Tag: Ukraine war

Ukraine war

  • Russia Stops Gas: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া, “ব্ল্যাকমেল” বলে কটাক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের

    Russia Stops Gas: পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া, “ব্ল্যাকমেল” বলে কটাক্ষ ইউরোপীয় ইউনিয়নের

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: হুঁশিয়ারি ছিলই। এবার সেই মতো দুই ন্যাটোভুক্ত দেশ পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করল রাশিয়া। এর ফলে, বড় সমস্যায় এই ইউরোপের এই দুই দেশ।

    ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়াকে কার্যত একঘরে করে ফেলার চেষ্টা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়ার ওপর জারি হয় একাধিক নিষেধাজ্ঞা। সুইফ্ট ব্যাঙ্কিং পরিষেবা থেকে সাসপেন্ড করা হয় রুশ ব্যাঙ্কগুলিকে। ফলে, আর্থিক লেনদেন জোর ধাক্কা খায় মস্কো। সেই সময় রাশিয়া জানিয়ে দেয়, তাদের থেকে পণ্য় কিনতে গেলে, অর্থ জোগাতে হবে রুবলে। 

    প্রসঙ্গত, রাশিয়ার আয়ের অন্যতম মূল উৎস হল জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী দেশ হল রাশিয়া। ফি বছর ইউরোপ যত পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে, তাঁর সিংহভাগ আসে রাশিয়া থেকেই। বিভিন্ন পাইপলাইনের মাধ্য়মে সেই গ্যাস সরবরাহ করে থাকে মস্কো। বলা ভাল, ইউরোপের একাধিক দেশ মূলত রাশিয়ার যোগান দেওয়া গ্যাসের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল। মোট ২৩টি ইউরোপীয় দেশে গ্যাস সরবরাহ করে থাকে রাশিয়া। 

    এবার, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাঁধার ফলে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে একাধিক ব্যবস্থাগ্রহণ করে ইউরোপ তথা ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি। কোনও কোনও দেশ তো ইউক্রেনকে অর্থ থেকে শুরু করে বিভিন্ন অস্ত্র সররবাহ শুরু করে। রাশিয়া আগেই জানিয়ে রেখেছিল, ইউক্রেনের পাশে যারা দাঁড়াবে, তাদের মাশুল দিতে হবে। কিন্তু, তাতে কেউ কর্ণপাত না করায়, এবার পাল্টা ব্যবস্থা নেয় মস্কো। 

    গত মার্চ মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, তাদের থেকে গ্যাস সহ যে কোনও পণ্য কিনতে গেলে এখন থেকে রুবলে পেমেন্ট করতে হবে। পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া সেই শর্তে মানতে রাজি হয়নি। এরপরই, এই দুই দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় মস্কো। এতে বিপাকে পড়েছে এই দুই পোল্য়ান্ড ও বুলগেরিয়া। 

    রাশিয়ার এই গ্যাস বন্ধ করার সিদ্ধান্তকে “ব্ল্যাকমেল” বলে উল্লেখ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা জানিয়েছে, জ্বালানির বিষয়টি সামনে এনে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার এই ঘোষণাকে অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য বলে কটাক্ষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঐকবদ্ধভাবে এর জবাব দেওয়া হবে। 

    কিন্তু, তাতে দমে না গিয়ে মস্কো আরও হুঁশিয়ারি দেয়, রুবলে দাম না মেটালে অন্য দেশের পরিণতিও হবে পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ার মতো।  রাশিয়ার হুমকি, প্রয়োজনে গোটা ইউরোপে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলি। জরুরি বৈঠকে বসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি। ইতিমধ্য়েই, ইউরোপের অপর ৪টি দেশ ইতিমধ্য়েই রুশ দাবি অনুযায়ী, রুবলে দাম মিটেয়েছে। রুবলে দাম মেটানোর জন্য গ্যাজপ্রমব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য হয়েছে ইউরোপের অন্তত ১০টি দেশ।

  • Russian Oil Import: ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা! 

    Russian Oil Import: ভারতকে না কেনার হুঁশিয়ারি দিয়ে যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়া থেকে বেশি তেল কিনেছে আমেরিকা! 

    মাধ্য়ম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine Russia war) শুরু হওয়ার পর ভারত (India) সহ বিভিন্ন দেশকে মস্কো (Moscow) থেকে অশোধিত তেল (Crude Oil) কিনতে নিষেধ করছে যে আমেরিকা (USA), সেই তারাই এই একই সময়ে রাশিয়া থেকে ভারতের চেয়ে বেশি তেল কিনেছে। এমনই পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে আসার পর আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। 

    রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে যখন আমেরিকা সহ গোটা ইউরোপের (EU) দেশগুলি রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করে, সেই মুহূর্তে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা নিয়ে প্রথম থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় আমেরিকাকে। 

    রাশিয়া থেকে সস্তায় তেল কেনা নিয়ে ভারতের সমালোচনা করতে বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ। রাশিয়া থেকে তেল কিনলে তার ফল ভুগতে হবে বলেও ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এমনকি নিজেদের প্রতিনিধি পাঠিয়েও এই কাজ করা থেকে বিরত থাকতে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। 

    যদিও, ভারত সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কাউকে তুষ্ট করতে বসে নেই, ভারত শুধু নিজের স্বার্থ দেখবে। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এদিন বলেন, “এবার থেকে আমরা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ দেখব। বিশ্বকে তুষ্ট করার কোনরকম চেষ্টা আমাদের দ্বারা হবে না।”

    আমেরিকার বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়শঙ্কর। তারপরই বিদেশমন্ত্রী জানান, “ভারত এক মাসে রাশিয়ার থেকে যে পরিমাণ তেল আমদানি করে, ইউরোপের দেশগুলো একটা দুপুরে তার থেকেও বেশি পরিমাণ তেল কেনে তাদের থেকে। আর রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিসংখ্যান যদি দেখা যায়, তাহলে আমি আমেরিকাকে ইউরোপের দেশগুলোর দিকেই নজর দিতে বলব।”

    [tw]


    [/tw]

    জয়শঙ্করের বক্তব্য যে কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে হাতেনাতে। সম্প্রতি, সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (CREA) একটি পরিসংখ্যান পেশ করে। সেখানে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়া থেকে কোন দেশ কত জ্বালানি আমদানি করেছে, তার একটা তালিকা দেওয়া হয়। 

    সেখানে দেখা যাচ্ছে, সকলের ওপরে রয়েছে জার্মানি। ভারতের অবস্থান তালিকার প্রায় শেষে। এমনকী, যে আমেরিকা ভারতকে এতদিন উপদেশ দিয়ে এসেছে রাশিয়া থেকে তেল না কেনার জন্য, তাদের অবস্থান ভারতের ওপরে। অর্থাৎ, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ভারতের তুলনায় রাশিয়া থেকে বেশি পরিমাণ তেল আমদানি করেছে বাইডেন প্রশাসন!

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়া ইস্তক মোট ৬৩ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের খনিজ ও প্রাকৃতিক জ্বালানি রফতানি করেছে মস্কো। এর মধ্য়ে রয়েছে অশোধিত তেল, তেলজাত পণ্য, পাইপলাইন প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা ইত্যাদি। পরিসংখ্যান বলছে, ৭১ শতাংশ (প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ইউরো) কিনেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলি। তার মধ্য়ে, সবেচেয়ে বেশি কিনেছে জার্মানি। এছাড়া বড় ক্রেতাদের মধ্য়ে রয়েছে ইতালি, নেদারল্যান্ডস, তুরস্ক, ফ্রান্স। 

    এই পরিসংখ্য়ানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দ্বিচারিতা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোটা বিশ্বকে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনতে নিষেধ করেও নিজেরা রুশ তেল কেনা এক দিনের জন্য বন্ধ তো করেইনি বরং সম্প্রতি তা লাফিয়ে বেড়ে গিয়েছে। 

     

LinkedIn
Share