Tag: United Nations

United Nations

  • United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    United Nations: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের দাবিতে ভারতের পাশে যুক্তরাজ্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্রান্সের পরেই এবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (United Nations) স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থন জানাল ব্রিটেন। ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন। ব্রিটিশ হাইকমিশনার আলেকজান্ডার এলিস বলেন, “আমরা অবশ্যই ভারতকে ইউএনএসসি-এর সদস্য হওয়ার দাবিতে সমর্থন করি। ইউএনএসি-র সংস্কারগুলি প্রাতিষ্ঠানিক, বাস্তবতা কম।”  

    তিনি আরও বলেন, “প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তন করা কঠিন। কিন্তু আমাদের সেটা করতে হবে। ইউএন (United Nations) এবং ইউএনএসসি- তে কিছু দেশ এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে। পরে কিছু দেশ আসে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মতো। আমরা চাইব ভারত একটি কার্যকরী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুক।”

    তিনি অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক (United Nations) কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন- এর উদাহরণও দেন। বলেন, দেশগুলি আজকের বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “ভারতও অর্থ ঋণ দিয়েছে।” ব্রিটিশ হাইকমিশনার আরও বলেন, যে দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির আরও বেশি সমর্থন প্রয়োজন।

    ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দু’টি দেশের সমর্থন মেলায় এবার নয়াদিল্লি (United Nations) নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়া অনেকটাই সহজ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, এই ইস্যুতে এর আগে ভারতকে সমর্থনের কথা শোনা গিয়েছে আমেরিকা ও রাশিয়ার গলাতেও। তবে এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে চিনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই প্রস্তাব পাশ করানোর ক্ষেত্রে ভারতের কাঁটা হতে পারে চিন। কারণ বেজিংয়ের কাছেও রয়েছে ভেটো ক্ষমতা। যা প্রয়োগ করে এই প্রস্তাব আটকে দিতে পারেন তাঁরা। গত দু’বছর ধরে সীমান্ত সংঘাতের জেরে ভারত-চিন সম্পর্কে অনেকটাই অবনতি হয়েছে। যার প্রভাব ভারতের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রেও পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

    সমর্থন ফ্রান্সেরও 

    গত কয়েক বছর ধরেই রাষ্ট্রসংঘের অমূল সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা (United Nations) রয়েছে বলে সওয়াল করে আসছে ভারত। এই নিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনের মঞ্চেই বিদেশমন্ত্রী জয়শংকরের নেতৃত্বে ‘Maintenance of International Peace and Security: New Orientation for Reformed Multilateralism’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য ভারতকে খোলাখুলিভাবে সমর্থনের কথা বলেন রাষ্ট্রসংঘের ফরাসি রাষ্ট্রদূত নিকোলাস দে রিভেরে। ভারত ছাড়াও জার্মানি, ব্রাজিল এবং জাপানকেও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের জন্য সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

    আরও পড়ুন: “অল ইজ নট ওয়েল ইন লাদাখ”, ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রীকে ওয়াংচুক

    রাষ্ট্রসংঘের আলোচনা সভায় ঠিক কি বলেছেন (United Nations) ফরাসি রাষ্ট্রদূত? তাঁর কথায়, “ফ্রান্স নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের পক্ষে। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলেও মনে করি আমরা। বিশ্বের নতুন শক্তিগুলির উত্থান মেনে নিতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে তাঁদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Bangladesh: পাকিস্তানকে ৭১- এর নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে স্মারকলিপি পেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের

    Bangladesh: পাকিস্তানকে ৭১- এর নৃশংসতার জন্যে ক্ষমা চাইতে হবে, রাষ্ট্রসংঘে স্মারকলিপি পেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় গণহত্যার সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি সেনাদের বিচারের দাবিতে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের কাছে ঢাকায় জাতিসংঘ মিশনে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ।

    স্মারকলিপিতে পাকিস্তানকে প্রকাশ্যে বা গোপনে বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরুদ্ধে থাকা শক্তিগুলির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা থেকে বিরত থাকার দাবি জানানো হয়েছে। স্মারকলিপিতে এও দাবি করা হয়েছে যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণের কাছে বঙ্গবন্ধু হত্যা, ২১তম গ্রেনেড হামলা এবং ৭১- এর নৃশংসতার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। 

    আরও পড়ুন: মঞ্চে অমিতাভ-জয়া, পৌঁছতে দেরি হওয়ায় শাহরুখ ছাড়াই শুরু চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান 

    কী বলল মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ? 

    স্মারকলিপিতে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের (Bangladesh) স্বাধীনতা সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলে, “যুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারান এবং দু লক্ষ মহিলা ধর্ষিতা হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানের আইএসআই সরাসরি জড়িত ছিল। মুক্তিযুদ্ধে আত্মসমর্পণের প্রতিশোধ নিতে, পাকিস্তান বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। জিয়া-মোশতাকের সহায়তায় পাকিস্তান সেনা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড।”

    ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু (Bangladesh) কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তান বিরোধী দলকে গ্রেনেড সরবরাহ করেছিল। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা শেখ হাসিনার জীবন বাঁচাতে মানব সুরক্ষা তৈরি করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা প্রাণে বাঁচলেও গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতার মৃত্যু হয়।  

    বাংলাদেশ (Bangladesh) মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ আরও বলে, “এসব হত্যাকাণ্ডের দায় পাকিস্তান এড়াতে পারে না। পাকিস্তান যদি বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়, তাহলে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবে। আমরা জাতিসংঘের কাছে দাবি করছি যে, ১৯৭১ সালে গণহত্যা এবং বুদ্ধিজীবী হত্যায় জড়িত থাকার অপরাধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আদালতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিচার হোক। সাজা দেওয়া হোক অপরাধীদের।” 

    সম্প্রতি ১৯৭১ সালের যুদ্ধে বাঙালি (Bangladesh) এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের “গণহত্যা” অবশেষে স্বীকৃতি পেয়েছে। কারণ হোয়াইট হাউস ইসলামাবাদের এই কাণ্ডের নিন্দা করেছে কিছুদিন আগেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
  • World Population: ৮০০ কোটির মাইলস্টোন ছুঁল বিশ্বের জনসংখ্যা, অচিরেই চিনকে টপকে যাবে ভারত!

    World Population: ৮০০ কোটির মাইলস্টোন ছুঁল বিশ্বের জনসংখ্যা, অচিরেই চিনকে টপকে যাবে ভারত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন বিস্ফোরণ! বিশ্বের জনসংখ্যা (World Population) ছুঁয়ে ফেলল ৮০০ কোটির মাইলস্টোন। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ (UN)। তাতেই উঠে এসেছে এই তথ্য। ১৯৭৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা পার হয়েছিল ৪০০ কোটির চৌকাঠ। যার অর্থ, মাত্র ৪৮ বছরেই দ্বিগুণ হয়েছে বিশ্বের জনসংখ্যা।

    ২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা…

    জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছাড়িয়েছিল ৭০০ কোটি। আর এ বছর হল ৮০০ কোটি। অর্থাৎ ১১ বছরে বিশ্বের জনসংখ্যা পেরল ১০০ কোটি। যা রেকর্ড বই কি!  রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৯৭০ কোটি। ১৮০৪ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছিল ১০০ কোটি। তার পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে জনসংখ্যা।

    রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্ট থেকে এও জানা গিয়েছে, অস্বাভাবিক গতিতে যে জনসংখ্যা (World Population) বেড়েছে, তার কারণ একদিকে যেমন বেড়েছে গড় আয়ু, তেমনি অন্যদিকে কয়েকটি দেশে সন্তান জন্মের হার অত্যন্ত বেশি। জনস্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং উন্নত ওষুধ আবিষ্কারের কারণে কমেছে মৃত্যুহারও। স্বাভাবিকভাবেই বাড়ছে জনসংখ্যা।

    আরও পড়ুন: চিনা আগ্রাসন রুখতে পূর্ব লাদাখে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত, জানেন?

    বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভারতের জনসংখ্যাও। রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যেই জনসংখ্যার নিরিখে চিনকে টপকে যাবে ভারত। তার পরেই ভারতের জনসংখ্যা হয়ে যাবে বিশ্বের মধ্যে সব চেয়ে বেশি। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে ভারত ও চিন দুই দেশের জনসংখ্যাই ১৪০ কোটির বেশি। ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার চিনের থেকেও ঢের বেশি। কেবল ভারত নয়, গোটা পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়ই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বেশি। রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্ট থেকেই জানা যাচ্ছে, শুধু দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়ই বাস করেন গোটা বিশ্বের ২৯ শতাংশ মানুষ। আর পূর্ব এশিয়ায় বাস করেন ২৬ শতাংশ।

    তবে আশার আলোও দেখা যাচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের ওই রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ২০৩০ সালে ভারত চিনকে টপকে গেলেও, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ক্রমেই নিম্নগামী। কারণ ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, ২০৩৭ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা ছোঁবে ৯০০ কোটির ঘর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    Fighting Nazism: ফের মস্কোর পাশে নয়াদিল্লি, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে রাশিয়ার প্রস্তাবে সায় ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে (UN) ফের রাশিয়ার (Russia) পাশে দাঁড়াল ভারত (India)। মস্কোর আনা প্রস্তাবে সায় দিল নয়াদিল্লি। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের ‘নাৎসিবাদ (Nazism) মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াই’ শীর্ষক ওই প্রস্তাবের খসড়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ভারত। এই খসড়া প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১০৫টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৫২টি দেশের প্রতিনিধিরা। ভোটদানে বিরত থেকেছেন ১৫টি দেশের প্রতিনিধি। এদিন ভারতের প্রতিনিধি বলেন, আদিবাসী জনগণের ধারণাটি দেশের প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নয়। কমিটি আটটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আদিবাসীদের অধিকার, ডিজিটাল যুগে গোপনীয়তা রক্ষা, নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। এই খসডা প্রস্তাবে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুও রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাক্ষরতার অধিকার, যৌন হেনস্থা থেকে শিশুদের রক্ষা এবং ক্রিমিনাল জাস্টিসও। এর সঙ্গেই রয়েছে নাৎসিবাদ মহিমান্বিত করার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রচেষ্টাও।   

    খসড়া প্রস্তাবে নাৎসি আন্দোলন (Fighting Nazism), নব্য নাৎসিবাদ, নাৎসিদের অতীত মহিমাকীর্তন করতে গণ প্রদর্শনীর মতো বিষয়গুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বর্ণবাদী এবং জেনোফোবিক রেটোরিক, ইসলামফোবিয়া, অ্যাফ্রোফোবিয়া এবং ইহুদি বিদ্বেষের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতিনিধি।

    এদিন অধিবেশনে উপস্থিত বেশ কয়েকজন প্রতিনিধির দাবি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হামলার যৌক্তিকতা বোঝাতে মরিয়া মস্কো। তাই তোলা হচ্ছে নব্য নাৎসিবাদের ঢেঁকুর। আবার ইউক্রেনের প্রতিনিধির দাবি, এই খড়সা প্রস্তাবের সঙ্গে নাৎসিবাদ ও নব্য নাৎসিবাদের প্রকৃত লড়াইয়ের কোনও সম্পর্কই নেই। একই সুর শোনা গিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের গলায়ও। খসড়া প্রস্তাবটিকে মস্কোর ‘সিনিক্যাল অ্যাটেম্পট’ বলে দেগে দিয়েছেন আমেরিকার প্রতিনিধি।

    আরও পড়ুন: রাশিয়া থেকে জ্বালানি কিনতে কেউ নিষেধ করেনি, সাফ জানালেন হরদীপ সিং পুরী

    এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিল ভারত। অক্টোবর মাসে গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি এলাকা দখল করার রাশিয়ার প্রক্রিয়াকে বেআইনি ঘোষণা করে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘে। সেবার ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। ভোট দেয়নি আরও ৩৪টি দেশও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Pakistan Terrorism: ভারত, আমেরিকার প্রস্তাব খারিজ, পাক জঙ্গি শাহিদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার বিরোধিতায় চিন

    Pakistan Terrorism: ভারত, আমেরিকার প্রস্তাব খারিজ, পাক জঙ্গি শাহিদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার বিরোধিতায় চিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আর ও একবার রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরোধিতা করল চিন। লস্কর-ই-তইবা (Pakistan Terrorism) নেতা শাহিদ মাহমুদকে Shahid Mahmood আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য রাষ্ট্রসংঘে ভারত ও আমেরিকা আনা যৌথ প্রস্তাবকে খারিজ করল চিন। লস্কর-ই-তইবার এই শীর্ঘ নেতাকে এই মুহুর্তেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণার পক্ষপাতী নয় বেজিং। তবে, চিনের এই আচরণ নতুন নয়। গত কয়েকমাসে এই নিয়ে চারবার ভারতে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধীতা করে আসছে চিন। মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসেই মাহমূদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করে।

    রাষ্ট্রসংঘে আল কায়দাকে নিষিদ্ধ করার আইনের আওতাতেই শাহিদক মাহমুদকে (Pakistan Terrorism) আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করতে উদ্যোগী হয়েছিল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চীন সে প্রস্তাবে বাধা দেওয়ায় শাহিদ মাহমুদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনাই করতে পারেনি রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি।

    [tw]


    [/tw]

    মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার মূল চক্রী সাজিস মীরের প্রধান সহযোগী ছিলেন এই শাহিদ। চিন পাকিস্তান মদতপুষ্ট (Pakistan Terrorism) এই জঙ্গি নেতাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে স্থগিত দেশ দেওয়ার সময়েই ভারতে সফরে এসেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস (Antonio Guterres)। ২০০৮ সালে লস্কর ই তইবার এই আক্রমনে মুম্বই শহরে প্রায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ হারায়। আহত হয়েছিল অসংখ্য মানুষ। ২৬/১১ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ভারতে এসেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব।

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর মোট ১৮ জনকে ইউএপিএ আইনের আওতায় কালোতালিকা ভুক্ত করেছে ভারতে।এর মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদীন, জইশ-ই-মহম্মদ, ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন এবং দাউদ ইব্রাহিমের দলভুক্ত কয়েক নেতা৷সেই তালিকায় শাহিদ মেহমুদ ওরফে শাহিদ মেহমুদ রেহমাতুল্লাহরও নাম রয়েছে৷

    কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আব্দুল রউফ আজহারকে কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে চেয়ে যৌথ প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত ও আমেরিকা। সেখানেও একইভাবে বিরোধিতা করেছিল চিন। জুন মাসে লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক মক্কিকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু চিনের বিরোধিতায় ভারতের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। বেজিং-এর এই ভূমিকায় বারবার সমালোচনা করেছে ভারত।

    চলতি বছরের ব্রিকস সম্মেলনেও নাম না করে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সারা পৃথিবীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একযোগে লড়াই করতে হবে। দেশের সংকীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হবে। তবে মোদির এই আহ্বানে চিন যে সাড়া দেয়নি, সেটা রাষ্ট্রসংঘে তাদের আচরণেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।লাগাতার এই ধরনের ঘটনা থেকে পরিষ্কার, পাকিস্তানি জঙ্গিদের আড়াল করতে সবসময় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে চিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
     
     
  • India-Pakistan: যারা শান্তি চায়, তারা নাশকতায় মদত দেয় না, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তোপ ভারতের

    India-Pakistan: যারা শান্তি চায়, তারা নাশকতায় মদত দেয় না, রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তোপ ভারতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এবার পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিল ভারত। শুক্রবার রাষ্ট্রসংঘের চলতি এই অধিবেশনে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ফের সরব হয় পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় কাশ্মীরে শান্তি ফেরানোর কথা তুলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, “যুদ্ধ কোনও অপশন নয়। পাকিস্তানের এখন স্থিতিশীল অর্থনীতির প্রয়োজন। এরজন্য ভারত সহ সমস্ত প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেই শান্তি বজায় রাখতে চায়”। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই শনিবার ভারতের তরফে তীব্র সমালোচনা করা হয়। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি মিজিটো ভিনিটো বলেন, “যে দেশ শান্তি চায়, তারা সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে মদত দেবে না।”

    আরও পড়ুন: মোটা মাইনের টোপ, মায়ানমারে বন্দি বহু ভারতীয়, সতর্কবার্তা বিদেশ মন্ত্রকের

    এদিন, ভারতের তরফে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দাবিকে ভুয়ো বলে আখ্যা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ করা হয়। ভারতের প্রতিনিধি মিজিটো ভিনিটো বলেন, “এটা সত্যিই দুঃখজনক যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই মঞ্চকে বেছে নিয়েছেন ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার জন্য। নিজের দেশের অপকর্মকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য এবং গোটা বিশ্ব যাকে অনৈতিক বলে অ্যাখ্য়া দিয়েছে, সেই কার্যকলাপকে নৈতিক বলে প্রমাণের চেষ্টায় পাকিস্তান এই কাজ করছে।”

    আরও পড়ুন : হিন্দু মন্দিরে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ, ব্রিটিশ বিদেশ সচিবের সঙ্গে বৈঠক জয়শঙ্করের

    রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে শাহবাজ অভিযোগ করেছেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সেখানকার জনবিন্যাসের চরিত্র বদলের চেষ্টা চলছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরকে হিন্দুগরিষ্ঠ কাশ্মীরে পরিণত করতে চাইছে ভারত।’’ পাকিস্তানের এই অভিযোগের জবাব দেন ভারতীয় কূটনীতিক মিজিটো ভিনিটো (Mijito Vinito)। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। এর কোনও ভিত্তি নেই। সম্প্রতি পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ ও খ্রিস্টান পরিবারের মেয়েদের অপহরণ ও জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনেও ভারতের তরফে বলা হয়, “এটা হাস্যকর যে দেশে সংখ্য়ালঘুদের অধিকারের লঙ্ঘন করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত, তারাই বিশ্বমঞ্চে সংখ্য়ালঘুদের নিয়ে কথা বলছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Srilanka Tamil Issue: তামিল ইস্যুতে শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলল ভারত

    Srilanka Tamil Issue: তামিল ইস্যুতে শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীলঙ্কানিবাসী তামিলদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) সুর চড়াল ভারত। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে তামিল ইস্যুতে (Tamil Issue) শ্রীলঙ্কার (Srilanka) অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশ। কেন অ্যামেন্ডমেন্ট ১৩ (13th Amendment) কার্যকর করা হচ্ছে না সেই প্রশ্ন তোলা হয়। তামিল ইস্যুতে একটি সমাধান সূত্রের  প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখনও তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। আর তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে ভারত। রাষ্ট্রসংঘের মানাবাধিকার কাউন্সিলের ৫১ তম সেশনে ভারত এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। ভারতের দাবি, যাতে দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলরা শান্তিতে, সম্মানে, সমানাধিকারে বসবাস করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে প্রশাসনকে। সেদেশে তামিল ইস্যুতে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহের দিকে দিল্লির ক্রমাগত নজর রয়েছে বলেও জানিয়েছে ভারত। আর্থিক সংকট সম্পর্কে ভারত বলে, “শ্রীলঙ্কার সর্বোত্তম স্বার্থে তার নাগরিকদের সক্ষমতা তৈরি করা দরকার।” 

    আরও পড়ুন: পিছিয়ে গেল চিনা জাহাজের শ্রীলঙ্কায় প্রবেশ, ভারতের অনুরোধে পাশে দাঁড়াল শ্রীলঙ্কা সরকার
     
    এদিকে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক সদস্যের বক্তব্য অনুযায়ী, সেদেশে মানবাধিকার রক্ষা করতে আরও বেশি করে উদ্যোগ নিতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। দেশে গত কয়েক দশকের সবচেয়ে খারাপ আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা পেতে দেশের মানুষকে আরও বেশি সক্ষম করার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের সদস্যরা মনে করেন যে, শ্রীলঙ্কাকে আর্থিক মদতের জন্য বিশ্বের সমস্ত নামী আন্তর্জাতিক  প্রতিষ্ঠানগুলির এগিয়ে আসা উচিত। 

    আরও পড়ুন: ভারতের আর্থিক অবস্থা শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তানের মতো হবে না, দৃঢ়বিশ্বাসী রঘুরাম রাজন

    গত বছরের শেষ থেকেই চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। চলতি বছরের জুলাইতে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ওই সময় রাজধানী কলম্বোয় প্রেসিডেন্টের প্রাসাদে চড়াও হয়েছিল জনতা। এরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপে চলে যান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষ। পরে সেখান থেকে সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ড যান তিনি। জুলাইয়ের ১৪ তারিখে বিদেশে বসেই পদত্যাগ করেন গোতাবায়া রাজাপক্ষ। চলতি মাসের শুরুর দিকে দ্বীপরাষ্ট্রে ফিরেছেন তিনি। তবে পুরনো পদ আর ফিরে পাননি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে ওই পদে রয়েছেন রনিল বিক্রমাসংঘে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে দেশবাসীর যেরকম ক্ষোভ রয়েছে, তাতে তাঁর রাজনীতির মূল স্রোতে ফেরা কঠিন। এমনকি তাঁর বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও মনে করছেন তাঁরা।   

     

  • India At UNSC: চিনের দ্বিচারিতা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে সরব ভারত! জানেন কী বললেন রুচিরা কম্বোজ?

    India At UNSC: চিনের দ্বিচারিতা নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে সরব ভারত! জানেন কী বললেন রুচিরা কম্বোজ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে চিনকে একহাত নিল ভারত। সোমবার নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, একতরফা ভাবে সীমান্তে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা আঞ্চলিক নিরাপত্তায় বড়সড় ধাক্কা দেবে। এদিন ‘যৌথ নিরাপত্তা’ ও ‘বিশ্ব শান্তি’ নিয়ে  বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ (UNSC)। সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে চিনের নীতি তুলে ধরে ভারতের তরফে আক্রমণ শানানো হয়। পাশাপাশি বলপূর্বক অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব খণ্ডন করার প্রসঙ্গ তুলেও চিনকে তোপ দাগে ভারত। অবশ্য কোনও ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় দূত রুচিরা কম্বোজ চিনের নাম উল্লেখ করেননি। 

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির পদে রয়েছে চিন। এদিনের বৈঠকও তাদেরই উদ্যোগ। কিন্তু আলোচনায় বেজিংকে কোণঠাসা করে দেন রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি রুচিরা। তিনি বলেন, ’যেকোনও দেশ যদি জবরদস্তিমূলক বা একতরফা পদক্ষেপের মাধ্যমে বল প্রয়োগ করে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে তা সাধারণ নিরাপত্তার অবমাননা। সাধারণ নিরাপত্তা তখনই সম্ভব যখন দেশগুলি একে অপরের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে।  যেমন তারা আশা করে যে তাদের নিজস্ব সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা হবে, তেমনই তাদেরকেও অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব মানতে হবে।”

    আরও পড়ুন: ভারতের হাতে আসছে আমেরিকার হানাদার ড্রোন ‘এমকিউ-৯ রিপার’! জানেন এর ক্ষমতা?

    সন্ত্রাসবাদ থেকে সীমান্ত বিবাদ ইস্যুতে এদিন বেজিংয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে ভারত। রুচিরা কম্বোজের কথায়, “সাধারণ নিরাপত্তা তখনই সম্ভব যখন দেশগুলো অন্যদের সাথে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক চুক্তিগুলোকে সম্মান করবে। উভয়পক্ষ দ্বারা গৃহীত সেইসব ব্যবস্থাকে বাতিল করার জন্য একতরফা পদক্ষেপ করবে না। সাধারণ নিরাপত্তা তখনই সম্ভব যখন সন্ত্রাসবাদের মতো হুমকির বিরুদ্ধে সব দেশ একসঙ্গে রুখে দাঁড়াবে এবং এই ইস্যুতে দ্বিচারিতা করবে না।” উল্লেখ্য, গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan clash) সময় থেকেই লাদাখে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে। দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে ১৬ দফা আলোচনা হলেও জোট খোলেনি। সীমান্ত বিবাদ মেটাতে সেই অর্থে বড় কোনও সাফল্যও মেলেনি। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে ভারত আবদুল রউফ আজহারকে বিশ্বসন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার আর্জি জানায়। তার বিরোধিতা করে চিন। 

  • Monkeypox: মাঙ্কিপক্সই কী ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    Monkeypox: মাঙ্কিপক্সই কী ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) বিষয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করেছেন সারা বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকা থেকে আসা এই রোগ বেশ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ইউরোপের দেশগুলিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৯২ জনের এই রোগ ধরা পড়েছে। আরও ২৮ জন আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    ব্রিটেন, ইতালি, পর্তুগাল, স্পেন এবং সুইডেনে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছে। ফ্রান্স, ইতালি, সুইডেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় নতুন কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে এইসব অঞ্চলে ভ্রমণে আসার কারণেই বাইরের দেশে ছড়িয়েছে এই রোগ। সব দেশগুলিতে নজর চালচ্ছে সংযুক্ত রাষ্ট্রসংঘ। যে দেশগুলি এখনও আক্রান্ত নয়, সে দেশগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাল সংক্রমণ। রোগটি সাধারণত খুব সংক্রামক নয় এবং মানুষ কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সেরে ওঠেন। এই রোগে মৃত্যুর হার এক শতাংশের চেয়েও কম। রোগটি করোনার মতো সংক্রামক নয়। আমেরিকায় এই রোগের প্রথম কেস ৭ মে ধরা পড়ে। রোগী সম্প্রতি নাইজেরিয়া ভ্রমণে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে তিনি ভাইরাসে আক্রান্ত হন।   

    ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    ত্বকের সংস্পর্শে এলেই মূলত ছড়ায় এই রোগ। রোগের উপস্বর্গগুলি হল, র‍্যাশ, জ্বর এবং ব্যথা। এটা অনেকটাই ছোট পক্সের মতো, কিন্তু ছোট পক্সের থেকে অনেকটাই কম ভয়ঙ্কর। রোগটি করোনার মতো শ্বাসযন্ত্রকে আক্রমণ করে না বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।  

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক আধিকারিক জানান, “যৌন সংসর্গে এই রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কোনও ব্যক্তি যদি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হন এবং তিনি যদি যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত হন, সেক্ষেত্রে অপর সুস্থ ব্যক্তির দেহে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ তিনিও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন।”   
     
    স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দুশ্চিন্তার বিষয়টি হ’ল ভাইরাসটি কমিউনিটির মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং সম্ভবত সংক্রমণের একটি নতুন মাধ্যমও তৈরি হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, কোনও উৎসবে বা অনুষ্ঠানে বেশি লোক একত্রিত হলে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভাইরাস। 

    তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই রোগের মহামারী হওয়ার সম্ভাবনা নেই।  টিকা এবং ওষুধের ব্যবহারে এই ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। চিকেন পক্সের টিকা এবং ওষুধ দুই-ই এই ভাইরাসের ওপর কার্যকরী বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। যাদের শরীরে কোনও রকম দানা বা র‍্যাশ রয়েছে তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চললেই এই রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব বলে মনে করছেন তাঁরা।  

     

LinkedIn
Share