Tag: Udaipur Tailor murder

Udaipur Tailor murder

  • NIA: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    NIA: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুন মাসে এক মর্মান্তিক ঘটনায় কেঁপে ওঠে গোটা দেশ। রাজস্থানের উদয়পুরে কানহাইয়ালাল নামে এক দরজিকে নির্মমভাবে খুন হতে হয় মৌলবাদীদের হাতে। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) এই মামলার দুই প্রধান আসামী, মহম্মদ রিয়াজ আত্রি এবং মহম্মদ গৌস সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে দুই পাকিস্তানি নাগরিকেরও।  

    আরও পড়ুন: “যত তাড়াতাড়ি হয় ততই ভালো”, ইউক্রেন যুদ্ধ ইতি টানতে চায় পুতিন

    চলতি বছর জুন মাসে রাজস্থানের উদয়পুরের দরজি কানহাইয়ালালকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। এমনকী আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে কানহাইয়ালালের মাথা কেটে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ গাউস ও রিয়াজ মহম্মদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    কী জানিয়েছে এনআইএ?   

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (NIA) মুখপাত্র এ বিষয়ে বলেন, “হত্যার ভিডিও সারা দেশে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।” হত্যার ঘটনাটি প্রথমে রাজস্থানের উদয়পুর জেলার ধানমন্ডি থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং পরে এনআইএ এই মামলার তদন্তভার কাঁধে তুলে নেয়। ভারতীয় দণ্ডবিধি, বেআইনি কার্যকলাপ আইন এবং অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় জয়পুরের একটি বিশেষ এনআইএ আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে ওই গোয়েন্দা সংস্থা। 

    এনআইএ- র (NIA) মুখপাত্র আরও বলেন, “তদন্তে জানা গিয়েছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা, সন্ত্রাসী গ্যাং-মডিউল হিসাবে কাজ করে। প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। নূপুর শর্মার পয়গম্বরকে নিয়ে করা মন্তব্যের জেরেই এই ষড়যন্ত্র।”  

    তিনি (NIA) আরও বলেন, “অভিযুক্তরা উগ্রপন্থী কার্যকলাপ থেকে এবং ভারতের ভিতরে এবং বাইরে প্রচারিত অডিও- ভিডিও বার্তা থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিল। অভিযুক্তরা পুরো পরিকল্পনা মাফিক হত্যাকাণ্ড ঘটায়। ফেসবুক পোস্টের প্রতিক্রিয়া হিসাবে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করা কানহাইয়ালালকে এবং তাঁর দোকানে এক সহকর্মীকেও খুনের পরিকল্পনা ছিল আততায়ীদের।” 

    এনআইএ (NIA) চার্জশিটে অভিযুক্ত হিসেবে যাদের নাম রয়েছে তারা হল, মোহাম্মদ রিয়াজ আত্তারি, গাউস মহম্মদ, মহসিন খান, আসিফ হুসেন, মহাম্মদ মহসিন, ওয়াসিম আলী, ফরহাদ মহম্মদ শেখ, মহম্মদ জাভেদ, মুসলিম খান ওরফে মুসলিম রাজা এবং পাকিস্তানি নাগরিক সালমান ও আবু ইব্রাহিম। দুজনই করাচির বাসিন্দা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Udaipur Tailor Killing: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট  

    Udaipur Tailor Killing: প্রকাশ্যে শিরশ্ছেদ হিন্দু দর্জির, উত্তাল রাজস্থান, বন্ধ ইন্টারনেট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক হিন্দু দর্জি (Tailor) খুনের জেরে উত্তাল রাজস্থানের উদয়পুর (Udaipur)। বিজেপির (BJP) সাসপেন্ডেড মুখপাত্র নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন ওই দর্জি। অভিযোগ, তার জেরেই দোকানে ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। গোটা খুনের পর্বটি ভিডিও করা হয়েছে। সেখানে হুমকিও দিতে শোনা গিয়েছে। অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদয়পুরের পুলিশ সুপার মনোজ কুমার। ঘটনার জেরে কংগ্রেস শাসিত এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে প্রবল বিক্ষোভ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বর্বরোচিত এই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে। 

    আরও পড়ুন : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সাসপেন্ড নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালকে বহিষ্কার বিজেপি-র

    জানা গিয়েছে, উদয়পুরের ধানমান্ডি এলাকায় কানাইয়ালাল নামের এক ব্যক্তি নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন। তার জেরে খুন করা হয় তাঁকে। প্রথমে একটি খুনের ভিডিও করা হয়। পরে করা হয় আরও একটি ভিডিও। দুটোই ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।  দ্বিতীয় ভিডিওয় বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য শিরশ্ছেদ করা হয়েছে লালের। ওই ভিডিওয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। গাউস মহম্মদ ও রিয়াজ আহমেদ নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালকে। পরে জামিনে ছাড়াও পান। তার পর থেকে তাঁকে লাগাতার ফোনে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল বলেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন ওই হিন্দু দর্জি।

    আরও পড়ুন : নূপুর শর্মা বিতর্কে অশান্তি, ঝাড়খণ্ডে মৃত ২, তপ্ত বাংলা, ভূস্বর্গে জারি কার্ফু

    ঘটনার জেরে দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয় উদয়পুরেও। সেখানকার হাতিপোল এালাকায় দুটি বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ধানমান্ডি এলাকায় একটি মসজিদ লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। 

    নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের কড়া নিন্দা করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot)। দোষীদের কড়া শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন শান্তি বজায় রাখার আবেদনও।বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে ২৪ ঘণ্টার জন্য গোটা রাজস্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আগামী একমাসের জন্য জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।

    গোটা ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। রাজস্থানের বিজেপি নেতা গুলাব চাঁদ কাটারিয়া লেন, দোষীদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। মৃতের পরিবারকে সাহায্য করতে হবে। হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও।

    এদিকে, খুনের ঘটনার তদন্তে চারজনের সিট গঠন করেছে রাজ্য সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে এনআইএর হাতেও। ঘটনার নেপথ্যে কোনও জিহাদি গোষ্ঠীর হাত রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়েছে, উদয় পুরের খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনও সংস্থা কিংবা আন্তর্জাতিক কোনও গোষ্ঠীর যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। 

    [tw]


    [/tw]

     

     

  • Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    Udaipur Tailor Murder: উদয়পুর কাণ্ডের জেরে বদলি ৩২ আইপিএস, ড্যামেজ কন্ট্রোল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উদয়পুর দর্জি খুনের (Udaipur Tailor Murder) জের। বদলি করা হল এসপি (SP), আইজিসহ (IG) ৩২ আইপিএস (IPS) অফিসারকে।  দর্জি কানহাইয়া লালের (Kanhaiya Lal) নৃশংস খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত রাজস্থানসহ গোটা দেশ। তারই মাঝে একটি খবর সামনে আসে, যে নূপুর শর্মার সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার পর থেকেই হুমকি আসতে শুরু করে মৃত  দর্জির কাছে। সে বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগও জানান। কিন্তু পুলিশ তাঁকে কোনও নিরাপত্তা দেয়নি। বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করে নাগরিক নিরাপত্তা নিয়েও। অস্বস্তিতে পড়ে রাজস্থান সরকার। আর তাতেই তড়িঘড়ি এই বদলির নির্দেশ।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে দাওয়াত-ই-ইসলামির যোগ! জানুন কী এই সংগঠন  

    বৃহস্পতিবার মৃত দর্জির পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, কানহাইয়ালাল ১৫ জুন থানায় তাঁকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। এমনকি পুলিশের সততা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। প্রথমেই সেখানকার এএসআইকে সাসপেন্ড করে রাজস্থান (Rajasthan) সরকার। পরে বাকি পুলিশ কর্তাদের বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।     

    ১৫ জুন পুলিশের কাছে করা অভিযোগে কানহাইয়া লাল জানান, প্রায় ৬ দিন আগে তাঁর ছেলে মোবাইল ফোনে গেম খেলতে গিয়ে একটি পোস্ট করেছিল। তা তিনি একেবারেই জানতেন না। দুদিন পরে দুজন তাঁর দোকানে আসে। তারা বলে মোবাইল থেকে আপত্তিকর বিষয় পোস্ট করা হয়েছে। তখন কানহাইয়ালাল বলেন, তিনি করেননি। তবে তাঁর ছেলে গেম খেলে। কোথাও ভুল হয়ে থাকতে পারে। এরপর পোস্টটি মুছেও দেওয়া হয়। আগন্তুকরা বলে যায় এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ডে খুনিদের আইসিস যোগ! জড়িত নয় পাকিস্তান, জানাল পাক বিদেশমন্ত্রক   

    তাঁর বিরুদ্ধে এক প্রতিবেশি থানায় অভিযোগও দায়ের করে। কানহাইয়া থানায় গেলে তাঁকে গ্রেফতার করে পরে জামিনও দেওয়া হয়। এর পরে এএসআই ভানোয়ার লালের মধ্যস্থতায় দুপক্ষের মধ্যে সমঝোতাও হয়। কিন্তু তার পরেও কানহাইয়া লালকে হুমকি দেওয়া চলতে থাকে। থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। 

    কানহাইয়া লালের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সমঝোতার পরেও তাঁর দোকানে নজরদারি চালানো হচ্ছিল। কানহাইয়া লাল অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। পুলিশ তাঁকে বলেছিল, সমঝোতা হয়েছে, এবার নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি। আর এতেই পুলিশের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ মানুষ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামে রাজস্থান সরকার। বদলির নির্দেশ নেমে আসে আইপিএসদের মাথায়।    

     

LinkedIn
Share