Tag: Ukraine Russia War

Ukraine Russia War

  • Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    Ukraine: খনিজ চুক্তি করতে রাজি তিনি, আমেরিকাকে বার্তা জেলেনস্কির, কীসের ইঙ্গিত দিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে-বাইরে চাপ বাড়ছিল। পথ খোলা ছিল দুটো – হয় পথ বদল, নয় পদত্যাগ। শেষ পর্যন্ত এই দুই বিকল্পের মধ্যে প্ল্যান এ-টাই বেছে নিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ব্রিটেন থেকে রবিবার তিনি (Zelenskyy) জানিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি আছেন তিনি।

    বৈঠক করতেও আপত্তি নেই (Ukraine)

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এও জানিয়েছেন, আমেরিকা যদি তাঁকে আবারও ডাকে, তাহলে ফের তিনি সেখানে যেতে প্রস্তুত। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠক করতেও আপত্তি নেই তাঁর। এই সব কিছুর পরেও অবশ্য ছোট্ট একটা শর্তও দিয়ে রেখেছেন জেলেনস্কি। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কথাও শুনতে হবে। বিবেচনা করতে হবে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অবস্থাও। আমেরিকার সঙ্গে খনিজসম্পদ সংক্রান্ত চুক্তিকে তিনি বর্ণনা করেছেন নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম ধাপ হিসেবে। এক্স হ্যান্ডেলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “আমরা খনিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। এবং এটি নিরাপত্তা নিশ্চয়তার প্রথম পদক্ষেপ। তবে এটি যথেষ্ট নয়, আমাদের এর চেয়েও বেশি প্রয়োজন।”

    ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক

    তিনি লিখেছেন, “নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া যুদ্ধবিরতি ইউক্রেনের পক্ষে বিপজ্জনক। আমরা তিন বছর ধরে যুদ্ধ করছি, এবং ইউক্রেনের জনগণের জানা প্রয়োজন যে আমেরিকা আমাদের পাশে আছে।” সোমবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। তাতে বলেছেন, “আমরা ইউরোপ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি। একটি বিষয়ে সকলেই একমত, সকলেই শান্তি চায়। সেই কারণেই আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার। এটাই ইউরোপের অবস্থান। অবশ্যই আমরা আমেরিকাকেও গুরুত্ব দিই। ওদের কাছ থেকে আমরা অনেক সাহায্য পেয়েছি। তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। ইউক্রেনের প্রতিরোধ পুরোটাই তার বন্ধু দেশগুলির সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। যে সাহায্য তারা করছে ইউক্রেন এবং নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে। আমরা শান্তি চাই। বিরামহীন যুদ্ধ চাই না। নিরাপত্তার নিশ্চয়তা এই শান্তির চাবিকাঠি।”

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    রবিবার লন্ডনে আয়োজিত ইউরোপীয় রাষ্ট্রনেতাদের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টও। সেখানে তিনি জানান, ওয়াশিংটনের বৈঠকে যা ঘটেছে, তা থেকে আমেরিকা কিংবা ইউক্রেনের কোনও লাভ হবে না। লাভ হবে রাশিয়ার। এর পরেই জেলেনস্কি বলেন, “আমাকে যদি ডাকা হয়, আমি আবার আমেরিকায় যাব। খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে এখনও আমি প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কথাও শুনতে হবে।” ইউক্রেনের জমির মালিকানা নিয়ে তিনি যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনও (Zelenskyy) সমঝোতার পথে হাঁটবেন না, তাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

    হোয়াইট হাউসে বিতণ্ডা

    প্রসঙ্গত, খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্দেশ্যেই হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট। সেখানে ট্রাম্প ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠকে তিনজনের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। যার জেরে বাতিল হয়ে যায় চুক্তি। মিনিট চল্লিশের ওই বৈঠক শেষেই মধ্যাহ্নভোজ না করেই হোয়াইট হাউস থেকে বেরিয়ে যান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। আমেরিকা থেকে জেলেনস্কি সোজা চলে যান ব্রিটেনে। সেখানে তিনি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে। পরে লন্ডনে একটি সম্মেলনেও যোগ দেন তিনি। তার পরেই জানান, আমেরিকার সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি এখনও প্রস্তুত। জেলেনস্কি বলেন, “আমি শুধু চাই, ইউক্রেনের অবস্থার কথাটাও শোনা হোক। বিবেচনা করা হোক। আমাদের বন্ধু দেশগুলি মনে রাখুক, এই যুদ্ধে মূল আগ্রাসী কারা, কারাই বা আগে যুদ্ধ শুরু করেছিল।”

    সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর

    আমেরিকা-ইউক্রেন (Ukraine) সংঘাতের জল গড়িয়েছে অনেক দূর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের সঙ্গে তুলনা করে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ জেলেনস্কির আচরণকে ‘অত্যন্ত অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, চার্চিল “একটি বিশেষ মুহূর্তের নেতা ছিলেন, কিন্তু তিনি ইংল্যান্ডকে পরবর্তী পর্বে রূপান্তর করতে পারেননি। বিশেষ করে শুক্রবার যা দেখলাম, তার পরে এটা পরিষ্কার নয় যে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউক্রেনকে এই যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে নিয়ে যেতে এবং আলোচনা করে আপস করতে প্রস্তুত কিনা।” ওয়াল্টজ বলেন, “আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য ইউক্রেন থেকে আঞ্চলিক ছাড়ের পাশাপাশি নিরাপত্তা গ্যারান্টিতে রাশিয়ার ছাড় অন্তর্ভুক্ত থাকবে, তবে মস্কোকে কী করতে হবে সে সম্পর্কে তিনি কোনও বিস্তারিত তথ্য দেননি।”

    আমেরিকার হাউস স্পিকার মাইক জনসনও ওভাল অফিসের বিতর্কের পর জেলেনস্কি সম্পর্কে বলেন, “হয় তিনি যেন যুক্তিসঙ্গত হন এবং কৃতজ্ঞতা সহকারে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসেন, নতুবা দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অন্য কাউকে এগিয়ে আসতে হবে (Zelenskyy)।”

    এর পরে আর কীই বা করতে পারতেন ইউক্রেনের (Ukraine) প্রেসিডেন্ট!

  • Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    Ukraine Russia War: ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে চলেছেন পুতিন! কী বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ দাঁড়ি পড়তে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia War) অন্তত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্যে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সম্প্রতি পুতিন (Putin) বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় আপস করার জন্য উন্মুক্ত।

    কোনও পূর্বশর্ত নেই (Ukraine Russia War)

    তিনি বলেন, আলোচনার জন্য কোনও পূর্বশর্ত নেই। তবে যে কোনও চুক্তিতে অবশ্যই বৈধ ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া যে কোনও ব্যক্তির সঙ্গে, এমনকি প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করতে প্রস্তুত। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কয়েক বছর ধরে কথা বলেননি। তবে তিনি সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে প্রস্তুত। রাশিয়া দুর্বল জায়গায় রয়েছে, একথা মানতে রাজি নন পুতিন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর দেশটি আরও শক্তিশালী হয়েছে। এর পরেই পুতিন বলেন, রাশিয়া আলোচনার জন্য উন্মুক্ত। তিনি বলেন, কিভকেও আপসের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

    স্থায়ী শান্তি চুক্তি

    সাময়িক যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন পুতিন। তিনি স্থায়ী শান্তি চুক্তির পক্ষে (Ukraine Russia War) মত প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ইস্তানবুলের বৈঠকে বাস্তবায়িত না হওয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করেই ভবিষ্যতের আলোচনা হওয়া উচিত। তবে, এই খসড়া চুক্তিকে কিছু ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ আত্মসমর্পণ হিসেবেই বিবেচিনা করেছিলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: জঙ্গিদের হাতে অনায়াসে কি চলে যাচ্ছে পাসপোর্ট? বিরাট আশঙ্কা গোয়েন্দাদের

    যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত লক্ষ লক্ষ মানুষ। এসবের জেরে রাশিয়া ও পশ্চিমের দেশগুলোর সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পুতিন এই আক্রমণকে নেটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষামূলক অভিযান হিসেবে সমর্থন করেছেন। যদিও রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় পাঁচভাগের একভাগ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে। পুতিন জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে আলোচনা করতে প্রস্তুত। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি যদি অন্য রকম কিছু ভাবতাম, তাহলে ২০২২ সালের আগেই ইউক্রেনে সেনা পাঠানো উচিত ছিল। একইসঙ্গে পুতিন (Putin) স্বীকার করেন, যুদ্ধের (Ukraine Russia War) জন্য রাশিয়ার আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়া উচিত ছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • World War III: “অফিসিয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ”, দাবি ইউক্রেনের প্রাক্তন কমান্ডারের

    World War III: “অফিসিয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ”, দাবি ইউক্রেনের প্রাক্তন কমান্ডারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অফিসিয়ালি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War III)!” অন্তত এমনই দাবি ইউক্রেনের (Ukraine) প্রাক্তন কমান্ডার ভ্যালেরি জালুঝনির। তাঁর মতে, রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত হয়ে যাওয়াই এর প্রমাণ।

    সীমান্তের বেড়া ছাড়িয়ে গিয়েছে উত্তেজনা (World War III)

    তিনি বলেন, “বর্তমানে উত্তেজনা সীমান্তের বেড়া ছাড়িয়ে গিয়েছে। এতে উত্তর কোরিয়া, ইরান এবং চিনের মতো বৈশ্বিক খেলোয়াড়রা যুক্ত হয়েছে।” জালুঝনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে ২০২৪ সালে আমরা পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারি যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ (World War III) শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের অংশগ্রহণ, সাধারণ মানুষকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তু করার জন্য ব্যবহৃত ইরানি ড্রোন এবং সংঘাতে উত্তর কোরিয়া ও চিনের অস্ত্র সরবরাহের মতো বিষয়গুলো এই যুদ্ধের বৃহত্তর আন্তর্জাতিক পরিসরের স্পষ্ট ইঙ্গিত।” ইউক্রেনের প্রাক্তন এই সেনা আধিকারিক বলেন, “২০২৪ সালে, ইউক্রেন আর রাশিয়ার মুখোমুখি নয়। উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা এখন ইউক্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।” তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই ইরানের ‘শাহেদি’ ড্রোন প্রকাশ্যে ইউক্রেনে সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে। এদের কোনও লজ্জা নেই।”

    আরও পড়ুন: যোগীরাজ্যে ৬৫ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত আসনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী বিজেপির হিন্দু প্রার্থী

    বৈশ্বিক সংঘাত

    বৃহস্পতিবারই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ  একটি বৈশ্বিক সংঘাতের (World War III) দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।” আমেরিকা ও ব্রিটেনের কাছ থেকে পাওয়া অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের হামলার পরেই পশ্চিমি বিশ্বকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। বর্তমানে ইউক্রেনের দূত হিসেবে ব্রিটেনে দায়িত্ব পালন করছেন জালুঝনি। তাঁর দাবি, রাশিয়ার বন্ধু দেশগুলির যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ার কারণেই যুদ্ধের পরিধি বেড়ে গিয়েছে। জালুঝনি বলেন, “উত্তর কোরিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে।”

    ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ইরানি ড্রোন ও অন্যান্য উন্নত অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও খবর। উত্তর কোরিয়ার সেনার পাশাপাশি অস্ত্র পাঠিয়ে চিনও সংঘাতে সরাসরি যুক্ত হয়ে পড়েছে বলেও মনে করে জালুঝনি। তিনি বলেন, “ইউক্রেনের ভূখণ্ডে এখনই এই সংঘর্ষ বন্ধ করা সম্ভব। কিন্তু কিছু কারণে আমাদের অংশীদাররা এটি বুঝতে চায় না। এ থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, ইউক্রেনের (Ukraine) মধ্যেই অনেক শত্রু রয়েছে (World War III)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    Ukraine Russia War: এবার ব্রিটেনের থেকে পাওয়া ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ায় প্রয়োগ করল ইউক্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন মিসাইলের পর এবার রাশিয়ায় ব্রিটিশের তৈরি ‘স্টর্ম শ্যাডো’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগ করল ইউক্রেন (Ukraine Russia War)। জানা গিয়েছে, ব্রিটেনে তৈরি ওই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে রাশিয়ার গভীরে, সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে। ইউক্রেনের এহেন আঘাতের পরেই বিশ্বের আকাশে ঘন হয়েছে যুদ্ধের নিকষ কালো মেঘ।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)

    সম্প্রতি হাজার দিন পার করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়া মোতায়েন করেছে কোরিয়ান সৈন্য। ইউক্রেনের এই প্রতিক্রিয়াকে তারই পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে পশ্চিমি বিশ্ব। ইউক্রেন এই প্রথম ব্রিটেনের সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করল দেশের সীমান্তের বাইরে। এর আগে ব্রিটেন এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলির ব্যবহার ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ অভিযানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখেছিল। তবে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে মস্কোর আনকনভেনশনাল অ্যালাইজ এবং ট্যাকটিসের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে।

    ‘স্টর্ম শ্যাডো’র হানা

    জানা গিয়েছে (Ukraine Russia War), ব্রিটেনে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি আঘাত হানে রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে এবং কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর ইয়েস্কের ওপরে। এই দুটি বাদে অন্য স্টর্ম শ্যাডোগুলিকে আটকানো হয় বলে দাবি রাশিয়ার। প্রসঙ্গত, এই হামলার কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনকে আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (ATACMS) রুশ অবস্থান লক্ষ্য করে ব্যবহারের অনুমোদন দেন। এই সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন এই অস্ত্রগুলো ব্রিয়ানস্কে রাশিয়ার একটি অস্ত্রাগারে আক্রমণে ব্যবহৃত হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনে ঠাঁই একাধিক ভারতপন্থীর, কাঁপন ধরছে পাকিস্তানের বুকে!

    ওয়াশিংটন যদিও মস্কোর পারমাণবিক উত্তেজনা বাড়ানোর সতর্কতাকে শুধুমাত্র কথার কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছে, তবু রাশিয়ার পারমাণবিক নীতি উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে তামাম বিশ্বে। সংশোধিত এই নীতি অনুযায়ী, যে কোনও বৃহৎ এয়ার স্ট্রাইক বা রাশিয়ার সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে এমন আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমি সমর্থন সক্রিয়ভাবে চেয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, রাশিয়ার সরবরাহ কেন্দ্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে শান্তি ফেরাতে আগ্রহী ভারত।” রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়ে এই বার্তাই দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। মঙ্গলবারই ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়ার কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই পার্শ্ববৈঠকে যোগ দেন মোদি-পুতিন।

    সমস্যা মেটাতে প্রস্তুত ভারত

    বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে ভারত যে দায়বদ্ধ, তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের স্থায়ী উত্তর যে শান্তিপূর্ণ সমাধান, তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের বিষয়ে আমি নিরন্তর খোঁজখবর নিয়ে চলেছি। শান্তিপূর্ণ উপায়েই যে সমস্যার সমাধান করা উচিত, আমি তা আগেও বলেছি। আগে যে দুই দেশের মধ্যে শান্তি এবং স্থায়িত্ব ছিল, আমরা তাকে সমর্থন করি। আমরা মানবতাকে সব সময় প্রায়োরিটি দিই। সময় এলে সমস্যার সমাধানে ভারত সম্ভাব্য সমস্ত রকম সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “গত তিন মাসে আমি দু’বার রাশিয়া সফরে এলাম। এটা প্রমাণ করে আমাদের গভীর বন্ধুত্ব এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা। জুলাই মাসে আমাদের যে অ্যানুয়াল সামিট হয়েছিল, তাতে প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতার বন্ধন নিবিড় হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১৫ বছরের মধ্যে ব্রিকস একটা স্পেশাল আইডেনটিটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। তাই বিশ্বের অনেক দেশই এর সদস্য হতে উন্মুখ হয়ে রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: কৃষ্ণ ভজন গেয়ে রাশিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানালেন রুশরা

    দু’দিনের ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবারই রাশিয়ার ৯০০ কিলোমিটার দূরের শহর কাজানে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১৬তম ব্রিকস সম্মেলনে আয়োজক দেশ এবার রাশিয়া। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলি হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বছরই ব্রিকসে যোগ (Putin) দিয়েছে মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমির শাহি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে নরেন্দ্র মোদির শান্তি-প্রস্তাবে লুকিয়ে রয়েছে ঠিক কোন রফাসূত্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা দু’বছর ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)। এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চাইছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কি। মস্কোর সঙ্গে শান্তিচুক্তিও স্বাক্ষর করতে চাইছেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এজন্য ভারতের (PM Modi) ওপরই ভরসা করছেন বলে খবর। জানা গিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে একটি শান্তি-প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ইউক্রেনকে।

    মোদির রফাসূত্র (PM Modi)

    সম্প্রতি তিন দিনের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই জেলেনস্কির সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করেন মোদি। রাশিয়ার সঙ্গে চলা যুদ্ধে কীভাবে দাঁড়ি টানা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী পরিষ্কার করে দিয়েছেন, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করতে গিয়ে ইউক্রেনকে যদি কিছু আপোস করতে হয়, তবে তার বিনিময়ে রাশিয়াকে কোনও ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার শর্ত দেওয়া হবে না। এর অর্থ হল, এখনও পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করে নিয়েছে, তা ছেড়ে দিতে হবে। তবে ইউক্রেনকে ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তার ঝোঁকের ভারসাম্য বজায় রাখতে হতে পারে। ইউরোপিয় ইউনিয়নের সদস্যপদ নেওয়াও আপাতত স্থগিত রাখতে হবে।

    ভারত-চিনের দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গও

    ওই আলোচনায় এসেছে ভারত-চিনের দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গও। লাদাখে চিনের সঙ্গে ভারতের (PM Modi) সংঘর্ষের প্রসঙ্গও উঠেছে। গত কয়েক দশক ধরে চিনা ফৌজের লাগাতার আক্রমণের জেরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভূখণ্ড হারিয়েছে ভারত। তার পরেও ভারত চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ায়নি। বরং আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছে। বড় কোনও আঞ্চলিক ছাড় দিতেও অস্বীকার করেছে ভারত। তাওয়াং এবং অরুণাচল প্রদেশের একটা অংশের ওপর বেজিং যে দাবি করেছিল, সেই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত।

    আরও পড়ুন: “ভারত অপ্রতিরোধ্য”, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ১০ বছর পূর্তিতে সাফল্যের খতিয়ান পেশ মোদির

    পলিটিকোর রিপোর্টে বলা হয়েছে, কিভের (ইউক্রেনের রাজধানী) চোখে মোদি অনেক কম সময়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে ফেলেছেন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ক্রমশ ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে আদর্শ মধ্যস্থতাকারীই হিসেবে দেখছে। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে ইউক্রেনের। বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে রাশিয়ারও। পশ্চিমে ইউক্রেনের যেসব বন্ধু দেশ রয়েছে, তাদের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক নরেন্দ্র মোদির ভারতের। সেই কারণেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ভারতের (PM Modi) ওপর ক্রমেই নির্ভর করতে শুরু করেছে জেলেনস্কির দেশ (Ukraine Russia War)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    Ukraine Russia War: ভারতের বাধায় পরমাণু হামলা করেননি পুতিন, মানল আমেরিকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত এবং চিন বাধা না দিলে হয়ত এতদিনে ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War) শেষ করার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতেন। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বর্ষপূর্তি হয়েছে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের। এখনও যুদ্ধের বিরাম নেই। এমতাবস্থায় ইউক্রেনে ফের পরমাণু অস্ত্র হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করলেন জো বাইডেন সরকারের বিদেশ সচিব। জি ২০- সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী সপ্তাহে ভারতে আসছেন মার্কিন বিদেশ সচিব। তার আগে তাঁর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, বিশ্বে শান্তি ফেরাতে ভারতের গুরুত্ব কতটা।

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia War)…

    ব্লিঙ্কেন বলেন, রাশিয়ার মতো দেশের ওপর চিনের মতো দেশের প্রভাব সামান্যই। কিন্তু ভারতের মতো দেশ তাঁকে (পুতিনকে) শান্তি ফেরাতে অনুরোধ করেছে। সে বার্তা সে দেশের রাষ্ট্র প্রধানের কানে পৌঁছেও দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এর কিছু প্রভাব পড়েছে।

    মার্কিন বিদেশ সচিব বলেন, দশকের পর দশক ধরে ভারত রাশিয়ার (Ukraine Russia War) ওপর নির্ভর করত। রাশিয়া ভারতকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করত। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে ভারত আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করছে। রাশিয়া ছাড়াও তারা আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, এদের মধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: কৃষকদের জন্য সুখবর! কিষাণ যোজনার টাকা দিল মোদি সরকার

    রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের এই আবহে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ার কারণ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একটি বক্তব্য। চলতি সপ্তাহেই তিনি বলেছিলেন, রোসাতম ও তাঁর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর এটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন যে আমাদের দেশ প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করবে।

    গত বছর কাজাখাস্তানের সমরখণ্দে মুখোমুখি হয়েছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই মোদি পুতিনকে পইপই করে বুঝিয়েছিলেন, এটা যুদ্ধের (Ukraine Russia War) যুগ নয়। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তার পরেও হয়ত রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধে ইতি পড়েনি, তবে মোদির ওই বার্তায় যে বিশ্বশান্তির বার্তা স্পষ্ট, তা মেনে নিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। জো বাইডেন প্রশাসনও আগে একবার স্বীকার করেছে একথা। ফের একবার ভারতের ‘প্রভাব’ মনে করিয়ে দিলেন বাইডেন প্রশাসনেরই বিদেশমন্ত্রী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     
     

     

  • G 20 Summit: পুতিনকে দেওয়া মোদির বার্তাই হয়ে উঠল জি ২০-র মূল সুর!

    G 20 Summit: পুতিনকে দেওয়া মোদির বার্তাই হয়ে উঠল জি ২০-র মূল সুর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘এই যুগ যুদ্ধের নয়’। এই শব্দবন্ধ যিনি উচ্চারণ করেছিলেন, তিনি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ইন্দোনেশিয়ার  বালিতে জি ২০ সম্মেলনে (G 20 Summit) ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তাই হয়ে উঠল যৌথ ঘোষণার বিষয়। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের (Ukraine Russia war) প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধ থেকে নিরস্ত করতে ওই বার্তা দিয়েছিলেন মোদি।

    জি ২০ সম্মেলন

    বালিতে হচ্ছে জি ২০ সম্মেলন (G 20 Summit)। উপস্থিত রয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রঁও। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অবশ্য হাজির হতে পারেননি এই সম্মেলনে। উপস্থিত হয়েছেন তাঁর দেশের প্রতিনিধি। দুদিনের সম্মেলন শেষে বুধবার করা হয় যৌথ ঘোষণা। সেখানেই শোনা যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কথার প্রতিধ্বনি।

    চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে কাজাখাস্তানের সমরখন্দে বসেছিল সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলন। ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মোদি। ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও। সম্মেলনের ফাঁকে পার্শ্ব বৈঠকে কথা হয় মোদি-পুতিনের। সেখানেই ওঠে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গও। তখনই, মোদি পুতিনকে বলেন, এই যুগ যুদ্ধের নয়।

    আরও পড়ুন: পদ্মের অপমান মানে হিন্দু সংস্কৃতির অসম্মান! জি-২০ লোগো বিতর্কে বিজেপি

    জি ২০ সম্মেলনের (G 20 Summit) যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন ও বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা যেগুলি শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখে, সেগুলি মেনে চলা প্রয়োজন। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার কিংবা তা ব্যবহারের ভয় দেখানো কোনওটাই গ্রহণযোগ্য নয়। শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আলাপ-আলোচনা, কূটনৈতিক আলাপ-আলোচনাও জরুরি। তার পরেই বলা হয়েছে, এই যুগ কোনওভাবেই যুদ্ধের নয়।

    ভারতের বিদেশ সচিব বিনয় কাত্রা বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা এই যুগ যুদ্ধের নয় উপস্থিত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের মনে অনুরণন তুলেছে। এটা বিভিন্ন দেশের মধ্যে দূরত্ব কমাতে অনেকটাই সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, এই যে ডকুমেন্ট তৈরি হয়েছে, তাতে মূল চালিকা শক্তির ভূমিকা পালন করেছে ভারত। প্রসঙ্গত, আগামী বছর ভারতে হবে জি ২০ সম্মেলন। বুধবার ভারতের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হল সেই ভার। ঘোষণা করা হল পরবর্তী জি ২০ সম্মেলনের থিম। নয়া থিম হল, ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন মোদিই! রাষ্ট্রসংঘে কী বলল মেক্সিকো?

    PM Modi: রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি ফেরাতে পারেন মোদিই! রাষ্ট্রসংঘে কী বলল মেক্সিকো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন (Ukraine-Russia war) যুদ্ধ থামাতে সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে ভারত। একমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই (Modi) এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। অভিমত মেক্সিকোর (Mexico) বিদেশমন্ত্রী মার্সেলো লুইস এব্রান্ড ক্যাসাউবনের (Marcelo Luis Ebrard Casaubón)। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (UNSC) একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্সেলো। তাঁর প্রস্তাব মতো এই কমিটির দায়িত্ব হবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে স্থায়ী শান্তিস্থাপন করা। কমিটিতে মোদি ছাড়া আরও দু’জনের নাম করেছেন মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রী। তাঁরা হলেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis) এবং রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল অ্যান্টনিও গুতেরেস।

    আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে অক্টোবরে ব্রিটেন যাচ্ছেন মোদি?

    কয়েকদিন আগে, উজবেকিস্তানের সমরকন্দে (Samarkand) সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে বলেছিলেন,”এ যুগ যুদ্ধের নয়। এই সময়টা শান্তির। শান্তির পথে সবকিছুর সমাধান করতে হবে।” মোদির এই উক্তিকে স্বাগত জানিয়েছিল আমেরিকা-ইউরোপ। পুতিনকে এরকম সরাসরি যুদ্ধের কথা বলতে পারেন একমাত্র মোদি। এমনই ধারণা মেক্সিকোর। 

    আরও পড়ুন : ‘‘ঠিক কথাই তো বলেছেন…’’, ফ্রান্সের পর এবার মোদি-স্তুতি ব্রিটেন, আমেরিকার মুখেও

    গত সাত মাস ধরে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেন প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। রাশিয়াও ক্ষতিগ্রস্ত। সবাই যুদ্ধের বিরোধিতা করে রাশিয়ার সমালোচনা করলেও কেউ শান্তিপূর্ণভাবে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলেননি। যা করেছে ভারত। তাই পুতিনকে বোঝাতে পারেন একমাত্র মোদি, এমনটাই অনুমান মেক্সিকোর বিদেশমন্ত্রীর। তিনি বলেন, ‘‘এ বার শান্তির লক্ষ্যে জোরদার পদক্ষেপ করা উচিত আন্তর্জাতিক সংগঠনের। সেই প্রসঙ্গেই মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ় ওবরাডরের হয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করছি। শান্তি প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করতে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করুন গুতেরেস। এতে রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতিতে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া যাবে। আমাদের প্রস্তাব, এই কমিটিতে নরেন্দ্র মোদি ও পোপ ফ্রান্সিসও উপস্থিত থাকুন।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Ukraine: জমি হারাচ্ছে রুশ সেনা? অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, দাবি ইউক্রেনের

    Ukraine: জমি হারাচ্ছে রুশ সেনা? অনেক এলাকা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে, দাবি ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় সাত মাস অতিক্রান্ত। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ (Ukraine war) যে এত দীর্ঘায়িত হবে তা স্পপ্নেও কেউ ভাবতে পারেননি। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করেছিলেন, একপেশেভাবে রুশ সেনা ইউক্রেন (Ukraine) দখল করে নেবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেন সেনাবাহিনী যেভাবে রাশিয়ার (Russia) বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে যুদ্ধ করে যাচ্ছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হবে।

    প্রথমদিকে, রুশ সেনা যুদ্ধক্ষেত্রে এগিয়ে থাকলেও বর্তমানে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর আক্রমণের তীব্রতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রুশ সেনা পিছু হঠতে শুরু করেছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২৯ অগাস্ট থেকে ইউক্রেনে এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার রুশ সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন। সারা বিশ্ব এখন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সেনাবাহিনীর সাহসিকতার প্রশংসা করছে এবং শক্তিধর দেশগুলো ইউক্রেনকে আর্থিক থেকে শুরু করে সামরিক, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক দিক থেকে সাহায্য করছে।

    ইউক্রেনীয় সেনা রাশিয়ার কাছে হারানো এলাকাগুলোকে পুনরুদ্ধার করতে শুরু করেছে। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, উত্তর খারকিভ অঞ্চল সহ বেশ কিছু জায়গায় ইউক্রেনীয় সেনা দ্রুত অগ্রসর হওয়ার ফলে সেখান থেকে নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে মস্কো বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন সেনার পাল্টা আক্রমণের ফলে পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলগুলি থেকে মস্কোর নিয়ন্ত্রণ আলগা হচ্ছে। এই জায়গাগুলিতে রাশিয়া নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখার প্রচেষ্টায় প্রতিদিন কমপক্ষে একটি ব্যাটালিয়ন জওয়ান ও সামরিক যানের অতিরিক্ত খরচ করছে।

    আরও পড়ুন: ১৮ লক্ষ বছর পুরনো ‘মানুষের দাঁত’ আবিষ্কার জর্জিয়ায়! কী বলছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা?

    ফলে প্রায় প্রতিদিনই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে পুতিনের দেশকে। প্রতিদিন নিহত হচ্ছেন শত শত সেনা জওয়ান। ধ্বংস হচ্ছে ডজন খানেক যানবাহনের। মার্কিন গোয়েন্দাদের মতে, রাশিয়ার একটি ব্যাটালিয়ন সেনা পূর্ব ইউক্রেনে নদী অতিক্রম করার সময় ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর আক্রমণে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। তাই রুশ সেনা পুনরায় পূর্ব ইউক্রেনে তাদের অভিযান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে চাপে রয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কিয়েভ বাহিনীর পাল্টা আক্রমণ শুরু করার আগে ইউক্রেনে রুশ সেনা মাত্র ১০০ জনের মতো ইউক্রেনীয় জওয়ানকে আটক করেছিল।

    ইউক্রেন সেনার এক উচ্চ আধিকারিক জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তারা প্রায় ১২০০ রুশ যুদ্ধট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি, হেলিকপ্টার, যুদ্ধবিমান ও ড্রোনকে ধ্বংস বা বাজেয়াপ্ত করেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, ২৯ অগাস্ট পর্যন্ত প্রায় ৫,৮০০ রুশ সৈন্যকে তারা হত্যা করেছে এবং সেপ্টেম্বর মাস থেকেই তারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল থেকে রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমন শুরু করেছে।

    ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের (Ukraine Russia war) কিছু ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা প্রায় ৪০০টির মতো ভিডিও যাচাই করে বৈধ ঘোষণা করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী বিধ্বস্ত। যদিও এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাশিয়া জানিয়েছে যে তারা নিশ্চিত যে তাদের সামরিক উদ্দেশ্যগুলি সফল হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

LinkedIn
Share