Tag: Union Budget 2025

  • PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    PM Modi: মাখনা তাঁর ফিটনেসের রহস্য, নিজেই ফাঁস করলেন মোদি, জানেন এই খাদ্যের উপকারিতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাখনাকে ‘সুপারফুড’-এর তকমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। জানালেন, ছিয়াত্তর বছর বয়সেও তাঁর ঝলমলে ও ফিট স্বাস্থ্যের অন্যতম কারণ মাখনা (Makhana)। বছরে কমপক্ষে ৩০০ দিন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই মাখনা খান তিনি। দাবি করেন, গোটা বিশ্বের জন্যই স্বাস্থ্যকর মাখনার উৎপাদন জরুরি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার ভাগলপুরের সভায় মোদি জানান, আজ গোটা ভারত জলখাবারে মাখনা খচ্ছে। এদিন মাখনার (Makhana) মালা দিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) স্বাগত জানান স্থানীয় বিজেপি নেতারা। ভাষণে মোদি বলেন, “আজ গোটা দেশের শহরগুলিতে জলখাবারের অন্যতম অংশ হয়ে উঠেছে মাখনা। কেন্দ্রীয় বাজেটে মাখনা বোর্ডের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মাখনা এবার গোটা বিশ্বের খাদ্য বাজারকে শাসন করবে।”

    কোথায় কোথায় হয় মাখনার উৎপাদন

    পদ্ম ফুলের বীজ থেকেই তৈরি হয় মাখনা। কেউ কেউ আবার একে ফক্স নাট বলেও ডাকেন। মূলত, বিহারের মিথিলা এলাকায় তিন জেলা জুড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায় চাষ হয় মাখানা। এই চাষের জন্য জলাজমি দরকার হয়। দেশে ধীরে ধীর এই মাখানার জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ভারতে তৈরি মাখনা সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়, আমেরিকা, কানাডা, ইউকে, অস্ট্রেলিয়া, আমিরশাহি। কারণ এই সমস্ত জায়গায় বহু প্রবাসী ভারতীয়ের বাস রয়েছে। গত ২ দশক ধরে এই মাখনা বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।

    বাজেটে মাখনা বোর্ড গঠন

    চলতি বাজেটে বিহারে মাখনা বোর্ড গঠনের কথা বলেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লক্ষ্য হল মাখনার (Makhana) উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিপুল হারে মাখনার বাণিজ্য থেকে অর্থ উপার্জন। উল্লেখ্য, বিহার দেশের ৮০ শতাংশ মাখনা উৎপাদন হয়। যদিও বিশ্বজুড়ে এর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন ও বাণিজ্যে যথেষ্ট কম। সেই কারণেই বোর্ড গঠনের ভাবনা কেন্দ্রের। তিনি জানান, ‘মাখনা চাষিদের ট্রেনিং দেওয়া হবে, এবং নিশ্চিত করা হবে, তাঁরা যাতে সমস্ত সরকারি স্কিমের সুবিধা পান।’ আইএমএআরসি অনুযায়ী, মাখনা ২০২৩ সালে ভারতের মাখনা মার্কেটের দর ৭.৮ বিলিয়ন ছিল। ২০২২ সালের এপ্রিলে জিআই ট্যাগ পেয়েছে ‘মিথিলা মাখনা’। ধীরে ধীরে মিথিলা অঞ্চল থেকে মাখানার চাষ কোশী উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে সাহারসা, সুপৌলেও চাষ চলছে মাখনার। বিহারের পূর্ণিয়া, কাটিহার, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ জেলাতেও চলছে এই মাখনার চাষ।

    মাখনার উপকারিতা

    মাখনা (Makhana) বা পদ্মবীজ অনেকেই ডায়েট চার্টে রেখে থাকেন। বলা হচ্ছে, এটি ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ফসফরাসের উৎস। এরমধ্যে উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্টস থাকে। বহু গবেষণার দাবি, হার্টের সমস্যা থাকলে, মাখানা উপকার দিয়ে থাকে। থাকে অ্যান্টি এজিং প্রপার্টি। ওজন কমাতেও এটি সাহায্য করে থাকে। অনেকেই মাখনা ভেজে বা সেঁকে মুড়ি কিম্বা ভেলপুরীর সঙ্গে খান। আবার অনেকে ডালে মাখনা দিয়ে থাকেন। অনেকে স্ন্যাকস হিসাবেও মাখনা খান। বিশেষজ্ঞরা জানান, মাখনা শুধু খেতেই ভালো এমন নয় কিন্তু। এর অনেক উপকারিতা রয়েছে।

    ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে ভরপুর

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাখনায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান। স্বাস্থ্যের নানা ঘাটতি পূরণ করতে এর জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাস, ক্যালশিয়াম হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পেশি সচল রাখে। স্নায়ুর নানা সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

    অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস ভর্তি

    মাখনায় (Makhana) রয়েছে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস। স্ট্রেস থেকে নানা মানসিক সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত খাবাররে তালিকায় মাখনা রাখলে বিভিন্ন জটিল অসুখ দূরে থাকে। বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ, ক্যানসার, টাইফ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

    রক্তে শর্করার মাত্রা

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে মাখনা। তেমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাঁদের মধুমেহ রোগ রয়েছে, তাঁদের জন্য তো অবশ্যই দারুণ উপকারী। এছাড়াও, যাঁদের মধুমেহ নেই, তাঁরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন।

    ওজন কমাতে সাহায্য করে

    ওজন কমানোর জন্য অনেকেই মাখনা খেয়ে থাকেন। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেক সময়ই অহেতুক খিদে পাওয়ার কারণে শরীরে অবাঞ্ছিত মেদ জমা হয়। মাখনা (Makhana) এই অহেতুক খিদে পাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না মাখনা। ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ত্বকে টানটান ভাব বজায় রাখে, ত্বক উজ্জ্বল করে। হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রেখে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে মাখনা। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং আরও অন্যান্য হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

  • New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। আয়কর আইন ১৯৬১-এর বদলে আনা হচ্ছে এই বিল (New Income Tax Bill)। ভারতের কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ ও আধুনিকীকরণ করাই এর লক্ষ্য। নয়া বিলটি আইনি ভাষাকেও সহজ করবে যাতে করদাতারা সহজে বুঝতে পারেন বিধানগুলি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া আইনটি বর্তমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে। এর প্রধান লক্ষ্য হল মামলার সংখ্যা কমানো। বিলটিকে যাতে করদাতা-বান্ধব করে তোলা যায়, তাই বিলটিতে কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে কর জরিমানার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (New Income Tax Bill)

    ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি এই বিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “১৯৬১ সালের আয়কর আইনের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। সংশোধিত আয়কর আইনটি সরল, স্পষ্ট ও সহজে বোধগম্য হবে।” ২০২১-২৬ অর্থবর্ষ থেকে নয়া কর কাঠামো লাগু হবে। আয়করদাতারা এই সিস্টেমের আওতায় আসবেন ২০২৬-’২৭ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারে। এবারের বাজেটে বার্ষিক আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা এক লাফে পাঁচ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১২ লাখ টাকা করার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ, কারও আয়কর এক লাখ টাকার মধ্যে হলে এক পয়সাও আয়কর দিতে হবে না। অর্থনীতিবিদদের মতে, এর ফলে সাধারণ মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়বে, ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই চাঙা হবে অর্থনীতি (New Income Tax Bill)।

    নয়া বিলের সুবিধা

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া বিলের সুবিধাগুলি –

    নতুন করের প্রয়োজন নেই: বিলটিতে কোনও নতুন কর প্রবর্তন করা হবে না। তবে চালু কর আইন সরলীকরণের ওপর জোর দেওয়া হবে।

    সরলীকৃত ভাষা: আইনি ভাষা আরও সহজলভ্য করা হবে। এতে করদাতারা জটিলতা ছাড়াই বিধানগুলি বুঝতে পারবেন।

    সংক্ষিপ্ত আইন: অপ্রয়োজনীয় বিধান বাদ দিয়ে এবং অস্পষ্টতা হ্রাস করে নতুন আইনটি বিদ্যমান আইনের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    কম শাস্তি: কর ব্যবস্থাকে আরও করদাতা-বান্ধব করে তুলতে কিছু অপরাধের জন্য কম শাস্তি প্রবর্তনের বিধান থাকতে পারে।

    মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস: অপব্যবহার-বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তগুলি স্পষ্ট করে এবং পুরানো ধারাগুলি অপসারণ করে। নতুন বিলের লক্ষ্যই হল কর বিরোধ হ্রাস করা।

    নয়া আয়করের স্ল্যাব

    নয়া আয়কর স্ল্যাবটা একবার দেখে নেওয়া যাক।

    বার্ষিক ৪ লাখ পর্যন্ত কোনও কর দিতে হবে না।

    ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ৫ শতাংশ। ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ১০ শতাংশ, ১২ লাখ থেকে ১৬ লাখ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১৬ লাখ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ২০ লাখ থেকে ২৪ লাখ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ, ২৪ লাখের ওপর হলে ৩০ শতাংশ।

    প্রত্যাশিত সংস্কার

    নয়া কর বিলে প্রত্যাশিত যে সব সংস্কার করা হয়েছে, সেগুলি হল –

    একীভূত কর ব্যবস্থা: বর্তমানে, ব্যক্তি, এইচইউএফ, এওপি, বিওআই এবং কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর ব্যবস্থা প্রযোজ্য। নয়া বিলটি এগুলিকে একটি একক কর কাঠামোর মধ্যে প্রবাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কমবে সম্মতির বোঝা। নিশ্চিত করবে কর নিশ্চিতকরণ।

    উইথহোল্ডিং ট্যাক্স রেশেনালাইজেশন: ব্যবসা ও ব্যক্তিদের জন্য সম্মতি সহজ করার জন্য একটি সরলীকৃত কর উইথহোল্ডিং কাঠামো চালু করা যেতে পারে (Union Cabinet)।

    ব্যবসা করা হবে সহজ: নতুন আইনে প্রকৃত লেনদেনের অপ্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই রোধ করতে অপব্যবহার বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রম নির্দিষ্ট করা যেতে পারে (New Income Tax Bill)।

    অপ্রয়োজনীয় বিধান বাতিল: কর আইনকে আরও সুনির্দিষ্ট এবং বস্তুনিষ্ঠ করতে পুরানো এবং যেসব ধারা প্রয়োগ করা হয় না, সেগুলি অপসারণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, নয়া কর ব্যবস্থা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। এটি ২০২৬-২৭ মূল্যায়ন বছর থেকে করদাতাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।

    এই আপডেটগুলির মাধ্যমে, সরকার আরও স্বচ্ছ এবং দক্ষ কর ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে। এতে একদিকে যেমন বিরোধ হ্রাস পাবে, তেমনি ব্যবসা এবং ব্যক্তি উভয়ের সম্মতির সহজতা উন্নত করবে (New Income Tax Bill)।

    প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে ২২টি বিশেষ সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। আয়কর আইন পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে আয়কর বিভাগ সাড়ে ৬ হাজারটি পরামর্শ পেয়েছে (Union Cabinet)।

  • Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    Union Budget 2025: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ ৬.৮১ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধি গতবারের তুলনায় ৯.৫ শতাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ল চলতি বছরের বাজেটে (Union Budget 2025)। শনিবার, সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেখানেই তিনি জানান, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) করা হয়েছে ৬ লক্ষ ৮১ হাজার ২১০ কোটি টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ ২১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। ফলে, গতবারের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ৯.৫ শতাংশ।

    মূলধন ব্যয় কতটা বাড়ল, তা অতি গুরুত্বপূর্ণ

    প্রতিরক্ষায় খরচের বিভিন্ন দিকের মধ্যে অন্যতম বড় হল মূলধন ব্যয়। এবারের বাজেটে (Union Budget 2025) মূলধন ব্যয় খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৮৭ কোটি টাকা। যা গতবারের তুলনায় ১২.৯ শতাংশ বেশি। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই বরাদ্দের (Defence Budget Allocation) পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ৭২ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে (Union Budget 2025) পেশ করা নথি অনুযায়ী, এবছর বরাদ্দ হওয়া মূলধন ব্যয়ের মধ্যে ৪৮ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বিমান ও ইঞ্জিনের জন্য। ২৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ নৌসেনার জন্য। ৬৩ হাজার ৯৯ কোটি টাকা বরাদ্দ অন্য সরঞ্জামের জন্য। অন্যদিকে, রাজস্ব খরচ বাবদ ধার্য করা হয়েছে ৪ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮২২ কোটি টাকা, যার মধ্যে আবার পেনশন বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা।

    মোদি জমানায় মূলধন ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণ

    পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ সাল থেকে প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ (Defence Budget Allocation) প্রতি বছর বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে, মূলধন ব্যয়ের খাতে বরাদ্দের পরিমাণ যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। তথ্য বলছে, কোভিড-পূরবর্তী যুগ থেকে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান আরও বলছে, ২০১৫-২০ সময়ে প্রতি বছরে মূলধন ব্যয়ের বরাদ্দের বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। সেখানে, ২০২০-২৫ সময়ে এই হার বেড়ে দাঁড়ায় ৯.১ শতাংশে। বিগত ১১ বছরে মোদি জমানায় প্রতিরক্ষায় মূলধন ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে (Union Budget 2025)। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে এই খরচের বৃদ্ধির হার ২৭.৭ শতাংশ ছিল, যা এখনও পর্যন্ত সর্বাধিক। তার আগের অর্থবছরে এই হার ছিল ২৫.২ শতাংশ।

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে

    প্রতিরক্ষায় আত্মনির্ভরতার লক্ষ্যে ২০২৯-৩০ অর্থবর্ষ নাগাদ দেশের প্রতিরক্ষা উৎপাদনকে ৩ লক্ষ কোটিতে নিয়ে যেতে চায় মোদি সরকার। একইসময়ে, প্রতিরক্ষা রফতানিকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চায় কেন্দ্র। গত ৫ বছর ধরে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশ ভারতের থেকে অস্ত্র কিনে চলেছে। মায়ানমার ও ভিয়েতনাম ভারতের দীর্ঘদিনের খদ্দের। এর সঙ্গে নাম লিখিয়েছে ফিলিপিন্স এবং ইন্দোনেশিয়াও। গত ১০ বছরে ভারতের অস্ত্র রফতানি ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ সালে যেখানে এই পরিমাণ ছিল ১৯০০ কোটি টাকা। সেখানে ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকা (Union Budget 2025)।

  • Union Budget 2025: “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা মোদির হৃদয়ে থাকে,” বাজেট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    Union Budget 2025: “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা মোদির হৃদয়ে থাকে,” বাজেট প্রসঙ্গে বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।” ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট (Union Budget 2025) পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেটে বার্ষিক ১২ লাখ পর্যন্ত আয়করে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরেই বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    শাহের পোস্ট (Union Budget 2025)

    এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সময় মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।” ২০২৫ সালের বাজেটকে মোদি সরকারের একটি নকশা হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি। এই নকশা প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নত ও সেরা ভারত গড়ার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মধ্যবিত্ত শ্রেণি সর্বদা প্রধানমন্ত্রীর মোদির হৃদয়ে থাকে। ১২ লাখ টাকা আয় পর্যন্ত আয়কর শূন্য। প্রস্তাবিত কর ছাড় মধ্যবিত্তের আর্থিক কল্যাণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই উপলক্ষে সকল উপকারভোগীকে অভিনন্দন।” এই বাজেটকে তিনি মোদি সরকারের উন্নত ও সর্বোত্তম ভারত গঠনের দৃষ্টিভঙ্গির নকশা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, নির্মলা পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারগুলির জন্য একটি নীল নকশা (Union Budget 2025) তৈরি করেছেন। বিমায় এফডিআইয়ের সীমা বাড়ানো, কর আইনের সরলীকরণ এবং একাধিক পদক্ষেপের জন্য বর্ধিত আর্থিক সহায়তা প্রদানের সময় মধ্যস্থতাকারীদের ওপর শুল্ক কমানোর মতো একাধিক বিষয়ের উল্লেখ আছে বাজেটে।

    বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির

    বাজেট প্রসঙ্গে এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আজ ভারতের উন্নয়নযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ১৪০ কোটি ভারতীয়ের আকাঙ্খার বাজেট। এটি এমন একটি বাজেট, যা প্রতিটি ভারতীয়ের স্বপ্ন পূরণ করে। আমরা যুব সমাজের জন্য অনেক খাত খুলে দিয়েছি। সাধারণ নাগরিকই বিকশিত ভারতের মিশনকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, “অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা বাজেট উন্নত ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য একটি দুর্দান্ত বাজেট। এই বাজেটে সমাজের সব অংশের মানুষের কথা ভাবা হয়েছে। এই বাজেট দেশের উন্নয়নের প্রচার (Union Budget 2025) করতে চলেছে (PM Modi)।”

  • Union Budget 2025: মোবাইল থেকে গাড়ি, টিভি থেকে ওষুধ! বাজেটে কীসের দাম বাড়ল, কোনটার কমল?

    Union Budget 2025: মোবাইল থেকে গাড়ি, টিভি থেকে ওষুধ! বাজেটে কীসের দাম বাড়ল, কোনটার কমল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর অষ্টম বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। একাধিক বড় ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। একাধিক জিনিসের উপর করছাড়ের কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। মধ্যবিত্তকে স্বস্তি দিয়ে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেটে প্রবীণ নাগরিকদের জন্যও বড় ঘোষণা রয়েছে। ষাটোর্ধ্বদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের পরিমাণ এক লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছেন নির্মলা। তবে, কর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিছু জিনিসের উপর।

    কী বললেন নির্মলা

    একাধিক জিনিসের দাম কমতে চলেছে। বৈদ্যুতিন জিনিসে শুল্ক কমানো হয়েছে। তার ফলে সস্তা হবে এলইডি এবং এলসিডি টিভি। মোবাইলের যন্ত্রাংশে শুল্ক কমায় দাম কমবে মোবাইলের। ইলেকট্রনিক ব্যাটারির শুল্ক কমায় সস্তা হবে বৈদ্যুতিন গাড়ি। লেড এবং জিঙ্কের উপর থেকে প্রাথমিক শুল্ক প্রত্যাহার করায় ব্যাটারির দাম কমবে। সস্তা হবে মেডিক্যাল এবং সার্জিক্যাল সরঞ্জামও। চর্মজাত দ্রব্যের উপরে শুল্ক প্রত্যাহার করায় সস্তা হবে জুতো, বেল্ট, ব্যাগের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। দাম কমবে জাহাজের যন্ত্রাংশের। দেশে তৈরি পোশাকও সস্তা হবে। সামুদ্রিক মাছ–সহ একাধিক সিফুডের দামও কমবে।

    মেক ইন ইন্ডিয়ায় জোর

    এদিন নির্মলা সীতারামনের ঘোষণা মতো, মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগে জোর দিয়ে ‘ইন্টারঅ্যাক্টিভ ফ্ল্যাট প্যানেল’ ডিসপ্লে-তে শুক্ল (বেসিক কাস্টমস ডিউটি) ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হবে। মনে করা হচ্ছে, এতে দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদনের প্রবণতা বাড়বে। বস্ত্রবয়নের ক্ষেত্রে সেলাই করা ফেবরিকের দাম বাড়তে পারে। কাপড় বোনার জন্য যে বিশেষ ফেব্রিক (নিটেড ফেব্রিক) ব্যবহার করা হয়, তার উপর শুল্ক বাড়িয়ে প্রতি কেজিতে ১১৫টাকা করা হয়েছে। আগে যা ১০ বা ২০ শতাংশ ছিল, এখন তা ২০ শতাংশ হবে।

    কোন জিনিসের দাম কমল

    ১. মোবাইল

    ২. এলইডি টিভি

    ৩. ইলেকট্রিক কার

    ৪. দেশে তৈরি কাপড়

    ৫. ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধ

    ৬. সামুদ্রিক মাছ

    ৮. মেডিক্যাল সরঞ্জাম

    ৯. ইভি ব্যাটারি

    ১০. চামড়ার জিনিস

    কোন কোন জিনিসের দাম বাড়ল

    ১. স্মার্ট মিটার

    ২. সোলার সেল

    ৩. বিদেশি (Imported) জুতো

    ৪. বিদেশি আলো

    ৫. বিদেশ থেকে আনা জলযান

    ৬. ইন্টার‌্যাকটিভ ফ্ল্যাট প্যানেল।

    ৭. বিদেশি মোটরসাইকেল

    ৮. নিটেড ফেব্রিক

  • Union Budget 2025: ওষুধ বিনা শুল্কে, সব জেলায় ক্যান্সার সেন্টার, বাজেটে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

    Union Budget 2025: ওষুধ বিনা শুল্কে, সব জেলায় ক্যান্সার সেন্টার, বাজেটে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্যান্সার নিরাময়ে জোর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। বাজেটে (Union Budget 2025) স্বাস্থ্যখাতে বড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। এদিন কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি জেলায় ক্যান্সার সেন্টার তৈরি করা হবে। দেশে আরও ২০০টি ডে কেয়ার ক্যান্সার সেন্টারও করা হবে। অর্থমন্ত্রী জানান দাম কমতে পারে অনেক বহুমূল্য ক্যান্সারের ওষুধের। ক্যান্সার-সহ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধ পুরোপুরি শুল্কমুক্ত করল কেন্দ্র। আগামী দিনে ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসায় অনেকটাই সুবিধে দিতে পারে এই পদক্ষেপ।

    ক্যান্সার রোগীদের ওষুধে ছাড়

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman) এই নিয়ে আটবার অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট (Union Budget 2025) পেশ করলেন। মোদি সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট এটি। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন তাঁর অষ্টম কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের সময় জানালেন, এবার সরকার স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশেষ জোর দিচ্ছে। এই বাজেট মধ্যবিত্তের কথা ভেবে, বলে জানান নির্মলা। আর মধ্যবিত্ত শ্রেণির অন্যতম মাথা ব্যথার কারণই হল চিকিৎসা। ক্যান্সার বা অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের মাথায় বাজ পড়ে যায়। তাই এই পরিস্থিতিতে মানুষকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধে দিল সরকার। ক্যান্সার ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিরল রোগের ওষুধকে আরও সহজলভ্য করে দেওয়া হল। এর ফলে বিপদের সময়ও অনেকটা সাশ্রয় হতে পারে। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, এবার ক্যান্সার সহ ৩৬টি কঠিন রোগের ওষুধের ওপর থেকে মৌলিক শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেওয়া হল। এর ফলে ওষুধের দাম আরও সস্তা হবে। এটা নিঃসন্দেহে বড় সুরাহা।

    ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলা

    সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, এদেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে মাথা এবং ঘাড়ের ক্যান্সার (মুখ এবং গলার ক্যান্সার সহ)। এছাড়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে স্তন ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা। সারভাইকাল ক্যান্সারেও আক্রান্ত হচ্ছেন বহু। সবাইকে সুন্দর, স্বাস্থ্যকর, পরিবেশে, প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীদের তত্ত্বাবধানে যদি ভালভাবে ডে-কেয়ার সেন্টারগুলিতে কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসা দেওয়া যায়, তাহলে তা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ হবে। সেই লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেন যে দেশের প্রতিটি জেলায় ক্যান্সার সেন্টার তৈরি করা হবে। আগামী ৩ বছরের মধ্যে সব জেলায় জেলা হাসপাতালগুলিতে ক্যান্সার সেন্টার তৈরি করা হবে। ২০০টি ক্যান্সার কেয়ার কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। তৈরি করা হবে ডে-কেয়ার সেন্টার।

    গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন

    সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের অধীনে ১ কোটি কর্মীকে স্বাস্থ্য এবং বিমার আওতায় আনা হবে। নির্মলা সীতারামন আজ বাজেটে ‘চিকিৎসা পর্যটনে’র উপর জোর দেওয়ার কথাও বলেছেন। সেক্ষেত্রে পিপিপি মডেলে কাজ হবে বলে জানান তিনি। তবে বারবার অভিযোগ ওঠে দেশের সরকারি হাসপাতালে রোগী এবং চিকিৎসকের সংখ্যার অনুপাত অনেক কম। তাই চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দেওয়া হবে। শনিবার বাজেট পেশের সময়ে নির্মলা সীতারামন বিশেষ করে গ্রামীণ এবং সুবিধাবঞ্চিত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার উপর জোর দেন। দেশের চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়াতেও বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ১০ হাজার আসন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এতে মেডিক্যাল পড়ার সুবিধা পাবে আরও ছাত্র-ছাত্রী। আগামী ৫ বছরে ৭৫ হাজারটি বেশি সিট বাড়ানো হবে মেডিক্যাল কলেজে। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রয়োগ আরও বাড়াতে এআই সেন্টার তৈরি করা হবে। এর জন্য সরকার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সবকটি পদক্ষেপই সার্বিকভাবে স্বাস্থ্যক্ষেত্রের উন্নয়ন ঘটাবে। সেটা চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা হোক বা চিকিৎসায় প্রযুক্তির ব্যবহার অথবা চিকিৎসার খরচ কমানো, সব ক্ষেত্রেই।

    বাজেটে খুশি স্বাস্থ্যক্ষেত্র 

    বাজেটে (Union Budget 2025)  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর (Nirmala Sitharaman) ঘোষণায় খুশি স্বাস্থ্যক্ষেত্র। বাজেট পেশের পর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ক্যান্সার-সহ ৩৬টি জীবনদায়ী ওষুধকে পুরোপুরি শুল্কমুক্ত করা নিঃসন্দেহে একটি উল্লেখযোগ্য ঘোষণা। ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যয়ভার বইতে বইতে ন্যুব্জ পরিবারগুলোকে অনেকটা স্বস্তি দেবে এই সিদ্ধান্ত। এর ফলে কমতে পারে ক্যান্সারের ওষুধের দাম। এই বাজেটে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) মডেলকে উৎসাহিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এফআইসিসিআই ক্যান্সার টাস্ক ফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজ গোর আইএএনএস-কে বলেন, এই শুল্ক অব্যাহতি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসার খরচ কমাবে । রোগীদের কাছে ওষুধ আরও সহজলভ্য করে তুলবে। মেডিকেল টেকনোলজি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী ভারতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য অনেক ক্ষেত্রে ভিসা প্রক্রিয়াটি সহজ করে দেওয়ায় সাধুবাদ জানিয়েছেন।

  • Union Budget 2025: নতুন মহিলা, তফশিলি উদ্যোগপতিদের ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ, ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: নতুন মহিলা, তফশিলি উদ্যোগপতিদের ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ, ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় এনিয়ে অষ্টমবার বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Union Budget 2025)। এবারের বাজেটে বড় ঘোষণা করলেন তিনি। বললেন (Nirmala Sitharaman), পাঁচ লাখ প্রথমবারের মহিলা, তফশিলি জাতি-উপজাতি অন্ত্রেপ্রেনারদের (উদ্যোগপতি) জন্য ২ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি ঋণ দেওয়া হবে। তাঁর ঘোষণা, সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত রফতানিমুখী এমএসএমইগুলির জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদী ঋণ দেওয়া হবে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী? (Union Budget 2025)

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ গ্যারান্টি কভার দ্বিগুণ করে ২০ কোটি টাকা করা হবে এবং গ্যারান্টি ফি ১ শতাংশ কমানো হবে। তিনি বলেন, ‘‘ঋণে প্রবেশাধিকার উন্নত করতে, ঋণ গ্যারান্টি কভার বৃদ্ধি করা হবে। ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোগের জন্য এটি ৫ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হবে, যার ফলে আগামী পাঁচ বছরে অতিরিক্ত ১.৫ লাখ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া সম্ভব হবে। স্টার্টআপগুলির ক্ষেত্রে এটি ১০ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হবে এবং ২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের জন্য গ্যারান্টি ফি ১ শতাংশ করা হবে, যা আত্মনির্ভর ভারত উদ্যোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’’

    এমএসএমইদের জন্য ২০ কোটি টাকা

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “ভালোভাবে (Union Budget 2025) পরিচালিত রপ্তানিকারক এমএসএমইদের জন্য ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদী ঋণের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য, আমরা উদ্যম পোর্টালে নিবন্ধিত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাবদ্ধতা-সহ কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করব।” তিনি জানান, সহজ কাস্টমস শুল্ক কাঠামোর জন্য ৭টি শুল্ক হার বাতিল করেছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘‘জুলাই ২০২৪ সালের বাজেটে ঘোষিত কাস্টমস শুল্ক কাঠামোর ব্যাপক পর্যালোচনার অংশ হিসেবে, আমি ৭টি শুল্ক হার বাতিল করার প্রস্তাব দিচ্ছি – এটি ২০২৩-২৪ সালের বাজেটে বাতিল হওয়া শুল্ক হারগুলোর অতিরিক্ত।’’ তিনি বলেন, “সব এমএসএমইর শ্রেণিবিন্যাসের জন্য বিনিয়োগ ও টার্নওভার যথাক্রমে ২.৫ গুণ ও ২ গুণ বাড়ানো হবে। এটি তাদের বৃদ্ধি পেতে ও আমাদের যুব সমাজের (Nirmala Sitharaman) জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে (Union Budget 2025)।”

  • Union Budget 2025: এবারের বাজেটে চার শ্রেণিকে গুরুত্ব দিলেন নির্মলা, কী কী ঘোষণা করলেন?

    Union Budget 2025: এবারের বাজেটে চার শ্রেণিকে গুরুত্ব দিলেন নির্মলা, কী কী ঘোষণা করলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা রাখলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। শনিবার বাজেট পেশের শুরুতেই তিনি বলেছিলেন, “সবার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি (Union Budget 2025)।” তিনি এও বলেছিলেন, “বাজেটে মধ্যবিত্তদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। গরিব, যুব, কৃষক, মহিলাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে।” কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘আমরা আগামী ৫ বছরকে ‘সবকা বিকাশ’ বাস্তবায়নের একটি অনন্য সুযোগ হিসেবে দেখি, যা সমস্ত অঞ্চলের সমতামূলক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে।’’

    নারীদের জন্য প্রকল্প (Union Budget 2025)

    নারী ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উদ্যোক্তাদের জন্য নয়া প্রকল্প চালু করা হবে বলেও এদিন বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি জানান, সরকার নিবন্ধিত ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাযুক্ত কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করবে। তিনি বলেন, ‘‘ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ বাড়ানোর জন্য, ক্রেডিট গ্যারান্টি কভার বাড়ানো হবে। ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগগুলির জন্য এটি ৫ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা করা হবে, যার ফলে আগামী ৫ বছরে অতিরিক্ত ১.৫ লাখ কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হবে। স্টার্টআপগুলির ক্ষেত্রে, এটি ১০ কোটি টাকা থেকে ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।’’

    ‘আত্মনির্ভর ভারত’

    নির্মলা বলেন, ‘‘২৭টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ঋণের জন্য গ্যারান্টি ফি ১% নির্ধারণ করা হবে, যা ‘আত্মনির্ভর ভারত’ উদ্যোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভালোভাবে পরিচালিত রপ্তানিকারক এমএসএমই-গুলির জন্য, মেয়াদি ঋণের সীমা ২০ কোটি টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হবে। এছাড়াও, ক্ষুদ্র উদ্যোগগুলির জন্য, উদ্যম পোর্টালে নিবন্ধিত উদ্যোগগুলির জন্য ৫ লাখ টাকার সীমাযুক্ত কাস্টমাইজড ক্রেডিট কার্ড চালু করা হবে।’’ নয়া কর ব্যবস্থায় ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ের জন্য কোনও কর দিতে (Union Budget 2025) হবে না। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগীদের বছরে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ে করের পরিমাণ শূন্য রাখা হয়েছে। টিডিএস ও টিসিএস সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে সম্মতি সংক্রান্ত বোঝা হ্রাস পেয়েছে। রাজস্ব ঘাটতির লক্ষ্য জিডিপির ৪.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ২০২৫ অর্থবর্ষের ৪.৮ শতাংশ থেকে কমানো হয়েছে। বাজার থেকে ঋণ গ্রহণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১.৫৪ লাখ কোটি টাকা। মোট ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ১৪.৮২ লাখ কোটি টাকা।’’

    ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’

    কৃষিক্ষেত্রে চালু হচ্ছে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানান, এই যোজনায় উপকৃত হবেন দেশের মোট ১০০টি জেলার ১.৭ কোটি কৃষক। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই জেলাগুলিতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। তিনি জানান, যেসব জেলায় উৎপাদনের হার কম, সেরকমই ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আালাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ (Nirmala Sitharaman) দেওয়া হবে। ব্যবস্থা করা হবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতে।

    ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা

    ভোজ্য তেল এবং ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড। কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা (Union Budget 2025) হবে বলেও বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ টাকা। সেটাই এবার বাড়িয়ে করা হবে পাঁচ লাখ। তুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের জন্য ইউরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে।

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ

    ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ঋণ গ্যারান্টির সীমা বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ১০ কোটি টাকা। গভীর প্রযুক্তি ও উৎপাদন খাতে স্টার্টআপের জন্য চালু করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল। এমএসএমই ক্রেডিট কার্ড চালু করা হয়েছে। এটির সাহায্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা পাবেন। প্রথমবারের মতো উদ্যোক্তাদের সহায়তা দেওয়া হবে। এখানে নারী ও তফশিলি জাতি ও উপজাতির লোকজন ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। রাজ্যগুলির জন্য মূলধনী প্রকল্পে ১.৫ লাখ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ বরাদ্দ করা (Union Budget 2025) হয়েছে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী?

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, সব এমএসএমইর শ্রেণিবিন্যাসের জন্য বিনিয়োগ ও টার্নওভার যথাক্রমে ২.৫ গুণ ও ২ গুণ বাড়ানো হবে (Union Budget 2025)। এটি তাদের বৃদ্ধি পেতে ও আমাদের যুব সমাজের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে আত্মবিশ্বাস জোগাবে। ৮ কোটি শিশু ও মহিলাকে পুষ্টিগত সহায়তা দিতে “সক্ষম আঙ্গনওয়াড়ি এবং পোষণ ২.০” কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman)।

  • Union Budget 2025: মেডিক্যাল, আইআইটিতে আসন বৃদ্ধি, কৃত্রিম মেধায় গুরুত্ব, বাজেটে বড় ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: মেডিক্যাল, আইআইটিতে আসন বৃদ্ধি, কৃত্রিম মেধায় গুরুত্ব, বাজেটে বড় ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Union Budget 2025) শিক্ষাক্ষেত্রে একাধিক সুবিধার কথা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। দেশের সমস্ত সরকারি স্কুলে মাধ্যমিক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালু করছে সরকার। স্কুলগুলিতে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা স্থাপন করা হবে। তার মাধ্যমে স্কুলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পড়াশোনা করতে পারবে পড়ুয়ারা। আসন সংখ্যা বাড়তে চলেছে ডাক্তারিতে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ৭৫ হাজার আসন বাড়ানো হবে, বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী। নির্মলা জানিয়েছেন, মেডিক্যাল শিক্ষা খাতে (Education Budget 2025) বিশাল বিনিয়োগ করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সিট সংখ্যা।

    শিক্ষাখাতে বরাদ্দ

    গতবারের তুলনায় বাড়ল শিক্ষাখাতে (Union Budget 2025) ধার্যের পরিমাণ। চলতি বছরে ১ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে চলেছে কেন্দ্র। গত বছর এই টাকার পরিমাণ ছিল ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। দেশের চিকিৎসাশিক্ষার পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে শনিবার বাজেট বক্তৃতায় বড় ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) জানিয়েছেন, আগামী এক বছরে ১০,০০০টি নতুন মেডিক্যাল স্নাতক (MBBS) ও স্নাতকোত্তর (PG) আসন সংযোজিত হবে। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পরবর্তী পাঁচ বছরে মোট ৭৫,০০০টি আসন বাড়ানো হবে।

    মেডিক্যালে বাড়ছে আসন সংখ্যা

    দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে বর্তমানে মোট ১,১২,১১২টি এমবিবিএস সিট রয়েছে। ভর্তি হতে হয় নিট পরীক্ষার মাধ্যমে। প্রতি বছরই বিপুল প্রতিযোগিতা হয়। নির্মলার দাবি, কেন্দ্রে মোদি সরকার গঠনের পর গত দশকে ভারতের চিকিৎসাশিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে যেখানে দেশে এমবিবিএস-এ ৫১,৩৮৪টি আসন ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,১২,১১২টিতে। একইভাবে, স্নাতকোত্তরে আসনের সংখ্যা ৩১,১৮৫ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২,৬২৭-এ পৌঁছেছে। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ক্যান্সার সেন্টার গড়ে তোলা সরকারের লক্ষ্য বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    আইআইটি-তে অতিরিক্ত পরিকাঠামো

    বাজেট ভাষণে দেশের ৫টি আইআইটি-তে (Union Budget 2025) অতিরিক্ত পরিকাঠামো নির্মাণের ঘোষণাও করেন অর্থমন্ত্রী। পাশাপাশি, আইআইটি পাটনার সম্প্রসারণের কথাও জানান। সেখানে ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হবে। আআইইটি-এর সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন নির্মলা (Nirmala Sitharaman)। আইআইটির আসনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে নির্মলা জানিয়েছেন, দেশের ২৩টি আইআইটিতে গত ১০ বছরে ১০০ শতাংশ আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে যে পাঁচটি নতুন আইআইটি তৈরি করা হয়েছে, তাতে আগামী দিনে আরও সাড়ে ছয় হাজার ছাত্রছাত্রীকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। এই আইআইটিগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও জোর দেবে সরকার। পরিকাঠামোর উন্নয়নের জন্য আলাদা করে অর্থ বিনিয়োগ করা হবে।

    আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে গুরুত্ব

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্যে বারবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (Artificial Intelligence) প্রসঙ্গ উঠে আসে। কীভাবে এআই (AI) কাজ করছে সেই সংক্রান্ত তথ্য বারবার তুলে ধরেছেন মোদি। এবার এই বিষয়ে বড় ঘোষণা করা হয়। অর্থমন্ত্রী জানান, এআই শিক্ষার (Artificial Intelligence) জন্য ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ৩টি এআই এক্সিলেন্স সেন্টার স্থাপন করা হবে বলেও জানান। স্টার্টআপ ক্রেডিট গ্যারান্টি বাড়িয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

    ভারতীয় ভাষাপুস্তক প্রকল্প

    শিক্ষাক্ষেত্রে ‘ভারতীয় ভাষাপুস্তক প্রকল্প’ ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে (Union Budget 2025)। এর মাধ্যমে ভারতীয় আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশোনায় জোর দেওয়া হবে। নির্মলা বলেছেন, ‘‘নিজস্ব ভাষায় বিভিন্ন বিষয় পড়া এবং বোঝার জন্য আমরা স্কুল-কলেজে ‘ভারতীয় ভাষাপুস্তক প্রকল্প’ চালু করছি। এ ছাড়া, সমস্ত সরকারি মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলে ব্রডব্যান্ড যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে।’’

    স্কুলে স্কুলে ইন্টারনেট

    প্রযুক্তিবিদ্যায় জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) ডিজিটাল ইন্ডিয়া গঠনের স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলেও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস চালুর কথা বলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন আগামী পাঁচ বছরে ৫০,০০০ সরকারি স্কুলে আত্তল টিঙ্কারিং ল্যাব চালু করা হবে। সব সেকেন্ডারি স্কুলে দেওয়া হবে ব্রডব্যান্ড কানেকশন। সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতেও। পড়াতে সুবিধা হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও।

    প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলোশিপ

    অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিহারে একটি জাতীয় প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা পূর্বাঞ্চলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে উৎসাহিত করবে। এর ফলে কৃষকদের আয় বাড়বে, যুবকদের দক্ষতা প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কর্মসংস্থান বাড়াতে এমএসএমই সেক্টরের উপর বাড়তি জোর দিয়েছেন নির্মলা। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী রিসার্চ ফেলোশিপের জন্য ১০,০০০ ফেলোশিপ দেওয়া হবে। চালু করা হবে ‘অঙ্গনওয়াড়ি ও পুষ্টি ২.০ প্রকল্প’।

  • Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    Union Budget 2025: কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটে (Union Budget 2025) যে কৃষি, মহিলা এবং যুবসমাজকে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে, শনিবার বাজেট ভাষণের শুরুতেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। বাজেট ভাষণের শুরুটাও তিনি করলেন কৃষিক্ষেত্র দিয়েই। কৃষকদের মুখে হাসি ফোটাতে ঘোষণা করলেন ‘পিএম ধনধান্য কৃষি যোজনা’।

    নির্মলার ঘোষণা (Union Budget 2025)

    নির্মলা জানান, এই যোজনায় উপকৃত হবেন দেশের মোট ১০০টি জেলার ১.৭ কোটি কৃষক। রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে মিলে ওই জেলাগুলিতে কৃষি উন্নয়নে কাজ করবে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ব্যাখ্যা, যেসব জেলায় উৎপাদনের হার কম, সেরকমই ১০০টি জেলাকে চিহ্নিত করা হবে। ওই জেলাগুলির পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আলাদা আালাদা ফসল চিহ্নিত করা হবে। কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ব্যবস্থা করা হবে উৎপাদিত ফসল বিক্রির। প্রক্রিয়াকরণও হবে ওই জেলাগুলিতে। নির্মলার দাবি, এই প্রকল্পে বদলে যাবে ১.৭ কোটি কৃষকের জীবন।

    ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা

    ভোজ্য তেল এবং ডালজাতীয় শস্যে আত্মনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বিহারে তৈরি হবে মাখনা বোর্ড। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজিও তৈরি হবে বিহারে। কিষান ক্রেডিট কার্ডে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করা (Union Budget 2025) হবে বলেও বাজেটে জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। আগে এই ঋণের পরিমাণ ছিল তিন লাখ। সেটাই বাড়িয়ে করা হবে পাঁচ লাখ। তুলো উৎপাদনের ক্ষেত্রে ৫ বছরের বিশেষ পরিকল্পনাও নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষকদের জন্য ইউরিয়া প্ল্যান্ট তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। কৃষকরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।

    বাজেট পেশের শুরুতেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (Nirmala Sitharaman) বলেন, “সবার উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। বিশ্বে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি।” এর পরেই তিনি  বলেন, “বাজেটে মধ্যবিত্তদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। কৃষক, নারী, ক্ষুদ্রশিল্পে গুরুত্ব দেওয়া হবে। ৭০ শতাংশ মহিলা যাতে আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, সেদিকেও নজর দেওয়া হবে । আমাদের কাছে আগামী পাঁচ বছর উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে (Union Budget 2025)।”

LinkedIn
Share