Tag: Union Budget 2025

  • Employment Surges: ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে কর্মসংস্থান, বাজেটের আগে রিপোর্ট প্রকাশ কেন্দ্রের

    Employment Surges: ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে কর্মসংস্থান, বাজেটের আগে রিপোর্ট প্রকাশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় আর্থিক সীমাক্ষায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, গত ৭ বছরে দেশে বেকারত্বের হার কমছে। এবার জানা গেল অসংগঠিত ক্ষেত্রে বেড়েছে কর্মসংস্থান। নতুন বছরের জানুয়ারির শেষে সেই তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্রের পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক। সরকার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২.৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেখানে কর্মসংস্থানের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ১০.০১ শতাংশ।

    কী বলল সমীক্ষা

    চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি অসংগঠিত ক্ষেত্র নিয়ে পেশ করা রিপোর্টে কেন্দ্র জানিয়েছে, এক বছরে এই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান এবং কর্মসংস্থান দু’টিই বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান মোট মূল্য সংযোজনের (গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড বা জিভিএ) সূচকও উপরের দিকে চড়েছে। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের তুলনায় ওই সূচক ১৬.৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬.৫ কোটি থেকে বেড়ে ৭.৩৪ কোটিতে পৌঁছেছে। মোট মূল্য সংযোজনের নিরিখে প্রথম তিনে রয়েছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট।

    মহিলাদের হাতে মালিকানা

    কেন্দ্রের দাবি, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মধ্যে কৃষি ছাড়া অন্য সংস্থাগুলিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মী নিয়োগ হয়েছে ১২ কোটি। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে এই সংখ্যা ১০ কোটি ছিল বলে জানা গিয়েছে। এতে শক্তিশালী শ্রম বাজারের বৃদ্ধি প্রতিফলিত হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে সরকার। সমীক্ষা অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশের বেশি নিয়োগ হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রে মহিলা কর্মীদের অনুপাত ২৫.৬৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.১২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই শ্রেণিভুক্ত উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতে সংস্থাগুলির ৫৮ শতাংশের মালিকানা রয়েছে মহিলাদের হাতে।

    ইন্টারনেট নির্ভরতা

    সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মালিক এবং কর্মীরা ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছেন। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে গ্রামাঞ্চলে এই কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ১৩.৫ শতাংশ। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে সেটা বেড়ে ১৭.৯ শতাংশে পৌঁছে যায়। শহরাঞ্চলে সূচকটি ৩০.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় মোদি সরকারের ডিজিটাল ইন্ডিয়া তৈরির স্বপ্নও কয়েক কদম এগিয়েছে বলে অনুমান বিশেষজ্ঞদের।

  • Economic Survey 2025: বেকারত্ব হ্রাস, মূলধন বৃদ্ধি! বাজেটের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ নির্মলার

    Economic Survey 2025: বেকারত্ব হ্রাস, মূলধন বৃদ্ধি! বাজেটের আগে অর্থনৈতিক সমীক্ষা পেশ নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। শনিবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। এই নিয়ে ৮ বার সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছেন নির্মলা সীতারামন। প্রতিবারের মতোই এবারও একরাশ আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বাজেটের দিকে তাকিয়ে আম-আদমি। তার আগে শুক্রবার কেন্দ্রীয় আর্থিক সমীক্ষা পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী। এই আর্থিক সমীক্ষা মূলত সরকারের রিপোর্ট কার্ড হিসেবেই ধরা হয়।

    মূলধন বৃদ্ধি

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হতে পারে ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশ। ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল আগামী দিনে এই বৃদ্ধির হার ৩.২ শতাংশ থাকবে বলে তিনি জানান। এদিন সীতারামন উল্লেখ করেছেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমছে। মূলধন ব্যয় (capex), কেন্দ্রের মোট ব্যয়ের শতাংশ হিসাবে, ২০২১ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৪ অর্থবর্ষে ক্রমাগত উন্নতি হয়েছে৷ ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পরে, জুলাই-নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.২ শতাংশ।

    রফতানি বৃদ্ধি

    রফতানি ক্ষেত্রে ভারতের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম রফতানি অর্থনীতিতে ভারত সপ্তম স্থানে আছে। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির গ্রস নন-পারফর্মিং অ্যাসেট অনুপাত ২০১৮ অর্থবর্ষের থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ হয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের শেষে ২.৬ শতাংশের সর্বনিম্ন থেকে ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। এই আর্থিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, দেশের সমস্ত সেক্টর ভালো পারফরম্যান্স করছে। দেশের শিল্প ক্ষেত্রগুলি কোভিড-পূর্ববর্তী জায়গায় পৌঁছেছে।

    বেকারত্ব কমেছে

    কেন্দ্রীয় আর্থিক সীমাক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৭ বছরে দেশে বেকারত্বের হার কমছে। সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের জুলাই-জুন মাসে যেখানে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬ শতাংশ, সেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের একই সময়ে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৩.২ শতাংশ। কৃষি ক্ষেত্রেও আশানরূপ উন্নতি হয়েছে। গ্রামীণ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি পরিষেবা এবং অনুন্নত অঞ্চলগুলির মধ্যে ব্যবধান অনেকটাই কমেছে। যার ফলে সারা দেশে আর্থিক প্রগতি হয়েছে৷ এ বারের বাজেট অধিবেশন দু’দফায় হবে। ১৪ এপ্রিল শেষ হবে।

  • Union Budget 2025: ‘‘১০ বছরে প্রথম বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই’’, বাজেটের আগে মহালক্ষ্মীকে স্মরণ করে বার্তা মোদির

    Union Budget 2025: ‘‘১০ বছরে প্রথম বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই’’, বাজেটের আগে মহালক্ষ্মীকে স্মরণ করে বার্তা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও বিদেশি ইন্ধন ছাড়া গত ১০ বছরে এই প্রথম বাজেট অধিবেশন হতে চলেছে। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন সংসদের বাইরে এমনই অভিমত ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে সংসদে অধিবেশন শুরুর ঠিক আগেই বিরোধীদের কড়া নিশানা করলেন তিনি। একই সঙ্গে বাজেট অধিবেশনের আগে অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকল দেশ। অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়েই মহালক্ষ্মীর মন্ত্র স্তব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উত্থাপন করেন বিকশিত ভারতের প্রসঙ্গও।

    বিদেশি হস্তক্ষেপ নেই

    তৃতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে শুক্রবার। শনিবার সংসদে পেশ হতে চলেছে কেন্দ্রীয় বাজেট। পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট পেশের আগের দিন সংসদ ভবনে ঢোকার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘১০ বছর ধরে দেখে আসছি। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত যত বাজেট অধিবেশন হয়েছে, তার ঠিক এক বা দু’দিন আগে বিদেশ থেকে নানা রকম ভাবে ইন্ধন জোগানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম বার দেখলাম এ রকম কোনও ঘটনা ঘটল না। প্রতি অধিবেশনের আগে এই শয়তানি হয়। তাদের হাওয়া দেওয়ার লোকের তো অভাব নেই। এই প্রথম দেখলাম বিদেশি উস্কানি এল না বিশ্বের কোনও কোণ থেকে। আমাদের দেশের অনেকেই বিদেশি শক্তির উস্কানি পেয়ে আগুন জ্বালাতে ছাড়েন না।’’ প্রধানমন্ত্রীর এই ‘বিদেশি ইন্ধন’ মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা। রাজনীতিকদের অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের মন্তব্য করে পরোক্ষে বিরোধীদের নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    মহালক্ষ্মীর স্তব প্রধানমন্ত্রীর

    বাজেট মানেই দেশের ভাঁড়ারের খবর। বাজেট মানেই আগামীর খরচ-খরচার রূপরেখা। তাই এবার বাজেট অধিবেশন শুরু আগে সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে মহালক্ষ্মীর স্তব পাঠ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। প্রধানমন্ত্রী বাজেট পেশের আগে সম্পদ ও সমৃদ্ধির দেবীকে স্মরণ করলেন। বললেন,‘‘সিদ্ধি বুদ্ধি প্রদে দেবী ভুক্তি মুক্তি প্রদায়িনী, মন্ত্রমূর্তে সদা দেবী মহালক্ষ্মী নমোস্তুতে।’’ বললেন, ‘‘মা লক্ষ্মী আমাদের সিদ্ধি, বুদ্ধি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ দান করেন। প্রার্থনা করি, দেশের গরিব মানুষ মধ্যবিত্তর উপর মা লক্ষ্মীর বিশেষ কৃপা বর্ষিত হোক।’’ তাঁর কথায়, ‘‘যে কোনও ধরনের বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমরা মা লক্ষ্মীকে স্মরণ করি। আজও আমি সেটাই করতে চাই। মা লক্ষ্মী গরিব এবং মধ্যবিত্তদের উপর সদয় হন, এটাই প্রার্থনা।’’ এরপরই মহালক্ষ্মীর মন্ত্র স্তব করেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিকশিত ভারত প্রসঙ্গ

    বিকশিত ভারতের প্রসঙ্গে উত্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের ৭৫ বছর পূরণ হয়েছে। এটা দেশের মানুষের কাছে গর্বের। বিশ্বের কাছেও ভারত নিজের বিশেষ স্থান তৈরি করেছে। দেশের জনতা আমায় তৃতীয়বার এই দায়িত্ব দিয়েছে। তৃতীয় দফার সরকারের এটা প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আমি বিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষে বিকশিত ভারতের সংকল্প পূরণ হবে। এই বাজেট এক নতুন বিশ্বাস তৈরি করবে, নতুন অনুপ্রেরণা দেবে যে দেশ স্বাধীনতার শতবর্ষে সফল ও প্রতিষ্ঠিত হবে। ১৪০ কোটি মানুষই এই স্বপ্ন পূরণ করবে।’’ আর্থিক গতির উপর ভিত্তি করেই দেশ সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের পথে এগোচ্ছে বলে বাজেট অধিবেশনের আগে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, ‘‘উদ্ভাবন , অন্তর্ভুক্তি ও বিনিয়োগ অর্থনৈতিক গতিবিধির আধার হিসেবে কাজ করবে। সংস্কার, দক্ষতা ও পরিবর্তন- বিকাশের জন্য এই তিনটি বিষয়ের উপরেই জোর দেওয়া হয়। এটাই কেন্দ্রের মূল লক্ষ্য।’’

    নারীশক্তির বিকাশ লক্ষ্য, যুবশক্তি ভবিষ্যৎ

    সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে। শনিবার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগে শুক্রবার রীতি অনুসারে ভাষণ দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এ বারের বাজেটে তরুণ প্রজন্ম এবং মহিলাদের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে ইঙ্গিত দেন মোদি। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমার তৃতীয় বারের মেয়াদে এটি প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। জোর কণ্ঠে বলতে পারি যে, ২০৪৭ সালে দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্ণ করবে, ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যও পূর্ণ হবে। বিশেষ করে নারীশক্তিই এবং নারীশক্তির উন্নয়নই হবে আমাদের প্রধান লক্ষ্য। গুরুত্বের বিচারে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে সংস্কার, পরিবর্তন।’’ এদিন যুবশক্তির কথাও স্মরণ করান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এখন যাঁরা ২৪-২৫। তাঁরাই দেশের ভবিষ্যৎ। দেশে যুব-শক্তির ভূমিকা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। তাঁরা যখন ৪০-৪৫ বছর বয়সে পৌঁছবেন তখন তাঁরা খুবই লাভবান হবেন। বিকশিত ভারতের সঙ্গে তাঁরা এগিয়ে যাবেন। বিকশিত ভারতকে আরও শক্তিশালী করার জন্যই এই বাজেট।’’

LinkedIn
Share