Tag: ukraine

ukraine

  • Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    Russia-Ukraine War: ক্রিমিয়ার সেতু রাশিয়ার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? এর পিছনের আসল ঘটনা জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় আট মাস ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) নিয়ে দুই দেশেরই কোনও না কোনও সময়ে নানা সংকট ঘনিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে গতকাল ঘটে গেল সেতু ধ্বংসের মতো ঘটনাও (Russia-Crimea Bridge Blast)। ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের একমাত্র সেতু ছিল এটি। আর সেই সেতুতেই ট্রাক বোমা বিস্ফোরণ ঘটার ফলে সেতুর একাধিক অংশ ধসে পড়ে। যার ফলে ফের একবার রাশিয়াকে বিপদের মুখে পড়তে হল। রাশিয়ার জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতুটিতে ভয়াবহ এই বিস্ফোরণকে রাশিয়ার জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।

    ক্রিমিয়া এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র উপায় ১৯ কিলোমিটার লম্বা কের্চ সেতু (Kerch Bridge)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে রুশ বাহিনীর কাছে রসদ, অস্ত্র, জ্বালানি পৌঁছে দেওয়ার একমাত্র পথ ছিল কের্চ সেতু। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে সেই ব্রিজে এই ভয়াবহ বিস্ফোরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাশিয়ার যুদ্ধে এই আঘাতের ফলে অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ও কে বা কারা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে তা জানতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন রুশ গোয়েন্দারা।

    গতকালের ভয়াবহ বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই রাশিয়া প্রশাসন নড়েচড়ে বসছে। যুদ্ধের আবহে এই বিস্ফোরণকে (Russia-Crimea Bridge Blast) অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বলেই দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার সন্দেহের তির ইউক্রেনের দিকেই রয়েছে বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬ টা নাগাদ রাশিয়ান ডুবুরিদের কের্চ ব্রিজ পরিদর্শন করতে পাঠানো হয়েছে। রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী মারাত খুসনুলিন সেতুর ধ্বংসপ্রাপ্ত অংশকে অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ফলে এই সেতু ফের যাতায়াতের জন্য উপযুক্ত করার জন্য যা যা করণীয়, তার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে রাশিয়ার তরফে।

    অন্যদিকে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানা গিয়েছে, এই বিস্ফোরণের (Russia-Crimea Bridge Blast) পিছনে ইউক্রেন রয়েছে বলে দাবি করলে, পুতিন তথা রাশিয়ার প্রশাসনের তরফে ইউক্রেনের উপর তার আক্রমণ বাড়ানোর ও প্রতিশোধ নেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও মনে করা হয়েছে, এবার যুদ্ধের আবহে রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়াও ছিনিয়ে নিতে চাইছে ইউক্রেনীয় সেনা (Russia-Ukraine War)। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলকে নিজেদের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। পরে গণভোটের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটিকে রাশিয়ার অঙ্গীভূতও করা হয়। এরপর যোগাযোগের জন্য সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। ২০১৮ সালে দুই লেনের এই সেতু উদ্বোধন করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন।

    তবে জানেন কি, একসময় ক্রিমিয়া (Crimea) রাশিয়ার (Russia) দখলে ছিল। যদিও এটি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রজাতন্ত্র ছিল। কিন্তু প্রায় ৬০ বছর আগে রাশিয়া ক্রিমিয়াকে ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করে দেয়। ১৯৫৪ সালে ইউএসএসআর সুপ্রিম সোভিয়েতের প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান ক্লিমেন্ট ভোরোশিলভ এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেসময় ইউক্রেন-রাশিয়া ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতে একজোট হয়েছিলেন ও বাইরের শত্রুদের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। রাশিয়ার শত্রুদের থেকে ক্রিমিয়াকে রক্ষা করতেই ইউক্রেনের কাছে এই উপদ্বীপকে হস্তান্তর করা হয়। যদিও মনে করা হয়, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার জন্যই ক্লিমেন্টের এই পদক্ষেপ। কিন্তু পরে ফের রাশিয়া ক্রিমিয়া দখলে নিলে রাশিয়া-ইউক্রেনের (Russia-Ukraine War) মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয় এবং এখনও তা অব্যাহত।

  • PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    PM Modi: ইউক্রেনে পরমাণু বোমা ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পুতিন, নিরস্ত করেছিলেন মোদি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপের প্রস্তুতি নিচ্ছিল রাশিয়া। সেটা ২০২২ সাল। সে বছরই ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে যুদ্ধ শুরু হয় প্রতিবেশী এই দুই দেশের মধ্যে। মস্কো ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ওই আঘাত হানতে চেয়েছিল। তবে, সময়মতো হস্তক্ষেপ করে, একটা বড় বিপর্যয় রুখে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এমনটাই দাবি করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। 

    মোদির (PM Modi) উদ্যোগের প্রশংসা

    রাশিয়া যদি ওই পারমাণবিক আঘাত হানত, তাহলে সেটা হত জাপানের হিরোশিমা ও নাগাশাকিতে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ-উত্তর প্রথম পারমাণবিক হামলার ঘটনা। প্রায় আশি বছর আগে জাপানের ওই দুই শহরে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিল আমেরিকা। সিএনএন-এর রিপোর্টেই এই তথ্য মিলেছে। তবে ইউক্রেনে রাশিয়াকে পরমাণু বোমা নিক্ষেপ করতে নিরস্ত করেছিলেন যিনি, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আরও কয়েকটি দেশও রাশিয়াকে নিষেধ করেছিল ইউক্রেনে পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করতে।

    শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন মোদি (PM Modi)

    ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ সমর্থন করেনি ভারত। তাই এসসিও সামিটে উজবেকিস্তানে গিয়ে যখন পুতিনের সঙ্গে পার্শ্ব বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তখনই তিনি পুতিনকে শুনিয়েছিলেন শান্তির ললিত বাণী। বলেছিলেন, এটা যুদ্ধের যুগ নয়, বন্ধু। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সেই বার্তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছিল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হতেই মস্কো যে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে, সে ব্যাপারে উদ্বেগে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনও। সিএনএন-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে আঁচ করেই ভারত (PM Modi) সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাহায্য চায় বাইডেন প্রশাসন।

    আরও পড়ুুন: হরিয়ানার নয়া মুখ্যমন্ত্রী সাইনি, ভোটের আগেই বিরোধীদের মাত দিল পদ্ম

    এই দেশগুলি যাতে পুতিনকে বোঝায়, তিনি যেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত না নেন। প্রবীণ এক প্রশাসনিক কর্তা বলেন, “আমরা ওই দেশগুলিকে কেবল বার্তা পাঠিয়েই ক্ষান্ত হইনি, আমরা তাদের কাছে জোরালো অনুরোধও করেছিলাম। তারা যাতে অন্য দেশগুলিকেও একই অনুরোধ করে, তাও বলেছিলাম।” সিএনএনের প্রবীণ কর্তারা স্বীকার করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও অন্যান্য কয়েকজন এই সঙ্কট (ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ) কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন। মার্কিন প্রশাসনের ওই বর্ষীয়ান আধিকারিক বলেন, “আমরা বিশ্বাস করেছিলাম, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর উদ্বেগ বুঝতে পারবে রাশিয়া।” রিপোর্টে বলা হয়েছে, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এ বিষয়ে কথা বলেন পুতিনের সঙ্গে। অন্যান্য বহু দেশের সঙ্গে ভারতও সচেষ্ট হয়ে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সম্ভাব্য পরমাণু অস্ত্র হামলা রুখে দেয়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukraine War: দিল্লির দাবিকে মান্যতা দিয়ে রুশ বাহিনী থেকে ছেড়ে দেওয়া হল ভারতীয়দের

    Russia Ukraine War: দিল্লির দাবিকে মান্যতা দিয়ে রুশ বাহিনী থেকে ছেড়ে দেওয়া হল ভারতীয়দের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটা অঙ্কের টাকার চাকরি দেওয়ার অছিলায় লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Russia Ukraine War)। যুযুধান এই দুই দেশের সীমান্তে রুশ বাহিনীর সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভারতীয়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে নয়াদিল্লি।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

    ভারতীয়দের অনুরোধ করা হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়তে। একই সঙ্গে ইতিমধ্যেই যেসব ভারতীয় রুশ বাহিনীতে সহায়কের কাজ করছিলেন, তাঁদেরও মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। বন্ধু দেশ ভারতের দাবি মেনেই পদক্ষেপ করা হয়েছে রাশিয়ার তরফে। সোমবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (Russia Ukraine War) এও জানিয়েছে, রুশ সেনাবাহিনী থেকে ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত মুক্তির বিষয় নিয়ে আলোচনাকেই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

    রুশ বাহিনীতে নিয়োগ 

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে দু বছরেরও বেশি সময় ধরে। সেই কারণে রাশিয়ার তরফে বাহিনীতে নিয়োগ করা হচ্ছে বিদেশি নাগরিকদের। ইতিমধ্যেই রুশ সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করা হয়েছে অন্তত ২০০ নেপালিকে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, যেসব নেপালি যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে নিহত হয়েছেন ১০ জন। নিখোঁজ শতাধিক। এসব খবর সামনে আসতেই নড়চড়ে বসে ভারত।

    আরও পড়ুুন: দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন, গুচ্ছ নির্দেশিকা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    জানা গিয়েছে, রাশিয়া সেনার নিরাপত্তা বিষয়ক সহায়ক হিসেবে বেশ কয়েকজন ভারতীয় নিয়োগ করা হয়েছিল। অভিযোগ, ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছিল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, রুশ সেনার সঙ্গে থাকা ভারতীয়রা মুক্তির জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছে। এ সংক্রান্ত কিছু ভুল রিপোর্ট সংবাদ মাধ্যমে দেখেছি। বিদেশ মন্ত্রক জানায়, প্রতিটি বিষয় মস্কোয় ভারতীয় দূতাবাসের নজরে আনা হয়েছে। রাশিয়ার প্রশাসনের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রকের নজরে আসা বিষয়গুলি নিয়েও দিল্লিতে অবস্থিত রুশ দূতাবাসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মন্ত্রকের কথায়, ফল স্বরূপ বেশ কয়েকজন ভারতীয়কে ইতিমধ্যেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে নয়াদিল্লি। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সকল ভারতীয়কে সতর্ক হতে ও এই সংঘাত থেকে দূরে থাকতে অনুরোধ করব (Russia Ukraine War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukraine War: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না’, ভারতীয়দের সতর্ক করল নয়াদিল্লি

    Russia Ukraine War: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না’, ভারতীয়দের সতর্ক করল নয়াদিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বেন না।’ ভারতীয়দের এই মর্মেই সতর্ক করে দিল নয়াদিল্লি। সম্প্রতি ভারত সরকার জানতে পেরেছে, মোটা অঙ্কের বেতনের লোভ দেখিয়ে ভারতীয়দের লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে যুদ্ধের কাজে (Russia Ukraine War)। সেই কারণেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ভারতীয়দের।

    বিবৃতি জারি বিদেশ মন্ত্রকের

    শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অল্প কিছু ভারতীয় রুশ সেনায় যোগ দিয়েছেন। তাঁদের যাতে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হয়, সে ব্যাপারে মস্কোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কোয় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “আমরা সকল ভারতীয় নাগরিককে বলছি, তাঁরা যেন দ্বন্দ্ব (রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ) থেকে দূরে থাকেন।” সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে ক্রমেই জড়িয়ে পড়ছেন ভারতীয়রা।

    সীমান্তে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে বহু ভারতীয়

    জানা গিয়েছে, রাশিয়ান সৈন্যদের সিকিউরিটি হেল্পার হিসেবে নিযুক্ত হতে চুক্তিতে সই করছেন বহু ভারতীয়। পরে তাঁদের জোর করা হচ্ছে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে। রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ান সৈন্যদের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু ভারতীয়ও। মারিউপোল, খারকিভ এবং রোস্তভ অন ডভ সীমান্তে এ ছবি দেখা যাচ্ছে আকছার। রাশিয়ার (Russia Ukraine War) হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে কয়েকজন ভারতীয় নিহতও হয়েছেন বলে খবর। রাশিয়ান সেনা দলে যেসব ভারতীয় সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ছেড়ে দিতেও রাশিয়াকে অনুরোধ করেছে ভারত সরকার।

    আরও পড়ুুন: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ অধরা, রাষ্ট্রসংঘকে দেওয়া অনুদান অর্ধেক করল ভারত

    জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে প্রায় ২০০ নেপালিকে সেনা বাহিনীতে নিয়োগ করেছে রুশ সরকার। গত ডিসেম্বরে নেপালের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন ৬ জন নেপালি। তার পর নেপাল সরকারও রুশ সেনায় নেপালিদের নিয়োগ না করতে অনুরোধ করেছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই রুশ সেনায় যোগ দিয়েছেন, তাঁদের যেন অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হয়, সেই অনুরোধও রাশিয়াকে করেছে নেপাল সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হয়েছিল যে যুদ্ধ, তা চলছে এখনও (Russia Ukraine War)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Russian Plane Crash: ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে ভেঙে পড়ল রুশ বিমান, মৃত ৭৪ 

    Russian Plane Crash: ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধ বন্দিদের নিয়ে ভেঙে পড়ল রুশ বিমান, মৃত ৭৪ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় ধরনের দুর্ঘটনার মুখে পড়ল রাশিয়ার (Russian plane crash) এক সামরিক বিমান। বুধবার, ইউক্রেনের ৬৫ জন যুদ্ধ বন্দিকে নিয়ে রাশিয়ায় ভেঙে পড়ল যুদ্ধ বিমান৷ রাশিয়ার বেলগোরদে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ঘটা এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ৭৪ জনেরই মৃত্যু হয়েছে৷ রুশ সরকার জানিয়েছে,স্থানীয় সময় সকাল ১১টা নাগাদ ওই যুদ্ধ বিমানটি ভেঙে পড়ে৷ ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আইএল ৭৬ যুদ্ধ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়৷ বিমানে থাকা প্রত্যেক যাত্রীরই মৃত্যু হয়েছে।

    দুর্ঘটনার কারণ ঘিরে রহস্য

    ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ বন্দি বিনিময় হওয়ার কথা ছিল রাশিয়ার (Russian plane crash)৷ সেই কারণেই ৬৫ জন বন্দিকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইউক্রেনের ৬৫ জন সেনা ছাড়াও ওই বিমানে আরও ৯ জন বিমানকর্মী ছিলেন৷ ঠিক কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল, তা এখনও জানা যায়নি। বিমানটিতে যুদ্ধবন্দিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে রাশিয়া দাবি করলেও, ইউক্রেনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ওই যুদ্ধবিমানে করে মিসাইল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল৷ বিমানে কোনও যুদ্ধবন্দি ছিল না৷ সেই কারণেই ইউক্রেন সেনা ওই রুশ যুদ্ধবিমানটিকে ধ্বংস করে দেয়৷ রাশিয়ার সংসদের স্পিকার ভ্যাচেল্যাভ ভোলোদিন অবশ্য অভিযোগ করেছেন, ইউক্রেন তাদের নিজেদের সেনাদেরই হত্যা করেছে৷ রাশিয়ার একটি তদন্তকারী দল এবং একটি জরুরী পরিষেবা দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে পিঙ্ক সিটি ঘুরে দেখবেন ম্যাক্রোঁ, বৃহস্পতিবার ভারত আসছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট

    ভাইরাল ভিডিও

    সোশ্যাল মিডিয়ায় দুর্ঘটনার (Russian plane crash) বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি বেলগোরোদের ইয়াবলোনোভো গ্রামের কাছে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিয়োগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ওই এলাকা পুরো বরফের চাদরে ঢাকা। আকাশে দেখা যায়, একটি বিমান ক্রমশ নীচে নেমে আসছে। তারপর, প্রচন্ড বিস্ফোরণের সঙ্গে দিগন্তে দেখা যায় একটি আগুনের গোলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    Russia Ukraine War: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে ‘বন্ধু’ মোদিকে পাশে চান পুতিন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব নেতাদেরও ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia Ukraine War) প্রেক্ষিতে এসসিও-র পার্শ্ব বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে শান্তির ললিত বাণী শুনিয়েছিলেন রাম-বুদ্ধের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

    “এটা যুদ্ধের সময় নয়”

    প্রেসিডেন্টকে তিনি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।” রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানসূত্র খুঁজে বের করার ওপরও জোর দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এতদিন সেকথা কানে না তুললেও, এখন পুতিনের কানে অনুরণিত হচ্ছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উচ্চারিত সেই শান্তি-বাণী। তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠকে বসে রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য বন্ধু নরেন্দ্র মোদির সাহায্য চেয়ে বসলেন পুতিন।

    মোদিকে আমন্ত্রণ পুতিনের 

    পাঁচ দিনের রাশিয়া (Russia Ukraine War) সফরে গিয়েছেন জয়শঙ্কর। বুধবার ক্রেমলিনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে মুখোমুখি হন পুতিন-জয়শঙ্কর। সেখানেই ভারতের বিদেশমন্ত্রীর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। বছর দুয়েক ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধেরই শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে চায় রাশিয়া। সেজন্য তাঁর বড় প্রয়োজন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদিকে ইউক্রেন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত তথ্য দিয়েও সাহায্য করতে চান বলেও জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন পুতিন।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীকে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি উনি (মোদি) এই বিষয়ে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ বের করার ক্ষেত্রকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন। তাই এই বিষয়ে আমরা তাঁকে অতিরিক্ত তথ্য দেব।”

    প্রধানমন্ত্রীকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করে পুতিন বলেন, “আমরা খুশি হব, যদি তাঁকে রাশিয়ায় দেখতে পাই।” রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে, তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এ নিয়ে আমরা এক সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।”

    আরও পড়ুুন: “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠকও করেন পুতিন-জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে পুতিন বলেন, “পর পর দ্বিতীয় বছরেও আমাদের ব্যবসার টার্নওভার বাড়ছে একই সময় ও একই ধারার গতিতে। এবারের বৃদ্ধি আগের বছরের চেয়েও ভালো (Russia Ukraine War)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Vladimir Putin: “৭-৮টা সন্তান দিন রাশিয়ার মহিলারা”! কেন এরকম আর্জি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের?

    Vladimir Putin: “৭-৮টা সন্তান দিন রাশিয়ার মহিলারা”! কেন এরকম আর্জি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষত মেটাতে জনসংখ্যা বাড়ানোর কথা বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। রাশিয়ার মহিলাদের কাছে পুতিনের আর্জি, ৮ বা তার বেশি সন্তান প্রসব করে রাশিয়ার জনসংখ্যা বাড়াতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। বড় পরিবার আদর্শ পরিবার নীতিকে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মস্কোতে ওয়ার্ল্ড রুশ পিপলস কাউন্সিলের ভাষণে একথা বলেন পুতিন। 

    কেন এই আবেদন

    প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সাল থেকে রাশিয়ার জন্মহার হ্রাস পাচ্ছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটি ৩ লক্ষের বেশি মানুষ হতাহতের শিকার হয়েছেন। এই অবস্থায় পুতিন (Vladimir Putin) বলেন, “আগামী দশকে আমাদের লক্ষ্য হবে রাশিয়ার জনসংখ্যা বাড়ানো। আমাদের অনেক নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী চার, পাঁচ বা তারও বেশি সন্তান নিয়ে শক্তিশালী বহু-প্রজন্মের পরিবারের ঐতিহ্য রক্ষা করেছে৷ আমাদের ঠাকুমা বা তাঁর মায়েরা ৭-৮ জন সন্তানের জন্ম দিতেন। এখনও অনেক বাড়িতে ৪-৫টা সন্তান হয়। আসুন আমরা পরিবারের এই ট্র্যাডিশন বজায় রাখি। পরিবার তো শুধু সমাজ বা রাষ্ট্রের ভিত্তি নয়, এটা নৈতিকতা এবং দায়িত্ববোধের বিষয়।”

    আরও পড়ুুন: “ধনী দেশগুলির উচিত কার্বন নির্গমন পুরোপুরি কমানো”, দুবাইতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    আর কী বললেন পুতিন

    রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের (Vladimir Putin) অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে তাঁর বক্তব্য আপলোড করা হয়েছে। রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চের প্রধান প্যাট্রিয়ার্ক কিরিল এই সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন এবং রাশিয়ার বেশ কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেই পুতিন বলেন,”প্রকৃত রুশ নাগরিক ছাড়া এই বিশ্বে রাশিয়ার কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। এটা নিজেদের উন্নততর জাত ভাবার বা শুদ্ধ রক্তের কোনও ব্যাপার নয়। রাশিয়ার সংবিধানেই বলা আছে, রুশ ভাষা আদতে একটা রাষ্ট্রগঠনের ভাষা। আর তাই রুশ নাগরিকত্ব জাতীয়তাবাদের থেকে অনেক বেশি কিছু।” রুশ প্রেসিডেন্ট জাতীয়তাবাদের কথা বললেও বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ক্লান্ত সেনা, বহু মানুষ দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাই জাতিকে রক্ষা করতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলছেন পুতিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • US 2+2 Ministerial Dialogue: দিল্লিতে সম্পন্ন ভারত-মার্কিন ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, কী কী সিদ্ধান্ত হল?

    US 2+2 Ministerial Dialogue: দিল্লিতে সম্পন্ন ভারত-মার্কিন ‘টু প্লাস টু’ বৈঠক, কী কী সিদ্ধান্ত হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার দিল্লিতে সম্পন্ন হল ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক (US 2+2 Ministerial Dialogue) বৈঠক। এখানে হাজির ছিলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিনকেন, মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। সূত্রের খবর বৈঠকে দুই দেশের বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে তেমনই উঠে এসেছে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউক্রেনের বর্তমান পরিস্থিতি। জানা গিয়েছে, দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই দেশ যৌথভাবে ‘কমব্যাট ভেহিকেল’ বা সাঁজোয়া গাড়ি তৈরি করবে। প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই এমন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় দুই দেশের মধ্যে।

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রীর ট্যুইট

    বৈঠকের (US 2+2 Ministerial Dialogue) পরেই ট্যুইট করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি লেখেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে আলোচনা সদর্থক হয়েছে।’’ 

    ট্যুইট এসেছে বিদেশমন্ত্রী এর জয়শঙ্করের তরফ থেকেও। তিনি জানিয়েছেন দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন চুক্তি, মহাকাশ অভিযান, প্রযুক্তি এ সমস্ত বিষয়ে।

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনের আগ্রাসন রুখতে এককাট্টা ভারত-আমেরিকা

    ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারত এবং আমেরিকা দুই দেশই চীনের আগ্রাসন এবং দাদাগিরি রুখতে প্রয়াস চালাচ্ছে। অন্যদিকে, পশ্চিম এশিয়ার যা কিনা মধ্যপ্রাচ্য নামে পরিচিত, সেখানে বর্তমানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল আকার ধারণ করেছে। সে নিয়েও দুই দেশের আলোচনা হয়েছে। হামাস-ইজরায়েলের যুদ্ধ তো চলছেই। এর পাশাপাশি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ইরান এবং লেবাননও। দুদিন আগেই সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের জঙ্গিগোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত অস্ত্রঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনী। অভিযোগ, এই অস্ত্র হামাসের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল ইরানের জঙ্গি গোষ্ঠীর। আবার লেবাননের জঙ্গি গোষ্ঠী হেজবুল্লাও ইজরায়েলে বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতি ক্রমসই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • G20 Summit: জি২০ সম্মেলনে গৃহীত হল নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    G20 Summit: জি২০ সম্মেলনে গৃহীত হল নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন, ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে জি২০ (G20 Summit) শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেন প্রশ্নে ঐক্যমত্যে পৌঁছলেন সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। শনিবার শুরু হয়েছে জি২০ সম্মেলন। নয়াদিল্লির এই সম্মেলনে নয়াদিল্লি ডিক্লারেশন গৃহীত হয়েছে। এই ডিক্লারেশন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের ঘোষণার পর ইউক্রেন প্রশ্নে স্বমত স্পষ্ট করে দিল নয়াদিল্লি।

    জি২০ শীর্ষ সম্মেলন

    নয়াদিল্লির প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে বসেছে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আসর। এদিন উদ্বোধনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ আস্থাহীনতারই পরিণতি। আমাদের এই আবহ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পারস্পরিক আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে।” তিনি বলেন, “একুশ শতক বিশ্বকে নতুন দিক নির্দেশ দেওয়ার শতক। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের পুরনো সমস্যাগুলির সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। যখন আমরা কোভিডকে পরাজিত করতে পেরেছি, তখন আমরা এই আস্থার ঘাটতির সঙ্কটের বিরুদ্ধেও জয়ী হতে পারব।”

    সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্র

    প্রধানমন্ত্রী (G20 Summit) বলেন, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ মন্ত্রেই আস্থাহীনতার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে আমাদের।” তিনি বলেন, “বিশ্বজুড়ে এই যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠে আমাদের ভরসা রাখতে হবে বিশ্বাস এবং আস্থার ওপর।”

    দিল্লি লিডার্স ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনে প্রয়োজন স্থায়ী এবং উপযুক্ত শান্তি। জি২০-এর সদস্য দেশগুলির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে এই বলে যে, কেউ যদি পরমানু অস্ত্র প্রয়োগ কিংবা বলপ্রয়োগ করে অন্যের এলাকা দখল করার কৌশল নেয়, তা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না’।

    যৌথ ঘোষণাপত্রের কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের টিমের কঠোর পরিশ্রম ও আপনাদের সহযোগিতায় নয়াদিল্লিতে জি২০ (G20 Summit) সম্মেলনের ঘোষণাপত্র এসে পৌঁছেছে। এই ঘোষণাপত্র গ্রহণ করার প্রস্তাব ছিল আমার। সব সদস্য দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে সহমত হয়ে এটি গৃহীত হল। দেশের সমস্ত মন্ত্রী, শেরপা ও সব আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাদের জন্য এটি সম্ভব হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: জি২০-এর মঞ্চেও ‘ইন্ডিয়া’র বদলে লেখা ‘ভারত’, দেশের নাম তাহলে বদলাচ্ছেই!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    Narendra Modi: জি৭ সম্মেলনে মোদি-জেলেনস্কি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক! কী আলোচনা হল? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাপানের হিরোশিমা শহরে শুরু হয়েছে জি৭ সম্মেলন। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই এই সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানে পা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সে দেশে পেয়েছেন উষ্ণ অভ্যর্থনাও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও তাঁর সাক্ষাৎ হয়েছে। শনিবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন হল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রসঙ্গত রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে এই প্রথমবার মুখোমুখি হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে একাধিকবার ফোনে কথা হয়েছে। এদিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।

    কী কী বিষয়ে আলোচনা হল

    বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে যে উভয় রাষ্ট্র প্রধানের মধ্যে নানা ইস্যুতে কথা হয়েছে। বিশেষত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় গ্লোবাল সিকিউরিটি নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্রের খবর বৈঠকের শুরুতেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ আমার কাছে শুধু একটি রাজনৈতিক ঘটনা নয়।’’ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বারবার ঘুরে ফিরে যুদ্ধের প্রসঙ্গ উঠে আসে বলে জানা যাচ্ছে।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি?

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যুতে কীভাবে প্রভাব ফেলেছে তাও এদিন তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সাম্প্রতিক কালে বিশ্বের একটি বড় ঘটনা। এই যুদ্ধ শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়, আমার কাছে এটি মানবতার বিষয়।’’ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের আগে পর্যন্ত একটা বড় অংশের ভারতীয় ছাত্র ডাক্তারি পড়তে পছন্দের তালিকায় রাখত ইউক্রেনকে। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যুদ্ধের যন্ত্রণা সম্পর্কে আমরা অবহিত হয়েছি, আমাদের দেশের ছাত্ররা তখন তা বলেছেন।’’ জানা গেছে, যুদ্ধ থামাতে নরেন্দ্র মোদি সমস্ত রকমের সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ভারতবর্ষ যুদ্ধ থামাতে সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবে।’’

    কী বললেন জেলেনস্কি?

    দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই ট্যুইট করেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ জানাই ভারতকে। ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে সমর্থন করার জন্য। ইউক্রেনের প্রয়োজন মোবাইল হাসপাতাল। বৈঠকে সেকথাও তুলেছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share