Tag: Union Cabinet

  • Census 2027: ২০২৭ সালের জনগণনায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ মোদি মন্ত্রিসভার

    Census 2027: ২০২৭ সালের জনগণনায় ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ মোদি মন্ত্রিসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৭ সালের জনগণনায় (Census 2027) ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। শুক্রবার রেলমন্ত্রী (Union Cabinet) অশ্বিনী বৈষ্ণব একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়াছেন, দেশে মোট দুটি দফায় জন গণনা হবে। সমগ্র প্রক্রিয়া হবে অনলাইনে এবং এই জনগণনার সঙ্গে জাতিগণনাও যুক্ত করা হবে। সর্ব শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। কিন্তু ২০১৯ সালে করোনা অতিমারির কারণে এনপিআর-এর কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এইবার সেই কাজে ফের আরেকবার গণনা শুরু হবে।

    প্রথম পর্যায়ে বাসস্থান ও সম্পত্তি গণনা হবে (Census 2027)

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Cabinet) অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “শেষ বার দেশে জনগণনা (Census 2027) হয়েছিল ২০১১ সালে। তারপর ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিশ্বজুড়ে কোভিড অতিমারির জন্য এই কাজকে সাময়িক ভাবে স্থগিত করে রাখা হয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আগেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়, ২০২৭ সালে জনগণনা করা হবে। শুক্রবার সেই কাজের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। ২০২৭ সালের ১ মার্চ থেকে এই নতুন হিসেব বাস্তবায়ন করা হবে।” রেলমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “প্রথম পর্যায়ে বাসস্থান ও সম্পত্তি গণনা হবে। বাড়ি, জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করবে সরকার। ২০২৬ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে সেই প্রক্রিয়া চলবে। তবে সরকারের সুবিধামতো এক একজায়গায় ৩০ দিনের মধ্যে জনগণনা করা হবে। এরপর শুরু হব দ্বিতীয় পর্যায়ের জনগণনা। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই দ্বিতীয় পর্যায়ের জনগণনা হবে। উল্লেখ্য বেশ কিছু এলাকা যেমন- লাদাখ, হিমাচল, জম্মু-কাশ্মীর ও উত্তরাখণ্ডে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা এবং তুষারপাতের জন্য ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসেই গণনা সম্পন্ন করা হবে।”

    মোট ৩০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ

    কীভাবে এই জনগণনার (Census 2027) কাজ হবে তা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Cabinet) অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, ডিজিটাল পদ্ধতিতে জগণনার জন্য বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করা হবে। অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করে পোর্টালে আপলোড করতে হবে। আধুনিক অ্যাপ ব্যবহার করে সংস্কারের কাজ করতে হবে। তবে গণনার কাজের সঙ্গে যুক্ত সকল গণনাকারীদের মোবাইলে তথ্য জোগাড় করতে হবে। আবার যদি কেউ খাতায় কলমে তথ্য সংগ্রহ করেন তাহলেও সঙ্গে সঙ্গে তাকে পোর্টালে তুলতে হবে। ফলে তথ্য সময়ে আপডেট থাকলে ভুলের সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে। তাই গণনা কাজের প্রাথমিক স্তর থেকেই ডিজিটালাইজ হবে। গণনার তথ্যকে পেতে আর কোনও অসুবিধা হবে না। সারা দেশজুড়ে এই কাজে মোট ৩০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হবে।

    কেন প্রয়োজন?

    ভারতবর্ষে বিগত ১৫০ বছর ধরে সেনসাস বা আদম শুমারির কাজ হয়ে আসছে। আগামী ২০২৭ সালে ভারতে ১৬তম আদমশুমারি এবং স্বাধীনতার পর থেকে অষ্টম আদমশুমারি হতে চলেছে। ছোট গ্রাম, শহরাঞ্চল, থেকে ওয়ার্ড লেভেল পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় জনবৈচিত্র্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক অবস্থা, ইত্যাদি বিষয়গুলি এই জনগণনা বা আদম শুমারির মাধ্যমেই ফুটে উঠবে। সরকারের বাজেট এবং আয় ব্যায়ের হিসেবের জন জনগণনা একান্ত প্রয়োজন। তবে সম্প্রতি ইন্ডিজোটের পক্ষ থেকে দেশজুড়ে জনগণনা এবং জাতি গণনায় আপত্তি করা হয়েছে। তাদের যুক্তি দেশে জতির পরিচয়ে বিশেষ বিশেষ ধর্মের মানুষের মধ্যে বিভেদ বৈষম্য বাড়বে। তবে বিজেপি অবশ্য বিরোধীদের তোষণের রাজনীতিকেই দায়ী করেছে।

  • New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    New Income Tax Bill: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, জানুন বিশদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নয়া আয়কর বিলে অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। আয়কর আইন ১৯৬১-এর বদলে আনা হচ্ছে এই বিল (New Income Tax Bill)। ভারতের কর ব্যবস্থাকে সরলীকরণ ও আধুনিকীকরণ করাই এর লক্ষ্য। নয়া বিলটি আইনি ভাষাকেও সহজ করবে যাতে করদাতারা সহজে বুঝতে পারেন বিধানগুলি। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া আইনটি বর্তমানের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে। এর প্রধান লক্ষ্য হল মামলার সংখ্যা কমানো। বিলটিকে যাতে করদাতা-বান্ধব করে তোলা যায়, তাই বিলটিতে কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে কর জরিমানার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।

    কী বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী (New Income Tax Bill)

    ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বাজেট বক্তৃতায় তিনি এই বিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “১৯৬১ সালের আয়কর আইনের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনা ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। সংশোধিত আয়কর আইনটি সরল, স্পষ্ট ও সহজে বোধগম্য হবে।” ২০২১-২৬ অর্থবর্ষ থেকে নয়া কর কাঠামো লাগু হবে। আয়করদাতারা এই সিস্টেমের আওতায় আসবেন ২০২৬-’২৭ অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারে। এবারের বাজেটে বার্ষিক আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা এক লাফে পাঁচ লাখ টাকা বাড়িয়ে ১২ লাখ টাকা করার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। অর্থাৎ, কারও আয়কর এক লাখ টাকার মধ্যে হলে এক পয়সাও আয়কর দিতে হবে না। অর্থনীতিবিদদের মতে, এর ফলে সাধারণ মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়বে, ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই চাঙা হবে অর্থনীতি (New Income Tax Bill)।

    নয়া বিলের সুবিধা

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নয়া বিলের সুবিধাগুলি –

    নতুন করের প্রয়োজন নেই: বিলটিতে কোনও নতুন কর প্রবর্তন করা হবে না। তবে চালু কর আইন সরলীকরণের ওপর জোর দেওয়া হবে।

    সরলীকৃত ভাষা: আইনি ভাষা আরও সহজলভ্য করা হবে। এতে করদাতারা জটিলতা ছাড়াই বিধানগুলি বুঝতে পারবেন।

    সংক্ষিপ্ত আইন: অপ্রয়োজনীয় বিধান বাদ দিয়ে এবং অস্পষ্টতা হ্রাস করে নতুন আইনটি বিদ্যমান আইনের চেয়ে ৫০ শতাংশ ছোট হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    কম শাস্তি: কর ব্যবস্থাকে আরও করদাতা-বান্ধব করে তুলতে কিছু অপরাধের জন্য কম শাস্তি প্রবর্তনের বিধান থাকতে পারে।

    মামলা-মোকদ্দমা হ্রাস: অপব্যবহার-বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্তগুলি স্পষ্ট করে এবং পুরানো ধারাগুলি অপসারণ করে। নতুন বিলের লক্ষ্যই হল কর বিরোধ হ্রাস করা।

    নয়া আয়করের স্ল্যাব

    নয়া আয়কর স্ল্যাবটা একবার দেখে নেওয়া যাক।

    বার্ষিক ৪ লাখ পর্যন্ত কোনও কর দিতে হবে না।

    ৪ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ৫ শতাংশ। ৮ লাখ থেকে ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হবে ১০ শতাংশ, ১২ লাখ থেকে ১৬ লাখ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, ১৬ লাখ থেকে ২০ লাখ পর্যন্ত ২০ শতাংশ, ২০ লাখ থেকে ২৪ লাখ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ, ২৪ লাখের ওপর হলে ৩০ শতাংশ।

    প্রত্যাশিত সংস্কার

    নয়া কর বিলে প্রত্যাশিত যে সব সংস্কার করা হয়েছে, সেগুলি হল –

    একীভূত কর ব্যবস্থা: বর্তমানে, ব্যক্তি, এইচইউএফ, এওপি, বিওআই এবং কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর ব্যবস্থা প্রযোজ্য। নয়া বিলটি এগুলিকে একটি একক কর কাঠামোর মধ্যে প্রবাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কমবে সম্মতির বোঝা। নিশ্চিত করবে কর নিশ্চিতকরণ।

    উইথহোল্ডিং ট্যাক্স রেশেনালাইজেশন: ব্যবসা ও ব্যক্তিদের জন্য সম্মতি সহজ করার জন্য একটি সরলীকৃত কর উইথহোল্ডিং কাঠামো চালু করা যেতে পারে (Union Cabinet)।

    ব্যবসা করা হবে সহজ: নতুন আইনে প্রকৃত লেনদেনের অপ্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই রোধ করতে অপব্যবহার বিরোধী বিধানের ব্যতিক্রম নির্দিষ্ট করা যেতে পারে (New Income Tax Bill)।

    অপ্রয়োজনীয় বিধান বাতিল: কর আইনকে আরও সুনির্দিষ্ট এবং বস্তুনিষ্ঠ করতে পুরানো এবং যেসব ধারা প্রয়োগ করা হয় না, সেগুলি অপসারণ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, নয়া কর ব্যবস্থা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ থেকে কার্যকর হবে। এটি ২০২৬-২৭ মূল্যায়ন বছর থেকে করদাতাদের ওপর প্রভাব ফেলবে।

    এই আপডেটগুলির মাধ্যমে, সরকার আরও স্বচ্ছ এবং দক্ষ কর ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষ্য নিয়েছে। এতে একদিকে যেমন বিরোধ হ্রাস পাবে, তেমনি ব্যবসা এবং ব্যক্তি উভয়ের সম্মতির সহজতা উন্নত করবে (New Income Tax Bill)।

    প্রসঙ্গত, আয়কর আইনের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করতে ২২টি বিশেষ সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে। আয়কর আইন পর্যালোচনার জন্য বিভিন্ন পক্ষের কাছ থেকে আয়কর বিভাগ সাড়ে ৬ হাজারটি পরামর্শ পেয়েছে (Union Cabinet)।

LinkedIn
Share