Tag: Trump Talks With Modi

  • India-US Relation: ফেব্রুয়ারিতেই আমেরিকায় মোদি! বেআইনি অভিবাসী ইস্যুতে ভারতে ভরসা ট্রাম্পের

    India-US Relation: ফেব্রুয়ারিতেই আমেরিকায় মোদি! বেআইনি অভিবাসী ইস্যুতে ভারতে ভরসা ট্রাম্পের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও মজবুত হতে চলেছে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক (India-US Relation)। আগামী মাসেই আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার এই কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার নানা বিষয় নিয়ে ফোনে কথা হয় মোদি-ট্রাম্পের। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফরের বিষয়টি ঘোষণা করেন ট্রাম্প। সেইসঙ্গে ভারতের উপরে আস্থা রেখে ট্রাম্প জানিয়েছেন যে, ‘বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে যেটা ঠিক, ভারত সেটাই করবে।’ জানা গিয়েছে, বিশ্ব শান্তির পাশাপাশি প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়েও কথা বলেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। বিশেষত ভারত-আমেরিকার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক এবং চিনের দাপট রুখতে কোয়াড জোটকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান।

     

    ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সফরে মোদি

    সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্প (Trump Talks With Modi) শুধু বলেছেন যে ‘ফেব্রুয়ারির কোনও একটা সময় আমেরিকায় আসবেন মোদি।’ তবে ঠিক কবে আমেরিকায় যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কতদিন থাকবেন, সফরসূচিতে কী কী থাকবে, সে বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিছু জানাননি। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ট্রাম্প ৷ শপথ নেওয়ার পর সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি ৷ তবে সোমবার দু’জনের মধ্যে প্রথমবার ফোনে কথা হয় ৷ তারপরই মোদির আমেরিকা সফরের কথা বলেন ট্রাম্প। যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি।

     

    ট্রাম্প-মোদি ফোনালাপ

    দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট (India-US Relation) হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রথমবার সঙ্গে ফোনে কথা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ তাঁদের এই ফোনালাপ অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস৷ দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক এবং ভারত-মার্কিন সহযোগিতার পথ আরও সুদৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদিকে৷ আমেরিকার অভিবাসীদের মধ্যে একটা বড় অংশ ভারতীয় জনতা। সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “অভিবাসন নিয়ে কথা হয়েছে মোদির সঙ্গে। অভিবাসীদের ফেরানোর ক্ষেত্রে ভারত সঠিক পদক্ষেপই করবে।”

     

    বন্ধুর সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত

    ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের (Trump Talks With Modi) পর এক্স হ্যান্ডেলে মোদি লেখেন, ‘‘আমার প্রিয় বন্ধু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলে আনন্দিত। তাঁর ঐতিহাসিক দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য অভিনন্দন। পারস্পরিক উন্নয়ন এবং বিশ্বস্ত অংশীদারিত্বের জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের জনগণের কল্যাণে এবং বিশ্বের শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তার জন্য আমরা একযোগে কাজ করব।’’ ট্রাম্প ও মোদির ফোনালাপ সম্পর্কে হোয়াইট হাউসের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফোনালাপ ফলপ্রসূ হয়েছে । দুই রাষ্ট্রনেতা পারস্পরিক সহযোগিতা গভীর ও সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট আমেরিকায় তৈরি নিরাপত্তা সরঞ্জাম ক্রয় বৃদ্ধির জন্য দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্ব দিয়েছেন ’’

     

    বেআইনি অভিবাসন

    নতুন করে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই আমেরিকা থেকে বেআইনি অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নয়াদিল্লির (India-US Relation) তরফে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে যে উপযুক্ত নথি দেওয়া হলে বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে। গত সপ্তাহে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, “আমরা বেআইনি অভিবাসনের বিরোধী। কারণ সেই বিষয়টা বিভিন্ন ধরনের সংগঠিত অপরাধের সঙ্গে যুক্ত।” তিনি আরও বলেছেন, “শুধুমাত্র আমেরিকায় থাকা ভারতীয়দের ক্ষেত্রে নয়, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে যদি ভারতীয়রা নির্ধারিত সময়ের থেকে বেশি থাকেন বা উপযুক্ত নথি ছাড়া সংশ্লিষ্ট দেশে থাকেন, তাহলে আমরা তাঁদের ফিরিয়ে নেব। আমাদের সঙ্গে উপযুক্ত নথি ভাগ করে নিতে হবে, যাতে আমরা তাঁদের নাগরিকত্ব যাচাই করে নিতে পারি এবং নিশ্চিত হতে পারি যে তাঁরা সত্যিই ভারতীয়। যদি সেটাই বিষয় হয়, তাহলে আমরা পুরো বিষয়টা এগিয়ে নিয়ে যাব এবং তাঁদের ভারতে ফেরানোর কাজটা প্রশস্ত করব।”

     

    মোদি-ট্রাম্প বৈঠকের গুরুত্ব

    কূটনৈতিক মহলের মতে, বেআইনি অভিবাসীদের ফেরানোর মতো ‘ছোট’ ব্যাপারে ট্রাম্পের মন জিতে নিয়ে ‘বড়’ কাজের পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি (India-US Relation)। যে তালিকায় এইচ-১বি ভিসা, বাণিজ্যের মতো বিষয় থাকতে পারে। মোদি এবং ট্রাম্প উভয়ই ভারত-মার্কিন কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কোয়াড অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তাঁদের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছেন ৷ চলতি বছরের শেষের দিকে প্রথমবার ভারতে হবে কোয়াড বৈঠক৷ অনেক দেশের মতোই অভিবাসন এবং শুল্কের বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কিছুটা হলেও উদ্বেগে রয়েছে ভারত৷ ইতিমধ্যেই ট্রাম্প ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলোর উপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন ৷ ৯ সদস্যভুক্ত ব্রিকসে ভারতও অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং আসন্ন মোদি-ট্রাম্প বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ৷

LinkedIn
Share