কেবল তখনই শেষ করবে, যদি ইউক্রেন পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক অঞ্চল দিয়ে দেয়। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলাস্কায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় পুতিন এই দাবি জানান। তিনি প্রস্তাব দেন, দোনেৎস্ক (Donetsk Region Meeting) হস্তান্তরের মাধ্যমে রাশিয়া যুদ্ধক্ষেত্রকে স্থির রাখতে পারবে, বিশেষ করে দক্ষিণের খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে। উল্লেখযোগ্যভাবে, রুশ সেনারা ইতিমধ্যেই ওই অঞ্চলের অধিকাংশ অংশ দখল করে ফেলেছে।

    ট্রাম্পের বার্তা জেলেনস্কি ও ইউরোপকে (Putin)

    এর ঠিক একদিন পরেই ট্রাম্প এই বার্তাটি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের কাছে পৌঁছে দেন যৌথ ফোন কলের মাধ্যমে। তিনি সীমিত যুদ্ধবিরতির বদলে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তির পক্ষে সওয়াল করেন। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ-সহ অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল-এ লেখেন “রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শেষ করার সেরা উপায় হল সরাসরি একটি শান্তিচুক্তি করা, যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে, শুধুমাত্র একটি যুদ্ধবিরতি নয়, কারণ যুদ্ধবিরতি প্রায়ই টেকসই হয় না।” তিনি আরও জানান, যদি অগ্রগতি হয়, তবে পুতিনের সঙ্গে আর একটি বৈঠক নির্ধারণ করা হবে।

    প্রশ্ন হল, কেন দোনেৎস্ক এই সংঘাতের কেন্দ্রে

    ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের দ্বন্দ্বের মূল কেন্দ্র দোনেৎস্ক। বর্তমানে রাশিয়া প্রায় এর ৭০ শতাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্যদিকে, ইউক্রেন তাদের পূর্ব প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত সুরক্ষিত পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরবেষ্টনী ধরে রেখেছে। দোনেৎস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার জন্য হবে সবচেয়ে বড় সাফল্য, রাশিয়া-ইউক্রেন পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে। এটি ২০২৩ সালের শেষ দিক থেকে তাদের দ্রুততম ভূখণ্ডগত দখলকে সুসংহত করবে। উল্টোদিকে, দোনেৎস্ক হারালে কিয়েভের জন্য পুরো পূর্ব ফ্রন্টের স্থিতিশীলতা ঝুঁকির মুখে পড়বে।

    মিডিয়া প্রতিবেদন

    মিডিয়া প্রতিবেদনে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির ঘনিষ্ঠ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, তিনি দোনেৎস্ক ছাড়তে অস্বীকার করেছেন। তবে ১৮ অগাস্ট ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিস্তৃত আঞ্চলিক বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, তিনি পুতিনকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের কথাও বিবেচনা করতে পারেন। তবে, ক্রেমলিন স্পষ্টভাবে এমন কোনও ব্যবস্থার কথা অস্বীকার করেছে এবং জানিয়ে দিয়েছে যে আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে (Donetsk Region Meeting) এ ধরনের কোনও আলোচনাই হয়নি (Putin)।

    ভূমি-বিনিময়ের ইঙ্গিত

    ট্রাম্পের আগের ভূমি-বিনিময়ের ইঙ্গিতগুলি ইউরোপীয় রাজধানীগুলোকে অস্থির করে তুলেছিল। অনেক নেতাকে আশ্বস্ত করেছিল যখন ট্রাম্প পুতিনকে সতর্ক করেছিলেন এই বলে যে, মস্কো যদি যুদ্ধ থামাতে অস্বীকার করে, তবে গুরুতর পরিণতি ভোগ করতে হবে। তবে আলাস্কার আলোচনায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি। বরং এই বৈঠক পুতিনকে বিশ্বমঞ্চে নিজেকে উপস্থাপন করার সুযোগ করে দিয়েছিল। বৈঠকটি লাল গালিচা অভ্যর্থনা এবং ট্রাম্পের সঙ্গে হালকা কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল। এরপর দুই নেতার আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। পুতিন দোনেৎস্কের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের দাবি করছে এই জন্য যে, তিনি কূটনৈতিকভাবে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে চান, যা রুশ সেনারা সামরিকভাবে অর্জনে সংগ্রাম করছে। ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেন দোনেৎস্কে ৩১ মাইল দীর্ঘ একটি দুর্গ শহর ও প্রতিরক্ষা বলয় গড়ে তুলেছে। রুশ সেনারা বারবার সেই প্রতিরক্ষা লাইনের কাছে গিয়ে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে। “ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি (Donetsk Region Meeting) অব ওয়ারে”র মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই প্রতিরক্ষা ভেদ করতে কয়েক বছর সময় লেগে যেতে পারে (Putin)।

    রাশিয়া

    এই দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ে রাশিয়া গত ১৭ মাসে বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম ও জনবল নিয়োজিত করেছে। চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও রাশিয়া ধীরে ধীরে শহরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যদি রাশিয়া আলোচনার মাধ্যমে দোনেৎস্ক দখল করে, তবে তারা পরবর্তী ধাপে খারকিভ ও দ্নিপ্রোপেত্রোভস্ককে হুমকির মুখে ফেলতে পারবে। এতে ইউক্রেনকে তড়িঘড়ি করে নতুন কিন্তু দুর্বল প্রতিরক্ষা লাইন গড়তে হবে। দোনেৎস্কের নিয়ন্ত্রণ রাশিয়ার কৌশলগত অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে, যা পশ্চিমী নেতাদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।আলাস্কার শীর্ষ সম্মেলন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনও অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়, যদিও ট্রাম্প দাবি করেছিলেন এটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ। পুতিনকে দেওয়া লাল গালিচা অভ্যর্থনার সঙ্গে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার হুমকি প্রবল বৈপরীত্য তৈরি করেছিল। আর আলোচনায় ইউক্রেনের অনুপস্থিতি তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়। বৈঠক থেকে অন্তত একটি যুদ্ধবিরতির রূপরেখা আশা করা হয়েছিল, কিন্তু পরিবর্তে এটি দেখিয়ে (Donetsk Region Meeting) দিল বাস্তবতা ও আড়ম্বরের মধ্যে কতটা ফাঁক রয়েছে। তার পরেই ট্রাম্প শান্তির দায়ভার সরাসরি জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় দেশগুলির ওপর চাপিয়ে দেন (Putin)।

  • Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    Donald Trump: দুবার মার্কিন সফর মুনিরের! হঠাৎ পাক-প্রেমে মজেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে পাকিস্তানের গলাগলির সম্পর্ক ক্রমশ উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে নয়াদিল্লির। ক্রিপ্টো অংশীদারিত্ব ও তেল সরবরাহ থেকে শুরু করে বিরল খনিজ সহযোগিতা-সহ বিভিন্ন পদক্ষেপে এটা স্পষ্ট। এই পরিবর্তনটা এসেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক-সমর্থিত জঙ্গি হামলার জবাবে নয়াদিল্লির অপারেশন সিঁদুরের পর (Pakistan)।

    ট্রাম্পের দাবি (Donald Trump)

    ট্রাম্প স্বয়ং বারবার নিজেকে কৃতিত্ব দিয়েছেন দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সম্ভাব্য সংঘাত প্রশমিত করার জন্য। তিনি পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন। সমর্থন করেন পাকিস্তানের বাণিজ্য চুক্তিকেও। এই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান অপরিশোধিত তেল আমদানি করবে। পাকিস্তান তার কূটনীতিকে সাধুবাদ জানালেও, ভারতের সমালোচকরা এর নেপথ্যে দেখছে কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এর মধ্যে রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি উদ্যোগ ও খনিজ সম্পদে প্রবেশাধিকার থেকে শুরু করে চিনা প্রভাব মোকাবিলা করা পর্যন্ত সব। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিছু বিশ্লেষক মনে করেন, মার্কিন দেশের এই উৎসাহ তেলের চেয়েও বেশি বিরল খনিজ পাওয়ার প্রবেশাধিকারের বিষয়ে, যা মার্কিন অর্থনীতি ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবুও, এই সময় পাকিস্তানের জেনারেলদের প্রতি প্রকাশ্য প্রশংসা এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এই দুয়ে মিলে ইঙ্গিত দেয় যে ট্রাম্পের নীতিগত পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে একাধিক কারণ।

    পাকিস্তান পেতে চলেছে অপরিশোধিত তেলের চালান

    জানা গিয়েছে, পাকিস্তান এ বছরের শেষের দিকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাদের প্রথম অপরিশোধিত তেলের চালান পেতে চলেছে। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসলামাবাদের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করার পর, এই প্রথম হবে অপরিশোধিত তেলের ব্যবসা (Pakistan)। ইসলামাবাদকে ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি, ওয়াশিংটন পাকিস্তানকে বৃহৎ তেল মজুদ উন্নয়নে সাহায্য করবে। আমেরিকা ও পাকিস্তানের এই চুক্তি একাধিক দফা আলোচনার ফল। এই আলোচনা শুরু হয়েছিল এপ্রিলে, যখন ট্রাম্প পাকিস্তানি আমদানির ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছিলেন। চুক্তির আওতায় পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রিফাইনারি, সিনার্জিকো, আমেরিকান অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য ভিটল কোম্পানির সঙ্গে এক মিলিয়ন ব্যারেলের চুক্তি চূড়ান্ত করেছে। এটি পাকিস্তানের প্রথমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তেল কেনার ঘটনা। ভাইস চেয়ারম্যান উসামা কুরেশি দুই দেশের এই চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তেল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় আমদানি পণ্য, যার মূল্য ১১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (Donald Trump)।

    ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্রিপ্টো চুক্তি

    গত এপ্রিলে ভারত–পাকিস্তান উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সময় পাকিস্তান ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এটি একটি বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন (ডি-ফাই) প্ল্যাটফর্ম, যার ৬০ শতাংশ মালিকানাই ট্রাম্পের পরিবারের। এই প্রতিষ্ঠান পাকিস্তান ক্রিপ্টো কাউন্সিলের সঙ্গে একটি প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর লক্ষ্য হল দেশের ব্লকচেইন প্রযুক্তির উন্নয়ন। উল্লেখ্য যে, এই পদক্ষেপটি নেওয়া হয়েছিল পহেলগাঁওয়ে যেদিন পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করেছিল ২৬ জন পর্যটককে, তার মাত্র পাঁচ দিন পরেই (Pakistan)। দ্য ডন  নামের সংবাদপত্র জানিয়েছে, ওয়ার্ল্ড লিবার্টির একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে। সেখানে তারা পাকিস্তান জুড়ে ব্লকচেইন উদ্ভাবন, স্টেবলকয়েন গ্রহণ এবং বিকেন্দ্রীভূত অর্থায়ন একীকরণকে ত্বরান্বিত করতে ইন্টেন্ট লেটারে স্বাক্ষর করেছে। ডিটি মার্কস ডি-ফাই এলএলসি যুক্ত ট্রাম্প (Donald Trump) পরিবারের সঙ্গে। এটি ওয়ার্ল্ড লিবার্টির মূল প্রতিষ্ঠানের ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক এবং নির্দিষ্ট ক্রিপ্টো রাজস্বের ৭৫ শতাংশ পাওয়ার দাবি করে। উল্লেখ্য যে, ট্রাম্প আছেন ‘চিফ ক্রিপ্টো অ্যাডভোকেট’ পদে, এরিক ও ডোনাল্ড জুনিয়র ‘ওয়েব৩ অ্যাম্বাসাডর’ এবং ব্যারন ট্রাম্প ‘ডি-ফাই ভিশনারি’ হিসেবে যুক্ত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি

    আমেরিকার সঙ্গে দোস্তি বজায় রাখতে ইসলামাবাদ ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। পাকিস্তানের বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে তাঁর সিদ্ধান্তমূলক কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বের কৃতিত্বের জন্যই এই পুরস্কার পাওয়া উচিত। আর ট্রাম্প স্বয়ং দাবি করেছেন, “আমার তো চার-পাঁচবার এটা পাওয়া উচিত ছিল। তারা আমাকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেবে না। কারণ তারা কেবল এটা উদারপন্থীদেরই দেয়।” পহেলগাঁও হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে তাঁর ভূমিকার দাবি প্রথম থেকেই প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ট্রাম্প বলেছিলেন, “হ্যাঁ, আমিই যুদ্ধ থামিয়েছি। আমি পাকিস্তানকে ভালোবাসি। আমি মনে করি মোদি একজন অসাধারণ মানুষ। তবে আমিই পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধ থামিয়েছি (Pakistan)।” ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক আবার পাকিস্তানের অনাবিষ্কৃত বিরল খনিজ ভাণ্ডারের দিকে শ্যেন দৃষ্টি দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিকস ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিন এই খনিজের প্রধান সরবরাহকারী। সেই চিনের সঙ্গে বেড়ে চলা উত্তেজনার জেরে ওয়াশিংটনের আগ্রহ বেড়েছে বিকল্প উৎসের প্রতি। মার্কিন আধিকারিকরা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত পাকিস্তান মিনারেলস ইনভেস্টমেন্ট ফোরামেও অংশ নিয়েছিলেন বলে খবর (Donald Trump)।

    পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণে চিনের ভূমিকা

    চিন ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলকে দক্ষিণের গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত করে ২ হাজার মাইল দীর্ঘ পরিবহণ নেটওয়ার্ক নির্মাণ করছে। তবে বালুচিস্তানে স্বাধীনতাকামীদের বিদ্রোহ এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় তালিবানদের তৎপরতা এসব প্রকল্পকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সম্প্রতি বালুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা খনির ট্রাকে হামলা চালিয়ে সতর্ক করেছে যে, যে কেউ বালুচ জাতীয় সম্পদ লুটে জড়িত থাকবে, তাদেরই টার্গেট করা হবে। এদিকে, সোমবারই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA) এবং এর সশস্ত্র শাখা সংগঠন মাজিদ ব্রিগেডকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই ঘোষণাটি ট্রাম্প প্রশাসনের ভাষায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। তার আগে অবশ্য সমস্ত রীতি ভেঙে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের সঙ্গে মধ্যহ্নভোজ সারেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, কিছু মার্কিন আধিকারিক পাকিস্তানের অপ্রচলিত রেয়ার আর্থ খনিজ ভান্ডারের দিকে নজর দিচ্ছেন, যা ইলেকট্রনিক্স ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Donald Trump)।

    মুনিরের আমেরিকা সফর

    এদিকে, মার্কিন কংগ্রেসের এক প্যানেলের সাক্ষ্যে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে এক অসাধারণ অংশীদার হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি জানান, তারা মার্কিন স্বার্থে হামলা চালানো জঙ্গিদের প্রত্যর্পণে সদিচ্ছা দেখিয়েছে। কুরিলা ভূয়সী প্রশংসা করেন পাক সেনাপ্রধান মুনিরের, যিনি ২০২১ সালের কাবুল বিমানবন্দর হামলার মূল পরিকল্পনাকারী মোহাম্মদ শরিফুল্লাহকে গ্রেফতার করে প্রত্যর্পণের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ওই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল (Pakistan)। মাত্র দু’মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের জন্য মুনির আমেরিকা সফর করেন। কিন্তু মুনিরের এই সফর পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্র দমন করার অভিযোগ এনেছেন। ওয়াশিংটন ও নিউইয়র্কের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভকারীরা মুনিরকে “স্বৈরাচারী” ও “প্রতারক” আখ্যা দেন (Donald Trump)।

    সমালোচনা সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রেখে চলেছে। সমালোচকদের মতে, অসামরিক নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে আমেরিকার সরাসরি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করা পাকিস্তানের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব আরও শক্তিশালী করছে (Pakistan)।

  • John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    John Bolton: ‘‘বিরাট ভুল’’! ভারতের ওপর চড়া শুল্ক চাপানোয় নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে ট্রাম্প

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের দেশেই কড়া সমালোচনার মুখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে দেশের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন কূটনীতিকদের কয়েক দশকের প্রচেষ্টা নষ্ট করেছেন – যার লক্ষ্য ছিল ভারতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি আনা এবং রাশিয়া ও চিনের খপ্পর থেকে দূরে রাখা (Tariffs)। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন (John Bolton), “ট্রাম্প রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছেন, অথচ চিনের প্রতি তুলনামূলকভাবে নমনীয়।” বোল্টন বলেন, “ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ একটি বিরাট ভুল হতে পারে। কারণ এতে ভারত রাশিয়া ও চিনের আরও কাছাকাছি চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।” তিনি বলেন, “যদিও এ বছরের শুরুতে ট্রাম্প চিনের সঙ্গে সামান্য বাণিজ্যিক বিরোধে জড়িয়েছিলেন, তিনি বেজিংয়ের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির আশায় সেটিকে আর বাড়াননি। উল্টোদিকে, ভারতকে ৫০ শতাংশেরও বেশি শুল্কের মুখোমুখি হতে হয়েছে, যার মধ্যে ছিল রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য শাস্তিমূলক ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কও।

    কী বলছেন বোল্টন (John Bolton)

    বোল্টনের মতে, রাশিয়াকে শিক্ষা দিতে গিয়ে ভারতের ওপর আরোপিত দ্বিতীয় পর্যায়ের শুল্কই বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্যই সবচেয়ে খারাপ ফল তৈরি করেছে। ভারত এ বিষয়ে অত্যন্ত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এর একটা কারণ হল তারা দেখেছে চিনের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাঁর সতর্কবার্তা, এই পরিস্থিতি ভারত, রাশিয়া ও চিনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে সমন্বয় সাধনে উৎসাহিত করতে পারে। মার্কিন বিদেশনীতি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফার পাডিলা বলেন, “এই শুল্ক ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি করতে পারে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একজন অংশীদার হিসেবে কতটা নির্ভরযোগ্য, সে বিষয়ে ভারতের সন্দেহ সৃষ্টি করতে পারে।”

    বোল্টনের যুক্তি

    এর আগে দ্য হিল নামে এক পত্রিকায় প্রকাশিত (John Bolton) এক মতামত নিবন্ধে বোল্টন যুক্তি দিয়েছিলেন, বেজিংয়ের প্রতি ট্রাম্পের নরম অবস্থান চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থকে বিসর্জন দিতে পারে। তিনি এও বলেছিলেন, “চিনের ক্ষেত্রে ভারতের তুলনায় শুল্কে বেশি সুবিধা দেওয়া বিশাল একটি ভুল হতে পারে (Tariffs)। প্রসঙ্গত, ভারত রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ককে অন্যায় ও অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছে। রাশিয়া ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগের অভিযোগ করেছে। বোল্টনের আশঙ্কা, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর আসন্ন ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ভারত-শুল্ক বিরোধকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগাতে পারেন।

    ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর প্রাক্তন মার্কিন সেনেটের

    এদিকে, ট্রাম্পের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন সেনেটের তথা ডেপুটি সেক্রেটারি কার্ট ক্যাম্পবেল। তিনি সমর্থন করেছেন ভারতকে। কড়া সমালোচনা করেছেন ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণার পর মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ক্যাম্পবেল বলেন, “ট্রাম্পের এই অবস্থান ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে সংকটের মুখে ঠেলে দিয়েছে।” তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন কখনওই মার্কিন নেতার সামনে মাথা নত না করেন (Tariffs)।” সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ক্যাম্পবেল বলেন, শুল্ক ঘোষণার পর থেকে ওয়াশিংটন ও নয়াদিল্লির সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে অবনতি হয়েছে। তিনি বলেন, “২১ শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল ভারতের সঙ্গে। কিন্তু এখন তা সংকটে। যেভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত ও প্রধানমন্ত্রী মোদি সম্পর্কে কথা বলেছেন, তা ভারত সরকারের জন্য পরিস্থিতিকে অত্যন্ত কঠিন করে তুলেছে।” ক্যাম্পবেল জোর দিয়ে বলেন, মোদি যেন কোনও অবস্থায়ই ট্রাম্পের কাছে নতিস্বীকার না করেন (John Bolton)।

    ভারতের ওপর দু’দফায় ৫০ শতাংশ শুল্ক

    ৬ অগাস্ট ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ আদেশে স্বাক্ষর করেন, যার মাধ্যমে ভারতীয় আমদানির ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, যা আগে থেকেই কার্যকর থাকা ২৫ শতাংশ করের সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রশাসন জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যই এই নতুন পদক্ষেপের কারণ, যা ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। ভারত ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে অশ্রদ্ধাশীল ও অযৌক্তিক পদক্ষেপ বলে আখ্যা দিয়েছে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সম্ভাব্য সব উপায় অনুসন্ধানের অঙ্গীকারও করে। ঘোষণার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। একে ওয়াশিংটনের প্রতি সরাসরি প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ভারত সফর করবেন পুতিন (John Bolton)।

    এখন দেখার কোথাকার জল কতদূর গড়ায়।

  • PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    PM Modi: লক্ষ্য মার্কিন খবরদারি রোখা, ফোনে কথা মোদি-পুতিনের, কী ‘গপ্পো’ হল দুই ‘হুজুরে’র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধুত্বের মুখোশধারীদের (Trumps Tariff Threats) থেকে দূরত্ব তৈরি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)! বেছে নিলেন প্রকৃত বন্ধুও। ভারত-মার্কিন শুল্ক নিয়ে চাপানউতোরের আবহেই শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুই রাষ্ট্রনেতার কী কথোপকথন হল, তাও শেয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ সম্বোধন (Trumps Tariff Threats)

    পুতিনকে নিজের ‘বন্ধু’ বলে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, তাঁরা দুজনেই ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও মজবুত করার ওপর জোর দিয়েছেন। দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও কথা বলেছেন। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির বিষয়ে পুতিন তাঁকে অবগত করেছেন বলেও জানিয়েছেন মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বন্ধু পুতিনের সঙ্গে খুব ভালো ও পুঙ্খানুপুঙ্খ কথোপকথন হয়েছে। ইউক্রেনের সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা জানানোর জন্য ওঁকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করেছি। ভারত ও রাশিয়ার বিশেষ কৌশলগত অংশীদারি বৃদ্ধি নিয়েও আলোচনা করেছি। চলতি বছরে পুতিনকে এ দেশে স্বাগত জানানোর জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, তার পরেই মোদির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্টের। এর পরেই প্রকাশ্যে এসেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নয়া বন্ধুর কথা।

    চড়া শুল্ক আরোপ

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে মস্কো থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি কেনায় ভারতের ওপর দু’দফায় সব মিলিয়ে মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, আরোপ করা হয়েছে জরিমানাও। তেল কেনা বন্ধ না করলে আরও শুল্ক আরোপেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অথচ, ট্রাম্পেরই আমন্ত্রণে আমেরিকা গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ট্রাম্পও। মোদিকে সম্মান জানাতে মার্কিন মুলুকে আয়োজন করেছিলেন ‘হাউডি মোদি’ অনুষ্ঠান। তখনও অটুট দুই ‘হুজুরে’র বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বেই চিড় ধরে দিন কয়েক আগে। ভারতের ওপর প্রথমেই ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। তার পরেও ভারত রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলায় ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রসিডেন্ট। ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এহেন আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মোদি পরোক্ষে বার্তা দিলেন বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের (Trumps Tariff Threats)। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, সার্বভৌম দেশগুলির অবশ্যই তাদের বাণিজ্য ও আর্থিক সহযোগী নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে (PM Modi)।

    ট্রাম্পের বক্তব্য

    ভারতীয় পণ্যের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাপানো শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ২৭ অগাস্ট থেকে। ট্রাম্পের বক্তব্য, ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থা রাশিয়া থেকে তেল কিনে খোলা বাজারে বিক্রি করে মুনাফা লুটছে এবং রাশিয়াকে যুদ্ধে সাহায্য করে চলেছে। তাই এই শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা। তার পরেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে স্বাধীন ভারতের পুরানো বন্ধু, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর আমলে সূত্রপাত হয়েছিল যে বন্ধুত্বের।

    কী কারণে ফের ভারত-রাশিয়া কাছাকাছি

    আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও একটি কারণে রাশিয়া দাঁড়িয়েছে ভারতের পাশে। সেটি হল তামাম বিশ্বের ওপর মার্কিন খবরদারি রোখা। বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় চার নম্বরে চলে এসেছে ভারত। জাপানের ঠিক পরেই। বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার করা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, অচিরেই ভারত টপকে যাবে জাপানকেও (Trumps Tariff Threats)। তাই আমেরিকাকে থোড়াই কেয়ার করে ভারত। সেই কারণেই যেদিন দ্বিতীয় দফায় ভারতের ওপর ফের ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং আরও শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প, সেদিনই সন্ধ্যায় মস্কোয় পৌঁছে যান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথাও হয় তাঁর। তার পরপরই পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

    ভারতের সাফ কথা

    ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করে বসে রাশিয়া। মস্কোর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে পশ্চিমী বিশ্ব। তার জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে মার খায় রাশিয়ার ব্যবসা। এই সংকট থেকে মুক্তি পেতে (Trumps Tariff Threats) সস্তায় অপরিশোধিত তেল বিক্রি করতে শুরু করে রাশিয়া। সেই সুযোগটাই লুফে নেয় নরেন্দ্র মোদির ভারত। জাতীয় স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাশিয়া থেকে কয়েক গুণ বেশি তেল কিনতে শুরু করে নয়াদিল্লি। এতেই বেজায় চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে মিস্টার প্রেসিডেন্টের শুল্ক হুমকির প্রতিক্রিয়া বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাতীয় স্বার্থ এবং আন্তর্জাতিক বাজারদরের কথা মাথায় রেখেই বাণিজ্যনীতি নির্ধারণ করে থাকে ভারত। রাশিয়া সস্তায় তেল বিক্রি করছে বলেই কিনছে ভারত।”

    ‘মিস্টার প্রেসিডেন্টে’র (Trumps Tariff Threats) মুখে কি ঝামা ঘষে দিলেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ (PM Modi)!

  • Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    Vladimir Putin: আমেরিকার সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের আবহে ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) অগাস্ট মাসের শেষদিকে ভারত সফরে আসছেন বলে জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ‘ইন্টারফ্যাক্স’ বৃহস্পতিবার মস্কো থেকে ডোভালের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানায়। যদিও পুতিনের (Putin) সফরের নির্দিষ্ট তারিখ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

    আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক যুদ্ধের আবহে এই সফর

    মাত্র একদিন আগেই, রাশিয়া থেকে তেল আমদানির প্রেক্ষিতে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ২৭ অগাস্ট থেকে আমেরিকায় ভারতীয় রফতানি পণ্যের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক বসবে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প পরোক্ষে ইঙ্গিত দেন, রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রাখা দেশগুলির উপর আরও বিধিনিষেধ আনতে পারে আমেরিকা।

    ট্রাম্পকে একহাত নিলেন রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র

    বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনে রুশ প্রশাসনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “আমরা (ট্রাম্পের) অনেক বিবৃতির কথাই শুনছি, যেগুলি আসলে হুমকি। বিভিন্ন দেশকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমরা এই বিবৃতিগুলিকে বৈধ এবং ন্যায্য বলে মনে করছি না।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “আমরা বিশ্বাস করি যে কোনও সার্বভৌম দেশের স্বাধীন ভাবে বাণিজ্যসঙ্গী বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। নির্দিষ্ট কোনও দেশের জাতীয় স্বার্থ অনুযায়ী এই বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক বোঝাপড়া হয়ে থাকে।”

    পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ

    এমন আবহে পুতিনের (Vladimir Putin) আসন্ন ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। একই দিনে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিগগিরই ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্টের বিদেশনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, বৈঠকের জন্য দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। তবে কোথায় ও কবে সেই বৈঠক হবে, তা এখনও স্থির হয়নি।প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলি। আন্তর্জাতিক বাজারে রুশ অর্থনীতির উপরও তার প্রভাব পড়ে। সেই সময়েই রাশিয়া সস্তায় খনিজ তেল বিক্রি শুরু করে, এবং ভারত সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে নয়াদিল্লি তার মোট তেলের চাহিদার প্রায় ৩৫ শতাংশই রাশিয়া থেকে পূরণ করে।

  • RICH Alliance: শিয়রে ট্রাম্পের শুল্ক বিপদ, তাই কি কাছাকাছি আসছে রাশিয়া-ভারত-চিন?

    RICH Alliance: শিয়রে ট্রাম্পের শুল্ক বিপদ, তাই কি কাছাকাছি আসছে রাশিয়া-ভারত-চিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিয়রে ট্রাম্পের শুল্ক বিপদ। তাই কি কাছাকাছি আসছে ভারত-চিন-রাশিয়া? গঠিত হচ্ছে নয়া জোট ‘রিচ অ্যালায়েন্স’ (RICH Alliance)? অন্তত এমনই জল্পনা ছড়িয়েছে তামাম বিশ্বে (Trumps Tariff War)। ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রথমে এক দফা ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ান তেল কেনার জন্যই এই পরিমাণ শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া যান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তারপর ফের ভারতীয় পণ্যের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বুধবার ঘোষণা করেন ট্রাম্প। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য এও জানিয়েছেন, তিনি ভারতের ওপর শুল্ক বাড়াবেন বহুলাংশে। তবে ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনওপ্রকার চাপের কাছেই নতিস্বীকার করবে না নয়াদিল্লি। ভারতের পাশাপাশি ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়াও।

    আমেরিকার শত্রু হওয়া বিপজ্জনক! (RICH Alliance)

    প্রাক্তন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার একবার বলেছিলেন, “আমেরিকার শত্রু হওয়া বিপজ্জনক হতে পারে, কিন্তু বন্ধু হওয়া মারাত্মক।” এই কথারই প্রতিধ্বনি যেন শোনা যাচ্ছে বর্তমানে। কারণ ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পাক খাচ্ছে শুল্ক-যুদ্ধের ঘূর্ণিপাকে। সম্প্রতি রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে মুখপাত্র মারিয়া জাখালোভা বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশগুলির ওপর আধিপত্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে শুল্ক আরোপ করছে। যারা ওয়াশিংটনের ভিন্ন পথে চলেছে, তাদের ওপর অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে রাশিয়া একটি মাল্টিপোলার ও ন্যায়ভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার পক্ষে। তাই রাশিয়া ভারতের পাশেও রয়েছে, রয়েছে চিনের সঙ্গেও, এক কথায় আমেরিকার একাধিপত্যবাদী দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে।”

    হতাশার গর্ভে জন্ম রাশিয়ার এই প্রতিক্রিয়া

    তাঁর দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিক্রিয়ার জন্ম হতাশা থেকেই। কারণ তারা নতুন বৈশ্বিক ব্যবস্থায় নিজেদের ক্রমহ্রাসমান প্রভাব মেনে নিতে পারছে না। তাঁর মতে, শুল্ক আর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বিশ্বব্যবস্থার বদল রোখা যাবে না (Trumps Tariff War)। জাখারোভার কথায় স্পষ্ট ইঙ্গিত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নয়া শুল্ক ঘোষণার পর এক নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাশিয়া, ভারত এবং চিনের মধ্যে যে এই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হচ্ছে, তা বিশ্বে শক্তির ভারসাম্য নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারে (RICH Alliance)।

    অমোঘ প্রশ্ন

    এখানেই উঠছে সেই অমোঘ প্রশ্নটি, ট্রাম্পের আগ্রাসী বাণিজ্যনীতি কি একটি শক্তিশালী ‘রিচ’ (Russia-India-China) জোটের উত্থান ডেকে এনেছে? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রিচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ব্রিকসের (BRICS) চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। কারণ রাশিয়া-ভারত-চিনের (রিচ) এই সংক্ষিপ্ত রূপটিই ধন ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে এক শক্তিশালী জোটের ইঙ্গিত দেয়।

    আমেরিকার শিয়রে বিপদ!

    বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘রিচ’ (RICH Alliance) গঠিত হলে বিপাকে পড়বে আমেরিকা। সে দেশের জিডিপি হল প্রায় ২৩ লাখ কোটি টাকা। অন্যদিকে, রাশিয়া, ভারত ও চিনের সম্মিলিত জিডিপি প্রায় ২১ লাখ কোটি টাকা। ভারত, চিন ও রাশিয়ার সম্মিলিত জনসংখ্যা প্রায় ৩০০ কোটি, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৭ শতাংশ। উল্টো দিকে, আমেরিকার জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ কোটি, বিশ্ব জনসংখ্যার মাত্র ৪ শতাংশ। ত্রিদেশীয় এই সম্ভাব্য জোটের সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৪৮ লাখ, সেখানে আমেরিকার মাত্র ১৩ লাখ। ন্যাটো মিত্রদের যুক্ত করলেও, সেনা সংখ্যায় এগিয়ে ‘রিচ’-ই। পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের দিক থেকেও এগিয়ে ‘রিচ’। এই সম্ভাব্য জোটের দেশগুলির কাছে আনুমানিক ৬,৩০০টি পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে। আর আমেরিকার রয়েছে প্রায় ৫,২০০টি (Trumps Tariff War)।

    কে এগিয়ে, পিছিয়েই বা কে

    যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিশ্বের সর্ববৃহৎ অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ, তবুও রাশিয়া এবং চিনও শীর্ষ অস্ত্র নির্মাতা দেশগুলির মধ্যেই রয়েছে। ভারতও প্রতিরক্ষা উৎপাদনে স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে দ্রুত এগোচ্ছে। এই ত্রিদেশীয় জোট গঠিত হলে স্থল, জল ও আকাশে ন্যাটোর জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে (RICH Alliance)। ‘রিচে’র সদস্য দেশগুলি প্রাকৃতিক সম্পদেও সমৃদ্ধ। রাশিয়ার রয়েছে তেল, গ্যাস ও কয়লার বিশাল ভাণ্ডার। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান রপ্তানিকারক। ভারত পারমাণবিক ও সৌরশক্তিতে ব্যাপক এগিয়েছে। আর চিন সৌর প্যানেল ও উইন্ড টারবাইনের শীর্ষ উৎপাদক।

    প্রাকৃতিক সম্পদেও ঋদ্ধ এই তিন দেশ। রাশিয়ার রয়েছে টাইটানিয়াম, নিকেল, কোবাল্ট ও ইউরেনিয়ামের বিপুল ভাণ্ডার। চিন বিশ্বব্যাপী বিরল খনিজের ৬০ শতাংশেরও বেশি উৎপাদন করে। আর ভারত সমৃদ্ধ বক্সাইট, লোহা আকরিক, গ্রাফাইট ও ম্যাঙ্গানিজে। কৃষিতেও এগিয়ে ‘রিচ’। ভারত দুধ ও ডালের বিশ্বের সর্ববৃহৎ উৎপাদক। রাশিয়া গম রফতানিতে রয়েছে শীর্ষে। আর চিন দক্ষ কৃষিযন্ত্র ও খাদ্য উৎপাদনে। চুম্বকে, এই তিন দেশের জোট গঠিত হলে জ্বালানি, খাদ্য বা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাইরের সাহায্যের কোনও প্রয়োজনই প্রায় থাকবে না (Trumps Tariff War)।

    ‘রিচ’ নামের ত্রিদেশীয় এই জোট দিনের আলো দেখে কিনা, এখন সেটাই দেখার (RICH Alliance)।

  • World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    World War 3: পুতিন-ট্রাম্পের অস্ত্র মোতায়েনের জেরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ, দুয়ারে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়ার উপকূলের কাছে পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পরেই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Putin)। জানা গিয়েছে, রাশিয়া ইউরোপের কাছাকাছি (World War 3) চারটি পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। দুই উন্নত দেশের এই অস্ত্রের ঝনঝনানিতে বিশ্বের ঈশান কোণে ঘনাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেঘ। এই বিমানগুলি অতীতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে। পশ্চিমি মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে এগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা রয়েছে।

    কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদল (World War 3)

    ট্রাম্পের এই নির্দেশের আগে রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী দিমিত্রি মেদভেদেভ একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। এর পরপরই রাশিয়া দ্রুত তাদের কৌশলগত বোমারু বিমানগুলির অবস্থান বদলে ফেলে। ট্রাম্প সম্প্রতি বলেন, “মার্কিন সাবমেরিনগুলি এখন সেখানেই রয়েছে, যেখানে থাকা দরকার।” আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মস্কোর প্রতি একটি স্পষ্ট হুঁশিয়ারি। উল্লেখ্য, রুশ বোমারু বিমানগুলি আর্কটিক অঞ্চলের মুরমানস্ক এলাকার ওলেনিয়া এয়ারবেসে মোতায়েন করা হয়েছিল। ১ জুন ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ার পর এবার সেগুলিকে ফের সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কিছু বিমান সারাতভ অঞ্চল থেকেও সরানো হয়েছে। কারণ রাশিয়ান সামরিক ভবনে ইউক্রেনীয় হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এই ব্যবস্থা।

    রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ

    এই বোমারু বিমানগুলি রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর অংশ। তবে ইউক্রেনে বোমাবর্ষণ মিশনেও ব্যবহার করা হয়েছে এগুলি (World War 3)।এদিকে, ইউক্রেন একটি বড় সামরিক সাফল্যের দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, তারা একটি রুশ জেট ফাইটার গুলি করে নামিয়েছে এবং রুশ অধিকৃত ক্রিমিয়ায় চালানো এক হামলায় চারটি সামরিক বিমানের ক্ষতি করেছে। এই হামলাটি ঘটেছে মাত্র এক দিন আগেই।

    প্রসঙ্গত, মেদভেদেভ, যিনি বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান এর আগে ট্রাম্পকে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা স্মরণ করিয়ে দিয়ে সতর্ক করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছিলেন, “রাশিয়া ইজরায়েল বা ইরান নয়, এবং সতর্ক করেন যে ট্রাম্পের প্রতিটি হুমকি বিশ্বকে একটি (Putin) পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে আরও কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে।” এই সতর্কতার কিছুক্ষণ পরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। যা উত্তেজনার পারদ আরও চড়িয়ে দিয়েছে (World War 3)।

  • Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি ভারত, ফের শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    Donald Trump: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি ভারত, ফের শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার করেনি নরেন্দ্র মোদির ভারত। পাত্তা দেয়নি ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক (US Tariffs) আরোপের হুঁশিয়ারিকে। তার পরেও দিব্যি রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। নয়াদিল্লির এহেন সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। একাধিকবার বলা সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ না করায় ভারতের ওপর ফের একপ্রস্ত উল্লেখযোগ্য শুল্ক বৃদ্ধির হুঁশিয়ারি দিলেন ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক ট্রাম্প। ‘বন্ধু’র প্রতি তাঁর হুঁশিয়ারি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

    ট্রাম্পের গলায় ভিন্ন সুর (Donald Trump)

    ভারত ও আমেরিকার মধ্যে এখনও চূড়ান্ত হয়নি বাণিজ্যচুক্তি। চলছে দর কষাকষি। এমতাবস্থায় ভারতকে ‘বন্ধু দেশ’ হিসেবে অভিহিত করে ট্রাম্প জানিয়েছেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে ব্যবসার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। মঙ্গলবার ‘হাউডি মোদি’র আয়োজক ট্রাম্পের গলায় শোনা গেল ভিন্ন সুর। এদিন তিনি জানান, ভারত ভালো ব্যবসায়িক বন্ধু নয়। সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “ভারত ভালো ব্যবসায়িক বন্ধু নয়। কারণ ওরা আমাদের সঙ্গে ব্যবসা করে। কিন্তু আমরা ওদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারি না।” এর পরেই মিস্টার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের ওপর আরও শুল্ক চাপাতে চলেছি।” তবে ভারতীয় পণ্যের ওপর কত পরিমাণ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করবে আমেরিকা, এদিন তা স্পষ্ট করেননি ‘নমস্তে ট্রাম্পে’র ‘নায়ক’ (US Tariffs)।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের পোস্ট

    ট্রুথ সোশ্যালে ফের একটি পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারত যে শুধু রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কিনছে, তা নয়। বরং মুনাফার জন্য তারা কেনা তেলের বেশিরভাগটাই (Donald Trump) খোলা বাজারে বিক্রিও করছে। এদিকে রাশিয়ার যুদ্ধপ্রক্রিয়া যে ইউক্রেনের কত মানুষের প্রাণ কাড়ছে, তার পরোয়াও করছে না ভারত। এই কারণেই আমি ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়াব।” গত বুধবারই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প (Donald Trump)। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল এবং অস্ত্র কেনার জন্য ভারতকে ‘জরিমানা’ও দিতে হবে বলে (US Tariffs) জানিয়েছিলেন মোদির ‘বন্ধু’।

  • Crude Politics: অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাজনীতি, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার জল গড়াবে কতদূর?

    Crude Politics: অপরিশোধিত তেল নিয়ে রাজনীতি, রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার জল গড়াবে কতদূর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত তিন বছরে ভারতের জ্বালানি কৌশলে একটি বড়সড় পরিবর্তন এসেছে, যেখানে রাশিয়াকে অপরিশোধিত তেলের (Crude Politics) আমদানির কেন্দ্রে জায়গা দেওয়া হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ ছিল মাত্র ০.২ শতাংশ। কিন্তু যুদ্ধকালীন-পর্বে রাশিয়ান তেল ভারতের প্রধান উৎসে পরিণত হয়েছে (Donald Trump Tariff)। ঠান্ডা যুদ্ধের সময় ভারত নিরপেক্ষতার নীতি অবলম্বন করেছিল। সোভিয়েত-নেতৃত্বাধীন কমিউনিজমের বিরুদ্ধে পশ্চিমী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতেও অস্বীকার করেছিল। এর ফলে মস্কোর সঙ্গে ভারতের এক কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে রয়েছে ব্যাপক অস্ত্র স্থানান্তর, প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং কূটনৈতিক সহায়তা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Crude Politics)

    ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এরপর পশ্চিমী বিশ্বের একটি বড় অংশ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর মধ্যে রয়েছে তেল আমদানিও। যুদ্ধের আগে ভারতের অপরিশোধিত তেল আমদানির মধ্যে রাশিয়ার অংশ ছিল মাত্রই ০.২ শতাংশ। ২০২৩ সালের মে মাসে সেই হার লাফিয়ে হয়ে যায় ৪০ শতাংশেরও বেশি। রিয়েল-টাইম তথ্য ও বিশ্লেষণ সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, ২০২৩ সালের মে মাসে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি সর্বোচ্চ ২১.৫ লাখ ব্যারেল ছুঁয়েছিল। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে রাশিয়া প্রতিদিন ২০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল সরবরাহ করেছে, যা ভারতের মোট আমদানির ৪১ শতাংশ। সেই তুলনায় ইরাকের অংশ ছিল ২০ শতাংশ, সৌদি আরবের ১১ শতাংশ, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ৪ শতাংশ। বর্তমানে প্রতি মাসে গড় রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ১৭.৫ থেকে ১৭.৮ লাখ ব্যারেল। উল্টো দিকে, ইরাক এবং সৌদি আরব প্রতিদিন সরবরাহ করে যথাক্রমে প্রায় ৯ লাখ ও ৭ লাখ ব্যারেল তেল (Crude Politics)।

    তেল বিক্রির জন্য রাশিয়া ঝোঁকে ভারত ও চিনের দিকে

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর তেল বিক্রির জন্য রাশিয়া ঝোঁকে ভারত ও চিনের মতো দেশের দিকে। ডিসকাউন্টের তুঙ্গ সময়ে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট দামের চেয়ে প্রায় ৪০ মার্কিন ডলার কমে বিক্রি হত। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ছাড়ের পরিমাণ কমে এসেছে। সংবাদ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ভারত রাশিয়ান তেলের প্রতি মেট্রিক টনে গড়ে ৫২৫.৬০ মার্কিন ডলার মূল্য দিয়েছে, যা ইরাক থেকে আমদানি করা তেলের দামের চেয়ে প্রতি ব্যারেলে প্রায় ৫ মার্কিন ডলার কম। আইসিআরএর দাবি, গত দুই অর্থবর্ষে তেল আমদানিতে প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করেছে ভারত (Donald Trump Tariff)।

    ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

    মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রাশিয়ান তেল কৌশলকে নতুন চাপে ফেলেছেন। ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা ঘোষণা করেছেন। রাশিয়ান তেল কেনা অব্যাহত রাখায় ধার্য করা হয়েছে জরিমানাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প লিখেছেন, “ভারতকে তাই ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে, সঙ্গে থাকবে একটি জরিমানাও।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “মস্কো যদি ৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তিচুক্তিতে না পৌঁছায়, তাহলে রাশিয়ান তেল কেনা সব দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।” উল্লেখ্য, ভারত প্রতিদিন প্রায় ৫.২ মিলিয়ন ব্যারেল তেল খরচ করে, যার প্রায় ৮৫ শতাংশই আমদানি করতে হয়। এই চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে (Crude Politics)।

    ভারতের অবস্থান

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় নয়াদিল্লি বরাবরই নিরপেক্ষ কূটনৈতিক অবস্থান বজায় রেখেছে। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি বহুবার বলেছেন, “ভারত যদি রাশিয়ার কাছ থেকে তেল না কিনত, তাহলে তেলের দর আকাশ ছুঁতো (Donald Trump Tariff)।”

    ট্রাম্পের দাবি

    এদিকে, ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার দাবি করেন, তিনি শুনেছেন ভারত আর রাশিয়ার তেল কিনবে না। তিনি একে একটি ভালো পদক্ষেপ আখ্যা দেন। উল্লেখ্য, এর কয়েকদিন আগেই তিনি মস্কোর সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য ও সামরিক সম্পর্ক নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছিলেন। ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। আমি জানি না এটা ঠিক কি না, তবে এটি একটি ভালো পদক্ষেপ। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কী হয়।” মার্কিন প্রেসিডেন্টের এহেন মন্তব্যের আড়ালে রয়েছে একটি প্রচ্ছন্ন হুমকি। কারণ তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন তিনি।

    সাফ কথা ভারতের

    এহেন আবহে শনিবার প্রকাশিত নতুন একটি প্রতিবেদনে ভারত সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্তারা জানিয়েছেন, নীতিতে কোনও পরিবর্তন হয়নি। একজন কর্তা তো বলেই দিলেন, সরকার তেল আমদানিকারী সংস্থাগুলিকে রাশিয়া থেকে আমদানি কমাতে কোনও নির্দেশই দেয়নি (Donald Trump Tariff)। পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞার জেরে তেলের দাম কমে যাওয়ায় রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা বেড়েছে এবং এর মাধ্যমে মস্কো গুরুত্বপূর্ণ রফতানি রাজস্ব ধরে রাখতে পেরেছে। একই সঙ্গে ভারত পাচ্ছে সস্তায় জ্বালানি। যাতে পূরণ হচ্ছে তার ক্রমবর্ধমান চাহিদা।

    ট্রাম্পের এক্সিকিউটিভ অর্ডার

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহের শুরুতে ট্রাম্প একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডারের মাধ্যমে প্রায় ৭০টি দেশের রফতানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। যদিও ওই অর্ডারে রাশিয়া থেকে ভারতের জ্বালানি কেনার কারণে অতিরিক্ত শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপের হুমকির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল না, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখনও সেই ব্যবস্থা নিতেই পারে (Crude Politics)। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “ভারতের জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা পূরণের ক্ষেত্রে আমরা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য এবং সেই সময়কার বৈশ্বিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।”

    তেল কেনা অব্যাহত রইবে

    শনিবার প্রকাশিত নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শাস্তির হুমকি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে। কারণ এগুলি দীর্ঘমেয়াদি তেলের চুক্তি। রাতারাতি কেনা বন্ধ করে দেওয়া সহজ নয়। জানা গিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ভারত রাশিয়া থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৭.৫ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় ১ শতাংশ বেশি।

    রাশিয়ান তেল আমদানির ব্যাখ্যা

    ভারতের পক্ষ থেকে রাশিয়ান তেল আমদানির ব্যাখ্যায় আর এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ান গ্রেডের তেল আমদানির ফলে বিশ্ববাজারে তেলের দামে ব্যাপক ঊর্ধ্বগতি এড়ানো গিয়েছে। যদিও পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ার তেলের দাম তুলনামূলকভাবে নিয়ন্ত্রিতই রয়েছে। ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ইরান ও ভেনেজুয়েলার তেলের মতো রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল সরাসরি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না। তাই ভারত সেটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত দামের সীমার নীচে কিনছে। অবশ্য সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জুলাই মাসে ডিসকাউন্টের পরিমাণ কমে যাওয়ায় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল পরিশোধন সংস্থাগুলি রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে (Donald Trump Tariff)। ছাড়ের পরিমাণ ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছিল তখন, যখন মস্কোর ওপর প্রথম নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড তাদের কত রাশিয়ান তেলের প্রয়োজন, গত এক সপ্তাহে তা জানায়নি তারা (Crude Politics)।

  • PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    PM Modi: ট্রাম্পের ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র জবাব দিতেই কি মোদির মুখে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র ডাক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি। স্থানীয়দের জন্য আওয়াজ তুলতে হবে আমাদের।” শুক্রবার বারাণসীর সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। দিন কয়েক আগেই ‘শুল্ক-যুদ্ধে’র প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভারতকে ‘মৃত অর্থনীতির দেশ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও মস্কো থেকে জ্বালানি কিনে চলেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার পর থেকে ভারতকে একাধিকবার রক্তচক্ষু দেখিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

    মার্কিন রক্তচক্ষু উপেক্ষা (PM Modi)

    তাকে কার্যত উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনে চলেছে ভারত। তার জেরেই ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই সময়ই তিনি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া এবং ভারতের ব্যাপারে ভাবতেই চান না তিনি। মৃত অর্থনীতি নিয়ে ডুবে যেতে পারে দুই দেশই। এই আবহেই প্রধানমন্ত্রীর মুখে এল ‘স্বদেশি আন্দোলনে’র কথা। তিনি বলেন, “ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই সরকার দেশের সব চেয়ে ভালো করার স্বার্থে যা কিছু প্রয়োজনীয়, সব করছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “তামাম বিশ্বে অস্থিরতার পরিবেশ বিরাজ করছে। সব দেশ তাদের নিজস্ব স্বার্থের দিকে মনোনিবেশ করছে। ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে। তাই ভারতকে তার অর্থনৈতিক স্বার্থের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি বলেন, “আমাদের সরকার দেশের সর্বোত্তম স্বার্থে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। যারা দেশের জন্য সব থেকে ভালোটা চান এবং ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে দেখতে চান, তা সে যে কোনও রাজনৈতিক দলই হোক না কেন, তাদের উচিত মতপার্থক্য ভুলে গিয়ে স্বদেশি পণ্যের জন্য একটি সংকল্প তৈরি করা।” এর পরেই তিনি বলেন, “আমরা কেবল সেই জিনিসগুলিই কিনব, যা ভারতীয়দের তৈরি (PM Modi)। স্থানীয়দের জন্য আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে (Donald Trump)।”

LinkedIn
Share